উত্তর : লাভের পরিমাণের সীমারেখা নির্দিষ্ট নয়। আল্লাহ বা তাঁর রাসূল (ছাঃ) কেউ লভ্যাংশের সীমারেখা নির্ধারণ করেননি (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৮৮; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)। তবে ইসলামী শরী‘আতে ‘আল-মাছলাহাতুল মুরসালা’ বা জনস্বার্থ নামে এক
উত্তর : উক্ত পেনশনের টাকা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার জন্য ভোগ করা জায়েয হবে না। কারণ উক্ত টাকার মূল ভিত্তি সূদী ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে উক্ত টাকা তুলে জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন কালভার্ট বা রাস্তা নির্মাণ, ইয়াতীম খানা পরিচালনা, কূপ খননসহ যেকোন জনহি
উত্তর : হবে। কেননা একজনের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সূদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। এক্ষণে আমি তার দা
উত্তর : উক্ত ব্যবসা হালাল। তবে উক্ত খেলনা গায়ের মাহরাম ছেলে-মেয়েদের জন্য অবৈধভাবে আনন্দের উপকরণ যেন না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারণ পাপের কাজে সহায়তা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং প
উত্তর : হালাল পন্থায় উপার্জন করেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কারণ হারাম পন্থায় উপার্জন করা আরেক বড় হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, হে মানবজাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত ভক্ষণ কর। আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্
উত্তর : যাবে। যেকোন বৈধ মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের জন্য উপকারী হালাল প্রাণী উৎপাদন করা জায়েয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন পৃথিবীতে যা আছে সবকিছু’ (বাক্বারাহ ২/২৯)। অতএব বৈধ পন্থায় মানব কল্যাণে প্রাণী
উত্তর : যাবে। বিশেষ করে লাশ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকলে মাইয়েতের কাফনে বা দেহে যে কোন সুগন্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার মৃত কন্যার গোসলকালীন যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাতে বলেছিলেন ‘তাকে তিনবার, পাঁচবার অথবা প্রয়োজনবোধে এর
উত্তর : সাধারণভাবে প্রকাশ্যে শাসকদের সমালোচনা করা ইসলামের নীতি নয় (বুখারী হা/৭০৫২, ৫৩)। কেননা এতে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই বেশী হয়। তবে বর্তমান গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা অনুমোদিত। সেজন্য জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উক্ত খাবার গ্রহণে কোন বাধা নেই। তাছাড়া চরম ক্ষুধার্ত অবস্থায় এমন খাবার অনুমতি ছাড়া খাওয়াতেও দোষ নেই। তবে অতিরিক্ত খাদ্য বহন করে বাড়িতে বা বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে না (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আ
ভূমিকা : আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষের কল্যাণেই পৃথিবীর অন্য সবকিছু সৃষ্টি করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৯)। সেই সাথে মানব দেহের জন্য যা উপকারী তা হালাল করা হয়েছে এবং যা ক্ষতিকর তা হারাম করা হয়েছে।ঘোড়ার মাধ্যমে যেম
উত্তর : যে দেশের নাম দিয়ে একাউন্ট করা হবে সে দেশের অনুমোদন থাকলে উক্ত ব্যবসা জায়েয। আর সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমোদন না থাকলে জায়েয নয়। কারণ মিথ্যা এবং প্রতারণা কোন অবস্থাতেই জায়েয নয়।প্রশ্নকারী : জাহিদুল ইসলাম, সিলেট।
উত্তর : ব্যাংকের সূদ নেওয়া হারাম। অতএব মায়ের হারাম উপার্জন মায়ের জন্য হারাম হলেও সন্তানের জন্য নয়। কারণ একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (আন‘আম ১৬৪)। তবে অবশ্যই মাকে সূদ বর্জনের উপদেশ দিতে হবে এবং হালাল উপার্জনের পথ ও পদ্ধতি বাতলিয়ে দিতে হ
উত্তর : সার্ভিস চার্জ বা পরিচালনা ফী হিসাবে নির্দিষ্ট অংকের ফী নেওয়া যাবে। তবে সময়ের সাথে ফী-এর পরিমাণ বৃদ্ধি বা দেরীতে পরিশোধে ফী বৃদ্ধি ইত্যাদি সূদী কলা-কৌশল করা যাবে না (মাজাল্লাতুল মুজাম্মা‘ সংখ্যা ২, ২/৫২৭; সংখ্যা ৩/৭৭)।প্রশ্নকারী :&nb
উত্তর : পাঠদান হালাল হওয়ায় হালাল কর্মের বিনিময়ে ব্যাংকারের সন্তানকে পড়ানো এবং তার থেকে সম্মানী গ্রহণ করতে বাধা নেই। আর সূদের সাথে জড়িত থাকার জন্য ব্যক্তি গুনাহগার হবে। আল্লাহ বলেন, মানুষ যা করে তার ফল তার উপরে বর্তায়। একজনের পাপের বোঝা অন্যজন বহ
উত্তর : যে সকল প্রাণীর গোশত হালাল সে সকল প্রাণীর বিষ্ঠা হালাল। সুতরাং গরুর গোবর দিয়ে বাড়ির প্রাচীর লেপন করায় এবং উক্ত বাড়িতে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, ভেড়া-ছাগল বাঁধার স্থানে ছালাত আদায় করতে পা
উত্তর : ইসলাম বিরোধী না হ’লে সরকারী নিয়মনীতি অনুসরণ করা আবশ্যক এবং বালুচরের জমি বিক্রয় করা হ’তে বিরত থাকা কর্তব্য। নইলে এতে দু’টি পাপ রয়েছে। ঘুষ দেওয়ার পাপ ও সরকারী বিধান লংঘন করার পাপ। অতএব রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধান মেনে চলতে
দৃষ্টিশক্তি অন্তরের মূল চালিকাশক্তি। দৃষ্টিই হৃদয়ের উপর নযরদারী করে। চোখের মাধ্যমে আমরা যা দেখি, তার নকশা সরাসরি অন্তরে অঙ্কন করি। দর্শনকৃত বস্ত্ত, ব্যক্তি বা ঘটনা অন্তরের ক্যানভাসে জায়গা করে নেয়। এটি যদি নিষিদ্ধ বা হারাম দৃষ্টিপাত দ্বারা হয় তাহলে এর
উত্তর : সরকারের যেকোন বৈধ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা জায়েয এবং বেতন নেয়াও জায়েয। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করবেন। এরপরেও ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে শিক্ষকগণ দায়ী হবেন না। কিন্তু শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অবহেলা
উত্তর : অন্যের পক্ষ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করা উভয়টি প্রতারণা ও হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে আমাদের সাথে প্রতারণা করল, সে আমাদের দলভূক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরো বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোন বিষয় হারাম ক
উত্তর : মুসলমান একে অপরকে হাদিয়া প্রদান করতে পারে। তবে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হবে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করা এবং রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের উপর আমল করা। এছাড়া তাতে দুনিয়াবী কোন উদ্দেশ্যও রাখা যাবে না, নতুবা তা ঘুষে পরিণত হবে। ওমর (রাঃ) বলেন, ‘রাসূল (
উত্তর : হারাম বস্ত্তর মাধ্যমে কোন চিকিৎসা নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা রোগ নাযিল করেছেন এবং প্রতিষেধকও। আর প্রত্যেক রোগের ঔষধও নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং তোমরা ঔষধ ব্যবহার করো, কিন্তু হারাম বস্ত্ত দ্বারা ঔষধ সেবন করবে না (আবূদাউদ হা/৩
উত্তর : যদি ফেসবুকে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং তা অশ্লীলতামুক্ত ও হালাল হয়, তাহ’লে হালাল কন্টেন্ট পোস্টের মাধ্যমে যে অর্থ উপার্জিত হবে, তা গ্রহণ করা জায়েয হবে; নইলে নয়।প্রশ্নকারী : শারাবান তাহুরা, শিরোইল, রাজশাহী।
উত্তর : প্রশ্নেই স্পষ্ট যে উক্ত কার্যক্রম সূদভিত্তিক ও প্রতারণাপূর্ণ। আর আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন এবং সূদখোরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, যে আমাদের দলভুক্ত নয়
উত্তর : প্রচলিত ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুরোপুরি সূদমুক্ত নয় বা সন্দেহমুক্ত নয়। আর ইসলামী শরী‘আত সন্দেহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হালাল সুস্পষ্ট এবং হারামও সুস্পষ্ট। আর উভয়ের মধ্যে এমন বহু সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, যা অনে
উত্তর : যেখানে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রসার ঘটে, সেখানে কাজ করা যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তুমি বল, নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার অশ্লীলতা হারাম করেছেন’ (আ‘রাফ ৭/৩৩)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য বা গোপন কোন অশ্লীলতা
উত্তর : কোম্পানীর সাথে যেভাবে চুক্তি হবে সেভাবে কাজ করা এবং কমিশন গ্রহণ করা জায়েয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের অঙ্গীকার সমূহ পূর্ণ কর’ (মায়েদাহ ৫/০১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়
উত্তর : সাগরের সকল প্রকারের প্রাণী হালাল। চাই তা হাঙ্গর, শুশুক কিংবা অক্টোপাস হোক। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য ভোগ্যবস্ত্ত হিসাবে সমুদ্রের শিকার ও সামুদ্রিক খাদ্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৯২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সমুদ্রের পানি পবিত্র
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব দুনিয়া সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ওহীর বার্তাসহ প্রেরণ করেছেন। তিনি আসমানী জ্ঞানের বাইরে কোনকিছুই ব
উত্তর : এটি জায়েয হবে না। কেননা কারবারটি জমি বন্ধকী প্রথার অন্তর্ভুক্ত, যা নিষিদ্ধ। তাছাড়া এখানে মেয়াদকাল অনির্ধারিত। আর ইসলামী শরী‘আতে অস্পষ্ট ব্যবসা হারাম (মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহীম, ফাতাওয়া ওয়া রাসায়েল ৭/৪৯-৫০)। এটি এক ধরনের প্রতারণা। আর প্
উত্তর : এক্ষেত্রে বিধান হ’ল- প্রথমতঃ মুকুল আসার পূর্বে ফল বিক্রি করা জায়েয হবে না। কারণ জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এবং কয়েক বছরের মেয়াদে কোন গাছের বা বাগানের ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা
উত্তর : যে কোন হালাল পশুর যবেহকালীন প্রবাহিত রক্ত নাপাক (আন‘আম ৬/১৪৫)। তা দেহে বা পোষাকে লাগলে ধুয়ে ছালাত আদায় করতে হবে। আর মাংসে লেগে থাকা রক্তের ছিটাফেঁাটা শরীরে বা কাপড়ে লাগলে নাপাক হবে না। উক্ত পোষাক পরিধান করে ছালাত আদায়ে কোন দোষ নেই&n
উত্তর : পূর্বেকৃত পাপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে খালেছ অন্তরে তওবা করবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়াবান (যুম
উত্তর : হারামকে হারাম হিসাবে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সাধ্যমত লোকদেরকে মদ খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করবে। কোনভাবেই ‘অল্প খাবেন’ বা ‘অল্প ক্ষতিকর ব্রান্ডের খাবেন’ এজাতীয় কোন বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। সেই সাথে সুযোগমত ইসলামের পথে দাওয়াত দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : জেনে শুনে হারাম কাজ বা হারাম কাজে সহযোগিতা করা যাবে না; নতুবা উপার্জন হারাম হবে (ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৭২০)। বরং তাক্বওয়ার নীতি অবলম্বন করে আল্লাহর প্রতি ভরসা করবে। সাথে সাথে অন্য কোথাও হালাল আয়ের উৎস খোঁজ করবে। আল্লাহ তা‘আ
উত্তর : মূল অর্থ গ্রহণ করায় দোষ নেই। মূল অর্থ থেকে আগত লভ্যাংশ ছওয়াবের আশা ছাড়াই ছাদাক্বা করে দিতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৩০৭; ২৯/৩০৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হারাম মাল সঞ্চয় করে, অতঃপর তা থেকে
উত্তর : মদ খাওয়া নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৯০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, সকল মাদক নিষিদ্ধ (মুসলিম হা/১৭৩৩; মিশকাত হা/৩৬৩৮)। তিনি বলেন, যার বেশীটা মাদকতা আনে, তার কমটাও হারাম (তিরমিযী হা/১৮৬৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩৬৪৫)। তিনি বলেন, তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ
উত্তর : যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকলে গুনাহ হবে না। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত খাবার বাড়িতে নেওয়া জায়েয হবে না। কারণ উক্ত খাবারের মালিক সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রূযীর ব্যব
উত্তর : যে সব প্রাণীর গোশত হালাল, সে সব প্রাণীর দুধও হালাল। ঘোড়া ও বন্য গাধার গোশত হালাল (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪১০৭-০৮)। মহিষ হ’ল গরুর সমজাতীয় হালাল প্রাণী (মির‘আত হা/১৪৭০-এর আলোচনা)।প্রশ্নকারী : লিয়াকত আলী, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও।
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় স্থায়ীভাবে জন্মনিরোধ হারাম। তবে সাময়িকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েয। সেজন্য সৎ উদ্দেশ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করায় বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/৩১১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ্দারব ২১/৩৮৯)। উল্লেখ্য, দারিদ্রের ভ
উত্তর : এটা জায়েয হবে না। শরী‘আতে যৌথ ব্যবসার পদ্ধতি দু’টি- (১) মুশারাকা : দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বিনিয়োগ করবে এবং বিনিয়োগের পরিমাণ অনুযায়ী লাভ-লোকসান বণ্টিত হবে (দারাকুৎনী হা/৩০৭৭) (২) মুযারাবা : একজনের অর্থে অপরজন ব্যবসা করবে। লভ্যাংশ
উত্তর: চল্লিশ দিনের মধ্যে গোঁফ ছাটা, বগলের লোম উপড়ানো ও নাভীর নীচের লোম কাটা সুন্নাত (মুসলিম হা/২৫৮; মিশকাত হ/৪৪২২)। তবে প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করা উত্তম (শারহুস সুন্নাহ হা/৩১৯৭; কাশশাফুল ক্বেনা‘ ১/৭৭)।প্রশ্নকারী : মহিবুল ইসলাম, ন
উত্তর : সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, যারা সূদ খায়, সূদ দেয়, সূদের হিসাব লেখে এবং সূদের সাক্ষ্য দেয়, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের উপর লা‘নত করেছেন এবং অপরাধের ক্ষেত্রে এরা সকলেই সমান’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)।
উত্তর: ঋণদাতাকে ঋণগ্রহীতা তুচ্ছ কোন হাদিয়া দিলেও সেটি গ্রহণ করা সূদ’ (বুখারী হা/৩৮১৪; মিশকাত হা/২৮৩৩)। অতএব ঋণদাতার সন্তুষ্টির জন্য বিশেষভাবে দাওয়াত দেয়া যাবে না। তবে যদি তাদের মধ্যে আগে থেকে সাধারণ যাতায়াত ও খাওয়া-দাওয়া থাকে তবে দাওয়াত খাও
উত্তর : পেশা হিসাবে বই বিক্রয়ের পেশা নিঃসন্দেহে হালাল ও উত্তম। এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ দ্বীন প্রচারে বড় ভূমিকা রাখা যায়। যা সর্বাধিক নেকী হাছিলের মাধ্যম। তবে শিরক ও বিদ‘আতের দিকে আহবানকারী বই-পুস্তক বিক্রি করলে কঠিন গুনাহের ভাগিদার হ’তে হবে। এটা তার
উত্তর : রাষ্ট্রের আইন-কানূন শরী‘আতবিরোধী না হ’লে তা মেনে চলা আবশ্যক (শানক্বীতী, আযওয়াউল বায়ান ৩/২৬০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করতে হবে (তিরমিযী হা/১৩৫২; মিশকাত হা/২৯২৩)। অতএব প্রশাসনিক নি
উত্তর : মূল হারাম হ’লে লাভও হারাম হবে। তবে কেউ যদি না জেনে বিনিয়োগ করে থাকে, তবে হারাম সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর উক্ত হারাম মূলধন নেকীর আশা ব্যতীত জনকল্যাণে ব্যয় করে দিলে লভ্যাংশ হালাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যার নিকটে তার প্র
উত্তর : স্যাকারিন হারাম বস্ত্ত নয়। সেজন্য সরিষার সাথে স্যাকারিন মিশালে গুনাহ নেই। তবে গবেষকদের মতে, অতিরিক্ত স্যাকারিন মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। কেননা স্যাকারিন একটি মিষ্টিজাতীয় পদার্থ, যাতে কোন পুষ্টিকর উপাদান নেই। এটি মানবদেহে মেশে
উত্তর : এরকম লোককে ইমাম হিসাবে রাখা যাবে না। কারণ ইমামতি একটি মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব, যার পিছনে অসংখ্য মুছল্লী ছালাত আদায় করেন। তবে বাধ্যগত অবস্থায় ফাসেক ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ ছাহাবায়ে কেরাম যালেম ও ফাসেক ব্য
প্রশ্নকারী : মুনীরুল গাযী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।উত্তর : যে কোন প্রকার এনার্জি ড্রিংকে যে এ্যালকোহল মিশ্রিত থাকে, তা প্রমাণিত। যদিও অতিরিক্ত ক্যাফেইন মিশ্রিত থাকায় সেটি অনেক সময় অনুভব করা যায় না। (www.drink aware.co.uk/)। আর কোন খাদ্য ও পান
উত্তর : পুরুষেরা রূপা বা চাঁদির আংটি ব্যবহার করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম চাঁদির আংটি ব্যবহার করেছেন। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, যখন নবী করীম (ছাঃ) পারস্যের রাজা কিছরা এবং রোম সম্রাট কায়ছার এবং নাজাশীর নিকট পত্র লিখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন,
উত্তর : ঘুষ আদান-প্রদান কবীরা গুনাহ। এদের উপর আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হয় (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। সুতরাং কোন অযোগ্য ব্যক্তি ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিলে সে নিজে যেমন অপরাধী, তেমনি অপরের হক নষ্ট করার জন্য দায়ী হবে। এমতাবস্থায় সে খালেছ নিয়
উত্তর : যাবে না। নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে এসব উপহার গ্রহণ করলে ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে হাদিয়া প্রদানকারী কোম্পানীর ঔষধ রোগীদেরকে লিখে দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেই উক্ত হাদিয়া প্রদান করা হয়ে থাকে, যা ঘুষ হিস
উত্তর : সন্তান পিতাকে সম্পূর্ণভাবে হারাম বর্জন করে হালাল ইনকামে উৎসাহিত করবে। তাদেরকে হালাল রিযিক উপার্জনের গুরুত্ব বুঝাবে। তবে এরপরেও যদি পিতা হারাম বর্জন না করে, তবুও তার উপার্জন থেকে সন্তানের পড়ার খরচ গ্রহণ করায় দোষ নেই। কারণ কেউ কারো পাপের ব
উত্তর : এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা পর্দার সাথে হ’লেও নারীদের জন্য সমীচীন নয়। কারণ এমন কর্মস্থলে নারী-পুরুষের বাধাহীন সহাবস্থানের কারণে ফিৎনার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। এজন্য নারীবান্ধব কর্মস্থল খুঁজে নিতে হবে। কোন বিকল্প না থাকলে শারঈ পর্দার বিধান যথা
আমরা আমাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য শাক-সবজি, ফলমূল এবং বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখির গোশত ভক্ষণ করে থাকি। কিন্তু আমরা কিভাবে জানবো যে, কোন্ ধরনের খাদ্য শরীরের জন্য উপযোগী এবং কোন্ ধরনের খাদ্য শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে গবেষণা করে বের কর
উত্তর: নছীহত করা সত্ত্বেও দাদা-দাদী তওবা না করলে তাদের হারাম আয়ের জন্য তারাই দায়ী হবেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা নয়। কারণ একের পাপের বোঝা অন্যে বহন করবে না (বাক্বারাহ ২/২৮৬; আন‘আম ৬/১৬৪)।প্রশ্নকারী : মাইশা সাবা*, শিবগঞ্জ, বগুড়া।*[আরবীতে ব
উত্তর : উল্লিখিত দ্বিতীয় পদ্ধতিও সূদী। কারণ এখানে ঋণের বিনিময়ে অতিরিক্ত লাভ তথা তিন ভাগের এক ভাগ ফসল নেওয়া হচ্ছে। আর যে ঋণ লাভ নিয়ে আসে সেটাই সূদ। উবাই ইবনে কা’ব, ইবনে মাস‘উদ ও ইবনে আববাসসহ (রাঃ) অনেক ছাহাবী তা গ্রহণ করতে নিষেধ করতেন (বায়হা
উত্তর: জেনেশুনে এমন অপরাধে সহযোগিতা করলে পাপী হ’তে হবে। এজন্য তাকে ঋণ দেওয়ার সময় শর্ত করে নিতে হবে যে, উক্ত টাকা কোন অবৈধ কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সে ওয়াদা দিলে তাকে ঋণ দিবে, অন্যথায় দিবে না। কারণ পাপের কাজে সহযোগিতা করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘
উত্তর : কাউকে স্বাগত জানানোর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলের তোড়া প্রদান করা ইসলামের রীতি নয়। এতে অর্থেরও অপচয় হয়। তাছাড়া এর মাধ্যমে অমুসলিমদের রীতিকে উৎসাহিত করা হয়। এজন্য এত্থেকে বিরত থাকাই উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্ব
উত্তর : ক্রিপ্টোকারেন্সি এক প্রকার জুয়া। সেহেতু এর ক্রয়-বিক্রয় বা এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়া বৈধ নয়। এক্ষণে হারাম থেকে মুক্তি পেতে নিজের বিনিয়োগ সেখান থেকে উঠিয়ে নিবে। সম্ভব না হ’লে ছেড়ে চলে আসতে হবে। কারণ হারাম বস্ত্ত বা খাদ্য যেমন নিজে ভোগ করা হারা
উত্তর : জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্রয়-বিক্রয় ও তাগাদার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা নমনীয়তা পসন্দ করেন’ (তিরমিযী হা/১৩১৯; ছহীহাহ হা/৮৯৯)। তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করুন, যে ব্যক্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে এবং নিজের প্
উত্তর : সাধারণভাবে অমুসলিমদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য জায়েয। রাসূল (ছাঃ) খায়বারের ফসলি জমিগুলো ইহূদীদের চাষাবাদ করতে দিয়েছিলেন (বুখারী হা/২২৮৫; মিশকাত হা/২৯৭২)। তখন আল্লাহর রাসূল ছিলেন বিজয়ী ও শক্তিশালী। পক্ষান্তরে খায়বরের ইহূদীরা ছিল প্রজা। বর
উত্তর : যে পরিমাণ অর্থ মিথ্যার মাধ্যমে অর্জন করেছে, সে পরিমাণ অর্থ তার জন্য হারাম হবে। তবে ব্যবসায় মিথ্যা বললে বরকত উঠে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যদি তারা সত্য বলে ও সবকিছু খুলে বলে, তাহ’লে তাদের ব্যবসায়ে বরকত দেওয়া হবে। আর তারা যদি (দোষ-ত্রুটি) গ
উত্তর : রোগীর আত্মীয়রা রোগীরা অধিকতর কল্যাণের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিবে। যদি তার জীবনের প্রত্যাশা ও সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহ’লে অবশ্যই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিবে। উল্লেখ্য যে, রোগী বা মাইয়েতের সকল অছিয়ত বাস্তবায়ন করা আবশ্যক নয় (বিন বায, মা
উত্তর : যাতায়াতে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে ঠিক সে পরিমাণই ভাউচারে লিখবে। অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের কারণে একদিকে মিথ্যা অন্যদিকে প্রতারণার অপরাধ হবে। এরূপ হারাম থেকে সর্বতোভাবে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : কোন অবস্থাতেই সূদের উপর ঋণ নেওয়া যাবে না। কারণ সূদ হারাম। একমাত্র ক্ষুধায় মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার মত নিরুপায় অবস্থায় পড়লে সে অবস্থাতে হারাম ভক্ষণের অনুমতি রয়েছে (মায়েদাহ ৩)।প্রশ্নকারী : যাকির হোসাইন, নাটোর।
উত্তর : এটা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ এতে টাকার হার-জিত উদ্দেশ্য নয়, বরং উদ্দেশ্য হ’ল বৈধ আয়োজনের জন্য বৈধ প্রয়োজনের খরচ মেটানো। অতএব এতে কোন দোষ নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাত ৪৯৬-৯৭ পৃ.; ইবনু ক্বাইয়িম, আল-ফুরুসিয়া ৩১৮ পৃ.; উছায়মীন, লিক
উত্তর : অমুসলিম বা মিশ্রিত উপার্জনকারী থেকে করযে হাসানাহ নেওয়া যাবে। কারণ হারাম উপার্জনের জন্য উপার্জন কারী ব্যক্তি দায়ী হবে, গ্রহণকারী নয়। রাসূল (ছাঃ) তার মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে এক ইহুদীর কাছে বর্ম বন্ধক রেখে ত্রিশ কেজি যবের আটা করয বা ধার নিয়ে
উত্তর : যাবে না। কারণ ফেন্সিডিল বা অনুরূপ কোন মাদক নেশাদার দ্রব্য, যা স্পষ্ট হারাম। এর দ্বারা চিকিৎসা নেয়া জায়েয নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তার মধ্যে আরোগ্য রাখেননি, যা তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন’ (বুখারী হা/১৮, ৪৮০; ই
উত্তর : উপার্জনের মাধ্যম হারাম হওয়ায় তার লভ্যাংশ সর্বাবস্থায় ভোগ করা নিষিদ্ধ এবং পরিত্যাজ্য। তাকে অবশ্যই খালেছ তওবার সাথে সাথে উক্ত সম্পদ মালিককে ফেরত দিতে হবে। আর মালিককে না পাওয়া গেলে তার নামে ছাদাক্বা করে দিবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ
উত্তর : এরূপ অস্বচ্ছ ব্যবসা জায়েয নয়। এই পদ্ধতিতে পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় উভয়টি হারাম। কেননা এটি শরী‘আতে নিষিদ্ধ বায়‘এ গারারের অন্তর্ভুক্ত। আর বায়‘এ গারার হ’ল এমন অস্পষ্ট ক্রয়-বিক্রয় করা যার প্রকৃতি ও পরিমাণ সম্পর্কে ক্রেতা বা বিক্রেতা জানে না
উত্তর : বিনিয়োগকারীর সম্মতি সাপেক্ষে সাধ্যমত সঠিকভাবে হিসাব করে লভ্যাংশ প্রদান করবে। এটি শরী‘আতসম্মত মুযারাবা পদ্ধতি, যা সূদ নয়। আনুমানিকভাবে দেয়া যাবে, তবে কোনমতেই যেন বিনিয়োগকারীকে ঠকানোর উদ্দেশ্য না থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! ত
উত্তর : কোন মুসলিম সিঁদুর ব্যবহার করতে পারবে না। কারণ এটি হিন্দুদের ধর্মীয় রীতি বা নিদর্শন। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭; ছহীহুল জামে‘&
উত্তর : এগুলো স্পষ্ট প্রতারণার শামিল। আর প্রতারণা দ্বারা দু’টি পাপ হয়। একটি মিথ্যা বলা ও আরেকটি অন্যকে ঠকানো। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০১-১০২; মিশকাত হা/২৮৬০, ৩৫২০)। কিন্তু যদি ঘটনা
উত্তর : ঋণের বিনিময়ে লাভ ভোগ করা সূদ (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৪/২৫০; ছালেহ ফাওযান, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৫০৫; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৪/১৭৬-৭৭)। ছাহাবীগণ এমন ঋণ নিষেধ করতেন, যা লাভ নিয়ে আসে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। তবে
উত্তর : ঘুষের কারবার সম্পূর্ণ হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা, ঘুষ গ্রহীতা ও ঘুষের দালাল সকলের উপর লা‘নত করেছেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, বায়হাক্বী ইত্যাদি মিশকাত হা/৩৭৫৩-৫৫, সনদ ছহীহ)। অতএব কষ্টকর হ’লেও ঘুষ দেওয়া বা ঘুষের কাজে মধ্যস্ততা করা থেকে
উত্তর : জায়েয হবে না। বরং এটাও সূদ হিসাবে গণ্য হবে। আর জাহেলী যুগে সূদের এই প্রথা ব্যাপক হারে প্রচলিত ছিল। যায়েদ ইবনু আসলাম (রহঃ) বলেন, জাহেলী যুগে সূদ ছিল এইরূপ যে, এক ব্যক্তির অপর ব্যক্তির উপর মেয়াদী পাওনা রয়েছে। যখন পাওনা আদায় করার সময় উপস্থি
উত্তর : ভাইকে হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকার জন্য উপদেশ দিবে। সে নিবৃত না হ’লে সাধারণভাবে তার সাথে বসবাস বা খাওয়াতে দোষ নেই। কেননা একের অপরাধ অন্যের উপর বর্তায় না (ইবনু কুদামা. মুগনী ৪/২০১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৯৬; উছায়মীন, লিকাউল বাব
উত্তর : সূদমুক্ত ঋণ গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু সূদ দিতে হ’লে তা গ্রহণ করা যাবে না। কারণ সূদ সর্বাবস্থায় হারাম। ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, যারা সূদ খায়, সূদ দেয়, সূদের হিসাব লেখে এবং সূদের সাক্ষ্য দেয়, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের উপর লা‘নত
উত্তর : বিভিন্ন খাত থেকে ব্যয় সংকোচন করার রাষ্ট্রীয় বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন বা সাধারণ প্রচলন থাকলে দোষ নেই। আর অনুমতি না থাকলে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজ অর্থ দ্বারা মেহমানদারী করবে। কারণ ক্ষেত্রবিশেষে মেহমানের আপ্যায়ন করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬০১৯
উত্তর : চুল বিক্রয়যোগ্য বস্ত্ত নয়। কারণ চুল দেহেরই একটি অংশ। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা আদম সন্তানকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি’ (ইসরা ১৭/৭০)। তাই এটি জায়েয হবে না যে, এভাবে মানব দেহের কোন অংশ অপদস্থ ও অপমানিত হৌক’ (আল-ইনাইয়া শারহুল হেদায়া ৬/৪২৫; আল-মাওসূ‘আতুল ফ
উত্তর : ওযূ করার পরে কিছু খেলে কুলি করা মুস্তাহাব। কারণ কোন কোন সময় দু’দাঁতের মাঝে খাবার আটকে থাকে। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) একবার দুধ পান করার পর পানি আনালেন। এরপর কুলি করলেন এবং বললেন, এতে তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে (মুসলিম হা/৩৫৮; মিশকাত হা/৩০
উত্তর : যদি স্পষ্টভাবে জানা যায় যে, উক্ত লেখা হারাম এবং অশ্লীলতা বা অন্যায় কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, তাহ’লে তা কম্পোজ করে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া ফটোকপির বিষয়বস্ত্ত জানা বা বুঝা না গেলে ফটোকপি করা যাবে। আর যদি নিশ্চিত জানা যায় যে, সেগুলি হারাম বা বিদ‘আ
উত্তর : ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সূদ ছাড়াই মূল ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। কোনভাবেই তারা মেনে না নিলে বাধ্যগত অবস্থায় সূদ সহ ঋণ পরিশোধ করবে। আর এতে সন্তানের কোন গুনাহ হবে না। কেননা একের পাপের বোঝা অন্যে বহন ক
উত্তর : এই ব্যবসা ছেড়ে বিকল্প কর্মক্ষেত্র খুঁজতে হবে। কারণ এই পেশায় সাধারণতঃ ঘুষের কারবার চলমান থাকে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতার প্রতি লা‘নত করেছেন (আবুদাউদ হা/৩৫৮০; ইবনু মাজাহ হা/২৩১৩; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহক
উত্তর : প্রথমতঃ এসকল দেশে দীর্ঘ সময়ের জন্য গমন থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এসব দেশগুলোতে অবস্থান করে ঈমান রক্ষা করা অতীব কঠিন (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৩০, ৬/১৩৮)। দ্বিতীয়তঃ এই দেশগুলোতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ বা ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে যেতে
উত্তর : যাবে। কেননা যবেহের জন্য পবিত্রতা শর্ত নয়। তবে অবশ্যই ‘বিসমিল্লাহ’ বলে যবেহ করবে (বুখারী হা/৫৫০১; নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৭৪; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১১/৬১)।প্রশ্নকারী : সজীব হোসাইন, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।[শুধু ‘হোসাইন’ নাম রাখুন (স.স.)]
উত্তর : উক্ত উপায়ে অর্থ উপার্জন করা হালাল হবে না। কারণ এতে কেবল কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিক দিচ্ছে না। বরং অর্থের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে, যা টাকার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা প্রদানের শামিল। আর এরূপ ব্যবসা ইসলামী শরী‘আতে হারাম 
উত্তর : এটি বাংলাদেশের মডার্ণ হারবাল নামক একটি খাদ্যপণ্য প্রস্ত্ততকারী কোম্পানীর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। যেটি আমাদের জানা মতে এমএলএম পদ্ধতিকে ব্যবসা করে। আর এমএলএম পদ্ধতির সকল ব্যবসা সরকারীভাবে নিষিদ্ধ। পিরামিড স্কীম, নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা এমএলএম যে ন
অন্যায় পন্থায় অর্থ উপার্জনের ও স্বার্থ উদ্ধারের অন্যতম মাধ্যম হ’ল ‘ঘুষ’। যা সমাজের জন্য দূর নিয়ন্ত্রিত বোমার মত কাজ করে। কেননা ঘুষ দেখা যায় না এবং এর কোন রেকর্ড থাকে না। অথচ কার্যোদ্ধার হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্
উত্তর : উক্ত প্রতিষ্ঠান যদি বৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকে, তবে সেখানে চাকরী করা হারাম নয়। তবে দায়িত্বশীল হিসাবে কর্তব্য হবে মালিককে সূদী লেনদেন থেকে বিরত রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। কেননা সূদী ঋণ গ্রহণ করে তিনি অপরাধ করেছেন (উছায়মীন, লিকাউ
উত্তর : সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তাক্বওয়া অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা যেমন চক্ষু অবনমিত করার আদেশ দিয়েছেন, তেমনি রাসূল (ছাঃ) দ্বিতীয়বার কোন নারীর দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন (নূর ২৪/৩০; আবুদাঊদ হা/২১৪৯; মিশকাত হা/৩১১০)। অতএব বৈধ কাজ সতর
উত্তর : পিল বা এ জাতীয় ওষুধের মাধ্যমে সাময়িক জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা জায়েয। অতএব এর ব্যবসা করা যায়। এক্ষণে কেউ যদি এর অপব্যবহার করে তাহ’লে সে নিজে দায়ী হবে, বিক্রেতা নয় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২১/৩৯৪; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২২/০২
উত্তর : পিঁপড়া বা ছোট ছোট পোকা খাবারে পড়ে গেলে খাদ্য নাপাক হয় না। কারণ এগুলো এমন প্রাণী, যেগুলোর রক্ত প্রবাহমান নয়। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) যে খাদ্যে মাছি পড়েছে, সে খাদ্যকে অপবিত্র বলেননি (বুখারী হা/৩৩২০)। তবে এ জাতীয় প্রাণী খাদ্যের ভিতর পড়লে যথাসম্
উত্তর: আপাতঃদৃষ্টিতে উক্ত কর্ম দোষনীয় নয়। কেননা জনস্বার্থবিরোধী এবং পাপের কাজে ব্যবহৃত না হ’লে প্রয়োজনে ভিপিএনের সাহায্য নিতে বাধা নেই। আর সাধারণভাবে যে কোন বৈধ কর্মের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা জায়েয, যদি না তাতে কোন অস্পষ্টতা, ধোঁকা, প্রতারণা ব
উত্তর : কেউ ভুল করে কিছু দিলে তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে হবে এবং তা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় অতিরিক্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রহণ করার জন্য ক্বিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে (মুজাদালাহ ৫৮/৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মান
উত্তর : ঘুষ দেওয়া এবং নেওয়া উভয়টিই হারাম (তিরমিযী হা/৬১৪; ছহীহুত তারগীব হা/১৭২৮)। সুতরাং যে টাকা সরাসরি ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত হয়, জেনে-শুনে তা থেকে পারিশ্রমিক নেওয়াও হারাম। এতে হারাম উপার্জনে সাহায্য করা হয়। যা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ৫/২)।প্রশ্নকারী : ই
উত্তর : পিতার সম্পদ যদি মৌলিকভাবে হারাম না হয়, তাহ’লে তা থেকে মীরাছ গ্রহণে সন্তানদের কোন দোষ নেই। যেমন চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, সূদ, ঘুষ ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জিত সম্পদ। যদি পিতার সম্পত্তিতে এই ধরনের সম্পদ থাকে এবং এর পরিমাণ জানা থাকে তাহ’লে সম্ভ
উত্তর : বিদ্বানগণ হাতিকে হিংস্র প্রাণীর মধ্যে গণ্য করে হাতির গোশত হারাম সাব্যস্ত করেছেন। নববী (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট হাতির গোশত হারাম (আল-মাজমূ‘ ৯/১৭)। ইমাম আহমাদ ও ইবনু কুদামা (রহঃ) বলেন, এটি হারাম। হাতির গোশত মুসলমানদের খাদ্য নয় (মুগনী ৯
উত্তর : প্রথমতঃ যদি অজ্ঞতার কারণে হারাম পন্থায় উপার্জন করে থাকে এবং সঠিক বিধান জানার সঙ্গে সঙ্গে হারাম থেকে বিরত হয় তাহ’লে পূর্বের উপার্জিত সম্পদ তার জন্য ভোগ করা জায়েয (বাক্বারাহ ২/২৭৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৪৪৩-৪৪, তাফসীরু আয়াতিন
উত্তর : উক্ত কাজ করা জায়েয হবে না। কারণ এতে গুনাহের কাজে সহায়তা করা হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পাপ ও অন্যায়ের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)। এক্ষণে যদি কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কাজে বাধ্য করে, তবে বিকল্প কর্ম অন্বেষণ করবে। আল্লাহ বলেন,
উত্তর : ক্রয় করার পর জানতে পারলে মূল মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। আর মালিক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের দিবে। কাউকে না পাওয়া গেলে মসজিদ, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ প্রভৃতি খাতে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে দান করে দিবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু
উত্তর : যে প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম, সে প্রাণীর শরীরের অন্যান্য অংশও হারাম। শূকরের চর্বি হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। সুতরাং হারাম পশুর প্রক্রিয়াজাতকৃত বস্ত্ত যে খাদ্যে মিশ্রিত করা হবে সেটিও হারাম হয়ে যাবে। অতএব জিলেটিন যদি শূকরের চর্ব
উত্তর : তালাকের নিয়তে প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য সমূহ বললে এক তালাক হবে। তালাকের নিয়তে ইঙ্গিতবহ কোন কথা বললে তাকে ‘কেনায়া তালাক’ বলা হয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/৩০২)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, জাওনের কন্যাকে (ابْنَةُ الْجَوْنِ) যখন রাসূলুল্লাহ
উত্তর : আল্লাহর নামে যবেহ করা ব্যতীত কোন হালাল পশুর গোশত খাওয়া হালাল নয় (বাক্বারাহ ২/১৭৩)। অতএব এ ব্যাপারে স্পষ্ট জানা না থাকলে ঐ গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ যুগে আহলে কিতাব বলে কেউ নেই। যারা ইহূদী-খৃষ্টান বলে দাবী করে, তারা দ্বিত্ববাদী ব
উত্তর : লোশনে বা সেন্টে ব্যবহৃত এ্যালকোহল খাদ্য বা পানীয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। এতে সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় তা সংরক্ষণের জন্য। অতএব এসব লোশন ব্যবহার করা অপছন্দনীয়, তবে হারাম নয়। এতে ছালাত আদায়ও শুদ্ধ হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়
উত্তর : জয়ফল বহু প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত মশলা জাতীয় খাদ্য। তবে খাদ্য হিসাবে এটি ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে বিদ্বানগণের মধ্যে দু’টি মত লক্ষ্য করা যায়। একদল এটি হারাম বলেছেন। আরেকদল খাদ্য-দ্রব্যের সঙ্গে মিশ্রিতভাবে স্বল্প পরিমাণ জায়েয বলেছেন। ইবনু দা
উত্তর : মাটি কোন খাদ্য নয়। এতে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হ’তে পারে। সেজন্য বিদ্বানগণ মাটি, পাথর ও কয়লা ভক্ষণ করাকে হারাম বলেছেন (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৭; রওযাতুত ত্বালেবীন ৩/২৯১; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/৪২৯; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৫/১২৫)।প্রশ্নকারী :
উত্তর : ভাড়ায় নেওয়া বাড়ি অন্যত্র অধিক ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করা জায়েয। তবে যদি মালিকের সাথে এর বিপরীত কোন চুক্তি থাকে তাহ’লে করা যাবে না। ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনু কুদামাহ, যারকাশী, ইবনু রজব হাম্বলী প্রমুখ বিদ্বানগণ বলেন, ভাড়াটিয়া ভাড়াকৃত বস্ত্ত সমমূল্য
উত্তর : দরিদ্র বা অসহায় ব্যক্তিরা উক্ত শিক্ষাবৃত্তি নিতে পারে। কারণ সূদ মিশ্রিত টাকা উপার্জনকারীর জন্য হারাম হ’লেও গ্রহীতার জন্য হারাম নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, যখন হারাম সম্পদ দরিদ্র বা অসহায়দের প্রদান করা হয়, তখন তা গ্রহণ করা তাদের জন্য হার
উত্তর : সরকারী শর্ত মেনে কোন দেশে বসবাসের অনুমতি নেওয়ার পর শর্ত ভেঙ্গে এরূপ প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করা জায়েয হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা ব্যতীত মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, ত
উত্তর : SPC (Super power community) ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস মূলতঃ এম.এল.এম পদ্ধতিতে ব্যবসা করা একটি অনলাইন কোম্পানী। আর এম.এল.এম পদ্ধতির সকল প্রকার ব্যবসা নিষিদ্ধ। কারণ এর মধ্যে চরম প্রতারণা, ধোঁকা, জুয়া ও জনগণের সম্পদের সাথে খেল-তামাশা রয়েছে (ফাত
উত্তর : ব্যাংকে প্রোগ্রামার বা ইলেকট্রিশিয়ান পদেও চাকুরী করা যাবে না। কারণ এটিও পরোক্ষভাবে সূদী কারবারে সহযোগিতারই শামিল (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৫/৪১)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাকবওয়ার কাজে পরস্পরে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা কর
উত্তর : অবৈধ পথে উপার্জিত সম্পদ যা ব্যয় করে ফেলেছে, তার জন্য কোন কাফ্ফারা নেই। আর অবশিষ্ট সম্পদ থেকে তার জীবন ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রেখে বাকী সম্পদ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করে দিবে। সাথে সাথে খালেছ নিয়তে তওবা করবে (ইবনু তায়মিয়াহ, ম
উত্তরঃ আল্লাহ ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল এবং সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। ব্যবসা-বাণিজ্যের কয়েকটি মূলনীতি হচ্ছে- (১) সূদ না থাকা। কেননা তা হারাম (বাক্বারাহ ২৭৮-৭৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূদ গ্রহীতা, সূদ দাতা, সূদের লেখক ও তার সাক্ষীদ্বয়কে অভিসম্পাত ক
উত্তরঃ বীমার ধারণাটাই ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুসঙ্গ। ইসলামী শরী‘আতে ব্যবসা-বাণিজ্য মাত্র দু’ধরনেরঃ (১) মুশারাকা- অংশহারে ব্যবসা (আবুদাঊদ, ইরওয়া হা/১৪৬৮)। (২) মুযারাবা- এক জনের অর্থ এবং অপর জনের ব্যবসা। লাভ চুক্তি অনুযা
উত্তরঃ লাভ ভোগ করার প্রচলিত নিয়মে বন্ধক রাখা যাবে না। কারণ কর্যের লাভ ভোগ করা সূদ। ছাহাবীগণ এমন কর্য নিষেধ করতেন যা লাভ বহন করে (বায়হাক্বী ৩/৩৪৯-৩৫০; ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)। তবে টাকার বিনিময়ে জমি ভাড়া (লীজ) নেয়া জায়েয (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৯৭৪
উত্তরঃ এভাবে শর্তযুক্ত ধার দিয়ে লভ্যাংশ গ্রহণ করা যুলুমের অন্তর্ভুক্ত। এটা ব্যবসার মধ্যে পড়ে না। আর ঋণ গ্রহীতা সন্তুষ্টিতে এরূপ বিনিময় প্রদান করে না, বরং নিরূপায় হয়ে করে থাকে। এরূপ করা শারী‘আত সম্মত নয় (নিসা ২৯)। উবাই ইবনু কা‘ব, আব্দুল্লাহ ইবনু
উত্তরঃ এমন ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয নয়। কারণ অজ্ঞাত বস্ত্ত বিক্রয় করা বৈধ নয় (বুখারী হা/২১৪৪; মুসলিম হা/১৫১৪)। তাছাড়া বস্ত্ত তো বিক্রেতার অধীনে আসেনি। আর যা নিজের অধীনে আসেনি তা বিক্রয় করা নিষেধ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৫০৩; মিশকাত হা/২৮৬৭)। এটা ধোঁকাবাজিরও শা
উত্তরঃ ঘুষ দেয়া, নেয়া উভয়ই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতার প্রতি অভিসম্পাত করেছেন (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৫৮০; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। হকদারকে তার প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত করে ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিলে তার উপার্জিত অর্থ বৈধ হবে না। তবে হকদার তার হক রক্ষ
উত্তরঃ উক্ত পদ্ধতি হারাম। বন্ধক এক ধরনের কর্য। আর কর্যের মাধ্যমে লাভ গ্রহণ করা সূদ। ছাহাবীগণ এমন কর্য নিষেধ করতেন যে কর্য লাভ আনয়ন করে (বায়হাক্বী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৩৯৭)।
উত্তর : লাভের কোন নির্ধারিত সীমা নেই। চলতি বাজার দর হচ্ছে সীমা, যা চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। কোন পণ্যের দাম বাজার মূল্যের চেয়ে বেশী নিলে যুলুম করা হবে, যা হারাম। অনেক সময় ক্রয়মূল্যের চেয়ে বিক্রয়মূল্য দ্বিগুণও হ’তে পারে। একদা ওরও
উত্তরঃ যদি সন্তানের সামর্থ্য থাকে তাহলে পিতার হারাম উপার্জন ভক্ষণ করা এবং হারাম উপার্জনের দ্বারা তৈরি করা বাড়িতে বসবাস করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। সামর্থ্য না থাকলে পিতাকে হারাম পথ ছেড়ে সৎ পথে উপার্জন করতে নছীহত করতে হবে ও সেপথে পিতাকে পূর্ণ স
উত্তর : ইসলামে বিনিয়োগের মাত্র দু’টি পথ রয়েছে। (১) শরিকানা ব্যবসা। যা লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগির ভিত্তিতে হবে। যাকে ‘মুশারাকা’ বলে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, আমি দুই শরীকের তৃতীয়জন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দু’জনের একজন খিয়ানত না করে’&
উত্তর : ঐসব প্রতিষ্ঠানে চাকরী করা যাবে না। এতে পাপের সহযোগিতা করা হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা সূদকে হারাম করেছেন (বাক্বারাহ ২৭৫)। সূদদাতা, গ্রহীতা, লেখক ও সাক্ষী সবাইকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অভিশাপ করেছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭)।
ইসলাম সকল প্রকার মাদক তথা নেশাদার দ্রব্য হারাম ঘোষণা করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, كُلُّ مُسْكِرٍ خَمْرٌ وَ كُلُّ خَمْرٍ حَرَامٌ ‘প্রত্যেক নেশাদার দ্রব্যই মদ আর যাবতীয় মদই হারাম’।[1] অথচ এই মাদকের ভয়ংকর থাবায় আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন মানব সভ্যতা। এর সর
উত্তর : তাদের হাতে যবেহকৃত প্রাণী না হলে খায় যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এবং তাঁর ছাহাবীগণ মুশরিক মহিলার পাত্র হ’তে পানি নিয়ে পান করেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত, বুলূলুল মারাম হা/২০)। অমুসলিমদের দ্বারা যবহকৃত বলে নিশ্চিত হ’লে তা ‘বিসমিল্লা-হ’ বলে
উত্তর : উক্ত বস্ত্তগুলি নেশা জাতীয় দ্রব্য। নেশাদার দ্রব্য মাত্রই হারাম। হারাম বস্ত্ত খাওয়া যেমন হারাম, তার ব্যবসাও তেমন হারাম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন সম্প্রদায়ের উপর কোন কিছু খাওয়া হারাম করেন, তখন তিনি তার ব্যবসাও হারাম করেন
উত্তর : জাতীয় রাজস্ব আয়ের মাধ্যম হিসাবে সরকারীভাবে সীমান্তে যে ট্যাক্স ধার্য করা হয়, তা ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে মালামাল পাচার করে ব্যবসা করা হারাম। কেননা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মানেই জনস্বার্থ। আর জনস্বার্থের ক্ষতি করা ইসলাম অনুমোদন করে না
উত্তর : কমিশন প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে কোন চিকিৎসক বিশেষ কোন ডায়গনস্টিক সেন্টারে রেফার করলে সেটি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। রাসূল (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষগ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ হা/৩৫৮০; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। তবে সাধারণভাবে কোন ক্লিনিক যদি স্বেচ্ছায় ল
উত্তর : জুয়া খেলা নিকৃষ্ট হারাম এবং তা থেকে প্রাপ্ত সম্পদও হারাম। অতএব এই ধরনের সম্পদ দ্বারা ব্যবসা করাও হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ধারক তীর সমূহ শয়তানের নাপাক কর্ম বৈ কিছুই নয়। অতএব এগুলি থেকে
উত্তর : যেকোন হালাল প্রাণীর প্রবহমান রক্ত ব্যতীত দেহের সকল অংশ খাওয়া হালাল (আত-তাজ ওয়াল ইকলীল ১/১২৪)। সেটি গোশত, চামড়া, হাড়, নাড়ি বা গিলা হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বলে দাও, আমার নিকট যেসব বিধান অহি করা হয়েছে, সেখানে ভক্ষণকারীর জন্য আমি
উত্তর : আলুর ওশর দিতে হবে না। কেননা শাক-সব্জির উপর যাকাত নেই (ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪১১)। তবে এগুলির বিক্রয়লব্ধ টাকা যদি এক বছর সঞ্চিত থাকে এবং নিছাব পরিমাণ হয়, তাহ’লে শতকরা ২.৫ টাকা বা ৪০ ভাগের ১ ভাগ হিসাবে তার যাকাত দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮
উত্তর : শর্তসাপেক্ষে বিক্রয় জায়েয। সেক্ষেত্রে ক্রয় করা বা না করা ক্রেতার ইচ্ছাধীন। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, উছায়মীনসহ অনেক বিদ্বান এধরনের শর্তে পণ্য বিক্রয়কে জায়েয বলেছেন (আশ-শারহুল মুমতে‘ ৮/২৩৯; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৬/২)। রাস
উত্তর : এটি জায়েয নয় (ইবনু হাজার, ফৎহুল বারী হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন এক হিজড়াকে নবী (ছাঃ)-এর নিকট আনা হ’ল। তার হাত-পা মেহেদী দ্বারা রাঙ্গানো ছিল। রাসূল (ছাঃ) বললেন, এর এ অবস্থা কেন? বলা হ’ল, হে আল্লাহর রাসূ
উত্তর : এই ধরনের ব্যবসায় কোন দোষ নেই। পশু কিনে পোষাণী দেওয়া এবং উভয়পক্ষের সন্তুষ্টিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এরূপ চুক্তি করা জায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩০/২২৯; আল-ইখতিয়ারাত ১/৪৮৬)। পোষাণী দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি হ’ল চুক্তির সময় উভয়ের সম্মতিক্রম
উত্তর : ফল খাওয়ার উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত ফলদার গাছের ফল ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৩৯)। কারণ এতে ধোঁকায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি সম্পদের মালিকানা অর্জনের পূর্বেই তা বিক্রি করার আওতাভুক্ত। পাতা কেনা বা মুকুল কেনা
উত্তর : ব্যাংকের লভ্যাংশ সূদের অন্তর্ভুক্ত। সেকারণ তা দিয়ে মসজিদের ইমাম বা মুওয়াযযিনের বেতন দেওয়া জায়েয হবে না। বরং বাধ্যগত অবস্থায় ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে হ’লে তার লভ্যাংশ ছওয়াবের আশা ছাড়া ছাদাক্বা করে দিতে হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনু
উত্তর : উক্ত আলেম ঠিকই বলেছেন। এতে চোরকে এবং তার অন্যায় কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে যা নিষিদ্ধ (মায়েদাহ ২)। আর হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের পূর্ব শর্ত (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০)। অতএব এ কাজ পরিহার করে তওবা করতে হবে।
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। এতে জমি দিয়ে ঋণ গ্রহণকারী অত্যাচারিত হয়। আর ঋণ প্রদানকারী লাভবান হয় এবং সে বাতিল পন্থায় অন্যের সম্পদ ভোগ করে। যা করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন (বাক্বারাহ ১৮৮; নিসা ২৯)। তবে চুক্তিতে জমি লীজ নেওয়া জায়েয (বুখারী হা
উত্তর : কোন ব্যক্তি তার কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট খালেছ অন্তরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন (মুসলিম ২য় খন্ড, পৃঃ ৩৫৫)। তবে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক নষ্ট করে থাকলে তাকে অবশ্যই তা ফেরত দিতে হবে। কারণ এই
উত্তর : বিষয়টি সঠিক নয়।
উত্তর : কুকুরে কামড়ানো প্রাণী বেঁচে থাকলে যবেহ করে খাওয়া যাবে (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৯/৩২২; তাফসীরে ইবনু কাছীর, মায়েদাহ ৩ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। আল্লাহ হালাল প্রাণীর বর্ণনা দিয়ে বলেন, হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু, তবে যা তোমরা যবেহ দ্বারা হালাল করে
[শেখ ছালেহ কামেল ১৯৪১ সালে মক্কা নগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সঊদী আরবের বিখ্যাত আল-বারাকা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী। রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদ থেকে গ্রাজুয়েট শেখ ছালেহ কামেল কর্মজীবনে দীর্ঘদিন যাবৎ সঊদী সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে বি
উত্তর : চিংড়ি মাছ খাওয়া জায়েয। কারণ এটি মৎস প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নদীর শিকার তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদা ৯৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং উহার মৃত হালাল (আবুদাউদ হা/৮৩; তিরমিযী হা/৬৯)। ‘দাঊদ (আঃ)-
উত্তর : উক্ত পেশা মৌলিকভাবে হারাম নয়। তবে এর মাধ্যমে যদি অন্যায় কর্মে সহযোগিতা করা হয়, তাহ’লে গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা হবে। আর আল্লাহ তা‘আলা গুনাহের কাজে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (মায়েদাহ ২)। উপ মহাদেশে প্রচলিত আইন সমূহের অধিকাংশ কুরআন ও হ
উত্তর : স্ত্রীর চুল যদি কালো হয়, তবে সেখানে লাল রংয়ের হেয়ার কালার ব্যবহার করা যাবেনা। কেননা কালো চুলই প্রকৃতি সম্মত। যা পরিবর্তন করা নিষিদ্ধ (রূম ৩০)। পক্ষান্তরে যাদের চুল সাদা বা সাদা-কালো মিশ্রিত, তাদের জন্য কালো ব্যতীত যেকোন রং দ্বারা হে
ইসলাম একটি শাশ্বত, সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ জীনব ব্যবস্থা। সৃষ্টি জগতে এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যেখানে ইসলাম নিখুঁত ও স্বচ্ছ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেনি। মহান আল্লাহ বলেন, مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ‘আমরা এ কিতাবে কোন কিছুই অবর্ণিত রাখিনি’
উত্তর : ডাক বিভাগ কোন সূদী প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় এতে চাকুরী করা হালাল। তবে যে বিভাগটি সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত কাজ করে সেখানে কাজ করা নিষিদ্ধ। কেননা সরাসরি সূদী লেনদেন বা হিসাবাদির সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে এমন কোন কর্মে নিযুক্ত হওয়া হারাম (আলে ইমরান ১৩০
২০১৪ সাল। আমি তখন মেহেরপুরের বিচারক ছিলাম। আমার এক দশকের অধিক সময়ের বিচারক জীবনে মেহেরপুরের দিনগুলি আজো আমার কাছে স্বর্ণসময় মনে হয়।একদিনের ঘটনা। আধা কেজি গাঁজা দখলে রাখার দায়ে আসামীর বিচার চলছে। আসামী মধ্যবয়সী। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামী
উত্তর : এগুলি জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় ও গরীব মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করা যায়। যদিও এতে পরকালে কোন নেকী পাওয়ার আশা করা যাবে না। কেননা আল্লাহ পাক হারাম মালের ছাদাক্বা কবুল করেন না (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০১; আহমাদ, মিশকাত হা/২৭৭১)। (বিঃদ্রঃ ফাতাওয়া লাজনা
উত্তর : গানের কথা শিরক-বিদ‘আত ও অশ্লীলতা মুক্ত এবং সুন্দর অর্থবোধক হ’লে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গাওয়া যাবে। নবী করীম (ছাঃ) কবি হাস্সান বিন ছাবিত (রাঃ)-কে বলেছিলেন, ‘হে হাস্সান! তুমি আমার পক্ষ থেকে কাফেরদের প্রতি ছন্দাকারে জবাব দাও’। তিনি আরো বলেছিলে
উত্তর : ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দু’টিই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)। তাই ঘুষ দিয়ে চাকরী নেওয়া জায়েয নয়। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ হয়, অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হ’
উত্তর : ডিএক্সএন মূলতঃ অসাধু এমএলএম ব্যবসা চালাচ্ছে। নানা আকর্ষণীয় প্যাকেজ দেখিয়ে তারা সদস্য ভর্তি করে এবং প্রায় বিনা পরিশ্রমে মোটা অংক লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়। এদের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া মোটেই বৈধ হবে না। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের জিজিএন, ডেসটিনি,
উত্তর : উক্ত পেশা হালাল। কারণ এই পণ্যগুলো মৌলিকভাবে হালাল। এগুলোর ভালো-মন্দ নির্ভর করে ব্যবহারকারীর তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতির উপর। এক্ষণে ব্যবহারকারীগণ যদি অন্যায় কাজে ব্যবহার করেন তবে পাপ তাদের উপরেই বর্তাবে, বিক্রেতার উপর নয়। মহান আল্লাহ বলেন
উত্তর : জীবিত বা মৃত যেকোন মাছ খাওয়ার ব্যাপারে শরী‘আত অনুমতি দিয়েছে। পদ্ধতিগতভাবে কেউ রান্না করে খায়, কেউ শুটকি বানিয়ে খায় তাতে কোন বাধা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘সমুদ্রের শিকার তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদা ৯৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সমুদ্র
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ الرِّبَا أَضْعَافاً مُّضَاعَفَةً وَاتَّقُواْ اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ-অনুবাদ : ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সূদ খেয়ো না। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। তাতে তোমরা অবশ্যই সফলকাম হবে’ (আলে ইমরান ৩/১৩০)