গত ২৭শে জুন’৯৯ রবিবার দেশব্যাপী মহা সমারোহে ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালিত হ’ল। ঈমানী তেজে বলীয়ান হ’ল বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হ’ল সবাই। ইসলামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ বা জাতীয়তাবাদী সকল দলের মুসলমান স্ব স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে রাস
‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ নামক প্রচলিত নবী দিবস সমাগত। এই দিবসকে বরণ করে নেবার জন্য সারা দেশে চলছে ব্যাপক প্রস্ত্ততি। অতি গরীব মানুষটিও এদিনটি উদযাপনের জন্য আগে থেকেই প্রস্ত্ততি নিচ্ছে। অধিকাংশ জনগণের অনুভূতির দিকে খেয়াল করে ইসলামী বা ধর্মনিরপেক্ষ সকল দলের র
উত্তর : ছূফীদের মতে, বুযুর্গানে দ্বীন যে খতম পড়ে দো‘আ করতেন সে খতমকে খতমে খাজেগান বলে। খাজেগান শব্দের অর্থ হ’ল ছাহেবগণ বা পীর ছাহেবগণ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল পীর ও বুযুর্গানে দ্বীন। এই খতমের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। এসব পদ্ধতিতে দো‘আ ও যিকির পাঠের
উত্তর : কালো জাদু বলতে এমন কিছু কাজ বুঝায়, যেগুলোর মাধ্যমে নিজ স্বার্থ হাছিল কিংবা অন্যের ক্ষতি সাধন করা হয়ে থাকে। যেমন বশীকরণ, তাবীয-কবয করা, বান মারা, জাদু-টোনা ইত্যাদি। এসব কাজকে যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, তা জাদু হিসাবেই পরিগণিত হবে। জা
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব দুনিয়া সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ওহীর বার্তাসহ প্রেরণ করেছেন। তিনি আসমানী জ্ঞানের বাইরে কোনকিছুই ব
উত্তর : এটি একটি অনৈসলামিক সংস্কৃতি, যা পরিত্যাজ্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ইহূদী-নাছারাদের অনুকরণে সালাম দিয়ো না। কেননা তারা হস্ততালু, মাথা ও ইশারার মাধ্যমে সালাম প্রদান করে থাকে (দায়লামী, ছহীহাহ হা/১৭৮৩)। তিনি আরো বলেন, তোমরা সালাম প্রদান
উত্তর: বাদ্যযন্ত্রের বাজনা যে মাধ্যমেই করা হৌক না তা হারাম। মুখের মাধ্যমে হ’লেও হারাম এবং অন্য কোন মাধ্যমে করা হ’লেও হারাম (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-কালামু ‘আলা মাসআলাতিস সেমা‘ ১৬৭ পৃ.; তালবীসু ইবলীস ২৭৫ পৃ.)। ইবনু আবেদীন বলেন, বাদ্যযন্দ্র কেবল য
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
উত্তর : শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হারাম, যা অমুসলিমদের সংস্কৃতি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই অন্তর্ভুক্ত (আবুদাউদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)। অতএব এত্থেকে মুসলিমদের বিরত থাকা আবশ্যক। তবে কাউকে
উত্তর : বিশেষ কোন বরকত লাভের উদ্দেশ্যে আগরবাতি জ্বালানো হ’লে তা শিরক হবে, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তবে স্থান সুগন্ধিময় করার লক্ষ্যে মাইয়েতের পাশে আগরবাতি জ্বালানোতে কোন দোষ নেই (আহমাদ হা/১৪০৬৯; নাসাঈ হা/৩৯৪০; মিশকাত হা/৫২৬১, সনদ হাসান)।প্র
উত্তর : Rx নিয়ে কয়েকটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কেউ বলেন, এর দ্বারা রোমান দেবতা জুপিটার গ্রহ উদ্দেশ্য, যার শুভদৃষ্টিতে রোগ উপশম হবে বলে বিশ্বাস করা হয়। কারো মতে, এর দ্বারা বুঝানো হয় refer to x বা যিশুর নামে শুরু করছি। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রের অভিধান মতে
উত্তর : মানব রচিত বিধান শরী‘আহ বিরোধী না হ’লে তা শিরকের মধ্যে গণ্য হবে না। এক্ষণে সরকারী কর্মজীবীরা রাষ্ট্রের অধীনে কাজ করে। রাষ্ট্র তার অধীনস্থ কোন কর্মকর্তাকে কোন শিরকী কাজ করার আদেশ দিলে সাধ্যানুযায়ী তা পরিহার করবে। এরপরেও তা করতে বাধ্য করা হ
‘বানরবাদ’ হ’ল ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষকে বানর জাতীয় পশুর বংশধর হিসাবে প্রমাণ করা। সাবেক বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট) ২০১২ সালে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এটি চালু করেন। যা আজও চলছে। আর ‘ট্রান্সজেন্ডার’ হ’ল অস্ত্রোপচার ও হরমোন প্রত
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না এবং উক্ত উপলক্ষে এলাকার দোকানের দেওয়া কোন ছাড় গ্রহণ করাও যাবে না। কারণ সেখানে গমন করলে এবং ক্রয়-বিক্রয় করলে তাদের ধর্মীয় উৎসবকে সম্মান করা হবে এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে। অথচ আল্লাহ নেকীর ক
উত্তর : মৃত ব্যক্তিকে চুমু দেওয়া জায়েয। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ওছমান বিন মাযঊনকে মৃত অবস্থায় চুম্বন করেন। তখন তিনি ক্রন্দনরত ছিলেন এবং তাঁর অশ্রু ওছমানের চেহারার উপর পড়ছিল’ (তিরমিযী হা/৯৮৯; আবুদাঊদ হা/৩১৬৩; মিশকাত হা/১৬২৩)। তিন
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে রাশিফল নির্ণয় করা নিষিদ্ধ। গণককে বিশ্বাস করলে বা তার কথা সত্য বলে মেনে নিলে আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। হাফছা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তাকে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হ
উত্তর : এটি কুসংস্কার। এতে বিশ্বাস করা শিরক। কারণ এখানে আল্লাহকে বাদ দিয়ে সাগরের পানিকে ব্যবসায় বরকতদাতা হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। অথচ ব্যবসায় বরকত রয়েছে সত্য কথা বলা এবং পণ্যের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার মধ্যে (বুখারী হা/২০৭৯; মিশকাত হা/২৮০২)। এ
উত্তর : শিরক মহাপাপ, যা তওবা ব্যতীত মাফ হয় না। তবে কোন ব্যক্তি দ্বীনের সঠিক দাওয়াত না পেলে কিংবা অনিচ্ছাকৃত বা অজ্ঞতাবশত শিরকে লিপ্ত অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ চাইলে তাকে মুক্তি দিতে পারেন (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩/২৩১; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৯/৩৯; আশ-শারহ
উত্তর : অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে এবং সে গোনাহ পুনরায় না করলে আল্লাহ শিরকের গোনাহ ক্ষমা করে দেন। যেমন তিনি বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশী
উত্তর : কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্ম পালনের সুযোগ দিতে পারে, তবে ধর্ম পালনে সহায়তা করবে না। কারণ তাদের ধর্ম পালন অর্থ আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর কোন শিরকী কাজে কোনভাবেই সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর
উত্তর : সম্মান পাওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহর পরেই পিতা-মাতার অবস্থান। সেজন্য পিতা-মাতার হেদায়াতের জন্য দো‘আ করবে এবং নছীহত করবে। এক্ষণে পিতা যদি স্পষ্ট শিরকী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং তার মাঝে সংশোধনের ইচ্ছা না থাকে, তবে তিনি মেয়ের বিবাহের অভিভাবকত্ব
উত্তর : যানবাহনের সামনে আল্লাহর নাম বা বিভিন্ন আয়াত লেখা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। কারণ এসব স্থানে এগুলো টাঙানো হ’লে পদদলিত বা পড়ে গিয়ে অপদস্থ হ’তে পারে। তাছাড়া তাবীয ঝুলানোর ন্যায় অনেকে গাড়ি বা যানবাহনে এগুলো লিখে বরকত অর্জন করতে চায়, যা শিরক। বরং
প্রশ্নকারী : আয়েশা, ঢাকা।উত্তর : দেবর গায়ের মাহরাম। অতএব তার সামনেও যথাসম্ভব মুখমন্ডল ঢেকে রেখে পূর্ণ পর্দা করে চলবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা কোন নারীদের নিকট গমন (নিঃসঙ্গভাবে গৃহে প্রবেশ) করো না। (এটা শুনে) জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, হে আল্
উত্তর : ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে এরূপ আমল পাওয়া যায় না। পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীয করা যদিও কতিপয় বিদ্বান জায়েয বলেছেন, কিন্তু তা জায়েয হওয়ার পক্ষে স্পষ্ট দলীল নেই। বরং কুরআন তেলাওয়াত ও আয়াত দ্বারা ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে কুরআন থেকে চিকিৎসা গ্রহণ কর
উত্তর : মৃত্যুর আগে হোক বা পরে হোক, ফয়তা নামক প্রচলিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না। কেননা বিশেষ কোন উপলক্ষ বা দিবসকে কেন্দ্র করে এভাবে খাওয়ালে তা বিদ‘আতে পরিণত হবে। উল্লেখ্য যে, সাধারণ ছাদাক্বা হিসাবে যেকোন লোককে খাওয়ানোতে দোষ নেই। এতে ধনী-গরীব
উত্তর : শিরকে আকবারে লিপ্ত হ’লে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে এবং তার সমস্ত আমল বাতিল হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘যদি তুমি শিরক কর, তাহ’লে তোমার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং তুমি অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে (যুমার ৩৯/৬৫)। তবে কেউ শিরক
৩১শে ডিসেম্বর প্রতিটি সৌর বর্ষের শেষ দিন। এদিন দিবাগত রাতকে ইংরেজীতে ‘থার্টি-ফার্স্ট নাইট’ বলা হয়। এই বিদায়ী রাত্রির ১২-টা ১ মিনিটে ইংরেজী ক্যালেণ্ডারের হিসাবে পরবর্তী নববর্ষ শুরু হয়। যদিও চান্দ্র বর্ষ হিসাবে দিন গণনা শুরু হয় প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর
উত্তর : দো‘আ অর্থে এমন বাক্য ব্যবহারে কোন দোষ নেই। তবে সাক্ষাতে এবং বিদায়ের আদব হ’ল সালাম বিনিময় করা। কারণ সালাম হচ্ছে ইসলামের মৌলিক সম্ভাষণ। তাছাড়া সালামে রয়েছে ছওয়াব ও ভ্রাতৃত্বের চাবিকাঠি (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৪/১১৫, ১১৯; বিন বায, ফাতা
উত্তর : এ কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। কারণ মূর্তিপূজা শিরক (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৫/৪০৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১/২৮৬)। আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মায়েদাহ ৫/২)।প
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ষষ্ঠ দলীল : নবীগণ যেমন তাঁদের উম্মাতের জন্য সুফারিশ করবেন, পীরগণ তেমনি তাদের মুরীদদের জন্য সুফারিশ করবে। হাদীছে এসেছে, যখন ঈমানদারগণ দেখবে যে, তাদের ভাইদেরকে রেখে একমাত্র তারাই মুক্তি পেয়েছে, তখন তারা বলবে,رَبَّن
উত্তর : মানুষ হিসাবে সবার প্রতি মানবিক সমবেদনা দেখানো যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া কর, আসমানবাসী (আল্লাহ) তোমাদের প্রতি দয়া করবেন’ (আবুদাউদ হা/৪৯৪১; মিশকাত হা/৪৯৬৯; ছহীহাহ হা/৯২৫)। জনৈক ইহূদী বালক রাসূল (ছাঃ)-এর খিদমত করত। সে
উত্তর : ইসলামে এ ধরনের কোন দিবস পালনের বিধান নেই। এগুলো বিজাতীয় অপসংস্কৃতির অনুকরণ মাত্র। যা নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; তিরমিযী হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে বড় বড় ঐতিহাসিক বিজয় সংঘটিত হয়েছিল। অথচ সালাফে ছালেহীন
উত্তর : তিনি যদি শিরক ও কুফরীর মধ্যে নিমজ্জিত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে থাকেন, তবে তার জন্য দো‘আ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘নবী ও মুমিনদের উচিত নয় মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা যদিও তারা নিকটাত্মীয় হয়’ (তওবা ৯/১১৩)। শায়খ বিন বায (রহঃ) ব
উত্তর : জেনেশুনে পূজার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য কোন কিছু বিক্রয় করা বা দান করা যাবে না। কারণ এটি অন্যায় কাজে সহায়তা করার শামিল। আর আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা কর না’ (ম
পঞ্চম দলীল : আল্লাহ তা‘আলার বাণী- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ، ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের’ (নিসা ৪/৫৯)। অত্র আয়াতে বর্ণিত
জনৈক ব্যক্তি ভারতের রাজস্থান প্রদেশে অবস্থিত আজমীরে খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী (১১৩৮-১২৩৫ খৃ.)-র মাযার দেখতে গিয়েছে। সেখানে একটা ছোকরা এসে খাজার কাছে ভিক্ষা চাইল। তখন লোকটি তাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে তার হাতে দু’টি টাকা দিয়ে বলল, ভাগ এখান থেকে! খাজা তো
উত্তর : এটা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত হজ্জের কোন অংশ নয়। তবে মসজিদে নববী যিয়ারতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের কবর যিয়ারত ও সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে মদীনার অদূরে মসজিদে ক্বোবায় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা
ইসলাম মহান আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। যা মেনে চলা সমগ্র মানব ও জিন জাতির উপর ফরয। আল্লাহ যেমন এর বিধান নাযিল করেছেন, তেমনি তা বাস্তবে রূপদানের জন্য নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে আমাদের মাঝে প্রেরণ করেছেন। তাঁর জীবদ্দশায়ই ইসলাম পূর্ণতা লাভ কর
উত্তর : যে কোন নেককার মৃত মুসলিম ব্যক্তির নামের শেষে ‘রহেমাহুল্লাহ’ (আল্লাহ তার প্রতি দয়া কর) বলা যাবে। এটি বান্দার জন্য অপর বান্দার দো‘আ। তবে ইসলামী পরিভাষায় সকল নবীর নামের শেষে ‘আলাইহিস সালাম’ (আঃ) বলা হয়। কিন্তু শেষনবীর নামের শেষে ‘ছাল্লাল
উত্তর : আমলে বড় শিরক থাকলে তার ঈমান ও আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং বড় শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে। যেমন আল্লাহর ইবাদতে শিরক করা ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সাথে ক
উত্তর : এগুলি সব ভুয়া কথা। শরী‘আতে শুভ-অশুভ লক্ষণ বলে কোনকিছুর ভিত্তি নেই। কোনকিছুতে কল্যাণ দান করা বা না করার মালিক আল্লাহ। উক্ত বাড়ি বা ভূমির কল্যাণ বা অকল্যাণের ব্যাপারে আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞান রাখেন। কারণ গায়েবের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে (আন‘আম ৬/৫৯)।
উত্তর : যে ইমাম তাবীয লেখার মত শিরকী কাজ এবং ভাগ্য গণনার মত কুফরী কাজে লিপ্ত, তার পিছনে ছালাত আদায় করা যাবে না। কমিটির দায়িত্ব হবে অনতিবিলম্বে তাকে সরিয়ে বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পন্ন কোন আলেমকে ইমাম নিযুক্ত করা (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ফৎওয়া ক্রমিক ২
উত্তর : সঊদী ফাতাওয়া বোর্ডকে এ মর্মে প্রশ্ন করা হ’লে তারা উত্তরে বলেন- জাতীয় পতাকাকে সালাম দেয়া কিংবা জাতীয় পতাকার সম্মানে দেখিয়ে দাঁড়ানো নিকৃষ্ট বিদ‘আত। এরূপ কাজ রাসূল (ছাঃ) এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে ছিল না। এছাড়া এসব কর্মকান্ডের দ্বারা কা
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) শিরকী কথার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা, মাদুলী ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা তৈরীর জন্য কোন মাধ্যম অবলম্বন করা শিরক বলেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৩০; আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩)। তবে চিকিৎসা হিসাবে ঝাড়ফু
উত্তর : ধর্মীয় রেওয়াজ বানিয়ে যদি কেউ এরূপ খাওয়ায়, তবে সেটি নিষিদ্ধ। যেমন বর্তমানে এটিকে বলা হয় অগ্রিম ‘ফয়তা’। আর মৃত্যুর পর যে কোন অছিয়ত শরী‘আতসম্মত হ’লে পালন করা ওয়াজিব। এক্ষণে যদি কেউ বিশেষ কোন দিন নির্দিষ্ট না করে সাধারণভাবে লোকজন বা অসহায়
উত্তর : অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাতে অংশগ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। এর মাধ্যমে তাদের বাতিল ধর্মবিশ্বাসকে সমর্থন করা হয়, যা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তার নিকট থেকে তা
উত্তর : মনের অজান্তে কারো মুখ থেকে কুফরী বা শিরকী কথা বেরিয়ে গেলেই সে কাফির বা মুশরিক হিসাবে গণ্য হবে না। কারণ আল্লাহ নিজেই স্বীয় বান্দাকে দো‘আ শিখিয়ে দিয়েছেন এই মর্মে যে, হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই বা অজ্ঞতাবশে ভুল করি, সেজন্য তু
উত্তর : মৃতের বাড়িতে এরূপ আনুষ্ঠানিকতার সাথে খাবারের আয়োজন করা শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ এটি বিলাপের অন্তর্ভুক্ত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২/৩৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৭/৩৬৬; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৪০৪)। জারীর বিন আব্দুল্লাহ বাজালী (রাঃ) বলেন, মৃতের বা
সংজ্ঞা : ‘জন্মের সময়কাল’কে আরবীতে ‘মীলাদ’ বা ‘মাওলিদ’ বলা হয়। সে হিসাবে ‘মীলাদুন্নবী’-র অর্থ দাঁড়ায় ‘নবীর জন্ম মুহূর্ত’। নবীর জন্মের বিবরণ, কিছু ওয়ায ও নবীর রূহের আগমন কল্পনা করে তার সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলা ও সবশেষে জিলাপী বিত
রবীঊল আউয়াল আরবী বারটি মাসের তৃতীয় মাস। এই মাস মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যুর মাস। এ মাসে শরী‘আত কর্তৃক কোন বিশেষ ইবাদত ও অনুষ্ঠান না থাকলেও অনেক মুসলমান বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ইবাদত পালন করে থাকেন। আলোচ্য প্রবন্ধে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যুর
উত্তর : কোন প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণ করা এবং তাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ (আম্বিয়া ৫২)। এটা বিধর্মীদের অনুকরণ যা শরী‘আতে হারাম (মায়েদাহ ৫১)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে অন্যদের সাথে সাদৃশ্য রাখবে সে আমাদের অন্তর্ভ
উত্তরঃ প্রত্যেক অমুসলিম মুসলমানের কাছে পূর্ণ সদাচরণ পাওয়ার হক রাখে। তবে তারা তাদের পূজার কোন সুযোগ-সুবিধা মুসলমানের কাছে পাওয়ার অধিকার রাখে না। কারণ পূজার সবকিছুই শিরকী কাজ, যা সবচেয়ে বড় গোনাহ। আর শিরক হ’ল সবচেয়ে বড় পাপ। আর পাপের সহযোগিতা করত
উত্তরঃ শিরক একটি অমার্জনীয় পাপ (নিসা ৪/৪৮) যাকে আল্লাহ মহা যুলুম বা অন্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন (লোক্বমান ১৩)। তবে সে প্রকৃতপক্ষে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে শিরক থেকে ফিরে আসলে এবং আমলে ছালেহ করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘তবে যারা তওবা
উত্তরঃ মসজিদের মেহরাব বা দেওয়ালে উক্ত বাক্য কিংবা পবিত্র কুরআনের কোন আয়াত লেখা যাবে না। অনুরূপভাবে কারুকার্য খচিত টাইল্সও বসানো যাবে না। এগুলো ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/’৭৫৭-৫৯)।
উত্তরঃ মাইয়েতের কপালে সুগন্ধি দ্বারা আল্লাহ ও মুহাম্মাদ লেখার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। এগুলো বিদ‘আত বা কুসংস্কার। মৃতকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অসংখ্য বিদ‘আত সমাজে চালু আছে। এগুলো থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ১২৭-১২
উত্তরঃ বদ নযর থেকে রক্ষার জন্য উক্ত টিপ দিলে সেটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। বদ নযর লাগলে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী ঝাড়-ফুঁক দিতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫২৬, ৪৫২৮)।
আল্লাহ তাআলা মানুষকে এ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে একমাত্র তাঁরই ইবাদতের নিমিত্তে সৃষ্টি করেছেন (যারিয়াত ৫৬)। যুগে যুগে তিনি অসংখ্য নবী ও রাসূলকে প্রেরণ করেছেন, কিতাবসমূহ অবতরণ করেছেন যাতে মানবজাতি তাঁর স্পষ্ট পরিচয় লাভ করতে সক্ষম হয় এবং তাঁর ইবাদ
ধূমপান একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপদজনক অভ্যাস। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতকর’। তারপরও অনেকেই দেদার
উত্তরঃ যে রাসূলের উপর উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে, সেই রাসূলই বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি বুনিয়াদের উপর দন্ডায়মান : কলেমা, ছালাত, যাকাত, ছিয়াম ও হজ্জ’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪)। তাছাড়া জিব্রীল নিজে এসে ছাহাবীদের মজলিসে ইসলামের ঐ পাঁচটি ফরযের কথা
উত্তরঃ উক্ত কথা সত্য। নাফে‘ (রাঃ) বলেন, একদা ইবনু ওমর বাজনা শুনে দু’কানে আঙ্গুল দিলেন এবং রাস্তা থেকে দূরে সরে গেলেন। অতঃপর আমাকে বললেন, নাফে তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম না। তখন তিনি আঙ্গুল কান থেকে সরালেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লা
উত্তরঃ অশ্লীল কোন বস্ত্তকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা বা তার সমর্থক হওয়া যাবে না। বাদ্যযন্ত্র হারাম (লোকমান ৬; বুখারী, মিশকাত হা/৫৩৪৩)। তবে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ইসলামের জন্য উপকার বয়ে আনবে এরূপ গান লিখলে, গাইলে, সুর দিলে এবং এর সাথে সম্পৃক্ত থাকলে এতে কোন
উত্তরঃ এটা ভ্রান্ত দাবী। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাজ্জালের আকৃতি-প্রকৃতি সহ কোথা থেকে সে বের হবে, কারা তার সঙ্গী হবে, সে কী কী ঘটাবে এবং তার মৃত্যু কোথায় হবে, কে তাকে কোন্ সময় হত্যা করবেন, সবই বর্ণনা করে গেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৭১-৫৪৮
উত্তরঃ লটারী ও জুয়া ধোঁকাবাজির অন্তর্ভুক্ত এবং তা প্রকাশ্য হারাম (মায়েদাহ ৯০; মুসলিম, মিশকাত হা/২৮৬০)। অতএব আলেম-ওলামার উদ্ধৃতি দিয়ে তাকে বৈধ করা যাবে না। সউদী আরব সহ মুসলিম বিশ্বের কোন যোগ্য আলেমই প্রচলিত লটারীকে জায়েয বলেননি।
উত্তরঃ হাদীছটি যঈফ (ইবনু হিববান, সিলসিলা যঈফাহ হা/৩৯)। উক্ত হাদীছের দোহাই দিয়ে অনেকে আছরের পরে ঘুমাতে নিষেধ করেন। অথচ শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী মানুষ যেকোন সময় ঘুমাতে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে অন্যতম হ’ল রাত্রিকালে ও দিবসে তোমা
উত্তরঃ ছালাত ত্যাগকারী মুসলমান প্রকৃত অর্থে কাফির নয়। বরং মহাপাপী। কাজেই প্রশ্নে বর্ণিত হুকুম সমূহ তার উপর বর্তাবে না। এই ধরণের তরককারীগণ কলেমার বরকতে ও শেষনবী (ছাঃ)-এর শাফা‘আতের ফলে শেষ পর্যায়ে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে ফিরে আসবে’ (মুত্তাফাক্ব
উত্তরঃ গিটার ক্রয় করা যাবে না। কারণ বাদ্যযন্ত্র কেনা ও ব্যবহার করা হারাম (আবুদাঊদ হা/৪৯২৪; মিশকাত হা/৪৮১১)।
উত্তরঃ কালো খেযাব বা কলপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা সাদা চুল কালো করা থেকে বেঁচে থাক’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪২৪)। তিনি আরো বলেছেন, ‘শেষ যামানায় এমন কিছু লোক হবে যারা কবুতরের বক্ষের ন্যায় কালো
উত্তর : ‘জশন’ ফারসী শব্দ। এর অর্থ উৎসব, আনন্দ। আর ‘জুলূস’ আরবী শব্দ। অর্থ- উপবেশন, বৈঠক, অনুষ্ঠান ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনের জন্য বাৎসরিক মীলাদ উপলক্ষে যে মিছিল বের করা হয়, তা ‘জশনে জুলূস’ বলে পরিচিত। ইসলামে এধরনে
উত্তর: খাৎনা করা ইসলামের স্বভাবগত সুন্নাত এবং অন্যতম নিদর্শন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০)। ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর হুকুমে আশি বছর বয়সে নিজের খাৎনা করেছিলেন (বুখারী হা/৩৩৫৬)। কিন্তু খাৎনার অনুষ্ঠান করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর স্বর্ণ যুগে এর কোন
উত্তর : মৃত ব্যক্তির দাফনের পূর্বে ও পরে এ ধরনের সকল অনুষ্ঠান বিদ‘আত, যা অবশ্য বর্জনীয়। ইসলামের সোনালী যুগে এসবের কোন প্রমাণ নেই। বরং জাহেলী যুগে দানশীল ও নেককার ব্যক্তিদের কবরের পাশে গরু-ছাগল-মোরগ ইত্যাদি যবহ করা হ’ত। ইসলাম আসার পরে এগুলি নি
উত্তর : অবশ্যই দাবা খেলা হারাম। হাদীছে এসেছে, ‘যে লুডু (النَّرد) খেলল, সে যেন শুকরের গোশ্ত ও তার রক্তে তার হাত ডুবাল’ (মুসলিম ২২৬০; ইবনু মাজাহ হা/৩৭৬৩)। অন্য হাদীছে এসেছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে লুডু খেলল, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল’ (
উত্তরঃ কারো উপরে জিন আছর করলে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত আয়াত ও দো‘আ পাঠের মাধ্যমে আরোগ্য লাভ করা যায়। বিছানায় শয়নকালে নিয়মিত ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতার মাধ্যমে তার হেফাযত করেন এবং সকাল হওয়া পর্যন্ত শয়তান তার কোন প্
উত্তর : প্রচলিত ছূফী মতবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ, যার ব্যাপারে ইমামগণ সতর্ক করে গেছেন। নাছীবী বলেন, আমরা একদিন ইমাম মালেক (রহঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ! আমাদের এলাকায় ছূফী মতবাদের কিছু লোক রয়েছে, যারা অনেক খায়। এরপর ক্বাছী
উত্তর : এটি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং যেকোন আনন্দে সিজদায়ে শুকর আদায় করা সুন্নাত (আবূদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪৯৪ ‘সিজদায়ে শুক্র’ অনুচ্ছেদ)। তাছাড়া এজন্য আল্লাহর রাস্তায় ছাদাক্বা করা আবশ্যক। কা‘ব বিন মালিক (রাঃ)-এর তওবা কবুল হওয়ার সুসংবাদ পেয়ে তিনি খ
উত্তর : মানুষ কসম করতে পারে কেবলমাত্র আল্লাহর নামে (বুখারী হা/৩৮৩৬, মুসলিম হা/৪৩৪৮)। অন্যের নামে কসম করা শিরক (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৪১৯)। ইবনুল আরাবী বলেন, যদি কোন ব্যক্তি জেনে-শুনে এরূপ শপথ করে, সে ব্যক্তি কাফির। আর যদি কেউ অজ্ঞতার বশে
উত্তর : গণকের নিকট গিয়ে রাশি গণনা করা, তার কথা বিশ্বাস করা, তার দেয়া আংটি ও পাথর ব্যবহার করা হারাম। এতে তার ৪০ দিনের ছালাত কবুল হবে না। আর সে হবে নবী (ছাঃ)-এর আনিত বিধানকে অস্বীকারকারী (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫)।
উত্তর : আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর সম্মুখে পুতুল নিয়ে খেলা করতাম আর আমার কিছু সাথীও আমার সাথে খেলা করত। যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রবেশ করতেন তখন তারা আত্মগোপন করত। কিন্তু তিনি তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন, অতঃপর তারা আমার
তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত বিশ্বাসের আলোকে শারঈ নির্দেশনায় গড়ে ওঠা মানুষের সুষ্ঠু ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনাচারকেই প্রকৃত অর্থে ‘সংস্কৃতি’ বলা হয়। এর বাইরে সবকিছুই অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কার। যার পরিমাণ কোন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ, কোন ক্ষেত্রে ৮০ বা কম
উত্তর : এগুলো সামাজিক কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। নবী করীম (ছাঃ) শিরকী কথার মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা, মাদুলী ঝুলানো এবং স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালবাসা তৈরীর জন্য কোন মাধ্যম অবলম্বন করা শিরক বলেছেন (ইবনু মাজাহ হা/৩৫৩০; আবুদাঊদ হা/৩৮৮৩)। তবে চিকিৎসা হিসাবে
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহ্র পথ হতে (মানুষকে) বিচ্যুত করার জন্য গান ক্রয় করে এবং আল্লাহ্র পথকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে; তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি (লোকমান ৬)। আবু মালেক আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে, ত
উত্তর : মূর্তি ও ভাষ্কর্যের মধ্যে অর্থগত পার্থক্য থাকলেও উদ্দেশ্য একই। মূর্তি হ’ল অবয়ব বা প্রতিকৃতি। আর প্রস্তরাদি খোদাই করে যে মূর্তি তৈরী হয় তা-ই ভাষ্কর্য। ইসলামী শরী‘আতে মূর্তি ও ভাষ্কর্য দু’টির মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি। কোনটি পূজনীয়, আ
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক যে বিতর্কটি সবার দৃষ্টি কেড়েছে, তা হল মূর্তি বা ভাস্কর্য সংস্কৃতির পক্ষ-বিপক্ষে দু’টি শক্তির মুখোমুখি অবস্থান। যাদের একপক্ষ ইসলামপন্থী, অপরপক্ষ কিছু সংখ্যক তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। আর এই উপলক্ষ্যে সর্বদলীয় ইসলামপন্থীরা
সম্প্রতি দেশে শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সরকার ও আলেম-ওলামা মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন। সরকারী দল ও তার লেজুড়বৃত্তি সংগঠনগুলো আলেম-ওলামার বিপক্ষে ন্যক্কারজনক ভাষায় কটূক্তি করে চলেছে। রাম ও বামপন্থী কিছু বুদ্ধিজী
উত্তর : ছহীহ বুখারীতে আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক জনৈক গোত্রপতিকে সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়ফুঁক করা এবং তার বিনিময় গ্রহণ করা সম্পর্কে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/২২৭৬, ৫৭৩৬)। তাবীয ব্যবহার করা যাবে মর্মে শুধু বুখারী নয় বরং কোন হাদীছ গ্রন্থেই কো
উত্তর : থার্টিফার্স্ট নাইট, ভালোবাসা দিবস, নববর্ষ ইত্যাদি পালন করা নিষিদ্ধ। কারণ প্রথমতঃ সব ধরনের দিবস পালন বিজাতীয় অপসংস্কৃতির অনুকরণ মাত্র। যা নিষিদ্ধ (আবূদাঊদ হা/৪০৩১, তিরমিযী হা/২৬৯৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২১৯৪)। দ্বিতীয়তঃ এসব কিছুর আয়োজনের দ্ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মন
মানুষের প্রতি আল্লাহর সর্বশেষ আহবান ‘তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিন তোমরা সকলে ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রত্যেকে পাবে তার স্ব স্ব কর্মফল। আর তারা কেউ সেদিন অত্যাচারিত হবে না (বাক্বারাহ ২৮১)। বস্ত্ততঃ এটাই ছিল কুরআনের সর্বশেষ আয়াত, যা রাসূ
ইসলাম একটি সার্বজনীন পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এতে কোন কিছু সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ নেই। এটা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় পূর্ণতা লাভ করেছে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলাম পরিপূর্ণ রূপরেখা তুলে ধরেছে। সাথে সাথে তাবীয জাতীয় জিনিস ব্যবহার নিষেধ করেছে
পর্ব ১ । পর্ব ২।পাঁচ. কুরআন তেলাওয়াত : সাধারণভাবে কুরআন তেলাওয়াতের ছওয়াব মৃতের জন্য বখশানো যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম থেকে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পূর্বে তাঁর একাধিক স্ত্রী ও ছয় সন্তান মৃত্
আরবী শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সাধারণভাবে ‘শবেবরাত’ বা ‘লায়লাতুল বারাআত’ (ليلة البراءة) বলা হয়। ‘শবেবরাত’ শব্দটি ফারসী। এর অর্থ হিস্সা বা নির্দেশ পাওয়ার রাত্রি। দ্বিতীয় শব্দটি আরবী। যার অর্থ বিচ্ছেদ বা মুক্তির রাত্রি। এদেশে শবেবরাত ‘সৌভাগ্য
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ ।পঞ্চম দলীল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় কুরআন লিপিবদ্ধ ছিল না। ছাহাবায়ে কেরাম তাঁর মৃত্যুর পরে ক
উত্তর : এটি অমুলিম কালচার থেকে আগত একটি অসভ্য প্রথা। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় পূর্ণ এরূপ অনুষ্ঠানে যোগদান করা বা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও সীমালংঘনের ক
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের মত মানুষ ছিলেন। অতএব তাঁর ছায়া থাকাই স্বাভাবিক। ছায়াহীন হওয়ার জন্য তাঁকে নূরের সৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন ছিল। অথচ আল্লাহ বলেন, হে নবী তুমি বলে দাও যে, ‘আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র’ (কাহ্ফ ১৮/১১০)। অন্যত্র আল্লা
উপক্রমণিকা : অন্যান্য মহৎ গুণের পাশাপাশি একজন মুসলিমকে যে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা হ’ল মানুষের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। সুধারণা সমাজে কল্যাণ বয়ে আনে, ভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখে। সুচিন্তা-সুধারণা আমাদেরকে বিবেকবান উন্নত মানুষে পরিণত করে। প্রত
উত্তর : এতে কোন দোষ নেই (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩৯৭৫, সনদ ছহীহ)। তবে অবশ্যই তা শিরক মুক্ত হতে হবে (মুসলিম হা/২২০০; মিশকাত হা/৪৫৩০)। অতএব নষ্ট আক্বীদার লোকদের কাছ থেকে ঝাড়ফুঁক নেওয়া থেকে দুরে থাকতে হবে।
উত্তর : বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট প্রিয় খাদ্য হ’ল যাতে অনেক হাত অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ যে খাদ্য অনেকে এক সাথে খায় (আবু ইয়া‘লা হা/২০৪৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭১; ছহীহাহ হা/৮৯৫)। তিনি বলেন, তোমরা একত্রে খাবার গ্রহণ করো। পৃথক হয়ে খাবার গ্র
উত্তর : ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সহ দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বারো ইমামে বিশ্বাসী ইছনা ‘আশারিয়া ইমামিয়া শী‘আ। নিম্নে তাদের মৌলিক কিছু আক্বীদা তাদের কিতাবসমূহ থেকে বর্ণিত হ’ল।- (১) তাদের ইমামগণ অতীত এবং ভবিষ্যতের যাবতীয় গায়েবের জ্ঞান রাখে (কুলাইনী,
[প্রফেসর হাফেয আব্দুল্লাহ বাহাওয়ালপুরী পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, মাসলাকে আহলেহাদীছ-এর অনেক বড় দাঈ ও মুবাল্লিগ ছিলেন। তিনি ১৯২৪ সালের দিকে পূর্ব পাঞ্জাবের আম্বালা যেলার রোপাড় তহসিলের ডুগরী নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলভী নূর ম