উত্তর : আক্বীকার জন্য খাওয়ার আয়োজন করা কিংবা প্রতিবেশীদের মধ্যে সে গোশত বিতরণ করায় বাধা নেই। তবে স্মর্তব্য যে, একে অলীমা অনুষ্ঠানে পরিণত করা যাবে না। ইমাম ইবনু আব্দিল বার্র ইমাম মালেকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বিবাহের অলীমায় যেভাবে লোকদের দাওয়াত দেও
উত্তর : মানুষের উপর তার নামের প্রভাব পড়তে পারে। আর এজন্য রাসূল (ছাঃ) ব্যক্তি, বস্ত্ত এমনকি জায়গার নামও পরিবর্তন করে দিতেন। নবী করীম (ছাঃ) আ‘ছ (অবাধ্য), আযীয (পরাক্রমশালী), আতলাহ (কর্কশ), হাকাম (বিচারক), গুরাব (কাক), হুবাব (সাপ) ও শিহাব (উল্কা) ন
উত্তর : ঈদের দিন সন্তান জন্মের সপ্তম দিন হ’লে সে দিনেই আক্বীক্বা করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাউদ
উত্তর : কাউকে কষ্ট না দেওয়ার উদ্দেশ্যে সন্তান বা শিশুদের ভালোবেসে তার নাম ছোট করে ডাকা দোষণীয় নয়। রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে ‘আয়েশ!’ বলে আহবান করতেন (বুখারী হা/৩৭৬৮; মিশকাত হা/৬১৭৮)। তিনি স্বীয় খাদেম আনজাশাহকে ‘আনজাশ’ বলে ডাকতেন (বুখার
উত্তর : যে কোন পশু যবহ করার সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর বলবে। এছাড়াও বিভিন্ন দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। যার কয়েকটি নিম্নরূপ- কুরবানীর পশু যবহ করার সময় বলবে, বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী (আল্লাহর নামে, হে আল্ল
উত্তর : মেয়ের পক্ষ থেকে একটি ছাগল আক্বীক্বা দেওয়া সুন্নাত। প্রয়োজনে বড় ছাগল ক্রয় করে আক্বীক্বা দিবে। এর পরেও মেহমানদের জন্য পর্যাপ্ত না হ’লে বাজার থেকে গোশত ক্রয় করে খাওয়ানোতে কোন দোষ নেই (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১২৫৫; নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪৩০; ইব
উত্তর : হালীম ডাল ও গোশতের মিস্রণে একটি জনপ্রিয় খাবার, যাকে আরবীতে হারিস বলা হয়ে থাকে। কালক্রমে উপমহাদেশে এটি হালীম নামে পরিচিতি লাভ করেছে। হালীম শব্দটি খাদ্যের নাম হিসাবে ব্যবহারে কোন দোষ নেই। কেননা হালীম শব্দটি আল্লাহর নাম ব্যতীত সৃষ্টির নাম হ
উত্তর : সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাঊদ হা/২৮৩৮ প্রভৃতি; ইরওয়া হা/১১৬৫)। অ
উত্তর : পিতা-মাতার নামে নাম রাখা যায়। তারা অছিয়ত করে গেলে সেই নামে নাম রাখা সদাচরণের মধ্যে গণ্য হবে। আর সাধারণভাবে ভালোবাসার টানে রাখলে নিয়ত অনুপাতে ছওয়াব হবে। তবে তাদের নামে নাম রাখা আবশ্যক কোন বিষয় নয়। বরং আল্লাহর নিকট ‘আব্দ’ যুক্ত প্রিয় নাম র
উত্তর : ফেরেশতাগণের নামে সন্তানের নাম রাখা যায়। অধিকাংশ বিদ্বান নবী-রাসূল ও ফেরেশতাগণের নামে নাম রাখাকে জায়েয বলেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪৩৬; বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ৩/২৭)। তবে এর পরিবর্তে সুন্দর ও অর্থপূর্ণ নাম বা ‘আব্দ’ যুক্ত নাম রাখা উত্তম
উত্তর : দুম্বা, ছাগল, ভেড়া দ্বারা আক্বীক্বা করা সুন্নাত (আবূদাঊদ হা/২৮৩৪; মিশকাত হা/৪১৫২; ছহীহাহ হা/১৬৫৫)। গরু ও উট দিয়ে আক্বীক্বা করার হাদীছটি জাল (ইরওয়া হা/১১৬৮)। আর মহিষের কথা কোন হাদীছে নেই। আয়েশা (রাঃ)-এর ভাতিজা জন্মগ্রহণ করলে তাকে উট দ্বারা
উত্তর : সূর্যাস্তের পর থেকে দিন শুরু হয়। আর ৭ম দিনে আক্বীক্বা করার ব্যাপারে হাদীছে নির্দেশনা এসেছে (আবুদাঊদ হা/২৮৩৮)। কিন্তু সেটা দিনে বা রাতে বলে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অতএব সুবিধামত দিনে বা রাতে যেকোন সময় আক্বীক্বা করবে।প্রশ্নকারী : অলিউল্লাহ, জ
উত্তরঃ শুধু পাপের কারণে মানুষের অসুখ-বিসুখ হয় না, বরং পরীক্ষা স্বরূপও হ’তে পারে (বাক্বারাহ ১৫৫)। শিশুদের অসুখের বিষয়টি পিতা-মাতার পাপ মোচনের জন্যও হ’তে পারে কিংবা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যও হ’তে পারে। আর এই পরীক্ষা ও উপদেশ পিতা-মাতা, সমাজনেতা,
উত্তরঃ টেস্টটিউবের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া শর্ত সাপেক্ষে জায়েয হতে পারে। কেবলমাত্র স্বামীর বীর্যই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্ত্রীর রেহেমে দেয়ার নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা থাকলে, ডাক্তার সততার সাথে তা সম্পন্ন করলে, কোন প্রকার প্রতারণার আশ্রয় না নিলে
উত্তরঃ আরবী বা আরাবী নাম রাখা যায়। আরাবী শব্দের অর্থ আরবের অধিবাসী বা আরবী ভাষী। তবে বাংলাভাষী বা অনারব কোন ছেলের নাম ‘আরবী’ রাখা ঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সবচেয়ে উত্তম নাম হ’ল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৫২ ‘শিষ্টাচার’
উত্তর: খাৎনা করা ইসলামের স্বভাবগত সুন্নাত এবং অন্যতম নিদর্শন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০)। ইবরাহীম (আঃ) আল্লাহর হুকুমে আশি বছর বয়সে নিজের খাৎনা করেছিলেন (বুখারী হা/৩৩৫৬)। কিন্তু খাৎনার অনুষ্ঠান করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর স্বর্ণ যুগে এর কোন
উত্তর : তার অছিয়ত অনুযায়ী ছাগলের বাচ্চাটি দ্বারা আক্বীক্বা দিতে হবে। কারণ প্রথমতঃ তার আক্বীক্বা হয়নি (ছহীহাহ হা/২৭২৬)। দ্বিতীয়তঃ তার অছিয়ত পূরণ করা ওয়াজিব। আল্লাহ তা‘আলা মীরাছ বণ্টনের পূর্বে অছিয়ত পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন (নিসা ৪/১২)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : ছাহাবীগণের নামে সন্তানের নাম রাখা যাবে। বরং নবী-রাসূল ও সৎ বান্দাদের নামে নাম রাখা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) নিজ সন্তানের নাম ইবরাহীম (আঃ)-এর নামে রেখেছিলেন (মুসলিম হা.২৩১৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৭১২১)। যেমন হাদীছে এসেছে, মুগীরা বিন শু‘বাহ (রাঃ)
উত্তর : খাৎনা করা মুস্তাহাব। কেননা এটি ইসলাম ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য স্বরূপ। এটি হ’ল মানুষের ফিৎরত বা স্বভাবজাত পাঁচটি বিষয়ের অন্যতম (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২০ ‘পোষাক’ অধ্যায় ‘চুল অাঁচড়ানো’ অনুচ্ছেদ)। এর মধ্যে যে স্বাস্থ্যগত কল্যাণ নিহিত রয়
উত্তর : সন্তান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা নিষেধ। কারণ স্বাধীন মানুষকে বিক্রয় করা হারাম (মুসলিম, বুলূগুল মারাম হা/৯০১)। ঋণ পরিশোধের জন্য নিজে প্রাণপণে চেষ্টা করবে। নইলে সমাজ ও সরকারের কাছ থেকে সাহায্য নিবে (আবূদাঊদ, বুলূগুল মারাম হা/৬২৮;
উত্তর : সন্তান জন্মের ৭ম দিনে আক্বীক্বা করা সুন্নাত। এটা পিতা বা অভিভাবকের দায়িত্ব। ৭ম দিনের আগে কিংবা পরে কেউ আক্বীক্বা করলে সেটা সুন্নাত মোতাবেক হবে না। ১৪ ও ২১ দিনে আক্বীক্বা সম্পর্কে ত্বাবারাণী ও বায়হাক্বী বর্ণিত হাদীছটি নিতান্তই যঈফ
উত্তর : ছাগল ব্যতীত অন্য কোন পশু যেমন গরু বা উট দ্বারা আক্বীকা দেয়ার কোন ছহীহ হাদীছ নেই। উট, গরু ও ছাগল দিয়ে আক্বীক্বা সম্পর্কে আনাস (রাঃ) হ’তে যে মরফূ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা মওযূ বা জাল (ত্বাবারাণী ছাগীর, ইরওয়া হা/১১৬৮, ৪/৩৯৩ পৃঃ)।
উত্তর : শুধু আমাদের নামই মুসলিম নয়; বরং সকল নবীর উম্মতের নাম ছিল মুসলিম। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর একনিষ্ঠ বান্দাদের নাম রেখেছেন মুসলিম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে করা উচিত; তিনি তোমাদের মনোনীত করেছেন। তিনি দ্বীনের ব্
উত্তর : দিবস পালন শরী‘আত সম্মত নয়। উপহার দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ছেলে ছোট হোক আর বড় হোক পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৩৫৪)। বিবাহ উপলক্ষে উপহার দেওয়াও বৈধ নয়।
উত্তর : নামের অর্থ খারাপ বা অর্থ বিকৃতির কারণে নাম পরিবর্তন করা জায়েয। এটি কোন কোন সময় মুস্তাহাব। আবার কোন কোন সময় ওয়াজিব হয়ে যায় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৮/২৩৯)। যেমন জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল আব্দুল হাজার (পাথরের দাস)। রাসূল (ছাঃ) তার ন
উত্তর : ইসলামী শরী‘আতে নসবনামা বা বংশ তালিকা সংরক্ষণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে (তিরমিযী হা/১৯৭৯; মিশকাত হা/৪৯৩৪; ছহীহুত তারগীব হা/২৫২০)। সেকারণ নামের শেষে পিতার নাম যুক্ত করা যায়। ইসলামপূর্ব যুগ থেকেই আরব দেশগুলিতে এর প্রচলন ছিল। তবে ভারত উপমহাদেশসহ
উত্তর : ছিদ্দীক অর্থ মহাসত্যবাদী। এতে তাযকিয়া তথা অধিক প্রশংসাসূচক অর্থ রয়েছে। এই ধরনের অতি প্রশংসাসূচক নাম রাখা অপসন্দনীয়। তবে যদি কেউ তাযকিয়া উদ্দেশ্য ছাড়াই এরূপ নাম রাখে, তাতে কোন দোষ নেই (নববী, শরহ মুসলিম ১৪/১১৯; তুহফা ৮/১০১; মিরক্বাত ৭
উত্তর : সন্তানের নাম রাখার ক্ষেত্রে পিতা ও মাতা উভয়ে পরামর্শ করবে। যদি সন্তানের নাম রাখার ব্যাপারে পিতা ও মাতার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, তাহ’লে পরিবার প্রধান হিসাবে পিতার মতই অগ্রাধিকার পাবে (বুখারী হা/২৫৫৪)। মনে রাখতে হবে যে, পিতা হৌক বা ম
উত্তর : মানত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা মানত করো না। মানত আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেনা। এটি কৃপণের সম্পদ থেকে কিছু অংশ বের করে আনে মাত্র’ (বুখারী হা/৬৬০৮, মুসলিম হা/১৮৩৯; মিশকাত হা/৩৪২৬)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নাফর
উত্তর : পিতাই সন্তানের আক্বীক্বার জন্য মূল দায়িত্বশীল। তবে সামর্থ্য না থাকলে বা কষ্টকর হ’লে পিতার সম্মতিক্রমে আত্মীয়-স্বজন বা অন্যেরাও শিশুর আক্বীক্বা দিতে পারে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৯/৫৯৫; তোহফাতুল আহওয়াযী ৫/৯৫)। রাসূল (ছাঃ) তাঁর নাতি হাসান
উত্তর : সুন্নাত হ’ল সপ্তম দিনে শিশুর জন্য আক্বীক্বা দেওয়ার পরে তার মাথা মুন্ডন করা। সপ্তম দিনে শিশুর নাম রাখবে, এরপর আক্বীক্বা করবে, এরপর মাথা ন্যাড়া করবে এবং চুল পরিমাণ রৌপ্য ছাদাক্বা করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৬/১০৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ