উত্তর : অধিকাংশ মুহাদ্দিছের মতে ছায়া দ্বারা উদ্দেশ্য আরশের ছায়া। কারণ হাদীছে স্পষ্ট ‘তার আরশের ছায়াতলের’ কথা উল্লেখ আছে (আলবানী, ইরওয়া হা/৮৮৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অর্থাৎ সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের ছায়াতলে অবস্থান করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়ে
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। কিন্তু সনদগতভাবে বিশুদ্ধ নয়। ঘটনা এই যে, জনৈক ইরাশী (الْإِرَاشِيُّ) ব্যক্তি মক্কায় উট নিয়ে আসেন। আবু জাহল তার নিকট থেকে একটি উট খরীদ করেন। কিন্তু তার মূল্য পরিশোধে টাল-বাহানা করেন। তখন উক্ত ব্যক্তি কুরায়েশদে
উত্তর : বূলাস (بُولَسَ) নামে কোন নবী ছিলেন না। বরং বূলাস ছিলেন একজন ইহূদী। পরে খৃষ্টান হয়ে যান এবং ঈসা (আঃ)-এর পরে খৃষ্টধর্ম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। ফলে অনেকে তাকে নবী মনে করত। কিন্তু ঈসা (আঃ) ও মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ে কোন নবী-রাসূল আস
উত্তর : উক্ত ঘটনা সত্য। শিশু অবস্থায় তিনি উক্ত কথাটি বলেছিলেন। হুসাইন বিন আলী (রাঃ) বলেন, আমি একদিন ওমরের কাছে আসলাম, যখন তিনি মিম্বারে খুৎবা দিচ্ছিলেন। আমি বললাম, আপনি আমার পিতার মিম্বার থেকে নেমে যান এবং আপনার পিতার মিম্বারে যান। তিনি বললেন, আ
উত্তর : حضرة শব্দটি আরবী ও ফার্সীতে ব্যবহার হয়, যার বহুবচন حضرات। এর অর্থ মাননীয়, মহামান্য, সম্মানিত ইত্যাদি (আল-মু‘জামুল ওয়াছীত্ব ১/১৮১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম তাদের নিজের নামের পূর্বে ও সালাফগণ ছাহাবায়ে কেরামের নামের পূর্বে হ
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি ইবনু কুদামাহ বিনা সনদে স্বীয় ‘আত-তাওয়াবীন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্বানগণ উক্ত ঘটনাকে ইস্রাঈলী বর্ণনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন (ইবনু কুদামাহ, ‘আত-তাওয়াবীন’ ৫৫ পৃ.)।প্রশ্নকারী : আব্দুল মালেক বিন ইদ্রীস, চাঁপ
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। এমনকি অনেক সময় তাদের বাড়ীতে খাবারও থাকতো না। কারণ তাদের সার্বক্ষণিক চিন্তা ছিল আখেরাত নিয়ে। যাতে পরকালে মুক্তি মেলে এবং জান্নাত লাভ করা যায়। কিন্তু যখন ক্ষুধার তাড়না অসহনীয় হয়ে যেত তখন তার
উত্তর : মূসা (আঃ)-এর তোতলামী তাঁর জন্য নবুঅত ও রিসালাতের দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধক ছিল না। তাছাড়া তাঁর দো‘আর কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সেই ত্রুটিও দূর করে দেন। মূসা (আঃ) দো‘আয় বলেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রসারিত করে দাও! আমার কর্ম সহজ ক
উত্তর: জনৈকা কুরায়শী মহিলা কর্তৃক দাওয়াত প্রদান এবং রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক গ্রহণ মর্মে বর্ণিত ঘটনাটি ছহীহ (আহমাদ হা/২২৫৬২; ছহীহাহ হা/৭৫৪; ইরওয়া হা/৭৪৪)। তবে মাইয়েতের
উত্তর : মূসা বিন সাইয়ার ছাহাবী ছিলেন না। বরং তিনি তাবে তাবেঈ ছিলেন। তিনি বছরার অধিবাসী ছিলেন। বর্ণনাকারী হিসাবে তিনি ‘যঈফ’ ছিলেন। তিনি তাক্বদীরে অবিশ্বাসী ছিলেন। তাছাড়া তিনি একজন গল্পকারও ছিলেন (আবু ওছমান জাহিয, আল-বায়ান ওয়াত তাবঈন ১/২৯৩)।
উত্তর : বিশুদ্ধ মতে জিনদের মাঝে আলাদা কোন নবী-রাসূল প্রেরণ করা হয়নি। বরং মানবজাতির নবী-রাসূলই জিনদের নবী-রাসূল। তবে জিনদের নিকট তাদের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনকারী আগমন করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমার পূর্বে আমরা জনপদবাসীদের মধ্য হ’তে কেবল পুরুষদে
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে খাদীজা (রাঃ)-এর বিয়ের সময় খাদীজা (রাঃ)-এর বয়সের ব্যাপারে ছহীহ সনদে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে ঐতিহাসিকগণ চল্লিশ বছরকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৭৬৩ পৃ.)। আবার আরেকদল ঐতিহাসিক ২৫, ২৮, ৩৫ বছর
উত্তর : দো‘আ কবুলের জন্য আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব এবং দো‘আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আদব। ফাযালা ইবনে ওবায়দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন লোককে ছালাতে প্রার্থনা করতে শুনলেন। কিন্তু সে তাতে আল্লাহর প্রশংসা করেনি
পর্ব ২ । । । পর্ব ৫।ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-এর মা‘আমার বয়স যখন দশ তখন আমার মা আমাকে কুরআনের হাফেয করে গড়ে তোলেন। ফজর ছালাতের আগেই তিনি আমাকে জাগিয়ে দিতেন। বাগদাদের শীতের রাতগুলোতে তিনি আমার জন্য পানি গরম
পর্ব ২ । । পর্ব ৪।ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মাইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মায়ের নাম ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ। ফাতেমার পিতা ইয়ামনের বনু আযদ গোত্রের লোক ছিলেন। কেউ কেউ তার নাম ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন বিন হাসান বিন আলী বিন আবু
উত্তর: উক্ত মর্মে আয়েশা (রাঃ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় (মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৪৫৮৬; ফাৎহুল বারী ৫/৭৪)। তবে আয়েশা (রাঃ) নিজেই তঁার এই ভুলের জন্য ওযর পেশ করেছেন। যেমন তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমার বুকে ও কোলে মাথা রেখে মারা গেছ
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, যার অধিকাংশ ইস্রাঈলী বর্ণনা এবং যঈফ (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/১১৪; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৩/৩৬৬; ফাৎহুল বারী ৬/৪০৪)। সেজন্য কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যতটুকু পাওয়া যায় ততটুকুতেই বিশ্বাস রাখতে হবে (
উত্তর : বর্ণনাটির সনদ যঈফ (যঈফাহ হা/৬০১১)। তবে আয়েশা (রাঃ) দুনিয়া ও আখেরাতে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী হবেন বলে একাধিক দলীল রয়েছে। যেমন একদিন রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বললেন, তুমি কি এতে খুশী নও যে, তুমি আমার দুনিয়া ও আখেরাতের স্ত্রী? তিনি বললে
উত্তর : উক্ত মর্মে কা‘ব আল-আহবার থেকে একটি ইস্রাঈলী বর্ণনা পাওয়া যায়, যা যঈফ (সুয়ূতী, আল-হাভী লিল ফাতাওয়া ২/৩৮২)। ঈসা (আঃ) ব্যতীত আসমানে অন্য কোন নবীর জীবিত থাকার ব্যাপারে বিশুদ্ধ কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। অতএব কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যতটুকু আছে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একদিন নবী করীম (ছাঃ) ঘুমিয়েছিলেন, তখন তাঁর নাক ডাকার আওয়াজ শোনা গেল। অতঃপর দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করলেন। কিন্তু ওযূ করলেন না’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১১৯৫)। অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণ বলেন
উত্তর : বিভিন্ন কিতাবে উক্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে বর্ণনাটি সঠিক নয়। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ ও যাহাবীসহ অন্যান্য বিদ্বানগণ উক্ত ঘটনার অসারতা ও মিথ্যা হওয়ার বিষয়টি বর্ণনা করেছেন (মুহাম্মাদ বিন মুফলেহ, আল-আদাবুশ শার‘ইইয়াহ ২/৭৮; ড. নাছের আল-জাদী‘, আ
উত্তর : কোন ব্যক্তি বিশুদ্ধ নিয়তে ছওয়াবের আশায় কাউকে মানবতার জন্য علم نافع বা উপকারী কোন শিক্ষা দান করলে সে আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল সৃষ্টজীবের দো‘আয় শামিল হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ, ফেরেশতাকুল, আসমানসমূহ ও যমীনের অধিবাসীগণ এ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) তার সমগ্র জীবনে চারটি ওমরা এবং একটি হজ্জ করেছেন (মুসলিম হা/১২৫৩; তিরমিযী হা/৮১৫)। তবে হজ্জ ফরয হওয়ার পূর্বে মক্কায় থাকা অবস্থায় তিনি একাধিকবার হজ্জ করেছেন মর্মে একটি বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তা শরী‘আতের বিধান হিসাবে আসার
উত্তর : ইহুদীরা বহু নবীকে হত্যা করেছিল। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা নিজেদের উপর আল্লাহর গযবকে ফিরিয়ে নিল। এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহে অবিশ্বাস করত এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত’ (বাক্বারাহ ২/৬১)। তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু তাদের অঙ্গীকা
উত্তর : হানযালা ইবনু ছাফওয়ান নামের একজন নবীর কথা কিছু বর্ণনায় পাওয়া যায়। কিন্তু বর্ণনাগুলোর সনদ যঈফ হওয়ায় বিদ্বানগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কুরআনে যেভাবে এসেছে সেভাবে বিশ্বাস করার বিষয়টি তারা গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের পূর্বে ম
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআন বা হাদীছে স্পষ্ট কোন বর্ণনা নেই। বরং তাফসীর ইবনু জারীরে সূরা ছোয়াদ ৩১ আয়াতে বর্ণিত الصَّافِنَاتُ (দ্রুতগামী অশ্বরাজি) শব্দের তাফসীরে কয়েকটি মতামত উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ইবনু যায়েদ বলেন,وَكَانَتْ لَهَا أَجْنِحَةٌ ‘ঘোড়াগুল
রোগশয্যায় হাসান (রাঃ) :আবুবকর ইবনু আবিদ দুনিয়া আব্দুর রহমান ইবনু সালিম আতিকী...উমায়র ইবনু ইসহাক থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, دخلتُ أنا ورجل آخر مِن قريش على الحسن بن علي، فقام فدخل إلى الخلاء، ثم خرج، فقال: لقد لفظتُ طائفةً (قطعة) مِن كَبِدي أقلبها ب
খলীফা হিসাবে হাসান (রাঃ) :আব্দুল্লাহ ইব্নু আহমাদ আবূ আলী সুওয়াইদ আল-তাহহান সাফীনা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার পর ৩০ বছর খেলাফত ভিত্তিক শাসন অব্যাহত থাকবে’।[1] এ বাণী শুনে জনৈক শ্রোতা বলল, ঐ ৩০ বছরের মধ্যে ৬ মাস
উত্তর : এটি রাসূল (ছাঃ) এবং আয়েশা (রাঃ)-এর চাহিদার ভিত্তিতে লোকেরা করত না। বরং তারা আয়েশা (রাঃ)-এর মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে করতেন। কারণ আয়েশা (রাঃ) একমাত্র স্ত্রী যার সাথে একই কাপড়ে থাকাকালীন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট অহী নাযিল হয়েছিল। লোকেরা আল্লাহ
উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর আলী (রাঃ) পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে আরো আট জন মহিলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর অন্যান্য স্ত্রীগণ হ’লেন- (১) উম্মুল বানীন বিনতে হিযাম, (২) লায়লা বিনতে মাসঊদ, ৩. আসমা বিনতে উমায়েস, ৪. উম্মে হাবীবা বিনতে রাব
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় এবং তাঁর মৃত্যুর পর ছাহাবীদের লিখিত সংকলন সমূহ:রাসূল (ছাঃ) থেকে যেমন হাদীছ লিখিত সংরক্ষণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ও অনুমতি উভয় প্রকার হাদীছ পরিলক্ষিত হয়, তেমনি তা ছাহাবীদের মধ্যেও পরিলক্ষিত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা ১০. ছাদাক্বা ও দরিদ্র-অভাবীদের জন্য অর্থ ব্যয়ে মহা পুরস্কার ও চক্রবৃদ্ধি হারে ছওয়াব লাভ : আল্লাহ তা‘আলা ছাদাক্বাক
ইসলামের প্রচার-প্রসারে ও দ্বীনের হেফাযতে যারা অমর অবদান রেখেছিলেন এবং আমলে ছালেহ করে জীবদ্দশায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়ে ধন্য হয়েছিলেন, উক্কাশা ইবনু মিহছান (রাঃ) ছিলেন তাদের অন্যতম। ইসলাম ও মুসলমানদেরকে রক্ষার জিহাদে জীবন বাজি রেখে যেমন তিনি যুদ্ধ করেছি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা৯. মানুষের অভাব মিটানো, তাদের কাজ করে দেওয়া এবং তাদের বিপদাপদে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া :মানবসেবা ও দুর্বল-অসহায়দের সহযোগিতা করা ব্যক্তিবিশেষ
উত্তর : হালীম ডাল ও গোশতের মিস্রণে একটি জনপ্রিয় খাবার, যাকে আরবীতে হারিস বলা হয়ে থাকে। কালক্রমে উপমহাদেশে এটি হালীম নামে পরিচিতি লাভ করেছে। হালীম শব্দটি খাদ্যের নাম হিসাবে ব্যবহারে কোন দোষ নেই। কেননা হালীম শব্দটি আল্লাহর নাম ব্যতীত সৃষ্টির নাম হ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । সঞ্চারণশীল উপকারমূলক আমলের কিছু নমুনা১. আল্লাহর দিকে দাওয়াত :অন্যদের জন্য উপকারী যত আমল আছে তন্মধ্যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দান সর্বোত্তম। আসলে আল্লাহর একত্ববাদের দিকে আহবান জানানো এবং দ্বীনের চিন্তা-ভাবনা মনে লালন
উত্তর : যাবূর অন্যতম একটি আসমানী কিতাব, যা দাঊদ (আঃ)-এর ওপর নাযিল করা হয়েছিল (নিসা ৪/১৬৩)। বর্তমানে সেই কিতাবটি অক্ষত নেই। বর্তমানে মাযামীর নামে একটি কিতাব পাওয়া যায় যেটিকে কেউ কেউ যাবূর মনে করে, যা সঠিক নয়। আর যাবূরে ১৫০টি সূরা থাকলেও তাতে
রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসায় ছাহাবায়ে কেরামের অনন্য দৃষ্টান্ত(১) হিজরতের সময়কার ঘটনা : মক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের প্রাক্কালে আবুবকর (রাঃ) সঙ্গী হওয়ার আবেদন করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,لاَ تَعْجَلْ، لَعَلَّ اللهَ يَجْعَلُ لَكَ صَاحِبًا- ‘ব্যস্ত হয়ো না। অবশ্
উত্তর : মানুষের মত জিনেরাও যমীনে বসবাস করে (রহমান ৫৫/১০)। গোপনস্থান সমূহে বিশেষ করে টয়লেটে (আবুদাঊদ হা/৬; মিশকাত হা/৩৫৭)। জিনেরাই আগে পৃথিবীতে বসবাস করত। কিন্তু তাদের অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তাদেরকে হটিয়ে পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের ব্যবস্
ভূমিকা : পৃথিবীর সবকিছুর চাইতে এমনকি নিজের, নিজ পরিবারের ও সন্তান-সন্ততির চাইতেও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে সর্বাধিক ভালবাসা প্রত্যেক মুসলমানের উপর অবশ্য কর্তব্য। আর রাসূল (ছাঃ)-কে ভালবাসার দাবী হ’ল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল প্রদত্ত সকল বাণী ও বিধানকে মেনে নেওয়
উত্তর : উক্ত মর্মে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যার কোনটাই ছহীহ নয়। বরং কিছু যঈফ ও কিছু জাল (ইবনু বাত্তা, আল-ইবানাতুল কুবরা হা/১৭৯; আলবানী, যিলালুল জান্নাহ হা/৬৯৬)। অতএব মূসা (আঃ)-এর সাথে উক্ত বক্তব্য সম্পৃক্ত করা যাবে না।প্রশ্নকারী : তাইফ
উত্তর : উক্ত হাদীছ সমূহে লা‘নত শব্দের অর্থ কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া, রহমত থেকে দূরে সরে যাওয়া, আল্লাহর রহমত থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য বদ দো‘আ করা ইত্যাদি (ইবনুল মানযূর, লিসানুল আরব ১৩/৩৮৭)। যে সকল বৈশিষ্ট্যের লোকদের লা‘নত করা হয়েছে তারা
উত্তর : উক্ত আছারটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যার সবগুলিই দুর্বল (দুর্রে মানছূর, ইবনু কাছীর, সূরা নিসা ৬৫ আয়াতের আলোচনা দ্রঃ; তাহক্বীক কুরতুবী হা/২২৯৮-৯৯)।প্রশ্নকারী : বযলুর রশীদ, খুলনা।
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি ঐতিহাসিক আযরাকী তাঁর ‘আখবারু মাক্কা’ গ্রন্থে আলোচনা করেছেন। তবে বর্ণনাটি জাল। কারণ উক্ত বর্ণনার সনদে একাধিক মাতরূক (পরিত্যক্ত) ও মাজহূল (অপরিচিত) রাবী রয়েছে (যাহাবী, আল-মুগনী ২/৩৯৯; ইবনু হাজার, তাক্বরীবুত তাহযীব ১/৩৫৮)।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।৬. কেবল সনদের ভিত্তিতে হুকুম প্রদান :শু‘আইব আরনাঊত্ব সহ সমসাময়িক কিছু বিদ্বান আলবানীর ব্যাপারে উক্ত অভিযোগ পেশ করেছেন। শু‘আইব আরনাঊত্ব আলবানীর বিরুদ্ধে শায ও ইল্লতের প্রতি গভীরভাবে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ‘হাসান’। শায়খ আলবানী, শু‘আইব আরনাউত্ব, ইবনু তায়মিয়াহ, যাহাবীসহ অনেকে এর সনদকে হাসান বা ছহীহ বলেছেন (আহমাদ হা/১৭১৯০, ১৭২০৩; মিশকাত হা/৫৭৫৯; ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা বাক্বারাহ ১২৭ আয়াত; ইবনু তায়মিয়াহ, আর-রাদ্দু
উত্তর : শেষ নবীর মতই অন্যান্য নবীর প্রতি দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে গুরুত্বের দিক থেকে রাসূল (ছাঃ) দরূদের সর্বাধিক হকদার। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণের প্রতি দরূদ পাঠ কর। কারণ আমার মতই তাদেরকে নবুঅত দিয়ে পাঠানো হয়েছিল’ (ছ
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের ত্যাগ ছিল অনন্য। বিভিন্ন জিহাদে যার নিদর্শন ফুটে উঠেছে। তেমনি বিভিন্ন সময়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নানা মু‘জেযা প্রকাশ পেয়েছে। হোদায়বিয়ার সন্ধিকালে যেমনটি প্রকাশ পেয়েছিল। হোদায়বিয়ায় ও মদীনা প্রত্যাবর্তনক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর (অব.) ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব প্রণীত ‘সীরাতুর রাসূল (ছাঃ)’ গ্রন্থটি রাসূল (ছাঃ)-এর জীবন চরিত রচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও তুলনামূলকভাবে একটি নতুন সংযোজন। আরবী ‘সীরাত’ শব্দটি এসেছে ‘স
উত্তর : দো‘আ করার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত (আর-রাহীক্ব পৃঃ ১২৬; ইবনু হিশাম ১/৪২০)। তবে এর সনদ যঈফ (ত্বাবারাণী, যঈফুল জামে‘ হা/১১৮২; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৩৩; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘তায়েফ সফর’ অধ্যায়)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রশীদ, রাজবাড়ী।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য কুরআন-হাদীছ বা ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত নয় (ড. আব্দুল ওয়াহহাব আল-মাসীরী, মাওসূ‘আতুল ইয়াহূদ ওয়াল ইহূদীয়া ৫/২৯৩)।প্রশ্নকারী : মা‘ছূম বিল্লাহ, কোণাবাড়ি, গাযীপুর।
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার কোন বিধান বা রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা বিনা শর্তে মেনে নেওয়াই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি নির্দেশনার পিছনে হিকমত রয়েছে। তবে শরী‘আতে সবগুলোর হিকমত বর্ণনা করা হয়নি। রাসূল (ছাঃ) নারীদের যে দু’টি ঘাটতির কথা বলেছেন
উত্তর : এটা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত হজ্জের কোন অংশ নয়। তবে মসজিদে নববী যিয়ারতে গিয়ে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের কবর যিয়ারত ও সালাম দেওয়া মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে মদীনার অদূরে মসজিদে ক্বোবায় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) স্ত্রীদের ঘরের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) গৃহস্থালির কাজ করতেন। অর্থাৎ স্ত্রীর কাজে সহযোগিতা করতেন। অতঃপর আযান হ’লে তিনি ছালাতের জন্য বেরিয়ে যেতেন (বুখারী হা/৬৭৬; মিশকাত হা/৫৮১৬)। হযরত আয়েশা (রা
উত্তর : সঙ্গত কারণেই খোলাফায়ে রাশেদীন থেকে বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা কম। প্রথমতঃ তারা খেলাফত, যুদ্ধ ও উম্মতের যরূরী বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে হাদীছ শ্রবণ ও বর্ণনায় মনোযোগ দিতে পারেননি। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, লোকেরা বলে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বড়
উত্তর : উভয়ের মধ্যে কোন বৈপরীত্য নেই। বরং আল্লাহ তা‘আলা আদম (আঃ)-কে মাটির বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরী করেছেন এবং তার দেহে রূহ ফুঁকে দিয়েছেন (ছোয়াদ ৩৮/৭-৭২; হজ্জ ২২/৫; হিজ্র ১৫/২৬)। অতঃপর মানুষকে সেই আদমের পানি (বীর্য) থেকে এবং তাকে বিভিন্ন স্তরে
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত প্রাচীন ‘জ্ঞানবাপী মসজিদটি’ শিব মন্দির ভেঙ্গে করা হয়েছে বলে কিছুদিন পূর্বে মিথ্যা গুজব সৃষ্টি করা হয়। অতঃপর এর উপরে ‘টাইম্স নাউ’ টেলিভিশন চ্যানেল আয়োজিত একটি টকশোতে অংশ নিয়ে গত ২৬শে মে ২০২
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর নবুঅত প্রাপ্তির পূর্বের কোন আমল বা বাণী শরী‘আতের দলীল হিসাবে গণ্য নয়। কারণ তখনও তিনি সাধারণ মানুষ ছিলেন এবং কোন কাজ আল্লাহর নিকট থেকে অহী প্রাপ্ত হয়ে করতেন না। সেজন্য ছাহাবায়ে কেরামদের কেউ গারে হেরায় বসে একদিনের জন্যও ই
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা তাঁর নবুঅত প্রাপ্তির পূর্বেই মারা গেছেন। ফলে তাঁরা ঈমান আনার সুযোগ পাননি। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতার ঈমান আনা সম্পর্কিত যত বর্ণনা এসেছে তার অধিকাংশই জাল। কিছু যঈফ বর্ণনা রয়েছে সেগুলোও পরিত্যাজ্য (আযীম
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কোন ছাহাবীকে শা‘বান মাসের ছুটে যাওয়া ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করতে বলেননি। বরং প্রশ্নকারী ব্যক্তির প্রতি মাসের শেষে ছিয়াম পালন করার অভ্যাস ছিল। অথবা এটি তার মানতের ছিয়াম ছিল। যেটি রাসূল (ছাঃ) তাকে সেটি পরে আদায় করার নির্দেশ দেন।
উত্তর : অত্র আয়াতে নূর অর্থ কুরআন অথবা ইসলাম বা আল্লাহ্র হেদায়াতের নূর, আলো, সঠিক পথ (তাফসীর ইবনে কাছীর, ফাৎহুল ক্বাদীর ২/২৩ উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ)। আলোচ্য আয়াতে ‘নূর’ শব্দ দ্বারা নবী করীম (ছাঃ)-কে নূরের তৈরী বলা হয়েছে এমন তাফসীর কোন মুফাসসির করে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । হাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে শায়খ আলবানীর অবদানহাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহ.) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আধুনিক যুগে তিনি হা
মুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ছিলেন। মক্কার কুরাইশরা তাঁকে নবী হিসাবে স্বীকার না করলেও তারা জনতো যে মুহাম্মাদ আল্লাহর নবী (বাক্বারাহ ২/১৪৬; আন‘আম ৬/২০)। কিন্তু বংশ গৌরব ও বিদ্বেষ বশতঃ তারা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নবী হিস
এই ধরাধামে পা রাখার আগেই মানব শিশুর জন্য তার মায়ের স্তনে না চাইতেই দুধের ব্যবস্থা করেছেন যেই মহান প্রভু ও সকল সৃষ্টির স্রষ্টা, সেই আল্লাহ তা‘আলা আসমান-যমীনের সকল সৃষ্টিকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করে তাকে আশরাফুল মাখলূক্বাতের আসনে বসিয়ে দিয়েছেন।
উত্তর : আল্লাহর গুণাবলী দু’ভাবে বিভক্ত। (১) সত্তাগত গুণাবলী। যেমন তাঁর চেহারা, হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ- ‘কেবল অবশিষ্ট থাকবে তোমার প্রতিপালকের চেহারা। যিনি মর্যাদা ও সম্
উত্তর : মূসা (আঃ) মাদায়েন থেকে মিসরের পথে যাত্রাকালে যে আগুন দেখেছিলেন তা মূলতঃ আল্লাহর নূর ছিল। আল্লাহ বলেন, ‘(স্মরণ কর) যখন মূসা তার পরিবারকে বলল, আমি একটা আগুন দেখেছি। সত্বর আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্য (পথের) সন্ধান নিয়ে আসতে পারব। অথবা জ্
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কর্তৃক আত্মহত্যার ইচ্ছা পোষণের বিষয়টি সঠিক নয়। যিনি বিশ্বমানবতার জন্য আদর্শ, তার পক্ষ থেকে এমন ইচ্ছা পোষণ করা অসম্ভব। তাছাড়া নবী-রাসূলগণ জন্মগতভাবে মা‘ছূম বা গুনাহ মুক্ত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৪/৩২০)। অহী বন্
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু ঘটনা তাফসীর সহ বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে, যার সবই যঈফ (তাফসীর ইবনু কাছীর ৭/৪০০; বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : আব্দুস সালাম বিন মুহসিন, দিরাসাতুন নাক্বদিইয়াহ ফিল মারভিইয়াতিল ওয়ারেদাহ ফী শাখছিইয়াতি ওমর ১/৩২৭-৩১ পৃ.)।প্রশ্নকারী
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু গল্প শী‘আ রাফেযীদের কিতাবে পাওয়া যায়। যাতে বলা হয়েছে, ৯০০ বছর সফর করেও জিব্রীল (আঃ) জান্নাতের সামান্যতম অংশ ঘুরে শেষ করতে পারেননি। এগুলো কোন হাদীছ নয় বা আছারও নয়। আমাদের জানা মতে কোন মুফাসসির বা ঐতিহাসিকও তাদের কিতাবে
উত্তর : উক্ত দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে রাসূল (ছাঃ)-এর পরপর দুই কন্যাকে বিবাহ করায় ওছমান (রাঃ)-কে উক্ত লকবে ডাকা হয় (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২/৪৫১)। উল্লেখ্য যে, اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম
উত্তর : নারী হৌক বা পুরুষ হৌক ক্বাযা ছালাত বা একাকী ছালাত আদায়কালে কেবল ইক্বামত দিবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯১ ‘আযান’ অধ্যায়; মুসলিম হা/৬৮০; মিশকাত হা/৬৮৪)। তবে জামা‘আতের ক্ষেত্রে আযান দিতে পারে। আয়েশা (রাঃ) আযান ও ইক্বামত দিয়ে মহিলাদের জামা‘আতে ইমামতি
উত্তর : দাহিয়াতুন অর্থ সেনাপ্রধান (আল-মু‘জামুল ওয়াসীত্ব)। ‘কালব’ একটি গোত্রের নাম (আল-ইস্তী‘আব, ক্রমিক ৭০১)। ছাহাবায়ে কেরাম ও সৎকর্মশীল মুমিনদের নামে নাম রাখা যাবে। আশারায়ে মুবাশশারাহর অন্যতম বিখ্যাত ছাহাবী হযরত যুবায়ের ইবনুল ‘আওয়াম (রাঃ) বলেন,
উত্তর : উক্ত মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) এক রাতে ছালাতে সূরা মায়েদার ১১৮ আয়াতটি বারবার তেলাওয়াত করছিলেন (ইবনু মাজাহ হা/১৩৫০; তিরমিযী হা/৪৪৮; আহমাদ হা/১১৬১১; মিশকাত হা/১২০৫)। আয়াতটির অনুবাদ হ’ল- ‘যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তাহ’লে তা
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত সর্বনিম্ন ২ রাক‘আত পড়ার কথা রাসূল (ছাঃ) উল্লেখ করেছেন (মুসলিম হা/৭৬৮; আবুদাঊদ হা/১৪২২; মিশকাত হা/১২৬৫)। আর সর্বোচ্চ হ’ল ৮ রাক‘আত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২৫৬; আবুদাঊদ হা/১৩৬২; মিশকাত হা/১২৬৪)। তিনি কখনো এই ছালাত এত দীর্ঘ করতেন যে,
উত্তর : আব্দুর রহমান ছাফূরী তাঁর ‘নুযহাতুল মাজালেস’ (২/৮৪-৮৫) গ্রন্থে উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, যার কোন ভিত্তি নেই; বরং জাল ও বানোয়াট।প্রশ্নকারী : আল-আমীন, ভুগরইল, রাজশাহী।
উত্তর : এগুলির সত্যতা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) এবং তাঁর দুই সাথী আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর লাশ চুরি করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১১/৪৩৫)। কিন্তু প্রতিবারেই আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে তা ব্যর্থ হয়ে গেছে। অ
উত্তর : পিতা-মাতার নামে এভাবে কসম খাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে ব্যক্তি শিরক করল’ (তিরমিযী হা/১২৪১; মিশকাত হা/৩৪১৯)। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) মধু পান করতে পসন্দ করতেন (বুখারী হা/৫২৬৮)। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) প্রায়ই মধু পান করতেন (মুসলিম হা/২০০৮; মিশকাত হা/৪২৮৬)। তিনি তার স্ত্রীগণের নিকটে গেলে মধু পান করতেন (বুখারী হা/৫২৬৮)। তিনি ছাহাবীগণকে মধু পানের মাধ্যমে চিকিৎস
উত্তর : ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (৬৬১-৭২৮ খৃ.) সালাফে ছালেহীনের মাসলাক অনুসরণকারী একজন যুগশ্রেষ্ঠ মুজতাহিদ ছিলেন। মাসআলা ইসতিম্বাতের সময় তিনি ব্যক্তি নির্বিশেষে সকল ইমামের মাসআলা যাচাই করতেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) তার অন্যতম অনুসরণীয় ব্যক্তিত
উত্তর : কোন বান্দা কি পাপ করবে এবং তার জন্য কি শাস্তি ভোগ করবে এবং কতদিন শাস্তি ভোগ করবে সবই আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তিনি তাদের ভবিষ্যৎ শাস্তি অগ্রিম প্রদর্শন করাতেও সক্ষম, যা রাসূল (ছাঃ)-কে মি‘রাজ রজনীতে বা বিভিন্ন সময়ে স্
উত্তর : মি‘রাজ রজনীতে নবী-রাসূলগণ স্ব স্ব আকৃতিতে বায়তুল মুক্বাদ্দাসে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর ইমামতিতে দু‘রাক‘আত ছালাত আদায় করেছিলেন। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) তাদের চিনতে পেরেছিলেন। তবে তারা কিভাবে এসেছেলেন সে বিষয়ে কিছু বর্ণিত হয়নি
উত্তর : দাজ্জাল পূর্ব থেকেই জীবিত রয়েছে এবং বিখ্যাত ছাহাবী তামীম দারী (রাঃ) ও তার ত্রিশজন সাথী সাগরে পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ওঠেন। সেখানে পানির খোঁজে বের হ’লে একজন ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। যে তার চুল টেনে নিয়ে চলছিল। অতঃপর তিনি দাজ্জালের কাহি
উত্তরঃ এ ঘটনা সত্য নয়। প্রকাশ থাকে যে, মানুষ পাপের কারণে নারীতে পরিণত হয় না। তবে শুকর বানরে পরিণত হ’তে পারে (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১৬০৪/২৬৯৯; আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৫১৯৯; বুখারী, ইবনু মাজাহ হা/৪০২০)।
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য একটি জাল হাদীছের অংশ বিশেষ (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮০)।
উত্তরঃ উক্ত কথা সত্য। নাফে‘ (রাঃ) বলেন, একদা ইবনু ওমর বাজনা শুনে দু’কানে আঙ্গুল দিলেন এবং রাস্তা থেকে দূরে সরে গেলেন। অতঃপর আমাকে বললেন, নাফে তুমি কিছু শুনতে পাচ্ছ কি? আমি বললাম না। তখন তিনি আঙ্গুল কান থেকে সরালেন। অতঃপর বললেন, আমি রাসূলুল্লা
উত্তরঃ উক্ত অনুবাদটি ভুল হয়েছে। বক্তব্যটি মূলতঃ মূসা (আঃ)-এর। মেরাজের সময় ৬ষ্ঠ আসমানে শেষনবীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি কেঁদে বলেছিলেন, আমার পরে এমন একজন ছেলেকে নবী করে পাঠানো হবে যার উম্মত আমার উম্মত অপেক্ষা অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে .
উত্তরঃ কুরআনে মা হাওয়ার সৃষ্টির বিবরণ দেয়া হয়নি। তবে আদম থেকেই যে হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছে তা বলে দেয়া হয়েছে (নিসা ১; রূম ২১)। হাদীছে এসেছে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে আদমের পাঁজরের হাড় থেকে (বুখারী হা/৩৩৩১)। এর চেয়ে বেশী কিছু বর্ণিত হয়নি।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অষ্টধাতুর আংটি বা উপকার করতে পারে এমন কোন আংটি পরিধান করেননি। কোন উপকার করবে অথবা অপকার প্রতিরোধ করতে পারবে এই বিশ্বাস করে ধাতুর আংটি, বালা বা অন্য কিছু ব্যবহার করা শিরক (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৫৫৬; ছহীহ তিরমিযী হা/২০৭২)।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটি দ্বারা সৃষ্ট মানুষ ছিলেন, তিনি নূরের সৃষ্ট ফেরেশতা ছিলেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে নবী! আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ। আমার নিকট অহি অবতীর্ণ হয়’ (কাহফ ১১০)। তাদেরকে তাদের নবীগণ বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
উত্তরঃ উক্ত মর্মে জাবের (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি বাতিল বা মিথ্যা (শাওকানী, আল-ফাওয়াইদুল মাজমূ‘আহ ফী আহাদীছিল মাওযূ‘আহ হা/১৩৭৪, ২/৬০৬)।
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাস প্রথাকে রহিত করেননি। বরং তিনি দাস-দাসীদেরকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। অমুসলিমদের সাথে জিহাদ সংঘটিত হ’লে এখনও দাস-দাসী সৃষ্টি হ’তে পারে। জানা আবশ্যক যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়ছালাকে কেউ মেনে নিতে দ্বি
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম জিনদের সহায়তায় নিজেদের বা অন্যের চিকিৎসা করেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তাছাড়া দুষ্ট জিনেরা সর্বদা মানুষকে বিপথে প্ররোচিত করে থাকে (আন‘আম ১২৮; জিন ৬)। একদা কিছু লোক রাসূলের কাছে এসে বলে, হে রাসূল
উত্তরঃ আভিধানিক অর্থে ফিক্বহ বা শরী‘আতের বুঝ ছাহাবায়ে কেরাম সহ সকল যুগে ছিল ও থাকবে। তবে প্রশ্নে বর্ণিত উছূলভিত্তিক ফিক্বহ শাস্ত্রের আবির্ভাব ঘটে রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর অনেক পরে। দলীল হিসাবে বর্ণিত হাদীছটি মুনকার (সিলসিলা যাঈফাহ হা/৮৮১; আবুদাঊদ
উত্তরঃ পানির অপচয় না করে ওযূ ও গোসলে পরিমাণ মত পানি খরচ করা সুন্নাত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) ওযূ করতেন এক মুদ পানি দ্বারা এবং গোসল করতেন এক ‘ছা’ হ’তে পাঁচ মুদ পর্যন্ত পানি দ্বারা (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৩৯)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তিনি এ
উত্তরঃ উক্ত ঘটনা মিথ্যা। ঘটনাটি নূহ (আঃ)-এর ছেলের সাথে নয়; বরং মূসা (আঃ)-এর যুগের। ফেরাঊনের হাত থেকে নাজাত পাবার পর মূসা (আঃ) যখন ইহুদীদেরকে তাদের পিতৃভূমি ফিলিস্তীন দখলকারী মহাশক্তিধর আমালেক্বাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার হুকুম দেন এবং সেখানে বার
উত্তরঃ উক্ত কথা সত্য নয়। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবী হয়েছিলেন। অতএব তার আগে ‘উম্মাতী’ ‘উম্মাতী’ বলার প্রশ্নই ওঠে না।
উত্তরঃ ৪র্থ হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে মদীনার ইহুদী গোত্র বনু নাযীর আত্মসমর্পণ করে (আর-রাহীক্ব ২৯৭)। বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত এই শত্রু সম্পদগুলিকে ‘ফাই’ বলা হয়। যা কেবলমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য নির্দিষ্ট ছিল (হাশর ৫
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কদরের রাত বুঝতে পারতেন (বুখারী, মিশকাতহা/২০৯৫)। কদরের রাত কোনটি তা অন্যদের জানা যরূরী নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কদর রাতের নির্দিষ্ট তারিখ না জানার মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে (বুখারী, মিশকাত হা/২০৯৫)
উত্তরঃ জান্নাত ও জাহান্নাম সপ্তম আসমানের উপরে সৃষ্ট অবস্থায় রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা আদম ও হাওয়াকে জান্নাত থেকে বের করে দুনিয়াতে নামিয়ে দেন’ (বাক্বারাহ ২/৩৬)। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জান্নাত আসমানের উপরে অবস্থিত। এছাড়া একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা
উত্তরঃ এধরনের ত্রুটি হ’লে কিছু করণীয় নেই। কোন কোন সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একই দো‘আ রুকূ‘ এবং সিজদাতে পড়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮১৭)। তবে এ ধরনের ভুল যেন না হয় সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং যে দো‘আ যে স্থানে পড়ার নির্দেশ রয়েছে তা সেখানে
উত্তরঃ যুল কিফল একজন নবী ও একজন সৎকর্মশীল ব্যক্তি ছিলেন। পবিত্র কুরআনে তাকে নবীদের সাথেই উল্লেখ করা হয়েছে (আম্বিয়া ৮৫-৮৬; ছোয়াদ ৪৮)। হাফেয ইবনু কাছীর বলেন, যুল কিফলের নবী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট (তাফসীরে ইবনে কাছীর, আম্বিয়া ৮৫)।যুল কিফল সম
উত্তর : আদম (আঃ) ৬০ হাত লম্বা ছিলেন মর্মে হাদীছ ছহীহ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬২৮)। তবে তার শরীরের প্রশস্ততা ৭ ফুট ছিল এ মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : আদমকে সৃষ্টি করার আগেই আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে আদমের প্রতি সিজদা করার কথা বলে দিয়েছিলেন (হা-মীম সাজদাহ/ফুছছিলাত ৪১/১১)। তাছাড়া কুরআনের বর্ণনা সমূহ থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে, আদমকে সিজদা করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ ব্যক্তি আদম হিসাবে ছিল না, বরং ভব
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে কারা স্বপ্নে দেখতে পারে এব্যাপারে হাদীছে কিছু বলা হয়নি এবং তাঁকে স্বপ্নে দেখার বিশেষ কোন ফযীলতও বলা হয়নি। তবে হাদীছে এভাবে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখেছে সে প্রকৃতই আমাকে দেখেছ
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়ে জুম‘আর খুৎবা দিতেন। এটি সুন্নাত। হাকাম বিন হাযন আল-কুলাফী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জুম‘আর দিন হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিতে দেখেছি (আবুদাঊদ, সনদ হাসান, হা/১০৯৬; ইরওয়াউল গালীল হা/
উত্তর : ইমাম বুখারী (রহঃ) উক্ত হাদীছকে ‘মুনকার’ বলেছেন (তাহকীক সীরাতে ইবনে হিশাম ৩/৪১ পৃঃ)। তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মজীদে রক্তকে হারাম ঘোষণা করেছেন (মায়েদাহ ৩)।
উত্তর : ইয়াজূজ মাজূজ সম্প্রদায় আদম (আঃ)-এর বংশধর। তারা ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে ঈসা (আঃ)-এর সময় পৃথিবীতে উত্থিত হবে। শাসক যুলক্বারনাইন তাদেরকে এখন প্রাচীর দিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন (কাহফ ৯৪-৯৮)। ঐ প্রাচীর ভেঙ্গে তারা সেদিন বেরিয়ে আসবে এবং সামনে যা পাব
উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। কারণ আদম সৃষ্টির ঘটনা থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, মানুষের আগে আল্লাহ জিনকে সৃষ্টি করেছেন। আর জিনের পূর্বে ফেরেশতাকে সৃষ্টি করেছেন। আর ফেরেশতারা যা দাবী করেন তাতে আদম প্রথম মানুষ (বাক্বারাহ ৩০)। আনাস (রাঃ) বলেন, রাস
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি আমার প্রতিপালককে স্বপ্নে সুন্দরতম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, শীর্ষস্থানীয় ফেরেশতাগণ কি বিষয়ে বিতর্ক করছে? আমি বললাম, আপনি ভাল জানেন... (তিরমিযী হা/৩২৩৪-৩৫; মিশকাত হা/৭২৫; সিলসিলা ছ
উত্তর: নবী এবং রাসূলের মধ্যে পার্থক্য হ’ল, আল্লাহ তা‘আলা যাকে নতুন শরী‘আত দিয়ে তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট পাঠান তাঁকে রাসূল বলা হয়। আর যাকে নতুন শরী‘আত না দিয়ে পূর্বের রাসূলের শরী‘আতই প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে পাঠান তাঁকে নবী বলা হয় (আলোচনা দ্রঃ
উত্তর : মুমিনদের মৃত্যুর পর তাদের রূহ আসমানে চলে যায় এবং শরীর মাটিতে খেয়ে নেয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আদমের সকল সন্তানকে মাটিতে খেয়ে নিবে শুধু তার মেরুদন্ডের সর্বনিম্ন হাড্ডি (عَجْبُ الذَّنَبِ) ব্যতীত। কারণ তা থেকেই তাদের সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তা থ
উত্তরঃ একথা সঠিক। পোষ্যপুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিবাহ করা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে মুমিনদের দ্বিধা-সংকোচ দূরীভূত করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যয়নাব বিনতু জাহাশকে বিবাহ করেন (তাফসীর ইবনে কাছীর ৩/৬৪২)। এ মর্মে আল্লাহ বলেন, ‘যাতে মুমিনদের পোষ্য প
উত্তরঃ উল্লেখিত বিষয়ে চরিতকারগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। অতএব এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণের কোন অবকাশ নেই (আর-রাহীকুল মাখতূম, পৃঃ ৬০-৬১; ১৩৬)।
উত্তর : তাদের সংখ্যা ছিল ৭০ হাযার। তখনকার অত্যাচারী শাসক স্রেফ ঈমানের কারণে একই দিনে তাদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল (ছহীহ তিরমিযী হা/৩৩৪০)।
উত্তর : ঘটনাটি ভিত্তিহীন। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) মিশকাতের ভাষ্য গ্রন্থ মিরক্বাতুল মাফাতীহে ইবনুল মালেকের উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার কোন সনদ উল্লেখ করেননি (মিরক্বাত ২/৩৩১ পৃঃ ‘তাশাহহুদ’ অধ্যায়)। আল্লাম
উত্তর : উক্ত বক্তব্য রাসূলের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট মাত্র।
উত্তর: উক্ত বর্ণনা যঈফ ও মুনকার (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৪১৬৯)। ছহীহ হাদীছ সমূহে শুধু চুম্বন করার কথা এসেছে (বুখারী হা/১৫৯৭; মিশকাত হা/২৫৮৯)।
উত্তর : ইবরাহীম (আঃ) তাঁর প্রথম ও জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে কুরবানী করেছিলেন। এটাই কুরআন ও হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। নিঃসন্তান ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর কাছে সুসন্তান প্রার্থনা করেছিলেন। সেই দো‘আর বদৌলতে যে সন্তানকে তিনি পেয়েছিলেন তাকেই কুরবা
উত্তর : উক্ত ঘটনা সঠিক নয় (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ২/৫৪)। বিভিন্ন তাফসীর ও ইতিহাস গ্রন্থে এ ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। যা বানোয়াট ইসরাঈলী বর্ণনা মাত্র।
উত্তর : আদম সন্তানের আমল লিপিবদ্ধ করার জন্য দু’জন ফেরেশতা নির্ধারিত থাকেন, যারা মানুষের ডানে ও বামে অবস্থান করেন। আল্লাহ বলেন, ‘যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করে’ (ক্বাফ ১৭)। ডান দিকের ফেরেশতা সৎ আমল ও বাম দিকের ফে
উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘মাক্বামে মাহমূদ হচ্ছে সুফারিশ’ (আহমাদ, সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৩৬৯; আলোচনা দ্রঃ ইবনু খুযায়মাহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৪৬০; তিরমিযী হা/৩১৩৭)। কা‘ব ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলে
উত্তর : মাসীহ শব্দটি এসেছে ‘মাসাহ’ থেকে। যার অর্থ স্পর্শ করা বা মোছা। ঈসা (আঃ)-কে মাসীহ বলা হয় এজন্য যে, তাঁর হাতের স্পর্শে আল্লাহর হুকুমে অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগী আরোগ্য লাভ করত। এমনকি মৃত ব্যক্তি জীবন লাভ করত (আলে ইমরান ৩/৪৯)।অন্য দিকে দাজ্জালকেও মাসীহ বল
উত্তর : মহিলাদের চেহারা ও দুই হাতের কব্জি ব্যতীত সর্বাঙ্গ সতর (আবুদাঊদ হা/৪১০৪; মিশকাত হা/৪৩৭২)। সে হিসাবে ছালাতে নারীদের জন্য পায়ের পাতা ঢেকে রাখা উত্তম (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৭/৮৬)। তবে পায়ের পাতা প্রকাশ পেলে ছালাতের ক্ষতি হবে না, কেননা এটি স্বভা
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-কে স্বপ্নে দেখা সম্ভব। ছাহাবী ও তাবেঈদের কেউ কেউ রাসূল (ছাঃ)-কে স্বপ্নে দেখেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে আমাকে স্বপেণ দেখবে, সে অচিরেই জাগ্রত অবস্থাতেও আমাকে দেখবে। আর শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না (বুখারী হা/৬৯৯৩; মুসল
উত্তর : নবী করীম (ছাঃ) ওহোদ পাহাড়কে ভালোবাসতেন এবং ওহোদ পাহাড়ও রাসূল (ছাঃ)-কে ভালোবাসত। যেমন হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) ওহোদ পাহাড়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এ পাহাড় আমাদেরকে ভালোবাসে এবং আমরাও একে ভালোবাসি (বুখারী হা/২৮৮৯; মিশকাত হা/২৭৪৫)। হাফ
উত্তর : প্রকাশ্য আয়াত এবং ইবনু আববাস (রাঃ)-এর বক্তব্য অনুযায়ী তাদের সংখ্যা ছিল সাত জন (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা কাহফ ২২ আয়াত)। তবে অত্র আয়াতে এসব নিয়ে বিতর্ক করতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এগুলি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। অতএব সংখ্যা মুখ্য নয়, বরং
উত্তর : নবীগণের আত্মগুলোকেই স্ব স্ব আকৃতিতে দেখানো হয়েছে (মিরক্বাত ১১/১৪৩ পৃঃ, ‘মি‘রাজ’ অনুচ্ছেদ ১ম হাদীছের ব্যাখ্যা)।
উত্তর : উক্ত বর্ণনাটি জাল বা মিথ্যা (আলবানী, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/৬০৫৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৮১০, ১১/১৩৭ পৃঃ)।
উত্তর : উক্ত আলেমের বক্তব্য সঠিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, জিব্রীলের পায়ের গোড়ালি বা পাখার আঘাতে যমযম কূপের সৃষ্টি হয়েছে (বুখারী হা/৩৩৬৪-৬৫, ‘নবীদের কাহিনী’ অধ্যায়, ৯ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : এর দ্বারা ইসলামী রাষ্ট্রের ও ইসলামী সংগঠনের মুহাদ্দিছ-আমীর, ফক্বীহ ও মুত্তাক্বী আলেমগণকে বুঝানো হয়েছে। যারা আল্লাহর আনুগত্য এবং তাঁর নবীর ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক মানুষকে সৎ পথে চলার আদেশ দেন, তারাই উলুল আমরের অন্তর্ভুক্ত (তাফসীর ইবনু কাছীর
উত্তর : বৃষ্টির পানি চাওয়ার জন্য ও কুনূতে নাযেলার সময় ইমাম ও মুক্তাদী সম্মিলিতভাবে হাত তুলে দো‘আ করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৫০৮; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন্নবী পৃঃ ১৫৯)।
উত্তর : উক্ত ঘটনা মিথ্যা ও বানাওয়াট।
উত্তর : এটা অলৌকিক কোন ঘটনা নয়; বরং মিথ্যা গুজব মাত্র। কুরআন মাজীদে দাড়ি-চুল পাওয়া যেতেই পারে। কারণ মানুষ কুরআন পড়ে এবং প্রেস থেকে বের হওয়ার পর মানুষই তা বাঁধাই করে।
উত্তর : হাদীছটি অত্যন্ত যঈফ। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীছের সনদে হাফছ ইবনু সুলায়মান নামক একজন দুর্বল রাবী আছে (যঈফ তিরমিযী হা/২৯০৫; ‘ফাযায়েলুল কুরআন’ অধ্যায়; মিশকাত হা/২১৪১)।
উত্তর : ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া (২৭-৬৪ হিঃ) তাবেঈ ছিলেন। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ইয়াযীদ দায়ী নন। এজন্য মূলতঃ দায়ী বিশ্বাসঘাতক কূফাবাসী ও নিষ্ঠুর গভর্ণর ওবায়দুল্লাহ বিন যিয়াদ নিজে। কেননা ইয়াযীদ কেবল হুসায়েন (রাঃ)-এর আনুগত্য চেয়েছিলেন, তাঁর
উত্তর : তাফসীর ইবনে কাছীরের সব বর্ণনা ছহীহ নয়। এর মধ্যে কিছু জাল-যঈফ হাদীছও পরিলক্ষিত হয় (দ্রঃ তাহক্বীক্ব ইবনে কাছীর)।
উত্তর : সকল নবী-রাসূলের হজ্জের ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন বর্ণনা ও ঐতিহাসিক বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সকল নবী-রাসূল হজ্জ সম্পাদন করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, রাওহা উপত্যকা দিয়ে সত্তুর জন নবী পশমী কাপড় পরে হজ্জ করতে
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে এর সুন্দর দিক নির্দেশনা রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ইসলাম যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : মুশরিক অবস্থায় মারা যাওয়ার কারণে তারা জাহান্নামী হবে। রাসূল (ছাঃ)-কে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি (তওবাহ ১১৩; মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৬৩)। রাসূল (ছাঃ) তাঁর পিতার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হ’লে উত্তরে বলেন, আমার পিতা জাহান্নামী (মুসল
উত্তর : ঘটনাটি বিভিন্ন ইতিহাস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৬/৩৫১ পৃঃ, ১২ হিজরীর বর্ণনা, খালিদ (রাঃ)- কে ইরাক প্রেরণ শীর্ষক আলোচনা দ্রঃ; তারীখে ত্বাবারী ২/৩১৭; তারীখে দেমাশক ৩৭/৩৬৫ প্রভৃতি)। ঘটনাটি খুবই ঈমান বর্ধক এবং তা নিম্নরূপ :
উত্তর : বর্ণিত হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, দাজ্জালের আবির্ভাবের তিন বছর পূর্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে, তখন মানুষ চরমভাবে অন্নকষ্ট ভোগ করবে। প্রথম বছর আল্লাহ তা‘আলা আসমানকে তিন ভাগের এক ভাগ বৃষ্টি আটকে রাখার নির্দেশ দিবেন এবং যমীনকে নির্দেশ দিল
উত্তর : প্রত্যেক মানুষের হেফাযত ও আমলনামা সংরক্ষণের জন্য আল্লাহ ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন দু’জন ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমলনামা লিপিবদ্ধ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্ত্তত প্রহরী রয়েছ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক (মুসনাদে বাযযার, সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৬২১; মুসলিম হা/৬১০৭; দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী হা/৬৫৩)। তবে সেটা বারযাখী জীবন, যা মানুষের জ্ঞানের বাইরে। ঐ ছালাত দুনিয়াবী ছালাতের সাথে তুলনীয় নয়।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ফেরাউন আসিয়া (রাঃ)-এর দুই হাত ও দুই পায়ে শক্ত পেরেক পুঁতে রাখত। যখন তার লোকেরা চলে যেত ফেরেশতারা তাকে ছায়া করত। আসিয়া (রাঃ) বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার নিকটে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করুন
উত্তর : উক্ত ঘটনার কোন সত্যতা পাওয়া যায় না। তবে ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ৩জন শিশু সন্তান মায়ের কোলে থাকা অবস্থায় কথা বলেছেন। (১) ঈসা (আঃ) (২) জুরায়েজকে অপবাদ প্রদানকারী মহিলার ব্যভিচারের সন্তান (বুখারী হা/৩৪৩৬)। (৩) আছহাবুল উখদূদ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে অনেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন মক্কা হ’তে মদীনায় আগমন করেন, তখন আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ) তার বাড়ী রাসূল (ছাঃ)-কে অবস্থান করার জন্য দিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার বাড়িতে প্রায় ৭/৮ মাস ছিল
উত্তর : মি‘রাজের ঘটনা শোনামাত্র সত্য বলে মেনে নেওয়ায় আবুবকর (রাঃ) ছিদ্দীক্ব উপাধিতে ভূষিত হন (হাকেম, বায়হাক্বী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৬)।
উত্তর : উক্ত বিবরণটি মিথ্যা ও বানাওয়াট। ইমাম কুরতুবী ইবনে আরাবীর বরাত দিয়ে এটাকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন (কুরতুবী ১৫/১৬৭ পৃঃ, সূরা ছোয়াদ ২১নং আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রঃ; নবীদের কাহিনী ২/১৩৬)।
উত্তর : সেখানে রাসূল (ছাঃ)-কে দেখানো হবে বলে কোন প্রমাণ নেই। বরং রাসূল (ছাঃ) সম্পর্কে তার ধারণা ও আক্বীদা কি, প্রশ্নের মাধ্যমে সেটাই যাচাই করা হবে (মির‘আতুল মাফাতীহ হা/১৩১-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলতপবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মধ্যে ছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত অনেক বর্ণনা রয়
উত্তর : আল্লাহ, ছালাত ও ছিয়াম ইত্যাদি আরবী নাম। যা বিশেষ ইসলামী পরিভাষা। কাজেই এ নামগুলি অনুবাদ ছাড়াই স্ব স্ব নামে ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া অন্য ভাষায় এ নামসমূহের যথার্থ অনুবাদ সম্ভব নয়। ফার্সীভাষীরাও মূল আরবী নাম বলবে।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলত(1) عَنْ أُمِّ رُوْمَانَ قَالَتْ رَآنِيْ أَبُوْ بَكْرٍ أَتَمَيَّلُ فِي ا
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। বরং দুই শ্রেণীর মানুষ তাঁর শাফা‘আত লাভ করতে সক্ষম হবে না মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। অত্যাচারী শাসক এবং খিয়ানতকারী ব্যক্তি (ত্বাবারাণী, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৯৮)।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।মসজিদ সমূহ(১) মসজিদের ফযীলত সংক্রান্ত প্রসিদ্ধ যঈফ হাদীছ :عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(৪) মসজিদের পাশে মৃত ব্যক্তির কবর দেওয়া :মৃত ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান ও ইমামের ক্বিরাআ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির তৈরী না নূরের?আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে মাটি থেকে, জিন জাতিকে আগুন থেকে এবং ফেরেশতাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ মাটির তৈরী একথা পবিত্র কুরআনের বহু স্থানে বিভিন্ন
উত্তর : এ ব্যাপারে কুরআনে বা হাদীছে কোন বর্ণনা নেই। তবে একদল বিদ্বানের মতে, যেমন ভাবে শহীদগণ কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না (নাসাঈ হা/২০৫৩), তেমনি নবীগণও কবরে প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন না (ইবনুল ক্বাইয়িম, কিতাবুর রূহ ১/৮১-৮২; আদ-দুর্রুল ম
উত্তর : এতে বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি তোমার লজ্জাস্থান ঢেকে রাখ। তবে তোমার স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত (ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৪; মিশকাত হা/৩১১৭)। উল্লেখ্য আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর গোপন স্থান কখনো দেখিনি’ মর্মের হাদীছটি য
উত্তর : ইয়া রাসূল বা ইয়া নবী কেবল রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা যাবে। চাওয়া, প্রার্থনা বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে এই আহবান করা যাবে না। কারণ তিনি এখন মৃত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১/১২৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব)। আর আ
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর আরশের চেয়ার ধরে কান্নাকাটি করবেন মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। বরং ক্বিয়ামতের দিন যখন লোকেরা শাফা‘আতের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আবেদন করবে তখন তিনি আল্লাহর আরশের নীচে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদায় পড়ে যাবেন (বুখারী হ
ভূমিকা :পৃথিবীতে আগত সকল নবী-রাসূলের মাঝে আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মর্যাদা হ’ল তারাভরা রাতের আকাশে একটি রূপালী চাঁদে মত। তিনি সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। তিনি জগৎবাসীর জন্য রহমত হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার আগমনে পাপ-বিদগ্ধ ভুবনে শান্তির নির্মল
পাকিস্তানের বহুল প্রচারিত উর্দূ পত্রিকা ‘দৈনিক দুনিয়া’র বিখ্যাত সাংবাদিক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদক মুহাম্মাদ ইযহারুল হক ১২ই রবীউল আউয়াল উপলক্ষে লেখা এক কলামে তার স্পেন সফর এবং সেখানকার ‘আল-হামরা’ প্রাসাদ দর্শনকালে সংঘটিত একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন
উত্তর : সঠিক (মুসনাদে আহমাদ হা/৪৪১৪, আহমাদ শাকির ‘ছহীহ’ বলেছেন এবং আরনাঊত্ব ‘ছহীহ লিগায়রিহী’ বলেছেন। ইবনু কাছীর বলেন, সনদে ‘দুর্বলতা’ আছে। আলবানী একই মত পোষণ করেন। সীরাতে ইবনে হিশাম, পৃঃ ১/৯১; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৪/৪২)।
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ইবনু আসাকির, তবে বর্ণনাটি জাল (তারীখু দিমাশক্ব ৩/৩১০; যাহাবী, মীযানুল ই‘তিদাল ৪/৯৮)। অনুরূপভাবে বায়হাক্বীতেও একটি বর্ণনা এসেছে, যাকে শায়খ আলবানী মিথ্যা ও জাল বলেছেন (সিলসিলা যঈফাহ হা/৪১৪৪)।প্রশ্নকারী :&nbs
উত্তর : আদম (আঃ) জান্নাতে নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খাওয়ার পরে তাদেরকে পৃথিবীতে কোথায় নামানো হয়েছিল তা প্রমাণিত নয়। তবে বিভিন্ন যঈফ ও জাল বর্ণনার ভিত্তিতে বিদ্বানগণ বিভিন্ন স্থানের কথা বলেছেন যেগুলি তাদের ইজতিহাদ মাত্র। শরী‘আতের কোন দলীল নয়। একদল বি
উত্তর : উক্ত ঘটনাটি প্রসিদ্ধ হ’লেও সূত্রবিহীন। অতএব তা অগ্রহণযোগ্য।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর : কাহিনীটি প্রসিদ্ধ, কিন্তু বিশুদ্ধ নয় (দ্র. সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৪৯১ পৃ. টীকা-৬৭৮)।প্রশ্নকারী : মামূনুল হক, মহাদেবপুর, নওগাঁ।
হামদ ও ছানার পর, ছোট্ট এই পুস্তিকার শিরোনাম হচ্ছে, ‘ছাহাবায়ে কেরামের প্রতি আমাদের কর্তব্য’(واجبنا نحو الصحابة الكرام)। সত্যিই এ কর্তব্য মহান। সেজন্য আমাদের উচিত, এ বিষয়টির প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা এবং সর্বোচ্চ যত্নশীল হওয়া।সম্মানিত পাঠকের জানা
আমরা হিজরী সাল অনুযায়ী বর্তমানে চতুর্দশ শতাব্দীতে অবস্থান করছি। ছাহাবীগণের মাঝে এবং আমাদের মাঝে অনেকগুলি শতাব্দী গত হয়ে গেছে। নবী করীম (ছাঃ)-এর নবুঅত প্রাপ্তির পর থেকেই তারা তাঁর সাথে ছিলেন। সর্বদা তারা তাঁকে সঙ্গ দিতেন এবং তাঁকে সার্বিক সাহায্য-সহযো
উত্তর : ইউনুস (আঃ)-এর মাছের পেটে অবস্থান কালের ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। যেমন- এক ঘণ্টা, ৩, ৭, ২০, ৪০ দিন। অথবা সকাল বেলা পেটে নিয়ে বিকেল বেলা উগরে দিল (তাফসীর কুরতুবী, ইবনে কাছীর)। সেখানে আল্লাহ তা‘আলা একটি লাউ জাতীয় গাছ সৃষ্টি করে দিলেন
গত ৩০শে সেপ্টেম্বর’২০ ফ্রান্সের ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’র সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ব্যঙ্গ করে আঁকা ১২টি কার্টুন ছাপা হয়। এর পক্ষকাল পরে ১৬ই অক্টোবর ফ্রান্সের জনৈক স্কুল শিক্ষক ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বল
বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছেন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)। তিনি মাত্র ২৩ বছরের প্রচেষ্টায় আরবের চেহারা পাল্টে দিয়েছিলেন। তৎকালীন পৃথিবীর মানুষ অবাক দৃষ্টিতে অবলোকন করেছিল সমাজ পরিবর্তনের এই দৃশ্য। বহু দোষে দুষ্ট মানুষগুলিকে মুহূর্
উত্তর: হাদীছটি মওযূ বা জাল। হাদীছটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-এর নামে মুহাদ্দিছ হাসান বিন মুহাম্মাদ ছাগানী (মৃঃ ৬৫০ হিঃ) স্বীয় ‘মওযূ‘আত’ গ্রন্থে (হা/৭৮) উল্লেখ করেছেন। এছাড়া ফেরদৌস দায়লামী (হা/৮০৯৫) ও ইবনুল জাওযী স্বীয় মওযূ‘আত গ্রন্থে
উত্তর : আদম (আঃ) আল্লাহকে দেখেছেন মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। আল্লাহর উপরোক্ত বাণী অনুযায়ী দুনিয়াতে কেউই আল্লাহকে দেখতে পাবে না। তিনি নবী হৌন বা অন্য কেউ হোক। কোন নবী-রাসূল থেকেই এটা প্রমাণিত হয়নি যে, তারা আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখেছেন। রাসূল (ছ
উত্তর : এ বক্তব্য ভিত্তিহীন। এ মর্মে যেসব বক্তব্য সমাজে ছড়িয়ে রয়েছে, তা বিভ্রান্ত ছূফীদের কল্পিত বক্তব্য। কুরআন ও হাদীছে এর কোন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায় না।
উত্তর : হযরত সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে উক্ত মর্মে বায়হাক্বী বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আলবানী, মিশকাত হা/১৯৬৫ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়)। বরং অনেক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পুরা রামাযান মাসই রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসে জান্নাত ও রহমতের দরজা সমূহ খু
উত্তর : জিনদের নিকটে কোন নবী এসেছেন মর্মে প্রমাণ পাওয়া যায় না। মুমিন জিনেরা আমাদের নবীর অনুসরণ করে। আল্লাহ বলেন, ‘জিনেরা বলল, আমরা যখন পথ নির্দেশক বাণী শুনলাম তখন তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম’ (জিন ১৩)। একটি বড় হাদীছে বলা হয়েছে, জিনেরা
১. আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,لَا تُجَالِسْ أَهْلَ الْأَهْوَاءِ، فَإِنَّ مُجَالَسَتَهُمْ مُمْرِضَةٌ لِلْقُلُوْبِ ‘তুমি প্রবৃত্তির অনুসারীদের সাথে ওঠাবসা করো না। কেননা তাদের সঙ্গ অন্তরকে ব্যাধিগ্রস্থ করে তোলে’।[1]২. ইয়াযীদ বিন আবু হাবীব (রহঃ) বল
উত্তর : কোন বান্দা কি পাপ করবে এবং তার জন্য কি শাস্তি ভোগ করবে সবই আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তিনি তাদের ভোগকৃত শাস্তি অগ্রিম প্রদর্শন করতেও সক্ষম, যা রাসূল (ছাঃ)-কে মি‘রাজে বা বিভিন্ন সময়ে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। তবে সাধারণ মান
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমরা তাঁর রাসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না (বাক্বারাহ ২/২৮৫)। মুহাম্মাদ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা রাসূলদের মাঝে কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করো না। তিনি আরো বলেন, যে বলে আমি ইউনুস বিন মাত্তা চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সে মিথ্যুক- ইত্যাদি
উত্তর : উক্ত গোপন ইলম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রাঃ) স্বয়ং কিছু বলেননি। তবে মুহাদ্দিছগণ এ হাদীছের ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি যা গোপন করেছিলেন, সেগুলি খুলাফায়ে রাশেদীন পরবর্তী মন্দ আমীর-ওমারাদের নাম, পরিচয়, সময়কাল, অবস্থা ইত্যাদি সংক্রান্ত ছিল। আবু হুরা
ভূমিকা :ইসলাম শান্তির ধর্ম। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের আগমন। যারা ইসলামী শরী‘আত ভিত্তিক জীবন পরিচালনা করতে চায়, তারা মানুষের জীবন শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে পরিচালিত হউক এটাই চায়। আরবের পথহারা মানুষগুলো যখন ইসলামের ছায়াতলে আগমন করল