বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মানুষের জান-মাল ও ইয্যতের নিরাপত্তা নিম্নতম পর্যায়ে চলে গেছে। পৃথিবী ক্রমেই মানুষের অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে। তাই বান্দাদের সতর্ক করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ করোনা ভাইরাস সহ নানাবিধ গযব পাঠাচ্ছেন। দুর্ভিক্ষ, দাবানল, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তুষারঝড়, ভূমিধ্বস প্রভৃতি একটার পর একটা গযব আসছেই। দেশে দেশে বেড়ে চলেছে আবহাওয়া অভিবাসী। এমনকি খোদ বাংলাদেশের মানুষ গ্রাম ছেড়ে ক্রমেই রাজধানীতে গিয়ে বস্তিবাসী হচ্ছে। গত ১৭ই নভেম্বর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘কাপ’ ও ‘পবা’র যৌথ আলোচনা সভায় এরূপই অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে। বস্ত্ততঃ সবকিছুই মানুষের কর্মফল।

ইতিপূর্বে কওমে নূহ, ‘আদ, ছামূদ, কওমে লূত, মাদইয়ান ও কওমে ফেরাঊন সহ ৬টি জাতি পৃথিবী থেকে আল্লাহর গযবে নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। আরব বিশ্ব একসময় মানবতার নিম্নস্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। তখন বিশ্বের নাভিস্থল মক্কায় আল্লাহ তার শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে রহমত হিসাবে প্রেরণ করেন। তিনি শতধা বিভক্ত আরবদের আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকলের সমানাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরস্পরকে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেন। তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত বিশ্বাসের ভিত্তিতে পতিত আরবজাতি ঐক্যবদ্ধ ও অজেয় শক্তিতে পরিণত হয় এবং পরবর্তীতে তারা বিশ্বনেতার আসনে সমাসীন হয়। বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের অন্তর সমূহে মহববত পয়দা করে দিলেন। অতঃপর তোমরা তার অনুগ্রহে পরস্পরে ভাই ভাই হয়ে গেলে। আর তোমরা অগ্নি গহবরের কিনারায় অবস্থান করছিলে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করলেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াত সমূহ ব্যাখ্যা করেন, যাতে তোমরা সুপথপ্রাপ্ত হও’ (আলে ইমরান ৩/১০৩)

বর্তমান বিশ্বের সামাজিক অস্থিরতার মৌলিক কারণ বলা যায় তিনটি : আত্মকেন্দ্রিকতা, পারস্পরিক স্বার্থদ্বন্দ্ব এবং মাল ও মর্যাদা লাভের প্রতিযোগিতা। অথচ কোন মানুষ বা কোন দেশই একাকী বাঁচতে পারেনা। তাকে অবশ্যই সবাইকে নিয়ে বাঁচতে হবে। বিপর্যস্ত পৃথিবীতে কেউ একা টিকে থাকতে পারবেনা। একইভাবে মাল ও মর্যাদা আল্লাহর বণ্টন (যুখরুফ ৪৩/৩২)। ফলে পরস্পরের মাল ও মর্যাদার উপর হস্তক্ষেপ করলে অবশ্যই সামাজিক শৃংখলা ভেঙ্গে পড়বে। অপরকে মারতে গেলে নিজেও মরবে। আজকের পারমাণবিক বিশ্বে এটি খুবই সহজ, কেবল একটি বোতাম টেপার অপেক্ষা। শিল্পায়নের নামে লোভী মানুষেরা তাদের বৃহৎ শিল্প-কারখানা সমূহ থেকে দৈনন্দিন যে হারে কার্বণ নিঃসরণের প্রতিযোগিতা করছে, তাতে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবী চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন। স্বস্তির কথা এই যে, বিশ্বনেতারা এটি উপলব্ধি করেছেন এবং স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে গত ৩১শে অক্টোবর হ’তে ১৩ই নভেম্বর পর্যন্ত ২ সপ্তাহব্যাপী কপ-২৬ সম্মেলনে দুই শতাধিক দেশের নেতারা একত্রিত হয়ে অবশেষে ‘গ্লাসগো ক্লাইমেট প্যাক্ট’ নামে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছেন। এখন সেগুলিতে সব দেশের স্বাক্ষর করতে এবং তা বাস্তবায়িত হ’তে কতদিন সময় লাগবে, তা বলা যায়না। কারণ ইতিপূর্বে উক্ত লক্ষ্যে কৃত ২০১৫ সালের কপ-২১ ‘প্যারিস চুক্তি’ আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে আশার কথা এই যে, আমেরিকা ও চীন বর্তমান দশকের মধ্যেই বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে সম্মত হয়েছে। যারা বিশ্বের মোট কার্বণ নিঃসরণের প্রায় অর্ধেকের জন্য দায়ী। এরপর সর্বাধিক কার্বণ নিঃসরণ করে ভারত, রাশিয়া এবং ইইউ ভুক্ত ২৬টি দেশ। তারা যদি চীন ও আমেরিকার উদ্যোগে শামিল হয় এবং অন্যেরা স্ব স্ব দেশে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল সংরক্ষণে ও ব্যাপক সবুজায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়, তাহ’লে কার্বণ নিঃসরণ কমে আসবে এবং মানব সভ্যতা উপকৃত হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে বর্তমানে বনাঞ্চলের পরিমাণ কমে সাড়ে ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অথচ অন্যান্য সকল সেক্টরের ন্যায় এ সেক্টরেও প্রধানতঃ দায়ী দুর্নীতিবাজ রক্ষকরাই। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, সেখানকার অধিবাসীরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও জনপদ সমূহকে তিনি যুলুম বশে ধ্বংস করে দিবেন’ (হূদ ১১/১১৭)

অস্থিরতা দূরীকরণের উপায় সমূহ : (১) সকল কাজে আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করা। এটি না থাকলে মানুষ পশুর চাইতে নীচে নেমে যাবে (আ‘রাফ ৭/১৭৯) এবং সমাজ বিপর্যস্ত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা অবশ্যই মুসলিম না হয়ে মরো না’। ‘আর তোমরা সকলে সমবেতভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ কর এবং (দ্বীনের ব্যাপারে) পরস্পরে বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২-০৩)। অর্থাৎ আল্লাহর বিধানের প্রতি আত্মসমর্পণ করাই মানুষের প্রধান দায়িত্ব। আর তাঁর বিধান সমূহ বর্ণিত আছে তাঁর রজ্জু কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে। (২) আখেরাতকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা। কেননা আখেরাত বিমুখ ব্যক্তি বস্ত্তবাদী ও দাম্ভিক হয়। সে পরার্থে কোন কাজই করতে পারে না। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তাদের অন্তর হয় সত্যবিমুখ এবং তারা হয় অহংকারী’ (নাহ্ল ১৬/২২)। তিনি আরও বলেন, ‘আখেরাতের এই গৃহ (অর্থাৎ জান্নাত) আমরা প্রস্ত্তত করে রেখেছি ঐসব মুমিনের জন্য, যারা দুনিয়াতে ঔদ্ধত্য ও বিপর্যয় কামনা করে না। বস্ত্ততঃ শুভ পরিণাম কেবল আল্লাহভীরুদের জন্য’ (ক্বাছাছ ২৮/৮৩)। এক্ষণে রাষ্ট্রনেতারা যদি আখেরাতের স্বার্থে এবং পরবর্তী বংশধরগণের কল্যাণে বিচক্ষণতার সাথে কাজ না করেন, তাহ’লে বিশ্বে কাংখিত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবেনা।

(৩) আল্লাহভীরু ও ন্যায়নিষ্ঠ নেতা নির্বাচন করা। কেননা নেতারাই সমাজ ও দেশ পরিচালনা করেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে যথাযোগ্য স্থানে সমর্পণ কর। আর যখন তোমরা লোকদের মধ্যে শাসন পরিচালনা করবে, তখন ন্যায়-নীতির সাথে করবে’ (নিসা ৪/৫৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন অযোগ্য ব্যক্তির হাতে শাসন ক্ষমতা অর্পণ করা হবে, তখন তুমি ক্বিয়ামতের অপেক্ষা কর (অর্থাৎ ধ্বংসের অপেক্ষা কর)’ (বুখারী হা/৫৯; মিশকাত হা/৫৪৩৯)। এজন্য দেশের নির্বাচন কমিশন দল ও প্রার্থী বিহীন নীতির আলোকে দেশের কয়েকজন শ্রেষ্ঠ মুসলিম নেতাকে একত্রে বসিয়ে ৩ দিনের মধ্যে তাদের মধ্য থেকে আলোচনার ভিত্তিতে একজনকে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন করবে। বাকী সবাই তা মেনে নিবে। কারণ নেতা নির্বাচনে সকল জনগণের সরাসরি ভূমিকা থাকবেনা। তাতে কেবল সামাজিক অস্থিরতাই বাড়বে। যেটা এখন হচ্ছে সকল গণতান্ত্রিক দেশে। চলছে জনগণের শাসনের নামে ইউনিয়ন পর্যন্ত মেয়াদ ভিত্তিক দলীয় নির্বাচন ব্যবস্থা। যাকে এক কথায় কালো টাকার ছড়াছড়ি, খুনোখুনি ও পেশীশক্তির নির্বাচন বলা যায়। এইসব অপচয় ও হতাহতের দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। ক্বিয়ামতের দিন তারা কি জবাবদিহি করবেন আল্লাহর কাছে? অথচ এইসব নির্বাচনের কোনই প্রয়োজন ছিলনা। ডিসি, ইউএনওরাই যথেষ্ট ছিলেন। প্রয়োজনে ইউনিয়ন পর্যায়েও ইউনিয়ন নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা যেত। সকলেই স্বীকার করেন যে, দলীয় শাসনব্যবস্থা কখনোই নিরপেক্ষ প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা। যার তিক্ত অভিজ্ঞতা গণতান্ত্রিক দেশগুলির জনসাধারণ নিত্যদিন ভোগ করছে। একইভাবে রাজতন্ত্রী দেশগুলি যদি আল্লাহভীরু ও ন্যায়পরায়ণ না হয় এবং সেখানে পরামর্শ ভিত্তিক শাসন না থাকে, তাহ’লে তারা জনগণের জন্য গযব স্বরূপ হবে। ঐসব দেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও মজলিসে শূরা থাকা অপরিহার্য। যারা ‘চেক এন্ড ব্যাল্যান্সে’র কাজ করবে। সবকিছুর মূলে রয়েছে নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার ও তা আদায় করে নেওয়ার হীন মানসিকতা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তুমি নেতৃত্ব চেয়ে নিয়োনা। কেননা যদি তোমাকে চাওয়ার মাধ্যমে সেটা দেওয়া হয়, তাহ’লে তোমাকে তার উপরেই সোপর্দ করা হবে (অর্থাৎ কোন সাহায্য করা হবেনা)। আর যদি তুমি না চেয়ে সেটা পাও, তাহ’লে তোমাকে সাহায্য করা হবে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৬৮০)। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমরা শাসনকার্যের এই দায়িত্ব কাউকে দেইনা যে তা চেয়ে নেয় বা লোভ করে বা তার আকাংখা করে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৬৮৩)। অথচ বর্তমানের মেয়াদ ভিত্তিক নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থায় এটা অপরিহার্য বিষয়। যেখানে মেয়াদ পূর্তির আগেই দু’হাতে লুটে-পুটে খাওয়ার মানসিকতা তৈরী হয়। যার ফলেই দেশে দেশে দিন দিন বেড়ে চলেছে চরম সামাজিক অস্থিরতা।

(৪) ন্যায়নিষ্ঠ নেতার প্রতি অনুগত থাকা। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের’ (নিসা ৪/৫৯)। অতএব শাসকের সকল কাজে ভুল ধরা ও তাকে সৎ পরামর্শ না দিয়ে সর্বদা খোঁচা মারা কোন ভদ্র লোকের কাজ নয়। কারণ তাতে শাসক ক্ষুব্ধ হবেন ও দেশে অস্থিরতা বাড়বে। আর শাসকেরও কর্তব্য নয় অধীনস্তদের ছিদ্রান্বেষণ করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘শাসক যখন জনগণের ছিদ্রান্বেষণ করবে, তখন সে লোকদের ধ্বংস করবে’ (আবুদাঊদ হা/৪৮৮৯; মিশকাত হা/৩৭০৮)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে অনেক শাসক হবে, যাদের কোন কাজ তোমরা ভাল মনে  করবে, কোন কাজ তোমরা মন্দ মনে করবে। এক্ষণে যে ব্যক্তি ঐ মন্দ কাজের প্রতিবাদ করবে, সে দায়মুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি ঐ কাজকে অপসন্দ করবে, সে মন্দ পরিণাম থেকে নিরাপদ থাকবে। কিন্তু যে ব্যক্তি ঐ মন্দ কাজে সন্তুষ্ট থাকবে ও তার অনুসারী হবে। ছাহাবীগণ বললেন, তখন কি আমরা ঐ শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, না। যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে (২ বার)’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘না, যতক্ষণ তারা তোমাদের মধ্যে ছালাত কায়েম রাখে (২ বার)’ (মুসলিম হা/১৮৫৪-৫৫ (৬৬)

(৫) সত্য ও ন্যায়ের উপর নেতার দৃঢ় থাকা। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হিসাবে, যদিও সেটি তোমাদের নিজেদের কিংবা তোমাদের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে যায়’... (নিসা ৪/১৩৫)। আয়াতটি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের গ্রন্থাগারের প্রবেশদ্বারে ন্যায়বিচারের শ্রেষ্ঠ বাণী হিসাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে (দৈনিক ইনকিলাব, ৬ই জানুয়ারী ২০২০ পৃ. ৬)। সত্য ও ন্যায়ের উপর দৃঢ় থাকার বিষয়ে প্রথম খলীফা হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর দৃষ্টান্ত অনুসরণীয়।  হে আল্লাহ! পৃথিবীকে শান্তিময় করার জন্য আমাদের সবাইকে যথাযোগ্য তাওফীক দান করুন- আমীন! (স.স.)






বিষয়সমূহ: বিবিধ
অ্যানেসথেসিয়া দর্শন - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বিজয়ের মাস ও পার্বত্য চুক্তি - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রতি ব্যঙ্গোক্তি - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কাম্য - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছাড়েন না! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
গাযায় গণহত্যা ইহূদীবাদীদের পতনঘণ্টা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
অপারেশন ক্লীনহার্ট ও রামাযান - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
উন্মত্ত হিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মানবতা ভাসছে নাফ নদীতে! - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ট্রাম্পের বিজয় ও বিশ্বের কম্পন - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ইল্ম ও আলেমের মর্যাদা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সালাফী দাওয়াত - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আরও
আরও
.