উত্তর : জমি বিক্রেতা ও মৃতের পরিবারের সাথে বসে এর সমাধান করতে হবে। কারণ জেনে-শুনে অন্যের সম্পদ ভক্ষণ করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের সম্পদ ভক্ষণ করো না এবং অন্যের সম্পদ গর্হিত পন্থায় গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তোমরা জেনে-শ
উত্তর : স্ত্রী এক অষ্টমাংশ পাবে এবং কন্যারা দুই তৃতীয়াংশ পাবে। অবশিষ্টাংশ বোন পাবে। বোন জীবিত থাকায় ভাতিজারা কোন অংশ পাবে না (নিসা ৪/১১)।প্রশ্নকারী : আবু হুরায়রা সিফাত, মান্দা, নওগাঁ।
উত্তর : প্রথম স্ত্রীর ছেলে পিতার সম্পদে অন্যান্য ছেলে সন্তানের সমপরিমাণ সম্পদ পাবে। আর ছেলেরা কন্যা সন্তানের দ্বিগুণের ভিত্তিতে সম্পদ পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্রের অংশ
উত্তর : সুন্নাত হ’ল মৃত্যুর পরে ওয়ারিছদের মধ্যে শরী‘আত মোতাবেক সম্পত্তি বণ্টন করা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মৃত্যুর পরে সম্পদ বণ্টনের কথা বলেছেন’ (নিসা ৪/১১-১২)। এক্ষণে যদি কেউ কোন কারণ বশত তার যাবতীয় সম্পদ বা কিছু সম্পদ ওয়ারিছদের মাঝে বণ্টন করে
উত্তর : যেহেতু জায়গাটি মায়ের নামে রয়েছে, সেহেতু মায়ের সকল ওয়ারিছ উক্ত সম্পত্তির ভাগ পাবে। আল্লাহ তা‘আলা সূরা নিসায় সম্পদ বণ্টন পদ্ধতি উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ তোমাদের সন্তানদের (মধ্যে মীরাছ বণ্টনের) ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, এক পুত্র
উত্তর : অন্যান্য ওয়ারিছদের বাদ দিয়ে পুরো সম্পত্তি কোন একজনকে বা শুধু মেয়েদেরকে লিখে দেওয়া যাবে না। আর এতে অন্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত করার নিয়ত থাকলে তিনি নিশ্চিতভাবে আল্লাহর বিধান লংঘনের কারণে গোনাহগার হবেন। তবে শারঈ কারণে ও সন্তানের নিরাপত্তার স্বার
উত্তর : সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্য পিতা-মাতা পাপী হবেন। এতদসত্ত্বেও সন্তান হিসাবে সাধ্যমত পিতা-মাতার মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের পবিত্রতম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। অত
উত্তর : পিতা সুস্থ অবস্থায় তার কন্যা সন্তানদের বা ছেলে সন্তানদের প্রয়োজন মাফিক সম্পত্তি হেবা করতে পারবেন। তবে অছিয়ত করতে পারবেন না। কারণ ওয়ারিছদের জন্য কোন অছিয়ত নেই (বুখারী হা/২৭৪৭; মিশকাত হা/৩০৭৪)। পিতা অন্যান্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত না করার ন
উত্তর : কন্যারা পাবে দুই-তৃতীয়াংশ, স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ এবং বাকী সম্পত্তি দুই সহোদর বোন পাবে। দুই সহোদর বোন থাকায় চাচাতো ভাই-বোন কোন সম্পত্তি পাবে না। আল্লাহ বলেন, যদি দুইয়ের অধিক কন্যা থাকে, তাহ’লে তারা পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। আর য
উত্তর : বোনদের সম্পদ বা মীরাছ থেকে বঞ্চিত করা কবীরা গোনাহ (ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ৪/৩০৬; বিন বায, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২০/২২১)। এমতাবস্থায় মায়ের নিকট থেকে লিখিত জমি ভাইয়েরা প্রাপ্য অনুযায়ী বোনদের মাঝে বণ্টন করে দিবে। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : ফুফুরা সুস্পষ্ট সম্মতি দেওয়ার পরে কোন স্বার্থের কারণে বর্তমানে তা অস্বীকার করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ একবার সর্বসম্মতিক্রমে কাউকে সম্পত্তি দেওয়ার পর তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা বা ফিরিয়ে নেওয়া জায়েয নয়। তবে ফুফুরা সম্পদ দাবী করলে ফারায়ে
উত্তর : লাভ ভোগ করার প্রচলিত বন্ধকী প্রথা নিষিদ্ধ। কারণ ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ। ছাহাবীগণ এমন ঋণ দিতে নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭, ৫/২৩৪ পৃ.)। তবে বছরে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে জমি ভাড়া (লীজ
উত্তর : পিতার অনুমতি ও ভাই-বোনসহ অন্যান্য ওয়ারিছদের সম্মতি থাকলে পিতার জীবদ্দশায় বড় ভাই তার নিজের ভাগ বুঝে নিয়ে বাড়ি বানাতে পারেন। যা তিনি পিতার মৃত্যুর পর পুনরায় দাবী করতে পারবেন না। যেমন ছাহাবী সা‘দ বিন ওবাদা (রাঃ) তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর যাবতীয় স
উত্তর: স্বামী জীবিত থাকায় এবং সন্তান না থাকায় স্বামী পাবেন মৃত স্ত্রীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তোমরা অর্ধেক পাবে, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি থাকে, তবে তোমরা সিকি পাবে, তাদের অছিয়ত পূরণ
উত্তর : সুন্নাত হ’ল মৃত্যুর পরে ওয়ারিছদের মধ্যে শরী‘আত মোতাবেক সম্পত্তি বণ্টন হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মৃত্যুর পরে সম্পদ বণ্টনের কথা আলোচনা করেছেন (নিসা ৪/১১-১২)। তাছাড়া জীবদ্দশায় সম্পদ বণ্টন করে দিলে নিজেই অসহায় হয়ে যেতে পারে। এক্ষণে কেউ যদ
উত্তর : বন্ধকী জমি দ্বারা উপকৃত হওয়া যাবে না এবং উপকার গ্রহণের শর্তে জমি বন্ধকও রাখা যাবে না। কারণ এটা ঋণ, আর ঋণ প্রদান করে এর বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদের অন্তর্ভুক্ত। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল
উত্তর: উক্ত সম্পদে মা ও ছেলের পরিবার উভয়ে অংশীদার হবে। কারণ একজন জায়গা ক্রয়ে বিনিয়োগ করেছেন, অন্যজন ভবন নির্মাণে বিনিয়োগ করেছেন। পূর্ব থেকে লিখিত বা মৌখিক চুক্তি থাকলে সে অনুপাতে উভয় পরিবার লভ্যাংশ ভোগ করবেন। না থাকলে মা এবং ছেলের পরিবার সমঝোতার
উত্তর : পিতা ও দাদার পরকালীন মুক্তির জন্য চাচার প্রাপ্য অংশ প্রদান করা ভাতীজাদের উপর আবশ্যক (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৯/৪৯৪)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ওয়ারিছদের নায্য অধিকার কুরআনে নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং রাসূল (ছাঃ) হাদীছে সন্তানদের ম
উত্তর : পারবে। তবে সন্তানদের কিছু হেবা বা দান করতে চাইলে দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। (১) শারঈ উত্তরাধিকার আইন অনুপাতে হেবা বা দান করতে হবে। (২) অন্য সন্তানদের সম্মতি সাপেক্ষে হেবা বা দান করতে হবে। এর বাইরে তাদের প্রতি খরচের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে ত
উত্তর : সংসার দেখাশুনা ও অতিরিক্ত শ্রম দেওয়ার কারণে পিতা তাদের কিছু জায়গা কেনায় সহায়তা করে থাকলে, তা দোষণীয় নয়। কারণ এ সময়ে বাইরের কাউকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে তাকে বেতন বা পারিশ্রমিক দিতে হ’ত। সুতরাং এতে ইনছাফের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি (বিন বায, মা
উত্তর : এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান (নিসা ৪/১১) ভিত্তিতে সম্পদ ভাগ হবে। সে হিসাবে জমিতে মোট ভাগ হবে ৯টি। যার ৮ ভাগ পাবে ৪ ছেলে এবং একভাগ পাবে ১ মেয়ে।প্রশ্নকারী : রাফী, ঝালোপাড়া, সিলেট।
উত্তর : নমীনী সাময়িকভাবে মৃতের সম্পত্তি প্রাপ্তির একটি মাধ্যম মাত্র। এটি ইসলামী উত্তরাধিকারের কোন পদ্ধতি নয়। এজন্য মাইয়েতের যাবতীয় সম্পত্তি শারঈ পদ্ধতিতে বণ্টন করতে হবে। এক্ষণে মোট সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ করে পিতা-মাতা পাবেন। স্ত্রী এক-অষ্টমাংশ পাব
উত্তর : পিতামাতা চাইলে সন্তানকে প্রদত্ত কোন দান ফেরত নিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য কোন কিছু দান করার পর তা ফেরত নেওয়া জায়েয নয়। কেবল পিতা তার সন্তানদের কিছু দিয়ে তা ফেরত নিতে পারেন (আবুদাউদ হা/৩৫৩৯; নাসাঈ হা/৩৬৯০; মিশকাত হা/৩০
উত্তর : উক্ত সম্পদ ভাই-বোনদের সম্মতি ছাড়া গ্রহণ করা জায়েয হবে না। তবে ভাই-বোনেরা যদি পিতা-মাতার খেদমত করার কারণে সম্মতি দেয় তাহ’লে তা গ্রহণে কোন দোষ নেই। আর তারা সম্মতি না দিলে অতিরিক্ত অংশটুকু ফেরত দিতে হবে এবং পিতা-মাতার খেদমতের প্রতিদান আল
উত্তর : এমন কাজ করা পিতার জন্য জায়েয হবে না। বরং সন্তানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেউ যদি তার সম্পদ দান করতেও চায় তাহ’লে সে তার সম্পদের সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ দান করতে পারবে। জনৈক ছাহাবীকে রাসূল (ছাঃ) বলেন, এক-তৃতীয়াংশ অছিয়ত করতে পার। আর এক-তৃতীয়
উত্তর : কোন সন্তানকে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের খরচ হিসাবে কোন সম্পত্তি ব্যবহারের জন্য দিতে পারে। তবে মৃত্যুর পর সম্পদ মীরাছ অনুযায়ীই বণ্টিত হবে। যেমন আবুবকর (রাঃ) প্রয়োজনের প্রেক্ষাপটে আয়েশা (রাঃ)-কে জীবদ্দশায় কিছু সম্পদ অতিরিক্ত দিয়ে উপকৃত হ’
উত্তর : বড় বোন তার অংশ বিক্রয় করার ইচ্ছা করলে এবং উভয়ের জমিতে যাওয়ার পথ, সেচের পথ ও জমির সীমানা একই হ’লে প্রথমে ছোট বোনকে উক্ত অংশ নায্যমূল্যে ক্রয়ের প্রস্তাব করবে। সে প্রস্তাব গ্রহণ করলে তাকেই দিবে অন্যথায় বাইরে বিক্রয় করে দিবে। আর জমিতে প্র
উত্তর : সন্তানদের কোন সম্পদ দান বা হেবা করার সময় সমতা স্থাপন করা ওয়াজিব। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং সন্তানদের মাঝে ইনছাফ কায়েম কর (বুখারী হা/২৫৮৭; মুসলিম হা/১৬২৩; মিশকাত হা/৩০১৯)। তবে কোন সন্তান যদি পিতার সম্পত্তি দেখাশোনা ক
উত্তর : দাদা মেয়েদের বঞ্চিত করে কেবল ছেলেকে জমি লিখে দিয়ে কবীরা গুনাহ করেছেন। উক্ত ছেলের জন্য অত্যাবশ্যক হ’ল তার বোনদের প্রাপ্য হক ফিরিয়ে দেওয়া। অন্যথায় সেও কবীরা গুনাহগার হবে। মীরাছ বণ্টনের নির্দেশ দেওয়ার পর আল্লাহ বলেন, ‘পক্ষান্তরে যে ব্যক্
উত্তর : মৃত সন্তানের ছেলে-মেয়েদের জন্য অছিয়ত করা দাদার জন্য ওয়াজিব নয়, তবে মুস্তাহাব। আর তা সর্বোচ্চ এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ সম্পদ (ইবনু আব্দিল বার্র, আত-তামহীদ ১৪/২৯২)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কারু যখন মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়, তখন যদি সে কিছু ধন-সম্পদ ছেড়
উত্তর : স্ত্রী তার মৃত স্বামী থেকে প্রাপ্ত মীরাছের সম্পদ বিক্রয় করতে পারবে। তবে সেটি বণ্টননামা চূড়ান্ত হওয়ার পর কার্যকর হবে। অতএব বণ্টননামা প্রস্ত্ততের পূর্বে কোন সম্পত্তি বিক্রয় করে থাকলে তা অবৈধ হিসাবে গণ্য হবে। আর সরকারী আইনেও সেটি অবৈধ। অ
উত্তর : সাময়িকভাবে পিতা তার কতিপয় সন্তানকে সমঝোতার ভিত্তিতে কিছু জায়গা চাষাবাদ করার জন্য দিতে পারেন। তবে পিতার মৃত্যুর পর সেগুলো মীরাছ অনুপাতে ভাগ করে নিতে হবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘আবুবকর (রাঃ) গাবা নামক স্থানের বাগানের কিছু খেজুর গাছ আম
উত্তর : মৃতের ছেলে ও মেয়ে জীবিত থাকায় পৌত্রী কোন সম্পত্তি পাবে না। কারণ মৃতের নিকটতম আত্মীয় ছেলে ও মেয়েরা জীবিত আছেন। তবে দাদা ও চাচাদের উচিৎ ইয়াতীম মেয়েটির জন্য কিছু সম্পত্তি অছিয়ত করা বা পিতা জীবিত থাকলে যে পরিমাণ সম্পত্তি পেত সে পরিমাণ সম্
উত্তর : দ্বিতীয় মা মৃতের স্ত্রী হিসাবে এবং সন্তান না থাকায় এক-চতুর্থাংশ পাওয়ার পর বাকী সম্পত্তি চার ভাই সমানভাবে পেয়ে যাবে। আর দ্বিতীয় মায়ের পূর্বের পক্ষের সন্তানরা এই পিতার ওয়ারিছ না হওয়ায় তারা কোন সম্পত্তি পাবে না (নিসা ৪/১১)।প্রশ্নকারী : ম
উত্তর : লটারীর মাধ্যমে বণ্টন করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) সফরে বের হ’লে লটারীর মাধ্যমে সফরসঙ্গী হিসাবে একজন স্ত্রীকে নির্বাচন করতেন (বুখারী হা/২৫৯৩; মুসলিম হা/২৪৪৫; মিশকাত হা/৩২৩২)। তবে মৃত্যুর পরই মীরাছ বণ্টন করা শারঈ বিধান (নিসা ৪/১১)। এক্ষণে কেউ যদি জীব
উত্তর : নানীর পূর্বে মা মারা গেলে এবং নানীর অন্যান্য ছেলে ও মেয়ে থাকলে মৃত মেয়ের সন্তানেরা ওয়ারিছ হবে না। সুতরাং উক্ত সম্পত্তি গ্রহণ করা ভুল হয়েছে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ১৯১৪৯, ১৬/৪৮৯ পৃ.)। এমতাবস্থায় করণীয় হবে যে, ওয়ারিছদের থেকে সম্ম
উত্তর : সন্তানের সহায়তায় ও সম্মতিতে পিতা এরূপ অন্যায় কাজ করেছেন। সেজন্য পিতা ও সন্তান উভয়ে দায়ী হবে। আর সন্তান দায়ী হৌক বা না হৌক তার জন্য আবশ্যক হ’ল যাবতীয় সম্পদ শরী‘আত নির্ধারিত অংশ হিসাবে ৫ ভাই-বোনের মাঝে বণ্টন করে নেওয়া এবং আল্লাহর নিকটে
উত্তর : হ্যাঁ পাবে। পিতার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তির মালিক হবে তার জীবিত ওয়ারিছগণ। তারা কে কতটুকু পাবে তা স্বয়ং আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তাই এখানে কমবেশী করার কোন সুযোগ নেই (নিসা ৪/৭, ১১-১২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৪৯৫)। উল্লেখ্য যে, কো
উত্তর : মেয়েদেরকে তাদের প্রাপ্য হক থেকে মাহরূম করা নিঃসন্দেহে কাবীরা গুনাহ এবং তা অন্যের হক আত্মসাতের শামিল। তারা ক্ষমা না করলে আল্লাহ তা‘আলা উক্ত পাপ ক্ষমা করবেন না (বুখারী হা/২৪৪৯ ‘অত্যাচার ও আত্মসাত’ অধ্যায় ৪৬, ১০ অনুচ্ছেদ)। এক্ষণে পরকালীন
উত্তর : উক্ত সম্পদ মীরাছ অনুপাতে সকলে পুনরায় ভাগ করে নিবে। অথবা সকল ওয়ারিছের সম্মতিক্রমে তা মৃতের নামে দানও করা যেতে পারে। তবে কারো আপত্তি থাকলে দান করা যাবে না। কারণ ওয়ারিছগণ সকলেই উক্ত সম্পদের মালিক (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৪৫৩; আল-মাওসূ‘আতু
উত্তর : প্রথমে ওয়ারিছ খুঁজে বের করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করবে। যদি কোনভাবেই না পাওয়া যায় তাহ’লে উক্ত সম্পদ তার নামে বায়তুল মাল বা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক কাজে দান করে দিবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৩২১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১০/৩৮৮;
উত্তর : মৃত্যুর পর সম্পদ বণ্টিত হওয়াই ইসলামী শরী‘আতের বিধান। কেননা আল্লাহ প্রত্যেক হকদারের জন্য তার হক নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন’ (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩০৭৩)। ইমাম আহমাদ বলেন, কুরআনে বর্ণিত বিধি মোতাবেক মৃত্যুর পরেই মীরাছ বণ্টন করাকে আমি পসন্দ
উত্তর : পিতার সম্পত্তির মত মায়ের সম্পত্তিও ‘ছেলেরা মেয়ের দ্বিগুণ’ ভিত্তিতে বণ্টিত হবে (নিসা ৪/১১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দারব ১৯/৪৬৭)। এছাড়া মায়ের জীবিত অন্য কোন ওয়ারিছ থাকলে তারাও উক্ত সম্পত্তিতে অংশ পাবেন।প্রশ্নকারী : আবিদ আহমাদ, কুড়
উত্তর : অন্য ওয়ারিছদের বঞ্চিত করার অসৎ উদ্দেশ্য না থাকলে হেবা বা হাদিয়া হিসাবে এরূপ প্রদান করায় কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া নং ৬৭৪৫)। তাছাড়া ভবিষ্যৎ ওয়ারিছ তথা মামা ও খালাদের সম্মতিতে মা তার যে কোন সম্পদ মেয়ের নামে লিখে দিতে পারে। এতে
উত্তর : পিতার পেনশনের টাকা পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং উক্ত সম্পদ শারঈ বিধান অনুযায়ী ওয়ারিছদের মধ্যে বণ্টিত হবে। সন্তান থাকলে মা মৃতের স্ত্রী হিসাবে এক-অষ্টমাংশ পাবেন। আর সন্তান না থাকলে সিকি পাবেন। বাকী সম্পদ ছেলে-মেয়েরা এক পুত্র সমা
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হ’লে ছেলে-মেয়ে কবীরা গোনাহগার হয়। কিন্তু মীরাছ হ’তে বঞ্চিত হয় না। কারণ মীরাছ হয় বংশীয় কারণে, সদাচরণের জন্য নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/২৮১)। তাই সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা বা সম্পদ থেকে বঞ্চিত করা নিষিদ্ধ। বরং পিতা-মাতা
উত্তরঃ বিষয়টি সত্য। কেননা সম্পদের অংশ বণ্টনের বিষয়টি এরূপ যে, একজনের উপস্থিতিতে অন্যজন অংশ হ’তে বঞ্চিত হয়। যেমন ছেলের উপস্থিতিতে ছেলের ছেলে বঞ্চিত হয় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৪/৩৪৪ পৃঃ)। অনেক সময় একজনের উপস্থিতিতে অন্যজন সম্পদ কম পায়। যেমন- স্ত্রী স
ভূমিকা :মানুষ মাত্রই তার সম্পদ বৃদ্ধি করতে চায়। সম্পদ বাড়ানোর জন্য কৃষি, চাকুরী, চিকিৎসা সহ মানুষ বিভিন্ন কাজ করে। এজন্যে তারা পরিবার ছেড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ও এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে থাকে। সম্পদ বৃদ্ধির জন্য সরকার, মানবাধিকার সংস্থা ও বিভি
উত্তরঃ উৎপাদিত ফসল নেছাব পরিমাণ হ’লে যিনি জমি পত্তন বা লীজ নিয়েছেন তাকেই ওশর দিতে হবে। কেননা লীজ গ্রহীতাই উৎপাদিত শস্যের মালিক। আর শস্যের মালিকের উপরেই ওশর ফরয (আন‘আম ৬/১৪১)। অপর দিকে জমির মালিক যেহেতু টাকা নিয়েছে, তাই তার টাকা যদি সাড়ে সাত ত
উত্তরঃ মৃতের কোন সন্তান না থাকলে স্ত্রী পাবেন এক-চতুর্থাংশ। আর সন্তান থাকলে আটভাগের একভাগ পাবেন। অবশিষ্ট সম্পদে একজন পুত্র দু’জন কন্যার সমান অংশ পাবে। আর যদি দু’য়ের অধিক শুধু কন্যা সন্তান থাকে তাহ’লে তারা দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। যদি একজন কন্যা সন্
উত্তরঃ পিতার অবৈধ সম্পত্তি প্রাপ্তবয়ষ্ক সন্তান জেনেশুনে ভোগ করলে গোনাহগার হবে। কারণ এতে অন্যায়ের সমর্থন করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘সতর্ক থাক সেই ফিতনা হ’তে যা বিশেষভাবে তোমাদের সীমা লংঘনকারীদের মাঝেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকে না’ (আনফাল ২৫)।
উত্তর : মৃতের স্ত্রী থাকলে তাকে এক-চতুর্থাংশ প্রদানের পর অবশিষ্ট পুরো সম্পত্তি ভাই ও বোনেরা ছেলের অর্ধেক মেয়ে হিসাবে পেয়ে যাবে। সহোদর ভাই ও বোন থাকায় বৈমাত্রেয় ভাই মীরাছ পাবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২০/১৯৯; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৩/৪৭)।
উত্তর : এখন করণীয় হচ্ছে যরূরী ভিত্তিতে ক্রেতাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়া। যদি বিক্রেতা ঐ জমি ভোগ করে থাকে তাহ’লে ১০ বছর যাবৎ ঐ জমিতে যে শস্য উৎপাদিত হয়েছে, এলাকায় প্রচলিত বর্গার নিয়ম মোতাবেক সেই পরিমাণ ভাগরা ফসল তাকে দিতে হবে অথবা উভয়ের সম্মতি
উত্তর : না। কারণ পিতার মৃত্যুর পূর্বে মেয়ে অংশীদার হয় না। একমাত্র মেয়ে (অন্য কোন সন্তান না থাকা সাপেক্ষে) শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত অর্ধেক সম্পত্তির অধিকারী হবে এবং তা পিতার মৃত্যুর পরে। তবে জীবদ্দশায় তাকে হাদিয়া হিসাবে কিছু দিতে পারে। এ ক্ষেত্
উত্তর : নিতান্ত বাধ্য হ’লে পর্দা বজায় রেখে রাখাল-কিষাণের সহযোগিতা করা যাবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা নারীদেরকে বাড়ীতে থাকার জন্য আদেশ করেছেন (আহযাব ৩৩) এবং বাড়ীর বাহিরে পর্দা করে চলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন (নূর ৩১)।
উত্তর : পিতা-মাতা কোন ছেলেকে এককভাবে অধিক সম্পদ দিতে পারবেন না। বরং সবাইকে সমানভাবে দিতে হবে (বুখারী হা/২৫৮৬-৮৭ ‘হেবা ও তার ফযীলত’ অধ্যায়)। অতঃপর বর্তমান অবস্থায় খালেছ অন্তরে তওবা করতে হবে এবং কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে (মুসলিম ‘শপথ’
উত্তর : উক্ত বিবরণ সঠিক হ’লে বিক্রেতার উপর ক্রেতা হাজী যুলুম করেছেন। যুলুমের মাধ্যমে অর্জিত টাকা হালাল নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বস্ত্ত ভিন্ন কবুল করেন না’ (মুসলিম; মিশকাত হা/২৭৬০ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্
উত্তর : স্ত্রী যদি মনে করে স্বামী জানতে পারলে মেনে নিবেন না, তাহ’লে দান করতে পারবে না। কারণ স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান করা নিষেধ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৯৫১, সনদ হাসান)। সংসার ধ্বংসকর নয় এমন দান করা যাবে। এতে স্ত্রী, স্বামী এবং রক্ষণাবেক্ষণকারীও
উত্তর : কাজটি বৈধ হয়নি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক হকদারকে তার হক দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং কোন ওয়ারিছের জন্য কোন অছিয়ত নেই’ (আবুদাঊদ হা/৩৫৬৫, সনদ ছহীহ)।কোন ব্যক্তি যদি পুত্র ছাড়া কেবল একটি মেয়ে রেখে মারা যায়, তাহ’লে সে মেয়েটি তার
উত্তর : মৃত্যুর পূর্বে কোন সম্পত্তি লিখে দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ তার মৃত্যুর পূর্বে মেয়ের মৃত্যু হ’তে পারে। তখন শরী‘আতের দৃষ্টিতে সে বা তার ছেলে মেয়ে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হবে না। এক্ষেত্রে সে শরী‘আতের হুকুম লংঘন করল।
উত্তর : পিতা যদি তার সকল ছেলে-মেয়েকে অনুরূপ জমি দান করে থাকেন, তাহ’লে সৎ মা বা অন্যদের বাধা প্রদান করা ঠিক হবে না। কিন্তু পিতা যদি শুধু এক ছেলেকেই উক্ত জায়গা দিয়ে থাকেন, তাহ’লে কুরআন-হাদীছের আলোকে অংশ মোতাবেক ওয়ারিছদের মাঝে তা বণ্টন করতে হবে।
উত্তর : যেহেতু ব্যক্তির অন্য কোন পুরুষ ওয়ারিছ নেই। সেজন্য নাতির মেয়ে ও ছেলেরা ওয়ারিছ হবে। তবে নাতির স্ত্রী এই সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ হবে না। কারণ তার স্বামী উক্ত সম্পত্তির মালিক হওয়ার পূর্বে মারা গেছে। এক্ষণে নাতির দুই ছেলেকে ছেলে ও দুই মেয়ে ও
উত্তর : যদি সাধারণভাবে নিয়মমাফিক (এনিমি/ভেস্টেড প্রোপার্টি এ্যাক্ট মোতাবেক) মুসলমানদের নামে রেকর্ড করা হয়ে থাকে তাহ’লে যাদের নামে রেকর্ড হয়েছে তারা ভোগ করবে। তবে যদি কোন হিন্দুর প্রতি অন্যায় করে নিজেদের নামে রেকর্ড করা হয়ে থাকে তাহ’লে অবশ্যই
উত্তর : ব্যক্তির আপন ভাই ও বোন না থাকায় বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা ফারায়েয বণ্টনের পর আছাবা হিসাবে সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে। বৈমাত্রেয় ভাইয়ের বর্তমানে আপন ভাতিজারা ওয়ারিছ হবে না। কারণ বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা ভাতিজাদের তুলনায় নিকটতম। তবে ব্যক্তি চাইলে ভাতিজাদের