ভূমিকা : জুম‘আর দিন উপদেশ শ্রবণের দিন। এই দিনে ছাহাবায়ে কেরাম সকাল সকাল মসজিদে গিয়ে ইবাদতে মগ্ন হ’তেন। এই দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খুৎবা প্রদান ও শ্রবণ করা। এর মাধ্যমে খত্বীবগণ লোকদের বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ দিয়ে থাকেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি
উত্তর: জানাযার ছালাত ফরযে কিফায়া। আর ফরযে কিফায়া সুন্নাতের উপর অগ্রগামী। সুতরাং ফরয ছালাতের পরেই জানাযা শুরু হ’লে তাতে অংশগ্রহণ করবে এবং সুন্নাত ছালাত পরে আদায় করে নিবে। আর সুন্নাতের পর শুরু হ’লে সুন্নাত পড়েই অংশগ্রহণ করবে। তবে সুন্নাতের পূর্বেই
উত্তর : জুম‘আ যেমন সমষ্টিগত একটি ইবাদত, তেমনি এটা ইসলামের একটি বড় নিদর্শন। সুতরাং যত্রতত্র জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং মসজিদে গিয়ে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। সম্ভব না হ’লে যোহরের ছালাত আদায় করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/১৭৮)। তবে অত্র এলাকায়
উত্তর : সূর্যোদয়ের পর ইশরাক্বের ছালাতান্তে জুম‘আর দিনের উত্তম সময় শুরু হয়। কোন ব্যক্তি বা দল এ সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে সে বা তারা উঁট কুরবানী করার ছওয়াব পাবে। অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পর থেকে খুৎবা পর্যন্ত সময়ের পাঁচটি স্তর থাকবে। প্রথম স্তর শুরু হবে স
উত্তর : মসজিদের অন্তর্গত গ্রাউন্ড ফ্লোরে ইমামের অবস্থান থেকে নীচে বা উপরে, ডানে বা বামে পর্দার সাথে নারীরা ছালাত আদায় করতে পারে। এতে কোন বাধা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে ইমামের সামনে কাতার চলে না যায় (মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/২৯৩; ওছায়মীন, মাজ
কুরবানীর সুমহান আদর্শ নিয়ে ঈদুল আযহা সমাগত। উৎসর্গ ও সহিষ্ণুতার আহবানের মধ্যে দিয়ে পালিত হবে এই মহান ব্রত। দেওয়ার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করবে বিশ্ব মুসলিমকে। ত্যাগ এবং ভোগ উভয়ই জড়িয়ে আছে ঈদুল আযহার সাথে। ভোগের আনন্দ ক্ষণিক। কিন্তু ত্যাগের আনন্দ দীর্ঘস্থায়
উত্তর : নতুন করে মুসলিম হ’তে হবে না। তবে আল্লাহর নিকট উক্ত পাপের জন্য খালেছ তওবা করতে হবে এবং কাযা ছালাতসমূহ আদায় করে নিতে হবে। কারণ ছুটে যাওয়া ছালাতের কাফফারা হচ্ছে উক্ত ছালাত আদায় করে নেওয়া। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি কেউ কোন ছালাতের কথা ভুলে
উত্তর : ঈদায়নের তাকবীর সমূহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশনা ও ছাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। আর তা হ’ল-‘আল্ল-হু আকবার, আল্ল-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু, আল্ল-হু আকবার আল্ল-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হামদ্’ (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৫৬৭৯)।
উত্তর : ঈদের দিনে পারস্পরিক সাক্ষাতে কোলাকুলি করাতে দোষ নেই। কারণ লোকেরা এটা সামাজিক প্রথা হিসাবে করে থাকে, ইবাদত হিসাবে নয়। ঈদে বহু লোক বাইরে থেকে নিজ এলাকায় আগমনে করে এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাৎ করে। কুশল বিনিময়ের সময় কোলাকুলি করে যা সুন্দ
উত্তর : যেসব মহিলা জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে যেতে চান তাদের জন্য গোসল করা সুন্নাত। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ এবং নারীর যে কেউ জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে সে যেন গোসল করে’ (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১৭৫২)। তিনি বলেন, হে মুসলিমগণ! জুম‘আ
উত্তর : ঈদের দিন সন্তান জন্মের সপ্তম দিন হ’লে সে দিনেই আক্বীক্বা করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’ (আবুদাউদ
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্বো
উত্তর : আযানের জবাব দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার পর বসে খুৎবা শ্রবণ করবে (মুগনী ১/৩১১; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৩/৩০৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা যখন আযান শুনবে, তখন মুওয়াযযিন যা বলে তোমরাও তা ব
উত্তর : জুম‘আর দিনে আখেরী যোহর নামে কোন ছালাত নেই। বরং জুম‘আর পরে সুন্নাত ছালাত রয়েছে। তা দুই, চার বা ছয় রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন জুম‘আর ছালাত আদায় করে, তখন সে যেন তারপরে চার রাকা‘আত (সুন্নাত) ছালাত আদায় কর
উত্তর : সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরগুলো পাঠের সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। তবে গ্রহণযোগ্য মত হ’ল, সন্ধ্যার যিকিরসমূহ আছরের পর থেকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত এবং সকালের যিকিরসমূহ ফজর উদয় থেকে ইশরাকের ছালাতের ওয়াক্ত পর্যন্ত পাঠ করা যায়। আল্লা
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করো না এবং তার উপর বসো না (মুসলিম হা/৯৭২; মিশকাত হা/১৬৯৮)। শহীদ মিনার সরাসরি কবর নয়। সেটাকে কবর মনে করে শ্রদ্ধা জানানো শিরক। অতএব সামনে বা পার্শ্বে শহীদ মিনার থাকলে ছালাতের ক্
উত্তর : এটি শরী‘আতসম্মত নয়। কারণ খুৎবার পূর্বে কোন বয়ান নেই। এতে দু’টি বিদ‘আত রয়েছে- ১. জুম‘আর সুন্নাতী খুৎবার পূর্বে একটি বিদ‘আতী খুৎবা চালু করা এবং ২. জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবা চালু করা। অথচ জুম‘আর পূর্বে নফল ছালাত থাক দারব ১৩/২৭৮; ওছ
উত্তর : ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে উপযুক্ত মাদুর বা কার্পেট বিছানো থাকলে আলাদা জায়নামায বিছানো সমীচীন নয়। কারণ এতে অহংকার প্রকাশ পেতে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২২/১৭৩-৭৭)।প্রশ্নকারী : হুযায়ফা, সাহাপুর, রাজশাহী।
উত্তর : হাম্দ ও ছানার মাধ্যমেই ঈদের খুৎবা শুরু করবে। তাকবীর পাঠের মাধ্যমে খুৎবা শুরুর ব্যাপারে আব্দুল্লাহ বিন ওক্ববা (রাঃ) থেকে যে বর্ণনা পাওয়া যায় সেটি তাঁর নিজস্ব আমল (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২২/৩৯৪-৯৫)।প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসল
উত্তর: খুৎবা চলাকালীন নয়, বরং তার পূর্বে বা পরে কৌটা, রুমাল, চাদর ইত্যাদি পদ্ধতি অবলম্বন করে মুছল্লীদের নিকট থেকে ছাদাক্বা গ্রহণ করা কর্তব্য। রাসূল (ছাঃ) ঈদের ছালাত শেষে দান-ছাদাক্বার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন (বুখারী হা/৯৮; মিশকাত হা/১৪২৯ ‘ঈদায়
উত্তর: ঈদের সুন্নাত মনে না করে শুধুমাত্র গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে ঈদুল ফিতরের দিন বা তার পূর্বের দিন গরু যবেহ করায় কোন দোষ নেই। কারণ ঈদের দিন হচ্ছে আনন্দ ও উৎসবের দিন। এই দিনে বৈধ খেলাধুলা বা খাবারের আয়োজন করা ঈদের আনন্দেরই অংশ (বিন বায, ফাতাও
উত্তর : ছাদাক্বাতুল ফিৎর বা ফিৎরা ধনী-গরীব, ছোট-বড় প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয। সুতরাং তা পরিহার করা কবীরা গুনাহ। এক্ষণে কেউ তওবা করতে চাইলে তাকে যেমন অনুতপ্ত হ’তে হবে, তেমনি অধিকাংশ বিদ্বানের মতে বকেয়া ফিৎরাগুলো আদায় করতে হবে, যেমনভাবে বকে
প্রচলন : ঈদায়নের ছালাত ২য় হিজরীতে রামাযানের ছিয়াম ফরয হওয়ার সাথে সাথে চালু হয়। এটি সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিয়মিতভাবে এটি আদায় করেছেন এবং ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকল মুসলমানকে ঈদের জামা‘আতে হাযির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (ক) তিনি এদিন সর্ব
উত্তর : প্রশিক্ষণ শিবির যদি সফর অবস্থায় হয় তবে সেখানে সাময়িক জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং যোহর আদায় করবে কিংবা আশ-পাশের কোন মসজিদে গিয়ে জুম‘আ আদায় করবে। আর যদি মুক্বীম অবস্থায় হয় তাহ’লে অবশ্যই মসজিদে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। তবে যদি মসজিদে মুছল্ল
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।10- عَنِ الْمِقْدَامِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ: بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ يَبْدَأُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ، وَإِذَا خَرَجَ مِنْ عِنْدِكِ؟ قَالَتْ: كَانَ يَبْدَأ
উত্তর : নির্দিষ্ট ইমাম থাকলে তিনিই ইমামতির সর্বাধিক হকদার। তার অনুমতিক্রমে অন্যে ইমামতি করতে পারবে। আর নির্ধারিত না থাকলে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিকেই ইমামতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘জামা‘আতের ইমামতি ঐ
জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবার ব্যাপারে বিদ্বানগণের অভিমত :নির্ভরযোগ্য সকল বিদ্বান জুম‘আর পূর্বে সুন্নাতে রাতেবা নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বরং তারা মনে করেন, ইমাম মিম্বারে উঠার পূর্বে সাধ্যানুযায়ী নফল ছালাত আদায় করতে থাকবে।হাফেয ইরাকী (রহঃ) জুম‘আর
জুম‘আর দিন মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ। এটি সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের সমাধান করা হয়েছে। এ দিনে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে (দুনিয়ায় পাঠিয়ে) দেয়া
উত্তর : যাবে। কেননা বিশেষ দিনের ছিয়াম যেমন আরাফা বা আশূরার ছিয়াম, ক্বাযা বা মানতের ছিয়াম বা অভ্যাসগত ছিয়াম ইত্যাদি কারণে জুমআ‘র দিন ছিয়াম পালনে বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৪৩৭; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১৭০)।প্রশ্নকারী : আনাস, লক্ষ্মীপুর,&
উত্তর : জুম‘আর খুৎবা শ্রবণ করা যেমন ওয়াজিব, তেমনি মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে দু’রাক‘আত তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করাও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। তাই জনৈক ব্যক্তি খুৎবা চলাকালীন সময়ে মসজিদে প্রবেশ করলে রাসূল (ছাঃ) তাকে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় ক
উত্তর : ফরয গোসলই জুম‘আর জন্য যথেষ্ট হবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৩৬)।প্রশ্নকারীঃ মাহদী হাসান, ঢাকা।
উত্তর : যেকোন ফরয ছালাতে কোন জাতীয় সমস্যার প্রতিকারার্থে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যায়। সুতরাং জুম‘আর ছালাতেও কুনূতে নাযেলা পাঠে বাধা নেই। তবে খুৎবায় দো‘আ পাঠের সুযোগ থাকায় জুম‘আর ছালাতে কূনূতে নাযিলা পাঠ করাকে অনেক বিদ্বান অপসন্দ করেছেন। অতএব জু
উত্তর : যে দেশে যাবে সে দেশের লোকেরা যে দিন ঈদ করবে সে দিন ঈদ করবে যদিও ছিয়াম ৩১টি হয়। আর ছিয়াম ২৮টি হয়ে গেলে লোকদের সাথে ঈদ করে নিবে এবং পরবর্তীতে একটি ছিয়ামের ক্বাযা আদায় করে নিবে। কারণ আরবী মাস ২৮ দিনে হয় না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/১৫৫;
উত্তর : জুম‘আর খুৎবাকালীন লাঠি, ধনুক বা যেকোন জিনিসের উপর হেলান বা ঠেস দিয়ে খুৎবা দেওয়া মুস্তাহাব (আবুদাউদ হা/১০৯৬; ইরওয়া হা/৬১৬)। কারণ এতে খত্বীবের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতে সুবিধা হয় (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/৬২-৬৩)। এক্ষণে কেউ যদি খুৎবাকালীন
উত্তর : এভাবে খুৎবা শুনে জুম‘আর ছওয়াব অর্জিত হবে না। বরং মসজিদে গিয়ে ইমামের খুৎবা শুনে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। প্রয়োজনে যে মসজিদে খুৎবা উত্তমরূপে দেওয়া হয়, সেখানে গিয়ে খুৎবা শুনে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৩/২২৩
উত্তর : ইমামের বেতন ঈদের মাঠে দানকৃত বায়তুল মাল তহবিল থেকে দেওয়া যাবে। এতে কোন বাধা নেই (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিইয়াহ ১/৪৯২)।প্রশ্নকারী : যহূরুল ইসলাম, বিরামপুর, দিনাজপুর।
উত্তর : কবর যিয়ারতের জন্য জুম‘আর দিনকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া এবং কবরে গিয়ে দলবদ্ধভাবে দু’হাত তুলে মুনাজাত করা শরী‘আত সম্মত নয়। তবে সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকে নিজে নিজে দো‘আ পড়বে। এক্ষণে কারো যদি জুম‘আর দিন ব্যতীত অন্য দিন কবর যিয়ারতের সময় না
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে বা রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হ’তে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৭৩)। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা এ দিনের বরকতে মুমিন ব্যক্তিদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তাকে
উত্তরঃ জুম‘আর খুৎবা সংক্ষিপ্ত হবে আর ছালাত দীর্ঘ হবে-এর অর্থ হ’ল, খুৎবা তার মান অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হবে। আর ছালাতকে তার সুন্নাত অনুযায়ী দীর্ঘ করতে হবে (বিস্তারিত দেখুন মির‘আত ৪/৪৯৬ পৃঃ)। অত্র হাদীছটির ব্যাখ্যা অন্য হাদীছ দ্বারা সুস্পষ্ট
উত্তরঃ নির্দিষ্ট করে কেবল জুম‘আর দিন ছিয়াম পালন করা যাবে না। তার সাথে আগে অথবা পরে একদিন যোগ করে ছিয়াম রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমাদের কোন ব্যক্তি যেন শুধু জুম‘আর দিন নির্দিষ্ট করে ছিয়াম পালন না করে। তবে ত
উত্তরঃ জুম‘আর খুৎবা দু’টি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন এবং মাঝে বসতেন। অতঃপর বসা থেকে উঠে দ্বিতীয় খুৎবা দিতেন (বুখারী ‘কিতাবুল জুম‘আ’ হা/৯২৮; মুসলিম ‘জুম‘আ’ হা/৮৬১; আবূদাঊদ হা/১০৯২)। খুৎবার পূর্বে বয়ান করার সমর্থনে কোন হাদীছ নেই। রাসূলুল্
উত্তরঃ বিষয়টি সুস্থ-সবল আর বৃদ্ধ হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত নয়। বিষয়টি শরী‘আতের সাথে সম্পৃক্ত। লাঠি নিয়ে খুৎবা দেয়া সুন্নাত (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১০৯৬, হাদীছটিকে ইবনু হাজার ও শায়খ আলবানী হাসান বলেছেন এবং ইবনুস সাকান ও ইবনু খুযায়মাহ ছহীহ বলেছেন)।
উত্তরঃ ছহীহ বুখারীতে নাফে‘-এর সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে ঈদের ছালাতের পূর্বে ছাদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে (বুখারী, হা/১৫১১ ‘যাকাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৭৭)। কিন্তু পরবর্তী অনুচ্ছেদে নাফে‘ (রাঃ) ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে ছাদাক্বাতুল ফিতর সং
উত্তরঃ মহিলারা মসজিদের ছাদে থাকলে ছাদে মাইক ব্যবহার করতে পারে। তবে পাড়া-প্রতিবেশী মহিলাদেরকে জুম‘আর খুৎবা শুনানোর জন্য মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কারণ তারা অমনোযোগী থাকে। আর এমন অবস্থায় কাউকে কুরআন-হাদীছ শুনানো ঠিক নয়। ইকরিমা থেকে বর্ণিত, ইবনু
উত্তরঃ ওমর, ইবনু ওমর, আনাস ও অন্যান্য ছাহাবী থেকে ছহীহ মওকূফ সূত্রে হাত উঠানোর প্রমাণ পাওয়া যায় (মির‘আত ৫/৫৩-৫৪; ইরওয়াউল গালীল ৩/১১৩)।
উত্তরঃ সর্বনিম্ন দু’জন অর্থাৎ ইমামের সাথে মাত্র একজন মুছল্লী থাকলে জুম‘আর ছালাত কায়েম করা যাবে (মির‘আত ৪/৪৪৯-৫০)। কারণ জুম‘আর ছালাত অন্যান্য ফরয ছালাতের ন্যায় একটি ফরয ছালাত। আর ইমামের সাথে সর্বনিম্ন একজন থাকলেই জামা‘আতের ছওয়াব অর্জিত হয়। মূলতঃ
উত্তরঃ জুম‘আর ছালাতের শেষ রাক‘আতের রুকূ পেলে রাক‘আত হবে। আর রুকূ না পেলে চার রাক‘আত যোহরের ছালাত আদায় করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আপনি জুম‘আর এক রাক‘আত পেলে অপর রাক‘আত মিলিয়ে নিন। তবে রুকূ না পেলে চার রাক‘আত পড়ুন (বায়হাক্বী, ইরওয়া হ
উত্তরঃ এর কোন দলীল নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যে সময়ে ঈদের ছালাত আদায় করতেন সে সময়ে আদায় করলে সামিয়ানার প্রয়োজন হয় না। কারণ তিনি ঈদুল আযহায় সূর্য এক ‘নেযা’ বা সাড়ে ৬ হাত উপরে উঠার পরে এবং ঈদুল ফিতরে দুই ‘নেযা’ উপরে উঠলে ঈদের ছালাত শুরু করতেন (আবু
উত্তরঃ হাদীছটি জাল (আলবানী, মিশকাত হা/১৭৬৮)। কোন দিন নির্দিষ্ট করে নয় বরং যেকোন সময় পিতা-মাতার কবর যিয়ারত করা যাবে এবং দো‘আ করা যাবে (মুসলিম ১/১১৩)।
উত্তরঃ মুছল্লী তার সুবিধা মত বসে খুৎবা শুনবে। তবে ঘুম আসলে নড়েচড়ে বসবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৯৪)। জুম‘আর খুৎবা চলা অবস্থায় নিতম্বের উপর ভর দিয়ে দু’হাঁটুকে বুকের সাথে একত্রিত করে বসা যাবে না (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১১১০; ছহীহ তিরমিযী হা/৫১৪)। এছাড়া এমনভাবে ব
উত্তরঃ নিজ সুবিধার জন্য নয়, ভুল বুঝতে পেরে জমিটি ঈদগাহের নামে ওয়াক্ফ করে দেওয়া উচিত। ওয়াক্ফ করে দিলে অবশ্যই সেখানে ছালাত আদায় করা বৈধ হবে। এজন্য দলাদলি করে দু’স্থানে ছালাত আদায় করা বৈধ হবে না। সরকারী জমিতে ঈদগাহ করা হ’লে মৌখিক নয়; বরং লিখিত অ
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়ে জুম‘আর খুৎবা দিতেন। এটি সুন্নাত। হাকাম বিন হাযন আল-কুলাফী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জুম‘আর দিন হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিতে দেখেছি (আবুদাঊদ, সনদ হাসান, হা/১০৯৬; ইরওয়াউল গালীল হা/
উত্তর : কাতার বড় করার উদ্দেশ্যে ক্বিবলা পরিবর্তন করা শরী‘আত সম্মত নয়। ছালাত ক্বিবলামুখী হয়েই আদায় করতে হবে। কারণ ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার একটি শর্ত হচ্ছে ক্বিবলামুখী হওয়া (বাক্বারাহ ১৪৪; বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯০)। ১ম কাতার একটু ছোট হলেও দোষ নে
ইসলামে বাৎসরিক ঈদ হচ্ছে দু’টি- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। আর সাপ্তাহিক ঈদ হচ্ছে জুম‘আর দিন। এছাড়া অন্য কোন ঈদ ইসলামে স্বীকৃত নয়। আলোচ্য নিবন্ধে জুম‘আর কতিপয় বিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল-আল্লাহ তা‘আলা জুম‘আর ছালাতের নির্দেশ দিয়ে বলেন,يَآ أَيُّهَا الَّذِي
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভুল। যাকাত প্রদানের সময় নিছাবের প্রয়োজন হয়। ফিৎরা প্রদানের সময় নিছাবের প্রয়োজন নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফেতরার যাকাত ধনী-গরীব সবার উপর ফরয করেছেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫)। কিন্তু যাকাত কেবল ধনীর উপর ফরয। ফ
উত্তর : জুমআর দিন দো‘আ কবুল হওয়ার দু’টি সময়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। (১) ইমাম ছাহেবের মিম্বারে বসা থেকে নিয়ে ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৫৭-৫৮)। (২) আছরের পর থেকে নিয়ে সূর্য ডোবা পর্যন্ত (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬০)। তবে প্রথমট
উত্তর : ঈদ ও তারাবীহ্র ছালাতে দু’বার ইমামতি করা সম্পর্কে কোন দলীল পাওয়া যায় না। কারণ রাতের নফল ছালাত রাসূল (ছাঃ) এগারো রাক‘আতের বেশী পড়েননি।
উত্তর : ঈদের অতিরিক্ত তাকবীরগুলোতে হাত তোলা যাবে (ফিরইয়াবী, সনদ ছহীহ, মওকূফ, ইরওয়া ৩/১১৩)। ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকবীরের সাথে হাত উঠাতেন (ইরওয়া হা/৬৪১)। মালেক ইবনে আনাস (রাঃ) বলতেন, তোমরা অতিরিক্ত তাকবীর সমূহে
আদি পিতা আদম (আঃ)-এর দুই পুত্র কাবীল ও হাবীলের দেওয়া কুরবানী থেকেই কুরবানীর ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে। তারপর থেকে বিগত সকল উম্মতের উপর এটা জারী ছিল। আমাদের উপর যে কুরবানীর নিয়ম নির্ধারিত হয়েছে, তা মূলতঃ ইবরাহীম (আঃ) কর্তৃক শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-কে আল
উত্তর : জুম‘আর দিন মাথায় পাগড়ী বাঁধা কোন যরূরী সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিভিন্ন সময়ে মাথায় পাগড়ী বাঁধতেন। আমর ইবনু হুরায়েছ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) জুম‘আর খুৎবা দিলেন, তখন তাঁর উপর কাল পাগড়ী ছিল। যার দু’মাথা কাঁধের মাঝে ঝুলছিল (ম
উত্তর : ছালাতের পর টাকা উঠনো জায়েয। রাসূল (ছাঃ) ছালাতের খুৎবা শেষে দান করার জন্য বলতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫২)। ফী সাবীলিল্লাহ টাকা উঠানোর পর তা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে হবে।
উত্তর : মহিলারা মহিলাদের নির্ধারিত স্থানেই ছালাত আদায় করবে। পুরুষদের জায়গা খালি থাকার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এতে ইমামের ইক্তেদা করতে কোন বাধা নেই (বুখারী হা/৭২৯)।
উত্তর : ছয় শব্দটি উল্লেখ করে ছহীহ, যঈফ ও জাল সনদে রাসূল (ছাঃ) থেকে একটি হাদীছও দুনিয়ার কোন আলেমের পক্ষে দেখানো সম্ভব নয়। যেহেতু রাসূল (ছাঃ) হ’তে বারো তাকবীরের ছহীহ হাদীছ রয়েছে, সেহেতু তার বিপরীতে কোন আমল গ্রহণযোগ্য নয়’ (ছহীহ আবু দাঊদ হা/১১৪৯; ছ
উত্তর : একই ঈদগাহে একাধিক জামা‘আত করা যাবে না। জায়গা সংকুলান না হ’লে ঈদের মাঠ বড় করে অথবা অন্য কোন খোলা ময়দানে একই স্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে ছালাত আদায় করবে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম একই মাঠে একাধিক বার ঈদের জামা‘আত করেছেন মর্মে কোন প্রমা
উত্তর : দুই খুৎবার মাঝে দরূদ কিংবা অন্য কিছু পড়ার কোন প্রমাণ নেই। এটি নতুন সৃষ্টি। সুতরাং উক্ত অভ্যাস বর্জন করতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০)।
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে নির্দিষ্টভাবে চার রাক‘আত সুন্নাত পড়ার প্রমাণে কোন ছহীহ হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে নিম্নে দু’রাক‘আত পড়তে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১)। আর বেশী পড়ার নির্ধারিত কোন সংখ্যা নেই। যত রাক‘আত সম্ভব পড়তে পারে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮২)
উত্তর : উক্ত জুম‘আর ছালাত যোহর হিসাবে ক্বছর করে পড়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম ছালাত ক্বছর করার সময় জামা‘আতেও পড়তেন। এ মর্মে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৪ ও ১৩৩৮, ‘সফরের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : ঈদ ও জুম‘আর ছালাতের এক রাক‘আত ছুটে গেলে পরের রাক‘আত পড়ে নিতে হবে। তবে দুই রাক‘আতই যদি ছুটে যায় তাহলে চার রাক‘আত পড়তে হবে (বায়হাক্বী, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ইরওয়াউল গালীল ৩/৮১ ও ৮২ পৃঃ)। জানাযার তাকবীর ছুটে গেলে আদায় করতে হবে না; বরং ইমামের
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমান যদি জুম‘আর দিনে অথবা জুম‘আর রাতে মারা যায়, আল্লাহ তাকে কবরের ফিৎনা হতে রক্ষা করেন’ (আহমাদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১৩৬৭)। ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, কেননা জুম‘আর দিন জাহান্নাম উত্তপ্ত করা হয় না। এর দরজা বন্ধ থাকে।
উত্তর : মুছল্লীগণকে খুৎবা শোনানোর উদ্দেশ্যে যন্ত্রের ব্যবহার দোষণীয় নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুকালীন রোগের সময় আবুবকর (রাঃ) ছালাতের ইমামতি করছিলেন। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের জামা‘আতে উপস্থিত হ’লে আবুবকর (রাঃ) ইমামতির স্থান হ’তে
উত্তর : মহিলা ও পুরুষের কাফনের কাপড়ে কোন পার্থক্য নেই। উভয়কে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন দিতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬৩৫)। মহিলাদের জন্য প্রচলিত পাঁচ কাপড়ের হাদীছ যঈফ (আলবানী, যঈফ আবূদাঊদ হা/৩১৫৭; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), ১৯০ পৃঃ)।
উত্তর : গোচারণ ভূমিতে ছালাত আদায় করা যাবে (তিরমিযী, মিশকাত হা/৭৩৯, ইরওয়াউল গালীল হা/৭৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যমীন সর্বত্রই মসজিদ, কবরস্থান ও গোসলখানা ব্যতীত’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী ও দারেমী, মিশকাত হা/৭৩৭)।
উত্তর : খুৎবা চলাকালীন ইমামের প্রশ্নের উত্তর মুছল্লীরা দিতে পারবে। এমনকি মুছল্লীরা কোন প্রশ্ন করলে খতীব তার জওয়াব দিতে পারবেন (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/৪১৩; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/১০৭)। জনৈক মুছল্লী মদীনায় অনাবৃষ্টির অভিযোগ করে বৃষ্টি পার
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে তাহিইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত ব্যতীত নির্ধারিত কোন রাক‘আত সংখ্যা নেই। খুৎবার আগ পর্যন্ত যত রাক‘আত সম্ভব দুই দুই রাক‘আত করে পড়বে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৩৮২)। খুৎবা শুরুর আগে বা পরে মসজিদে প্রবেশ করলে দুই রাক‘আত তাহিইয়াতুল
উত্তর : ঈদের ছালাতের আগে ফিৎরা বণ্টন করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং পরে বণ্টনের প্রমাণ পাওয়া যায় (বুখারী, মিশকাত হা/২১২৩)। তবে ঈদের ছালাতের পূর্বে দায়িত্বশীলের কাছে ফিৎরা জমা করা ওয়াজিব (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮১৫)। উল্লেখ্য যে, অনেকে হাদীছ
উত্তর : এরূপ করা উচিত হবে না। কারণ এতে মুছল্লীদের খুশূ-খুযূ বিনষ্ট হয় এবং খুৎবা ও ছালাতের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সফলকাম হবে মুমিনগণ, যারা তাদের ছালাতে তন্ময়-তদ্গত (মুমিনুন ২৩/১-২)। অতএব জুম‘আর খুৎবায় প্রজেক্টরের বদলে সাউন
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে খুৎবা দেওয়া সুন্নাত। কারণ রাসূল (ছাঃ) সারা জীবন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন (জুম‘আ ১১; মুসলিম হা/৮৬২; মিশকাত হা/১৪১৫; ফিকহুস সুন্নাহ ১/৩১১)। তবে স্থান-কাল-পাত্রভেদে সুস্থ ব্যক্তিও বসে খুৎবা দিতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বিদা
উত্তর : খুৎবাতুল হাজত রাসূল (ছাঃ) ছাহাবীদেরকে নির্দিষ্ট কিছু শব্দে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের দু’টি তাশাহহুদ শিখাতেন একটি ছালাতে পড়ার জন্য, অপরটি খুৎবাতুল হাজতের জন্য (তিরমিযী হা/১১০৫; মিশকাত
উত্তর : বিশেষ প্রয়োজনে একই ইমাম একাধিক স্থানে ঈদের ছালাতে ইমামতি করতে পারেন। ত্বালক বিন আলী (রাঃ) এক রাতে দুই জায়গায় তারাবীহর ছালাতে ইমামতি করেছিলেন (আবূদাঊদ হা/১৪৩৯; বায়হাক্বী সুনানুল কুবরা, হা/৪৬২২; আইনী, শরহ আবূদাঊদ ৫/৩৫০)।প্রশ্নকারী : মী
উত্তর : একাকী হোক বা একাধিক ব্যক্তি হোক জুম‘আর ছালাত ছুটে গেলে তারা যোহরের চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (তিরমিযী হা/৫২৪; নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৫৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর এক রাক‘আত পেয়ে যাবে, সে জুম‘আ পেয়ে গেল। সে যেন আরেক রাক‘আত মিলিয়ে
উত্তর : উভয় ঈদের দিন ছিয়াম পালন করা নিষিদ্ধ। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহার দিন ছিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/১৯৯১, মুসলিম হা/১১৩৭, মিশকাত হা/২০৪৮)। এছাড়া আইয়ামে তাশরীক্ব তথা ঈদুল আযহার পরবর্তী তিনদি