
উত্তর : বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কুরবানীতে কি ধরনের পশু হ’তে বেঁচে থাকা উচিৎ? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতের ইশারা করে বললেন, চার রকমের পশু হ’তে বেঁচে থাকা উচিৎ (১) স্পষ্ট খোঁড়া (২) স্পষ্ট কানা (৩) স্পষ্
উত্তর : কুরবানী উল্লেখিত নিযাম নামক ব্যক্তির পক্ষেই গণ্য হবে। কারণ তার জন্যই নিয়ত করা হয়েছিল। আর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক ভালো কাজের ছওয়াব প্রাপ্তি নির্ভর করে নিয়তের উপর (বুখারী হা/১; মিশকাত হা/১)। অতএব ইমাম কুরবানী দাতার নাম উচ্চারণে
উত্তর : কুরবানী করা অন্যতম আর্থিক ইবাদত। এই ইবাদত কারো পক্ষ থেকে করলে তার অনুমতি নিতে হবে। কারণ যেকোন ইবাদত করার জন্য নিয়ত শর্ত। আর যার পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া হবে তিনি অবগত না থাকলে নিয়ত করতে পারবে না। সেজন্য যেকোন জীবিত আত্মীয়ের পক্ষ থেকে কুরব
উত্তর : কুরবানী করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত এবং ইসলামের প্রকাশ্য শে‘আর। সেজন্য কারো সামর্থ্য থাকলে সফরেও কুরবানী করা মুস্তাহাব (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪২৬)। ছাওবান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার কুরবানীর পশু যবহ করলেন। তার
উত্তর : কুরবানীর পশু যবহ করার পূর্বে কয়েকটি কাজ করা যরূরী। যেমন- (১) ছুরি ভালোভাবে ধার দেওয়া এবং দ্রুত যবহের কাজ সমাধা করা। যেন পশুর কষ্ট কম হয় (মুসলিম হা/১৯৫৫; মিশকাত হা/৪০৭৩)। (২) গরু বা ছাগলের মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে বাম কাতে ফেলে ক্বিবলাম
উত্তর : নারীরাও কুরবানীসহ যেকোন হালাল পশু যবেহ করে গোশত প্রস্ত্তত করতে পারবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ২০/০২)। কা‘ব ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, তার একটি ছাগল সালা‘ নামক চারণক্ষেত্রে ছিল। তাঁর এক দাসী ছাগলটিকে মরণাপন্ন দেখে পাথর দ্বারা যব
উত্তর : যেকোন রংয়ের গবাদিপশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। তবে সাদা রংয়ের পশু কুরবানী করা উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি কালো পশু কুরবানী দেওয়া অপেক্ষা সাদা রংয়ের একটি পশু কুরবানী দেওয়া উত্তম। عَفْرَاءَ অর্থ যে পশুর অধিকাংশ সাদা বা সাদাটে রং (ছ
উত্তর : স্ত্রীরা যদি স্বামীর সঙ্গে এক পরিবারভুক্ত থাকে, তবে সকলের পক্ষ থেকে একটি পশুই যথেষ্ট। রাসূল (ছাঃ) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেন, হে জনগণ! নিশ্চয় প্রত্যেক পরিবারের উপর প্রতি বছর একটি করে কুরবানী (তিরমিযী হা/১৫১৮; আবুদাঊদ হা/২৭৮৮; ইবনু মা
উত্তর : যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পরে চুল, নখ বা চামড়া কেটে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে (মুসলিম হা/১৯৭৭)। কুরবানীর নিয়তকারী চুল বা দাড়ি আঁচড়াতে পারবে। তবে সাবধানে অাঁচড়াবে যাতে চুল-দাড়ি উঠে না যায়। আর অনিচ্ছাকৃভাবে কোন চুল বা দাড়ি উঠে গেলে গুনাহ হ
উত্তর : কুরবানীর পশু দিনে যবহ করা সুন্নাত। তবে কারো কোন সমস্যা থাকলে রাতেও যবহ করা যায়। উল্লেখ্য যে, ঈদের দিনসহ পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত কুরবানীর পশু যবহ করা যায়। অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের ১৩ তারিখ মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত কুরবানী করা যায় (আহমাদ হা
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
ভূমিকা :কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয় এবং অশেষ ছওয়াব লাভ করা যায়। তাই এই ইবাদত পালনের জন্য আল্লাহ ও তদীয় রাসূল নির্দেশিত পদ্ধতিতে কুরবানী করা যরূরী। যে কোন ইবাদত সম্পন্ন করার সাথে সাথে তা কবুল হওয়ার জন্য সাধ্য
উত্তর: যবহের বিনিময় হিসাবে কুরবানীর গোশত হাদিয়া নেওয়া যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ থেকে নিষেধ করেছেন। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তাঁর কুরবানীর উটগুলোর নিকট দাঁড়াতে এবং এগুলোর গোশত, চামড়া, ভুঁড়ি ইত্যাদি ছাদাক্বা করে দিতে আদেশ কর
উত্তর : কুরবানী ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। কুরবানীর দিনগুলিতে কুরবানীর পশুও ইসলামের নিদর্শন (হজ্জ ২২/৩৬)। সুতরাং এই দিনগুলিতে কুরবানী ব্যতীত গোশত খাওয়ার নিয়তে কুরবানীযোগ্য অন্য কোন পশু যবেহ করা সমীচীন নয়। কুরবানীর দিনসহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগুলি
উত্তর : হজ্জের কুরবানীর সাথে দেশে থাকা পরিবারের কুরবানীর কোন সম্পর্ক নেই। অতএব প্রত্যেক হাজীর কর্তব্য হবে সামর্থ্য থাকলে পরিবারের জন্য আলাদাভাবে কুরবানীর ব্যবস্থা করা (ওছায়মীন, আল লিকাউশ শাহরী ৩৪/১৬; বিস্তারিত দ্র.হাফাবা প্রকাশিত ‘মাসায়েলে
উত্তর : কুরবানী করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। অতএব প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সাধ্যানুযায়ী কুরবারী করা আবশ্যক। তবে এটি ওয়াজিব নয়, যে সাধ্যে না কুলালেও তাকে কুরবানী করতেই হবে। এটি ইসলামের অন্যতম নিদর্শন, যা আল্লাহ কুরআনে ছালাতের পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন&
উত্তর : পোষা বা ক্রয় করা কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা দিলে তা আর বদল করা যাবে না। এটি ওয়াকফের মত। তবে যদি নির্দিষ্ট না করে থাকে, তাহ’লে তার বদলে উত্তম পশু কুরবানী দেওয়া যাবে (নববী, আল -মাজমূ‘ ৮/৪০২; ইবনু কুদামাহ,
উত্তর : নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর। সেজন্য নিয়ত মুখে পাঠ করা যাবে না (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৪১৬)। বরং কুরবানীর পশু যবেহ করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ ও ‘আল্লাহু আকবার’ পাঠ করবে এবং এর সাথে যার পক্ষ থেকে কুরবানী করা হবে তার নামও উল্লেখ করতে পারে&nb
উত্তর : সকল শুভ কাজ ডান হাতে করাই হাদীছ সম্মত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪০০)। তবে ডান হাত অক্ষম হ’লে বা দুর্বল হ’লে বাম হাতে কুরবানী করা জায়েয (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২২/৪৭৪-৭৫)। প্রশ্নকারী : রেযওয়ান, মিরপুর, ঢাকা।
উত্তর : গর্ভবতী পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। কারণ কোন পশুর গর্ভবতী হওয়া তার শারীরিক ত্রুটি নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৬/৩০৭)। তবে গর্ভহীন পশু দ্বারা কুরবানী করা উত্তম। কারণ গর্ভবতী পশুর গোশত স্বাদে কম হয়ে থাকে (আল-মাওসূ‘আতুল
উত্তর : হালাল প্রাণী অমুসলিমদের থেকে ক্রয় করাতে কোন দোষ নেই। আর কুরবানী হিসাবে কবুল হ’তেও কোন সমস্যা নেই। কারণ আল্লাহ যে সকল প্রাণী হালাল করেছেন তা খাওয়া হালাল সেটি যেখানেই লালিত-পালিত হোক না কেন (মায়েদাহ ৫/৫)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রাকিব
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
উত্তর : সাধারণভাবে পশুর প্রতি ইহসান করার নিয়তে তাকে যবেহ করার সময় চোখ ঢেকে যবেহ করলে দোষ নেই। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ছাগল যবেহ করি এবং দয়াপরবশ হই অথবা সে বলল, ছাগল যবেহ করতে আমার অন্তরে দয়ার উদ্রেক হয়। রাসূল (ছাঃ) দুইবার বললেন, তু
উত্তর : যে কোন পশু যবহ করার সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর বলবে। এছাড়াও বিভিন্ন দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। যার কয়েকটি নিম্নরূপ- কুরবানীর পশু যবহ করার সময় বলবে, বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী (আল্লাহর নামে, হে আল্ল
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, যার সবগুলো যঈফ ও জাল (আলবানী, যঈফাহ হা/১২৫৫, ২৬৮৭)।প্রশ্নকারী : জাহেদুল ইসলাম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : সন্তানেরা যদি পিতা-মাতার সাথে আর্থিকভাবে জড়িত থাকে কিংবা বাড়িতে এসে একই খাবারে অংশগ্রহণ করে তাহ’লে পিতা সবার পক্ষ থেকে কুরবানী দিলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু আলাদা বাড়িতে অবস্থান করলে এবং আলাদা রান্না হ’লে প্রত্যেককে আলাদাভাবে কুরবানী দিতে হবে
উত্তর : যাবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) একটি গরুর চামড়া বিক্রয় করে এর মূল্য ছাদাক্বা করে দেন (ইসহাক বিন রাহওয়াইহ, মাসায়েলে ইমাম আহমাদ ৮/৪০৪৮-৪৯)। উল্লেখ্য যে, উক্ত অর্থ নিজে ভোগ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ (ছহীহুত তারগীব হা/১০৮৮)।প্র
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
উত্তর : যাবে। কেননা যবেহের জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। তবে অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করবে (বুখারী হা/৫৫০১; নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৭৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১১/৬১)।প্রশ্নকারী : সজীব হোসাইন, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।[শুধু ‘হোসাইন’ নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : উপরোক্ত হাদীছটির সনদ হাসান (ছহীহাহ হা/১৮৬১)। দু’টি কালো পশু কুরবানী দেওয়া অপেক্ষা সাদা রংয়ের একটি পশু কুরবানী দেওয়া উত্তম। عَفْرَاءَ অর্থ মেটে/ধুসর নয় বরং যার অধিকাংশ সাদা বা সাদাটে রং। যেমন আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সরাসরি সাদা রংয়ের বিষয়
উত্তর : সুনির্দিষ্টভাবে কুরআন বা ছহীহ হাদীছে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাঝের ব্যবধান বর্ণিত হয়নি। সেজন্য সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে না যে, এত বছর পূর্বে মানব সৃষ্টির সূচনা হয়েছে। তবে কোন কোন নবী-রাসূলের আগমনের ব্যবধান সম্পর্কে কিছু হাদীছ পা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে পশু থেকে রক্ত প্রবাহিত করা হয় এবং তাতে আল্লাহর নাম স্মরণ করা হয়, তা থেকে তোমরা খাও’ (বুখারী হা/২৫০৭; মিশকাত হা/৪০৭১)। হুলকূম ও মারী অর্থাৎ দুই পাশের দড়া শিরা সহ শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী কেটে ফেলার মাধ্যমেই পশু যবে
উত্তর : প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই সুন্নাতসম্মত। কেননা প্রতি বছর ঈদুল আযহাতে একটি পশু কুরবানী করাই রাসূল (ছাঃ)-এর সাধারণ নির্দেশনা (বুখারী হা/৭২১০; আবুদাঊদ হা/২৭৮৮ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৪৭৮; মির‘আত হা/১৪৯২, ৫/১১৪ পৃ.)। শরীকা
উত্তর : পোষা বা ক্রয় করা কোন পশুকে কুরবানীর জন্য নির্দিষ্ট করলে ও সেই মর্মে ঘোষণা দিলে তা আর বদল করা যাবে না। এটি ওয়াকফের মত। তবে যদি নির্দিষ্ট না করে থাকে, তাহ’লে তার বদলে উত্তম পশু কুরবানী দেওয়া যাবে। কোন কোন বিদ্বান উত্তম পশু ক্রয় করার লক্
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কুরবানী দেওয়া সুন্নাত, ওয়াজিব নয় (ফাৎহুল বারী ১৬/৩; তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৭৯)। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই কুরবানী দিবে। নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া শর্ত নয়। রাসূল (ছাঃ) নিজেও নিছাবের মালিক ছিলেন না। অথচ তিনি একাধিক
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
[ক]পড়ন্ত বিকেলে বৃষ্টি ভেজা দিনে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। এনায়েতের চায়ের দোকানের আড্ডাটিও জমজমাট হয়ে উঠেছে। মাগরিবের আযান হ’তে তখনও মিনিট পনেরো বাকী আছে। বয়স পঞ্চাশোর্ধ আরাফাত সর্দার বাম হাতে চায়ের কাপ ও ডান হাতে জ্বলন্ত বিড়ি নিয়ে লম্বা টান
উত্তর : কুরবানী ইসলামের অন্যতম প্রধান নিদর্শন। কুরবানীর দিনগুলিতে কুরবানীর পশুও ইসলামের নিদর্শন (হজ্জ ২২/৩৬)। সুতরাং এই দিনগুলিতে কুরবানী ব্যতীত গোশত খাওয়ার নিয়তে অন্য কোন কুরবানীযোগ্য পশু যবেহ করা সমীচীন নয়। কুরবানীর দিনসহ আইয়ামে তাশরীকের দিনগ
উত্তর : কুরবানীর নিয়তে নির্দিষ্টভাবে পশু ক্রয়ের পর তা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। কেননা এটি ওয়াকফের ন্যায়। অতএব তা দিয়ে আক্বীক্বা করা যাবে না। আর ক্রয়ের পর অসুস্থ হয়ে পড়া পশু দ্বারা কুরবানী করায় বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়
উত্তর : গরীব-মিসকীনদের মধ্যে গোশত বিতরণের জন্য বিশ্বস্ত কোন সংগঠন বা সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া যায়। এতে কোন বাধা নেই। তবে তা সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব; ফাতাওয়া আশ-শাবাকাতুল ইসলামিয়া;
উত্তর : কুরবানীর জন্য কেমন পশু হ’তে বিরত থাকতে হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চার প্রকার পশু থেকে : স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণশীর্ণ (আহমাদ হা/১৮৬৯৭, ১০৪৮, ১০৬১; তিরমিযী হা/১৪৯৭; ইবনু মাজাহ হা/৩১৪৪ প্রভৃতি; মিশকা
উত্তর : ছয় মাসের ভেড়া কুরবানী করা যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যে ছাহাবীকে অনুমতি দিয়েছিলেন সেটা তার জন্য খাছ ছিল (ইরওয়া ৪/৩৫৭ পৃঃ)।প্রশ্নকারী : আবুবকর ছিদ্দীক, ঢাকা
২য় হিজরী সনে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা বিধিবদ্ধ হয়। ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালের রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বিধায় এই দিনটিকে ‘ইয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। এ
উত্তরঃ খাসী করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাসী করা ছাগল কুরবানী করেছেন (ছহীহ্ ইবনু মাজাহ্ হা/৩১২২; মিশকাত হা/১৪৬১)। যে হাদীছে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে (বায়হাক্বী, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৬০) সে সম্পর্কে ইমাম নববী বলেন, সেগুলি হারাম পশুর বেলায় প্রযোজ্য (দ্র
উত্তরঃ দাতা খেতে পারবে না। কারণ ছাদাক্বা গরীব-মিসকীনদের হক্ব। তাদের মাঝেই তা বণ্টন করে দিতে হবে (তওবা ৬০; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৪)।
উত্তরঃ মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে বাম কাতে ফেলে যবহ করবে। তখন যবহকারী ক্বিবলামুখী হবে (সুবুলুস সালাম ৪/১৭৭ পৃঃ; মির‘আত ২/৩৫১)। উল্লেখ্য, এ সময় ক্বিবলামুখী হওয়া ও ক্বিবলামুখী করা যরূরী নয়। তবে ক্বিবলামুখী হয়ে এবং পশুকে ক্বিবলামুখী করে যবেহ্ করা উত্তম।
উত্তরঃ এরূপ ছাগল কুরবানী করা ও তার গোশ্ত খাওয়া যাবে। কারণ হিজড়া হওয়া না হওয়া হালাল হারামের মাপকাঠি নয়। ইসলামে ছাগলের গোশ্ত খাওয়া হালাল (ছহীহ তিরমিযী হা/১৫০৫)।
উত্তর : বিক্রি করা যাবে না; বরং তার সাথে যবহ করবে (মির‘আত ২/৩৬৮-৬৯; মাসায়েলে কুরবানী, পৃঃ ২৬)।
উত্তর : কোন পোষাকেই আয়াত লেখা যাবে না। কারণ এর দ্বারা আল্লাহ্র বাণীর অবমাননা হ’তে পারে (বুখারী, মিশকাত হা/২৫২)। এ নিয়ে পেশাব-পায়খানাতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
উত্তর : কুরবানীর গোশত তিন শ্রেণীর ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টিত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তা হ’তে তোমরা খাও, অভাবগ্রস্তকে খাওয়াও এবং ভিক্ষাকারীকে দাও’ (হজ্জ ৩৬)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে একভাগ নিজ পরিবার
উত্তর : ছয় মাসের ভেড়া কুরবানী করা যায় না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যে ছাহাবীকে অনুমতি দিয়েছিলেন সেটা তার জন্য খাছ ছিল (ইরওয়া ৪/৩৫৭ পৃঃ)।
উত্তর : মুক্বীম অবস্থায় ভাগে কুরবানী করার কোন বিধান নেই। বরং একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই যথেষ্ট। তবে সামর্থ্য থাকলে একাধিক পশুও কুরবানী করতে পারবে। সফর অবস্থায় ভাগা কুরবানী করা সম্পর্কে ছহীহ দলীল রয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আ
উত্তর : যবেহের নিয়ম হ’ল- যবেহকারী ক্বিবলামুখী হয়ে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে যবেহ করবে। এসময় পশু-পাখির মাথা দক্ষিণ দিকে থাকবে। ছুরি বা যন্ত্র ধারালো হ’তে হবে। নারী-পুরুষ যে কেউ পশু-পাখি বা গরু-ছাগল সবই যবেহ করতে পারে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েম
উত্তর : কুরবানীর জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হ’তে হ’লে প্রাণীকে শারিরীকভাবে নিখুঁত হ’তে হবে (নাসাঈ হা/৪৩৬৯, মুওয়াত্ত্বা, তিরমিযী প্রভৃতি, মিশকাত হা/১৪৬৩, ৬৪, ৬৫)। তবে শুধু হিজড়া হওয়া মৌলিক কোন ত্রুটি নয়। সুতরাং তা কুরবানী করা বা সাধারণভাবে যবেহ করা বৈধ
উপক্রমণিকা :আল্লাহর নৈকট্য, আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য, সাম্য, মৈত্রী, সম্প্রীতির সুমহান মহিমায় ভাস্বর কুরবানী। কুরবানী আমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) ও তদীয় পুত্র হাবিল-কাবীল এবং মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) ও তদীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর
উত্তর : কুরবানীর পশু ক্রয়-এর ব্যাপারে যেসব বিষয়গুলো লক্ষ্য করতে বলা হয়েছে টিউমার তার অন্তর্ভুক্ত নয়। (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৪৬৩)। তাই টিউমারসহ কুরবানী করা যায়।
(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহাজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্তন করা হ’তে বিরত থাকে’।[1] কু
উত্তর : মানত ও কুরবানী দু’টি পৃথক ইবাদত। মানত ওয়াজিব, কুরবানী সুন্নাত। এছাড়া মানতের পশু ছাদাক্বার জন্য নির্ধারিত এবং সেই পশুর পুরোটাই ছাদাক্বা করতে হয়। সুতরাং উক্ত পশু কুরবানীর জন্য নির্ধারণ করা যাবে না। অতএব যদি সামর্থ্য থাকে তবে ভিন্ন পশু দ
(১) চুল-নখ না কাটা : উম্মে সালামাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা কুরবানী দেওয়ার এরাদা রাখে, তারা যেন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ ওঠার পর হ’তে কুরবানী সম্পন্ন করা পর্যন্ত স্ব স্ব চুল ও নখ কর্