উত্তর : কোন পুরুষের দৃষ্টিতে পড়া নারীর জন্য ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। এতে ওযূ ভঙ্গ হবে না (ফাতাওয়া আশ-শাবকাতুল ইসলামিয়া ১১/১৫১১)। তবে সর্বদা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা।
উত্তর : এরূপ কথা বলা পাপ এবং মহাঅন্যায়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা নারীকে মা, কন্যা, বোন, স্ত্রী, খালা, নানী-দাদী ইত্যাদি পরিচয়ে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। তারা মানবজাতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক। এজন্য যে, আল্লা
উত্তর : স্ত্রীর কর্তব্য হচেছ স্বামীকে খুশী করার জন্য শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে অবস্থান করা এবং সাধ্যমত সেবা করা। আর স্বামীর দায়িত্ব হ’ল পিতা-মাতার সেবা করা। এক্ষণে স্ত্রী কোনভাবেই শ্বশুর-শাশুড়ীর সাথে অবস্থান করতে না চাইলে স্ত্রীর জন্য আলাদা থাকার ব্যব
উত্তর : বিবাহের পরিকল্পনা নিয়ে কোন গায়ের মাহরাম পুরুষের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রাখা হারাম। বরং বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্রী দেখা বা জানাশোনা করে বিবাহের সিদ্ধান্ত নিবে। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন নারীকে বিবাহের প্রস্
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে পাত্র ও পাত্রী উভয়ের দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর সবকিছুই নির্ভর করবে পাত্র-পাত্রীর ব্যক্তিগত পসন্দের উপর। যদিও দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে দ্বীনদারীর পাশাপাশি অর্থ ও বংশ মর্যাদা দ
উত্তর : ইস্তেহাযা অবস্থায় স্বামীর সাথে মিলিত হওয়া যাবে। কারণ এটা ঋতু বা নেফাস নয়, যে অবস্থায় স্ত্রী মিলন নিষেধ করা হয়েছে (বাক্বারাহ ২/২২২; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৩৭২; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/২৪৬)। ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর
উত্তর : দুই থেকে আড়াই বছর ব্যবধান রাখা ভালো। কারণ আল্লাহ তা‘আলা একজন শিশুকে দুই থেকে আড়াই বছর দুধ পান করানোর নির্দেশনা দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। আর বিরতির সময় আযল বা অস্থায়ী যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়। তবে নারী বা পুরুষের জন্য স্থায়ী বন্ধ্
উত্তর : এক বছর যাবত মিলন না হ’লেও তালাকের পর তিন মাস (তিন তোহর) এবং খোলা‘র পর স্ত্রীকে এক হায়েয ইদ্দত পালন করতে হবে। কারণ ইদ্দত শুরু হয় তালাক প্রদানের পর। আল্লাহ বলেন, আর (সহবাসকৃত) তালাক প্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বাক্বারাহ ২
উত্তর : স্ত্রীকে বাড়ির কাজে সহায়তা করা বা বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ নিজে করা রাসূলুল্লাহর অন্যতম আদর্শ বা অভ্যাসগত সুন্নাত। এটি সুন্নাত ছালাতের মত ইবাদতগত সুন্নাত নয়, যে না করলে গোনাহগার হ’তে হবে বা নেকীর কমতি হবে। আসওয়াদ বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্
উত্তর : পিতা-মাতাকে বুঝিয়ে বিবাহ করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি (ছহীহুত তারগীব হা/২৫০৩)। এক্ষণে পিতা ছেলের বিবাহে রাযী না হ’লে ছেলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে নিজেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারে। কারণ
উত্তর : গোপনে বিবাহ করা যাবে না। বরং বিষয়টি অভিভাবকদের যথাযথভাবে জানাবে ও বুঝাবে। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের কর্তব্য হচ্ছে দ্রুত বৈধভাবে বিবাহের ব্যবস্থা করা। কারণ যে বিবাহ অধিক সহজ হয় সে বিবাহে বরকত বেশী হয় (আহমাদ হা/২৪৫২২, ২৪৬৫১; ইরওয়া হা/১৯২৮
উত্তর : পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া জঘন্য পাপ। তবে এটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভঙ্গের কারণ নয়। স্বামী বা স্ত্রী যে-ই এমন পাপে জড়িয়ে পড়ুক, তাকে অবশ্যই অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করে তা থেকে ফিরে আসতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন কোন অশ্লীলতার
উত্তর : জায়েয হবে না। কারণ চাচা দুধ ভাই। আর দুধ ভাইয়ের মেয়ে ভাতিজী। আর ভাতিজীকে বিবাহ করা হারাম। আলী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আপনার চাচা হামযার মেয়েকে বিয়ে করতে আগ্রহী হন না? কেননা,
উত্তর : তালাকের নিয়ত সহকারে যদি স্বামী এসব কথা বলে এবং সে কারণে স্ত্রী চলে যায় অথবা স্বামীর কথায় সাড়া দিয়ে তালাকে সম্মতি দেয়, তবে এক তালাক হয়ে যাবে। এভাবে স্বামীর কথা বলার অর্থ স্ত্রীকে তালাক গ্রহণের অধিকার দেওয়া। এ অবস্থায় স্ত্রী তালাক গ্রহণ কর
উত্তর : ব্যক্তির পূর্বের স্ত্রীর ছেলের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর ঔরসে জন্ম নেওয়া মেয়ের বিবাহ জায়েয। বৈমাত্রেয় বোন সৎ মায়ের আগের স্বামীর হওয়ায় বিবাহ শরী‘আত সম্মত হবে। কারণ কুরআনে যেসকল নারীকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে এরূপ বোন তাদের ম
উত্তর : উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। কারণ একজনের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। এজন্য তাকে খালেছভাবে তওবা করতে হবে। তবে তার দ্বিতীয় বিবাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থাকায় উক্ত বিবাহ শিবহে নিকাহ বা বিবাহের মত বন্ধন হিসাব
উত্তর : উক্ত নারীর প্রেরিত তালাকনামার মাধ্যমে ‘খোলা’ হয়ে গেছে এবং স্বামীর সাথে স্ত্রীর বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে। ‘খোলা’ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নারীর পক্ষ থেকে, যা স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকর হয় (আল-মুগনী ৮/১৮১;
উত্তর : বিবাহিতা নারীর জন্য স্বামীর অনুসরণ করা কর্তব্য। স্বামী পড়াতে চাইলে পর্দার বিধান মেনে পড়াশুনা করবে। স্বামী সংসারে মনোনিবেশ করতে বললে তাই করবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে চূড়ান্ত বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সংসার জীবনে ব
ভূমিকা : চলমান পৃথিবীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যে যুগে যুগে একটি অবহেলিত জাতির নাম নারী। যারা সমাজের অনিয়মে নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কুধর্মের জাঁতাকলেও পিষ্ট হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। অবশেষে আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে নারী জাতিকে সম্মানিত করেছেন। তাঁরা আম
উত্তর : উক্ত তালাক সঠিক ও ইসলামী শরী‘আত মোতাবেক হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তালাক হ’ল দু’বার। অতঃপর হয় তাকে ন্যায়ানুগভাবে রেখে দিবে, নয় সদাচরণের সাথে পরিত্যাগ করবে। আর তাদেরকে তোমরা যা কিছু দিয়েছ, তা থেকে কিছু ফেরৎ নেওয়া তোমাদের জন্য সিদ্ধ নয়&nbs
উত্তর : মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে এক সাথে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয়েছে (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। আর দ্বিতীয় তালাকটি হায়েয অবস্থায় হওয়ায় তা পতিত হয়নি। এমতাবস্থায় স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে ইদ্দতের মধ্যে সাধা
উত্তর : পারবে। কেননা দুধপিতার জন্য আপন দাদী মাহরাম নয়। আর নিষিদ্ধের বিষয়টি কেবল দুধ পানকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ দুধ পানকারীর জন্য তার দুধ মা, দুধপিতা, দুধ ভাই, দুধ বোন প্রমুখ নিষিদ্ধ। এদের মধ্যে পারস্পরিক হুরমত বা নিষিদ্ধের বিষয়টি কার্যকর
উত্তর : তোমাকে আমি ছেড়ে দিব, রাখব না, তুমি চলে যাও ইত্যাদি বাক্যগুলোর মধ্যে ‘তুমি চলে যাও’ বাক্যটি তালাকের নিয়তে বললে এক তালাক হয়ে যাবে। আর তিন তোহরে তিন মাসে এমন কথা তিনবার বলে থাকলে তিন তালাক হয়ে যাবে। কারণ এটি কেনায়া বা ইঙ্গিতবহ তালাক। আর কেন
উত্তর : কোন অমুসলিম নারী ইসলাম গ্রহণ করলে তার বিবাহের অভিভাবক হিন্দু পিতা হ’তে পারবেন না। বরং ইসলামী আদালত বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অভিভাবক হয়ে বিবাহের ব্যবস্থা করবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি মেয়ের অভিভাবকদের (ওলীগণের) মধ্যে আপোসে মতবিরোধ দেখা
উত্তর : স্ত্রী খোলা‘ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এজন্য আদালত বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দিবে’ (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৮/১৮১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৮৯-৯০)। খোলা‘কারী মহিলা এক ঋতু ইদ
উত্তর : বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর নির্দেশনা মেনে চলবে। স্বামী তার স্ত্রীকে যেখানে রাখতে চায় স্ত্রী সেখানেই থাকবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে বৈষয়িক বিষয় সমূহে স্বামীর আদেশকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা ব
উত্তর : গর্ভপাত করানো জায়েয হবে না। কারণ জনৈকা গামেদী মহিলা তার উপর যেনার হদ্দ কায়েম করতে বললে রাসূল (ছাঃ) তাকে সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন (মুসলিম হা/১৬৯৫; মিশকাত হা/৩৫৬২)। বিশেষ করে শিশুর শারীরিক গঠন শুরু হয়ে গেলে কোনভাবেই
উত্তর : অভিভাবক ছাড়া বিবাহ শুদ্ধ হয় না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে নারী তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ করবে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী হা/১১০২; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। তবে যেহেতু বিবাহ রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে বিবাহ সম্পাদিত হ
উত্তর : অন্যান্য বিষয়ের মতই বিবাহ আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাযার বছর পূর্বে লিপিবদ্ধ (মুসলিম হা/২৬৫৩; মিশকাত হা/৭৯)। আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষার কারণে বিবাহ বিলম্বিত হ’তে পারে। কেননা তিনি ভাল-মন্দের মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন&nb
উত্তর : সর্বাবস্থায় পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করতে হবে যদিও তারা সন্তানের প্রতি যুলুম করেন (ইসরা ১৭/২৩)। পিতা তার ভাল-মন্দ কর্মের জন্য দায়ী হবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানগণ তোমাদের উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত’ (আবূদাঊদ, নাসাঈ
উত্তর : পিতার অনুমতি ছাড়া মা তার মেয়েকে অন্যত্র বিবাহ দিতে পারবে না। কারণ মেয়ের বিবাহের জন্য তার বৈধ পুরুষ অভিভাবক আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ওলী ব্যতীত বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (আহমাদ, সুনান চতুষ্টয়; ছহীহুল জামে’ হা/৭৫৫৫; মিশকাত, হা/৩১৩০)। তিনি আরো
উত্তর : এসকল ক্ষেত্রে স্ত্রীকে অধিক পরিমাণে নছীহত করবে। স্ত্রীর চাহিদা যেমন স্বামী পূরণ করবে, তেমনি স্বামীর চাহিদা পূরণেও স্ত্রী সচেষ্ট থাকবে। স্ত্রী সুস্থ থাকলে তার জন্য আবশ্যক হ’ল স্বামী আহবান করলে যে কোন সময় তার ডাকে সাড়া দেয়া (তিরমিযী হ
উত্তর : বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য ছেলে-মেয়ে, মেয়ের অভিভাবক, ন্যায়পরায়ণ দু’জন সাক্ষী এবং ঈজাব কবূল সম্পন্ন হওয়া শর্ত। এগুলো বিদ্যমান থাকলে বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে (বুখারী হা/৪৭৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/১০৭২, ৭৮৫৫)। আর বিদ্যমান না থাকলে বিবাহ শুদ্ধ হয়নি। মো
উত্তর : বিবাহ করতে পারবে। কেননা দুধ পানকারীর জন্য কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম, অন্যান্য আত্মীয়দের জন্য হারাম নয় (ফাৎহুল বারী ৯/১৪১-১৪২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে সকল লোককে আল্লাহ তা‘আলা বংশগত সম্পর্কের কারণে (বিবাহ করা) হার
উত্তর : বিবাহের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য সন্তান লাভ করা। সেজন্য একান্ত বাধ্য না হ’লে সন্তান জন্মদান থেকে নিবৃত থাকা সমীচীন নয়। মা‘কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বলল, আমি এক সুন্দরী ও মর্যাদা সম্পন্ন নার
উত্তর : উক্ত বিবাহ বাতিল করে দিতে হবে এবং পুনরায় বিবাহ করতে চাইলে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কেননা গর্ভবতী অবস্থায় বাচ্চা প্রসব না করা পর্যন্ত বিবাহ সংঘটিত হয় না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/১০৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন
উত্তর : প্রথম বিবাহই যথেষ্ট। নতুন করে বিয়ে পড়তে হবে না। সংসারে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনতে হ’লে ইসলামের বিধি বিধান মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা ও একে অপরের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সংসার সুখী হবে ইনশাআল্লাহ&nbs
উত্তর : বিবাহ সঠিক হয়েছে। কারণ বিবাহের জন্য ছেলের ক্ষেত্রে অভিভাবক শর্ত নয়। তবে ছেলের উচিৎ বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা ও মর্যাদার প্রতি খেয়াল রেখে বিবাহ করা। কারণ রাসূল (ছাঃ) কুফু বা সমতা দেখে সন্তানের বিবাহ প্রদানের নির্
উত্তর : এক্ষেত্রে গৃহীত সমপরিমাণ টাকাই ফেরত দিবে। এ ব্যাপারে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ নেই’ (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী, মাসআলা নং ৩২৬১, ৪/২৩৯)। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, যদি কেউ কাউকে কোন ঋণ দেয়, সে যেন তা আদায় করার শর্ত ব্যতীত অন্য কোন
উত্তর : ফেরত দিতে হবে। কারণ স্ত্রীর পক্ষ থেকে খোলা‘ বা বিবাহ বিচ্ছেদ হ’লে স্ত্রী তার মোহরানা স্বামীকে ফেরত দিবে (বুখারী হা/৫২৭৩; মিশকাত হা/৩২৭৪)। তবে ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে সামাজিকভাবে মীমাংসা করে নিবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৩২৩
উত্তর : তালাক হবে না। তালাকের জন্য শর্ত হচ্ছে নিয়তের সাথে মুখে সরাসরি তালাকের কথা উল্লেখ করে বলা বা লিখা। আর তালাকে কেনায়ার ক্ষেত্রে অন্তরে স্পষ্ট তালাক প্রদানের নিয়ত থাকতে হবে। যেহেতু স্বামী তালাক প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করছে, সেহেতু তাতে তালা
উত্তর : পারবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর। তবে তারা যদি তা থেকে খুশী মনে তোমাদের কিছু দেয়, তাহ’লে তা তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর (নিসা ৪/৪)।প্রশ্নকারী :হাফছা বিনতে শাহীন, বগুড়া।
উত্তর : এমতাবস্থায় তিনি ক্বাযাও আদায় করতে পারেন বা ফিদইয়াহও দিতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ মুসাফিরের উপর থেকে রহিত করে দিয়েছেন অর্ধেক ছালাত এবং মুলতবী রেখেছেন ছিয়ামকে। আর গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারীণী মহিলা থেকে মুলতবী করে দিয়েছেন ছিয়াম
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কোন নারীর মাসিক শুরু হ’লে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে পবিত্র হ’লে উক্ত ছালাতের ক্বাযা আদায় করবে। কারণ ওয়াক্ত প্রবেশের পর তার মাসিক শুরু হয়েছে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২১৮)।প্রশ্নকারী : নাঈমা খাতুন, গোদাগাড়ী
উত্তর : না, এতে কোন ক্ষতি নেই। এ কারণে স্ত্রী তার মা হয়ে যায় না। কারণ দুধ পানের মাধ্যমে হারাম হওয়ার জন্য প্রধানতঃ দু’টি শর্ত আছে। (১) দুই বছর বয়সের মধ্যে বা দুধ পানকালীন বয়সে দুধ পান করতে হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৩)। সুতরাং প্রাপ্ত বয়সে দুধ পান ক
উত্তর : স্বামীর আনুগত্য করা ফরয এবং অবাধ্য হওয়া হারাম। যে নারী দুনিয়ায় স্বামীর অবাধ্য হবে সে যেমন দুনিয়ায় আল্লাহ, ফেরেশতা এবং হুরে আইনের লা‘নত বা অভিশাপপ্রাপ্ত হবে তেমনি পরকালে জাহান্নামে যাবে। পিতার বাড়ি যেতে হ’লে অবশ্যই স্বামীর অনুমতি নিতে হবে
উত্তর : মোহর নির্ধারিত হবে বরের সামর্থানুযায়ী। বরের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হ’লে বর এবং কনে পক্ষ বসে মীমাংসা করে নিবে বা স্ত্রীর সাথে সমঝোতা করে সাধ্যমত মোহরানা প্রদান করে মিটমাট করে নিবে। জনৈক ছাহাবী চার উক্বিয়া মোহর প্রদানের মাধ্যমে বিয়ে করলে
উত্তর : উক্ত মেসেজ লেখায় এক তালাক কার্যকর হয়েছে। কারণ তালাক কার্যকর হওয়ার জন্য স্ত্রীকে অবহিত করা শর্ত নয়। স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নিয়তের সাথে মুখে তালাকের কথা উচ্চারণ করলে বা লিখলে তালাক হয়ে যাবে (বিন বায, ফাতাওয়া ইসলামিয়াহ ৩/২৭৯; উছায়মীন, মা
উত্তর : অসৎ কাজ করতে থাকলে সর্বদা নছীহত করতে হবে এবং তার হেদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট দো‘আ করতে হবে। তবে নরম ভাষায় তাকে উপদেশ দিতে হবে। কারণ আল্লাহ্ হেদায়াত না করলে যবরদস্তি করে কাউকে হেদায়াত করা সম্ভব নয় (বাক্বারাহ্ ২৭২; ক্বাছাছ ৫৬)। এছাড়া
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে খাদীজা (রাঃ)-এর বিয়ের সময় খাদীজা (রাঃ)-এর বয়সের ব্যাপারে ছহীহ সনদে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে ঐতিহাসিকগণ চল্লিশ বছরকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৬৩ পৃ.)। আবার আরেকদল ঐতিহাসিক ২৫, ২৮, ৩৫ বছর
উত্তর : ঋতুবতী মহিলারা মসজিদে অবস্থান করে খুৎবা শ্রবণ করতে পারবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৩৯৮, ৬/২৭২)। কারণ উম্মে আতিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঋতুবতী নারীদেরকে আদেশ করেছেন তারা যেন মুসলিমদের ছালাতের স্থান থেকে কিছুটা পৃথক থাকে (মুস
উত্তর : প্রথম বিবাহ শারঈ পদ্ধতিতে হয়নি। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে, তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী হা/১১০২; আবুদাউদ হা/২০৮৩ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩১)। নবী করীম (ছাঃ) আরো বলেন, ‘কোন ম
উত্তর : এ অবস্থায় স্বামীর অনুমতি নিতে হবে না। কারণ স্বামীর উপস্থিতিতে স্ত্রীকে নফল ছিয়াম পালন করতে নিষেধ করার কারণ হচ্ছে স্বামীর চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখা। অতএব স্বামী যেহেতু পাশে না থেকে আরেকজন স্ত্রীর নিকট অবস্থান করছে, সেজন্য নফল ছিয়াম পালনে অ
ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, ‘একদিন আমি সুফিয়ান ইবনে উয়ায়না (রহঃ)-এর কাছে ছিলাম। এমন সময় এক লোক এসে তাকে নিজ স্ত্রীর ব্যাপারে বলল, ‘হে আবূ মুহাম্মাদ! ঐ নারীর ব্যাপারে আমার অভিযোগ আছে। আমি যেন তার কাছে সবচেয়ে লাঞ্ছিত ও সবচেয়ে তুচ্ছ। তার কথা শুনে স
উত্তর : যদি বিলম্বে ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ থাকে তাহ’লে বিবাহ করে ধীরে ধীরে ঋণ পরিশোধ করবে। আল্লাহ বলেন, যদি তারা নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন (নূর ৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার জন্য ঐ ব্যক্তিকে সাহায্
উত্তর : এটা তালাক হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ তালাক প্রদানের অধিকার স্বামীর হাতে, স্ত্রীর নয় (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/০২)। তবে স্বামীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে স্ত্রী চাইলে তালাক প্রার্থনা করতে পারে বা আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘ
উত্তর : স্বামী মারা গেলে স্ত্রী চার মাস দশ দিন ইদ্দত পালন করবে (বাক্বারাহ ২/২৩৪)। ইদ্দত পালনকালে একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাবে না; এমনকি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতেও নয়। বাহ্যিক কোন সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না। এমনকি কানের দুল, নাকফুল ইত
উত্তর : বর্ণনামতে এক তালাক হয়ে গেছে। কারণ কেউ তালাকের নিয়তে স্ত্রীকে কোন কাজ করা বা না করার শর্ত দিলে এবং স্ত্রী তা ভঙ্গ করলে তার এক তালাক হয়ে যাবে (বুখারী ১৭/৪২৯; ফাৎহুল বারী ৯/৩৯২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৩/৬৫ পৃ.)। এক্ষণে স্ত্রী
উত্তর : স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম হ’লে স্ত্রী চাইলে ধৈর্য ধারণ করবে অথবা খোলা‘ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কারণ বিবাহের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক জৈবিক চাহিদা পূরণ করা (মুগনী ৭/২০১; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/২০৭)।প্রশ্নকা
উত্তর : কেবল অন্তরের পরিকল্পনায় তালাক হয় না। বরং তালাক দেওয়ার জন্য মুখে উচ্চারণ করা বা কাগজে লিখে প্রকাশ করা আবশ্যক। তবে তালাক দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে জানানো বা তাকে শোনানো শর্ত নয়। বরং স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অন্তরে নিয়ত রেখে মুখে উচ্চারণ করে তালাক দ
উত্তর : পারবে। কারণ দুধ পান সম্পর্কিত মাহরাম কেবল তার জন্য সাব্যস্ত হবে যে দুধ পান করেছে। অতএব দুধ পানকারীর অন্যান্য ভাই-বোনদের জন্য দুগ্ধদানকারীর আত্মীয়রা মাহরাম সাব্যস্ত হবে না (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘‘আলাদ্দারব ১৯/২)। আল্লাহ বলেন, তোমাদ
উত্তর : পুনরায় বিবাহ করতে হবে না। প্রথম বিবাহই যথেষ্ট (মুগনী ৫/৬৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৯০)।প্রশ্নকারী : সোহরাব হোসাইনআল-ক্বাছীম, সঊদী আরব।
উত্তর : ঘটককে নয় বরং সরাসরি বর বা কনেকে দেখা বা অভিভাবকের মাধ্যমে ছবি আদান প্রদান করা যাবে। জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, আমি আনছারদের এক মেয়েকে বিবাহ করতে চাই। তিনি বললেন, তুমি তাকে প্রথমে দেখে নাও। কারণ আনছার মহিলাদের চোখে দোষ থাকে&nb
উত্তর : বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত হ’ল অলী উপস্থিত থাকা এবং তার সম্মতি থাকা। উক্ত বিবাহে দুই জন বালেগ সন্তান সাক্ষী থাকলেও অলী না থাকায় বিবাহ শুদ্ধ হয়নি (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমমে‘ ১৩/৩২৪, ১২/৯৯)। আর দু’জন বালেগ সন্তানের একজন অলী এবং অপরজন স
উত্তর : আকদ সংঘটিত না হওয়া পর্যন্ত কোন মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখা যাবে না। কারণ তার সাথে বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত সম্পর্কটা গায়রে মাহরাম নারীর মতই। উল্লেখ্য যে, বিবাহ ঠিক করে দীর্ঘ দিন আকদ না করা এবং বিবাহবিহীন যোগাযোগ রক্ষা করা অনৈসলামিক সংস্কৃতি, যা
উত্তর : পূর্বের স্বামী তালাক না দেওয়া পর্যন্ত এবং তালাক শেষে ইদ্দত পালন সম্পন্ন না হ’লে আরেকজনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে না। তবে স্ত্রী যদি স্বামীর নিকট হ’তে খোলা‘ নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এক ঋতুকাল ইদ্দত পালন করে তাহ’লে অন্যত্র বিব
উত্তর : ইবনু ওমর (রাঃ) তার স্ত্রীকে ঋতু অবস্থায় তালাক দিলে সেটি গণ্য করা হয়নি (আবুদাঊদ হা/২১৮৫)। অতএব ঋতু অবস্থায় তালাক পতিত হবে না। স্বামী উক্ত বিষয়টি জানুন বা না জানুন। বরং জেনে-শুনে ঋতু অবস্থায় তালাক দিলে তিনি গুনাহগার হবেন (ওছায়মীন
উত্তর : শরী‘আতে বিবাহের পূর্বে এরূপ ওয়াদাবদ্ধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই পিতা-মাতার নির্দেশ মেনে নিতে হবে। কেননা শরী‘আত বিরোধী নির্দেশ ছাড়া অন্য সকল ব্যাপারে পিতা-মাতার আনুগত্য করা অপরিহার্য (নিসা ৪/৩৬; আনকাবূত ২৯/৮; ইসরা ১৭/২৩, ২৪, লোক্বমান
উত্তর : বোনের নাতনী নিজ নাতনী সমতুল্য, যে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী’ (নিসা ৪/২৩)। উক্ত আয়াতে বোনের নাতনী ভাগিনেয়ীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্
উত্তর : বিশ্বব্যাংক বা সরকারের অর্থায়নে বৈধ কাজের ট্রেনিং করাতে কোন দোষ নেই। কারণ এমন প্রশিক্ষণের সাথে সূদী লেনদেনের সম্পর্ক নেই। অতএব এধরনের ব্যবস্থাপনায় ট্রেনিং-এ অংশগ্রহণ করা জায়েয (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; ওছায়মীন, আল-কাউলুল মু
উত্তর : এমন ক্ষেত্রে আনুগত্য আবশ্যিক নয়। শারঈ কারণে পিতা-মাতা স্ত্রীকে তালাক দিতে বললে পিতা-মাতার আনুগত্য করতে হবে। যেমন ইসমাঈল (আঃ) তাঁর পিতা ইব্রাহীম (আঃ)-এর এবং ইবনু ওমর তার পিতা ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশ মেনে স্ব স্ব স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। তবে
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নে
উত্তর : স্বামীর উচিৎ স্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে তালাক প্রদানের মাধ্যমে স্ত্রীকে মুক্ত করে দেওয়া। নইলে স্বামী গোনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, ‘এক্ষণে যদি তোমরা ভয় কর যে তারা আল্লাহর নির্ধারিত সীমা ঠিক রাখতে পারবে না, তাহ’লে স্ত্রী কিছু বিনিময় দিলে তা গ্
উত্তর : প্রথমতঃ তালাকের নিয়তসহ এমন ইঙ্গিতবহ বাক্য উল্লেখ করে তালাক প্রদান করাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। অতএব তালাকের নিয়তে স্বামী এসব কথা বলে থাকলে প্রত্যেক মাসের পবিত্রতাকালীন সময়ে প্রদত্ত তালাক এক তালাক
উত্তর : স্ত্রীর জন্য স্বামীর অনুমতি ব্যতীত পিতার বাড়িতে চলে যাওয়া অবাধ্যতা এবং গুনাহের কাজ। তবে তার চলে যাওয়াটা মোহরানা মাফের কারণ নয়। এক্ষণে স্বামীর পক্ষ থেকে তালাক হওয়ায় স্ত্রীকে তার প্রাপ্য মোহরানা দিতে হবে। প্রদান না করলে তিনি ঋণী থাকবেন। উল
উত্তর : স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দিয়ে অপরাধ করেছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি নিজ স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে আর সে অস্বীকৃতি জানায় এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর রাগ নিয়ে রাত্রি-যাপন করে, তাহ’লে ফেরেশতাগণ ঐ স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত লা‘নত করতে থ
উত্তর : অভিভাবক বা সরকারী প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিবাহ না হওয়ায় উক্ত বিবাহ বৈধ হয়নি (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। এমতাবস্থায় মেয়েটি অবৈধ বিবাহের পাপ থেকে খালেছ তওবা করবে। অতঃপর ইসলামী বিধান অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে
উত্তর : এমন অনিশ্চয়তাপূর্ণ এবং ভবিষ্যৎবাচক কথা বলায় তালাক হবে না (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৩/৬১)। অতএব তারা যথারীতি সংসার করে যাবে।প্রশ্নকারী : জাবের হোসাইন, বরগুনা।
উত্তর: এমন শর্তে বিয়ে করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করতে হবে। কিন্তু যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা জায়েয হবে না’ (আবুদাউদ হা/৩৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭১৪)। সুতরাং
উত্তর : সুন্নাত হচ্ছে দ্বিতীয়বার মিলনের পূর্বে ওযূ করে নেওয়া। কারণ এতে মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায় (ছহীহুল জামে‘ হা/২৬৩)। তবে ওযূ বা গোসল না করলেও কোন বাধা নেই (ত্বাহাবী, শরহু মা‘আনিল আছার হা/৭৮৯)। সুতরাং ওযূ ছাড়া মিলন করার পর গর্ভে সন
উত্তর: পিতা যে কাউকে ওলীর দায়িত্ব দিয়ে মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারেন। তাছাড়া আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেও মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করতে পারেন। বরং আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেই ওলী হিসাবে মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করা উত্তম হবে
উত্তর : কোন মেয়ের বিবাহ হয়ে গেলে সে স্বামীর অধীনে চলে যায়। সেজন্য স্ত্রী চাইলে পরিবারের অসম্মতিতেও স্বামীর নিকট চলে যেতে পারে। তবে পিতা-মাতাকে বুঝানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বিবাহিতা নারীর স্বামীই আনুগত্যের ক্ষেত্রে
উত্তর : স্ত্রীর পরিবারের প্রতি স্বামী সাধ্যমত সদাচরণ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে তোমরা নিশ্চয় মিসর জয় করবে। তা এমন একটি দেশ যেখানে কীরাত (আঞ্চলিক মুদ্রার নাম) ব্যবহার হয়ে থাকে। তোমরা যখন তা জয় করবে, তখন সেখানকার অধিবাসীদের সাথে সদ্ব্
উত্তর : ইদ্দত পালন করতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২২/১৭৪)। কারণ তালাক কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইদ্দত পালন করতে হয়। আল্লাহ বলেন, আর (সহবাসকৃত) তালাকপ্রাপ্তাগণ তিন ঋতু পর্যন্ত অপেক্ষা করবে (বাক্বারাহ ২/২২৮)। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র (রহঃ)
উত্তর : বিবাহের পর মিলনের পূর্বে স্ত্রীকে তালাক দিলে এক তালাকই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে স্ত্রী তালাকে বায়েন হয়ে যাবে। রাজ‘আত করার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে তাকে নির্ধারিত মোহরের অর্ধেক দিতে হবে এবং স্ত্রীকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না (আবুদাঊদ হা/২
উত্তর : মাহরাম বা কুরআনে যে ১৪ জন নারীকে বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তারা ব্যতীত অন্য আত্মীয়দের বিবাহ করার ব্যাপারে শরী‘আতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ‘আত্মীয়রা আত্মীয়দের বিবাহ করো না...’- মর্মে বর্ণিত কথাটি হাদীছ নয়। সম্ভবতঃ ইমাম গাযালী তাঁর আল-ওয়াসীত্ব ও
উত্তর : সাধারণভাবে কেউ এক সাথে তিন তালাক দিলে এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে। তবে প্রশ্নোল্লিখিত দু’টি অবস্থায় তথা ঋতু অবস্থা ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য ক্রোধের অবস্থায় তালাক পতিত হয় না (তালাক ৬৫/১; বুখারী হা/৫২৫১, ৫৩৩২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া
২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বিবিএস (Bangladesh Bureau of Statistics)-এর ‘দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ (the situation of vital statistics) শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে তালাকের ঘটনা ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকায় বিবাহবিচ্
উত্তর : ঈদের ছালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে নারীদের জন্য মাঠে গমন করা মুস্তাহাব (নববী, শরহ মুসলিম হা/৮৯০-এর আলোচনা ৬/১৭৮; আল-মাজমূ‘ ৫/৯; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৬/২১০)। আর ঋতুবতী মহিলারাও ঈদের ময়দানে যেতে পারেন। তবে তারা ছালাতের কাতারে না দাঁড়ি
উত্তর : সম্মতিসূচক আলহামদুলিল্লাহ বললেও বিবাহ কবুল হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/১১)।প্রশ্নকারী : হাবীবা, ঢাকা।
উত্তর : পারবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় চাচা আববাস, চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ বিন আববাস, ফযল বিন আববাস, জামাতা আলী, তার ভাই জা‘ফর, নাতি হাসান-হোসায়েন, গোলাম যায়েদ বিন হারেছাহ, তৎপুত্র উসামা বিন যায়েদ ও আয়মান ইবনে উম্মে আয়মান প্রমুখ পরিবারের সদস্যদের
উত্তর : স্বামী হিসাবে কর্তব্য হ’ল স্ত্রীকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে যথাসাধ্য নছীহত করা এবং শারঈ পর্দার গুরুত্বের ব্যাপারে সচেতন করা। এভাবে স্বামী তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সে গোনাহগার হবে না। তবে নিঃসন্দেহে বেপর্দা এবং স্বামীর অবাধ্য হ
উত্তর : প্রকাশ্যে বা আকারে-ইঙ্গিতে দাবী করা কিংবা বাধ্য করে মোটর সাইকেল নিয়ে থাকলে সেটি পাপের কাজ হয়েছে। অতএব তা সরাসরি কিংবা তার সমমূল্য স্ত্রীর পরিবারকে ফেরত দিতে হবে। আর ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যদি কোন
উত্তর : বিবাহের ৪টি শর্তের মধ্যে দ্বীন হ’ল প্রধান। অতএব কনে বা তার পরিবারে যদি দ্বীন না থাকে, তাহ’লে বিবাহ বাতিল করাই উচিৎ। এরপরেও যদি করতেই হয়, তাহ’লে কনের পাপের বোঝা স্বামী বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪, ইসরা ১৫/১৫)।প্রশ্নকারী : মাহমূদুল
উত্তর : স্বামী উক্ত কথা বলার দ্বারা তালাক উদ্দেশ্য নিয়ে থাকলে এবং স্ত্রী শর্তযুক্ত কাজ করে ফেললে তা এক তালাক গণ্য হবে। আর যদি স্ত্রীকে সতর্ক করা এবং ধমক দেওয়ার উদ্দেশ্যে বলে থাকে, তবে তাতে কোন সমস্যা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ৩৩/৬
উত্তর : স্ত্রীর এমন কথা বৈবাহিক সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে স্ত্রী স্বামীকে তালাক প্রদানের অধিকারী নয়। এক্ষণে স্বামী যদি স্ত্রীকে এমন শর্তযুক্ত কথা বলে এবং স্ত্রী উক্ত শর্ত ভঙ্গ করে তাহ’লে স্ত্রী এক তালাক হয়ে যাবে 
উত্তর : সন্তান গর্ভে আসার পর কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবে না বা গর্ভপাত করা যাবে না। সুতরাং গর্ভে যখন সন্তান চলে এসেছে তখন ধৈর্য ধারণ করবে এবং আল্লাহর ফয়ছালার জন্য অপেক্ষা করবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, একদা তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন
উত্তর : কোন অমুসলিম নারী ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে বিবাহ করা এবং তার সাথে সংসার করা জায়েয, যদিও সে বিবাহের জন্য ইসলাম গ্রহণ করে। কারণ এখানে মৌখিক স্বীকৃতিই গ্রহণীয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে’ (বা
উত্তর : শারঈ পদ্ধতিতে বিবাহের ঈজাব ও কবুল হয়ে থাকলে নির্জনবাস করায় কোন বাধা নেই। তবে নিজ বাড়িতে এনে বাসর রাত উদযাপন করে নির্জনবাস করাই সামাজিক দৃষ্টিতে উত্তম (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/৩৯২)। উল্লেখ্য যে, দ্রুত অলীমা করা সুন্নাত। কিন্তু ব
উত্তর : মোহর নির্ধারণ ব্যতীতও বিবাহ জায়েয (বাক্বারাহ ২/২৩৬; আবুদাউদ হা/২১১৬; মিশকাত হা/৩২০৭)। বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী মিলে মোহর নির্ধারণ করবে। যদি উভয়ের মাঝে সমঝোতা না হয় তাহ’লে মেয়ের মায়ের সমপরিমাণ মোহর নির্ধারণ করবে বা স্থানীয় জনপ্র
উত্তর : উক্ত বিবাহ বিশুদ্ধ হবে। কারণ বিদ্বানগণ বলেন, পিতা তার উপযুক্ত ভাই বা আত্মীয়-স্বজন বা কোন পরহেযগার ব্যক্তিকে বিবাহের অলীর দায়িত্ব দিতে পারে (হাত্তাব, মাওয়াহিবুল জলীল ৩/৪১৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ
উত্তর : লেনদেনের কোন শর্তসাপেক্ষে বিবাহ করা যাবে না। কেননা তা যৌতুক, যা ইসলামে হারাম (ইবনু আবী শায়বাহ হা/১৭৩৮৪-৮৫; ইবনু হাযম, মুহাল্লা ৯/৫০)। তবে বিবাহের পর কোন শর্ত ছাড়া শ্বশুর বৈধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈধ চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিলে তাতে কোন
উত্তর : যেনা-ব্যভিচার হদযোগ্য কবীরা গুনাহ। এথেকে বেঁচে থাকা মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাদের হদ কায়েম করবে সরকার ও প্রশাসন। তারা সে দায়িত্ব পালন না করলে তারা দায়ী হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই বিবাহ জায়েয নয়। জমহূর বিদ্বান এর বিরোধিতা করেছেন। কেননা গর্ভ
উত্তর : পিতা-মাতার বিয়েটা সঠিক পদ্ধতিতে না হ’লেও তা শিবহে নিকাহ বা সন্দেহপূর্ণ বিবাহ হয়েছে। আর উক্ত বিবাহ ক্বাযীর মাধ্যমে হওয়ায় এবং পরবর্তীতে পিতা মেনে নেওয়ায় তাদের সন্তানেরা জারজ হিসাবে গণ্য হবে না। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান শামে থাকাকাল
উত্তর : পিতার সাথে যোগাযোগ করে তার অনুমতি নিয়েই মেয়ের বিবাহ দিতে হবে। আর পিতা মেয়ের খরচ দেয়া বা দেখা-শোনা না করার জন্য গুনাহগার হবেন। উল্লেখ্য যে, স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হয়ে আদালত কর্তৃক কন্যা সন্তানের দায়িত্ব পেয়ে গেলেও বিবাহের ক্ষেত্রে পিতা বা ত
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত পার হয়ে গেলে উভয়ের স
পর্ব ১ । পর্ব ২ । সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা১. আল্লাহর দিকে দাওয়াত :অন্যদের জন্য উপকারী যত আমল আছে তন্মধ্যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দান সর্বোত্তম। আসলে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহবান জানানো এবং দ্বীনের চিন্তা-ভাবনা মনে লালন
উত্তর : খালাতো বোনের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। আলী (রাঃ) তার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে ফাতেমা (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন। একজন মেয়ের বিবাহের জন্য তার পিতার অনুমতি শর্ত। পিতা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মেয়ের বিবাহ জায়েয নয় (আবূদাউদ হা/২০৮৩; মিশক
উত্তর : পিতা-মাতার জন্য আবশ্যক হ’ল সন্তানের বয়স হওয়ার সাথে সাথে বিবাহ দেওয়া। পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। আর সন্তানের কর্তব্য হ’ল পিতা-মাতাকে রাযী করে বিবাহ করা (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ২০/১৮৩; উছ
উত্তর : বিবাহের আক্বদ তথা ঈজাব-কবুল সংঘটিত হওয়ার পূর্বে সে স্ত্রী নয়। আর যে স্ত্রী নয় সে অন্যান্য গায়রে মাহরাম নারীর মতই। অতএব বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া প্রস্তাবিত নারীর সাথে সাধারণ কথাবার্তা বা আলাপচারিতা করা যাবে না। বরং তার অভিভাবকের সাথে সার্বিক যো
উত্তর: স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম হ’লে স্ত্রী উক্ত স্বামীর সাথে সংসার করতে বাধ্য নয়। বরং সে স্বামীর নিকট তালাক চাইতে পারে বা খোলা করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে আদালতের আশ্রয় নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। কারণ বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হ’ল পরস্পর
উত্তর : স্বামী নিজ পিতার পরিচয় না দেওয়ার কারণে কবীরা গুনাহগার হবে (বুখারী হা/৪৩২৬; মিশকাত হা/৩৩১৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২০/৩৯২)। এজন্য তাকে তওবা করা আবশ্যক। তবে এ কারণে বিবাহ বাতিল হবে না। কারণ পুরুষের বিবাহের জন্য পিতা থাকা বা অভিভাবক থাক
উত্তর : বোনের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে হবে। অবাধ্যতার কারণে সাময়িকভাবে শাস্তিমূলকভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করা যেতে পারে, কিন্তু স্থায়ীভাবে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা নিষিদ্ধ। তাছাড়া উক্ত বিচ্ছেদ যেহেতু ‘খোলা’ তালাক ছিল, অতএব উক্ত নারীর জন্য নতু
উত্তর : ধৈর্যের সাথে মীমাংসার চেষ্টা করবে এবং প্রয়োজনে স্ত্রীকে চাকুরী ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে একই স্থানে থাকবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তা নিরসনের শারঈ পদ্ধতি হ’ল- প্রথমে তাকে উপদেশ দিতে হবে (বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮; মিশকাত
উত্তর : পারবে। কারণ নারীর পক্ষ থেকে তালাক নেওয়া শরী‘আতে ‘খোলা’ হিসাবে গণ্য। আর ‘খোলা’র ইদ্দত এক মাস। অতঃপর মোহর, অভিভাবকের অনুমতি ও দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে হ’তে হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৩/১৫৩)।প্রশ্নকারী : জামিরুল ইসলাম,
উত্তর : পরস্পরে হাদিয়া আদান-প্রদান মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে হাদিয়া দাও এবং মহববত বৃদ্ধি কর’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪; মিশকাত হা/৪৬৯৩)।হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফাতেমাকে একটা মোটা কাপড়ের চাদর, একটা মশক ও একটা
উত্তর : বড় ভাই হিসাবে উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সাধ্যমত ইসলামী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করবেন ও সবাইকে উপদেশ দিবেন। অনুষ্ঠানের কিছু অংশ অপসন্দনীয় হ’লেও পুরো অনুষ্ঠান বর্জন করা যাবে না। বোনকে পর্দার বিধান অনুসরণ করে মহিলাদের পরিবেশে রাখার
উত্তর : নিজের ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করা কন্যাকে বিবাহ করা যাবে না। কেননা জারজ হ’লেও সে তারই অংশবিশেষ। পিতৃপরিচয় গোপন থাকলেও সে জিনগতভাবে তারই সন্তান। অতএব তাকে বিয়ে করা হারাম। এ ব্যাপারে জমহুর বিদ্বানগণ একমত (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/১১
উত্তর : প্রথমতঃ রাসূল (ছাঃ) অলী ছাড়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে বাতিল বলে গণ্য করেছেন (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে হা/২৭০৯)। এরূপ ক্ষেত্রে অলী বা তার প্রতিনিধি বা বর্তমান অভিভাবকের সম্মতিতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুন
উত্তর : স্বামীর জন্য কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। তবে স্ত্রীর বিলাসী কামনা পূরণ করা স্বামীর দায়িত্ব নয়। এক্ষণে স্বামী যদি প্রকৃতই স্ত্রীর মৌলিক চাহিদা পূরণ না করে বা সক্ষম না হয় তাহ’লে স্ত্রীর জন্য তার সাথে থাকা বা না থাকার এখতিয়ার
উত্তর : দু’জন সাক্ষী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির উপস্থিতিতে যদি ঈজাব ও কবুল হয়ে থাকে, তবুও নারীর ওলী বিহীন এরূপ বিবাহ শুদ্ধ নয়। তবে এটি শিবহে নিকাহ বা সন্দেহপূর্ণ বিবাহ হিসাবে গণ্য হবে (ইবনু কুদামা, মুগনী ৭/০৮, ১১/১৯৬; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতা
উত্তর : পারবে। কারণ এমতাবস্থায় দেবর বা ভাসুরের সাথে বিবাহে কোন বাধা নেই (নিসা ৪/২৪)। তবে বিধবা নারী অবশ্যই চার মাস দশ দিন স্বামীর জন্য শোক পালন করবে অতঃপর অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে (বাক্বারাহ ২/২৩৪)।প্রশ্নকারী : আব্দুল ওয়াহেদ,&nbs
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। অতএব ইদ্দতের মধ্যে অর্থাৎ তিন তোহরের মধ্যে স্বামী তাকে সরাসরি ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দত পার হয়ে গেলে উভয়ের সম্মতিতে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফেরত নিবে (বাক্ব
উত্তর : আপন ভাগ্নীর মেয়ে মাহরাম। আর মাহরামকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ৪/২৩; তাফসীর ক্বাসেমী ৫/৮৬, ৩/৬৩)। তবে মায়ের ফুফাতো বোন মাহরাম নয়। সে হিসাবে মায়ের ফুফাতো বা মামাতো বোনকে বিবাহ করা জায়েয (আহযাব ৩৩/৫০; তাফসীর সা‘দী ১/৬৬৯ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব
উত্তর : এমতাবস্থায় পিতা-মাতা অভিযুক্ত ছেলেকে খুঁজে বের করে তার সাথে ঐ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি অভিযুক্ত মাহরাম হয় বা বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়, তাহ’লে সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। অতঃপর অন্যত্র মেয়েকে বিয়ে দিবে (আবুদাউদ হা/২১৫৭; ইবনু
উত্তর : এরূপ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শরী‘আত সম্মত নয়। এগুলো কুসংস্কার ও অমুসলিমদের অনুকরণ। যা নিষিদ্ধ (আবূদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। তবে বর-কনে চাইলে নিজেরা হলুদ মাখতে পারে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩২১০ ‘ওয়ালীমা’ অনুচ্ছেদ)। মূলতঃ গায়ে হলুদ হিন্দুদের বৈবাহিক
উত্তর: খোলা‘র মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়া স্ত্রীকে তার স্বামী ইদ্দত চলাকালে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে পারবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৮/১২৭; তাফসীর ইবনু কাছীর ১/৬২০)। তবে পূর্ব স্বামী ব্যতীত অন্য কেউ ইদ্দত চলাকালীন বিবাহ করলে সে বিবাহ বাতিল বলে গণ
উত্তর : উক্ত বিবাহ জায়েয হয়েছে। কারণ বিবাহের পর তাদের শারীরিক কোন সম্পর্ক হয়নি। আর শারীরিক সম্পর্ক না হয়ে থাকলে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা মুমিন নারীদের বিবাহ করবে; অতঃপর তাকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দ
উত্তর : মাহরাম নারীকে বিবাহ করা হারাম। কেউ জেনেশুনে মাহরাম নারীকে বিবাহ করলে এবং তার সাথে সহবাস করে থাকলে তার উপর হদ্দ কায়েম হবে। আর না জেনে বিবাহ করে থাকলে জানার সঙ্গে সঙ্গে আলাদা হয়ে যাবে এবং খালেছ নিয়তে তওবা করবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১২/৩৪১-
উত্তর : অমুসলিম নারীকে বিবাহ করা যাবে না (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ৬/৩৮৫)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। (মনে রেখ) মুমিন ক্রীতদাসী মুশরিক স্বাধীনার চাইতে উত্তম। যদিও সে তোমাদের বিমোহিত করে। আর তোমরা মু
উত্তর : স্ত্রী যদি মনে করে স্বামী জানতে পারলে মেনে নিবেন না, তাহ’লে দান করতে পারবে না। কারণ স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান করা নিষেধ (তিরমিযী হা/৬৭০, সনদ হাসান; মিশকাত হা/১৯৫১; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৪৭২)। সংসার ধ্বংসকর নয় এমন দান করা যাবে। আয়
উত্তর : ভালো মেয়ে বা ছেলে খুঁজে দেওয়া এবং উভয় পরিবারের মধ্যে সমন্বয় সাধন করার বিনিময়ে মজুরী নেওয়া যাবে। কারণ ইসলামী শরী‘আতের মূলনীতি সম্পর্কে আল্লামা শানকীত্বী বলেন, বৈধ উপকার প্রদানের বিনিময়ে মজুরী গ্রহণ করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে বিদ্বানগণের ঐক্
উত্তর : দুধ ভাইয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না। কারণ দুধ ভাই মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযা (রাঃ) একই মায়ের দুধপান করেছিলেন। সেকারণ হামযার মেয়ের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হ’লে তিনি বলেন, সে আমার জন্য
উত্তর : এজন্য স্ত্রীকে অধিকহারে নছীহত করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তমভাবে নছীহত কর। কেননা তাদেরকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। যদি তুমি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে
উত্তর : বিবাহ করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহ করার ক্ষমতা রাখে, সে যেন বিবাহ করে। কেননা এটা তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। আর যে ব্যক্তি বিবাহ করতে অক্ষম, সে যেন ছিয়াম পালন করে
উত্তর : একাকী নির্জন ঘরে থাকার সময়ও বিনা কারণে সতর খুলে রাখা ঠিক নয় (মুসলিম হা/৩৪১; মিশকাত হা/৩১২২)। তবে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সামনে সতর উন্মুক্ত রাখতে পারে (মুমিনূন ২৩/৫-৬; বুখারী হা/২৯৯-৩০০)। বাহয বিন হাকীম তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, একদা তি
উত্তর : পাত্র পাত্রীর মুখমন্ডল, কব্জি সহ দুই হাত ও গোড়ালী সহ দুই পা দেখতে পারে। এভাবে পাত্রীও পাত্রকে দেখতে পারে (ইবনু রুশদ, বেদায়াতুল মুজতাহিদ ৩/৩১)। এছাড়া উভয়ে উভয়কে যেকোন বৈধ মাধ্যমে যাচাই করতে পারে (আলবানী, ছহীহাহ হা/৯৯)।প্রশ্নকারী : মুস্তাক্বীম
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত প
উত্তর : রক্ত গ্রহণ বা প্রদান কাউকে মাহরাম সাব্যস্ত করে না। অতএব কাউকে রক্ত দান করে থাকলে তা বিবাহ বন্ধনের জন্য প্রতিবন্ধক হবে না (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২৮৫-৮৬)।প্রশ্নকারী : খায়রুল ইসলাম, সরাইল, বি-বাড়িয়া।
উত্তর : উক্ত জঘন্য কাজের জন্য শ্বশুর কবীরা গুনাহগার হবেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হাতের যেনা হ’ল স্পর্শ করা (মুসলিম হা/২৬৫৭, মিশকাত হা/৮)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য কোন নারীকে অবৈধভাবে স্পর্শ করার চেয়ে তার মাথায় লৌহ সুচ দ্বারা খোঁচা খাওয়া বরং উত্তম (ত্ব
উত্তর : এতে স্বামীর সম্মতি থাকলে কোন বাধা নেই। হযরত সাওদা বিনতে যাম‘আ (রাঃ) শারীরিক সম্পর্ক না রাখার শর্তে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী হিসাবে থাকতে চাইলে তিনি তাতে সম্মতি দেন (আবুদাউদ হা/২১৩৫; ছহীহাহ হা/১৪৭৯)। অতএব অসুস্থতার কারণে উভয়ের সম্মতিতে এই ধ
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি খুবই যঈফ (আহমাদ হা/১৬০৭৫; ইরওয়া হা/১৯১২)। আর এটি আদৌ কোন সামান্য কারণ নয়। তাছাড়া বিবাহের বিষয়টি ব্যক্তিগত পসন্দ-অপসন্দের ব্যাপার। ইসলাম এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে স্বাধীনতা দিয়েছে।প্রশ্নকারীঃ আবুল হোসাইন,&nb
উত্তর : যার অলী নেই তার অলী হবে সরকার বা সরকার নিযুক্ত প্রতিনিধি বা আদালত (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮০; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫৬)। অমুসলিম রাষ্ট্র হ’লে অলী হবে মুসলিম সংস্থা বা কোন ইসলামী প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা তার নিযুক্ত প্রতিনিধি। তবে অবশ্য
উত্তর : প্রথম তালাকটি একটি তালাক হিসাবে গণ্য হবে এবং পরবর্তী একই তোহরে প্রদত্ত দু’টি তালাক মূলতঃ এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আবু রুকানা তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর দারুণভাবে মর্
উত্তর : উভয় পক্ষ পরস্পরের জানাশোনা ও বিশ্বস্ত হ’লে মেয়ের পিতা বা অভিভাবকের উপস্থিতিতে দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষীর সামনে মোবাইল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে কনের পিতা বা অভিভাবকের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ছেলে ‘কবুল’ করলে বিবাহ সিদ্ধ হবে (আবুদাউদ, তিরমিযী,
উত্তর : উক্ত তালাক সংঘটিত হয়নি। কারণ জোর করে বা বাধ্য করে তালাক দেওয়া হ’লে তা কার্যকর হয় না। আল্লাহ বলেন, যার উপরে (কুফরীর জন্য) যবরদস্তি করা হয়, অথচ তার হৃদয় ঈমানের উপর অটল থাকে (নাহল ১৫/১০৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতক
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ওলী ছাড়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াকে বাতিল বলে গণ্য করেছেন (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে হা/২৭০৯)। এক্ষণে ওলীর সম্মতিতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুনরায় বিবাহের ঈজাব-কবুল করাতে হবে এবং মোহর প্রদান করতে হবে (মুগনী ৯/৩৪৬; আ
উত্তর : বিবাহের আক্বদ সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে পবিত্র থাকা বা হায়েয থেকে পবিত্র থাকা শর্ত নয়। বরং ওলী, সাক্ষী ও ঈজাব-কবুল হওয়া শর্ত (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, অডিও টেপ নং ১৪৯)। তবে হায়েয থেকে পবিত্র থাকা উত্তম। কেননা এমতাবস্থায় মিলন জায়েয নয়।
উত্তর : মোহরের পরিমাণ ছেলের সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারিত হবে এবং সেই মোহর পরিশোধ করা স্বামীর জন্য আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদের অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং উত্তমভাবে তাদের মোহর প্রদান কর’ (নিসা ৪/২৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কম
উত্তর : বিয়েতে মেয়ে রাযী না থাকায় এবং কাবিননামায় স্বাক্ষর না করায় আদতে বিয়েই হয়নি। এই অবস্থায় মেয়ের উচিৎ হয়নি স্বামীর ঘর করা। এজন্য মেয়েও দায়ী হবে। তাকে অবশ্যই অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ্র নিকট তওবা করতে হবে। এক্ষণে এটি ‘শিবহে নিকাহ’ হয়েছে। উক্ত নিকা
উত্তর : বর্ণনামতে ১ম তালাকটি হায়েয অবস্থায় দেওয়া হয়েছে। যা কার্যকর হবে না (বুখারী হা/৫২৫১, ৫৩৩২, মিশকাত হা/৩২৭৫)। ২য় এবং ৩য় তালাকটি নিশ্চিতভাবে ১টি করে তালাক হয়েছে। আর ৪র্থ তালাকের ক্ষেত্রে যদি এমন ক্রোধান্ধ অবস্থায় থাকে যে, সম্পূর্ণভাবে হিতাহিত
উত্তর : ইদ্দতের মধ্যে বিবাহ করায় উক্ত বিবাহ হয়নি এবং ঐ স্ত্রীর সাথে পাঁচ মাস অবস্থান করা পুরোপুরি অবৈধ ছিল (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৯/৩৪৬; মুগনী ৮/১২৭)। আলাহ বলেন, ‘আর ইদ্দতকাল পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার সংকল্প করো ন
উত্তর : মাহরাম আত্মীয়রা সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রগামী। তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা অতীব যরূরী। অতঃপর গায়ের মাহরাম আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে নিকটতার ভিত্তিতে এর গুরুত্ব ও বিধান কম-বেশী হবে (কারাফী, আল-ফুরূক ১/১৪৭; আল-মাওস
১৪. স্বামী-স্ত্রীর হকের ব্যপারে অজ্ঞতা : সমাজে তালাকের ব্যাপকতার আরেকটি কারণ হ’ল স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক হক সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অবহেলা। আর একে অপরের হক পালন না করার কারণে দু’জনের মাঝে দূরত্ব তৈরী হয়। যার পরিণতি হয় ভয়াবহ। স্বামীর হক সম্পর্কে আল্লাহ বলে
উত্তর : ডিভোর্স লেটার কোর্ট থেকে যেই তারিখে পাঠানো শুরু হবে, সেদিন থেকে ইদ্দত পালনের সময় হিসাব করবে। তালাকপ্রাপ্তার নিকট কয়েক দিন পরে পৌঁছলেও তা ধর্তব্য নয়। আর তিন মাসের মধ্যে রাজ‘আত না করা হ’লে বা ফিরিয়ে না নিলে তা তালাকে মুগাল্লাযা বা চূড়ান
উত্তর : প্রশ্ন অনুযায়ী উক্ত নারী দু’বার ‘খোলা’ করে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। আর ‘খোলা’র মাধ্যমে স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হ’লে এবং পুনরায় উভয়ে সংসার করতে চাইলে নতুন বিবাহ ও মোহরের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারে (বাক্বারাহ ২/২
উত্তর : প্রবল শীতের কারণে শারীরিক অসুস্থতা, রোগ সৃষ্টি বা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৬; মিশকাত হা/৫৩১)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার আ
উত্তর : বিবাহের উদ্দেশ্যে পাত্রী দেখা মুস্তাহাব। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলল, আমি আনছারদের এক মেয়েকে বিবাহ করতে চাই। তিনি বললেন, তুমি তাকে প্রথমে দেখে নাও। কারণ আনছার মহিলাদের চোখে দোষ থাকে (মুসলিম হা/১৪২৪, ম
উত্তর : ভুলবশতঃ এমন ঘটনা ঘটে গেলে কেউ অপরাধী হবে না ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, আর তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। কিন্তু তোমাদের অন্তরে দৃঢ় সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু’ (আহযাব ৩৩/০৫)। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : বিবাহিতা মেয়ে স্বামীর আনুগত্য করবে এবং যথাসম্ভব পিতা-মাতাকে সাহায্য করবে। কারণ ইসলামী শরী‘আতে স্বামীর আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে (আহমাদ হা/১৯০২৫; ছহীহাহ হা/২৬১২)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বিবাহিতা নারীর জন্য স্বামীই
উত্তর : যৌতুক মনে না করে যদি শ্বশুর স্বেচ্ছায় তার জামাইকে হাদিয়া স্বরূপ কিছু প্রদান করেন, সেটি গ্রহণ করা জায়েয। রাসূল (ছাঃ) ফাতেমা (রাঃ)-এর বিয়ের সময় তাঁর সংসারের জন্য দিয়েছিলেন- একটি চাদর, খেজুর গাছের ছালে ভরা একটি বালিশ, একটি চামড়ার গদি, এক
উত্তর : প্রশ্নের বিবরণ মোতাবেক এক তালাক হয়েছে এবং রাজ‘আতও হয়েছে। এজন্য বর্তমানে তার সাথে কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সংসার করা যাবে (বাক্বারাহ ২/২২৮; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৫২৪)। তবে রাজ‘আতের সময় দু’জন সাক্ষী রাখা ভালো (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দা
উত্তর : দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম স্বামীর মেয়ের সাথে প্রথমা স্ত্রীর গর্ভজাত ছেলের বিবাহে কোন সমস্যা নেই। কারণ তারা পরস্পর মাহরাম নয়। এ ব্যাপারে বিদ্বানগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/১২৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২৭৩, ২৯০; ছ
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় স্বামীর অনুমতি ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে না। কারণ সন্তান গ্রহণ বিবাহের অন্যতম মূখ্য উদ্দেশ্য। তবে স্বামীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সম্পর্ক স্থির না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণে কোন দোষ হবে না
উত্তর : বেগানা নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা হারাম। অতএব বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে চাইলে প্রথমতঃ পূর্বের পাপের জন্য খালেছ নিয়তে অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করবে। আল্লাহ বলেন, ‘তবে তারা ব্যতীত, যারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎক
উত্তর : তালাক প্রদানের মূল অধিকার স্বামীর। আল্লাহ বলেন, হে নবী! যখন তোমরা স্ত্রীদের তালাক দাও, তখন তাদেরকে ইদ্দত অনুযায়ী তালাক দাও (তালাক ৬৫/১)। কিন্তু স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলে এবং সে তালাককে বেছে নিলে তা কার্যকর হয়ে যাবে (মুগনী
উত্তর : স্বামী এবং পিতা-মাতা উভয়ের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা ওয়াজিব। তাই সাধ্যমত উভয়কে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করবে। এরপরেও যদি উভয়ের আদেশ-নিষেধের মাঝে চূড়ান্ত বৈপরিত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সংসার জীবনে বৈষয়িক বিষয় সমূহে স্বামীর আদেশকে অগ্রগণ্য করতে হ
উত্তর : ঋতুর মেয়াদ শেষে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (মুসলিম হা/৩৩৪; বুলূগুল মারাম হা/১৩৯)। কারণ গোসল ও ওযূ করে যে সকল ইবাদত করা যায়, অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করেও সে সকল ইবাদত করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পানি না পাও, তাহ’লে
উত্তর : স্ত্রীর সন্তান যেখানেই লালিত-পালিত হৌক সে দ্বিতীয় স্বামীর জন্য মাহরাম এবং তাকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল-... সহবাসকৃত স্ত্রীদের (অন্য স্বামীর) কন্যা, যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি ঐ স্ত্রীদের সাথে সহব
উত্তর : বিবাহ পিতা-মাতা, বর বা কনের সম্মতি বা পরামর্শ ক্রমে হওয়া আবশ্যক। অন্যথায় পরিবারে অশান্তি বিরাজ করতে পারে। এক্ষণে চাচাতো বোন সচ্চরিত্র ও ধার্মিকা হ’লে মাকে বুঝিয়ে বিবাহ করা সমীচীন। রাসূল (ছাঃ) কুফূ বা সমতার ক্ষেত্রে ‘দ্বীন’কে অগ্রাধিকা
উত্তর : অলীমা বিষয়ে শরী‘আতের নির্দেশনা হ’ল বাসর রাতের পরের দিন অলীমা করা। রাসূল (ছাঃ) যয়নব বিনতে জাহশ (রাঃ)-এর সাথে বাসর রাত অতিবাহিত করার পর দিন অলীমা করেছিলেন (বুখারী হা/৫১৭০)। রাসূল (ছাঃ) ছাফিয়াহ (রাঃ)-কে বিবাহের পর তিনদিন যাবৎ অলীমা করেছিলে
উত্তর : ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে বিবাহ দেওয়া শরী‘আতসম্মত নয়। এজন্য সাবালক ছেলে-মেয়ের সম্মতি আবশ্যক। জনৈকা সাবালিকা মেয়েকে তার পিতা তার অসম্মতিতে বিবাহ দিলে রাসূল (ছাঃ) মেয়ের আপত্তির কারণে উক্ত বিবাহ বাতিল করে দেন (বুখারী হা/৬৯৪৫; মিশকাত হা/৩১২৮, ই
উত্তর : সক্ষম স্বামীকে দ্বিতীয় বিবাহে বাধা দেওয়া জায়েয নয়। কারণ এটি শরী‘আতে বৈধ। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভাল মনে কর দুই, তিন বা চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পার (নিসা ৪/০৩)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় উছায়মীন বলেন, কোন নারীর জন্য
উত্তর : বিধান জানার পর স্বামী-স্ত্রী হিসাবে আর একসাথে থাকার সুযোগ নেই; বরং এখুনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হবে। এজন্য কোন তালাকও দেওয়া লাগবে না। কারণ উক্ত বিবাহ বৈধ হয়নি। সৎবোনের নাতনী নিজের বোনের নাতনী সমতুল্য, যে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন,
উত্তর : স্বামী-স্ত্রী পারস্পরিক সম্মতিতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। এতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটবে না। তবে স্বামীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী যদি তাতে কোন কারণ ছাড়াই সাড়া না দেয়, তাহ’লে সে চরম অপরাধী হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি কোন পুর
উত্তর : মোহরানা নির্ধারণ হবে ছেলের সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে। মোহরানার মালিক হ’ল স্ত্রী। এক্ষণে স্ত্রী চাইলে মোহরানার কিছু অংশ অথবা পুরোপুরি মাফ করে দিতে পারে। অতএব বিষয়টি স্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সমাধান করে নিবে (শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলা
উত্তর : পাগল হওয়া তালাক কার্যকর হওয়ার কোন কারণ নয়। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে কেউ পাগল হয়ে গেলে সুস্থ ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে তালাক দিতে বা নিতে পারে। যদিও মানবিকতার দিকটিই অগ্রাধিকার প্রদান করা কর্তব্য হবে এবং স্ত্রী যদি অসুস্থ হয়, স্বামীর দা
উত্তর : বিবাহের উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত হয়নি। কারণ পিতা মেয়ের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দিলেও তিনি বিবাহে অলীর ভূমিকা পালন করেননি বা কাউকে অলীর দায়িত্ব প্রদান করেননি। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে, তাহ’লে তার ঐ
উত্তর : শ্বশুরের দেওয়া হাদিয়া জামাইয়ের জন্য গ্রহণ করা জায়েয। বরং হাদিয়া আদান-প্রদান করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া প্রদান কর ও মহববত বৃদ্ধি কর (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৫৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০০৪)। তিনি আরো বলেন, ...যদি আমা
উত্তর : স্বামী তার স্ত্রীর মোহরানার সমুদয় অর্থ বর্তমান জীবিত ওয়ারিছদের মধ্যে মীরাছের বিধান অনুযায়ী বণ্টন করে দিবেন। তিনি তার স্ত্রীর মোহরানার অর্থ দান করতে পারবেন না। কারণ বর্তমানে তিনি উক্ত অর্থের একক মালিক নন। বরং উক্ত অর্থের মালিক জীবিত ওয়
উত্তর : উক্ত বিবাহ সঠিক হয়নি। কারণ পিতার অসম্মতিতে মেয়ের বিবাহ বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অলী ব্যতীত বিবাহ নেই’ (তিরমিযী হা/১১০১ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩০)। তিনি বলেন ‘কোন মহিলা যদি অলীর বিনা অনুমতিতে বিবাহ করে তাহ’লে তার ঐ বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (ত
উত্তর : যদি নিফাস বন্ধের পর স্বামী স্ত্রীর সাথে মিলন করে এবং স্ত্রীর হায়েয না হয় তাহ’লে এ অবস্থায় তালাক দেওয়া যাবে না, মেয়াদ যতই দীর্ঘ হোক। কেননা মিলন হয়েছে এমন তুহরে তালাক দেওয়া নিষিদ্ধ (তালাক্ব ১)। অতএব তাকে তালাক দিতে হ’লে পুনরায় হায়েয হওয়
উত্তর : সাধারণ রোগ-ব্যাধি গোপন রাখায় দোষ নেই। কিন্তু যদি তা বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো কঠিন রোগ হয়। যেমন যৌন অক্ষমতা, বন্ধ্যাত্ব ও সন্তান পালনগত অক্ষমতা বা জন্মগতভাবে বড় ধরনের কোন রোগ হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তা গোপন করার জন্য অভিভাবকগণ
উত্তর : স্ত্রীর উপস্থিতিতে তার ভাগ্নী বা বোনের মেয়েকে বিবাহ করা যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন নারীকে তার ফুফু বা খালার সাথে বিবাহে একত্রিত করা যাবে না’ (বুখারী হা/৫১৯০; মুসলিম হা/১৪০৮; মিশকাত হা/৩১৬০)। অন্যত্র তিনি বলেন, ভাতিজীর সাথে তার
উত্তর : বিবাহ বৈধ করার জন্য মেয়ের পিতার উপস্থিতিতে বা সম্মতিতে দ্বিতীয়বার বিবাহের ঈজাব-কবুলের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ কোন নারী বিবাহের অলী হ’তে পারে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অলী ব্যতীত বিবাহ সিদ্ধ নয়’ (তিরমিযী হা/১১০১; মিশকাত হা/৩১৩০)। নবী করীম
উত্তর : বন্ধ্যা নারীকে বিবাহ করা জায়েয। তবে রাসূল (ছাঃ) অধিক সন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ করার প্রতিই উৎসাহিত করেছেন। মা‘ক্বিল বিন ইয়াসার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বললে, আমি একজন সুন্দরী এবং সদ্
উত্তর : বিবাহের কেউ স্বর্ণ উপহার দিলে তা গ্রহণ করা যাবে। তবে নিজে ব্যবহার না করে স্ত্রীসহ যেকোন মহিলা আত্মীয়কে হাদিয়া প্রদান করবে বা বিক্রয় করে দিবে। রাসূল (ছাঃ)-কে রেশমের পোষাক উপহার দেওয়া হ’লে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং অন্যকে হাদিয়া দিয়ে দেন (
উত্তরঃ প্রশ্নোল্লেখিত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা রক্ত মানুষের ভাল মন্দ করার কোন ক্ষমতা রাখে না। এটি সম্পূর্ণ আল্লাহর এখতিয়ারে।
উত্তরঃ তার উক্ত বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। সে ব্যভিচারী এবং মহাপাপী। কিন্তু সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়নি। অতএব পিতার সম্পত্তি পেতে তার বাধা নেই। পিতার বাড়িতেও তার অংশ রয়েছে। তবে সে যেহেতু শরী‘আত বিরোধী কর্মের সাথে জড়িত হয়েছে অতএব তওবা ব্যতীত তার গোনা
উত্তরঃ উক্ত আয়াত শুধু বিবাহের সাথে যুক্ত নয়। অতএব সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে সৎ পাত্র-পাত্রীকে বিবাহ করতে হবে। তাছাড়া এই আয়াত যার উপর নাযিল হয়েছে তিনিও বিবাহ করেছেন, অপরকে বিবাহ করতে বলেছেন। এমনকি বিবাহ থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে তার উম্মত থেকে
উত্তরঃ উক্ত বিবাহে মোহর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ধোঁকাবাজির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তবে বিয়ে বৈধ হয়েছে। ধার্য মোহরানা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। পুনরায় মোহর নির্ধারণের কোন সুযোগ নেই। অবশ্য স্ত্রী স্বেচ্ছায় কিছু অংশ ক্ষমা করতে পারেন (নিসা ৪)। কিন্তু তার কা
উত্তরঃ প্রশ্নে বর্ণিত শর্তে বিবাহ করতে পারবে না। এরূপ মেয়াদ ও চুক্তিভিত্তিক শর্তে বিয়ে করা হারাম। একে ‘নেকাহে মুৎ‘আহ’ বা ঠিকা বিবাহ বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একে চিরতরে নিষিদ্ধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩১৪৭)। রবী‘ ইবনু সাবরাহ আল-জ
উত্তরঃ গোনাহ্ হবে না। তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিয়ে করতে না পেরে পাপে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে ‘ছিয়াম’ পালন করবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০)।
উত্তরঃ কোর্টের মাধ্যমে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে এক তালাকই গণ্য হবে। সুতরাং তিন মাসের মধ্যে ফেরত নিলে পুনরায় বিবাহ ছাড়াই দু’জন সাক্ষীর মাধ্যমে ফেরত নেওয়া যাবে। আর তিন মাস পার হয়ে গেলে পুনরায় মোহর নির্ধারণ করে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফেরত নিতে পারে
উত্তরঃ স্বামী-স্ত্রী উভয়ে জান্নাতী হ’লে আল্লাহ তাদেরকে একত্রে জান্নাতে প্রবেশের নির্দেশ দিবেন’ (যুখরুফ ৪৩/৭০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেন, তুমি কি সন্তুষ্ট নও যে, তুমি দুনিয়া ও আখেরাতে আমার স্ত্রী হয়ে থাকবে? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। তখন ন
উত্তরঃ অবৈধ সম্পর্ক গড়া মহা পাপ। যার শাস্তি হচ্ছে ১০০ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর (বুখারী, মিশকাত হা/৩৫৫৬)। এ অবস্থায় অনুতপ্ত হয়ে খালেছ তওবা করা আবশ্যক। নইলে গুনাহ মাফ হবে না।
উত্তরঃ সংসারে ফিরে আসতে না চাইলে মোহরের দাবী ত্যাগ করে ‘খোলা’-র মাধ্যমে স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (নাসাঈ হা/৩৫১০)। বরং স্বামী পূর্বে মোহরানা পরিশোধ করে থাকলে তা ফেরত দিয়ে ‘খোলা’ করে চলে যেতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৭৪)। অতঃপর
উত্তরঃ উভয় পক্ষের ওয়ালী এবং দু’জন মুমিন ন্যায়নিষ্ঠ বয়স্ক পুরুষ সাক্ষী না থাকায় বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। এজন্য আপনারা উভয়ে ব্যভিচারের দায়ে অভিযুক্ত। অপরপক্ষে আপনার অভিভাবক আপনার মতের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ায় তারাও অন্যায় করেছেন। অতএব বিয়েই যেখানে হয়নি, সে
উত্তরঃ এ অবস্থায় এক তালাক হয়েছে। কারণ এক বৈঠকের শত তালাক দিলেও তা এক তালাক বলেই গণ্য হয় (আবুদাঊদ হা/২১৯৬)। আর তিনটি কাজে হাসি-ঠাট্টা চলে না। তার একটি হচ্ছে তালাক (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩২৮৪)। তিন মাসে তিন তালাক বায়েন প্রাপ্তা মহিলা অন্যত্র বিবাহ
উত্তরঃ উক্ত নিয়ম শরী‘আত সম্মত নয়। কেননা উপরোক্ত বর্ণনা মতে বিবাহের সকল শর্ত পূরণ করা হয়েছে। কেবল খুৎবা বাকী রয়েছে, যা শর্ত নয়, বরং সুন্নাত। বিবাহের শর্ত হ’ল চারটি। অলি, দু’জন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষী, মোহরানা ও স্থায়ী উদ্দেশ্যে বিবাহ করা। বিবাহের দু
উত্তর : এতে বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয় না। তবে ছালাত তরককারী ব্যক্তি মহাপাপী। ফেরাউনের বিধি-বিধান আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কুরআনে আল্লাহ আসিয়াকে ফেরাউনের স্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করেছেন (তাহরীম ১৩)।
উত্তর : উক্ত বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে নারী অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করল তার বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল (তিরমিযী হা/১১০২; আবুদাঊদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১)। যেখানে বিয়েই হয়নি সেখানে মৌখিক বা লিখিত সম্মতিতে বৈধতার কোন প্রশ্নই আসে ন
উত্তর: মোহরানা ছাড়া বিবাহ বৈধ নয়। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা খুশীমনে দিয়ে দাও’ (নিসা ৪)। রাসূল (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে মোহরানা বাবদ লোহার আংটি হলেও নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। অতঃপর সেটাও না পাওয়ায় কুরআন শিক্ষা দেওয়ার শ
উত্তরঃ এ ব্যক্তি অশেষ ছওয়াবের অধিকারী হবে। কেননা আল্লাহ রাববুল আলামীনের রেযামন্দি হাছিলের লক্ষ্যে কোন কাজ করলে ঈমান পরিপূর্ণ হয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ভালবাসল, আল্লাহর জন্যই রাগান্বিত
উত্তর : ঐ ব্যক্তি জঘন্যতম পাপ করেছে, যার জন্য শরী‘আতে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে এই অবৈধ কর্মের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না। কারণ কোন অবৈধ সম্পর্ক কোন বৈধ বিবাহকে হারাম করে না। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘যেনা বৈবাহিক বন্ধনকে
উত্তর : উক্ত সন্তান পূর্বের স্বামীর হবে। কারণ পরের বিবাহ বৈধ হয়নি। সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় অন্যত্র বিবাহ জায়েয নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যার পেটে সন্তান থাকে তার ইদ্দতের সময়সীমা হ’ল সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত’ (তালাক ৪)। সুবাই‘আ বিনতে
উত্তর : সন্তানের জন্য মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করা অধিকতর প্রাধান্যযোগ্য (বুখারী হা/৫৯৭১; মুসলিম হা/২৫৪৮)। কিন্তু মায়ের অন্যত্র বিবাহ হয়ে যাওয়ায় তার অনুপস্থিতিতে পিতা অগ্রাধিকার পাবেন। কেননা মায়ের পরেই পিতার স্থান (ছহীহাহ হা/৩৬৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)।
উত্তর : চাচা ও মামারা মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। কারণ আল্লাহ তা‘আলা মাহরামদের বর্ণনায় বোনের মেয়েকে ও ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী (নিসা ৪/২৩)। তাছাড়া চাচা ফু
উত্তর : আক্দ হ’ল দু’জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে অভিভাবকের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বরের কবুল বলা। অতএব আক্দ হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে মেলামেশা ও সাক্ষাত করা সবই জায়েয। এমনকি স্বামী মারা গেলে স্ত্রী মোহরানাসহ যাবতীয় মীরাছের অংশীদার হবে (আবুদাঊদ হা
উত্তর : শারঈ ওযরের কারণে বাড়িতে একাকী বা জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাকে নেক নিয়তের কারণে পূর্ণ ছওয়াব প্রদান করবেন (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, মানুষ অসুস্থ হ’লে অথবা সফরে থাকলে তার আমালনামায় তাই লেখা
উত্তর : হিজাব পরিহিতা হ’লেও একাকী নির্জনে কোন গায়ের মাহরাম নারীকে পড়ানো যাবে না। কারণ দু’জন বেগানা নারী-পুরুষ একাকী হ’লে তৃতীয়জন থাকে শয়তান (তিরমিযী হা/২১৬৫; মিশকাত হা/৩১১৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৯০৮)। এক্ষণে যদি গায়ের মাহরামকে পড়াতে হয় তাহ’লে নির
উত্তর: ‘বিসমিল্লাহ’ বলে বন্দুকের গুলি ছোড়া হ’লে এবং রক্ত প্রবাহিত হ’লে সে প্রাণীগুলো খাওয়া বৈধ হবে। এছাড়া জীবিত অবস্থায় পেলে যবেহ করে নিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আর তুমি তীর ছোড়ার সময় আল্লাহর নাম নিয়েই ছুড়বে। অতঃপর শিকার একদিন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ
উত্তর : সাধ্যানুযায়ী দাওয়াত দিয়ে যাওয়াই উত্তম হবে এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংকা কর, তাহ’লে তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে) প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়
উত্তর : উক্ত বিবাহ শিবহে নিকাহ হিসাবে গণ্য হবে এবং সন্তানেরা প্রকৃত সন্তান হিসাবেই গণ্য হবে। তারা ওয়ারিছ হিসাবে গণ্য হবে। কারণ মেয়ের পরিবার বিবাহ মেনে নিয়েছে এবং উক্ত বিবাহ রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে হয়েছে (ইবনু কুদামা, মুগনী ৭/০৮, ১১/১৯৬; ইবনু তা
উত্তর : জারজ নারীকে বিবাহ করা জায়েয। কারণ পিতা-মাতার পাপ সন্তানের উপর বর্তাবে না (আন‘আম ৬/১৬৪; ছহীহাহ হা/২১৮৬)। এক্ষণে মেয়ে যদি তাক্বওয়াশীল হয়, তাহ’লে তাকে বিবাহ করায় কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/১৬৬)। উল্লেখ্য যে, অবৈধভাবে জন্ম নেওয়া নারীর অভিভা
উত্তর : মোহরানা বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা ফরয হিসাবে প্রদান কর’ (নিসা ৪/৪)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সর্বাধিক প্রয়োজনীয় শর্ত হ’ল, তোমরা যা দ্বারা মহিলার লজ্জাস্থান হালাল করবে, তা আদায় করা (আবুদাউদ
উত্তর : অনীহা বশতঃ বিবাহ না করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে আল্লাহভীরু। আমি ছিয়াম রাখি, ছালাত আদায় করি এবং আমি বিবাহ করেছি। অতএব যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল, সে ব্যক্তি আমার
উত্তর : এধরনের দাওয়াতে অংশ গ্রহণ করা উচিত নয়। আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেন, ‘ঐসব লোকদের পরিত্যাগ করুন যারা তাদের ধর্মকে ক্রীড়া ও কৌতুকরূপে গ্রহণ করেছে এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলেছে (আন‘আম ৭০)।
উত্তর : কেউ যদি একই বিষয়ে একাধিকবার কসম করে এবং তা ভঙ্গ না করে তাহ’লে তা একই কসমের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই উক্ত ব্যক্তি যদি এখন রাসূলের কথা জানতে পারে এবং তওবা করে কসম ভঙ্গ করে, তাহ’লে তাকে একটি কসম ভঙ্গের কাফফারা দিতে হবে। কসম ভঙ্গের কাফফারা হচ
উত্তর : রামাযান মাসে বিবাহ করার বিশেষ কোন গুরুত্ব নেই। বরং বছরের যেকোন মাসে ও যেকোন দিনে বিবাহ হ’তে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৮/৪২)।প্রশ্নকারী : আতীকুল ইসলামভাড়ালীপাড়া, রাজশাহী।
উত্তর : মসজিদে বিবাহ পড়ানো সংক্রান্ত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/১৮৫; ইরওয়া হা/১৯৯৩; মিশকাত হা/৩১৫২’ যঈফাহ হা/৯৭৮; যঈফুল জামে‘ ৯৬৬)। তবে এই হাদীছের উপর ভিত্তি করে জমহূর ফক্বীহগণ বরকত এবং বিবাহের প্রচারের স্বার্থে মসজিদে বিবাহ পড়ানোকে মুস্তাহাব বলেছেন
উত্তর : এক বৈঠকে তিন তালাক এক তালাক গণ্য হয় (মুসলিম হা/১৪৭২; আহমাদ হা/২৮৭৭; হাকেম হা/২৭৯৩)। কাজেই কেউ তার স্ত্রীকে এক বৈঠকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারে। ইদ্দতের (তিন তোহরের) মধ্যে হ’লে স্বামী সরাসরি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেবে। ইদ্দত প
উত্তর : বিবাহ পড়ানোর সুন্নাতী পদ্ধতি হ’ল, প্রথমে বিবাহের খুৎবা পড়তে হবে (মুগনী ৭/৬২)। কোন বিয়েতে খুৎবা পূর্বে পাঠ করা না হ’লে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) সে বিবাহ অনুষ্ঠান ত্যাগ করতেন (আবুন নাজা, আল-ইক্বনা‘ ৩/১৬২; বাহূতী, কাশশাফুল কেনা‘ ৫/২১)। কারণ
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ‘খোলা’ কার্যকর হয়েছে। ‘খোলা’ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ যা নারীর পক্ষ থেকে হয় স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৮/১৮১; শাওকানী, নায়লুল আওতার ৬/২৯৫) কারণ ‘খোলা’ তালাক নয় বরং বিবাহ ব
উত্তর : অভিভাবক ও মেয়ের সম্মতিক্রমে বিবাহ সম্পন্ন হওয়াই শরী‘আত সম্মত। এক্ষণে পিতা যদি সম্পদ বা প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে কোন ফাসেক ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে বাধ্য করে, তাহ’লে মেয়ের জন্য উক্ত বিবাহ ভঙ্গ করার অধিকার থাকবে (নাসাঈ হা/৩২৬৯
উত্তর : বাদ্যযন্ত্র ও অশ্লীল গান-বাজনা হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সত্বর আমার উম্মতের মধ্যেকার কিছু লোক রেশমী কাতান, রেশমী কাপড়, মদ ও গান-বাদ্যকে হালাল মনে করবে (বুখারী তা‘লীক্ব, হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লো
উত্তর : সমাজে যত কুসংস্কার চালু আছে, এটি তার অন্যতম। এগুলো থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
উত্তর : পিতা বা কোন অভিভাবক সাবালিকা মেয়ের মতামত ছাড়া বিয়ে দিতে পারেন না (বুখারী, মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৯২২; বুখারী, মিশকাত হা/৩১২৮)।
উত্তর : এটি সামাজিক কুসংস্কার মাত্র।
উত্তর : পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া কাবীরা গোনাহ সমূহের অন্তর্ভুক্ত (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৫০)। কোন মেয়ে পিতা বা অভিভাবকের সম্মতি ব্যতীত বিবাহ করলে বিবাহ বাতিল বলে গণ্য হবে (আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তবে সাবালক ছেলে যদি ঐরূপ বিবাহ ক
উত্তর : দাদীর দুধ পান করায় চাচা দুধ ভাই হিসাবে গণ্য হবে। ফলে দুধ ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা হারাম (নিসা ৪/২৩)। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর চাচা হামযাহ (রাঃ) একই মায়ের দুধপান করেছিলেন। সেকারণ হামযার মেয়ের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হ’লে তিনি বলে
উত্তর : স্বামীর চাচা বা মামা তথা চাচা শ্বশুর বা মামা শ্বশুর স্ত্রীর মাহরাম নয়। সেজন্য স্ত্রীকে তাদের থেকে যথাযথভাবে শারঈ পর্দা করতে হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৫৫০/০৩)। কারণ কুরআনে যে মাহরামদের কথা বলা হয়েছে এরা তাদের মধ্যে নয় (নিসা ৪/২৪)
উত্তর : মোহর হিসাবে প্রদানকৃত গহনা শাশুড়ী ফেরত পাবে না। কারণ এটি ছেলেকে দান করা হয়নি বরং ছেলের স্ত্রীকে মোহর হিসাবে দেওয়া হয়েছে, যা তার অধিকার। তাছাড়া পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সন্তানকে দানকৃত বস্ত্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য চারটি শর্ত প্রযোজ্য। (১) দান
উত্তর : দ্বিতীয় স্বামীর পক্ষ থেকে উক্ত নারীর অন্যত্র বিবাহের ব্যাপারে কোন আপত্তি না থাকাটা তালাকের শামিল। তালাকের নিয়তসহ এরূপ ইঙ্গিতবহ বাক্য উল্লেখ করে তালাক প্রদান করাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। আর যেহেতু প
উত্তর : একজন আদর্শ স্ত্রীর কর্তব্য হ’ল স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং তার আনুগত্য করা। জনৈক মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে কথা বলা সম্পন্ন করলে তিনি তাকে বললেন, হে অমুক! তোমার স্বামী আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন, তুমি তার জন্য কেমন? সে
উত্তর : এই ধরনের বাধ্যবাধকতা ইসলামী শরী‘আতে নেই। বরং যে বিবাহে খরচ কম হয়, সে বিবাহকে হাদীছে বরকতপূর্ণ বলা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে বিবাহ সহজে সম্পন্ন হয়, তা-ই উত্তম বিবাহ (আবুদাউদ হা/২১১৭; ছহীহাহ হা/১৮৪২)। যে নারীর বিবাহের মোহর কম, সে বিবাহ
উত্তর : একাধিক স্ত্রীর মাঝে মোহরানায় প্রয়োজনে কম-বেশী হ’তে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/২১১)। তবে রাত্রিযাপন, বাসস্থান ও ভরণ-পোষণের ক্ষেত্রে সাধ্যমত ইনছাফ করতে হবে (নিসা ৪/৩; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/২৬৯; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/১৫১)
উত্তর : উভয় পক্ষ পরস্পরে জানাশোনা ও বিশ্বস্ত হ’লে মেয়ের অভিভাবকের উপস্থিতিতে দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ সাক্ষীর সামনে মোবাইলের মাধ্যমে ছেলে সম্মতি প্রকাশ করলে বিবাহ সিদ্ধ হবে (আবুদাউদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩১৩০; ইরওয়াউল গালীল ৬/২৪০)। কারণ বিবাহের রুকন হ’ল&
উত্তর : বর্তমান মুসলিম সমাজে স্ত্রীর কাছ থেকে যৌতুক গ্রহণের রীতি মূলতঃ হিন্দুয়ানী রীতির অনুকরণ মাত্র। কেননা হিন্দু উত্তরাধিকার নীতিতে কন্যা সন্তান পিতা-মাতার সম্পত্তির অংশ পায় না। তাই বিয়ের সময় মেয়েকে সাধ্যমত সবকিছু দিয়ে দেয়। যা যৌতুক নামে পর
উত্তর : বিবাহের জন্য নবী করীম (ছাঃ) যে সামর্থ্যের কথা বলেছেন, সেটা মূলতঃ মোহর ও ভরণ-পোষণের সামর্থ্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮০; মিরক্বাত ৬/১৮৬)। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যা পূরণ করা আবশ্যক (বুখারী, মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৯৮৯)। সুতরাং
উত্তর : স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিতে পারে না। তবে স্ত্রী যেকোন সময়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাবার অধিকার রাখে। যাকে শরী‘আতে ‘খোলা’ বলে। এ সময় স্ত্রী তার মোহরানা স্বামীকে ফেরৎ দিবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ছাবেত ইবনু ক্বায়েস
উত্তর : প্রথমা স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া শর্ত নয়। সামর্থ্য থাকলে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করার অধিকার রাখে (নিসা ৩; বুখারী হা/৪৮৭৮)। তবে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ইনছাফ করতে হবে এবং কারো অধিকার আদায়ে কোনরূপ ত্রুটি করা যাবে না। কারণ আখেরাতে এর পরিণাম হবে অত্
উত্তর : এসবের অধিকাংশ অনৈসলামী সংস্কৃতির অনুকরণ। তাই এসব আচার ও প্রথা সাধ্যপক্ষে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কর্তব্য। কেননা এসব ক্ষেত্রে প্রায়ই শিরক, বিদ‘আত এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব থাকে। আর যে কোন বিদ‘আতী প্রথা সর্বক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য (ব
উত্তর : স্বামীর জন্য ফরয কর্তব্য হ’ল স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মোহরানা পরিশোধ করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের ফরয মোহরানা পরিশোধ কর’ (নিসা ৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বিবাহের সবচেয়ে বড় শর্ত হ’ল মোহর’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত
উত্তর : কোন নারী অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে পারবে না। রাসূল (ছাঃ) এরূপ বিবাহকে বাতিল (৩ বার) বলেছেন (তিরমিযী হা/১১০১; আবুদাঊদ হা/২০৮৫; মিশকাত হা/৩১৩০-৩১)। তিনি বলেন, ‘কোন মহিলা নিজেকে বা অপর মহিলাকে বিবাহ দিতে পারবে না’
উত্তর : বোনের নাতনী বোনের মতই মাহরাম। তথা বোনের নাতনী নিজের নাতনীর সমতুল্য। সুতরাং বোনের নাতনীকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ বলেন, তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগিনেয়ী’ (নিসা ৪/২৩)। উক্ত আয়াতের তাফসীরে মুফা
উত্তর : কারো স্ত্রী থাকা অবস্থায় তাকে বিবাহ করলে সেটি বিবাহ হিসাবে গণ্য হবে না। বরং সহবাস করলে তা ব্যভিচার হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ...সকল সধবা নারী তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ (নিসা ৪/২৪)। আর ব্যভিচার কবীরা গুনাহ (ইসরা ১৭/৩২)। এক্
উত্তর : শয়তান (ইবলীস) জিনদের অন্তর্ভুক্ত। পুরুষ-নারী উভয় প্রকার জিন আছে (নিসা ১১৭; আহমাদ হা/২১২৬৯)। আর তাদের সন্তানও রয়েছে (কাহফ ৫০)। সন্তান থাকলে অবশ্যই তার স্ত্রীও আছে। অতএব তারাও বিয়ে করে থাকে, সন্তান হয়, বংশও বৃদ্ধি হয়। তবে সঠিক বিষয় আল্লাহ জানেন
উত্তর : মিথ্যা বলা বা মিথ্যা কসম করা হারাম। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক রক্ষা বা জীবন রক্ষার মত কঠিন পরিস্থিতি এলে মিথ্যা কসম করা জায়েয (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১/৫৪)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা বলা যায়। সেগুলি হ’ল : (১)
উত্তর : অবশ্যই হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তোমরা তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল তাদেরও। যদি তারা নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। আল্লাহ প্রাচুর
উত্তর : মোবাইলে বিবাহের পর অলীমা করা যায়, যদিও বাসর না হয়। কেননা বিবাহ সংঘটিত হয়েছে (ফাৎহুল বারী হা/৫১৬৬-এর পূর্বের আলোচনা ‘অলীমা’ অনুচ্ছেদ, ৯/২৩১ পৃ.)। তবে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের অলীমা বাসরের পরে ছিল (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩২১২; ইবনু তায়মিয়াহ, আ
উত্তর : এক্ষেত্রে স্ত্রী মোহরানাসহ স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে। কারণ সে শরী‘আত সম্মতভাবে স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করেছে (তিরমিযী হা/১১৪৫; আবুদাউদ হা/২১১৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩২০৭)। একদিন জনৈক ব্যক্তি ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, এক ব্যক্তি
উত্তর : কেবল অপসন্দের দোহাই দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া ঘৃণিত কাজ। বরং স্ত্রীর কোন কিছু অপসন্দ হ’লে মনে করতে হবে আল্লাহ হয়ত এর মধ্যে কল্যাণ রেখেছেন। আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। যদি তোমরা তাদের অপসন্দ কর, (তবে হ’তে পারে)
উত্তর : তাদের প্রথম বিবাহটি শরী‘আতসম্মত হয়নি। কারণ তাতে পিতা বা অভিভাবকের সম্মতি ছিল না। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে নারী তার অলীর অনুমতি ছাড়া বিবাহ করবে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল’ (তিরমিযী হা/১১০২; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। অত
উত্তর : বিবাহের ক্ষেত্রে কন্যা পক্ষের কোন দায়িত্ব নেই মেহমানদারী ব্যতীত। আর ছেলে পক্ষের উপর অলীমা করা ওয়াজিব। এক্ষণে প্রশ্নমতে নেকীর কাজে যে কেউ যে কাউকে সাহায্য করতে পারে (মায়েদাহ ৫/২)। বরং এরূপ ভালো কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা উত্তম। ৫ম হিজর
উত্তর : যে কোন মুসলিম নর-নারী পরস্পরের মধ্যে বিয়ে-শাদী করতে পারে। এক্ষণে (১) কোন মাযহাবী ব্যক্তি যদি ছহীহ হাদীছ পাওয়ার পরেও তা মানতে অস্বীকার করে ও নিজ মাযহাবী ভুলের উপর দৃঢ় থাকে (২) ওই ব্যক্তি যদি শিরক ও বিদ‘আতে অভ্যস্ত হয় এবং তা ছাড়তে রাযী
উত্তর : উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে সালিসী বৈঠকের সিদ্ধান্ত শরী‘আত সম্মত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে খোলা‘ কার্যকর হয়েছে। খোলা‘ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ হয় নারীর পক্ষ থেকে, যা স্বামীকে মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কার্যকর হয়। এটি তালাক নয় (ইবনু
উত্তর : এগুলি কুসংস্কার মাত্র। যা বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)।
উত্তর: যদি সে তালাকে রাজঈ অর্থাৎ এক তালাক অথবা দুই তালাক দিয়ে থাকে, তবে নতুন বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে পারবে। যদি এক সঙ্গে তিন তালাক দেয় তবুও। কারণ এক সঙ্গে হাযার তালাক দিলেও এক তালাকই গণ্য হয় (আবুদাঊদ হা/২১৯৬; মুসলিম হা/১৪৭২)। তবে যদি তিন
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদেরকে খুশীমনে (অফেরতযোগ্য) মোহরানা প্রদান কর’ (নিসা ৪)। এটি ফরয (নিসা ২৪-২৫)। এর সরাসরি বিপরীত হ’ল স্ত্রীর নিকট হ’তে যৌতুক নেওয়া। যা আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। প্রকৃত মুসলমান ছেলেদের এ বিষয়ে সাবধ
উত্তর : আপন ভাতিজীকে বিবাহ করা হারাম। আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আপন ভাইয়ের মেয়ে (আপন ভাতিজী)-কে বিবাহ করা হারাম করেছেন (নিসা ২৩)। তবে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাইয়ের মেয়েকে বিবাহ করা জায়েয। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর স্বীয় কন্যা ফাতেমা (রাঃ)-কে
উত্তর : মায়ের চাচাতো বোন মাহরাম নয়। সেজন্য তাকে বিবাহ করায় শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আল্লাহ তা‘আলা যে সকল নারীকে মাহরাম হিসাবে বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে মায়ের চাচাতো বোন নেই (নিসা ৪/২৩)। এর পরই আল্লাহ বলেন, এদের ব্যতীত তোমাদের জন্য সকল নারী হালাল
উত্তর : বিয়ের পরে নফল ইবাদতের জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি কেবল তখন প্রযোজ্য, যখন স্বামী গৃহে অবস্থান করেন (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/২০৩১)। বিয়ের পূর্বে পিতা-মাতার নিকট হতে সম্মতি নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করার সাথে সাথে তার জীবন ধারণের জন্য কিছু চাহিদা দিয়েছেন এবং চাহিদা মিটানোর পদ্ধতিও বলে দিয়েছেন। মানব জীবনে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ন্যায় জৈবিক চাহিদাও গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণের জন্য ইসলাম বিবাহের বিধ
(৮) মোহরানা নির্ধারণ : বিবাহের আগে মোহরানা নির্ধারণ করা এবং বিবাহের পর তা স্ত্রীকে দিয়ে দেওয়া ফরয। আল্লাহ বলেন, وَآتُوا النَّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ‘তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহরানা খুশী মনে প্রদান কর’ (নিসা ৪/৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, فَآتُوْهُنّ
উত্তর : কোন বিবাহিতা নারীকে আগাম বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হারাম। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যে সকল নারীকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছে বিবাহিতা নারী (নিসা ৪/২৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৯/১৯১)। এমনকি বিবাহিতা কোন নারীর সংসার ভেঙ্গে যায়, এমন
উত্তর : পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল (নিসা ৪/৩৪)। সেকারণ পরিবারের যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব পিতার। এ দায়িত্ব পালন না করলে তিনি পাপী হবেন এবং তওবা না করলে যুলুমের জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির ভাগিদার হবেন (নিসা ৪/৩৪, বুখারী হা/৭১৩৮; মুসলিম হা/
উত্তর : বিশেষ ফযীলত মনে করে উক্ত দিবসে বিবাহের দিন ধার্য করা যাবে না। কেননা ১০ই মুহাররমে নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’টি নফল ছিয়াম পালন ব্যতীত এ মাসে অন্য কিছুই করণীয় নেই। যার দ্বারা বিগত এক বছরের (ছগীরা) গোনাহ সমূহ মাফ করা হয় (মুসলিম, মিশক
উত্তর : এ ব্যাপারে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার দ্বীনদারী এবং উত্তম আচরণে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে বিবাহ দাও’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০)। কারণ সে এজন্য দোষী নয়; বরং দোষী তার পিতা-মাতা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈকা গামেদী মহিলার অব
উত্তর : অমুসলিম পিতা-মাতা, কিংবা ভাই ও চাচারা অভিভাবক হওয়ার যোগ্য নয়। এমতাবস্থায় স্থানীয় মুসলিম নেতা বা মসজিদের ইমাম তার অভিভাবক হবেন। শরী‘আতে মুসলিম অভিভাবকের অবর্তমানে মুসলিম শাসকের কথা এসেছে (ইবনু মাজাহ হা/১৮৮০, মিশকাত হা/৩১৩১)। এর মধ্যে স
উত্তর : মেয়ের বিবাহের ক্ষেত্রে অলী বা অভিভাবকের অনুমতি আবশ্যক (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩১৩০)। তবে স্রেফ আক্বীদাগত কারণেই যদি পিতা বাধা হয়ে দাঁড়ান, সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্য বা সমাজের মুসলিম ধর্মীয় নেতা অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে বিবাহ দিবেন। কেননা
উত্তর : এধরনের দাওয়াতে অংশ গ্রহণ না করাই উত্তম। আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেন, ‘ঐসব লোকদের পরিত্যাগ কর যারা তাদের ধর্মকে খেল-তামাশারূপে গ্রহণ করেছে এবং পার্থিব জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলেছে (আন‘আম ৬/৭০)। তবে এতে যেন পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট না হয় সেদ