
৯ই এপ্রিল ২০০৩ বুধবার আসুরিক শক্তির হিংস্রতার কাছে প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি বাগদাদের পরাজয় হ’ল। সারা বিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল। যাদের কিছু ক্ষমতা ছিল, তারা কিছুই করল না। যাদের ক্ষমতা নেই, তারাই মিছিল-মিটিং করে ও বিবৃতি দিয়ে মনোবেদনার বহিঃপ্রকাশ ঘটালো। কিন্তু যা হবার তাই হ’ল। আসিরিয়, আক্কাদীয়, ব্যবিলনীয়, আববাসীয় প্রভৃতি প্রাচীন পৃথিবীর কয়েকটি বিলুপ্ত সভ্যতার কেন্দ্রভূমি ইরাক আজ দখলদার মার্কিনীদের চারণভূমি। ১২৫৮ খৃষ্টাব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারীতে মোঙ্গল নেতা চেঙ্গিস খাঁর ভাতিজা হূলাকু ওরফে হালাকু খাঁর হামলায় বাগদাদ বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেদিনের প্রেক্ষাপট এবং আজকের প্রেক্ষাপট নিঃসন্দেহে ভিন্ন হ’লেও ধ্বংসের চরিত্র একইরূপ। সেদিন হালাকু এসে কেবল ৪০ লক্ষ বনু আদমকেই হত্যা করেনি, বরং বাগদাদের ঐতিহাসিক লাইব্রেরীকে ধ্বংস করেছিল সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে। লক্ষ লক্ষ বই ও পান্ডুলিপির চাপে সেদিন টাইগ্রীস নদীর পানিস্রোত সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ হালাকুর উপদেষ্টাদের দূরদর্শী পরিকল্পনা ছিল বাগদাদকে চিরকালের জন্য তাদের অধীনস্ত করে রাখা। আর এজন্য সবচাইতে বড় প্রয়োজন ছিল, প্রথমে বাগদাদকে মুসলিম শূন্য করা। অতঃপর বেঁচে যাওয়া লোকদেরকে তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, তাহযীব ও তামাদ্দুন থেকে বঞ্চিত করা। তারা অত্যন্ত সুচারুরূপে তাদের উদ্দেশ্য হাছিল করতে সমর্থ হয়েছিল। এজন্য তারা কেবল অস্ত্র শক্তির উপরে ভরসা করেনি, বরং যাবতীয় কূট-কৌশল অবলম্বন করেছিল। তাই সেদিন হালাকুর লোকদের সাথে আববাসীয় খলীফার শী‘আ মন্ত্রীর গোপন ষড়যন্ত্র হয় এবং তারই ফলশ্রুতিতে এক প্রকার বিনা যুদ্ধে বাগদাদের পতন হ’ল। হালাকু দৃশ্যতঃ বিজয়ী হ’লেও ইতিহাসে সে ঘৃণ্য প্রবাদ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়। এবারেও তেমনি হানাদার ডব্লিউ বুশ কেবল তার বিশ্বসেরা অস্ত্র সম্ভারের উপরে ভরসা করেনি, বরং সাদ্দাম হোসেনের অতি বিশ্বস্ত খ্রিষ্টান উপ-প্রধানমন্ত্রী তারেক আযীয ও রিপাবলিকান গার্ড বাহিনীর অধিনায়কদের সাথে তিন মাস আগে থেকেই ষড়যন্ত্র পাকিয়ে নেয়। যার ফলশ্রুতিতে এক প্রকার বিনা বাধায় বাগদাদের পতন ঘটে। হালাকুর পথ ধরে বুশও বাগদাদের জগৎ শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান মন্দির ও মিউজিয়াম ধ্বংস করেছে। যেখানে ছিল বিগত দশ হাযার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঞ্চিত জ্ঞানসমুদ্র। ছিল আধুনিক সভ্যতার সূতিকাগার হিসাবে রক্ষিত অগণিত উপাত্ত ও উপাদান সমূহ। ছিল ইসলামী সভ্যতার ক্রমবিকাশের রেকর্ড সমূহ এবং আধুনিক শিক্ষা, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ও শিল্পকলায় মুসলমানদের অসামান্য অবদানের জ্বলন্ত স্বাক্ষর সমূহ। অথচ তারা বাগদাদের ব্যাংক সমূহে রক্ষিত দীনার ও ডলারে হাত দেয়নি। কেননা মাত্র ৬০০ বছরের যাযাবর জাতি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মিসকীন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী অপরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সহ্য করতে পারে না। সংকীর্ণতায় তাড়িত ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনী তাই ইরাকের সুপ্রাচীন ও সুবিশাল ঐতিহ্যিক সঞ্চয়কে বেশী ভয় পেয়েছে ও তাকেই সর্বাগ্রে ধ্বংস করেছে। এতে সে সামরিক বিজয় লাভ করলেও বিশ্ব ইতিহাসে বুশ আজ হালাকুর ন্যায় সর্বাধিক ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবে সর্বত্র ধিকৃত হচ্ছে।
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ‘টুইন টাওয়ার’ ধ্বংস কারা করেছিল, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আজও আমেরিকা পেশ করতে পারেনি। তবে সেদেশেরই দেওয়া তথ্যাদির আলোকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এটি ছিল মুসলিম বিশ্বকে গ্রাস করার অজুহাত সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক ইহূদী-খ্রিষ্টান চক্রের সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের অংশ। এতে সরাসরি হাত ছিল ইহূদী চক্রের। আর সেজন্যই ‘টুইন টাওয়ারে’র অন্যান্য কর্মীরা ঐদিন অফিসে গেলেও প্রায় ৪০০০ ইহূদী কর্মীর কেউ ঐদিন অফিসে যায়নি। এছাড়া ঐদিন ইসরাঈলী প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরের কর্মসূচী থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা বাতিল করা হয়। এতসব প্রমাণ থাকতেও আমেরিকা আফগানিস্তানে আশ্রিত ও সঊদী আরব থেকে বিতাড়িত পাহাড়ের গুহায় গুহায় যাযাবর জীবনে বিপর্যস্ত বিভিন্ন রোগে জর্জরিত দুর্বল ওসামা বিন লাদেনকে প্রধান আসামী করে সকল প্রচার মাধ্যমে হুলস্থুল কান্ড বাঁধিয়ে দিল। বিশ্ববাসীর নিকটে কোনরূপ প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারলেও সে হাযার হাযার মাইল দূর থেকে উড়ে এসে আফগানিস্তানে হামলা করে বসলো। সেদিনও তার সাথী ছিল তৎকালীন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। কেননা বৃটিশ ও আমেরিকা মূলতঃ একই রক্তে জন্ম। বৃটিশ ইংরেজদেরই একটা অংশ আমেরিকায় গিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আজ সারা বিশ্বের অশান্তির কারণে পরিণত হয়েছে। আফগানিস্তান দখলের জন্য সেদিনও দেশপ্রেমিক তালেবান শাসকদের বিরুদ্ধে তারা ডলার আর চেয়ারের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করেছিল আফগান মুসলমানদেরই একটি গোষ্ঠীকে। আফগানিস্তানকে তারা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। কিন্তু আজও ওসামা কিংবা মোল্লা ওমরের সন্ধান তারা পায়নি। যদি বলি, আমেরিকাই তাদেরকে মেরে নিশ্চিহ্ন করেছে কিংবা এমনভাবে গায়েব করেছে যে পৃথিবী কখনোই তাদেরকে আর খুঁজে পাবে না, তবে বলব যে, কোনটাই মিথা হবে না।
সাদ্দামের ক্ষেত্রেও তারা সম্ভবতঃ একই নীতি অবলম্বন করেছে। কেননা জীবিত ওসামা বা সাদ্দামের চেয়ে নিহত ওসামা বা সাদ্দাম অধিক ভয়ংকর হবে- এটা সাম্রাজ্যবাদীরা ভালভাবেই জানে। ঊনবিংশ শতকে ভারতে জিহাদ ও আহলেহাদীছ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে দখলদার ইংরেজরা অনেক সময় ফাঁসির আদেশ বাতিল করে দ্বীপান্তরের আদেশ দিত। যেন মুজাহিদগণ শহীদ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করতে না পারেন। অন্যদিকে মুসলিম জনগণও যেন তাদের রক্তের বদলা নিতে বিদ্রোহে ফেটে না পড়ে। এভাবেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা ইতিপূর্বে হত্যা করেছিল ‘ইসলামী পারমাণবিক বোমা’র রূপকার যুলফিকার আলী ভুট্টোকে যিয়াউল হকের মাধ্যমে। পরবর্তীতে রাশিয়াকে হটানোর জন্য তাকেই ব্যবহার করা হয় আফগানিস্তানে এবং তারই পৃষ্ঠপোষকতায় সৃষ্টি হয় তালেবান ও তাদের নেতা মোল্লা ওমর বা ওসামা বিন লাদেনের। ওসামার বড় ভাই ছিলেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের বিজনেস পার্টনার। সোভিয়েট রাশিয়াকে হটিয়ে দিয়ে ও তাকে ১৬ টুকরায় বিভক্ত করে অতঃপর যিয়াউল হককে মার্কিনীরা সুকৌশলে বিমান দুর্ঘটনার মাধ্যমে হত্যা করে। এরপর তাদেরই সৃষ্ট তালেবানদের উৎখাত করে এখন তারা আফগানিস্তানের দন্ডমুন্ডের কর্তা হয়ে বসেছে। যদিও বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়ার জন্য হামীদ কারজাই নামক এক আফগান মীরজাফরকে সেখানকার রাষ্ট্রীয় গদীতে বসানো হয়েছে। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে ৩০০০ মানুষের জীবন গেছে ও তার পুনর্গঠনে মাত্র ৪০ কোটি ডলারের প্রয়োজন হয়েছে। তার বিনিময়ে সে পেয়েছে আফগানিস্তান দখলের একটি মহা অজুহাত, ২৮ বছর পূর্বে নেওয়া তার বিশ্বজয়ী ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়নের জন্য।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাঈল যুদ্ধের পরে সঊদী আরবের ক্ষণজন্মা পুরুষ বাদশাহ ফায়ছালের উদ্যোগে ১৯৭৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের তৈলসম্পদকে প্রথমবারের মত অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বে চরম ভীতি ও উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। ফলে মার্কিন ইঙ্গিতে ভাতিজা মুসাইয়েদকে দিয়ে চাচা ফায়ছালকে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ২৫শে মার্চ তারিখে। ইতিমধ্যে ১৯৭৩ সালেই তারা পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উত্তর আফ্রিকা থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত পুরা মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়ার তৈলসমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ ভূখন্ডের উপরে মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার। ১৯৯১ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি সোভিয়েট রাশিয়াকে আফগানিস্তান থেকে হটিয়ে তাকে টুকরা টুকরা করার পরে একক পরাশক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকা এখন তার সেই ব্লু প্রিন্ট একে একে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। ২০০১ সালের ৭ই অক্টোবর বিনা অজুহাতে ও বিনা প্রমাণে সে আফগানিস্তান দখল করল এবং সাথে সাথে পাকিস্তানকে তার বগলদাবা করে নিল। এভাবে সে আফগানিস্তানের উপর দিয়ে তেলের পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার পথ নিষ্কণ্টক করে নিয়ে দেড় বছরের মাথায় ২০০৩ সালের এপ্রিলে এসে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈলভান্ডার ইরাক দখল করে নিল। এই আগ্রাসন পরিকল্পনায় তার ব্যয় হয়েছে ২০,০০০ কোটি ডলার ও নিহত হয়েছে মাত্র কয়েক শত সৈন্য। কিন্তু বিনিময়ে পেয়েছে তারা বহু কিছু। সেজন্য তাদের দেশের সরকারী ও বিরোধী দলের অধিকাংশ এমপি চোখ বুঁজে বুশ-ব্লেয়ার ডাকাত চক্রকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এখন বুশের জনপ্রিয়তা নাকি তার দেশে অনেক বেড়ে গেছে। ফলে পশু শক্তিতে বিজয়ী বুশ-ব্লেয়ার চক্র যে বাধাহীন গতিতে সম্মুখে এগিয়ে যাবে দিগ্বিজয়ের নেশায় বিগত দিনের চেঙ্গিস-হালাকু, আলেকজান্ডার-হিটলারদের মত এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এসবই কথার কথা মাত্র।
তবুও বলব, সবকিছুরই একটা সীমা আছে। আল্লাহর মার দুনিয়ার বাইর। আজকের ইরাকের ব্যবিলন, যা তখন ছিল মেসোপটেমিয় সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র এবং পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম, তাকে দখল করে নিয়েছিল গ্রীক বীর আলেকজান্ডার। কিন্তু সেই ব্যবিলন ও সেই ইরাক কি পরবর্তীতে স্বাধীন হয়নি? হিটলার বিশ্বজয়ে বের হয়ে রাশিয়া দখলের দোরগোড়ায় মস্কো পৌঁছে প্রচন্ড শীতে দলে দলে তার সৈন্যদের মরতে দেখে রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হন। হিটলারের মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত হয়ে রয়েছে। জার্মানরা আজও জানেনা তাদের নেতা কোথায় কিভাবে মরেছে। বুশ-ব্লেয়ারও একদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। সেদিন তাদের দখলীভূত এলাকা তাদের পরবর্তীদের অধিকারে নাও থাকতে পারে। বরং হাদীছের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী উল্টোটাই হওয়া স্বাভাবিক যে, ‘পৃথিবীর এমন কোন বস্তিঘরও থাকবে না যেখানে ইসলাম প্রবেশ করবে না। হয় ইসলাম কবুলের মাধ্যমে সম্মানের সাথে, না হয় জিযিয়া কর দিয়ে অসম্মানের সাথে’। দুনিয়ার সবকিছু মিথ্যা হ’তে পারে, কিন্তু রাসূলের বাণী মিথ্যা হবার নয়। সারা বিশ্ব মুসলমানদের পদানত হবে। ইমাম মাহদী আসবেন। ইতিহাসের কুখ্যাত ও ঘৃণিত ইহূদী-নাছারাকে তিনি একটা একটা ধরে হত্যা করবেন।
অতএব হে মুসলিম উম্মাহ! তোমাদের ভয় নেই, নৈরাশ্য নেই, যদি তোমরা ঈমানদার হ’তে পার। এসো প্রতিজ্ঞা করি ইহূদী-নাছারা দুষ্টচক্রের দেওয়া ডলার ও মতবাদের লেজুড়বৃত্তি নয়, এসো আমরা আল্লাহর রজ্জুকে সমবেতভাবে ধারণ করি। তাঁর প্রেরিত অহি-র বিধানকে সার্বিক জীবনে মেনে চলি এবং নিজেদের যা আছে, তাই নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। নৈতিক ও বৈষয়িক উভয় শক্তিতে আমাদের বলিয়ান হ’তে হবে। বৈষয়িক উন্নতি কোন উন্নতি নয় যদি তার সাথে নৈতিক উন্নয়ন না ঘটে। ইঙ্গ-মার্কিন চক্রের মিথ্যাচার আজ সবার চোখে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। বাগদাদের ঐতিহ্যবাহী জাদুঘর ও জাতীয় লাইব্রেরী ধ্বংস করায় ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে বুশের তিনজন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। উক্ত কমিটির চেয়ারম্যান মার্টিন সালিভল এবং টনি ব্লেয়ারের বৈদেশিক উন্নয়নমন্ত্রী ক্লেয়ার শর্ট এই ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র নিন্দা করেছেন। তাই বলব, গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র খোঁজার মিথ্যা অজুহাতে ইঙ্গ-মার্কিন চক্র সর্বাধিক গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহার করে সভ্যতা ও মানবতাকে অপদস্থ করে ইরাকে বাহ্যতঃ বিজয় লাভ করলেও এর মাধ্যমেই তার পতনের সূচনা হ’ল। আল্লাহ দাম্ভিকদের কখনোই পসন্দ করেন না। নিশ্চয়ই অহংকারীর পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন![1]
[1]. ৬ষ্ঠ বর্ষ, ৮ম সংখ্যা মে ২০০৩।