উত্তর : অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘অতঃপর যার নিকটে তার প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ এসে গেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তার জন্য পিছনের সব গোনাহ মাফ। তার (তওবা কবুলের) বিষয়টি আল্লাহর উপর ন্যস্ত’ (বাক্বারাহ ২/২৭৫)।
ভূমিকা :কুরআন মানব জীবনের সংবিধান। এটা স্রেফ ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। এটা মানুষের জীবনবোধের কথা বলে। আখেরাত ও দুনিয়াবী জীবনের সার্বিক কল্যাণের বার্তা তুলে ধরে। এই কিতাব মুমিন বান্দার হৃদয়ে সৃষ্টি করে ঈমানের বুনিয়াদ। এলাহী দ্যোতনায় তার জীবনকে করে তোলে সুরভিত
উত্তর : উক্ত বর্ণনার ছহীহ কোন ভিত্তি নেই। আর উক্ত মর্মে কিছু আংশিক বর্ণনা পাওয়া গেলেও তার সবগুলোই যঈফ অথবা জাল (আলবানী, যঈফুল জামে‘ হা/৫৭৮০-৮৩; যঈফুত তারগীব হা/৯৭৫)। তবে সূরা ইখলাছের ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন-আবু হ
উত্তর : মাদ্দে মুত্তাছিল ৪ আলিফ টেনে পাঠ করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়। এতে ভুল হ’লে গুনাহ নেই। তবে সাধ্যমত মাদ্দের স্থানে এমন দীর্ঘস্বরে পাঠ করা কর্তব্য, যাতে শব্দের অর্থের কোন পরিবর্তন না হয়। অর্থাৎ যেখানে মাদ্দ নেই সেখানে দীর্ঘস্বরে পড়া যাবে না। আ
উত্তর : আল-কুরআনে পারা, রুকূ ও মানযিলসহ অন্যান্য বিষয়গুলো ইজতিহাদী বিষয়, যা পরবর্তীকালে সংযোজিত হয়েছে। বিশেষ করে এগুলো হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আমলে সংযোজিত হয়। যদিও ইতিপূর্বে ছাহাবীদের আমলে কেবল সূরার ভিত্তিতেই কুরআনের বিভাজন করা হ’ত (ইবনু তায়ম
উত্তর : অনিচ্ছাকৃতভাবে কুরআন পড়ে গেলে কিংবা পা লাগলে ভীতি ও শ্রদ্ধার সাথে তওবার মন নিয়ে ‘ইন্নালিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজে‘উন’ পাঠ করবে (বাক্বারাহ ২/১৫৬; মুসলিম হা/৯১৮; মিশকাত হা/১৬১৮)। অনুরূপভাবে কারো শরীরে বা সম্মানজনক কিছুর
উত্তর : এরূপ আমল করা যাবে। কিন্তু এর জন্য সময় নির্দিষ্ট করা জায়েয নয়। কেননা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না।উল্লেখ্য যে, সূরা ইখলাছ তিনবার তেলাওয়াত করলে একবার পুরো কুরআন তেলাওয়াতের নেকী পাওয়া যায়। কেবল ফজরের পর নয় বরং যেকোন স
উত্তর : আদব শিক্ষার জন্য এমন নিয়ম করা প্রশংসনীয় কাজ। কারণ কুরআন তেলাওয়াত করাতে শিক্ষার্থীরা এক সময়ে কুরআন পাঠে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে এবং ছালাতের রাক‘আত ছুটে যাওয়া থেকেও বিরত থাকবে। আর এজন্য সাত বছরের শিশুদের ছালাত আদায়ের প্রশিক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। দশ
উত্তর : পবিত্র কুরআন মুমিনদের জন্য রোগ নিরাময়কারী এবং রহমত। সুতরাং উক্ত দো‘আ হতাশা দূর করার জন্য পাঠ করা যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/২৪৪-৪৬; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৩৩৭)। দো‘আটি হ’ল- রবেব ইন্নী বিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খায়রিন ফ
উত্তর : কবরের পাশে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে বা যে কোন স্থানে গিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করা বিদ‘আত (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/৩৩৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/৪৩)। কবরস্থানে গিয়ে সূরা ইয়াসীন পাঠের ফযীলত
উত্তর : অর্থ না বুঝে কুরআন তেলাওয়াত করলেও তেলাওয়াতের ছওয়াব পাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব হ’তে একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। তবে কুরআন বুঝে তেলাওয়াত করা অধিক ছওয়াবের কা
মহাবিশ্ব নিয়ে জল্পনাকল্পনার শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা এর মাত্র ৫ শতাংশ সম্পর্কে তথ্য বের করতে সক্ষম হয়েছে। এখনো ৯৫ শতাংশ বিজ্ঞানীদের নিকট রহস্যে ঘেরা। আমরা স্রেফ আল-কুরআনে বর্ণিত মহাকাশ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক তথ্য সম্বলিত আয়াতসমুহ পেশ করার চেষ্টা করব। আল্লাহ
উত্তর : আয়াতের শেষে লম্বা করে টানা যায়। তবে আয়াতের মধ্যে এক আলিফের স্থানে চার আলিফ টানা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। কেউ না জেনে টান দিয়ে পড়লে ছালাত বাতিল হবে না। কিন্তু জেনে শুনে যেখানে টান নেই সেখানে দীর্ঘ টান দিয়ে অর্থ বিকৃত করে ফেললে গুনাহ হবে। ত
উত্তর : সূরা মুলক রাতে পাঠ করার যেমন ফযীলত রয়েছে তেমনি সাধারণভাবে যেকোন সময় পাঠেরও ফযীলত রয়েছে। তবে এটি রাতে পাঠ করাই উত্তম। সূরা মুলক সাধারণভাবে পাঠের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, এটি তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবে এবং জান্নাতে প্
উত্তর : মোবাইলে কুরআন পাঠ করা যায়। যদিও বিদ্বানগণ মুছহাফ থেকে তেলাওয়াতকে উত্তম বলেছেন। কারণ এতে অন্তরে অধিক পরিতৃপ্তি লাভ হয় (নববী, আত-তিবইয়ান ফি আদাবি হাম্মালাতিল কুরআন ১০০ পৃ.; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১৬৬)। তবে যে পদ্ধতিতেই তেলাওয়াত করা হৌক না
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ছহীহ (আহমাদ হা/১৫৬৪৮;ছহীহাহ হা/৫৮৯)। অতএব উক্ত ফযীলত প্রাপ্তির আশায় সূরা ইখলাছ পাঠ করা যায়।প্রশ্নকারী : মিশকাত উজ্জ্বল*, মাতুয়াইল, ঢাকা।*[সুন্দর ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : পাপী মানুষ ও পাথরকে জাহান্নামের অন্যতম ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা হবে। মানুষের মধ্যে যারা আল্লাহতে অবিশ্বাসী, বিদ্রোহী এবং পাথরের মধ্য হ’তে ঐ সকল পাথরকে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হবে, যে সকল পাথর দ্বারা মূর্তি বানিয়ে আল্লাহর সাথে শিরক কর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৫
উত্তর : যাবে। এতে পূর্ণ নেকীও অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব হ’তে একটি হরফ পাঠ করবে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। অতএব মুখস্ত হৌক, মুছহাফ দেখে হৌক আর কম্পিউটারে দেখে হৌক, সবক্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে তাওহীদ, পরকাল, জান্নাত এবং জাহান্নাম সম্পর্কে যে সকল আয়াত নাযিল করেছেন তাতে আল্লাহর অস্তিত্ব ও একত্ব প্রকাশ করার পাশাপাশি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রদান করেছেন,
উত্তর : ছালাত আদায়ে খুশূ‘-খুযূ বজায় রাখতে হবে। এক্ষণে তেলাওয়াতের সময় কারো মনোযোগে বিঘ্ন সৃষ্টি হ’লে বা মনোযোগ না থাকলে পুনরায় সূরা ফাতিহা পড়তে হবে না। বরং যখনই ধারণা করবে যে, তার মনোযোগ নেই, তখনই মনোযোগ ফিরিয়ে আনবে (মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৯৯;
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।ইতিপূর্বে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ, সাত আসমান এবং পৃথিবীর সাত স্তর সম্পর্কে কুরআনের নিদর্শন এবং বিজ্ঞানীদের গবেষণায় কি আছে তা আলোচনা করা হয়েছে। এ আলোচ্য নিবন্ধে আমরা যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব তা হ’ল আল্লাহ
উত্তর : উক্ত বর্ণনা কোন হাদীছের নয়। বরং জনৈক মুফাসসির বর্ণনা করেছেন। তিনি মনে করেন যে, বিসমিল্লাহ-সহ সূরা ফাতিহায় আটটি আয়াত রয়েছে এবং প্রত্যেকটি আয়াত পাঠে জান্নাতের এক একটি দরজা খুলে যাবে (আবু ইউসুফ যায়েদ, ফায়যুর রহমান তাফসীরু জাওয়াহিরিল কু
উত্তর : যারা বলেন শবে ক্বদরে, তাদের কথাই ঠিক। কেননা শবেবরাতে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে স্পষ্ট কোন দলীল নেই। আর শবে ক্বদরে নাযিল হয়েছে বলে স্পষ্ট দলীল রয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, আমরা এটি নাযিল করেছি ক্বদরের রাত্রিতে’ (ক্বদর ৯৭/১)। তিনি বলেন, ‘রামা
ভূমিকা : পবিত্র কুরআন একটি চিরন্তন, শাশ্বত, মহাগ্রন্থ ও পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। এটি মহাসত্যের সন্ধানদাতা, সর্বশেষ ও সর্বাধুনিক ইলাহী কিতাব। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য জ্ঞান ও হেদায়াত লাভের উৎসমূল। রাসূল (ছাঃ) বলেন,عَلَي
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সাত আসমান এবং অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবীআল্লাহ রাববুল আলামীন পৃথিবীকে বিচিত্র ধারায় সৃষ্টি করেছেন। সাত আসমানের মত পৃথিবীরও যে সাতটি স্তর রয়েছে, তা বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণার আলোকে পেশ করা হ’ল।-পৃথিবীর সাত স্তরআল্লাহ বলেন,اللهُ الَّذِي خَ
মহাবিশ্ব নিয়ে মানুষের গবেষণা খুবই প্রাচীন। এক সময় মানুষ ধারণা করত যে, মহাবিশ্বের মোট আয়তন স্থির। উপরের দিকে তাকালে যতটুকু দেখা যাচ্ছে ততটুকুই আকাশের সীমা। মহাবিশ্বের প্রকৃতি উদ্ঘাটন নিয়ে চলছে গবেষণা। আর আল্লাহ তা‘আলা তার নবী (ছাঃ)-এর উপর নাযিল করেছেন
উত্তর : এমতাবস্থায় তেলাওয়াত বা বক্তব্য বন্ধ রেখে আযানের জওয়াব দেওয়াই উত্তম। কেননা আযানের জওয়াব পরে দেওয়ার সুযোগ থাকে না। আর একাধিক আযান হ’লে একটির জওয়াব দিলেই যথেষ্ট হবে। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘আযান শুনলে তেলাওয়াত বন্ধ করে আযানের শব্দগুলোর জওয়াব
হাদীছ ও কুরআন পরস্পরের পরিপূরক। উভয়টিই ইসলামী শরী‘আতের অপরিহার্য দু’টি অঙ্গ। তবে হাদীছ বা সুন্নাহর মূল পরিচয় হ’ল তা কুরআনুল কারীমের ব্যাখ্যা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে তাঁর নবুঅত ও রিসালাতের জন্য মনোনীত করতঃ তাঁর উপর কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ
পৃথিবীতে তিন ধরনের জ্ঞানের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। যথা- (১) জন্মগত জ্ঞান, (২) অহীর জ্ঞান, (৩) দুনিয়াবী জ্ঞান।(১) জন্মগত জ্ঞান : এই জ্ঞান আললাহ তা‘আলা মানুষের জন্মের সাথে সাথে তার মধ্যে দিয়ে দেন। যেমন- একজন শিশু ব্যথা পেলে বা ক্ষুধা পেলে কান্না করা,
উত্তর : এটি হাদীছ ও কবর আযাব অস্বীকারকারীদের বক্তব্য। যা সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী। আল্লাহ বলেন, (১) আল্লাহ মুমিনদের দৃঢ় বাক্য দ্বারা মযবূত রাখেন ইহকালীন জীবনে ও পরকালে (ইব্রাহীম ১৪/২৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছে ক
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ (বুখারী হা/৭৫২৭)। মধুর সুরে তেলাওয়াতের অর্থ হচ্ছে নিজ স্বভাবজাত সুরে কুরআনকে শ্রুতিমধুর করে তোলা (নববী, শরহ মুসলিম ৬/৭৮; মির‘আত ৭/২৬৮)। যেমন রাসূল (ছাঃ) অন্যত্র বলেন, ‘তোমাদের (সুমিষ্ট) শব্দ দ্বার
উত্তর : মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের পাশে নিয়মিত বা অনিয়মিত কোনভাবেই কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোন মৃতকে...’ (নমল ২৭/৮০)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এরূপ কোন আমলের প্রমাণ পাওয়া যায় না। ইবনু তায়মিয়াহ
উত্তর : যাবে না। কারণ এটি দৈহিক ইবাদত। যার নেকী কেবল ব্যক্তি পাবেন। অতএব যে ব্যক্তি এটি তেলাওয়াত করবে সে-ই এর ফযীলত লাভ করবে, অন্য কেউ নয়। কারণ ‘মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়’ (মুসলিম হা/২৬৮২)। তবে যেকোন সময় সন্তান দো‘আ করলে, ছাদাক্
উত্তর : জুম‘আর দিন সূরা জুম‘আ পাঠের বিশেষ কোন ফযীলত ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তবে রাসূল (ছাঃ) মাঝে মধ্যে জুম‘আর রাতে এশার ছালাতের প্রথম রাক‘আতে সূরা জুম‘আ পাঠ করতেন (মুসলিম হা/৮৭৯; আবুদাউদ হা/১১২৫)। তাছাড়া সূরা জুম‘আ মুফাছ্ছাল সূরা সমূহের অন্তর্ভুক্ত
উত্তর : সূরা বাক্বারার প্রথম পাঁচ আয়াত পাঠের বিশেষ কোন ফযীলত হাদীছে বর্ণিত হয়নি। সূরা বাক্বারার প্রথম চার আয়াত, আয়াতুল কুরসী, শেষ তিন আয়াত, আলে ইমরানের প্রথম আয়াত পাঠের ফযীলত সম্পর্কে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেটি অত্যন্ত যঈফ (আহমাদ হা/২১২১২; মাজ
উত্তর : হায়েয ও নিফাসওয়ালী নারীদের জন্য বিশুদ্ধ মতে কুরআন তেলাওয়াত যেমন জায়েয, তেমনি লেখাও জায়েয (শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২০৯)।প্রশ্নকারী : রেযাউল করীম, খলীফাপাড়া, রংপুর।
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের পূর্বে কোন বিশেষ দো‘আ বা আমল নেই। বরং ওযূ করে ‘আ‘উযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ বলে তেলাওয়াত শুরু করবে (ওয়াক্বি‘আহ ৫৬/৭৭-৮০; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/২৬৬-৬৭)। আর তেলাওয়াতের পূর্বে নিয়মিত দরূদে ইব্র
উত্তর : এ মর্মে দায়লামী তার মুসনাদুল ফিরদাউসে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। যা মওযূ‘ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯)।প্রশ্নকারী : জাহাঙ্গীর আলম, মোহনপুর, রাজশাহী।
উত্তর : আল্লাহর নাম বা আয়াত বিশিষ্ট বই-পত্র বা পুরাতন কাগজগুলো পুড়িয়ে ফেলা জায়েয। বরং পদদলিত বা অপমানিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সেগুলো দ্রুত পুড়িয়ে ফেলাই কর্তব্য। ওছমান (রাঃ) কুরআন সংকলন করার পর ছিন্ন কপিগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন (
উত্তর : কুরআন ভুলে যাওয়া মন্দ কাজ। বিশেষতঃ অলসতা বশতঃ এরূপ হলে তা আরো নিন্দনীয়। আবুল ‘আলিয়া (রহঃ) বলেন, আমরা কোন ব্যক্তির কুরআন শিক্ষার পর তা থেকে চোখ ফিরিয়ে রাখার কারণে ভুলে যাওয়াকে বড় পাপ হিসাবে গণ্য করতাম’। ইবনু সীরীন বলেন, কেউ কুরআন ভুল
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের কতিপয় আদব হ’ল পবিত্রতা অর্জন করা (আবুদাঊদ হা/১৭; নাসাঈ হা/৩৮; মিশকাত হা/৪৬৭; ছহীহাহ হা/৮৩৪)। মিসওয়াক করা (ইবনু মাজাহ হা/২৯১; ছহীহাহ হা/১২১৩)। ক্বিবলামুখী হওয়া (আলে ইমরান ৩/১৯১)। তেলাওয়াতের শুরুতে আঊযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লা
উত্তর : যেকোন সূরা বা দো‘আ পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে সে পানি চিকিৎসা হিসাবে পান করা যাবে। এটি সূরা বা দো‘আর বরকত হিসাবে গণ্য হবে, ব্যক্তির ফুঁকের বরকত হিসাবে নয় (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/৯৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৬৭, ১/১০৭-৮; আব্দুল মুহসিন
উত্তর : যে সকল আয়াতের জবাব দেওয়ার ব্যাপারে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। তা নিম্নরূপ-(১) সূরা আ‘লা-তে ‘সাবিবহিস্মা রবিবকাল আ‘লা’-এর জওয়াবে ‘সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা’ (মহাপবিত্র আমার প্রতিপালক, যিনি সর্বোচ্চ) (আহমাদ, আবূদাঊদ হা/৮৮৩, মিশকাত হা/৮৫৯)।(২) সূরা ক্
উত্তর : বিপদাপদে মুক্তির জন্য কুরআন তেলাওয়াত বা আযান দেওয়ার কোন দৃষ্টান্ত রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীদের যামানায় পাওয়া যায় না। বরং কোন মুছীবতে পড়লে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত দোআ‘গুলি পাঠ করবে অথবা ছালাতে দাঁড়িয়ে যাবে (বাক্বারাহ ৪৫; আবুদাঊদ হা/১৩১৯; মিশক
উত্তর : কথাটি স্বীয় জায়গায় সঠিক হ’লেও প্রয়োগক্ষেত্রটি সঠিক নয়। এর ভিত্তিতে কোন একটি নির্দিষ্ট মাযহাবকে অন্ধভাবে অনুসরণ সাব্যস্ত করা অবান্তর। বরং শারঈ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং পবিত্র কুরআন ও ছহীহ আলোকে মাসআলা প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য বিদ্বানদের দলীলভিত্
[ঊনিশ শতকের পূর্বে মুসলমানরা কেন মুদ্রণ প্রযুক্তি গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহ করেনি, কেন বাংলা ভাষায় পবিত্র কুরআন অনুবাদে মুসলমানরা এত দীর্ঘ সময় নিল, কেন তৎকালে আরবী ও ফারসীর পরিবর্তে বাংলা বা অন্য কোন ভাষাকে আলেমগণ ধর্মপ্রচারের ভাষা হিসাবে গ্রহণ করেননি,
উত্তর : সূরা যিলযালের ফযীলত সংক্রান্ত তিরমিযীর উক্ত হাদীছাংশটি মুনকার ও যঈফ। যেখানে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি সূরা যিলযাল পাঠ করবে, সে অর্ধেক কুরআন পাঠের সমপরিমাণ নেকী পাবে’ (তিরমিযী হা/২৮৯৪; মিশকাত হা/২১৫৬ ; সিলসিলা যঈফাহ হা/১৩৪২)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের শুরুতে এক বার ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ এবং ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করবে। অতঃপর তেলাওয়াতরত অবস্থায় কিছুক্ষণ বিরতি নিলে কেবল ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করা মুস্তাহাব। আর সূরার প্রথম থেকে শুরু করলে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করবে (নাহল ১৫/৯৮; নববী, আত-তিবইয়ান ১০০
উত্তর : সঠিক নয়। আলিফ না টেনে পড়লে ছালাতের কোন ক্ষতি বা গুনাহ হবে না (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/১৭৯)। তবে তাজবীদ, মাখরাজ ও ছিফাতসহ সুন্দরভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সর্বোত্তম ক্বারী সেই,
উত্তর : শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা পেতে যেকোন কাজ শুরুর পূর্বে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করা মুস্তাহাব। আল্লাহ বলেন, ‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহ’লে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ (আ‘রাফ ৭/২০০)। আর কুরআন
উত্তর : কুরআনের শিক্ষিকা হায়েযা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারবে, তবে সরাসরি কুরআন স্পর্শ করবে না। বরং হাত মোযা বা কোন প্রতিবন্ধকের মাধ্যমে কুরআন স্পর্শ করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ৫/৪৩১ পৃ.)।প্রশ্নকারী : রবীউল ইসলাম, পুঠিয়া,
উত্তর : হিন্দুদের দাওয়াত দানের উক্ত তরীকা প্রজ্ঞা সম্পন্ন নয়। কেননা এতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ ও ক্ষুব্ধ হবে। তবে অন্যভাবে তাদের দাওয়াত দেওয়ায় বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে এবং ত
উত্তর : এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে যঈফ সনদে কিছু কিছু বর্ণনা এসেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতবাসীকে কুরআন শুনাবেন যাতে লোকেরা মনে করবে তারা কখনো এরূপ শুনেনি (আবুল ফযল রাযী, ফাযায়েলুল কুরআন হা/১৩৩; আলবানী, যঈফাহ হা/১২৪৮)। যেহেতু এটি
উত্তর : হাদীছ ব্যতীত কুরআন অনুসরণের দাবী অবাস্তব। আল্লাহ ছালাত আদায় ফরয করেছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। তিনি যাকাত ও হজ্জ ফরয করেছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। তিনি বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুর
উত্তর : কোন বই বা পত্রিকার পাতায় কুরআনের আয়াত থাকলে তা সম্মানের সাথে রাখতে হবে এবং অন্য কাজে ব্যবহার করা থেকে সাধ্যমত বিরত থাকতে হবে। যদিও তা কুরআনের মুছহাফের সমতুল্য নয়। আর অধিক পুরানো হ’লে বা ব্যবহার অনুপযোগী হ’লে তা পবিত্র স্থানে পুঁতে ফেল
উত্তর : জামা‘আতবদ্ধভাবে হাত তুলে মুনাজাত করা বিদ‘আত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/১৯০)। এর সাথে আবার সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাছ পাঠের বিধান যুক্ত করা আরেক বিদ‘আত। বরং মুনাজাতের সুন্নাতী তরীকা হ’ল একাকী হাত তুলে মুনাজাত করা (আবুদাউদ হা/১৪৮৮; মিশকাত হা/২
উত্তর : উক্ত আয়াতের অনুবাদ- ‘আর তুমি তোমার পরিবারকে ছালাতের আদেশ দাও এবং তুমি এর উপর অবিচল থাক। আমরা তোমার নিকট রূযী চাই না। আমরাই তোমাকে রূযী দিয়ে থাকি। আর (জান্নাতের) শুভ পরিণাম তো কেবল মুত্তাক্বীদের জন্যই’ (ত্বোয়াহা ২০/১৩২)। এর তাফসীরে হাফ
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির নিকট কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। রোগী যদি এরূপ অবস্থায় থাকেন যে, তিনি কুরআন শুনতে চাচ্ছেন। তাহ’লে তার নিকট কুরআন পাঠ করলে তিনি এর দ্বারা উপকৃত হবেন। আর যদি তা
উত্তরঃ তিনি নূরের তৈরী ছিলেন না; বরং তিনি মাটির মানুষ ছিলেন। সূরা মায়েদার ১৫নং আয়াতের শেষাংশের অনুবাদ হচ্ছে ‘তোমাদের কাছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’। এ আয়াতে نُوْرٌ (নূর)-এর ব্যাখ্যা স্বরূপ এসেছে وَكِتَابٌ مُبِيْنٌ (
উত্তরঃ উক্ত আমল শরী‘আত সম্মত নয়। দৈহিক ইবাদত অন্যকে বখশানো যায় না। যেমন একজনের ছালাত অন্যজনের হয় না। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ‘একজনের ছওম অন্যজনে বা একজনের ছালাত অন্যজনে আদায় করতে পারে না’ (মুওয়াত্ত্বা, বায়হাক্বী সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/২০৩৫ ‘ছওম’ অধ্য
উত্তরঃ কুরআন ভুলে যাওয়া বড়ই মন্দ কাজ। চেষ্টা সত্ত্বেও যদি ভুলে যায়, তবে সে গুনাহগার হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কুরআনের প্রতি যথাযথ দৃষ্টি রাখ। আল্লাহর কসম! উট যেমন বাঁধন হ’তে ছুটে চলে যায়, ‘কুরআন তার চেয়ে বেশী দ্রুত চলে যায়’ (বুখা
উত্তরঃ এ সব দরূদ বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন।
উত্তরঃ হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি তাক্বদীরের উপর নির্ভর করে এবং এটি একমাত্র আল্লাহর যিম্মায় রয়েছে। তিনি যাকে চান হেদায়াত দেন (ক্বাছাছ ৫৬)। উক্ত ছাহাবীগণ যালেম ছিলেন না। তাঁদের দ্বন্দ্ব ছিল ধর্ম নিয়ে। তাঁরা নিজেদেরকে সঠিক ধর্মের অধিকারী মনে করতেন।
উত্তরঃ বর্তমানে আমাদের নিকট যেভাবে কুরআন লিখিত আছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর সময় সেভাবেই বহু ছাহাবীগণের স্মৃতিতে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ ছিল। অনেক ছাহাবীর নিকট কুরআনের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন বস্ত্ততে লিপিবদ্ধ ছিল। প্রথম খলীফা আবুবকর (রাঃ)-এর সম
উত্তরঃ কুরআনের মোট আয়াত সংখ্যা কত সে সম্পর্কে কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা পাওয়া যায় না। এ জন্য আয়াত সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। কেউ হয়ত কোন এক আয়াতকে দু’আয়াত হিসাবে গণনা করেছেন আবার কেউ এক আয়াত হিসাবে গণ্য করেছেন। আয়াতের সংখ্যা যায় হোক
উত্তরঃ রামাযান মাসে লাইলাতুল ক্বদরে কুরআন নাযিল শুরু হয়েছে (বাক্বারাহ ১৮৫; ক্বদর ১)। অতঃপর প্রয়োজন মাফিক ২৩ বছরে নাযিল শেষ হয়েছে।
উত্তরঃ উক্ত কথা দলীলবিহীন।
উত্তরঃ উক্ত আয়াত শুধু বিবাহের সাথে যুক্ত নয়। অতএব সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে সৎ পাত্র-পাত্রীকে বিবাহ করতে হবে। তাছাড়া এই আয়াত যার উপর নাযিল হয়েছে তিনিও বিবাহ করেছেন, অপরকে বিবাহ করতে বলেছেন। এমনকি বিবাহ থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে তার উম্মত থেকে
উত্তরঃ কোন বিদ‘আতী অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করা শরী‘আত সম্মত নয়। জন্মদিন, জন্মবার্ষিকী, মৃত্যু বার্ষিকী, শোক দিবস, শোক সভা ইত্যাদি পালন করা নাজায়েয। যেখানে একজন ইসলামে এগুলোর কোন অস্তিত্বই নেই, সেখানে অমুসলিমের অনুষ্ঠানে কুরআন পাঠ করার প্রশ্ন
উত্তরঃ পাঁচটি নয়, বরং তিনটি স্থানে মিথ্যা বলা যায়। (১) মীমাংসার জন্য, (২) যুদ্ধক্ষেত্রে, (৩) স্ত্রী-স্বামী পরষ্পরের নিকট (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪৯২১; মুসলিম, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫০৩১ ও ৫০৩৩)। এছাড়া কল্যাণকর কাজের স্বার্থে সাময়িকভাবে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যায়।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাস প্রথাকে রহিত করেননি। বরং তিনি দাস-দাসীদেরকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। অমুসলিমদের সাথে জিহাদ সংঘটিত হ’লে এখনও দাস-দাসী সৃষ্টি হ’তে পারে। জানা আবশ্যক যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়ছালাকে কেউ মেনে নিতে দ্বি
উত্তরঃ এ অবস্থায় ছালাত হবে। তবে ক্বিরাআত শুদ্ধ এমন ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ করা আবশ্যক (মুসলিম, বুখারী, মিশকাত হা/১১১৭, ১৮, ২৬)। ইমাম ভুল করলেও মুক্তাদীদের ছালাত হয়ে যাবে। কিন্তু ইমামের গোনাহ তার উপরে বর্তাবে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১১৩৩)। মুছল্লীরা কোন শারঈ
উত্তরঃ এটি ভিত্তিহীন কথা মাত্র। জাহান্নামে গিয়ে যদি আগুনের তাপ না লাগে, পশমও যদি না পুড়ে তাহ’লে আল্লাহ্ তাকে জাহান্নামে দিবেন কেন? এমন কথা বলা থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
উত্তরঃ এসব অনুষ্ঠানের পূর্বে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। কারণ যেখানে কুরআনের মুল্যায়ন থাকে না সেখানে কুরআন তেলাওয়াত করা শরী‘আতে নিষিদ্ধ (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)।
উত্তরঃ পবিত্র কুরআন ৩০ পারা। যা আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে নাযিল করেছেন। এর শুরু সূরা ফাতিহা দিয়ে এবং শেষ সূরা নাস দিয়ে। এ কুরআনকেই আল্লাহ হেফাযত করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন (হিজর ৯)। কোন কোন অমুসলিম ও ভ্রান্ত ফ
উত্তর : ছালাতে সূরা ফাতিহা পড়া উক্ত আয়াতের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত নয়। উক্ত আয়াতে কুরআন পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সূরা ফাতেহাকে নয়। আল্লাহ তা‘আলা নিজেই সূরা ফাতেহা ও কুরআনকে পৃথকভাবে উল্লেখ করেছেন (হিজর ৮৭) । রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকলের জন্য সূরা ফাতেহা প
উত্তর : ফরয বা সুন্নাত ছালাতে সিজদায় গিয়ে কুরআনের আয়াত দ্বারা দো‘আ করা যাবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৮৭৩)। সিজদায় কুরআন ব্যতীত হাদীছে বর্ণিত দো‘আ সমূহ পড়া যায়। আর শেষ বৈঠকে বসে ‘আত্তাহিইয়াতু’ ও ‘দরূদ’ পড়ার পর কুরআন এবং হাদীছ থেকে সব ধরনের দো‘আ পড়া
উত্তরঃ ১ম কারণ হ’ল, আল্লাহ বাক্য না বলে আয়াত বলেছেন। ২য় কারণ হ’ল, কুরআন মানুষের কালাম নয়। এটি আল্লাহর কালাম। যিনি অদৃশ্য। কিন্তু তাঁর কালাম হ’ল তাঁর সত্তার বাহ্যিক নিদর্শন। তাই তাকে আয়াত বা নিদর্শন বলা হয়। বাংলায় উচ্চারিত কুরআন সঠিক তাজবীদ সহ
উত্তর : لَمَمَ শব্দটি কোন জিনিসের সামান্য পরিমাণ কিংবা সামান্য প্রভাব অথবা স্বল্প সময় থাকা বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন اَلَمَّ بِالْمَكَانِ ‘সে অমুক স্থানে সামান্য সময় অবস্থান করেছে’ اَلَمَّ بِالطَّعَامِ ‘সে সামা
উত্তর : ছালাতের মধ্যে পাঠ করা হ’লে আমীন বলা যাবে না। কারণ হাদীছ দ্বারা তা সাব্যস্ত হয়নি। তবে ছালাত ছাড়া অন্য সময়ে দো‘আ হিসাবে পড়লে আমীন বলা যাবে।
উত্তর : যাবে না। এতে কুরআন মজীদের অবমাননা হয়। কারণ এতে আয়াত ও শব্দের যেকোন স্থানে বন্ধ করা হ’তে পারে। পবিত্র অপবিত্র যেকোন স্থানে এবং আগ্রহী অনাগ্রহী যেকোন ব্যক্তির কাছে তেলাওয়াত হ’তে পারে, যা অসিদ্ধ (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২) এবং
উত্তর : কুরআনে যেমন ইহুদী-খৃষ্টধর্মের মত একেশ্বরবাদী ইব্রাহীমী ধর্মগুলি বিকৃতি ও অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে, তেমনি হিন্দু-বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মের মত পৌত্তলিক ধর্মের অসারতাও প্রমাণ করা হয়েছে, যাদেরকে সাধারণভাবে মুশরিক কিংবা মূর্তিপুজক হিসাবে কুরআনে উল্লেখ ক
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। এমন মর্মের কোন আয়াত সূরা বাক্বারায় বা কুরআনের কোথাও নেই।
উত্তর : আছে। যেমন (১) আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী আপনি যদি অত্যাচারীদের (কাফির-মুশরিকদের) দেখতেন, যখন তারা মৃত্যু কষ্টে পতিত হয়, ফেরেশতারা তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে বলে, তোমরা তোমাদের আত্মা বের করে দাও। ফেরেশতাগণ এ সময় বলেন, আজ হ’তে তোমাদেরকে প্রতি
উত্তর : অনুবাদ: হে জনগণ মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারো পিতা নন, বরং সে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে জ্ঞানী’ (আহযাব ৪০)। নবী করীম (ছাঃ) পুত্রবধুকে বিবাহ করেছিলেন বলে যে আপত্তি তোলা হয়েছিল অত্র আয়াতে তার সম
উত্তর : ‘আমি আপনাকে সুসংবাদ দানকারী এবং সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছি এবং আপনি জাহান্নামীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন না (বাক্বারাহ ১১৯)। অর্থাৎ সুসংবাদ প্রদান এবং সাবধান করার পরে তারা যে কুফরী করেছে এবং তারা যে জাহান্নামী হয়েছে, এ জন্য আপনাকে ধরা হবে
উত্তর : সূরা ফাতিহার পর নির্দিষ্ট করে কত আয়াত পড়তে হবে তা কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে রাসূল (ছাঃ) যতটুকু সম্ভব ততটুকু পড়তে নির্দেশ দান করেছেন (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৮৫৬, সনদ ছহীহ)। তাই কখনও ছোট আবার কখনও বড় সূরা তেলাওয়াত করা যাবে। রাসূল (ছা
উত্তর : অনুবাদ : ‘আর তাদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা আল্লাহর নিকট ওয়াদা করে যে, আল্লাহ যদি আমাদের উপর অনুগ্রহ করেন, তবে আমরা দান-খয়রাত করব ও নেককার লোকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (তওবা ৭৫)। ‘অতঃপর যখন আল্লাহ তাদেরকে অনুগ্রহ করলেন, তখন তারা তা
উত্তর : এটা অলৌকিক কোন ঘটনা নয়; বরং মিথ্যা গুজব মাত্র। কুরআন মাজীদে দাড়ি-চুল পাওয়া যেতেই পারে। কারণ মানুষ কুরআন পড়ে এবং প্রেস থেকে বের হওয়ার পর মানুষই তা বাঁধাই করে।
উত্তর : মানুষ কসম করতে পারে কেবলমাত্র আল্লাহর নামে (বুখারী হা/৩৮৩৬, মুসলিম হা/৪৩৪৮)। অন্যের নামে কসম করা শিরক (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৪১৯)। ইবনুল আরাবী বলেন, যদি কোন ব্যক্তি জেনে-শুনে এরূপ শপথ করে, সে ব্যক্তি কাফির। আর যদি কেউ অজ্ঞতার বশে
উত্তর : হাদীছটি জাল (যঈফুল জামে‘ ৫৭৮৭; মওযূ‘আত ১ম খন্ড পৃঃ ২৪৭)।
উত্তর : পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর বাণী, যা পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থের চেয়ে মর্যাদামন্ডিত। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে এক গোপন কিতাবে, যারা পাক পবিত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না (ওয়াক্বিয়া ৭৭, ৭৮, ৭৯)। কুরআন কে
উত্তর : পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় প্রায় ২০৭৭ বার আল্লাহর নাম উল্লেখিত হয়েছে। তন্মধ্যে সূরা ফাতিহায় ২, বাক্বারায় ২৭৯, আলে ইমরানে ২০৪, নিসায় ২২৫, মায়েদায় ১৪৫, আন‘আমে ৮৪, আ‘রাফে ৫৯, আনফালে ৮৮, তওবায় ১৬৭, ইউনুসে ৬০, হূদে ৩৭, ইউসুফে ৪০, রা‘দে ৩
উত্তর : টিভি ও রেডিওতে কুরআন তেলাওয়াত, কুরআনের বিশুদ্ধ তাফসীর ও ইসলামী অনুষ্ঠান শুনলে ছওয়াব পাওয়া যাবে। কারণ যন্ত্রটি হারাম নয়। অতএব এগুলি থেকে ভালো কিছু শুনলে বা শিখলে অবশ্যই ছওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু অনৈসলামিক কিছু দেখলে বা শুনলে গোনাহ হবে।
উত্তর : প্রথমতঃ কোন ব্যক্তি কারো পক্ষ থেকে ছালাত করতে পারে না। কেননা মানুষ তা-ই পাবে, যা সে নিজে করে (নজম ৩৯)। কোন ব্যক্তি অসুস্থ থাকলে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত তাকে ছালাত নিজেকেই আদায় করতে হবে যদি ইশারার মাধ্যমেও হয়। সময় মত আদায় করতে না পারলে সুস্থ হ’
উত্তর : পবিত্র কুরআন মুখস্থকারী হাফেযগণ পরকালে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআনের হাফেযকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং জান্নাতের উপরের দিকে আর
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ হা/১৪৭৪; তিরমিযী হা/২৯১৬; মিশকাত হা/৭২০, ২২০০; যঈফুল জামে‘ হা/৫১৩৬, ৫১৫৩)। তবে কুরআন মুখস্থ করা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক মুসলিমের উচিৎ কুরআন মুখস্থ করা এবং তদনুযায়ী আমল করা। উল্লেখ্য যে, দু
উত্তর : রামাযান মাসে কুরআন খতম করা মুস্তাহাব। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর (রামাযানে) জিব্রীল (আঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে একবার কুরআন পাঠের পুনরাবৃত্তি করতেন। কিন্তু যে বছর তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে বছর তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে দু’বার কুরআন প
উত্তর : সূরা ক্বদর পড়া সম্পর্কে যে বর্ণনা এসেছে তা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৪৯)। ওযূ করার পূর্বে ‘বিসমিল্লাহ’ এবং শেষে ‘আশহাদু আল্লা ইলা-হা .. .. ছাড়া আর অন্য কিছু বলা যাবে না (মুসলিম, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৮৯)।
উত্তর : হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন যে, كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِيْ شَأْنٍ ‘আল্লাহ সর্বদা মহান কর্মে ব্যস্ত’ (রহমান ২৯)-এর ব্যাখ্যা এই যে, তিনি সর্বক্ষণ কারু পাপ ক্ষমা করছেন, কারু বিপদ সরিয়ে দিচ্ছেন, কাউকে উচ্চ সম্মা
উত্তর : জামা‘আতে শরীক হয়ে আগে ইমামের সাথে ‘আমীন’ বলবে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা জামা‘আতে এসে ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, সে অবস্থায় ইমামের অনুরূপ করবে’ (আবুদাঊদ হা/৫০৬; তিরমিযী হা/৫৯১; মিশকাত হা/১১৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১)। তাছাড়া হাদীছে
উত্তর : কুরআনে ১৫ স্থানে সিজদা আছে। সূরা হজ্জে দুই স্থানে সিজদা রয়েছে। ছালাতের সিজদার মত তাকবীর দিয়ে সিজদা করবে এবং দো‘আ পড়ার পর তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৫৯৩০; বায়হাক্বী ২/৩২৫; সনদ ছহীহ, আলবানী, তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ২৬৯
উত্তর : আল্লাহর নামেই কসম করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৪০৭; আবুদাঊদ হা/৩২৪৭-৫১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে কসম করে সে শিরক করে (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৩৪১৯)। তবে পবিত্র কুরআনেরও কসম করা যায়। কেননা কু
উত্তর : সূরা ইয়াসীন সম্পর্কে উক্ত মর্মে কোন হাদীছ বা আছার বর্ণিত হয়নি। বরং একজন তাবেঈ থেকে এমন একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যার সনদ ছহীহ নয় (মুহাম্মাদ বিন আমর, আহাদীছুন ওয়া মারবিয়াতুন ফিল মীযান ৪/১১৩, ৭৫ পৃ.)। আর সূরা ওয়াক্বি‘আহ সম্পর্কেও অনুরূপ কিছু বর্ণন
উত্তর : প্রাণী ব্যতীত যেকোন জড়বস্ত্তর ভাস্কর্য নির্মাণ করা যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ) কেবল প্রাণীর ছবি নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। তবে পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী হওয়ায় তা সর্বাধিক সম্মানজনক। একে ভাস্কর্য হিসাবে নির্মাণ করলে এর অবমাননা হ’তে পারে। সেজ
উত্তর : কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহের বিন্যাস আল্লাহর হুকুমে জিবরীলের নির্দেশনায় রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক সম্পন্ন হয়েছে। এটি তাওক্বীফী অর্থাৎ অপরিবর্তনীয় বিষয় সমূহের অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর ইজমা রয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রতি বছর র
উত্তর : ১৪টি স্থানে আল্লাহ কুরআনকে ‘হাদীছ’ বলেছেন। যেমন নিসা ৭৮ ও ৮৭, আ‘রাফ ১৮৫, ইউসুফ ১১১, কাহফ ৬, ত্বোয়া-হা ৯, যুমার ২৩, জাছিয়াহ ৬, তূর ৩৪, নাজম ৫৯, ওয়াক্বি‘আহ ৮১, ক্বলম ৪৪, মুরসালাত ৫০ ও গাশিয়াহ ১ (দ্রঃ থিসিস পৃঃ ৩৬)।
উত্তর : যাবে না। কেননা এরূপ মৃতের আমল রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণ থেকে প্রমাণিত নয়। তবে মৃতের জন্য দো‘আ করা এবং ছাদাক্বা করা যাবে (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৫০; ফিকহুস সুন্নাহ ১/৩৯০)। উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির নামে দেশে প্রচলিত কুলখানী, চেহলা
উত্তর : অনুবাদ : ‘আপনি কি দেখেননি আল্লাহ কিভাবে উপমা দিয়ে থাকেন? পবিত্র বাক্যের তুলনা উৎকৃষ্ট বৃক্ষের মত, যার মূল সুদৃঢ় ও শাখা-প্রশাখা ঊর্ধ্বে বিস্তৃত’ (ইবরাহীম ২৪)।অত্র আয়াতে বর্ণিত كَلِمَةً طَيِّبَةً অর্থ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘লা ইলা-হা ইল্
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম থেকে এভাবে ফাতেহা পাঠের কোন দলীল নেই (আলবানী, তালখীছু আহকামিল জানায়েয ৮২ পৃঃ)। সুতরাং এটি নিঃসন্দেহে বিদ‘আত। যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যার ব্যাপারে আমার কোন নির্
উত্তর : জেহরী-সের্রী সকল ছালাতে সর্বাবস্থায় ইমাম-মুক্তাদী উভয়কেই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) মুক্তাদীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা উহা চুপে চুপে পড়। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতে শুনেছি, সূরা ফাতিহা আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে
উত্তর : কোন তারতম্য নেই। কুরআন দেখে পড়া হোক বা মুখস্থ পড়া হোক প্রতি হরফে দশটি করে নেকী হবে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। উল্লেখ্য, আমার উম্মতের সর্বোত্তম আমল হল কুরআন দেখে পড়া মর্মে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা যঈফ (যঈফুল জামে‘ হা/১০৪৮ ও ৩৯৮০)
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সূরা ইখলাছ একবার পড়লে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান ছওয়াব হবে মর্মে ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৫০১৩; মিশকাত হা/২১২৭)। এছাড়া যে ব্যক্তি দশবার সূরা ইখলাছ পাঠ করবে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত
উত্তর : পৃথিবী ছাড়াও অন্যত্র জীবনের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আসমান ও যমীনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সিজদা করে এবং ফেরেশতাগণ। আর তারা অহংকার করে না’ (নাহল ১৪/৪৯)। তিনি বলেন, সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যবর্তী সবকিছ
উত্তর : যাকে কুরআন পড়তে বলা হবে তিনি পড়তে সক্ষম হবেন। ভুলে যাবেন না ।
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কারণ শরী‘আতের উৎস হল, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ (মুস্তাদরাক হাকেম হা/৩১৮, সনদ ছহীহ)। এছাড়া উদ্ভূত কোন সমস্যার সমাধান কুরআন-সুন্নাহ্র মাঝে না পেলে আহলেহাদীছগণ ইজমায়ে ছাহাবা অতঃপর ইজতিহাদের শরণাপন্ন হন।শাশুড়ী স্বামীর জন্য হ
উত্তর : বর্ণনাটি যঈফ (আলবানী, যঈফুত তারগীব হা/৮৯১)।প্রশ্নকারী : খাদেমুল ইসলাম, নলডাঙ্গা, নাটোর।
উত্তর : কুরআনের অনুবাদ বা তাফসীর পাঠকালেও সিজদা করা উত্তম। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আদম সন্তানরা যখন সিজদার আয়াত পড়ে ও সিজদা করে, শয়তান তখন কাঁদতে কাঁদতে একদিকে চলে যায় ও বলে হায় আমার কপাল মন্দ। আদম সন্তান সিজদার আদেশ পেয়ে সিজদা করল, তাই তার জ
ভূমিকা :আল-কুরআন আল্লাহর বাণী, যা জিবরাঈল (আঃ) মারফত সুদীর্ঘ ২৩ বছরে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর প্রতি অবতীর্ণ হয়। আল-কুরআনকে আল্লাহ রাববুল আলামীন সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির দিশারী বা পথপ্রদর্শক রূপে নাযিল ক
উত্তর : এটি বলা যাবে এবং এটি শিরক নয়। কেননা ‘মাওলা’ অর্থ কেবল ‘প্রভু’ বা ‘উপাস্য’ নয়। বরং মাওলা অর্থ বন্ধু, সুহৃদ, অভিভাবক, নেতা, গোলাম ইত্যাদি হয়ে থাকে। যা আরবী ভাষায় বহুল প্রচলিত। ‘মাওলানা’ শব্দটির মাদ্দাহ ولي পবিত্র কুরআনে প্রায় ১০টি অর্থে
উত্তর : জায়েয। তবে কুরআন সঠিকভাবে তেলাওয়াতের জন্য তাজবীদ শিক্ষা করা একান্ত যরূরী। কেননা আল্লাহ বলেন, তুমি কুরআন পাঠ কর ধীরে ধীরে (মুযযাম্মিল ৭৩/৪)। ‘তারতীল’ অর্থ সুশৃংখলভাবে যথানিয়মে পাঠ করা (কুরতুবী)। অতএব সঠিক উচ্চারণে কুরআন তেলাওয়াতের চেষ্টা করা অ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।শারঈ মানদন্ডে বিদ‘আতে হাসানাহ্ ও সায়্যিআহ্যারা বিদ‘আতকে হাসানাহ্ ও সায়্যিআহ্ তথা ভাল ও মন্দ শ
উত্তর : মোবাইল বা যেকোন মাধ্যমে সিজদার আয়াত শ্রবণ করলে সিজদা দেওয়া উত্তম। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন এবং আমরা তাঁর নিকট থাকতাম, তখন তিনি সিজদা করতেন এবং আমরাও তাঁর সঙ্গে সিজদা করতাম। এতে কখনও এত ভিড় হ’ত
কুরআন তেলাওয়াত অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ ইবাদাত। এটি যেমন পাঠকারীর জন্য প্রভূত কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে, তেমনি তেলাওয়াতকারীর পিতা-মাতাও সেই কল্যাণধারায় সিক্ত হন। যদি কোন সন্তান কুরআন পড়া শেখে, কুরআন তেলাওয়াত করে, কুরআন মুখস্থ করে এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচ
উত্তর : এতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এগুলোর সাথে সাথে আল্লাহর কাছে তাওফীক কামনা করে দো‘আ করবে। নেক আমল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে (তিরমিযী হা/২১; মিশকাত হা/২২৩৩; ছহীহাহ হা/১৫৪)। ছাদাক্বাকে চিকিৎসার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যায় (ছহীহুল জাম