উত্তর : অমুসলিমদের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত ট্যাংক-এর পানি দ্বারা ওযূ করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইহূদী-নাছারাদের দেওয়া হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/৩১৬১; ইবনু তায়মিয়াহ, ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। অতএব পানি পবিত্র হ’লে ওযূ করা যাবে
উত্তর : সর্বাবস্থায় কাতারের সাথে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবে। কারণ জামা‘আতের জন্য শর্ত হচ্ছে কাতারের সাথে কাতার মিলে থাকা এবং ইমামের আওয়াজ শুনতে পাওয়া। এক্ষণে বাধ্যগত অবস্থায় মসজিদের বারান্দায় একাধিক মুছল্লী ছালাত আদায় করলে জামা‘আতে ছালাত হয়ে যাবে ই
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে। কিন্তু উক্ত পাথরে বরকত আছে মনে করাটা শিরক হয়েছে। যেমন ওমর (রাঃ) হাজারে আসওয়াদকে চুমু দেওয়ার সময় বলেছিলেন, আল্লাহর কসম! আমি জানি যে, তুমি একটি পাথর মাত্র। কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা তোমার নেই। তবে যদি
উত্তর : মসজিদের প্রাচীরে কোন কিছু লেখা সমীচীন নয়। বিশেষ করে সামনে দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত কোন কিছু লেখা বা টাঙানো মোটেও ঠিক নয়। কারণ এতে মুছল্লীর মনোযোগ বিনষ্ট হ’তে পারে, যা ছালাতের আদবের খেলাফ। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুছল্লী ছালাতের মধ্যে
উত্তর : মসজিদের উন্নতি কল্পে মসজিদের টাকা মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে কারো ব্যক্তিগত ব্যবসায় খাটানো যাবে না এবং কেউ ঋণ নিতেও পারবে না। কারণ এগুলো আল্লাহর আমানত। আর আমানত যে উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে কেবল স
উত্তর : মসজিদের শ্রীবৃদ্ধি বা অতি অসহায় দরিদ্রদের ছাদাক্বার মধ্যে যেটি অধিক প্রয়োজন হবে, সেটিই করা উত্তম। প্রয়োজনে বিশুদ্ধ নিয়তে উভয় স্থানেও দিতে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২০/৪৮)।প্রশ্নকারী : ছাববীর আহমাদ, পাবনা।
উত্তর : মুছল্লীদের খাওয়ানোর মাধ্যমে দো‘আ চাওয়া যাবে। কারণ মুছল্লীদের খাওয়ানো নফল ছাদাক্বার অন্তর্ভুক্ত। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা ছাদাক্বার মাধ্যমে তোমাদের রোগীদের চিকিৎসা কর (ছহীহুত তারগীব হা/৭৭৪)। ছাদাক্বাকারী দো‘আ না চাইলেও মুছল্ল
উত্তর : যে মসজিদের নীচে কবর রয়েছে তা পাকা করা হৌক বা ঢালাই করা হৌক তাতে ছালাত আদায় করা জায়েয নয়। কেননা কবরের ব্যাপারে তিনটি বিষয় নিষিদ্ধ- ১. কবরের উপরে ছালাত আদায় করা ২. সরাসরি কবরের দিকে ছালাত আদায় করা ৩. কবরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা মসজিদে ছালাত
উত্তর : লাশ বা কবরের অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়া গেলে সেখানে মসজিদ নির্মাণ বা ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/৩০৩; মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৩৮৭)। তবে কবর থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হ’লে তার উপর কোনভাবেই মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বল
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে। কেননা মসজিদটি কবর কেন্দ্রিক নয়। তাছাড়া কবর রয়েছে মসজিদের পিছনে। আর হাদীছে কবর সামনে নিয়ে বা কবরের উপরে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের
উত্তর: উক্ত নামে মসজিদের নামকরণ করা যাবে না। কারণ এটা রাসূল (ছাঃ) এবং তাঁর মসজিদের সাথে খাছ। সুতরাং সাধারণভাবে অন্য মসজিদের এরূপ নামকরণ জায়েয নয়। কারণ এতে বহু বিধি-নিষেধের সমাবেশ ঘটে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৮৪)। আব্দুর রহমান বিন নাছের আল
উত্তর : দানকৃত বস্ত্ত বিক্রয় করে তা দাতার উদ্দেশ্য মোতাবেক ব্যবহার করলে জায়েয হবে; নতুবা নয়। তবে মসজিদের ভিতরে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না (তিরমিযী হা/৩২২; মিশকাত হা/৭৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমরা মসজিদে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখবে তখন বলবে, আল্
উত্তর : বাড়িতে থেকে জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কেননা জামা‘আত হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল কাতারের সাথে কাতার মিলে থাকা এবং ইমাম বা অন্য মুছল্লীদের দেখতে পাওয়া অথবা ইমামের আওয়াজ শুনতে পাওয়ার মাধ্যমে স্থানিক ঐক্য সাধিত হওয়া, যা বাড়ির মধ্যে থেকে সম্ভব ন
উত্তর : প্রথমত সুন্নাতী তরীকায় ছালাত আদায় করা হয়, এমন মসজিদে ছালাত আদায়ের চেষ্টা করবে, যদিও তা দূরে হয়। আর যদি এমন মসজিদ না পাওয়া যায়, তবে পার্শ্বস্থ মসজিদে গিয়েই জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে, যদি ইমামের বিদ‘আত এমন না হয়, যা তাকে ইসলাম থেকে খা
উত্তর : যেকোন বৈধ কাজ সৎমানুষ দ্বারা উদ্বোধন করানো যাবে। মসজিদের ইমাম ইটের ভাটা আগুন প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করলে তাতে দোষ নেই। কেননা আগুন দিয়েই ইট পোড়ানো হয়। উল্লেখ্য যে, মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরী করার ব্যাপারে কোন কোন এলাকায় কুসংস্কার রয়েছে। মূ
উত্তর : উক্ত কাজ সঠিক হয়নি। ছালাতে শিশুদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া উত্তম। এতে শৈশব থেকেই তাদের মসজিদে ছালাত আদায়ের অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেকারণ নববী যুগে শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়ার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) শিশুর ক্রন্দন শুনে ছালাত সংক্ষিপ্ত করেছেন&nb
উত্তর : অপবিত্র পানি বা তরল কোন বস্ত্ত শরীরে বা কাপড়ে লেগে গেলে সিক্ত স্থান সাধ্যমত ধুয়ে ছালাত আদায় করবে। তবে এতে ওযূ নষ্ট হবে না (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৫/২৫৩)।প্রশ্নকারী : ইমরান ফরহাদ, রাজশাহী।
উত্তর : মসজিদের জায়গায় হারাম কোন কাজ করা বা মাদক সেবন করা নিষিদ্ধ। এক্ষণে মসজিদ কমিটির দায়িত্ব হ’ল তাদেরকে বাধা দেওয়া। তারা এ ব্যাপারে সচেতন না হ’লে এবং ব্যবস্থা না নিলে গুনাহগার হবেন।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ পলাশ, পাংশা, রাজবাড়ী।
উত্তর : কমিটির অনুমতি সাপেক্ষে হিসাবরক্ষক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারে (খারশী, শারহু মুখতাছারু খলীল ৭/১৯৪)। তবে কাউকে না জানিয়ে ক্যাশ থেকে কোন টাকা নেওয়া খেয়ানত হিসাবে গণ্য হবে। কারণ হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংরক্ষণ করা। বরং ব
উত্তর : এরকম লোককে ইমাম হিসাবে রাখা যাবে না। কারণ ইমামতি একটি মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব, যার পিছনে অসংখ্য মুছল্লী ছালাত আদায় করেন। তবে বাধ্যগত অবস্থায় ফাসেক ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ ছাহাবায়ে কেরাম যালেম ও ফাসেক ব্য
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে শিরনী নামে কোন পরিভাষা নেই। বরং কেউ মারা গেলে তার আত্মীয়-স্বজন মাইয়েতের পরকালীন মুক্তির জন্য দো‘আ করবে এবং ছাদাক্বা করবে। যা গোপনে করাই উত্তম। আর প্রকাশ্যে করলে ফকীর-মিসকীনরাই তার বেশী হকদার (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আ
উত্তর : মসজিদের পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রয় করে মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করায় কোন বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩১/৯২)।প্রশ্নকারী : তানযীল আহমাদ, লালপুর, নাটোর।
উত্তর : মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর মত প্রসিদ্ধ ছাহাবীকে কাফের আখ্যাদানকারী ব্যক্তি নিজেই কুফরীতে পতিত হয়েছে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার কোন মুসলিম ভাইকে কাফের বলল, তাদের দু’জনের একজন কাফের হবে’ (মুসলিম হা/৬০)। অতএব তার এই ভ্রান্ত আক্ব
উত্তর: পারিশ্রমিক হিসাবে আদায়কারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে অনুরূপ অর্থ নিতে পারবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তিকে যদি আমরা কোন কাজে নিযুক্ত করি এবং তাকে সে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক প্রদান করি। অতঃপর যদি সে তার চাইতে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করে,
উত্তর :প্রথমত: সাধারণভাবে মুসলমানদের কবর খনন করে লাশ বের করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা জায়েয নয়। কারণ মাইয়েতেরা উক্ত জায়গার হকদার, যেমনভাবে কোন ব্যক্তি তার নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তির হকদার (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/১৩৯)। শায়খ উছায়মীন (রহঃ) বলে
উত্তর : এমতাবস্থায় নিয়ত পরিবর্তন করে পিতা-মাতার জন্য ব্যয় করায় কোন বাধা নেই। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, কিভাবে খরচ করবে? বলে দাও যে, ধন-সম্পদ হ’তে তোমরা যা ব্যয় করবে, তা তোমাদের পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফির
উত্তর : ক্ষতি হবে না। তবে মসজিদের সম্মানার্থে সরাসরি মুছাল্লার উপরে বাথরুম নির্মাণ না করাই উত্তম (আলবানী, রিহলাতুল খায়র, টেপ নং ১০)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বগুড়া।
উত্তর : প্রশিক্ষণ শিবির যদি সফর অবস্থায় হয় তবে সেখানে সাময়িক জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং যোহর আদায় করবে কিংবা আশ-পাশের কোন মসজিদে গিয়ে জুম‘আ আদায় করবে। আর যদি মুক্বীম অবস্থায় হয় তাহ’লে অবশ্যই মসজিদে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। তবে যদি মসজিদে মুছল্ল
উত্তর : যাবে। তবে যেন মসজিদে তাদের কোন শব্দ না আসে এবং ইবাদতে বিঘ্ন না ঘটে। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) মসজিদে নববীর অনতিদূরে একটি বড় চত্বর বানিয়েছিলেন, এর নাম রাখা হয়েছিল ‘বুত্বায়হা’। তিনি লোকেদের বলে রেখেছিলেন, যে ব্যক্তি অনর্থক কথা বলবে অথবা কব
উত্তর : পুরাতন মসজিদের জিনিসপত্র নবনির্মিতব্য মসজিদে ব্যবহার করা যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/৭৬-৭৭; ইবনুল হুমাম, ফাৎহুল ক্বাদীর ৬/২২৮)। তাছাড়া পুরাতন মসজিদের জমি বিক্রয় করেও তার অর্থ নতুন মসজিদে লাগানো যাবে। কূফার মসজিদে রক্ষিত বায়তুল মা
উত্তর : সাধারণভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কোন বাধা নেই। যাতে মুছল্লীরা প্রশান্তির সাথে ছালাত আদায় করতে পারেন। ওছমান (রাঃ) মসজিদে নববীর সৌন্দর্য বর্ধন করেছিলেন (বুখারী ফাৎহসহ হা/৪৪৬, ১/৬৪৩)। তবে সাজ-সজ্জার প্রতিযোগিতা এবং গর্ব-অহংকার প্রকাশের জন্য মসজিদের
উত্তর : মাসবূকের ছালাত শেষ হওয়ার পর হাদীছ পাঠ করাই উত্তম। মসজিদে মুছল্লীদের ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কোন কাজ করা সমীচীন নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই ছালাতের মধ্যে আল্লাহর দিকে নিবিষ্টতা থাকে’ (বুখারী হা/১১৯৯; মুসলিম হা/৫৩৮; মিশকাত হা/৯৭৯)। এক্ষণে
উত্তর : ঘুষ সংশ্লিষ্ট থাকায় এমন অনুদান গ্রহণ করা যাবে না। কেননা ঘুষ আদান-প্রদান হারাম। এই পন্থায় অর্থ গ্রহণ করলে হারাম কাজে সহযোগিতা করা হবে। আর আল্লাহ বলেন, ‘নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গোনাহ ও অন্যায় কাজে সহযোগিতা কর না’ (মা
উত্তর : মাগরিবের আযানের পর ছালাতের পূর্বে এরূপ আমল নিয়মিত করা যাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) মাগরিবের আযানের পর ও ফরয ছালাতের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে উৎসাহ দিতেন। রাসূল (ছাঃ) একদিন তিনবার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘তোমরা মাগরিবের পূর্বে
উত্তর : মসজিদে কোন স্থানকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরী‘আতসম্মত নয়। আব্দুর রহমান বিন শিবল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিনটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। সিজদায় কাকের ন্যায় ঠোকর মারতে, হিংস্র প্রাণীর ন্যায় হাত বিছিয়ে দিতে এবং মসজিদের কোন স্থানকে নিজের জন্
উত্তর : মসজিদে অপ্রয়োজনীয় দুনিয়ারী কথা-বার্তা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, অচিরেই এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ মসজিদে বসে নিজেদের দুনিয়াবী কথাবার্তা বলবে। অতএব তোমরা এসব লোকদের গল্প-গুজবে বসবে না। আল্লাহ তা‘আলার এমন লোকের প্
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং প্রত্যেক মসজিদে ওয়াক্ত হ’লে পৃথক পৃথক মুয়াযযিন আযান দিবে এবং ছালাত আদায় করবে। সমকালীন বিদ্বানগণ অধিকাংশই এরূপ আযানকে নাজায়েয সাব্যস্ত করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৬২, ৬/৬৯; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন
উত্তর : মসজিদের হেফাযত অর্থ তার সম্মানের হেফাযত। তার চার দেওয়ালের হেফাযত নয়। খোদ রাসূল (ছাঃ) কা‘বাগৃহকে ভেঙ্গে ইব্রাহীমী ভিতের উপরে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করেননি (মুসলিম হা/১৩৩৩)। এতে বুঝা যায় যে, যেকোন কারণে মসজিদ ভাঙ্গা-গড়া হ’
উত্তর : অন্ধ ব্যক্তির জন্য আযান ও ইমামতিতে বাধা নেই। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর আমলে অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) মসজিদে নববীতে ফজরের আযান দিতেন এবং রাসূল (ছাঃ) ও বড় বড় ছাহাবীগণের অনুপস্থিতিতে ইমামতি করেছেন (বুখারী হা/৬১৭; মিশকাত হা/
উত্তর : ‘তাহিইয়াতুল মাসজিদ’ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। সুতরাং মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসবে না (বুখারী হা/৪৪৪; মুসলিম হা/৭১৪; মিশকাত হা/৭০৪)। এমনকি জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন সময়েও কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে রা
উত্তর : মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ আদায়কালে লোকদেরকে হালাল উপার্জন থেকে দান করতে উৎসাহিত করা মুস্তাহাব। কেননা আল্লাহ পবিত্র জিনিস ছাড়া কবুল করেন না (মুসলিম হা/১০১৫)। তবে কেউ যদি তার হারাম উপার্জন যেমন সূদ, ঘুষ, ব্যাংকে চাকুরীর বেতন ইত্যাদির টা
উত্তর : উক্ত মর্মে ছয়টি বর্ণনা পাওয়া যায় যার সবগুলো যঈফ বরং জাল (আলবানী, যঈফাহ হা/৫৭১, ১৬৭৫, ৪১৪৭, ৬১৯৭; যঈফুল জামে‘ হা/৪০৭১)। বরং হূরের মোহর হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কৃত ব্যক্তির সৎকর্ম (কুরতুবী, আত-তাযকেরাহ ৫৫৬ পৃ. ইবনু রজব, লাতাইফুল মা‘আরেফ ১৫৯ পৃ.)।
উত্তর : জনস্বার্থে মসজিদের জায়গায় বসানো মটর থেকে সাধারণ মানুষের পানি গ্রহণ করায় কোন বাধা নেই। তবে মসজিদের পবিত্রতা ও আদব যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে পূর্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে (যাকারিয়া আনছারী, আসনাল মাতালিব ১/১৮৬; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ১৬
উত্তর : একই ব্যক্তি আযান, ইক্বামত ও ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে আযান ও ইক্বামত আলাদা ব্যক্তি দেওয়াই উত্তম (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৮০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৩৩৯)।প্রশ্নকারী : মাহমূদুল হাসান, কাউনিয়া, রংপুর।
উত্তর : মসজিদের কোন অংশেই অধিক সাজ-সজ্জা করা সমীচীন নয়। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, মসজিদ সমূহকে অতিরিক্ত চাকচিক্যময় করে নির্মাণ করার জন্য আমি নির্দেশপ্রাপ্ত হইনি। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, কিন্তু তোমরা উহাকে চাকচিক্যময় করবে যেভাব
উত্তর : মসজিদের মাইক রাখা হয় আযানের জন্য। এটিকে অন্য কাজে ব্যবহার করা ঠিক নয়। তাছাড়া মসজিদে ব্যবসা-বাণিজ্য করা বা ব্যক্তিগত সম্পদ, প্রাণী বা বস্ত্ত অনুসন্ধান করা নিষিদ্ধ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৭৩২; তিরমিযী, ইরওয়া হা/১২৯৫)। তবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক
উত্তর : কোন ছালাতের জন্য সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের জন্য ওয়াক্ত নির্ধারণ করেছেন (নিসা ৪/১০৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের সময় উপস্থিত হবে তখন একজন আযান দিবে আর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে’ (বুখারী, মু
উত্তর : সামনে কাতারের জায়গা ফাঁকা রেখে পিছনে কাতার করা যাবে না। এটি রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত বিরোধী। কাতারের সাথে কাতার মিলিয়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা (ছালাতের) কাতারসমূহে মিলে-মিশে দাঁড়াবে। এক কাতা
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। কেননা মানুষকে খাদ্য দান বা মেহমানদারীর ফযীলতের ব্যাপারে বহু হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই, যে অন্যকে খাদ্য খাওয়ায়’ (আহমাদ হা/২৩৯৭১; ছহীহাহ হা/৪৪; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৪৯০)।প্রশ
উত্তর : মসজিদের ক্বিবলার দিকের প্রাচীর ও টয়লেটের প্রাচীর যদি একই হয়, তবে সেখানে ছালাত আদায় করা সমীচীন নয়। কেননা তা সরাসরি টয়লেট অভিমুখে ছালাত আদায়ের নামান্তর। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, তোমরা অবশ্যই তিনটি ঘরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করোন
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমলে জুম‘আ মসজিদ ব্যতীত ওয়াক্তিয়া মসজিদ ছিল। যেমন মসজিদে বনূ যুরায়েক্ব (বুখারী, মিশকাত হা/৩৮৭০)। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন (আবুদাঊদ হা/৪৫৫; তিরমিযী হা
উত্তর : মসজিদের দেওয়াল ও কবরস্থানের মধ্যে আলাদা প্রাচীর থাকলে উক্ত মসজিদে ছালাত শুদ্ধ হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১২/৩১; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ২/২৫৪; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৫৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে এবং কবরের
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে উপরোক্ত ধারণার কোন ভিত্তি নেই। অতএব এরূপ ভ্রান্ত আক্বীদা থেকে প্রত্যেক মুসলিমের বিরত থাকা আবশ্যক। আর চুল ও নখের কর্তিত অংশ মাটি চাপা দেওয়ার পক্ষে কোন কোন বিদ্বান মত পেশ করেছেন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৩২)। তবে এ মর্মে
উত্তর : একই মসজিদে একাধিক জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। ইসলামের ইতিহাসে এমন পদ্ধতি কোথাও চালু ছিল না। বরং মসজিদ সম্প্রসারণ করবে এবং একটি বড় জামা‘আতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। জুম‘আর জামা‘আত না পেলে পরে যোহরের ছালাত জামা‘আতে বা একাকী আদায় করবে। অতএব এ
উত্তর : মসজিদের কল্যাণার্থে নীচে বা উপরে মার্কেট, বাসস্থান বা গবেষণা সেন্টার নির্মাণে কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া নাযীরিইয়াহ ৩/৩৬৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২২০)। ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘মসজিদের নীচে দোকানপাট ও পানির হাউয তৈরী করা যায়। তাতে কোন ক্ষত
উত্তর : মসজিদের প্রাচীরে কোন কিছু লেখা সমীচীন নয়। বিশেষ করে সামনে দৃষ্টি আকর্ষণ করার মত কোন কিছু লেখা বা টাঙানো মোটেও ঠিক নয়। কারণ এতে মুছল্লীর মনোযোগ বিনষ্ট হ’তে পারে, যা ছালাতের আদবের খেলাফ। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই মুছল্লী ছালাতের মধ্য
উত্তর : পবিত্র সম্পদ থেকেই দান করা কর্তব্য (বাক্বারাহ ২/২৬৭)। তবে কেউ যদি হারাম উপার্জন থেকে দান করে, তবে তা গ্রহণ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৭)। হারাম উপার্জনের জন্য দাতা দায়ী হবেন, গ্রহীতা নন। আল্লাহ বলেন, এক
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মসজিদ তো আল্লাহর যিকর, ছালাত ও কুরআন তেলাওয়াতের জন্য (মুসলিম হা/২৮৫; মিশকাত হা/৪৯২ ‘ত্বাহারৎ’ অধ্যায়)। সুতরাং মসজিদকে দুনিয়াবী গল্প-গুজবের স্থান বানানো যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা মসজিদে বাজারের ন্যা
উত্তর : মৌখিকভাবে মসজিদে দান করলেই দান কার্যকর হয়ে যাবে। তবে লিখিত বা প্রচলিত রেজিস্ট্রি পদ্ধতি গ্রহণ করা যরূরী, যাতে কোন অস্পষ্টতার সুযোগ না থাকে। আর দান করার পর উক্ত জমিদাতা নিজে আবাদ করে উৎপাদিত ফসল দেয়ার পরিবর্তে পুরো মালিকানা মসজিদ কমিটি
উত্তর : মসজিদ বসবাসের স্থান নয়। বরং ইবাদতের স্থান। তবে যদি মসজিদ কমিটি মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করে ইমামের জন্য মসজিদ সংলগ্ন স্থানে কোন বাসগৃহ নির্ধারণ করে, সেখানে তিনি সপরিবারে বসবাস করতে পারেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ, ২য় ভাগ, ৫/২২১-২২; ওছায়মীন,
উত্তর : সরকার মসজিদের জমি অধিগ্রহণ করেছে এর ক্ষতি পূরণ মসজিদই পাবে, দাতা নন। কারণ জমিদাতা শর্তহীনভাবে তার জমি মসজিদে ওয়াকফ করেছেন। বর্তমানে উক্ত জমির মালিক মসজিদ। এক্ষণে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদ সংশ্লিষ্ট যেকোন কাজে উক্ত অর্থ ব্যয় করতে পারেন। প্
উত্তর : ছালাতের সালাম শেষে ইমাম ডাইনে অথবা বামে ঘুরে সরাসরি মুক্তাদীগণের দিকে ফিরে বসবেন (বুখারী হা/৮৫২; মুসলিম হা/৭০৭; মিশকাত হা/৯৪৪-৪৬)। আর ইমামের ঘুরে থাকাতে মুছল্লীর বিরক্তির কোন কারণ নেই। তবে ইমামের কোন কথার বলার প্রয়োজন না থাকলে এবং মুছল্লী
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় পিলারসহ কাতার করা যাবে না। কুর্রা (রাঃ) বলেন, আমাদেরকে খুঁটি সমূহের মধ্যবর্তী জায়গায় ছালাত পড়তে নিষেধ করা হ’ত। এমনকি সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হ’ত’ (ইবনু মাজাহ হা/১০০২; ছহীহাহ হা/৩৩৫; তামামুল মিন্নাহ ২৯৬ পৃ.)। তবে লোক সমাগম
উত্তরঃ মুছল্লীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এমন কিছু মসজিদের দেয়ালে বা মেহরাবে লাগানো যাবে না। ছালাতের সময় এগুলি চোখে পড়লে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এমন একটি চাদরে ছালাত আদায় করেন যাতে বুটা ছিল। তিনি তার বুটার দি
উত্তরঃ বসার পূর্বে দু’রাক‘আত তাহিয়াতুল মাসজিদ আদায় না করে বসা সুন্নাত বিরোধী কাজ। এরূপ যারা করেন তারা সুন্নাত বিরোধী আমল করেন। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসতে নিষেধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪)।
উত্তরঃ আবূ মাহযূরাহ্ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে আযানের নিয়ম শিখিয়ে দিন। ... তিনি তাকে আযানের শব্দগুলো শিখিয়ে দেন এবং বলেন, যদি সকালের ছালাত হয় তাহ’লে তুমি বলবে, ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান্ নাঊম, আছ-ছালাতু খাইরুম মিনান
৬ ডিসেম্বর ভারতবর্ষ তথা গোটা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে একটি শোকের দিন। ১৯৯২ সালের এই দিনে উগ্র হিন্দুরা ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা রাজ্যের ফয়যাবাদে অবস্থিত বাবরী মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়। এ অনভিপ্রেত ঘটনার জের ধরে সমগ্র ভারতের ৩৫৬টি শহরে সৃষ্ট হিন্দু-মুসলি
উত্তরঃ এভাবে জমি ওয়াকফ্ হবে না। ওয়াকফকারীর শুধু অভিভাকত্ব চলবে। এছাড়া আর কোন শর্ত চলবে না। বিশেষভাবে মসজিদের নামে যা ওয়াকফ্ করা হয় তা শুধু মসজিদের কাজেই ব্যয় করতে হবে। কোন মসজিদ অনাবাদ হলে বা মসজিদের সম্পদ ব্যয় করার খাত না থাকলে অন্য মস
উত্তরঃ সামাজিক স্বার্থে মসজিদে খাটিয়া রাখা যায়। এর দ্বারা মৃত্যুকে স্মরণ হয়। যেহেতু মসজিদে খাওয়া-দাওয়া, অবস্থান করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সেহেতু খাটিয়া রাখা যেতে পারে (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৩০০; বুখারী হা/৪৪০)। তবে মসজিদের পবিত্রতা ও মর্যাদা
উত্তরঃ মসজিদের মেহরাব বা দেওয়ালে উক্ত বাক্য কিংবা পবিত্র কুরআনের কোন আয়াত লেখা যাবে না। অনুরূপভাবে কারুকার্য খচিত টাইল্সও বসানো যাবে না। এগুলো ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট করে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/’৭৫৭-৫৯)।
উত্তরঃ মসজিদের জন্য মানত করে থাকলে মসজিদেই দিতে হবে। কারণ মসজিদের জমি মসজিদের স্বার্থে ব্যবহার করাই উত্তম। তবে জমিটি মসজিদের জন্য তেমন কোন কাজে না আসলে উপকারিতার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যদি কবরস্থানের জন্য বেশী উপকার বিবেচিত হয়, তাহ’লে সেখানে দ
উত্তরঃ মসজিদে জায়গা সংকুলান না হ’লে ঈদের মাঠ সহ যেকোন পবিত্র স্থানে ছালাত আদায় করা যাবে। ঈদের মাঠে ঈদের ছালাত ছাড়া অন্য ছালাত হবে না এই ধারণা সঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সমগ্র যমীনকে আমার জন্য পবিত্র স্থান এবং মসজিদ বানিয়ে দেয়া হয়েছে’ (
উত্তরঃ আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদ উদ্বোধন করার শারঈ কোন ভিত্তি নেই। মসজিদের দায়িত্বশীলগণ আযান দিয়ে নতুন মসজিদে ছালাত আদায় করা শুরু করবেন। তবে মসজিদ ছালাত আদায়ের উপযোগী হয়ে গেলে লোকদেরকে জানানো যেতে পারে এবং ছালাতের প্রতি উৎসাহিত করতে কুরআন ও হাদীছ
উত্তরঃ আয়েশা (রাঃ) আযান দিতেন, এক্বামত দিতেন এবং মহিলাদের ইমামতি করতেন। এ সময় তিনি কাতারের মাঝে দাঁড়াতেন (বায়হাক্বী হা/৪০৮; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৪)। তবে উচ্চৈঃস্বরে নয়, সরবে আযান দিবে।
উত্তরঃ উক্ত মর্মে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে অস্থায়ীভাবে মসজিদ নির্মাণ করে সেখানে জুম‘আ-জামা‘আত কায়েম করা যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, মদীনায় হিজরত করার পর মসজিদ নির্মাণের স্বার্থে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বনু নাজ্জারকে বললেন, তোমরা তোমাদের বাগানটি আমার নিকট
উত্তরঃ পুরানোটির পরিবর্তে নতুন যে মসজিদ নির্মাণ করা হবে তা মুছল্লীদের জন্য অধিক কল্যাণকর হ’লে এবং কোন প্রকার শারঈ বাধা না থাকলে পরিবর্তন করা যাবে এবং পূর্বের মসজিদ নিজের কল্যাণ কর্মে ব্যবহার করা যাবে। যেমন ওমর (রাঃ) কূফার মসজিদ পরিবর্তন করেছি
উত্তরঃ আযানের শব্দ দু’বার এবং ইক্বামতের শব্দ একবার করে বলতে হবে। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যুগে আযান দু’বার করে এবং ইক্বামত একবার করে দেয়া হ’ত (আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৬৪৩)। বেলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, আযান দিবে জোড়
উত্তরঃ মসজিদের মুছল্লীদেরকে নিয়ে মৃত ব্যক্তির জন্য হাত তুলে দো‘আ করা যাবে না। এটি বিদ‘আত, যা পরিত্যাজ্য। মৃত ব্যক্তির জন্য কেউ দো‘আ চাইলে অথবা নিজে থেকে দো‘আ করলে ব্যক্তিগতভাবে নিম্নের দো‘আটি পড়া যায়। ছাহাবী আবু সালামাহ (রাঃ) মারা গেলে
উত্তরঃ যেসব মসজিদে বিদ‘আতী আমল চালু আছে সেসব মসজিদের পরিচালনা কমিটিতে সদস্য পদ গ্রহণ করা উচিত নয়। কারণ এতে বিদ‘আতের সহযোগিতা করা হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘন কাজে সহযোগিতা কর না’
উত্তরঃ বাইরে পড়াই সুন্নাত। তবে বিশেষ অবস্থায় মসজিদের মধ্যে জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৫৬)।
উত্তরঃ মসজিদ কমিটি বাধ্যতামূলক টাকা নিতে পারে না। তবে স্বেচ্ছায় দিলে নেওয়া যাবে এবং দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। তবে মোহরানাকে হিসাব করে কোন টাকা নেওয়া যাবে না।
উত্তরঃ সচ্ছল হিসাবে বেতন ছাড়াই ইমামতি করা উত্তম। এটি অত্যন্ত সম্মানিত দায়িত্ব। তাই বেতন নিয়ে দর কষাকষি করা মর্যাদাকর নয়। মুছল্লীদের উচিত ইমামের জন্য সম্মানজনক ভাতার ব্যবস্থা করা। কারণ ভাতা নির্ধারণ না হ’লে ইমামের মাঝে অলসতা আসতে পারে। বুরায়দা
উত্তরঃ এতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই; বরং উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা জুম‘আ মসজিদের উদ্দেশ্যই হ’ল জামা‘আত বড় হওয়া। জামা‘আত যত বড় হবে, মুছল্লীর নেকী তত বেশী হবে। এর মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য যোরদার হয় এবং পরস্পরে পরিচিতি ও ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। আর এটা
উত্তর : নলকূপের প্রয়োজন না থাকলে মসজিদের বারান্দায় বা অন্য স্থানে কাজে লাগাতে পারবে। এই মসজিদের দরকার না হলে অন্য মসজিদের কাজে লাগানো যায়। তবে মক্তবে লাগানো যাবে না। কারণ মসজিদের সম্পদ মসজিদের কাজেই ব্যবহার করতে হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৪/২৯০)।
উত্তর : আযান ও এক্বামতের উত্তর একই রকম হবে। কারণ হাদীছে উভয়কেই আযান বলা হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৬২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাই বল যা মুওয়াযযিন বলে (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় আযান
উত্তর : মসজিদে এমন গ্লাস বা টাইলস দেওয়া উচিত নয় যাতে মুছল্লীর ছবি দেখা যায়। এমতাবস্থায় সামনে কাপড় টাঙিয়ে ও নীচে কাপড় বিছিয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ যেকোন ছবি বা চিত্র ছালাতের জন্য ক্ষতিকর। যেমন প্রাণীর অংকিত চিত্র, তৈলচিত্র ও কাপড়ের চিত্র ক
উত্তরঃ কবরের উপরে বা কবরকে সামনে রেখে ছালাত হয় না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৮)।
উত্তরঃ আযানের উত্তর দেয়া ও আযান শেষের দো‘আ পড়া উত্তম হবে। কারণ এ ইবাদত চলন্ত অবস্থায় রয়েছে যার উত্তর দেয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আদেশ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৬৫৭)।
উত্তর : অন্তত একজনকে ই‘তেকাফে বসতে হবে নইলে মহল্লার লোকেরা গোনাহগার হবে একথা ঠিক নয়। কারণ ই‘তেকাফ যেমন কোন ফরয ইবাদত নয়, তেমনি মহল্লার মসজিদে একজনকে বসতেই হবে একথাও ঠিক নয়। ই‘তেকাফ একটি সুন্নাত ইবাদত, যা ছিয়াম অবস্থায় জুম‘আ মসজিদে করতে হ
উত্তর : এটা মানতকারীর নিয়তের উপরে নির্ভরশীল (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়িমাহ, ২য় খন্ড, নযর অধ্যায়, পৃঃ২৯৩-৯৪; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১)। সুতরাং মসজিদের জন্য মানত করলে তা মসজিদের কাজে লাগাবে।
উত্তর : মসজিদে কারো জন্য কোন জায়গা নির্দিষ্ট করে রাখা ঠিক নয়। বরং যিনি আগে আসবেন, তিনি প্রথম কাতারে দাঁড়াবেন (মুসলিম; মিশকাত হা/১০৯০)। তবে বিচক্ষণ ও দ্বীনি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিগণই ইমামের নিকটবর্তী ও পিছনে দাঁড়াবেন। অতঃপর অন্যরা দাঁড়াবে&nbs
উত্তর : মহিলারা তারাবীহ-এর জামা‘আতে শামিল হ’তে পারবে, যদি মসজিদে গমনের পথ নিরাপদ থাকে। এক্ষেত্রে তাদেরকে সুগন্ধি ব্যবহার ও সৌন্দর্য প্রদর্শনী পরিহার করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলঅইহ, মিশকাত হা/১০৫৯-৬০)। তবে মহিলাদের জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায়
উত্তর : উক্ত পদ্ধতির পক্ষে শরী‘আতে কোন দলীল পাওয়া যায় না। কারণ রাতের নফল ছালাত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রমাযান এবং রমাযান ছাড়া অন্য সময়ে এগারো রাক‘আতের বেশী পড়েননি (বুখারী, মুসলিম প্রভৃতি)। সুতরাং মসজিদুল হারামে করা হচ্ছে বলে একে দলীল হিসা
উত্তরঃ মসজিদের নীচে বা উপরে মার্কেট করা যায় (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ৩১/২৫৯)।
উত্তর : সরকারী জমিতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত জবর দখল করে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। কারণ মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ওয়াক্ফ হওয়া আবশ্যক। তবে মালিকানাহীন পরিত্যক্ত খাস জমিতে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে, যদি তাতে কারো বৈধ আপত্তি না থাকে বা কারো কোন ক
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।৮. সালথা, ফরিদপুর : গত ১৮ই নভেম্বর ২০২০ তারিখ সকাল সাড়ে ৯-টায় ফরিদপুর যেলার সালথা থানাধীন ডাঙ্গা কামদিয়া গ্রামে সদ্য প্রতিষ্ঠিত আহলেহাদীছ মসজিদ ও মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় কওমী ঘরানার একশ্রেণীর অপরিণামদর্শী মাযহাবপন্থী আলে
উত্তর : প্রয়োজনে মসজিদ স্থানাস্তর করা যায়। ওমর (রাঃ) কূফাবাসীর জামে‘ মসজিদকে ভেঙ্গে শহরের অন্যত্র বানিয়েছিলেন এবং প্রথম মসজিদের স্থানে খেজুর বিক্রেতাদের জন্য বাজার তৈরি করে দিয়েছিলেন (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ৩১/২১৬)। এমনকি মসজিদের সম্পত্তি কোন উপকারে ন
উত্তর : একই সমাজে পরস্পরের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে যে নতুন মসজিদ তৈরি করা হয় এবং যার দ্বারা মুমিন সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, এ মসজিদকেই ‘মসজিদে যিরার’ বলা হয়। এরূপ মসজিদ তৈরির ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য থাকে না এবং তা তাক্বওয়ার উপর প্রত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, পৃঃ ৩৬; আলবানী, আছ-ছামারুল মুস্তাত্বাব, পৃঃ ৮৩৩)।
উত্তর : বহু দিনের পুরাতন বা প্রাচীন কবরস্থান যেখানে আর কবর দেওয়া হয়নি সে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। তবে অল্প দিনের কবরের উপর মসজিদ তৈরি করা যাবে না। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় কর
উত্তর : এতে কিছু করণীয় নেই। কারণ সে না জেনে দিয়েছে। উভয়ে নেকী পাবে। তবে মসজিদে কোন এক ছালাতের জন্য একবার আযান হওয়াই সুন্নাত।
উত্তর : মসজিদে আযান ব্যতীত অন্য কোন ঘোষণা না দেওয়াই উচিত। যেমন হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ মসজিদে হারানো বিজ্ঞপ্তি শুনলে সে যেন বলে আল্লাহ যেন তোমাকে জিনিষটি ফেরত না দেন। কারণ এ কাজের জন্য মসজিদ বানানো হয়ন
উত্তর : যেকোন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে তাহিইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে মসজিদে বসতে নিষেধ করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪)।
উত্তর : যে ছালাতের জন্য মসজিদে প্রবেশ করা হয়েছে সেই ছালাতের সুন্নাত থাকলে সেই সুন্নাত পড়তে হবে। আর সেই ছালাতের কোন সুন্নাত না থাকলে দুখূলুল মসজিদ দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০৪; ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃঃ ৩৫৮)
উত্তর : যদি জানা যায় যে, তার উপার্জন স্পষ্ট হারাম তাহ’লে তার বাড়ীতে খাওয়া যাবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০)। তবে উপার্জিত সম্পদ হারাম হ’লেও খাদ্যটি হারাম না হ’লে তার বাড়িতে খাওয়া যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) ইহুদীর খাদ্য খেয়েছেন যাদের উপার্জন হারাম পন্থ
উত্তর : মসজিদে বিবাহ পড়ানো সংক্রান্ত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/১৮৫; ইরওয়া হা/১৯৯৩; মিশকাত হা/৩১৫২’ যঈফাহ হা/৯৭৮; যঈফুল জামে‘ ৯৬৬)। তবে এই হাদীছের উপর ভিত্তি করে জমহূর ফক্বীহগণ বরকত এবং বিবাহের প্রচারের স্বার্থে মসজিদে বিবাহ পড়ানোকে মুস্তাহাব বলেছেন
উত্তর : মসজিদের মেহরাবের উপরে বা অন্য কোন স্থানে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, ‘আল্লাহ’, ‘মুহাম্মাদ’ বা অন্য কোন আয়াত লেখা শরী‘আত সম্মত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মসজিদে এসব কিছু লেখা বা কোনরূপ বাড়তি সাজ-সজ্জা না থাকায় মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী ছাহেবে
উত্তর : বিভিন্ন নকশায় সজ্জিত পোষাক, কার্পেট ও কারুকার্য মন্ডিত মসজিদের দেয়াল ছালাতের মধ্যে মুছল্লীদের একাগ্রতা বিনষ্ট করে। এগুলো থেকে বেঁচে থাকা যরূরী। সেগুলো মক্কা-মদীনার হোক বা অন্য কোন স্থানের বা বস্ত্তর হোক তা দেখার বিষয় নয় (মুত্তাফ
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ করার সময় ডান পা আগে এবং বের হওয়ার সময় বাম পা আগে দিতে হবে (বায়হাক্বী ২/৪৪২; হাকেম ১/২১৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৪৭৮, সনদ হাসান)।
উত্তর : মসজিদে ছালাত শেষে মুছল্লীদের জন্য মিষ্টি মুখ করা বা খাবারের ব্যবস্থা করা জায়েয। তবে নিয়মিত করা সমীচীন নয়। কারণ এতে মানুষ মসজিদকে খাবারের স্থান মনে করতে পারে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/২, টেপ নম্বর ৩৪৮)। সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) ব
উত্তর : মিম্বর তিন স্তর বিশিষ্ট হওয়ার বিশেষ কোন তাৎপর্য পাওয়া যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তিন স্তর বিশিষ্ট মিম্বর ব্যবহার করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৪১৪; আওনুল মাবুদ হা/১০৭৬ -এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। মু‘আবিয়া (আঃ)-এর খেলাফত কালে মদীনার গবর্নর মারওয়ান আর
উত্তর : মসজিদের সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকলে ঐ ধরনের অন্য কোন মসজিদের কাজে অথবা মুসাফির দুস্থদের সাহাযার্থে ব্যবহার করা যায় (দ্রঃ ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়াহ ৩১/২১৩)।
উত্তর : উক্ত মসজিদে ছালাত হবে না। মসজিদ স্থানান্তর করতে হবে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কবরের দিকে মুখ করে ছালাত আদায় কর না এবং কবরের উপর ছালাত আদায় কর না (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০১৬)। তবে কবরস্থানের জন্য পৃথক প্রাচীর দিয়ে
উত্তর : উক্ত বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, ভূ-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংসশীল এবং অবশিষ্ট থাকবে শুধু আপনার প্রতিপালকের মুখমন্ডল যিনি মহিমাময়, মহানুভব (রাহমান ২৭)। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন, আল্লাহর মুখমন্ডল ব্যতীত সবকিছু ধ্বংসশীল
উত্তর : বর্ণিত নিয়মের কোন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। বরং ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই হাদীছ সম্মত। কারণ হাদীছে এসেছে, যদি মুছল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, এটা তার জন্য কত বড় অপরাধ, তাহ’লে সে অতিক্রম করার চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকাকে উত্তম
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি জাল (তাযকিরাতুল মাওযূ‘আত, আবুল ফযল আল-মাক্বদেসী, ৩৯ পৃঃ, হা/৪০)। তবে মসজিদে দুনিয়াবী বাজে কথা বলা যাবে না। কেননা ওমর (রাঃ) মসজিদে উচ্চৈঃস্বরে দুনিয়াবী অযথা আলোচনায় ব্যস্ত দু’জন ব্যক্তিকে বললেন তোমরা বাইরের লোক
উত্তর : ক্রয়কারীর উপর মালিকানা সাব্যস্ত হওয়ায় উক্ত জায়গার উপর যেকোন কাজ করতে পারে (দ্রঃ ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা খন্ড ১৬, পৃঃ ৩৮)। ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশে কূফার একটি মসজিদ স্থানান্তর হয়। অতঃপর সেই স্থানটি খেজুর বিক্রির বাজারে পরিণত হয় (ফাতাওয়া ইবনে তায়মিয়া
উত্তর : ব্যাংকের লভ্যাংশ সূদের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তা দিয়ে মসজিদের ইমাম বা মুওয়াযযিনের বেতন দেওয়া জায়েয হবে না। বরং বাধ্যগত অবস্থায় ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে হ’লে তার লভ্যাংশ ছওয়াবের আশা ছাড়া ছাদাক্বা করে দিতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু
উত্তর : মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সালাম দেওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থাতেও কেউ সালাম দিলে আঙ্গুলের ইশারায় তার জবাব দিতেন (তিরমিযী, মিশকাত হা/৯৯১; মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১০১৩)। তবে জামা‘আত চলা অবস্থায় তথা মুছল্লীরা ছালাতরত অবস্থায়
পর্ব ১ । শেষ পর্ব ।ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। ইসলামে কোন উগ্রতা ও চরমপন্থার স্থান নেই। ইসলাম মধ্যপন্থী এক অনন্য সহনশীল ধর্ম। ইসলামের মনোমুগ্ধকর সৌহার্দপূর্ণ আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই বিগত দিনে লোকেরা দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ
উত্তর : মসজিদে যাতায়াতের জন্য মসজিদ কমিটি বিভিন্ন পথ করে রেখেছে বলেই বিভিন্ন পথ দিয়ে মসজিদে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য জান্নাতের মালিক আল্লাহ তা‘আলা মাত্র একটি পথ খোলা রেখেছেন। উক্ত পথ ছাড়া অন্য কোন পথ দিয়ে জান্নাতে যাও
উত্তর : দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব বিবেচনা করে মুছল্লীদের পরামর্শক্রমে উক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সুতরাং কারো ব্যস্ততা থাকলে তিনি মসজিদের বারান্দায় সুন্নাত পড়তে পারেন অথবা বাড়ীতে গিয়ে পড়তে পারেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৬০; মুসলিম, ম
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিমদের মন্দির বা পূজা পরিদর্শন করা বা উদ্বোধন করা কোন মুসলিমের জন্য হারাম। কেননা এতে তাদের শিরকী কর্মকান্ডের প্রতি স্বীকৃতি ও ভালোবাসার প্রকাশ পায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করোনা’ (মায়েদাহ ৫/২)
উত্তর : মসজিদ নির্মাণে অমুসলিম মিস্ত্রির সহযোগিতা নেওয়া যাবে। এমনকি তাদের আর্থিক সহায়তাও নেওয়া যাবে। এতে কোন বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৭/৪৯৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৫৬)।প্রশ্নকারী : ইকবাল আখতার, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
উত্তর : মসজিদের আন্ডারগ্রাউন্ড মসজিদেরই অংশ হওয়ায় মহিলারা সেখানে জামা‘আতে ছালাত আদায় করতে পারবে। তবে ইমামের অনুসরণের জন্য তাকবীর শুনতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২১৩; ফাতাওয়া ইসলামিয়া ২/৮)।প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু আহকাম :(১) জামা‘আতে ছালাত আদায় করা : ছালাত আদায় করা যেমন ফরয তেমনি প্রত্যেক পুরুষের জন্য জামা‘আতে ছালাত আদায় করাও যরূরী।
উত্তর : লিখিতভাবে ওয়াকফকৃত না হ’লেও মৌখিকভাবে জায়গাটি ওয়াকফকৃত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে, যেহেতু সুদীর্ঘকাল যাবৎ সেটি মসজিদের জায়গা হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দাতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে দান বা ওয়াকফ না করলে এটি মসজিদের জায়গা হিসাবে ব্যবহৃত হ’ত না। সুত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মসজিদে বৈধ কাজসমূহ :মসজিদ আল্লাহর ঘর, যেখানে মুসলমানগণ প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেন, রামাযান মাসের শেষ দশকে ই‘তিক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব ।মসজিদে অবস্থানের ফযীলত :মসজিদ পবিত্র স্থান, যেখানে আল্লাহর ইবাদত করা হয়। মসজিদে ইবাদতের আগে ও পরে অবস্থান করার মধ্যেও বান
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদে গমনের আদবসমূহ :ইতিপূর্বে আমরা মসজিদে গমনের অনেক ফযীলত উল্লেখ করেছি। উক্ত ফযীলতগুলো লাভের জন্য মসজিদে গমনের আ
উত্তর : আয়া সোফিয়া ৫৩৭ খৃষ্টাব্দে বাইজান্টাইন সম্রাট কর্তৃক নির্মিত গির্জা, যেটি সে সময় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা হিসাবে পরিচিত ছিল। ১৪৫৩ সালে ওছমানীয় সুলতান মুহাম্মাদ আল-ফাতেহ ইস্তাম্বুল বিজয়কালে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। এটি কোন অন্যায় ব
উত্তর : এমন শর্তে দান করায় কোন বাধা নেই। এক্ষেত্রে বসবাসের জন্য অংশটুকু বা তার মূল্য বাদে অবশিষ্ট অংশ দান হিসাবে গণ্য হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৫/১২০-২২)।প্রশ্নকারী : কামরুল ইসলাম, ভোলা।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত আছারটি ছহীহ (ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৯; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/২১১৯)। তবে এটি ছিল তাঁর ব্যক্তিগত ইজতিহাদ। যা কোন কারণবশতঃ হয়ে থাকবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর বান্দীদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিয়ো না। আর যখন তারা ব
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদ নির্মাণের ফযীলত : ইসলামে মসজিদ নির্মাণের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন- (১) মসজিদ নির্মাণ নবীদের কাজ : নবী
উত্তর : এরূপ আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করা থেকে বিরত থাকা যরূরী। কারণ এতে এটি রিয়া বা লোক দেখানো আমল হিসাবে গণ্য হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। রাসূল (ছাঃ) ‘রিয়া’-কে ‘ছোট শিরক’ বলে সবচেয়ে বড় পাপ হিসাবে বেশী ভয় করেছেন (আহমাদ হা/২৩৬৮০, মিশকাত হা/৫
উত্তর : একাকী হোক বা একাধিক ব্যক্তি হোক জুম‘আর ছালাত ছুটে গেলে তারা যোহরের চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (তিরমিযী হা/৫২৪; নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৫৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর এক রাক‘আত পেয়ে যাবে, সে জুম‘আ পেয়ে গেল। সে যেন আরেক রাক‘আত মিলিয়ে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মসজিদের ফযীলত :ইসলামী শরী‘আতে মসজিদের অনেক ফযীলত রয়েছে। এসব ফযীলতেও রয়েছে ভিন্নতা। কোন কোন মসজিদকে ফযীলতের দিক
উত্তর : ফজরসহ যেকোন ফরয ছালাত শেষে মুছল্লী যতক্ষণ স্বীয় স্থানে বসে তাসবীহ-তাহলীল করে, ততক্ষণ ফেরেশতামন্ডলী তার জন্য দো‘আ করতে থাকে এই মর্মে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর ও তার উপর রহম কর (বুখারী হা/৪৪৫, মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত হা/৭০২)।তবে ফ
উত্তর : এটা শরী‘আতসম্মত নয়। মসজিদে কোনরূপ সাজ-সজ্জা ও জাঁকজমক না করা এবং মুছল্লীর দৃষ্টি কেড়ে নিতে পারে এরূপ যাবতীয় বস্ত্ত মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলা আবশ্যক (বুখারী হা/৫৯৫৯; মিশকাত হা/৭৫৮, ৭৫৭; আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৭১৮-১৯)।অনেকে কেবল ভক্তি-ভা