
সঙ্গতভাবেই কথা উঠেছে ৭২-এর সংবিধান বাতিল হবে এবং নতুন সংবিধান রচিত হবে। কেন বাতিল হবে? কেননা ঐ সংবিধান ছিল ভারতের চাপিয়ে দেওয়া। যা এদেশের মানুষের আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে ছিল গত ৫২ বছর। মুখে গণতন্ত্র বলা হচ্ছে। অথচ দেশের গণ মানুষের
৫ই আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে যাওয়ার একটি দিন। ছাত্রসমাজের দুঃসাহসী সংগ্রামী চরিত্রকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার দিন। ঘাতকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে, শহীদী রক্তে রঞ্জিত হয়ে বিজয় আনার দিন। জুলাই-আগস্ট’২৪ দুঃশাসনের এক কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি
গত ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যা ঘটে গেল, তা রীতিমত বিস্ময়কর। যা পৃথিবীর তাবৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে দারুণ ঝাঁকুনি দিয়েছে। মেধা আল্লাহর দান। কিন্তু যখনই সেই মেধার স্বাভাবিক বিকাশে ও তার মূল্যায়নে সরকার নানাবিধ কোটা চাপিয়ে দীর্ঘ দ
ইলমের যেমন গুরুত্ব ও ফযীলত রয়েছে তেমনি ইলম অন্বেষণ ও ইলম শিক্ষা দানেরও বিশেষ গুরুত্ব ও ফযীলত রয়েছে। তন্মধ্যে কয়েকটি নিমেণ উল্লেখ করা হ’ল-(১) নবী-রাসূলগণকে প্রেরণের অন্যতম উদ্দেশ্য শিক্ষাদান : আদম (আঃ) থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত ৩১৫ জন রাসূ
উত্তর : নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এই ব্যবস্থা না থাকলে সাধ্যমত দৃষ্টি নত রেখে পাঠদান করবে (নূর ২৪/৩০-৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আলী (রাঃ)-কে বলেন, ‘হে আলী! তুমি দৃষ্টির উপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার
(৩) ইল্ম ও আলেমের উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা : কারণ (ক) দ্বীনী ইল্ম হ’ল নবীদের ইল্ম। তাঁরা কোন দীনার ও দিরহাম রেখে যাননি ইল্ম ব্যতীত’।[1] উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য এটাই বড় মর্যাদা যে, বিংশ শতাব্দীতে এসেও তারা তাদের নবীর ওয়ারিছ হ’তে পারে।(খ) আল
(৪) সামাজিক দায়িত্বশীলতার দক্ষতা (Scoial Responsibily Skill) :সামাজিক দায়িত্বশীলতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ব্যক্তিক এবং সাংস্কৃতিক পার্থক্যকে সম্মান করা। নিজ আচরণের সামাজিক পরিণতি সম্পর্কে সংবেদনশীল হওয়া এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা। সামাজিক সম্প্রীতি, ভ
পর্ব ১। পর্ব ২। পাঠদান :সাধারণভাবে বললে, শিক্ষকবৃন্দ কখন কিভাবে দরস দিবেন, এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল।[1] কেউ কেউ প্রতিদিন দরস দিতেন। যেমন একজন বিদ্বানের ব্যাপারে বর্ণিত আছে যে, তিনি ত্রিশ বছর যাবৎ একটি দরসও স্থগিত করেননি।[2] একজন
উত্তর : দরিদ্র বা অসহায় ব্যক্তিরা উক্ত শিক্ষাবৃত্তি নিতে পারে। কারণ সূদ মিশ্রিত টাকা উপার্জনকারীর জন্য হারাম হ’লেও গ্রহীতার জন্য হারাম নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, যখন হারাম সম্পদ দরিদ্র বা অসহায়দের প্রদান করা হয়, তখন তা গ্রহণ করা তাদের জন্য হার
উত্তর : দ্বীনদার ও উপযুক্ত পাত্রের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসার পরও অভিভাবক বিবাহ না দিলে এবং সাবালিকা মেয়ের পূর্ণ সম্মতি থাকা সত্ত্বেও অভিভাবক অন্যায় যিদ করলে পরবর্তী অভিভাবক হিসাবে চাচা বা সাবালক ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হব
ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তিভূমি :ইসলামের প্রথম যুগেই ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয়। সেসময় রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদের নিকটে কুরআনী নির্দেশনা ব্যাখ্যা করতেন, যেন তারা দ্বীনের আলোয় আলোকিত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ)-এর এসব মজলিসই পরবর্তী যুগে ইসলামী শিক্ষ
ইসলামে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। এ গুরুত্বের কারণেই আল্লাহ তা‘আলা প্রথম মানুষ আদি পিতা আদম (আঃ)-কে সর্বপ্রথম শিক্ষাদান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,وَعَلَّمَ آدَمَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا ثُمَّ عَرَضَهُمْ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ فَقَالَ أَنْبِئُوْنِي
পৃথিবীতে যেকোন স্থানে যেকোন প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। এগুলি দেখে বান্দা আল্লাহর অস্তিত্ব ও তাঁর অসীম ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারে। সেকারণ তিনি মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি বল, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ কিভাবে তিনি সৃষ্টি
উত্তর : যদি খৃষ্টান ধর্মের আক্বীদা-বিশ্বাস কচিকাচাদের শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে সে স্কুলে সন্তানদেরকে পড়তে দেয়া যাবে না। আর কোন গোপন উদ্দেশ্য ছাড়াই তারা ফ্রি পড়াবে, এরূপ কথা বিশ্বাস করা যায় না। অতএব এসব স্কুল থেকে মুসলিম সন্তানদের দূ
শিক্ষার্থী মূল্যায়ন :শিক্ষার্থী মূল্যায়ন অনুচ্ছেদের ২য় ও ৩য় লাইনে বলা হয়েছে, ‘পঞ্চম শ্রেণী শেষে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে’। ইতিমধ্যে এ পদ্ধতি চালু হয়ে গেছে। বাস্তবে দেখা গেছে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ বিষয় আরবী ও ধর্
উত্তর : মানত মানুষের নিয়তের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে সকল মানুষকে খাওয়ানোর নিয়ত করলে সকলেই তা খেতে পারবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৪১৬)। আর ছাদাক্বা মূলত গরীব-মিসকীনদের জন্য। তবে এযুগে বেসরকারী মাদরাসা ও ইয়াতীমখানাগুলি, যাদের পর্যাপ্ত আয়-রোজগার নেই, স
উত্তর : এটি অমুলিম কালচার থেকে আগত একটি অসভ্য প্রথা। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় পূর্ণ এরূপ অনুষ্ঠানে যোগদান করা বা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও সীমালংঘনের ক