উত্তর : এসব স্থানে ছালাত আদায় করার পৃথক কোন ফযীলত নেই। মসজিদে নববীর যে কোন স্থানে ছালাত আদায় করলে (মসজিদে হারাম ছাড়া) সে ছালাত অন্য স্থানের এক হাযার ছালাত অপেক্ষা উত্তম হবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯২ ‘মসজিদ সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য
উত্তর : ইস্তিস্কার ছালাতে দু’টি কাজ ভিন্নভাবে বা নতুন আঙ্গিকে করা হয়। (১) ছালাতের মধ্যে চাদর পরিবর্তন করা। এর হিকমত সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ছালাতের মাধ্যমে বৃষ্টির প্রত্যাশা করা হয় এবং বৃষ্টি হ’লে খারাপ অবস্থা থেকে ভালো অবস্থার দিকে প্রত্যাবর্তন
উত্তর : অমুসলিমদের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত ট্যাংক-এর পানি দ্বারা ওযূ করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইহূদী-নাছারাদের দেওয়া হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/৩১৬১; ইবনু তায়মিয়াহ, ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। অতএব পানি পবিত্র হ’লে ওযূ করা যাবে
উত্তর : একমাত্র পানি ব্যবহারে অক্ষম বা তায়াম্মুম করতে অপারগ ব্যক্তিরা ওযূ ও তায়াম্মুম ছাড়াই ছালাত আদায় করবে। কারণ জ্ঞান থাকা পর্যন্ত মুসলিমের উপর থেকে ছালাত রহিত হয় না (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১/৪৪০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৩৭৭; শাওকান
উত্তর : বিশেষ পরিস্থিতিতে যোহর-আছর এবং মাগরিব-এশার ছালাত জমা‘ করা অর্থাৎ তাক্বদীম-তাখীর (আগে-পিছে) করে আদায় করা যায়। এক্ষণে এরূপ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার পূর্বে যোহর ও আছরের ছালাত এক সাথে আদায় করবে এবং পরীক্ষা শেষে মাগরিব পিছিয়ে এশার সাথে উভয় ওয়াক্ত
উত্তর : ইক্বামতের সময় ইমাম কিবলামুখী হয়ে অথবা মুছল্লীদের দিকে মুখ ফিরে থাকবেন। অতঃপর তিনি কাতার সোজা করার প্রতি নির্দেশনা দিবেন। এ সময় তিনি মুছল্লীদের দিকে মুখ করে থাকবেন। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ কর
উত্তর : ঋতু অবস্থায় মুখস্থ বা কুরআন স্পর্শ না করে দেখে দেখে তেলাওয়াত করা জায়েয। এমনকি ঋতুবর্তী মহিলা হাত মোযা পরে কুরআন স্পর্শ করেও তেলাওয়াত করতে পারবে। কারণ এটা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/২৩৮, ২১/৪৬০; ওছায়মীন
উত্তর : নির্দিষ্ট কয়েক ওয়াক্ত ছালাত ছুটে গেলে ধারাবাহিক ভাবে ক্বাযা আদায় করে নিবে। তবে অগণিত ওয়াক্ত ছালাত ছুটে গিয়ে থাকলে অনুতপ্ত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে খালেছ তওবা করবে এবং পরবর্তীতে আর কোন ওয়াক্ত ছালাত যাতে ক্বাযা না হয়, সে বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
উত্তর : প্যাথলজি টেস্টের রক্তের বা পেশাবের শিশি পকেটে নিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে, যদি তা বের না হয় এবং পোষাককে অপবিত্র না করে। কেননা মুমিন কখনও নাপাক হয়না (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৫১)।প্রশ্নকারী : আসাদুয্যামান, সিরাজগঞ্জ।
উত্তর : এভাবে লিখিত নির্দেশনা প্রদান করা সঠিক নয়। কেননা ওয়াক্ত হয়ে গেলে বিশেষ প্রয়োজনে মসজিদের মূল জামা‘আতের পূর্বে ছালাত আদায় করায় বাধা নেই। যেমন ছালাতের সময় হয়ে যাওয়ার পরে রাসূল (ছাঃ)-এর অনুপস্থিতিতে আব্দুর রহমান বিন আওফ (রাঃ) জামা‘আতে ইমামতি
উত্তর : একটি বিষয়ের উপর দৃঢ় হ’তে হবে। যদি মনে হয় একটি সিজদা হয়েছে তাহ’লে তৎক্ষণাৎ আরেকটি সিজদা দিবে এবং শেষ বৈঠকে সহো সিজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে। আর যদি মনে হয় দু’টি সিজদাই হয়েছে তাহ’লে তার উপর ভরসা রেখে ছালাত সম্পন্ন করবে। এমতাবস্থায় সহো সিজদা না
উত্তর : উক্ত চিন্তাধারা ভুল। কেননা নেশাদার দ্রব্য গ্রহণ করা হারাম এবং এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর (আ‘রাফ ৭/১৫৭)। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানবজাতি! তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্ত্ত ভক্ষণ কর। আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়
উত্তর : সাধারণভাবে ইমাম যদি একাকী অল্প উঁচুতে দাঁড়িয়ে ইমামতি করেন বা ইমামের সাথে একাধিক মুছল্লী থাকে তাহ’লে ইমামের উঁচু স্থানে বা স্টেজে অবস্থান করে ইমামতি করা দোষণীয় নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা মিম্বারের উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে ছাহাবীগণের ছালাত
উত্তর : ইত্তেহাদ বা ওয়াহদাতুল উজূদ বলতে অদ্বৈতবাদী দর্শন বুঝায়, যা ‘হুলূল’-এর পরবর্তী পরিণতি হিসাবে রূপ লাভ করে। এর অর্থ হ’ল আল্লাহর অস্তিত্বের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়া। অস্তিত্ব জগতে যা কিছু আমরা দেখছি, সবকিছু একক এলাহী সত্তার বহিঃপ্রকাশ। এই আক্বী
উত্তর : নির্ধারিত ইমামের পিছনে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করাই কর্তব্য (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/১৫৪)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যেন কোন ব্যক্তির নেতৃত্বস্থলে ইমামতি না করে এবং গৃহে তার বিশেষ আসনে তার বিনা অনুমতিতে না বসে&nb
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়। যার কিছু জাল, কিছু যঈফ এবং মুরসাল (যঈফাহ হা/৪১২৯)। সুতরাং এটা আমলযোগ্য নয়। তবে সাধারণভাবে জুম‘আর ছালাতের পরে অন্যান্য ছালাতের ন্যায় একবার করে সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছপাঠ করতে পারে (তিরমিযী হা/
উত্তর : পুরুষদের সতর হচ্ছে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত। ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে এর সাথে যোগ হবে দুই কাঁধ। অতএব কেউ লুঙ্গী বা পায়জামার সাথে দুই কাঁধের উপর গামছা ঝুলিয়ে দিয়ে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে। তবে ছালাত হচ্ছে আল্লাহর সাথে গোপন আলাপের মাধ্যম।
উত্তর : পুঁজ-রক্ত বের হওয়া অবস্থাতেই ছালাত আদায় করা যাবে। কারণ পুঁজ-রক্ত বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয় (বুখারী ১/৩১৮; আলবানী, তামামুল মিন্নাহ ৫০-৫১ পৃ.)।প্রশ্নকারী : মুস্তাক্বীম, ঢাকা।
উত্তর : মসজিদের ভিতর জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে। আয়েশা (রাঃ) ও অন্যান্য উম্মাহাতুল মুমিনীন মসজিদে নববীর মধ্যে সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছ (রাঃ)-এর লাশ আনিয়ে নিজেরা জানাযা পড়েছিলেন (মুসলিম হা/৯৭৩, মিশকাত হা/১৬৫৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৮২)। কিছু লো
উত্তর : বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করা সমীচীন নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। বায়ুর অ
উত্তর : মাথায় হাত রেখে দো‘আ পাঠের কোন দলীল নেই। তবে দু’টি সময়ে সূরা পাঠ করে মাথাসহ শরীরে হাত বুলানোর কথা হাদীছে এসেছে- (১) ঘুমানোর সময়। (২) ঝাড়-ফুঁক করার সময়। এছাড়া সকাল-সন্ধ্যা বা অন্য সময়গুলোতে কেবল সূরা বা দো‘আ পাঠের কথা এসেছে। আয়েশা (রাঃ) বল
উত্তর : মসজিদের খুৎবা লাইভে শুনে জামা‘আতের সাথে জুম‘আ আদায় করা যাবে না। বরং মসজিদ বহু দূরে হ’লে সেক্ষেত্রে একাধিক মুছল্লী থাকলে নিজ কর্মস্থলে খুৎবা দিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। আর একাকী থাকলে বা জুম‘আ কায়েম করা সম্ভব না হ’লে যোহরের ছালাত
উত্তর : ডান দিকে সালাম ফিরানো অবস্থায় ছালাতে অংশ গ্রহণ করলে ছালাত হয়ে যাবে। আর বাম দিকে সালাম ফিরানোর সময় যোগ দিলে জামা‘আতে অংশগ্রহণ হবে না। তখন তাকে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ ইমাম সালামের মাধ্যমে ছালাত শেষ করে ফেলেছেন (মারদাভী, আল-
উত্তর : অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দিলে দুই ওয়াক্তের ছালাত জমা‘ করে আদায় করা যায় (আবূদাউদ হা/২৯৪; নাসাঈ হা/২১৩. সনদ ছহীহ; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/১১৮)। যেমন যোহর ও আছরের ছালাত ক্বছর ছাড়াই জমা করবে এবং একইভাবে মাগরিব ও এশার ছাল
উত্তর : ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করা সুন্নাত এবং এটা ছহীহ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত। অতএব সবাইকে এই প্রতিষ্ঠিত সুন্নাতটি পালন করার চেষ্টা করতে হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৭/৯৫; বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১০৮ পৃষ্ঠা)। ইমাম শাফেঈ (রহ
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আযান শুনতে পেয়েও বিনা ওযরে মসজিদে আসে না তার ছালাত সিদ্ধ হবে না’ (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩: ছহীহ তারগীব হা/৪২৬; মিশকাত হা/১০৭৭)। অতএব সাধ্যমত মসজিদে গিয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করব
উত্তর : সিসি ক্যামেরার ছবিযুক্ত মনিটর ছালাতের জন্য প্রতিবন্ধক নয় কিংবা ফেরেশতাদের প্রবেশের জন্যও বাধা নয়। কেননা তা ছবি, মূর্তি, প্রতিকৃতির অন্তর্ভুক্ত নয় এবং তা সম্মানের উদ্দেশ্যেও রাখা হয় না। তবে তা সম্মুখভাবে থাকলে বা ছালাত আদায়ে বিঘ্ন সৃষ্টি
উত্তর : উক্ত ছালাতই যথেষ্ট হবে। পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে না (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৪১৪; বাহূতী, কাশশাফুল ক্বেনা‘ ১/২৬৯)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি নারীর চুল বা শরীরের কোন ছোট অংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়, তবে তাকে ছালাত পুনরাবৃত্তি করতে হবে ন
উত্তর : জুম‘আ ও ঈদের মতই ইস্তিস্কার ছালাতের ক্ষেত্রেও সুন্নাত হচ্ছে যিনি ইমামতি করবেন তিনিই খুৎবা দিবেন বা যিনি খুৎবা দিবেন তিনিই ইমামতি করবেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদীন নিজেরা খুৎবা দিতেন এবং ইমামতি করতেন। যিনি খুৎবা দিবেন তার জন্যই ই
উত্তর : রুকূ পরবর্তী যিকিরের তিন অবস্থা- (১) ইমাম তার ইমামতিকালে ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ ও ‘আল্লা-হুম্মা রববানা লাকাল হামদ...’ উভয়টি বলবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪১৯; মারদাভী, আল-ইনছাফ ২/৪৮; ইবনু রুশদ, বিদায়াত
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। ছালাত মুসলিম ও অমুসলিমের মাঝে পার্থক্য করে। যেমন অন্য হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ছালাত ত্যাগ করা’ (আবুদাঊদ হা/৪৬৭৮; মিশকাত হা/৫৬৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আমা
উত্তর : ছহীহ মুসলিমের উক্ত হাদীছটি মসজিদে অনুষ্ঠিত প্রথম জামা‘আতের সাথে সংশ্লিষ্ট। সুতরাং পরবর্তী জামা‘আত চলাকালীন অন্যান্য মুছল্লীদের সুন্নাত ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। ছহীহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীছটি হচ্ছে- রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতের ইক্বামত দেয়া হ’
উত্তর : রহমত ও বরকত লাভের আশায় কোন আলেমকে বাড়িতে ছালাত আদায় করতে বলা যাবে না। কারণ বরকত ও রহমত কেবল আল্লাহর নিকট থেকে আসে। তবে রহমত ও বরকতের জন্য দো‘আ করতে বলা যাবে (শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৭/৬৫)। উল্লেখ্য যে, বদরী ছাহাবী ইতবান বিন মা
উত্তর : তারাবীহ ছালাতের পরে উক্ত দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা যায়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) রাতে তের রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতেন। প্রথমে তিনি আট রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। তারপর বিতর আদায় করতেন। সবশেষে বসে বসে আরো দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। ...অ
উত্তর : পিতা-মাতার খেদমত করা অপরিহার্য। আবার জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। এক্ষণে পিতা-মাতার পাশে থাকার মত অন্য কেউ থাকলে তাকে রেখে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। আর যদি কেউ না থাকে তাহ’লে পিতা-মাতার খেদমতকে অগ্রাধিকার দিবে এবং বাসায় ছালাত আদ
উত্তর : ওযূ করার সময় ধৌতকৃত অঙ্গগুলো শুকানোর পূর্বে বাকী অঙ্গগুলো ধৌত করতে হবে। যদি কারো অঙ্গ ধৌত করার পর বাকী অঙ্গগুলো ধৌত করার পূর্বে শুকিয়ে যায় তাহ’লে ওযূ বাতিল হয়ে যাবে (শাওকানী, আস-সায়লুল জারার ৫৬ পৃ.; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৯৪; ওছ
উত্তর : শেষ বৈঠকে দৃষ্টি শাহাদত আঙ্গুলি নাড়ানোর প্রতি থাকবে। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) যখন তাশাহহুদ আদায় করতে বসতেন তখন তাঁর ডানহাত তাঁর ডান উরুর উপর রাখতেন এবং তর্জনি দ্বারা ইশারা করতেন। আর দৃষ্টি তা
উত্তর : সময় মত ছালাত আদায় করা মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার। এই অধিকার কোম্পানীর নিকট চেয়ে নিতে হবে। আশা করি এ সুযোগ তারা দিবে। না দিলে এবং সকল চেষ্টা ব্যর্থ হলে চাকুরী ছেড়ে অন্যত্র রিযিক অন্বেষণ করবে। আল্লাহ বলেন, বস্ত্তত যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে,
উত্তর : উক্ত ফযীলত পেতে হ’লে ইমামের ছালাত সমাপ্ত করা পর্যন্ত সাথে থাকতে হবে (আবুদাঊদ হা/১৩৭৫; মিশকাত হা/১২৯৮)। ইমাম যদি বিতর সমাপ্ত করেন তাহ’লে ইমামের সাথে বিতর আদায় করবে। আর ইমাম বিতর আদায় না করলে মসজিদে বা বাড়ীতে বিতর আদায় করবে। তাহ’লে পু
উত্তর : ছালাতের সম্পর্ক পবিত্রতা ও সতরের সাথে। যদি প্যারালাইস্ড রোগীর ডায়াপারে অপবিত্রতা লেগে থাকে তাহ’লে ছালাতের পূর্বে পবিত্র হয়েই ছালাত আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে আত্মীয়রা সহযোগিতা করবে। কেউ সহযোগিতা করার মত না থাকলে উক্ত ডায়াপার পরেই ছালাত আদা
উত্তর : মসজিদে কোন মুছল্লী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পাশের মুছল্লীগণ ছালাত ছেড়ে দিয়ে রোগীর সেবা করবে এবং পরবর্তীতে উক্ত ছালাত পুনরায় আদায় করে নিবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)।প্রশ্নকারী : হাসান আলী, ফুলবাড়ি, দিনাজপুর।
উত্তর : ঈদের ছালাতের জন্য জামা‘আত শর্ত। কিন্তু ওযরের কারণে জামা‘আত ছুটে গেলে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, সাধারণ ছালাতের উপর ভিত্তি করে একাকী তাকবীরসহ দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে নিবে। এসময় খুৎবা দেওয়া যাবে না (ফ
উত্তর : অমুসলিম শ্বশুর-শাশুড়ীর বাড়ীতে পিতা-মাতা বা শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর হক আদায়ের উদ্দেশ্যে গমন করায় বাধা নেই। তবে তা যেন তাদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে না হয়। কেননা ইসলামী শরী‘আতে অমুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করা হারাম (ফুরকান ৭২; আবুদাঊদ, মিশক
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কোন নারীর মাসিক শুরু হ’লে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং পরবর্তীতে পবিত্র হ’লে উক্ত ছালাতের ক্বাযা আদায় করবে। কারণ ওয়াক্ত প্রবেশের পর তার মাসিক শুরু হয়েছে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২১৮)।প্রশ্নকারী : নাঈমা খাতুন, গোদাগাড়ী
উত্তর : নফল ছালাতের ক্ষেত্রে ছালাতরত অবস্থায় প্রয়োজনে রাক‘আত কম বা বেশী করার নিয়ত পরিবর্তন করা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘রাতের নফল ছালাত দুই দুই রাক‘আত। অতঃপর যখন তোমাদের কেউ ফজর হয়ে যাবার আশংকা করে, তখন সে যেন এক রাক‘আত পড়ে নেয়। যা তা
উত্তর : তওবা করলেই যথেষ্ট হবে। থুতনিসহ মুখমন্ডল ধৌত করা কর্তব্য। অজ্ঞতাবশত আমল না করার কারণে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তবে জানার পর থেকে থুতনিসহ মুখমন্ডল ধৌত করবে এবং পূর্বের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূ
উত্তর : বিজয়ের মসজিদ তথা ‘মাসজিদুল ফাৎহ’ মসজিদে নববীর পশ্চিম দিকে খন্দকের যুদ্ধস্থলের পার্শ্বে অবস্থিত। আর প্রতি বুধবারের যোহর এবং আছরের মধ্যবর্তী সময়টুকু দো‘আ কবুলের সময় বলে একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ
উত্তর : বাড়িতে সুন্নাতে রাতেবা দুই রাক‘আত আদায় করলে মসজিদে এসে বসার পূর্বে দুখূলুল মাসজিদ আদায় করতে পারে। আর মসজিদে এসে দুই রাক‘আত সুন্নাতে রাতেবা পড়লে তাহিইয়াতুল ওযূ ও দুখূলুল মাসজিদের হক আদায় হয়ে যাবে এবং পূর্ণ ছওয়াব পেয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, ফজ
উত্তর : নারী বা পুরুষ যারাই জুম‘আর ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসবে তাদের জন্যই গোসল করা সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ ও নারীর মধ্য হ’তে যেই জুম‘আর ছালাতের জন্য মসজিদে আসবে, সে যেন গোসল করে। আর যে আসবে না তার জন্য গোসল নেই’ (ছহীহ ইবনু খুযা
উত্তর : টয়লেটে ছালাত আদায় করা জায়েয নয় (তিরমিযী হা/৩১৭; মিশকাত হা/৭৩৭; আহমাদ হা/১১৮০১, সনদ ছহীহ)। তবে কোন উপায়ান্তর না থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় ফরয ছালাত এমন স্থানেও আদায় করা যায় (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)। সেক্ষেত্রে ভয়ের কারণে য
উত্তর : অতি বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা যারা ছিয়াম পালনে অক্ষম, তারা ছিয়ামের ফিদ্ইয়া হিসাবে দৈনিক একজন করে মিসকীন খাওয়াবেন (বাক্বারাহ ২/১৮৪)। ছাহাবী আনাস (রাঃ) অতি বৃদ্ধ অবস্থায় গোশত-রুটি বানিয়ে একদিনে ৩০ (ত্রিশ) জন মিসকীন খাইয়েছিলেন (কুরতুবী)। ফি
উত্তর : ছালাতের পর এরূপ আমল রাসূল (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম বা সালাফে ছালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এটি বিদ‘আত (মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/৫৩১৫)। তবে চিকিৎসা হিসাবে উক্ত আমল করা যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ) সূরা নাস, ফালাক্ব ও ইখলাছ পাঠ করে হা
উত্তর : কন্যাশিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়া যায়। তবে অন্য মুছল্লীদের জন্য বিরক্তিকর হ’লে তাদের নিয়ে যাবে না বা নিয়ে গেলেও পিছনে বসিয়ে রাখবে। আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ছাঃ)-কে ইমামতি করতে দেখেছি। এমতাবস্থায় নাতনী উমামাহ বিনতে আবুল ‘আছ তা
উত্তর : কর্তৃপক্ষের উচিৎ ছালাতের সময় পরীক্ষা না রাখা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন (নিসা ৪/১০৩)। এক্ষণে পরীক্ষা চলাকালীন ছালাত আদায়ের সুযোগ না পেলে মা‘যূর হিসাবে পরীক্ষা শেষে ছালাত আদায় করে নিবে (বিন বায, ফা
উত্তর : নফল ছিয়াম আদায়কারী তার ছিয়ামের ব্যাপারে স্বেচ্ছাধীন। সে চাইলে তা পূর্ণ করতে পারে, আবার চাইলে ছেড়ে দিতে পারে (তিরমিযী হা/৭৩২; মিশকাত হা/২০৭৯, সনদ হাসান)। তিনি আরো বলেন, নফল ছিয়ামের উদাহরণ হ’ল ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে স্বীয় ধন-সম্পদ থেকে দ
উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।(১) সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবর ৩৩ বার ও লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আল
উত্তর : জানাযার ছালাতে নিয়ত, ক্বিয়াম, চার তাকবীর, সূরা ফাতিহা পাঠ, দরূদ পাঠ, মাইয়েতের জন্য জানাযার দো‘আ ও সালামের মাধ্যমে ছালাত সমাপ্ত করা এক একটি রুকন। যার কোন একটি বাদ পড়লে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে। কোন কোন বিদ্বান ধারাবাহিকতাকেও রুকন হিসাবে গণ্য
উত্তর : তাকবীরে তাহরীমার পর মাসবূক ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় ছালাতে অংশগ্রহণ করবে। ইমামের সাথে যে কয় রাক‘আত পাবে সেগুলো তার প্রথম দিকের রাক‘আত হিসাবে গণ্য করবে এবং ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে বাকী রাক‘আতগুলো আদায় করবে। বাকীগুলো পরের রা
উত্তর : চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করলেও সুৎরা পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। কারণ সে মাথা নিচু করে ইশারায় হ’লেও রুকূ ও সিজদা করবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ৬/২১)।প্রশ্নকারী : আবুল হোসাইন, দারুসা, রাজশাহী।
উত্তর : বাড়িতে থেকে জামা‘আতে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কেননা জামা‘আত হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল কাতারের সাথে কাতার মিলে থাকা এবং ইমাম বা অন্য মুছল্লীদের দেখতে পাওয়া অথবা ইমামের আওয়াজ শুনতে পাওয়ার মাধ্যমে স্থানিক ঐক্য সাধিত হওয়া, যা বাড়ির মধ্যে থেকে সম্ভব ন
উত্তর : মুকাবিবর নিযুক্তির উদ্দেশ্য ছিল মুছল্লীদের নিকট ইমামের আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া। আর মাইক বা বক্স ব্যবহারে সে উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাচ্ছে। বরং নির্বিঘ্নে মুছল্লীদের নিকট আওয়াজ পৌঁছার ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ ও যরূরী মাধ্যম। সুতরাং মাইক ব্যবহারে সুন্নাত
উত্তর : শীতের টুপি মাথায় দিয়ে কপাল আবৃত করে ছালাত আদায় করা যায়। তবে সিজদার সময় সরাসরি কপাল ও নাক ঠেকিয়ে সিজদা দেওয়া উত্তম (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৮/৩০৩; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৮/০২)। হাসান বাছরী (রহঃ) বলেন, রাসূলের ছাহ
উত্তর : মাসবূক্বের ইক্বতিদা করায় দোষ নেই। তবে একা ছালাত আদায় করা উত্তম (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ্দারব ১২/১৮৩; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/১৫২)। শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, মাসবূকের সাথে জামা‘আতে অংশ গ্রহণ করায় কোন দোষ নেই। তবে মাসবূক্বের ইক্ব
উত্তর : নারীরা মসজিদে ছালাত আদায় করতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) তাদের মসজিদে যেতে অনুমতি দিয়েছেন (বুখারী হা/৯০০)। সেজন্য ওমরা পালনকারী নারী বায়তুল্লাহ বা মসজিদে নববীতে গিয়ে ছালাত করতে পারেন। তবে বিদ্বানদের মতে, অতিরিক্ত ছওয়াব প্রাপ্তির বিষয়টি কেবল
উত্তর : ইমামের ভুল সংশোধনের জন্য আল্লাহু আকবার বলা সুন্নাত সম্মত পন্থা নয়। বরং ভুল সংশোধনের বাক্য হচ্ছে সুবহানাল্লাহ(আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ১১/২৮৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ছালাতের মধ্যে যে ব্যক্তির কাছে কোন কিছু আপতিত হয় সে ব্যক্তি
উত্তর : তাকবীরে তাহরীমার সময় আঙ্গুল স্বাভাবিক রাখবে (শানক্বীত্বী, শারহু যাদিল মুস্তাক্বনে‘ ১৩/৩৮; নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৩০৭)। আলক্বামা বিন ওয়ায়েল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন রুকূ করতেন তখন তাঁর (হাতের) আঙগুলগুলো পরস্পরে ফাঁক করে রাখতেন এব
উত্তর : ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে সাধ্যমত সঠিক উচ্চারণে তেলাওয়াত করবে এবং অবশ্যই সূরা ফাতিহা সঠিক ভাবে পাঠ করবে। কেননা এটি ব্যতীত ছালাত হয় না’ (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৮২২; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)।প্রশ্নক
উত্তর : সুন্নাত হচ্ছে নারী পুরুষের সম্মিলিত জামা‘আতে ইমাম ভুল করলে পুরুষেরা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে এবং নারীরা বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাত মারবে (বুখারী হা/১২০৩; মিশকাত হা/৯৮৮)। তবে যদি নারীদের জামা‘আতে নারী ইমাম ভুল করে বা নারী তার পুরুষ মাহরা
উত্তর : ‘তাহাজ্জুদ শুরু করলে আর ছাড়া যাবে না এবং ছাড়লে গুনাহ হবে’ মর্মে প্রচলিত কথাটি ভিত্তিহীন। তবে নিয়মিত পড়াই উত্তম। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তোমরা রাতের ছালাত ছেড়ে দিয়ো না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এ ছালাত ছাড়তেন না। যখন তিনি অসুস্থ বা দুর্বল বোধ করতেন তখন
উত্তর: ঘরে কোন প্রাণীর ছবি টাঙিয়ে রাখা যাবে না। কারণ যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। তবে ছবি যদি বইয়ের ভিতরে থাকে বা কোন কিছু দ্বারা ঢেকে রাখা হয় বা জীবের অবয়ব মুছে ফেলা হয় তাহ’লে সে ঘরে ছালাত আদায়ে কোন দোষ নেই। আর এরূপ ঘরে
উত্তর: ছালাতের ভিতরে নারীর সাদাস্রাব শুরু হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ছালাত ছেড়ে দিয়ে ওযূ করে নতুনভাবে ছালাত আদায় করবে (দারেমী হা/১১৪১; নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/৪)। উল্লেখ্য যে, যে হাদীছে বলা হয়েছে যে, আগের ছালাতের সাথে মিলিয়ে ছালাত সম্পূর্
উত্তর : ওয়াক্তের মধ্যে পানি পাওয়ার সম্ভবনা না থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (মায়েদাহ ৫/৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৫/৩৪২)। আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ) বলেন, ‘যাতুস সালাসিল’ যুদ্ধে শীতের রাতে আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার আ
উত্তর : ‘ওযূ ব্যতীত ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১)। ওযূ ভঙ্গের কারণে কাতার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর ইমামের সুতরাই মুক্তাদীদের সুতরা। অতএব মুক্তাদীদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে আসা দোষের নয়। এক্ষণে যদি কাতার থেকে বের হওয়ার সুযোগ না
উত্তর : এরূপ বক্তব্য সঠিক নয়। বরং যোহরের সুন্নাত বাড়ীতে বা মসজিদে যেখানেই হোক চার বা দুই রাক‘আত আদায় করবে (বুখারী হা/৯৩৭; মিশকাত হা/১১৬০; আবুদাউদ হা/১২৬৯; মিশকাত হা/১১৬৭)। উভয় আমলই শরী‘আত সম্মত।প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, নওগাঁ।
উত্তর : নফল বা ফরয কোন ছালাত শুরুর পূর্বে বিশেষ কোন দো‘আ বর্ণিত হয়নি। বরং ছালাতে তাকবীরে তাহরীমার পর ছানা হিসাবে বিভিন্ন দো‘আ বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর কোন একটি পাঠ করলে যথেষ্ট হবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/১৬৫, ৮/১৬৭, ১০/১২)।প্রশ্নকা
উত্তর : শায়েখ আলবানী (রহঃ) বিভিন্ন দলীলের ভিত্তিতে ‘আছ-ছালাতু খায়রুম মিনান নাওম’-কে ফজরের প্রথম আযানের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন, যা তাহাজ্জুদের আযান নামে খ্যাত এবং দ্বিতীয় আযানের সাথে সম্পৃক্ত করাকে বিদ‘আত ও সুন্নাত বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন (ত
উত্তর : যেকোন ওযরে ছালাতের ভিতর প্রথম ইমাম মুছল্লীদের মধ্য হ’তে পিছন থেকে যে কাউকে ইমাম বানাতে পারেন। ওমর (রাঃ) ছালাতে শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হ’লে তিনি আব্দুর রহমান বিন ‘আওফকে ইমাম বানিয়ে পিছনে সরে যান এবং আব্দুর রহমান ছালাত শেষ করেন। কিন্তু তিনি
উত্তর : ছালাতে কাতারের ডানে দাঁড়ানোর ফযীলতে বর্ণিত হাদীছগুলি যঈফ (তামামুল মিন্নাহ ১/২৮৮; যঈফ আবুদাউদ হা/১০৪; সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, টেপ নং ১৬৯)। ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, একাধিক মুছল্লী থাকা অবস্থায় ইমামের ডানে দাঁড়ালে বিশেষ ফযীলতের কোন দলী
উত্তর : লজ্জাস্থান থেকে হালকা পানি বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ। সুতরাং ওযূ করার পর কারো লজ্জাস্থান থেকে কোন তরল পদার্থ বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় সে ছালাত ছেড়ে দিয়ে লজ্জাস্থান ধুয়ে পুনরায় ওযূ করবে এবং কাপড়ের উপরে পানির ছিটা দিয়ে ছালাত আ
উত্তর : মুসাফির হিসাবে গ্রামের বাড়িতে ছালাত জমা‘ ও ক্বছর করা যাবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/৩৪; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৮৭ পৃ.)। যদিও তার সফর নিজ গ্রামের বাড়ি বা জন্মস্থানে হোক না কেন। এক্ষেত্রে তার বর্তমান অবস্থানই মুক্বীম হওয়ার স্
উত্তর : উক্ত বক্তব্য শব্দে শব্দে সঠিক নয়, তবে মর্মের দিক দিয়ে সঠিক। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, বাড়িতে একাকী নিভৃতে সুন্নাত বা নফল ছালাত আদায় করলে অনুরূপ ছওয়াব পাওয়া যায়, যেরূপ ফরয ছালাত একাকী আদায়ের চেয়ে মসজিদে জামা‘আতের সাথে আদায় করলে পাওয়া যায়&nb
উত্তর : ছালাতের ফরয হুকুমের প্রতি বিশ্বাস রেখে কেউ অলসতাবশত ছালাত পরিত্যাগ করলে সে কবীরা গুনাহগার হবে। যা থেকে অবশ্যই তওবা করতে হবে। আর এর মাধ্যমে আমলগতভাবে সে কুফরী কাজ করলেও বিশ্বাসগত- ভাবে সে কাফির হবে না, যদিও সে নিয়মিত ছালাত আদায় না করে বা
উত্তর : কেউ অপবিত্র অবস্থায় ছালাত আদায় করলে তার ছালাত হবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, পাক-পবিত্রতা ছাড়া ছালাত এবং হারাম ধন-সম্পদের দান-খয়রাত কবূল হয় না (মুসলিম হা/২২৪; মিশকাত হা/৩০১)। তিনি আরো বলেন, যার ওযূ ছুটে গেছে তার ছালাত কবূল হয় না যতক
উত্তর : মুওয়াযযিন বা যিনি ইক্বামত দিবেন তাকে ইমামের পিছনে দাঁড়ানো আবশ্যক নয়। তবে দায়িত্বশীল হিসাবে তিনি ইমামের পিছনে দাঁড়াতে পারেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মাঝে বুদ্ধিমান ও বিজ্ঞজন (ছালাতে) আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। তারপর দাঁড়াবে তাদের নিকটবর্তী
উত্তর : তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করার পরে ওয়াক্তের মধ্যে পানি পেয়ে গেলেও পুনরায় ছালাত আদায় করার প্রয়োজন নেই। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) বলেন, দুই লোক সফরে বের হ’ল। পথিমধ্যে ছালাতের সময় হ’ল, অথচ তাদের কাছে পানি ছিল না। তাই তারা দু’জনই পাক মাটিতে তায়
উত্তর : মাগরিব ছালাতের পরে দু’রাক‘আত সুন্নাতে রাতেবা রয়েছে। এর পরে কেউ নফল ছালাত আদায় করতে চাইলে নিয়মিতভাবে নয়, বরং অনিয়মিতভাবে দুই দুই রাক‘আত করে অনির্ধারিত রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতে পারে (শাওকানী, নায়লুল আওতার ৩/৬৮; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরু
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কোন মুছল্লী তার জুতা চুরি হয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারলে ছালাত ছেড়ে নিজের সম্পদ রক্ষা করবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ০৮/০২)। অতঃপর ছালাতে দাঁড়িয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) জান ও মালের ক্ষতি থেকে আত্মরক্ষার জন্য ছালাতে সাপ ব
ভূমিকা : আল্লাহর নিকট বান্দার ক্ষমা ভিক্ষা ও প্রার্থনা নিবেদনের যত মাধ্যম রয়েছে তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হ’ল ছালাত। ক্বিয়ামতের দিন বান্দার সর্বপ্রথম হিসাব নেওয়া হবে তার ছালাতের। ছালাতের হিসাব সঠিক হ’লে তার সমস্ত আমল সঠিক হবে। আর ছালাতের হিসাব বাতি
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা কবরের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করো না এবং তার উপর বসো না (মুসলিম হা/৯৭২; মিশকাত হা/১৬৯৮)। শহীদ মিনার সরাসরি কবর নয়। সেটাকে কবর মনে করে শ্রদ্ধা জানানো শিরক। অতএব সামনে বা পার্শ্বে শহীদ মিনার থাকলে ছালাতের ক্
উত্তর : ছওয়াব অর্জনই মূখ্য হতে হবে। তৃপ্তি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। তৃপ্তি পাওয়ার জন্য তিনটি কাজ করতে হবে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে, সে ঈমানের স্বাদ লাভ করে থাকে। ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে অধিক
উত্তর : মানুষের শরীর থেকে রক্ত বের হওয়া ওযূ ভঙ্গের কারণ নয়। কেননা তা অপবিত্র নয়। সুতরাং কারো দেহ থেকে রক্ত বের হ’লে এবং শরীরে বা পোষাকে লেগে থাকলে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না (বুখারী ১/৩১৮; তিরমিযী হা/১৫৮২; নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৬৩-৬৫; ওছায়মীন, আশ
উত্তর : বাড়িতে একাধিক মহিলা থাকলে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম। উম্মে সালামা ও আয়েশা (রাঃ) জামা‘আতের সাথে বাড়িতে ছালাত আদায় করতেন এবং তাঁরা কাতারের মাঝে দাঁড়িয়ে ইমামতি করতেন (বায়হাক্বী হা/৫৩৫৫; ইবনু আবী শায়বাহ হা/৪৯৫৩; আলবানী, তামামুল
উত্তর : ফজরে নিয়মিত কুনূত পাঠ করা সমীচীন নয়। কারণ ফজরে নিয়মিত কুনূত পাঠ করার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ এবং মুনকার (যঈফাহ হা/১২৩৮)। বরং রাসূল (ছাঃ) যখন কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তখন ফরয ছালাতে কুনূত পাঠ করেছেন। কখনও একমাস ব্যাপীও কুনূত প
উত্তর : ছালাতে ক্রন্দন করা অধিক আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল লোকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরও বৃদ্ধি পায়’ (ইসরা ১৭/১০৯)। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম ছালাতে ক্রন্দন করতেন। আব্দুল্লাহ
উত্তর : সক্ষম পুরুষের জন্য এটি জায়েয হবে না। কারণ ছালাত একটি সমষ্টিগত ইবাদত, যা মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে আদায় করা আবশ্যক (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১১/২০৫; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩)। তবে মহিলারা বাড়ির ভিতরে একটি কক্ষ নির্বাচ
উত্তর : জুম‘আ যেমন সমষ্টিগত একটি ইবাদত, তেমনি এটা ইসলামের বড় নিদর্শন। সুতরাং যত্রতত্র জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। বরং মসজিদে গিয়ে জুম‘আর ছালাত আদায় করবে। সম্ভব না হ’লে যোহরের ছালাত আদায় করবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/১৭৮)। তবে অত্র এলাকায় মসজিদ
উত্তর: কোল্ড ড্রিংক্সে পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যায়। অতএব এতে ওযূ করা জায়েয হবে না। এতে ওযূ করে ছালাত আদায় করলে তাকে পুনরায় পবিত্র পানিতে ওযূ করে ছালাত আদায় করতে হবে (মুগনী ১/১১; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২১/২৬)। উল্লেখ্য যে, পব
উত্তর : অসুস্থ বা মা‘যূর ব্যক্তি বসে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে ইমামতি করতে পারবেন। কারণ রাসূল (ছাঃ) ওযরের কারণে বসে ছালাতে ইমামতি করেছিলেন। আর আবুবকর (রাঃ) তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এবং অন্যান্য ছাহাবীগণ তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ইক্তেদা করেছিলেন (ব
উত্তর : অসুস্থতার কারণে পৃথক জায়নামায (মুছাল্লা) ব্যবহার করে ছালাত আদায় করা যাবে। এতে কোন বাধা নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৭৯)।প্রশ্নকারী : ইয়াকূব, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর: তাকবীরে উলার সময়সীমার ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে। বিশুদ্ধ মতে, ইমাম যখন তাকবীরে তাহরীমা প্রদান করবেন তখন মুছল্লীকে মসজিদে উপস্থিত থেকে ছালাতে অংশগ্রহণ করতে হবে, তাহ’লে সে তাকবীরে উলা’র ফযীলত লাভ করবে, অন্যথায় নয়। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, মুস্
উত্তর : প্রথমতঃ হাদীছে বর্ণিত তিনটি মসজিদ ব্যতীত কোন মসজিদে ছওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তিনটি মসজিদ ব্যতীত (ছওয়াবের উদ্দেশ্যে) সফর করা যায় না। সেগুলো হ’ল মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী ও মসজিদুল আক্বছা’ (বুখারী হ
উত্তর : যারা কুরআনের সাথে হাদীছকে শরী‘আতের দলীল হিসাবে বিশ্বাস করে না, তারা সুস্পষ্ট কাফির। কারণ হাদীছ অনুসরণ করা কুরআনেরই নির্দেশ। আল্লাহ বলেন, ‘আর রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত হও’ (হাশর ৫৯/৭)। তিনি আ
উত্তর : যে দেখবে বা যে এলাকায় দেখা যাবে কেবল তারাই সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণের ছালাত আদায় করবে (নাসাঈ হা/১৪৮৩, ১৫০২; শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩২)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, মহাদেবপুর, নওগাঁ।
উত্তর: ছালাত সম্পন্ন করবে। কারণ নিষিদ্ধ সময় কেবল নফল ছালাতের সাথে সম্পর্কিত। অতএব ফরয ছালাতের ক্বাযা বা মসজিদে প্রবেশকালীন ছালাত বা ত্বাওয়াফের ছালাত নিষিদ্ধ সময়েও আদায় করতে পারবে (মুসলিম হা/৬৮৪; মিশকাত হা/৬০৩; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দ
উত্তর : এ মর্মে তিনটি জাল ও যঈফ হাদীছ পাওয়া যায় (বায়হাক্বী হা/৩৩২৪, ৩৩২৫, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৬৫২, ত্বাবারাণী কাবীর হা/১৭৮৭৯, যঈফাহ হা/৫৫০০)। অতএব এভাবে সিজদা করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।নিলুফার আখতার, ঝিনাইদহ।
উত্তর : বিতর হ’ল রাত্রির শেষ ছালাত (বুখারী হা/৯৯৮; মিশকাত হা/১২৫৮)। এক্ষণে কেউ রাতের প্রথম অংশে বিতরের ছালাত আদায় করে নিলে সে ক্বিয়ামুল লায়েল বা তাহাজ্জুদ পড়তে পারে। তবে দ্বিতীয়বার আর বিতর পড়বে না। কেননা এক রাতে দু’বার বিতর পড়া যায় না
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ওলামায়ে কেরামের অভিমত :ওলামায়ে কেরাম ছালাত পরিত্যাগকারীর বিধানের ব্যাপারে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছেন। অধিকাংশ বিদ্বান ছালাত পরিত্যাগকারীকে ফাসিক, কবীরা গুনাহগার বা জাহান্নামী বলেছেন। তবে তারা এটাও মনে করেন যে, সে ইসলাম থেকে
উত্তর : মোবাইল বন্ধ করেই ছালাতে আসবে। ভুলবশতঃ মোবাইল বন্ধ না করে ছালাত শুরু করলে এবং ছালাতরত অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে তা বন্ধ করা যাবে। কেননা ছালাতে বিঘ্ন ঘটায় এমন কাজ ছালাত অবস্থায় প্রতিহত করা যায়। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দরজা
উত্তর : কুরআন বা ছহীহ হাদীছে যে সকল দো‘আ পাঠের নির্দিষ্ট সময়, কাল বা পাত্র উল্লেখ করা হয়নি সে দো‘আগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিতভাবে পাঠ করা যাবে না। কেউ যদি কোন দো‘আ বা যিকিরকে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ করাকে নিয়ম বানিয়ে নেয়, তাহ’লে তা বিদ‘আত হবে। বরং য
উত্তর: মুছল্লীদের দাঁড়ানোর ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময়সীমা হাদীছে বর্ণিত হয়নি। যখনই ইক্বামত শুরু হবে, তখনই মুছল্লীরা দাঁড়াবে। দাঁড়ানোর নির্দিষ্ট সময়সীমার ব্যাপারে যে বর্ণনাগুলো এসেছে সেগুলো ইমামগণের অভিমত মাত্র (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/৩৬৭; ও
উত্তর : মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় নিদর্শন প্রচারের জন্য এবং মুছল্লীদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য চাঁদ দেখার পর থেকে মাইকে তাকবীর পাঠ করা যাবে। ইমাম বা মুওয়াযযিন মাঝে-মধ্যে মাইকে তাকবীর পাঠ করে থেমে যাবে আর মুছল্লীরা একাকী পাঠ করবে। ইবনু ওমর ও আবু হ
উত্তর : ছালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরয। ছালাত পরিত্যাগ করা কুফরী। এক্ষণে কেউ ছালাত পরিত্যাগ করলে তাকে নছীহত করার উদ্দেশ্যে তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং
উত্তর : এ বিষয়ে বিদ্বানদের মতপার্থক্য থাকলেও ক্বাযা আদায় করাই কর্তব্য এবং অধিক সতর্কতাপূর্ণ। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য ছালাতের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ছালাত আদায়ের অবকাশ দিয়েছিলেন। অতএব কোন ছালাতের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পূর্বে হায়েয শুরু হ’ল
উত্তর : উক্ত মর্মে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়, তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এর কোনটির সনদে ইনকিতা‘ বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। আবার কোনটি যঈফ (ইবনুল জাওযী, আয-যু‘আফা ওয়াল মাতরূকীন ১/৩০১, সনদ যঈফ)।প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।
উত্তর : তার পিছনে ছালাত আদায়ে দোষ নেই। তবে কেবল ইমাম ও মুওয়াযযিনই নয় প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক বর্ণিত সুন্নাত ও নফল ছালাতগুলো গুরুত্ব সহকারে আদায় করা এবং অবহেলা না করা (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ৬/২)।প্রশ্নকারী :&
উত্তর : সাহারীর আযান দেওয়া সুন্নাত। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আমলে এই সুন্নাত জারী ছিল (বুখারী হা/৬১৭; মিশকাত হা/৬৮০)। সাহারীর আযানে ‘হাইয়া আলাছ ছালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ’ যথারীতি বলবে কিন্তু ‘আছ-ছালাত খায়রুম মিনান নাওম’
উত্তর : বিকল্প না থাকলে তাদের মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। কেননা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আক্বীদা হ’ল, আহলে ক্বিবলার পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূঊল ফাতাওয়া ২৩/৩৫৩; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৭/৩৮২-৮৩; বিন বায, মা
উত্তর : ছালাত পূর্ণ করবে। ইমামের সাথে যে অংশ পাবে সেগুলো তার জন্য প্রথম অংশ হবে (বুখারী হা/৬৩৫; মিশকাত হা/৬৮৬)। আর এজন্য সে প্রথম তাকবীরের সূরা ফাতিহা ও তার সাথে অন্য সূরা মিলাবে অতঃপর দরূদ ও জানাযার দো‘আ পাঠ করবে এবং লাশ উঠানোর পূর্বেই ছাল
উত্তর : ক্বায়লূলা তথা দুপুরের পর স্বল্প বিশ্রাম করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ক্বায়লূলা কর, কারণ শয়তান ক্বায়লূলা করে না’ (ছহীহাহ হা/১৬৪৭)। আর ক্বায়লূলার সময় হচ্ছে যোহর ছালাতের পর। যেমন ছাহাবীগণ বলেন, জুম‘আর (ছালাতের) পরই আমরা ক্বা
উত্তর : দিন-রাত হয় ২৪ ঘণ্টায়। অতএব ২৪ ঘণ্টার হিসাব করে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে নিবে। দাজ্জাল আগমনের সময়কালে যখন একদিন এক বছরের সমান হবে তখনকার ছালাতের ব্যাপারে ছাহাবীগণ রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি বলেন, না। তোমরা (দিন রাতের ২৪ ঘণ্টা হি
উত্তর : ক্ষতি হবে না। তবে মসজিদের সম্মানার্থে সরাসরি মুছাল্লার উপরে বাথরুম নির্মাণ না করাই উত্তম (আলবানী, রিহলাতুল খায়র, টেপ নং ১০)।প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বগুড়া।
পৃথিবী যখন নিস্তব্ধ ঠিক তখন জেগে ওঠে মুত্তাক্বীনরম বিছানা ত্যাগ করে ছালাতে দাঁড়ায় রবের লাগি।গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে থাকে,নীরব প্রকৃতির নিস্তব্ধতায় সে শেষ রাতে জাগে।তন্দ্রা-নিদ্রা বিসর্জন দিয়ে দু’নয়নে সে অশ্রু ঝরায়ভাগ্যবান মুমিন সেই যে রবের ডাকে সাড়
পর্ব ১ ।ছালাত ত্যাগকারীর ব্যাপারে ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণের অবস্থানইসলামে ছালাত পরিত্যাগকারীর কোন অবস্থাননেই: যে সকল আমলের মাধ্যমে মানুষের ঈমান টিকে থাকে তার মধ্যে সর্বাধিক বড় মাধ্যম হ’ল ছালাত। কেউ ছালাত ত্যাগ করলে ইসলামে কোন অংশ থাকবে না বলে ছাহাবা
উত্তর : যাবে। সাবানের ফেনা বা কাপড়ের সাধারণ ময়লা অপবিত্র নয়। অতএব তা কাপড়ে বা শরীরে লেগে গেলে শরীর অপবিত্র হয় না বা ওযূ ভঙ্গ হয় না। উম্মু হানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও মায়মূনাহ (রাঃ) একই পাত্রে গোসল করেছেন, তা এমন পাত্র ছিল যাতে আটার খামী
উত্তর : যদি অসাবধানতাবশত অল্প পরিমাণ চুল বের হয়ে যায়, তাহ’লে তার ছালাত বাতিল হবে না। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘যদি কোন মহিলার অল্প পরিমাণে এবং অল্প সময়ের জন্য চুল বা দেহের কোন অংশ প্রকাশ পেয়ে যায়, তাহ’লে তাকে ছালাত পুনরায় পড়তে হবে
ভূমিকা :ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ’ল ছালাত। সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণকে হৃদয়ে জাগ্রত রাখার প্রক্রিয়া হিসাবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। ছালাত এমন একটি ইবাদত, কালেমায়ে শাহাদতের পরেই যার স্থান। কেউ মুসলম
উত্তর : শরী‘আতে এরূপ নির্দেশনা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) যখন কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তেন, তখন তিনি নফল ছালাতে দন্ডায়মান হ’তেন (আবুদাঊদ হা/১৩১৯, মিশকাত হা/১৩২৫, সনদ হাসান)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ) যখন কোন দুঃখ বা সংকটের সম্মুখীন হ’তেন, তখন এই দো‘আটি পড়তে
উত্তর : পারবে। কেননা যে সকল ছালাতে পুরুষ সরবে ক্বিরাআত করে, মহিলারাও সেই সকল ছালাতে সরবে তেলাওয়াত করতে পারে। এ বিধান নারী-পুরুষ সকলের ক্ষেত্রে সমান। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈকা মহিলাকে তার পরিবারের ইমামতি করার নির্দেশ প্রদান করেছিলেন (আবুদাঊদ হ
উত্তর : অফিসের কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে নফল ছালাত আদায় করা যাবে না। বরং নিজ দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। তোমাদের প্রত্যেককেই ক্বিয়ামতের দিন স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে’ (মুত্তাফ
উত্তর : এমতবস্থায় ছালাত পুনরায় পড়তে হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২২/১৮৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৭/৩০২; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২/৮)। কারণ রাসূল (ছাঃ) অজ্ঞাতসারে নাপাক জুতা পায়ে পরে ছালাত আদায় করছিলেন। জিব্রাঈল (
উত্তর : ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে আযান বা ইক্বামত দেওয়া যাবে না এবং এক ওয়াক্ত ছালাতও আদায় করা যাবে না। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট ওয়াক্ত নির্ধারণ করেছেন (নিসা ৪/১০৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন ছালাতের সময় উপস্থিত হবে তখন একজন আয
উত্তর : যে সকল পাখির গোশত খাওয়া হালাল সে সকল পাখির পায়খানা কাপড়ে লেগে থাকলে সে পোষাকে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে সম্ভবপর তা মুছে ফেলবে কিংবা ধুয়ে ফেলবে। আর যে সকল পাখির গোশত হারাম সে সকল পাখি বা প্রাণীর পেশাব বা পায়খানাও নাপাক। এ সকল প্রাণীর পায়খা
উত্তর : কেউ মারা গেলে এবং তার জানাযায় অংশগ্রহণ করতে না পারলে তার কবরকে সামনে রেখে একাকী বা জামা‘আতের সাথে মাইয়েতের জন্য যে কোন দিন জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ একাধিক কবরের উপর জানাযার ছালাত আদায় করেছেন (বুখারী হ
উত্তর : অধিকাংশ বিদ্বানের মতে, সাদাস্রাব অপবিত্র নয়। তবে এটি বের হ’লে ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে এবং ছালাতের জন্য পুনরায় ওযূ করতে হবে। আর মযীর মতই সাদাস্রাব কাপড়ে বা শরীরে লেগে থাকলে ধুয়ে নেওয়া আবশ্যক নয়। বরং সে পোষাক পরেই ছালাত আদায় করা যাবে (ইবনু
উত্তর : পেশাব-পায়খানা বা বায়ুর চাপ নিয়ে ছালাত আদায় করলে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে সেটি মাকরূহ। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘খাদ্য উপস্থিত হ’লে ছালাত নেই এবং পেশাব-পায়খানার চাপ থাকলে কোন ছালাত নেই’ (মুসলিম হা/৫৬০; মিশকাত হা/১০৫৭)। বায়ুর অতিরিক্ত চাপ
উত্তর : মুসাফিরের জন্য সফরকালীন যোহর-আছর ও মাগরিব-এশার ছালাত জমা ও কছর করা মুস্তাহাব (বুখারী হা/১১১১)। তবে প্রতি ওয়াক্তে ছালাত আদায়ের সুযোগ থাকলে জামা‘আতের সাথেও ছালাত আদায় করা যায়। কারণ ছালাত নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। আল্লাহ বলেন, নি
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছগুলো যঈফ (আহমাদ হা/২৬৩৮৩; যঈফাহ হা/১৫০৩)। তবে ওযূর পূর্বে মিসওয়াক করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি যদি উম্মতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহ’লে প্রত্যেক ছালাতের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতা
উত্তর: নিকটবর্তী তথা মহল্লার মসজিদে গমনই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘লোকেরা যেন তাদের নিকটতম মসজিদে ছালাত আদায় করে, একাধিক মসজিদ খুঁজে না বেড়ায় (ফাওয়ায়েদু তামাম হা/১৪১৬; ছহীহাহ হা/২২০০)। শায়খ ওছায়মীন (রহঃ) বলেন, উত্তম হচ্ছে তুমি মহল্লার মসজ
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। ছালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য বা তেলাওয়াতে ছওয়াব পাওয়ার জন্য অর্থ বুঝা শর্ত নয়। তবে দ্বীনকে সঠিকভাবে বুঝা এবং ছালাতে পূর্ণ মনোযোগ আনার জন্য পঠিত সূরা এবং দো‘আগুলির অর্থ সাধ্যমত জানার চেষ্টা করা কর্তব্য (ইবনুল ক্বাইয়
উত্তর : সন্দেহের ক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি এটি কোন রুকনের ক্ষেত্রে হয় যেমন রুকূ, সিজদা বা শেষ বৈঠকের তাশাহহুদ, তাহ’লে সে রাক‘আত পুনরায় আদায় করতে হবে এবং শেষ বৈঠকে সহো সিজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে। যদি কোন ওয়াজিবের ক্ষেত্র
উত্তর : ছেলেরা বালেগ হ’লে তাদের উপর ছালাত ফরয হয়ে যায়। যদিও ছালাত আদায়ে অভ্যস্ত করতে ১০ বছর বয়স থেকেই তাদেরকে নিয়মিত ছালাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এজন্য সে ছওয়াব পাবে (আবুদাউদ হা/৪৩৯৮; মিশকাত হা/৩২৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৫১২)। সাধা
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা ফরয (নাসাঈ হা/১২৭৭; ইরওয়া হা/৩১৯; ইবনু কুদামাহ ১/৩৮৭)। তাছাড়া একদল বিদ্বানের মতে শেষ বৈঠকে দরূদ পাঠও ফরয বা ওয়াজিব (বুখারী হা/৪৭৯৮; মুসলিম হা/৪০৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/২৯৯ পৃ.)। সেজন্য য
উত্তর : প্রথমতঃ কেউ ইচ্ছা করে ছালাত ত্যাগ করে থাকলে তাকে ক্বাযা আদায় করতে হবে না। বরং ছালাত ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করতে হবে এবং পরবর্তী ছালাতগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। সাথে সাথে অধিকহারে ইস্তিগফার করবে এবং অধিক পরিমাণে নফল ছালাত আ
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা ফরয (নাসাঈ হা/১২৭৭; ইরওয়া হা/৩১৯; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২৪৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৩৪৪)। সেজন্য যে ব্যক্তি তাশাহহুদ পাঠ ব্যতীত সালাম ফিরিয়েছে তাকে উক্ত দো‘আ ও দরূদ পাঠ করে সহো স
উত্তর : বাড়িতে পৌঁছলে মুসাফিরের হুকুম বাতিল হয়ে যায়। ফলে সফরের ক্বাযা ছালাত বাড়িতে বা নিজ এলাকায় পূর্ণ আদায় করতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/৪৪৯; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৭/২৮২, ২৮৭)।প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শামাউন, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
উত্তর : ফজরের সুন্নাতের পর ও ফরয ছালাতের পূর্বে কোন ছালাত নেই (তিরমিযী হা/৪১৯; ইরওয়া হা/৪৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭৮)। তবে সাধারণ যিকর-আযকার করবে। উল্লেখ্য যে, তিরমিযী ও ছহীহ ইবনু খুযায়মাসহ কিছু হাদীছ গ্রন্থে ফজরের সুন্নাতের পর পঠিতব্য দীর
উত্তর : এমতাবস্থায় তাদের জন্য উচিৎ ছিল বাকী রাকা‘আতটি একাকী সম্পন্ন করা (বুখারী হা/৯০৮)। এর পরিবর্তে একই জামা‘আতে মূল ইমাম থেকে ভিন্ন আলাদা ইমাম নিয়োগ করায় তাদের ছালাত শুদ্ধ হয়নি। তাছাড়া নারীদের জন্য জুম‘আর ছালাতের ইমামতিও জায়েয নয়। কারণ তা
উত্তর : যাবে। এটা ওযূ ভঙ্গেরও কারণ নয়। তবে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে মসজিদে যাওয়া নিষেধ। জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এই দুর্গন্ধময় গাছ খাবে সে যেন মসজিদে না আসে। কারণ মানুষ যাতে কষ্ট পায় ফেরেশতাগণও তাতে কষ্ট পায়’ (বুখারী, ম
উত্তর : উক্ত ইমামের পিছনে ছালাত আদায়ে দোষ নেই। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪, ইসরা ১৫/১৫, ফাত্বির ৩৫/১৮, যুমার ৩৯/৭, নাজম ৫৩/৩৮)। আর হারাম মিশ্রিত থাকলেও পিতার উপার্জিত সম্পদ সন্তানের জন্য মৌলিকভাবে হালাল (ইবনু তায়ম
উত্তর : প্রচন্ড বৃষ্টি, ঝড়, বন্যা, ঠান্ডা ইত্যাদি কারণে আযানে ‘আছ-ছালাতু ফী রিহালিকুম বা বুয়ূতিকুম’ (তোমরা তোমাদের অবস্থানস্থল বা বাড়িতে ছালাত আদায় কর) বলা জায়েয (নববী, শারহু মুসলিম ৫/২০৭; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ২/১১৩)। আর এই বাক্যটি দু’টো
উত্তর : ডান পায়ের রান বা হাঁটুর উপর ডান হাত রেখে মুষ্টিবদ্ধ করে শাহাদত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর বাম পায়ের উরু বা হাঁটুর উপর বাম হাত বিছিয়ে ক্বিবলামুখী করে রাখবে। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ) বলেন, ছালাত আদায়ের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন তাশা
উত্তর : ছালাতে বিনা কারণে ইলতেফাত বা এদিক-ওদিক দেহ বা দৃষ্টি ফিরানো নিষেধ, কেননা তা ছালাতে খুশূ-খুযূর বিপরীত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ছালাতের মধ্যে এদিক-সেদিক দেখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটা শয়তানের ছোঁ মারা।
উত্তর : ‘ছালাতুয যাওয়াল’ বা বা সূর্য ঢলে পড়ার ছালাত মূলতঃ ৪ রাক‘আত বিশিষ্ট নফল ছালাত। আব্দুল্লাহ ইবনুস সায়েব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূর্য ঢলার পর হ’তে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন এবং বলতেন, এ সময় আকাশের দরজা খুলে দেয়া হ
উত্তর : ছালাতে মেয়েরা চুল বেণী বা খোপা করে রাখবে। কারণ মেয়েদের চুল সতরের অন্তর্ভুক্ত। যা ঢেকে রাখা ওয়াজিব। মেয়েদের চুল যাতে বাইরে বের হয়ে না যায় সেদিকে যেমন সতর্ক দৃষ্টি রাখবে, তেমনি তাদের চুলের খোপা যেন উটের কুঁজের মত উঁচু হয়ে না থাকে সেদিকে খে
উত্তর : নির্দিষ্ট ইমাম থাকলে তিনিই ইমামতির সর্বাধিক হকদার। তার অনুমতিক্রমে অন্যে ইমামতি করতে পারবে। আর নির্ধারিত না থাকলে কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিকেই ইমামতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘জামা‘আতের ইমামতি ঐ
উত্তর : তাশাহহুদের সময় ডান পায়ের আংগুল কেবলামুখী করে রাখা সুন্নাত (মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯১)। অসুস্থতা বা দৈহিক স্থূলতার কারণে যদি কেউ আংগুল কেবলামুখী করতে না পারে বা পায়ের পাতা দাঁড় করিয়ে রাখতে না পারে, তাহ’লে কোন দোষ নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪৪৬)।প
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলি পুনরায় ক্বাযা আদায় করতে হবে। কারণ অপবিত্র অবস্থার ছালাত আল্লাহ কবুল করেন না (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১২/১৪৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)। উল্লেখ্য যে, পূর্বসময়ে অজ্ঞতা বা না জানার কারণে
উত্তর : রাতের নফল ছালাতে কিরাআত সরবে পাঠ করা উত্তম। তবে নীরবেও পাঠ করা যায় (আবূদাউদ হা/১৩২৯; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৪১৯৯; মিশকাত হা/১২০৪; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৪-২৬)। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কায়েস বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ)-এর রাতের
উত্তর : ছালাত অবস্থায় অকারণ নড়াচড়া করা বা হাটাহাটি করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কাতার পূরণ করার জন্য বা ফাঁকা জায়গা পূরণ করার জন্য স্থান পরিবর্তন করা মুস্তাহাব (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২৭, ৩১০; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১১২-১৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে
উত্তর : যাবে না। কারণ সময়ের পূর্বে ছালাত আদায় যথেষ্ট নয়। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই ছালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারিত (নিসা ৪/১০৩)। অতএব ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পরেই ফজরের ছালাত আদায় করতে হবে। যদি রাস্তায় ওয়াক্ত হয়, তবে সেখানেই পড়বে। সেই সুয
উত্তর : বিভিন্ন সময়ে বহুবার তালাক দেওয়ায় সংসার ভেঙ্গে গেছে (মুসলিম হা/১৪৭১; আহমাদ হা/৪৫০০)। ফাতেমা বিনতে কায়েস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে বললাম, আমি আলে খালিদের কন্যা। হে আল্লাহর রাসূল! আমার স্বামী অমুক আমার নিকট তিন তালা
উত্তর : আলী (রাঃ) সম্পর্কে উক্ত ঘটনা বিশুদ্ধ সনদে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে ৪র্থ হিজরীতে সংঘটিত যাতুর রিক্বা‘ যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে এক স্থানে রাতে বিশ্রামকালে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে পাহারারত আনছার ছাহাবী ‘আববাদ বিন বিশ্র (রাঃ) গভীর মনোযোগে
উত্তর : সুন্নাত ছালাত নিয়মিত কাযা করা যাবে না। মালিককে বুঝিয়ে যথাসময়ে আদায় করার চেষ্টা করবে। অথবা ফরয ছালাত পড়ে এসে সুন্নাত দোকানে পড়ে নিবে। প্রয়োজনে কখনও বাসায় ক্বাযা আদায় করতে পারে। আর যদি ক্বাযা আদায় না করতে পারে, তাতে গুনাহ নেই (বিন বায,
উত্তর : উক্ত ছালাতগুলো পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ অপবিত্র অবস্থার ছালাত আল্লাহ কবুল করেন না (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/৭৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১২/১৪৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/০২)। উল্লেখ্য যে, অজ্ঞতা বা না জানার কারণে কেউ যদি অগণিত
উত্তর : ফরয বা নফল ছালাত শেষে নিয়মিত হাত তুলে দো‘আ করা সুন্নাতসম্মত নয়। তবে মাঝে-মধ্যে একাকী হাত তুলে দো‘আ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ অত্যধিক লজ্জাশীল ও দাতা। যখন কোন ব্যক্তি তার দরবারে দুই হাত তুলে (প্রার্থনা করে), তখন তিনি তার হাত শূ
উত্তর : এমতাবস্থায় মুছাল্লী জামা‘আতের ছওয়াব পেয়ে যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২২/২৪৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদে গিয়ে দেখতে পেল লোকেরা ছালাত আদায় করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ তাকেও জামা‘আতে শামিল হয়ে
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। কারণ এ সময় মুছল্লী আল্লাহর যিম্মায় থাকে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ছয়টি এমন আমল রয়েছে, কোন মুসলমান যদি তার একটির উপরও আমলরত অবস্থায় মারা যায়, তবে আল্লাহ তার জান্নাতে প্রবেশ করানোর জন্য যিম্মাদার হবেন- (১) যে ব্যক্ত
উত্তর : ছালাতের মধ্যে তাকবীর, রাক‘আত বা কোন কিছু নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশী হয়ে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে। একবার রাসূল (ছাঃ) যোহরের ছালাত ৫ রাক‘আত আদায় করে সালাম ফিরালে মুছল্লীরা তাঁকে ভুল ধরিয়ে দেন। তখন তিনি সহো সিজদা আদায় করেন (বুখারী হা/
উত্তর : ছালাতের ভিতরে পরকাল বা মৃত্যুর কথা স্মরণ করলে ছওয়াব কমবে না। বরং মনোযোগী হওয়ার জন্য অধিকহারে মৃত্যু ও পরকালকে স্মরণ করাই উত্তম। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সফলকাম হবে মুমিনগণ। যারা তাদের ছালাতে ভীত-বিনয়ী (মুমিনূন ২৩/১-২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,
উত্তর : এরূপ কোন নির্দেশনা শরী‘আতে নেই। এটি কতিপয় বিদ্বানের বক্তব্য মাত্র (নববী, আল-মাজমূ‘ ২/২৩৩)। বরং মসজিদে ইমাম উপস্থিত থাকলে বা প্রবেশ করলে এবং সময় হয়ে গেলে মুছল্লীরা স্বাভাবিকভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যখন ছাল
উত্তর : সফরে ছালাত ক্বছর করা উত্তম (নিসা ৪/১০১; বুখারী হা/১১০২; মুসলিম হা/৬৮৯; মিশকাত হা/১৩৩৮)। তবে মুক্বীম-মুসাফির উভয় অবস্থাতেই জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬১৮; আহমাদ হা/১৮৬২; ছহীহাহ হা/২৬৭৬; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/
উত্তর : সূরা ফাতিহা ব্যতীত ইমামের অন্য সূরা পাঠকালীন মুছল্লীরা মনোযোগ সহকারে ইমামের তেলাওয়াত শুনবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২২১, ২৩৪)। কারণ আল্লাহ বলেন, আর যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাকো, যাতে তোমরা অনুগ্
উত্তর : সূরা মুলক পাঠের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কুরআনে একটি সূরা আছে যাতে ত্রিশটি আয়াত আছে। যেটি তার পাঠকারীর পক্ষে সুফারিশ করবে এবং তার সুফারিশেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সেটি হ’ল সূরা মুল্ক (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা
উত্তর : বাড়িতে জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে জামা‘আতের নেকী পাওয়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, একাকী ছালাত আদায়কারীর চেয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায়কারী ২৭ গুণ বেশী নেকী পাবে’ (বুখারী হা/৬৪৫; মুসলিম হা/৬৫০; মিশকাত হা/১০৫২)। তবে মসজিদে আদায়ের নেকী পাওয়া যাবে
উত্তর : নারীদের জন্য ছালাতরত অবস্থায় মুখমন্ডল খোলা রাখা কর্তব্য। তবে গায়ের মাহরাম পুরুষ উপস্থিত থাকলে বা পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা থাকলে মুখমন্ডল ঢেকে ছালাত আদায় করতে পারে (বায়হাক্বী হা/৮৮৩২; ইরওয়া হা/১০২৩; মিশকাত হা/২৬৯০, ইবনু ক
উত্তর : ছালাত চলাকালে কোন মুছল্লী কাতার থেকে বের হয়ে গেলে সে স্থান পূরণ করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা স্থান পূর্ণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করবেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন’ (ছহীহাহ হা
উত্তর : উক্ত ছালাত সঠিক হয়েছে। ইমাম শাওকানী বলেন, ওয়াজিব তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ সুন্নাত হবে (শাওকানী, আস-সায়লুল জাররা-র ১/২৭৪ পৃ.)। প্রশ্নে বর্ণিত অবস্থায় ভুলক্রমে সিজদা একটি বেশী হয়ে গেছে। এমতা
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় ইস্তিহাযার রক্ত বের হ’লেও ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। ফাতেমা বিনতে আবু হুবাইশ রাসূল (ছাঃ)-কে বললেন, আমার রক্তস্রাব হ’তেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হ’তে পারি না। আমি কি ছালাত ছেড়ে দিব? তিনি বলেন, না। এটা হায়েযের রক্ত নয় বরং এ
উত্তর : উক্ত পদ্ধতি শরী‘আত সম্মত নয়। বরং প্রত্যেক মসজিদে ওয়াক্ত হ’লে পৃথক পৃথক মুয়াযযিন আযান দিবে এবং ছালাত আদায় করবে। সমকালীন বিদ্বানগণ অধিকাংশই এরূপ আযানকে নাজায়েয সাব্যস্ত করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৬২, ৬/৬৯; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছানা হিসাবে তাকবীরে তাহরীমার পর পড়া যাবে (মুসলিম হা/৭৭১; মিশকাত হা/৮১৩)। এটাকে এদেশে ‘জায়নামাযের দো‘আ’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে পাঠ করা হয়। যা ভুল।প্রশ্নকারী : আল-আমীন, পোতাহাটী, ঝিনাইদহ।
উত্তর : এশার ছালাতের পরে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা (বুখারী হা/১১৬৫; মুসলিম হা/৭২৮; মিশকাত হা/১১৫৯)। এরপরে বাড়িতে গিয়ে কেউ চাইলে চার রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতে পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৯৬)। উল্লেখ্য যে, এই চার রাক‘আত ছালাত বিশ
উত্তর : পূর্ণ চেষ্টার পরেও যদি ক্বিবলা ভুল হয়ে যায়, তবে পুনরায় তা আদায় করতে হবে না। একদা কতিপয় ছাহাবী অন্ধকার রাতে কোন এক অজ্ঞাত স্থানে ছালাত আদায় করার সময় ভুলে ক্বিবলার বিপরীত দিকে ফিরে ছালাত আদায় করেন। অতঃপর তারা রাসূল (ছাঃ)-কে ঘটনাটি বর্ণন
উত্তর : অজ্ঞতা বা ভুলবশতঃ অপবিত্র কাপড়ে ছালাত সম্পাদন করার পর অপবিত্রতার বিষয়টি স্মরণ হ’লে বিশুদ্ধ মতে পুনরায় ছালাত আদায় করতে হবে না। একদা রাসূল (ছাঃ) অপবিত্র লেগে থাকা জুতা পরে ছালাত আদায় করছিলেন। ছালাতের ভিতরে জিব্রাঈল (আঃ) বিষয়টি অবহিত করল
নফল ইবাদতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি ছালাত হ’ল ‘ছালাতুয যোহা’। এ ছালাত আদায়ের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সময়ে প্রভূত নেকী হাছিল করা যায়। রাসূল (ছাঃ) এই ছালাতকে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের ছালাত বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ছালাতকে ইশরাক্বের ছালাতও বলা হয়। সূর্য
উত্তর : মসজিদে আযান হওয়া ফরযে কিফায়াহ। সেজন্য প্রত্যেক মসজিদে আযান হওয়া আবশ্যক। এক্ষণে ইমামসহ যে কেউ বৃষ্টি বা ভয়-ভীতির কারণে জামা‘আতে ছালাত আদায় পরিত্যাগ করলে কোন দোষ নেই। তবে মসজিদের প্রতিবেশীরা একজন হ’লেও আযান ও এক্বামত দিয়ে ছালাত আদায়ের মাধ্যমে ম
উত্তর : একই সাথে জামা‘আতে কোন ছালাত আদায় করলে নারী পুরুষের পিছনের সারিতে দাঁড়াবে, পাশাপাশি নয়। চাই সে মা হৌক বা স্ত্রী হৌক। তবে জামা‘আত ব্যতীত পৃথকভাবে যেকোন ছালাত পাশে দাঁড়িয়ে ব্যবধান রেখে আদায় করলে বাধা নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৩৩১)।প্রশ্নকারী
উত্তর : এমতাবস্থায় বাড়িতে ছালাত আদায় করা যাবে। এতে গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। কারণ দুর্গন্ধ যেমন মানুষের জন্য কষ্টদায়ক তেমনি ফেরেশতাদের জন্যও কষ্টদায়ক। দুর্গন্ধ ছড়ানো রোধের জন্য রাসূল (ছাঃ) কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন খেয়ে মসজিদে ছালাতে আসতে নিষেধ করেছ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সিজদা থেকে উঠে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন না’ মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৭৩৮; ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৬৯৪)। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বসা অবস্থায় কখনো হস্ত উত্তোলন করতেন না’ (আবুদাঊদ হা/৭৪৪, তিরমিযী হা/৩৪২৩)। শায়খ আ
উত্তর : নারীদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা জায়েয। তবে তাদের বাড়িতে ছালাত আদায় করাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করো না। তবে তাদের জন্য তাদের ঘরই উত্তম (আবুদাউদ হা/৫৬৭; মিশকাত হা/১০৬২; ছহীহুত
উত্তর : ছালাতের পর স্পষ্ট পেশাব বা আঠালো পদার্থের কারণে কাপড় ভেজা অনুভব করলে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করে ওযূ করে পুনরায় ছালাত আদায় করবে। সাথে সাথে পেশাবে ভেজা স্থান ধুয়ে ফেলবে এবং মযী দ্বারা ভেজা স্থানে পানি ছিটিয়ে দিবে। কারণ পেশাব বের হওয়া বা মযী নির্গত
উত্তর : প্রথমতঃ ক্বিবলা নির্ধারণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। কারণ ছালাতের জন্য ক্বিবলা শর্ত (বাক্বারাহ ২/১৪৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৪৩৩-৩৫)। দ্বিতীয়তঃ ক্বিবলা অল্প বিচ্যুত হ’লে কোন দোষ নেই এবং তাতে ছালাত আদায়ে কোন বাধা নেই। রাসূল (ছাঃ
উত্তর : ঘরে জামা‘আত করলে জামা‘আতের নেকী পাওয়া গেলেও মসজিদে যাওয়ার নেকী থেকে মাহরূম হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) দূরের বাসিন্দা অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূমকেও মসজিদে জামা‘আতে না আসার ব্যাপারে অনুমতি দেননি (মুসলিম হা/৬৫৩; মিশকাত হা/১০৫৪, ১
উত্তর : নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। তবে নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করা যেতে পারে।- আল্লা-হুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনী মিনান্ না-র (৩ বার)। ‘হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও’! (তিরমিযী হা/২৫৭২; নাসাঈ হা/৫
উত্তর : এশার ছালাতের সাথে বিতর পড়ে নিলেও তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করতে পারবে। তবে তাহাজ্জুদ শেষে দ্বিতীয়বার বিতর পড়া যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, এক রাতে দু’বার বিতর ছালাত নেই (আবুদাউদ হা/১৪৩৯; ছহীহুল জামে হা/৭৫৬৭)।প্রশ্নকারী : আব্দুর রাক্বীব,
উত্তর : সাধারণ আমলগত নিফাকীর কারণে ছালাত পরিত্যাগ করে থাকলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ হবে না এবং স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদও হবে না। এমতাবস্থায় সে কবীরা গুনাহগার হবে। আর যদি আক্বীদাগত নিফাকী তথা কুফরীর পর্যায়ের যায় এবং ছালাতের বিধানকে অস্ব
উত্তর : পিতা-মাতাকে বুঝিয়ে ছালাতের জামা‘আতে যেতে হবে। কেননা সন্তান বালেগ বা বয়ঃপ্রাপ্ত হ’লে তার জন্য জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করা ওয়াজিব। কেউ যদি আযান শোনার পরেও ওযর ছাড়া বাড়িতে ছালাত আদায় করে, তাহ’লে সে গুনাহগার হবে (নাসাঈ হা/৮৫০; ছহীহুত তারগ
উত্তর : ছালাতের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পাঠ করা ওয়াজিব।এক্ষণে কেউ যদি তাশাহহুদ পাঠ করতে ভুলে যায় তাহ’লে শেষ বৈঠকে দু’টি সহো সিজদাহ দিয়ে সালাম ফিরাবে। এজন্য পুরো ছালাত আদায় করতে হবে না (বুখারী হা/৮২৯; মিশকাত হা/১০১৮; ইবনু কুদামাহ, আল-কাফী ১/২৭৩; বিন
উত্তর : সর্বাবস্থায় টাখনুর উপর কাপড় পরতে হবে। কারণ টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ। বরং শীত নিবারণের জন্য লম্বা মোযা পরিধান করবে (তিরমিযী হা/২৮২০; মিশকাত হা/৪৪১৮)। অহংকারবশে টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরলে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন
উত্তর : ‘কুনূতে নাযেলাহ’ ফজর ছালাতে অথবা সব ওয়াক্তে ফরয ছালাতের শেষ রাক‘আতে রুকূর পরে দাঁড়িয়ে ‘রববানা লাকাল হাম্দ’ বলার পরে দু’হাত উঠিয়ে সরবে পড়তে হয়। অবস্থা বিবেচনা করে ইমাম আরবীতে দো‘আ পড়বেন ও মুক্তাদীগণ ‘আমীন’ ‘আমীন’ বলবেন (বুখারী হা
উত্তর : জুম‘আর ছালাতের পূর্বে নির্দিষ্ট কোন সুন্নাতে রাতেবা নেই। বরং সময় সাপেক্ষে দুই দুই রাক‘আত করে নফল ছালাত আদায় করতে থাকবে। যেহেতু পূর্বে কোন সুন্নাত নেই, সেজন্য কোন ক্বাযা আদায় করতে হবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩৮৬)।প্রশ্নকারী : রূহু
উত্তর : গোঁড়ালী ঢাকে এমন যে কোন মোজার উপর মাসাহ করা জায়েয। হাফ মোজার মাধ্যমে গোঁড়ালী ঢেকে গেলে তার উপর মাসাহ করা যাবে। আর গোঁড়ালী খোলা থাকলে মাসাহ করা যাবে না (তিরমিযী হা/৯৯; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/১১১,২৯/৬৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৬
উত্তর : ছালাতের কাতার ঠিক রেখেই অসুস্থ ব্যক্তিকে চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করতে হবে। চেয়ারে ছালাত আদায়কারীর তিনটি অবস্থা রয়েছে। প্রথমতঃ মসজিদের প্রথম কাতার মুছল্লী দ্বারা পূর্ণ হ’লে চেয়ারে ছালাত আদায়কারীরা কাতারের যেকোন এক পার্শ্বে ছালাত আদায় করবে। ক
উত্তর : তেলাওয়াতে কোন ভুল হ’লে সহো সিজদা যেমন ইমামকে দিতে হবে না, তেমনি মুছল্লীকেও দিতে হবে না। বরং ছালাতের রাক‘আতে কম-বেশী হ’লে বা কোন ফরয-ওয়াজিব-সুন্নাত ছুটে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে। তবে সূরা ফাতিহার বিষয়টি স্বতন্ত্র। কেননা এটি ফরয। কেউ যদি
উত্তর : নবুঅত প্রাপ্তির পর থেকেই ছালাত ফরয হয়। তবে তখন ছালাত ছিল কেবল ফজরে ও আছরে দু’ দু’ রাক‘আত করে (কুরতুবী)। যেমন আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন,وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ- ‘তুমি তোমার প্রভুর প্রশংসা জ্ঞাপন কর আছরে ও ফজর
উত্তর : শেষ বৈঠকে ‘আত্তাহিইয়া-তু’ পড়ার পরে দরূদ, দো‘আয়ে মাছূরাহ এবং সম্ভব হ’লে অন্য দো‘আ পড়বে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১২৯; মির‘আত ১/৭০৪; ঐ, পৃ. ৩/২৯৪-৯৫, হা/৯৪৭, ৯৪৯; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘শেষ বৈঠক’ অধ্যায় ১১৬ পৃ.)। আর দরূদ ছুটে গেলে সহো সিজদা দেওয়া যরূরী
উত্তর : প্রথম সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত সমাপ্ত করায় ছালাত শুদ্ধ হয়েছে (বুখারী হা/৭১৫; জাছছাছ, শারহু মুখতাছারুত ত্বাহাবী ২/১৭)। তবে সহো সিজদার পরে সালাম না ফিরানো ভুল হয়েছে। কারণ সহো সিজদার পর সালাম ফিরানো সুন্নাত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১০১৬, দ্র. ছালাত
উত্তর : রুকূ ও সিজদায় কুরআনের সূরা ও আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! আমাকে রুকূ-সিজদায় কুরআন তেলাওয়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই তোমরা রুকূতে তোমাদের রবের মহিমা বর্ণনা কর। আর সিজদায় অতি মনোযোগের সাথে দো‘আ কর। আশা করা
উত্তর : সিজদায় যাওয়ার সময় মাটিতে প্রথমে কপাল রাখবে এরপর নাক রাখবে। আর উঠানোর সময় সুবিধামত উঠাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ১/৩৭০ পৃ.)।প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেয, হড়গ্রাম, রাজশাহী।
উত্তর : বাজার থেকে সদ্য ক্রয়কৃত নতুন-পুরাতন সকল পোষাক ধুয়ে পরিধান করা উত্তম। কারণ নতুন পোষাকেও অনেক মানুষের স্পর্শ থাকে, যার ফলে অপবিত্রতা লেগে যেতে পারে। আর ব্যবহৃত পুরাতন পোষাক ধুয়ে পরিধান করা যরূরী। কারণ উক্ত পোষাকের অপবিত্রতা লেগে থাকার স
উত্তর : এভাবে খুৎবা শুনে জুম‘আর ছওয়াব অর্জিত হবে না। বরং মসজিদে গিয়ে ইমামের খুৎবা শুনে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করবে। প্রয়োজনে যে মসজিদে খুৎবা উত্তমরূপে দেওয়া হয়, সেখানে গিয়ে খুৎবা শুনে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ১৩/২২৩
উত্তর : পবিত্র কুরআন মূলতঃ তিনটি বিষয়ে বিভক্ত। তাওহীদ, আহকাম ও নছীহত। সূরা ইখলাছে ‘তাওহীদ’ পূর্ণভাবে থাকার কারণে তা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। অর্থাৎ সূরা ইখলাছ একবার পাঠে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ পাঠের ছওয়াব অর্জিত হয়, যদিও তা এক-তৃতীয়
উত্তর : এক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা যাবে না। বরং কোন ওযূখানায় বা কোন বাড়িতে পর্দার পরিবেশ খুঁজে নিয়ে ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। কোনভাবেই ব্যবস্থা না করা গেলে বাধ্যগত অবস্থায় তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৫/১৩১ পৃ.)।
উত্তর : ফজরের ফরয ছালাতের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নফল ছালাত নেই (আবুদাউদ হা/১২৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৩৫৩; ইরওয়া হা/৪৭৮)। তবে যদি কারো ফজরের দুই রাক‘আত সুন্নাত ছালাত কাযা থাকে তাহ’লে সেটা আদায় করবে (আবুদাউদ হা/১২৭৮; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৩৫৩; উছায়মীন, আশ-শার
উত্তর : চোখে চশমা থাকাকালীন নাক ও কপাল মাটিতে স্পর্শ করিয়ে সিজদা করা সম্ভব হ’লে চশমা পরে সিজদা দেওয়ায় কোন দোষ নেই। তবে চশমা কপাল ও নাক মাটিতে স্পর্শ করাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে চশমা খুলে ছালাত আদায় করবে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/১৮৬)। কারণ র
উত্তর : তেলাওয়াতের শুরুতে তথা সূরা ফাতিহা পাঠের পূর্বে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করা সুন্নাত। সে হিসাবে প্রথম রাক‘আতে সূরা ফাতেহার পূর্বে আঊযুবিল্লাহ পড়তে হয়। আল্লাহ তা‘আলা তেলাওয়াতের শুরুতে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ পাঠ করার নির্দেশনা দিয়েছেন (নাহ্ল ১৬/৯৮)। স
উত্তর : সামনে কাতারের জায়গা ফাঁকা রেখে পিছনে কাতার করা যাবে না। এটি রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের সুন্নাত বিরোধী। কাতারের সাথে কাতার মিলিয়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা (ছালাতের) কাতারসমূহে মিলে-মিশে দাঁড়াবে। এক কাতা
উত্তর : কেবল ছালাতই নয় যেকোন ইবাদতরত অবস্থায় কারো মৃত্যু তার জন্য পরকালীন কল্যাণের বার্তা বহন করে। যেমন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ কোন ব্যক্তির ভালো চান, তাকে মানুষের প্রিয়পাত্র করেন। কেউ রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! প্
উত্তর : ছালাত চলাকালীন কোন মুছল্লী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশের মুছল্লীরা ছালাত ছেড়ে দিয়ে তাকে সাহায্য করবে। তবে ইমাম অন্যান্য মুছল্লীদের নিয়ে ছালাত চলমান রাখবেন। রাসূল (ছাঃ) ছালাতরত অবস্থায় সাপ ও বিচ্ছু মারতে বলেছেন (আবূদাঊদ হা/৯২১ প্রভৃতি; মিশকাত হা
উত্তর : সক্ষম ব্যক্তির জন্য নফল ছালাত দাঁড়িয়ে আদায় করা উত্তম। তবে কেউ বসেও আদায় করতে পারে। সেক্ষেত্রে সে দাঁড়িয়ে আদায়কারীর অর্ধেক ছওয়াব পাবে (বুখারী, মিশকাত হা/১২৪৯, ১২৫২)। উল্লেখ্য, সক্ষম ব্যক্তি ফরয ছালাত দাঁড়িয়েই আদায় করবে। কেননা ক্বিয়াম ছ
উত্তর : উভয় মসজিদেই ছালাত আদায় করা যাবে। তবে ছালাতের যে জামা‘আতে লোক সংখ্যা বেশী হয়, তাতে বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ছালাতের নেকী অর্জনের ব্যাপারে ঐ ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা নেকীর ভাগিদার, যে বেশী দূর থেকে আগমনকারী’ (বুখারী হা/৬৫১;
উত্তর : সাধ্যমত জামা‘আতে ছালাত আদায় করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ জামা‘আতে ছালাত আদায় করা পুরুষের জন্য ওয়াজিব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আযান শুনল, অথচ জামা‘আতে এলো না, তার ছালাত হ’ল না। তবে বিশেষ ওযর ব্যতীত’ (ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; ছহীহ ইবনু হিববা
উত্তর : ঋতুর মেয়াদ শেষে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (মুসলিম হা/৩৩৪; বুলূগুল মারাম হা/১৩৯)। কারণ গোসল ও ওযূ করে যে সকল ইবাদত করা যায়, অসুস্থতার কারণে তায়াম্মুম করেও সে সকল ইবাদত করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি পানি না পাও, তাহ’লে
উত্তর : যে ব্যক্তি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এরূপ কাজে পুনরায় জড়িয়ে পড়েছে তাকে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে একনিষ্ঠভাবে তওবা করতে হবে (আবুদাঊদ হা/১৫২১; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৭৩৮)। বারবার জড়িয়ে পড়লে বারবার তওবা করবে। তবে স্মর্তব্য যে, তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত
উত্তর : প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। জেহরী ছালাতে ইমামের পিছনে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। আর যোহর ও আছর তথা সের্রী ছালাতে ইমামের পিছনে ১ম ও ২য় রাক‘আতে সূরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সূরা এবং শেষ ২ রাক‘আতে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ ক
উত্তর : ছাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে বুঝা যায় যে, তারা তাহিইয়াতুল মসজিদ সাধারণতঃ সংক্ষিপ্ত করতেন (মুসলিম হা/২৪৮৪)। এছাড়া রাসূল (ছাঃ)-এর খুৎবা চলাকালীন জনৈক ছাহাবী মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়াতুল মসজিদ না পড়ে বসে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তাকে সংক্ষেপে দু’রাক‘আত
উত্তর : কারু ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কারু জন্য বৈধ নয়। একত্রে বাজার-ঘাটে কেউ কাউকে বাধা দেন না, অথচ মসজিদে একত্রে ছালাত আদায় করতে গেলে হানাফী ভাইয়েরা আহলেহাদীছ ভাইদের বাধা দিবেন, এটি কখনই সঙ্গত নয়। তবুও যদি তারা আহলেহাদীছদের মসজিদ থেক
উত্তর : একাকী বা ইমাম অবস্থায় এমন সন্দেহ হ’লে এক রাক‘আত ছালাত আদায়ের শেষ বৈঠকে সহো সিজদা দিয়ে সালাম ফিরাবে। কারণ সূরা ফাতিহা ছালাতের অন্যতম রুকন। তবে মুক্তাদী অবস্থায় এমন সন্দেহ হ’লে তার কিছুই করতে হবেনা, স্রেফ ইমামের অনুসরণ করবে (বুখারী হা/৭
উত্তর : পুরুষের ন্যায় নারীরাও একাকী জেহরী ছালাতে তথা মাগরিব, এশা ও ফজরে সরবে ক্বিরাআত করবে। কারণ ছালাতের বিধানে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে পাশে গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে নীরবে পাঠ করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/১০০; বিন বায, ফাতাওয়া নূর
উত্তর : সূরা ফাতিহায় বিস্মৃতিজনিত ভুল হ’লে তা শুদ্ধ করে পাঠ করতে হবে এবং সহো সিজদা দিতে হবে। কারণ এটা ছালাতের অন্যতম রুকন। আর সূরা ফাতিহার পরে অন্য ক্বিরাআতে ভুল করলে সহো সিজদা দিতে হবে না। বরং ইমাম বা মুক্তাদী ছালাত আদায়কালে সূরা ফাতিহা শেষে
উত্তর : এমন ঘরে ছালাত আদায় করলে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ এটি ছালাত ভঙ্গের কারণ নয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৬/২৫৪; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/২৯৪)। তবে এ ব্যাপারে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না (ব
উত্তর : গুনাহগার হ’তে হবে। বরং কষ্টসাধ্য হ’লে গরম পানি করে গোসল করবে এবং সময়ের মধ্যে ফজরের ছালাত আদায় করবে। আর অসুস্থতার ভয় থাকলে তায়াম্মুম করে ছালাত আদায় করবে (আবুদাঊদ হা/৩৩৪, ৩৩৬; মিশকাত হা/৫৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৩৬২; ইবনু কুদামা, মুগনী ১/১৮৯-
উত্তর : লোশনে বা সেন্টে ব্যবহৃত এ্যালকোহল খাদ্য বা পানীয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। এতে সামান্য পরিমাণ পরিশোধিত এ্যালকোহল ব্যবহার করা হয় তা সংরক্ষণের জন্য। অতএব এসব লোশন ব্যবহার করা অপছন্দনীয়, তবে হারাম নয়। এতে ছালাত আদায়ও শুদ্ধ হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়
উত্তর : উক্ত মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) এক রাতে ছালাতে সূরা মায়েদার ১১৮ আয়াতটি বারবার তেলাওয়াত করছিলেন (ইবনু মাজাহ হা/১৩৫০; তিরমিযী হা/৪৪৮; আহমাদ হা/১১৬১১; মিশকাত হা/১২০৫)। আয়াতটির অনুবাদ হ’ল- ‘যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তাহ’লে তা
উত্তর : একই মসজিদে একাধিক জুম‘আ কায়েম করা যাবে না। ইসলামের ইতিহাসে এমন পদ্ধতি কোথাও চালু ছিল না। বরং মসজিদ সম্প্রসারণ করবে এবং একটি বড় জামা‘আতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। জুম‘আর জামা‘আত না পেলে পরে যোহরের ছালাত জামা‘আতে বা একাকী আদায় করবে। অতএব এ
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত সর্বনিম্ন ২ রাক‘আত পড়ার কথা রাসূল (ছাঃ) উল্লেখ করেছেন (মুসলিম হা/৭৬৮; আবুদাঊদ হা/১৪২২; মিশকাত হা/১২৬৫)। আর সর্বোচ্চ হ’ল ৮ রাক‘আত (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২৫৬; আবুদাঊদ হা/১৩৬২; মিশকাত হা/১২৬৪)। তিনি কখনো এই ছালাত এত দীর্ঘ করতেন যে,
উত্তর : অশ্রুপাত যদি আল্লাহভীতির কারণে হয়, তবে তা সর্বোত্তম এবং এটি আল্লাহভীরু বান্দাদের অন্যতম নিদর্শন (আবুদাঊদ হা/৯০৪; নাসাঈ হা/১২১৪)। তবে দুনিয়াবী কারণে চিৎকার করে কান্নাকাটি করা যাবে না। এতে বরং ছালাত বাতিল হয়ে যাবে (মুগনী ২/৪০-৪১; আল-মাওসূ‘আতুল
উত্তর : জানাযার ছালাতেও যথারীতি পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলাতে হয়। এক্ষেত্রে জানাযার ছালাত ও সাধারণ ছালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই (মুগনী ২/১৮৫, ২/৩৬৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২২-২৩, ১৭/১০)।প্রশ্নকারী : আফযাল হোসাইন, বিরল,
উত্তর : সূর্যাস্তের সাথে সাথে মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং পশ্চিমাকাশে লাল আভা থাকা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি সাধারণতঃ এক ঘন্টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হ’তে পারে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৭/২৭-২৮)।প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, রা
উত্তর : এশার ছালাতে ক্বিরাআত সরবে পাঠ করতে হয় (বুখারী হা/৭৬৯, মিশকাত হা/৮৩৪)। এক্ষণে কেউ যদি ক্বিরাআত নীরবে পাঠ করে তাহ’লে মুক্তাদীরা লোকমা দিবে এবং ইমাম পুনরায় সূরা ফাতিহা থেকে পাঠ করবে। আর যদি এভাবেই এক রাক‘আত শেষ হয়, তাহ’লে তার জন্য সহ
উত্তর : হাদীছটি সুনান আবুদাঊদে বর্ণিত হয়েছে হাসান সূত্রে (হা/৫১০)। হাদীছের ভাষ্য থেকে বুঝা যায় যে, কতিপয় ছাহাবী এক্বামতের পর ওযূ করতেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, সকল ছাহাবী এক্বামতের পর ওযূ করতেন। বরং ইবনু ওমর (রাঃ) এটা এজন্য উল্লেখ করেছেন যেন ম
আমার আববা ব্যাংকার ছিলেন। প্রথমে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরী করতেন। পরবর্তীতে জনতা ব্যাংকে যোগ দেন। সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকায় তিনি বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসতেন। অন্যান্য ছালাত না পড়লেও পিতার সাথে জুম‘আ পড়াটাই ছিল আমার অভ্যাস। আমাদের বংশ
উত্তর : ছালাতুল হাজত আদায় করা মুস্তাহাব। যেকোন বিপদে বা প্রয়োজনে আল্লাহর সাহায্য কামনার উদ্দেশ্যে ওযূ করে নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতি কিংবা বিশেষ কোন দো‘আ ব্যতীত সাধারণ পদ্ধতিতে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। আল্লাহ ছবর ও ছালাতের মাধ্যমেই তার সাহায্য প্
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কারো মযী বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে তাকে ওযূ করে পুনরায় পুরো ছালাত আদায় করতে হবে। আর ছালাতের পর বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে না। আর ধৌত করার পরে মযী বের হ’লেও তাতে ওযূ নষ্ট হবে।
উত্তর : ছালাতের সিজদায় কারো তন্দ্রাজনিত কারণে মস্তিস্কের পরিবর্তন দেখা দিলে এবং ইমামের তাকবীরের কারণে তন্দ্রা দূরীভূত হয়ে গেলে ওযূ বা ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। বরং এই অবস্থায় ছালাত সম্পন্ন করবে। আর যদি সিজদায় গভীর ঘুম চলে আসে এবং ইমামের তাকবী
উত্তর : চেয়ারে বসে ছালাত আদায়কারীর তিনটি অবস্থা রয়েছে। প্রথমতঃ মসজিদের প্রথম কাতার মুছল্লী দ্বারা পূর্ণ হ’লে চেয়ারে ছালাত আদায়কারীরা কাতারের যেকোন এক পার্শ্বে ছালাত আদায় করবে। কারণ চেয়ারে বসে কাতারের মাঝে ছালাত আদায় করলে কাতারের সৌন্দর্য বিনষ
উত্তর : এ সময় মাসবূক নিজেকে ইমাম মনে করে বাকী ছালাত সমাপ্ত করবে। সামনে জায়গা থাকলে মাসবূক ইমাম সামনে চলে যাবে এবং দু’জন মুছল্লী পিছনে থাকবে। আর সামনে জায়গা না থাকলে দু’জনকে পিছনে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত করবে। আর জায়গা না থাকলে দু’জনকে পাশে নিয়েই ছা
উত্তর : প্রতিটি সুন্নাত পালনে নেকী রয়েছে। ছোট হোক বা বড় হোক সুন্নাত পালনের মধ্যে রয়েছে দুনিয়াবী কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন লোকদের আমল সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম জিজ্ঞাসা করা হবে তাদের ছালাত সম্পর্কে। যদি তাতে কোন ক্
উত্তর : এটি সফর হিসাবে গণ্য হবে না এবং ক্বছর ছালাতের বিধানও প্রযোজ্য হবে না। তবে বিশেষ শারঈ ওযর বশতঃ দু’ওয়াক্তের ছালাত ক্বছর ও সুন্নাত ছাড়াই একত্রে জমা করে পড়া যায়। যেমন যোহর ও আছর পৃথক এক্বামতের মাধ্যমে ৪+৪=৮ এবং মাগরিব ও এশা ৩+৪=৭ রাক‘আত। ই
উত্তর : ছালাত অবস্থায় ওযূ ভেঙ্গে গেলে ছালাত ছেড়ে দিবে এবং ওযূ করে নতুনভাবে ছালাত শুরু করবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছালাতরত অবস্থায় তোমাদের কেউ যখন নিঃশব্দে বাতাস বের করে, সে যেন ফিরে গিয়ে ওযূ করে এসে পুনরায় ছালাত আদায় করে নেয় (আবুদাউদ হা/২০৫;
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (তিরমিযী হা/২৮৪; মিশকাত হা/৯০০)। দুই সিজদার মাঝে প্রচলিত দো‘আটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে। যেমন কোন কোন হাদীছে কেবল ‘রবিবগ ফিরলী, রবিবগ ফিরলী’ (আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর) অং
উত্তর : কাতার সোজা করা, কাতারের শূন্যস্থান পূরণ করা বা ডান বাম থেকে কোন মুছল্লী সরে যাওয়ার কারণে ফাঁকা স্থান পূরণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে ডানে বা বামে সরে যাওয়া মুস্তাহাব (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৫০৩)। ইবনু আববাস (রাঃ) ছালাতে রাসূল (ছাঃ)-এর বা
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় ক্বিবলার দিকে থুথু নিক্ষেপ করা সিদ্ধ নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলে ক্বিয়ামতের দিন তার ঐ থুথু দু’চোখের মধ্যখানে পতিত অবস্থায় উপস্থিত হবে’ (আবুদাউদ হা/৩৮২৪; ছহীহাহ হা/২২২)। তিনি আরো বলেন, ক
উত্তর : যারা দূরপাল্লার পরিবহনে কাজ করে, তাদের জন্য ছালাত ক্বছর করাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) আযারবাইজান সফরে গেলে পুরো বরফের মৌসুম সেখানে আটকে যান ও ছয় মাস যাবৎ ক্বছর করেন (বায়হাক্বী ৩/১৫২ পৃঃ; ইরওয়া হা/৫৭৭, সনদ ছহীহ)। অ
উত্তরঃ জুম‘আর খুৎবা সংক্ষিপ্ত হবে আর ছালাত দীর্ঘ হবে-এর অর্থ হ’ল, খুৎবা তার মান অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হবে। আর ছালাতকে তার সুন্নাত অনুযায়ী দীর্ঘ করতে হবে (বিস্তারিত দেখুন মির‘আত ৪/৪৯৬ পৃঃ)। অত্র হাদীছটির ব্যাখ্যা অন্য হাদীছ দ্বারা সুস্পষ্ট
উত্তরঃ ক্বাযা ছালাতের সুন্নাত আদায় করা ভাল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফজরের ক্বাযা সুন্নাত আদায় করেন। একদা তিনি (ছাঃ) ঘুমিয়ে যান। তিনি সূর্য উঠার পর ফজরের ছালাত আদায় করেন। প্রথমে সুন্নাত পড়েন ও পরে ফরয পড়েন (মুসলিম হা/৪৭৩; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/..)।
উত্তরঃ মুসাফির বাড়ী পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত মুসাফির থাকে। তাই সে যোহর-আছর জমা কছর ও করতে পারে (আবূদাঊদ হা/১২০৮; তিরমিযী ৫৫৩)। তবে বাড়ী পৌঁছে গেলে পূর্ণ ছালাত আদায় করতে হবে। কারণ সে তখন আর মুসাফির থাকে না।
উত্তরঃ মহিলাদের ফরয ছালাতে ইক্বামত দিতে হবে। কারণ ইক্বামত একটি যিকির। আয়েশা (রাঃ) আযান দিতেন, ইক্বামত দিতেন এবং মহিলাদের ইমামতি করতেন, তিনি তাদের মাঝে দাঁড়াতেন (বায়হাক্বী, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৪)। মহিলাদের আযান ইক্বামত দিতে হবে না মর্মে বর্ণিত
উত্তরঃ ছালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং কেউ এ সম্পর্কিত ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছকে ‘মুরসাল’, কেউ ‘মওকূফ’, কেউ ‘যঈফ’, কেউ ‘মওযূ’ বা জাল বলেছেন। যদিও শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছের যঈফ সূত্র সমূহ পরষ্পরকে শক্তিশালী ক
উত্তরঃ ছালাতে দাঁড়ানোর সময় সীসাঢালা প্রাচীরের মত একে অপরের সাথে মিলে দাঁড়াতে হবে। মধ্যে ফাঁকা রাখলে শয়তান প্রবেশ করে এবং মুছল্লী রহমত হ’তে বঞ্চিত হয়। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা কাতার সোজা করবে, বাহু সমূহ সমপর্যায়ে রা
উত্তরঃ রাক‘আত কম হ’লে বা বেশী হ’লে অথবা কত রাক‘আত হয়েছে তা নির্ণয় করতে না পারলে কিংবা তাশাহহুদ ছুটে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে। রাক‘আত কম হ’লে পূর্ণ করার পর তাশাহহুদের বৈঠক শেষ করে দু’টি সিজদা দিতে হবে। রাক‘আত বেশী হ’লে সালাম ফিরানোর পরে হোক অথব
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মেয়ে শিশুর বেলায় এরূপ করতে বলেছেন। এজন্য ধৌত না করলে পবিত্র হয় না। কারণ কি তা জানা যাক বা না যাক রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরূপ করতে বলেছেন তাই করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিমের আক্বীদাহ এরূপই হওয়া উচিত। তবে ইসলাম ধর্মের কোন কিছুই
উত্তরঃ এ সময় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করার সুযোগ থাকলে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে বসবেন। যদি ছালাত আদায় করার সুযোগ না থাকে তাহ’লে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবেন। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’রাক‘আত ছালাত আদায় না করে বসতে নিষেধ করেছেন (বুখারী, ‘কিতাবুছ ছালাত’ হা/
উত্তরঃ ঐ ছালাত পুনরায় আদায় করতে হবে। কারণ উক্ত ছালাত ওয়াক্তের অনেক পূর্বেই আদায় করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করতে বলেছেন (নিসা ১০৩)। রাসূল (ছাঃ)ও নির্দিষ্ট সময়ে ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন (মুসলিম হা/২৩৯)।
উত্তরঃ বৈধ হবে না। ইমামের পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয হওয়ার শর্ত হচ্ছে স্থান এক হতে হবে, কাতারগুলোকে মিলিতভাবে হ’তে হবে এবং ইমাম সম্মুখে থাকবেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৩৬-৩৮)।
উত্তরঃ অন্যান্য ছালাতের ন্যায় জানাযার ছালাতেও উভয় দিকে সালাম ফিরানোর ছহীহ হাদীছ রয়েছে। আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, লোকেরা তিনটি কাজ ছেড়ে দিয়েছে, যেগুলো রাসূল (ছাঃ) করতেন। তার একটি হচ্ছে, জানাযার ছালাতের সালাম অন্যান্য ছালাতের ন্যায় হ
উত্তরঃ জানাযা করে দাফন করাই সুন্নাত (আবুদাউদ হা/৩১৮০; মিশকাত হা/১৬৬৭)। কিন্তু বাধ্যগত কারণে জানাযা করতে না পারলে পরে যথাসম্ভব দ্রুত জানাযা করা যায় (ইরওয়া ৩/১৮৬)।
উত্তরঃ জুম‘আর ছালাতের শেষ রাক‘আতের রুকূ পেলে রাক‘আত হবে। আর রুকূ না পেলে চার রাক‘আত যোহরের ছালাত আদায় করবে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আপনি জুম‘আর এক রাক‘আত পেলে অপর রাক‘আত মিলিয়ে নিন। তবে রুকূ না পেলে চার রাক‘আত পড়ুন (বায়হাক্বী, ইরওয়া হ
উত্তরঃ বৃষ্টির কারণে যোহর ও আছর এক সাথে আদায় করা যায়। ছাহাবীগণ বৃষ্টির কারণে মাগরিব ও এশার ছালাত জমা করতেন (মুওয়াত্ত্বা, বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/৫৮৩, ৩/৪১ পৃঃ)। তাছাড়া মুক্বীম অবস্থাতে বিনা ক্বছরে দু’ ওয়াক্তের ছালাত একত্রে জমা করা যায় (ছহীহ আবুদাঊদ হা/১২
উত্তরঃ ছালাতুত তাসবীহ পড়ার প্রমাণে বর্ণিত হাদীছগুলি জাল। ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন, এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত নেই। ইমাম আবু হানীফা, মালিক ও শাফেঈ (রহঃ) ছালাতুত তাসবীহ সম্পর্কে জানতেন না (ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, পৃঃ ৩৬৩, মাসআলা নং ২৯৩)।
উত্তরঃ বিনা কারণে লাগাতার এরূপ করলে ছালাত নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এর ফলে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হয়। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সেসব ঈমানদার মুক্তি পেয়ে গেছে, যারা নিজেদের ছালাতে একান্তভাবে বিনয়াবনত হয়’ (মু’মিনূন ১-২)। অতএব একান্ত প্রয়োজনে মা
উত্তরঃ শামিল হতে পারবে। তার জন্য দ্বিতীয় ছালাত নফল হিসাবে গণ্য হবে (ছহীহ্ আবুদাঊদ হা/৫৭৪; আলবানী, মিশকাত হা/১১৪৬, সনদ ছহীহ)।
উত্তরঃ সর্বদা এভাবে নির্দিষ্ট করে পড়া সুন্নাতী তরীকা নয়। নবী করীম (ছাঃ) সর্বদা এরূপ করেননি। অন্য এক হাদীছে এসেছে, তিনি একবার ফজরের দু’রাক‘আতেই একই সূরা (সূরা যিলযাল) পাঠ করেছিলেন (ছহীহ্ আবুদাঊদ হ/৮১৬)।
উত্তরঃ ময়লা বলতে যদি অপবিত্র কিছু থাকে তাহলে সেখানে ছালাত আদায় করা যাবে না। কারণ ছালাত আদায় করার জন্য স্থান পবিত্র হওয়া শর্ত। আর অন্য কোন ময়লা বা কষ্টদায়ক কিছু থাকলে যেমন কংকর ইত্যাদি সরানো যাবে মাত্র একবার (বুখারী হা/৩৮৫, ১২০৮; মুসলিম হা/৬২০)।
উত্তরঃ যাবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৬)। তবে কবরের উপরে উঠা যাবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৭)। বরং জানাযার ছালাতের সময় বিনা কারণে জুতা খুলে রাখলে অথবা খুলে তার উপর দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করার বিষয়টি ভিত্তিহীন প্রথা মাত্র।
উত্তরঃ আযান দিয়ে ছালাত আদায় করতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন ছালাতের সময়ে উপস্থিত হবে তখন তোমাদের কেউ যেন আযান দেয় এবং তোমাদের মধ্যের বড় ব্যক্তি যেন ইমামতি করে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮৩)। দুইজন ব্যক্তি সফরে গেলেও তাদের রাসূলুল্লাহ (ছ
উত্তরঃ পুনরায় বিতর পড়তে হবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক রাতে দু’বিত্র নেই’ (ছহীহ্ তিরমিযী হা/৪৭০; ছহীহ্ আবুদাঊদ হা/১৪৩৯)। তবে যিনি তাহা্জ্জুদের ছালাত নিয়মিত আদায় করেন তিনি প্রথম রাতে বিত্র আদায় না করে তাহাজ্জুদ শেষে বিত্র আদায় করবেন (মুসলি
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘বা‘ইদ বায়নী (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮১২) ও ‘সুবহানাকা... দু’টিই পড়েছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৮১৫)। দ্বিতীয়টির সনদে কিছু বিতর্ক রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাতের নফল ছালাতে ‘সুবহা-নাকা...’
উত্তরঃ উক্ত আমলের পক্ষে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। শুধু আয়াতুল কুরসী পড়ার দলীল রয়েছে (নাসাঈ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২)।
উত্তরঃ দুই সালামের পরে মাসবূক দাঁড়াবে। কারণ ইমামের দু’সালাম পর্যন্ত মুক্তাদীকে ইমামের অনুসরণ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইমাম নির্ধারণ করা হয় তার অনুসরণ করার জন্য’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯; হাইআতু কিবারিল ওলামা ১/২১৮ পৃঃ)।
উত্তরঃ পকেটে টাকা বা পরিচয় পত্র থাকলে ছালাতের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা সেটা চোখে দেখা যায় না। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বললেন, তুমি এ চাদরটি আমার সামনে থেকে সরিয়ে নাও। এর ছবি আমার ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট করে (বুখারী, মিশকাত হা/৭৫
উত্তরঃ ডান হাতে আঙ্গুলের মাধ্যমে তাসবীহ গণনা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ডান হাতে তাসবীহ গণনা করতেন (আবুদাঊদ হা/১৫০২; সিলসিলা যঈফাহ হা/৮৩-এর আলোচনা)। তিনি ডান দিক থেকে কাজ করা পসন্দ করতেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪০০)। আঙ্গুলকে ক্বিয়ামতের দিন জি
উত্তরঃ নিরুপায় অবস্থায় এক সাথে থাকা যাবে। তবে তাদেরকে আল্লাহ যা আদেশ করেছেন তা পালন করার জন্য এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ভাল কাজে আদেশ কর এবং মন্দ কাজের নিষেধ কর’ (আলে ইমরান ১১০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তরঃ পারবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৯)। তবে তাদের জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায় করা উত্তম (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১০৬২ ও ১০৬৯)। জুম‘আর ছালাতে তাদের জন্য মসজিদে যাওয়া ভাল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মহিলাদের মসজিদে যেতে নিষেধ কর না’ (মুসলিম, মিশকাত হা
উত্তরঃ ইমামের পিছনে জ্ঞানী ও সম্মানী ব্যক্তিগণ দাঁড়াবেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৮৯)। এরপরে সবাই স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াবে। বাচ্চাদের পিছনের কাতারে দাঁড়াতে হবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১১১৫)।
উত্তরঃ পড়া যাবে। যেমনটি বেলাল (রাঃ) পড়তেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩২২; তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/১৩২৬)। তবে সময় সংক্ষেপ হ’লে কেবল ফরয ছালাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নাত পড়তে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১১৫৯)।
উত্তরঃ সুবহা-না রবিবয়াল ‘আযীম ও সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা কম পক্ষে তিনবার বলবে (ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮)। অন্য দো‘আও পাঠ করা যাবে। বেশী বলার নির্ধারিত সংখ্যা নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো কখনো দীর্ঘ সময় রুকূ ও সিজদাতে থাকতেন এবং দো‘আ সমূহ পাঠ করতেন (আ
উত্তরঃ রুকূর পূর্বে ক্বিরাআত শেষে বুকে হাত বাঁধা অবস্থায় কুনূত পড়ার দলীল পাওয়া যায় না। একইভাবে ‘তাকবীরে তাহরীমা’র ন্যায় দু’হাত উঠিয়ে পুনরায় বুকে বাঁধারও কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে রুকুর আগে বা পরে উভয় অবস্থায় দু’হাত উঠিয়ে দো‘আয়ে কুনূত পড়ার দল
উত্তরঃ সূর্যাস্তের বা মাগরিবের পূর্বে যদি এক রাক‘আাত ছালাত আদায় করার মতও সময় না থাকে তাহ’লে সেটাই ছালাতের জন্য নিষিদ্ধ সময়। কারণ কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে আছরের এক রাক‘আত ছালাত আদায় করতে পারে, তাহ’লেই সে আছরের ছালাত পেয়ে গেছে বলে গণ্য হবে (ব
উত্তরঃ সালাম ফিরানোর পর যখন মনে পড়বে তখন সহো সিজদা দিতে হবে। কারণ এটাও একটা ভুল। আর ভুলের প্রতিকার হচ্ছে সহো সিজদা দেয়া। সালামের পরেও সহো সিজদা দেয়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/১০২১)।
উত্তরঃ ইমাম যে অবস্থায় থাকবেন সে অবস্থায় মুক্তাদী ছালাতে যোগদান করবে । সূরা ফাতিহা পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ... তোমরা যতটুকু পাবে ততটুকু (ইমামের সাথে) আদায় কর, আর যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ কর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৬)
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়।
উত্তরঃ যে কোন ছালাতের জন্য ওযূ করার পর ওযূ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অন্য ছালাত আদায় করা যাবে। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রত্যেক ছালাতের জন্য ওযূ করতেন। আমাদের কারো ওযূ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত একই ওযূতে বার বার ছালাত আদায় করতেন (দারেমী, মিশ
উত্তরঃ একটু থেমে উঠতে হবে। একে ‘জালসায়ে ইস্তিরাহাত’ বলা হয়। মালিক ইবনে হুওয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ছালাত আদায় করতে দেখেছেন যে, নবী করীম (ছাঃ) তাঁর ছালাতের প্রথম রাক‘আত কিংবা তৃতীয় রাক‘আত হ’তে উঠার সময় কিছুক্ষণ না বসে উঠতেন
উত্তরঃ একটি সূরা পড়ার কারণ হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি সূরা পড়তেন। তিনি ফরয ছালাতের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য দু’টি সূরা পড়তেন। আর শেষ দু’রাক‘আতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়তেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৮)। ইবাদত হ’ল তাওক্বীফী। যাতে ক
উত্তরঃ সমস্যা হবে না। তবে ইমাম একাকী উপরে দাঁড়াতে পারবেন না। একদা আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) একাকী উপরে দাঁড়িয়ে ইমামতি করছিলেন। হুযায়ফা (রাঃ) তাঁকে পিছন থেকে ধরে টেনে সমতল যমীনে নামিয়ে দেন এবং বলেন, আপনি শুনেননি, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ইমাম যেন মু
উত্তরঃ মুসাফির ব্যক্তি ছালাত কছর করবে (নিসা ১০১; ছহীহ মুসলিম হা/৬৯১; মিশকাত হা/১৩৩৭)। কিন্তু মুসাফির হয়ে মুক্বীম ইমামের পেছনে ছালাত আদায় করলে পূর্ণই পড়তে হবে (আহমাদ, ইরওয়াউল গালীল হা/৫৭১)। কছর করা ওয়াজিব নয় এবং কছর না করলে গুনাহও হবে না। তবে
উত্তরঃ বাইরে পড়াই সুন্নাত। তবে বিশেষ অবস্থায় মসজিদের মধ্যে জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৫৬)।
উত্তরঃ বিতর ব্যতীত তাহাজ্জুদ ছালাতের সর্বনিম্ন রাক‘আত সংখ্যা হচ্ছে দুই (মুসলিম হা/১৩৯, ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়)। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, রাতের (নফল) ছালাত দু’রাক‘আত দু’রাক‘আত’ (বুখারী হা/৪৭২; মুসলিম হা/৭৪৯; মিশকাত হা/১২৫৪)। অতএব সর্ব
উত্তরঃ ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকলেও জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উচিত। কারণ ইসলাম মসজিদে গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৭০২ ও ১০৫২)। তাছাড়া অন্য হাদীছে এসেছে, আযান শুনার পরেও গ্রহণযোগ্য ওযর ছাড়
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন সর্বপ্রথম কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন তখন ভিতরে ঢুকে ছালাত আদায় করেছিলেন কি-না এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উসামা, বেলাল ও ওছমান বিন তালহাকে নিয়ে কা‘বা গৃহে প্রবেশ করেন ও দরজা বন্ধ করে
উত্তর : উক্ত অবস্থায় সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে যোগ দিতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ফরয ছালাতের এক্বামত হ’লে সেই ফরয ছালাত ব্যতীত অন্য কোন ছালাত চলবে না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৫৮)।
উত্তর : তারা মসজিদ কমিটির সদস্য হ’তে পারবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আল্লাহর মসজিদে আবাদকারী (তত্ত্বাবধায়ক ও খাদেম) তো সে লোকেরাই হ’তে পারেন যারা আল্লাহ এবং পরকালকে বিশ্বাস করে, ছালাত আদায় করে, যাকাত প্রদান করে, আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে
উত্তরঃ বিতর ছালাত এক, তিন, পাঁচ, সাত ও নয় রাক‘আত পর্যন্ত পড়া যায়। তিন রাক‘আত বিতর পড়লে এক তাশাহ্হুদে আদায় করতে হবে। দু’রাক‘আত পড়ার পর বসা যাবে না (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৫৪)। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিতর ছালাতকে মাগরিবের ছালাতের মত করে আদা
উত্তরঃ ছালাতের মধ্যে বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে বুকের উপরে বাঁধতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭৯৭-৯৮; আবুদাঊদ হা/৭৫৯)। এছাড়া ডান হাতকে বাম হাতের তালুর পিঠ, কব্জি ও বাহুর উপর রাখা মর্মে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (আবুদাঊদ হা/৭২৭; নাসাঈ হা/৮৮৯)। উল্লেখ্য, ন
উত্তরঃ মুক্তাদী পুনরায় সম্পূর্ণ ছালাত আদায় করবে। কারণ সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ছালাত সম্পূর্ণ হয় (আবুদাঊদ হা/৬১; তিরমিযী হা/৩; ইবনু মাজাহ হা/২৭৫)। উল্লেখ্য, শেষ বৈঠকে বসে ওযূ নষ্ট হ’লে ছালাত হয়ে যাবে মর্মে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে যে হাদীছ বর্ণিত
উত্তর : অবশ্যই শরীক হতে পারবে এবং তার পূর্ণ নেকী পাবে। পরবর্তী ছালাত তার জন্য নফল হিসাবে গণ্য হবে। আবু যার গিফারী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে বলেন, যখন তোমাদের আমীরগণ নির্দিষ্ট সময় হতে ছালাত দেরী করে পড়বে তখন কী করবে
উত্তর : ছালাতে ইমাম ভুল করলে মুক্তাদীরা লোকমা দিবে (আবুদাঊদ হা/৯০৭)। যদি ক্বিরাআতে ভুল হয় তাহলে সহো সিজদা দেওয়া লাগবে না (আবুদাঊদ হা/৯০৮; নায়লুল আওত্বার ২/৩৭২)। তবে রাক‘আত গণনায় ভুল হলে ঐ রাক‘আত পুনরায় পড়ে সহো সিজদা দিতে হবে। রাক‘আতের ব্যাপারে সন
উত্তরঃ জুম‘আর ছালাতে কেবল তাশাহ্হুদ পেলে সালাম শেষে দাঁড়িয়ে যোহরের চার রাক‘আত ফরয ছালাত আদায় করবেন। কারণ তিনি রাক‘আত পাননি (ইবনু মাজাহ হা/১১২৩; দ্রঃ তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৫২৪)।
উত্তরঃ সুতরা অর্থ আড়াল করার বস্ত্ত। মুছল্লীর দাঁড়ানো অবস্থার পায়ের অগ্রভাগ থেকে সম্মুখ ভাগের দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত সুতরা। এতটুকু দূরত্বের বাহির দিয়ে যাতায়াত করতে কোন বাধা নেই। যদিও সুতরা ব্যবহার না করা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কা বিজয়ের দিন কা‘ব
উত্তরঃ দুই সালামের পর দাঁড়াবেন। এটিই সঠিক।
উত্তরঃ আযান শেষে বাড়ি বাড়ি ডাকতে যাওয়ার কোন বিধান নেই। এমনকি ছালাত আরম্ভ হওয়ার পূর্বেও বলা যাবে না। আযানের পরে এভাবে ডাকা বিদ‘আত। ইবনে ওমর (রাঃ) একথা বলেন’ (ইরওয়া ১/২৫৫)।
উত্তরঃ পারেন। কারণ যে কোন বস্ত্ত সুতরা হিসাবে গ্রহণ করা যায়। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের কোন ব্যক্তি কোন কিছু সামনে রেখে ছালাত আদায় করবে, যা লোকদের থেকে তাকে আড়াল করবে...’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৭৭৭)।
উত্তর : মিশকাতে উদ্ধৃত আলী কর্তৃক বর্ণিত বায়হাক্বীর উক্ত হাদীছটি যঈফ, যা মিশকাতেই বলে দেওয়া হয়েছে’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, মিশকাত হা/৯৭৪; সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৭৪)। তবে পৃথক সনদে নাসাঈ কুবরাতে ও ছহীহ ইবনে হিববানে আবু উমামা থেকে ছহীহ সনদে হাদ
উত্তর : তারাবীহর ছালাতের জন্য নির্দিষ্ট কোন দো‘আ নেই। তাছাড়া প্রচলিত পদ্ধতিতে যে মুনাজাত করা হয় তাও শরী‘আত সম্মত নয় এবং উক্ত দো‘আ পাঠের প্রমাণে কোন দলীল পাওয়া যায় না।
উত্তর : উক্ত দাবী ভ্রান্ত ও মিথ্যা। এক শ্রেণীর অজ্ঞ ও পথভ্রষ্ট লোকেরা এই দাবী করে থাকে। যারা এদের কথা মেনে নেয় তারা মুসলমান থাকতে পারে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘রাসূল যা দিয়েছেন তা তোমরা গ্রহণ কর। আর তিনি যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন কর’
উত্তর : আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তোমরা মাগরিবের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় কর। তোমরা মাগরিবের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় কর, তোমরা মাগরিবের পূর্বে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় কর, যে ব্যক্তি ইচ্ছা কর’ (মুত্তা
উত্তর : ‘ওমরী ক্বাযা’ আদায় করার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। কোন ব্যক্তির বিগত দিনের ছেড়ে দেওয়া ছালাত ও ছিয়ামের জন্য অনুতপ্ত হয়ে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় না করার প্রতিজ্ঞা করে খালেছ নিয়তে তওবা করলে তার অতীতের গোনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ
উত্তর : ঘটনাটি জাল বা মিথ্যা (বিস্তারিত দ্র. তাফসীর ইবনে কাছীর, ৭/২৪৪-৪৬ পৃঃ, সূরা তওবা ৭৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যা)।
উত্তর : মহিলারা তারাবীহ-এর জামা‘আতে শামিল হ’তে পারবে, যদি মসজিদে গমনের পথ নিরাপদ থাকে। এক্ষেত্রে তাদেরকে সুগন্ধি ব্যবহার ও সৌন্দর্য প্রদর্শনী পরিহার করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলঅইহ, মিশকাত হা/১০৫৯-৬০)। তবে মহিলাদের জন্য বাড়ীতে ছালাত আদায়
উত্তর : এমতাবস্থায় আপনি যোহর ও আছর একত্রে জমা করতে পারেন। কেননা বিশেষ অবস্থায় যোহরের সাথে আছরের ছালাত ক্বছর ছাড়াই জমা (একত্রিত) করা যেতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যোহর-আছর ও মাগরিব-এশার ছালাত কোন ভয়-ভীতি ও বৃষ্টি-সফর ছাড়াই জমা করেছেন (ম
উত্তর : কাঁধের সাথে কাঁধ ও কদমের সাথে কদম মিলাবে (বুখারী)। ইমামের সালাম ফিরানোর পরে মাসবূক মুছল্লীগণ পৃথক পৃথকভাবে দাঁড়িয়ে ছালাত পড়তে পারবে।
উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত ছুটে গেলে দিনে পড়ে নেয়া ভাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে কোন কারণে রাতে ছালাত ছুটে গেলে, নবী করীম (ছাঃ) দিনে ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/১৭৩৯, ৪৩ ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়)। তাহাজ্জুদ রাসূলের জন্য ছিল নির্ধারিত
উত্তর : নিয়মিত ছালাত আদায় করার ব্যাপারে স্বামী ও পরিবারের সদস্যগণ তাকে বারবার নছীহত করবে। অধিক নছীহতের মাধ্যমে স্ত্রীর মনের বক্রতা দূর করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তম নছীহত কর। কেননা নারী জাতিকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা
উত্তর : এরূপ ভুলের জন্য ইমাম দায়ী হবেন। তবে তার পিছনে ছালাত হয়ে যাবে। ইমাম সংশোধন না হ’লে মসজিদ কমিটির কর্তব্য হবে, তাকে বাদ দিয়ে অন্য ইমাম নিয়ে আসা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তিন জন ব্যক্তির ছালাত তার মাথার উপরে এক বিঘতও উঠে না (অর্থাৎ তার ছালাত কবুল
উত্তর : সালাম ফিরানোর সময় মুছল্লী স্বাভাবিকভাবে ডানে ও বামে দৃষ্টিপাত করে সালাম ফিরাবে (মুসলিম হা/৪৩১)। আর যদি একাকী ছালাত আদায় করে, তাহ’লে ডানে ও বামে থাকা ফেরেশতাদেরকে সালাম প্রদানের নিয়ত করবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৫৬, ৪৬২; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে’
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন অর্ধরাত্রি পর্যন্ত ছালাত আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন সারারাত্রি ব্যাপী ছালাত আদায় করল’ (ম
উত্তর : তারাবীহসহ যেকোন নফল ছালাতে কুরআন দেখে পড়া যায়। আয়েশা (রাঃ)-এর গোলাম যাকওয়ান রামাযান মাসে কুরআন দেখে আয়েশা (রাঃ)-এর ইমামতি করেছেন (বুখারী, ‘আযান’ অধ্যায়, ৫৪ অনুচ্ছেদ; বায়হাক্বী হা/৩১৮৩)। তবে ছালাতে কুরআন মুখস্থ পড়াই উত্তম। কেননা এতে ছালাতে খুশ
উত্তর : ফরয বা নফল ছালাতের পর একাকী নিয়মিত হাত তুলে দো‘আ করা সমীচীন নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও তার ছাহাবীগণ থেকে এমন নিয়মিত আমল প্রমাণিত নয়। তবে নফল ছালাতের পর বা যেকোন সময়ে ‘আম হাদীছের ভিত্তিতে মাঝে মধ্যে হাত তুলে দো‘আ করা জায়েয বা মুস্তাহাব। কারণ
উত্তর : উভয়ে আলাদা ছালাত আদায় করলে পাশাপাশি বা সামনে বা পিছনে যে কোন স্থানে দাঁড়ানোতে কোন দোষ নেই (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/২৫২)। তবে জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে নারী একাকী হ’লেও পিছনের কাতারে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করবে (বুখারী হা/৩৮০; মুসলিম হা/৬৫৮)।প্রশ্ন
উত্তর : উক্ত হাদীছের সারমর্ম হ’ল ফজরের ছালাত অন্ধকারে শুরু করতে হবে এবং দীর্ঘ কেরাআতের মাধ্যমে আকাশ ফর্সা হয়ে এলে ছালাত শেষ করতে হবে, যা অধিক ছওয়াব লাভের কারণ হবে। যেমন অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ফজরের ছালাতের মাধ্যমে ফর্সা করে দাও যাতে লোক
উত্তর : মুনাজাত বা হাত তুলে দো‘আ শেষে মুখমন্ডল মাসাহ করার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। ইমাম আবুদাঊদ (রহঃ) মুখে হাত মাসাহ করা সংক্রান্ত হাদীছ বর্ণনা করে তা যঈফ হিসাবে উল্লেখ করেছেন (আবুদাঊদ হা/১৪৮৫, পৃঃ ২০৯)। শায়খ আলবানী (রহঃ) এ সংক্রান্ত হাদীছগু
উত্তর : প্রয়োজনে নফল ছালাত সংক্ষিপ্ত করে কিংবা ত্যাগ করেই সাড়া দিবে। কেননা যাদের আহবানে নফল ইবাদত পরিত্যাগ করার অনুমতি আছে তারা হ’লেন পিতা-মাতা ও স্বামী (বুখারী হা/৩৪৩৬; মুসলিম হা/২৫৫০; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতি‘ ৬/৪৮৭)। স্বামীর উপস্থিতিতে তার অনুমতি
উত্তর : ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সফরে বাহনের উপরে বিতর ছালাত আদায় করতেন (বুখারী হা/৯৯৯; মুসলিম হা/৭০০)। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সফরে বিতর ছালাত ও ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত পরিত্যাগ করতেন না (যা-দুল মা‘আদ ১/৪৭৩)। অতএব সফরেও
উত্তর : দেহের স্বাভাবিক ভারসাম্য অনুযায়ী নিজের দুই পায়ের মাঝে ফাঁকা রাখবে (বুখারী হা/৭২৫; আবুদাঊদ হা/৬৬২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৫/৩৫৭)। সমাজে প্রচলিত- ‘দু’পায়ের মাঝে হাতের তালু পরিমাণ স্থান ফাঁকা রাখবে’ কথাটির শরী‘আতে কোন ভিত্তি নেই (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফ
উত্তর : ছালাতে ওয়াজিব তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ সুন্নাত হবে (শাওকানী, আস-সায়লুল জাররা-র (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/২৭৪ পৃ.)। বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী সহো সিজদা না দিলেও চলত। তবে দেওয়াতেও কোন ক্ষতি ন
উত্তর : দিন ও রাতে ফরয ছালাত সতের রাক‘আত অর্থাৎ যোহরের চার, আছরের চার, এশার চার, মাগরিবের তিন ও ফজরের দুই। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা মুক্বীম অবস্থায় ও সফরে দু’রাক‘আত করে ছালাত ফরয করেছিলেন। পরে সফরের ছালাত আগের মত রাখা হয় আর মুক্বীম অব
উত্তর : চোখে দেখা বা কানে শোনার মাধ্যমে যদি ইমামের ইক্বতিদা করা সম্ভব হয়, তবে কাছাকাছি হ’লে তাঁর ইক্বতিদা করা জায়েয। যদিও সেটা মসজিদের বাইরে হয় কিংবা উভয়ের মধ্যে কোন দেওয়াল, রাস্তা বা অনুরূপ কোন প্রতিবন্ধক থাকে (আবুদাঊদ হা/১১২৬; মিশকাত হা/১১১৪)
উত্তর : ইমাম ও মুছল্লী একই কাতারে দাঁড়ালে তারা কাতার সোজা করে পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াবে। ইমাম একটু সামনে আর মুক্তাদী একটু পিছনে দাঁড়াবে এমন বিধান নেই। ইবনু আববাস (রাঃ) সহ একাধিক ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করেছেন কিন্তু আ
উত্তর : অসুস্থ বা মা‘যূর ব্যক্তি চেয়ারে বসে ইশারায় সিজদা করে ইমামতি করতে পারবেন। কারণ রাসূল (ছাঃ) ওযরের কারণে বসে ছালাতে ইমামতি করেছিলেন। আর আবুবকর (রাঃ) তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে এবং অন্যান্য ছাহাবীগণ তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ইকতেদা করেছিলেন (বুখারী হা/৬৮
উত্তর : অবহেলাবশে ছালাত ত্যাগকারীর বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হবে না। বরং কেউ যদি ছালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকার করে, তাহ’লে সে কাফের হয়ে যাবে এবং স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বন্ধন ছিন্ন হবে। যেহেতু আপনারা ছালাতকে অস্বীকার কারী ছিলেন না, সেহেতু আপনাদের মধ্যে তাল
উত্তর : এমতাবস্থায় ছালাত সিদ্ধ হবে (ফাতাওয়া আশ-শাবকাতুল ইসলামিয়া ১১/১৫৪৭)।প্রশ্নকারী : আব্দুল বারী, রাজশাহী।
উত্তর : মুছল্লীদের শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে যেকোন সময় ছালাত শেষে নিয়মিত দ্বীনী আলোচনার আয়োজন করায় কোন বাধা নেই। তবে মুছল্লীদের মাসনূন যিকর-আযকার শেষ হওয়ার পর আলোচনা শুরু করা উত্তম (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৬/৭৪-৭৫)। শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, ছালাতে
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাত ফরয হওয়াকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হ’তে বহিষ্কৃত। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে, সে ব্যক্তি কবীরা গোনাহগার। তার জানাযা ব
উত্তর : বস্ত্তর মূল ছায়ার একগুণ হওয়ার পর হ’তে আছরের ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দু’গুণ হ’লে শেষ হয় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৮৩)।
উত্তর : ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো যাবে না। ইবনু আববাস (রাঃ)-এর গোলাম শো‘বা বলেন, আমি ইবনু আববাসের পাশে ছালাত আদায় করছিলাম। আমি আঙ্গুল ফুটালে তিনি আমাকে ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটাতে নিষেধ করেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, ইরওয়া হা/৩৭৮-এর ব্যাখ্যা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ভূমিকা :আমলের মাধ্যমে ব্যক্তির পরিচয় ফুটে উঠে এবং সে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সৎ আমল করা একজন মুসলিম ব্যক্তির প্রধান দায়িত্ব।
উত্তর : হবে। রাসূল (ছাঃ) এ ধরনের একজন ব্যক্তিকে শুধু নিম্নের দো‘আ শিক্ষা দিয়েছিলেন- ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৮৩২; সনদ হাসান, মিশকাত হা/৮৫৮ ‘ছালাতে
উত্তর : দশ বছরের শিশু বিছানায় পেশাব করলে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে তার উপর কাপড় বিছিয়ে ছালাত আদায় করা যায় এবং কুরআন তেলাওয়াত করা যায় (বুখারী ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৭)।
উত্তর : ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ, সেভাবেই ছালাত আদায় কর’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৮৩)। তিনি নারী ও পুরুষের জন্য দু’বার দু’ভাবে ছালাত আদা
উত্তর : এমতাবস্থায় পরীক্ষা শুরুর আগে সুন্নাত ছাড়াই কেবল যোহর ও আছর দু’এক্বামতে ৪+৪ রাক‘আত (ثمانيًا) জমা করবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, নায়লুল আওত্বার ৪/১৩৬; বুখারী হা/৫৪৩, ৫৬২, ১১৭৪ ‘ফরযের পরে সুন্নাত-নফল না পড়া’ অনুচ্ছেদ; মুসলিম হা
উত্তর : এমতাবস্থায় দু’টি সহজ পথ রয়েছে : (১) প্রতি ওয়াক্তের জন্য পৃথক পৃথক ওযূ করে ছালাত আদায় করবেন (২) যোহর-আছর এবং মাগরিব-এশা সুন্নাত ছাড়াই জমা করে পড়বেন। যেভাবে মুস্তাহাযা নারীর ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে (তিরমিযী; আবূদাঊদ; ম
উত্তর : হাত উঠিয়ে কতক্ষণ রাখতে হবে তা বুখারী কেন কোন হাদীছেই বলা হয়নি; বরং কোন্ পর্যন্ত হাত উঠাতে হবে তা বলা হয়েছে। অতএব ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) বইয়ে যেভাবে বলা হয়েছে সেটিই সঠিক।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।প্রথম অধ্যায় পবিত্রতা (ওযূ ও তায়াম্মুম)ইসলাম পবিত্রতাকে ঈমানের অর্ধেক বলে স্বীকৃতি দি
উত্তর : মোবাইলে গান-বাজনা রাখা ও তা শ্রবণ করা হারাম (লোকমান ৬)। ইসলাম প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার অশ্লীলতাকে হারাম করেছে (আ‘রাফ ৩৩)। সুতরাং এগুলো থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। তবে এসব সেট বন্ধ রেখে ছালাত আদায় করলে ছালাত হয়ে যাবে।
উত্তর : যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) এতে নিষেধ করেছেন (ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/১০০২)। তবে লোক সমাগম বেশী হওয়ার কারণে স্থান সংকুলান না হলে বাধ্য হয়ে দাঁড়ানো যেতে পারে (ছহীহ তিরমিযী হা/২২৯, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য, পিলারের মাঝে কেউ একাকী ছালাত আদায় করলে অথবা ইমাম
উত্তর : শুধু মাগরিব নয় যেকোন ছালাতে মাসবূক মুছল্লী ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায় ছালাতে শরীক হবে এবং যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ করবে (বুখারী হা/ ৬৩৬; মুসলিম হা/৬০২)। দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করে তাশাহ্হুদ পড়তে হয়। অতএব শেষ তাশাহ্হুদ পাওয়ার কারণে মাসবূ
উত্তর : এগুলো মাদকের অন্তর্ভুক্ত এবং হারাম বস্ত্ত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যার বেশীতে মাদকতা আনে, তার অল্পটাও হারাম’ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৩৬৪৫ ‘দন্ডবিধি’ অধ্যায় ‘মদ্যপান’ অনুচ্ছেদ)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, পবিত্র বস্ত্ত তাদের জন্য হাল
উত্তর : এসব দরূদ সুন্নাত বিরোধী যা পড়লে নেকীর স্থানে গুনাহ হবে। একদা ছাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আল্লাহ আমাদেরকে আপনার উপর ছালাত ও সালাম দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আপনার উপর কিভাবে ছালাত পড়ব? তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমরা বল
উত্তর : কোন ফরয ছালাত ছুটে গেলে যখন স্মরণ হবে তখন আদায় করে নিবে। কারণ ফরয ছালাত আদায়ের ব্যাপারে বিলম্বের কোন সুযোগ নেই। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি যদি ছালাত পড়তে ভুলে যায় অথবা ছালাত রেখে ঘুমিয়ে যায়, তা
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কেউ কারু জন্য ছালাত আদায় করতে পারে না। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, কেউ কারো পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করতে পারে না এবং কেউ কারো পক্ষ থেকে ছালাত আদায় করতে পারে না (মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/২০৩৫)। তবে মানতের ছিয়াম একজন অন্য জ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(৭) কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা:কুলুখ নিয়ে হাঁটাহাঁটি করা, কাশি দেওয়া, নাচানাচি করা, দী
উত্তর : প্রসিদ্ধ চার ইমামের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা ছাড়া বাকী তিন ইমাম ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন। ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) শুধু তাকবীরে তাহরীমার সময় রাফ‘উল ইয়াদাইন করতেন|
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ বানাওয়াট ও ভিত্তিহীন। এখানে প্রচলিত বিদ‘আতী তাবলীগে যাওয়ার বিষয়টিকে জামা‘আতে ছালাত আদায় ও হজ্জ করার চাইতে উত্তম কাজ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অতএব এইসব বিদ‘আতীদের সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। এদের কোন বয়ান শুনবেন
উত্তর : মূলতঃ টাখনুর নীচে কাপড় পরিধান করা ও ছালাত আদায় দু’টি দুই বিষয়। টাখনুর নীচে কাপড় পরা নিঃসন্দেহে একটি বড় অপরাধ যা বহু ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/৪৩১১)। সেটা ছালাতের মধ্যে হোক আর ছালাতের বাইরেই হোক। একজন প্রকৃত
উত্তর : যাবে। যদি দেখে বা শুনে ইমামের রকূ, সিজদা, কওমা বুঝা যায় তাহ’লে অন্য মসজিদ বা অন্য স্থান থেকেও জামা‘আতে ছালাত আদায় করা জায়েয। মুক্তাদী ও ইমামের মাঝখানে রাস্তা বা দেয়াল থাকলেও কোন দোষ নেই, যদি মুক্তাদী ইমামের তাকবীরে তাহরীমা সহ সব
উত্তর : ইমামের পিছন থেকে কাতারবন্দি হবে, যাতে ইমাম মাঝখানে হয় এবং তার ডানে ও বামে মুছল্লী সমান হয়। আনাস বিন মালেক বলেন, একদা নবী করীম (ছাঃ) ছালাত আদায় করলেন। তখন আমি ও আমার ছোট ভাই তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। আমার বৃদ্ধা মা উম্মে সুলায়েম দাঁড়ালেন আম
উত্তর : নীরবে পড়া যাবে না; বরং একাকী হলেও সরবে পড়তে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪১১ পৃঃ)। তবে মাসবূক ব্যক্তি নিম্নস্বরে ক্বিরাআত পড়বে। যাতে অন্য মুছল্লীর সমস্যা না হয় (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৬/৪১৫ পৃঃ)।
উত্তর : একদিন এরূপ করেছিলেন (বুখারী হা/৪৬২৫, ৪৭৪০; মুসলিম হা/২৮৬০; তিরমিযী ১৪২৩)। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত অভ্যাস এরূপ ছিল না।
উত্তর : যেকোন ছালাতের পর তাসবীহ পড়া যায় (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৭)। তবে হাদীছে বিশেষভাবে আয়াতুল কুরসী ফরয ছালাতের পরে পড়ার কথা এসেছে (নাসাঈ আল-কুবরা হা/৯৯২৮; আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২)।
উত্তর : উক্ত জুম‘আর ছালাত যোহর হিসাবে ক্বছর করে পড়া যাবে। রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম ছালাত ক্বছর করার সময় জামা‘আতেও পড়তেন। এ মর্মে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৪ ও ১৩৩৮, ‘সফরের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : হাত তোলা যাবে। ছাহাবায়ে কেরাম হাত তুলতেন (বুখারী, কুর্রাতুল আইনাইন বিরাফইল ইয়াদাইন, হা/৯৩ ও ৯৫; সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল ২/১৮১ পৃঃ; ফাতাওয়া ওছায়মীন ১৪/১৩৬-৩৭ পৃঃ)।
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(২৩) মোজার উপরে ও নীচে মাসাহ করা:অনেককে মোজার উপরে নীচে উভয় দিকে মাসাহ করতে দেখা যায়।
উত্তর : ছালাতে ভুলক্রমে কোন ওয়াজিব তরক হয়ে গেলে শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে ‘সিজদায়ে সহো’ দিতে হয়। রাক‘আতের গণনায় ভুল হ’লে বা সন্দেহ হ’লে বা কম বেশী হয়ে গেলে বা ১ম বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণে এবং মুক্তাদীগণের মা
উত্তর : ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত ছালাত জামা‘আতের পূর্বে পড়াই সুন্নাত। কিন্তু তা আদায় করার সময় না পেলে ফরয ছালাত পড়ার পরে পড়তে হবে। ক্বায়েস ইবনু আমের (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একজন লোককে ফজরের ফরয ছালাতের পর দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করতে দ
উত্তর : ছালাতে বাম হাতের উপর ডান হাত রাখার ‘আম হাদীছের উপর (বুখারী, মিশকাত হা/৭৯৮) ভিত্তি করেই উক্ত বিষয়টি চালু হয়েছে। তবে রুকু থেকে উঠে ক্বওমায় দাঁড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে হাদীছে খাছভাবে বর্ণিত হয়েছে ‘যতক্ষণ না অস্থি সমূহ স্ব স্ব জোড়ে ফিরে আসে’ (বু
উত্তর : এটা নিঃসন্দেহে গোনাহের কাজ। কেউ একাজ করলে ফাসেক বা পাপী হবে। তার পিছনে ছালাত আদায় করলে মাকরূহ হবে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৭৭; আবু দাঊদ, মিশকাত হা/৭৪৭, ‘মসজিদ ও ছালাতের স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। তবে তার পিছনে ছালাত আদায় করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ
উত্তর : সালাম ফিরানোর পরে একবার সরবে ‘আল্লাহু আকবার’ এবং তিনবার ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলাই হাদীছ সম্মত (মুত্তাফাক্ব আলাই, মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১ ‘ছালাত পরবর্তী দো‘আ’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : বিতর ছালাতে দো‘আয়ে কুনূত রুকূর পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই পড়া যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৩-৮৪; মিশকাত হা/১২৯৪; মির‘আত ৪/২৮৬-৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭পৃঃ)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কারো বিরুদ্ধে ব
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মি‘রাজে গিয়ে ফেরার পথে মূসা (আঃ)-এর নিকটে আসেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি করে আসলে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, আমার উপর ৫০ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষ সম্পর্কে তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত। আমি বনী ইসরাঈলকে
উত্তর : দাঁড়ানো অবস্থায় সাধারণত যেভাবে হাত থাকে সেভাবে রাখাই বাঞ্ছনীয়। অন্যভাবে রাখার কোন বিধান হাদীছে আসেনি।
উত্তর : যোহরের চার রাক‘আত সুন্নাত এক সালামে ও দুই সালামে উভয় পদ্ধতিতে পড়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত সুন্নাত যার মাঝে কোন সালাম নেই’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৮৮৫, ছহীহ আবূদাঊদ হা/১১৩১)। তবে দুই সালামে চার রাক‘আত আদায় করাও জায়
উত্তর : উপরোক্ত দু’টি বর্ণনাই সঠিক। এর অর্থ হ’ল : সর্বপ্রথম ছালাতের হিসাব নেওয়া হবে আল্লাহর হক হিসাবে। আর বান্দার হক হিসাবে সর্বপ্রথম খুনের হিসাব নেওয়া হবে (বুলূগুল মারাম হা/১১৫৮-এর ব্যাখ্যা)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং ইমামের ক্বিরাআতের সাথে সাথে মুক্তাদীগণও নীরবে সূরা ফাতেহা পাঠ করবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮২৩; ছহীহ আবূ দাঊদ হা/৭৩৬-৩৭; ছহীহ তিরমিযী হা/২৫৭; মিশকাত হা/৮৫৪ ‘ছালাতে ক্বিরাআত’ অনুচ্ছেদ)। ইমামের আমীন বলার পর মুক্তাদীর সূরা ফ
উত্তর : তাসবীহ ডান হাতে গণনা করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে’ (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৩১৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকল শুভ ও পবিত্র কাজ ডান হাত দিয়ে করতেন (মুসলি
উত্তর : নকশাযুক্ত জায়নামাযে ছালাত আদায় করা ঠিক নয়। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নকশাযুক্ত চাদরে ছালাত আদায় করছিলেন এবং নকশার কারণে তাঁর ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয়। ফলে ছালাত শেষে তিনি বলেন, চাদরটি আব
উত্তর : প্রথমতঃ কোন ব্যক্তি কারো পক্ষ থেকে ছালাত করতে পারে না। কেননা মানুষ তা-ই পাবে, যা সে নিজে করে (নজম ৩৯)। কোন ব্যক্তি অসুস্থ থাকলে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত তাকে ছালাত নিজেকেই আদায় করতে হবে যদি ইশারার মাধ্যমেও হয়। সময় মত আদায় করতে না পারলে সুস্থ হ’
উত্তর : ছালাতের জন্য ওযূ করে পবিত্র হয়ে পরিচ্ছন্ন পোষাক ও দেহ-মন নিয়ে কা‘বা গৃহপানে মুখ ফিরিয়ে মনে মনে ছালাতের সংকল্প করে বিনম্রচিত্তে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহ বলেন, قُوْمُوْا لِلّهِ قَانِتِيْنَ ‘তোমরা আল্লাহর জন্য নিবিষ্টচিত্তে দাঁড়িয়ে যাও’ (বাক্
উত্তর : সুন্নাত হ’ল মুছাল্লা বা ছালাতের স্থানে বসে যিকর-আযকার করা (বুখারী হা/৪৭৭; মিশকাত হা/৭০২)। এক্ষণে হাদীছে বর্ণিত মুছাল্লা দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল পুরো মসজিদ (ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৪/৫৬)। হাফেয ইবনু হাজার বলেন, মুছাল্লা অর্থ ব্যক্তি যে স্থানে ছালা
উত্তর : ছিয়ামের জন্য নিয়ত করা পূর্বশর্ত। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ফজরের পূর্বে যে ব্যক্তি ছিয়ামের নিয়ত করে না, তার ছিয়াম নেই (আবুদাঊদ হা/২৪৫৪; মিশকাত হা/১৯৮৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৫৩৮)। অন্যত্র এসেছে, যে ব্যক্তি রাত্রে ছিয়ামের নিয়ত করে না তার ছিয়াম হবে না (নাস
উত্তর : লজ্জাস্থান দিয়ে পুঁজ বা কোন তরল পদার্থ বের হ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে না। কারণ এটি ছিয়াম ভঙ্গের কারণ নয়। তবে তার ওযূ নষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষণে যার অনবরত কিছু বের হয় সে প্রতি ছালাতের সময় ওযূ করে ছালাত আদায় করবে। এর মধ্যে কিছু বের হ’লে তার ছালাতের
উত্তর : কোন ছালাতের জন্য সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কেউ সময়ের পূর্বে আযান দিয়ে সময়ের মধ্যে ছালাত আদায় করলে তার ছালাতের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সময়ের পূর্বে আযানদাতা গুনাহগার হবে। এক্ষণে কেউ ভুল করে সময়ের পূর্বে আযান দিয়ে ছ
উত্তর : আ‘উযুবিল্লা-হ বলে বাম দিকে তিনবার থুক মারতে হবে। ওছমান ইবনু আবিল ‘আছ বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ছালাত এবং ক্বিরাআতের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি করে। রাসূল (ছাঃ) উত্তরে বললেন, ‘এটা একটা শয়তান যাকে ‘খিনযাব’ বলা হয়। সুতরাং তুমি যখন এর
উত্তর : সূরা ফাতিহার যে অংশটুকু পাঠ করা হয়েছে সে অংশে থেমে গিয়ে ইমামের অনুসরণে আমীন বলবে। অতঃপর সূরা ফাতিহার বাকী অংশটুকু পাঠ করবে। কারণ সূরা ফাতিহা ছাড়া ছালাত হবে না (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪; মিশকাত হা/৮২২)। প্রশ্নকারী : আ
উত্তর : সতর ঢেকে ছালাত আদায় করা ফরয। সাধারণভাবে পর্দা হয় না এমন আটসাঁট জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট ছালাতের উপযোগী পোষাক নয়। এতে ছালাত আদায় হয়ে গেলেও ছওয়াবে কমতি হবে এবং গুনাহ হবে। ছালাতের জন্য অবশ্যই তাকওয়াপূর্ণ ঢিলাঢালা ও শালীন পোষাক পরিধান ক
উত্তর : ছালাতের মধ্যে ক্বিয়াম বা দাঁড়ানো অন্যতম ফরয রুকন। অতএব সক্ষম ব্যক্তির জন্য বসে ছালাত আদায় জায়েয নয়। এক্ষণে যে ব্যক্তি দাঁড়াতে অক্ষম, সে ব্যক্তি বসে, শুয়ে বা ইশারায় ছালাত আদায় করবে। বসাটা মাটিতেও হ’তে পারে বা যেকোন উঁচু জায়গায় হ’
উত্তর : ঈদের ছালাত নারী-পুরুষ সবার জন্য ঈদের ময়দানে গিয়ে আদায় করাই সুন্নাত (বুখারী হা/৩৫১; মুসলিম হা/৮৯০; মিশকাত হা/১৪৩১)। তবে প্রয়োজনে একজন পুরুষের ইমামতিতে নারীরা মসজিদে ঈদের ছালাত আদায় করতে পারে। যেমন যাকওয়া
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত হাদীছ দু’টি সহ ‘রাফ‘ঊল ইয়াদায়েন’ না করার পক্ষে যে সকল দলীল পেশ করা হয়, তার সবগুলিই যঈফ। প্রশ্নে বর্ণিত ১ম হাদীছটি ইমাম আবুদাঊদ বর্ণনা করে বলেন, هَذَا مُخْتَصَرٌ مِنْ حَدِيثٍ طَوِيلٍ وَلَيْسَ هُوَ بِصَحِيحٍ عَلَى هَذَا ا
উত্তর : এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় রয়েছে। (১) সাধারণভাবে কোন স্থানে ছবি-মূর্তি থাকলে সেখানে ছালাত আদায় করা যাবে না। কেননা ছবি-মূর্তি সংরক্ষণ করা হারাম (মুসলিম, মিশকাত হা/১৬৯৬) এবং যে ঘরে ছবি-মূর্তি বা কুকুর থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না (মু
উত্তর : বিধর্মীরা আল্লাহর সাথে শিরক করার কারণে সত্ত্বাগতভাবে অপবিত্র (তওবা ২৮)। তাই বলে তারা শারীরিকভাবে অপবিত্র- এমনটা নয়। তাদের সাথে উঠা-বসা, লেন-দেন সবই জায়েয। তাই তারা ঘরে প্রবেশ করলে সেখানে ছালাত আদায় নাজায়েয হওয়ার কোন কারণ নেই। এমনকি তারা
উত্তর : যারা রাত্রির ছালাতে অভ্যস্ত তারা ফজর উদিত হওয়ার পূর্বে তাহাজ্জুদ ও বিতর ছালাত আদায় করবেন। (তিরমিযী হা/৪৬৬)। তবে ভুলক্রমে বা ঘুমের কারণে উক্ত সময়ে উঠতে না পারলে যখন মনে হবে বা ঘুম থেকে জেগে উঠবেন তখন পড়ে নিবেন। যদিও তা আযানের পর জামা
উত্তর : মধ্যবর্তী ছালাত বলতে এখানে আছর ছালাতকে বুঝানো হয়েছে। অন্যান্য ফরয ছালাত অপেক্ষা এ ছালাতের গুরুত্ব অনেক বেশী। কারণ নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির আছর ছালাত ছুটে গেল তার এমন ক্ষতি হ’ল যেমন ক্ষতি হয় তার ধন-সম্পদ ও পরিবারবর্গ সবকিছু ধ
উত্তর : উক্ত হাদীছের অর্থ হ’ল, ছালাতের নেকী কম হয়, সম্পূর্ণ ছালাত বাতিল হয় না। কারণ এতে ছালাতের একাগ্রতা বিনষ্ট হয় (তুহফাতুল আহওয়াযী ২/২৫৯; বলূগুল মারাম হা/২২৮-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)।
উত্তর : জামা‘আতের পরে আসা মুছল্লীরা এক্বামত দিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করতে পারবে। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একবার জনৈক মুছল্লীকে একাকী ছালাত আদায় করতে দেখে বলেন, কে আছ এই ব্যক্তিকে ছাদাক্বা দিতে পারে, অর্থাৎ তার সাথে ছ
উত্তর : ছালাতে সালাম ফিরানোর সময় শুধু ডান দিকে ‘ওয়া বারাক্বা-তুহু’ যোগ করা যাবে (তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ১৭১)। উল্লেখ্য যে, বলূগুল মারামে (হা/৩১৬) আবুদাঊদের উদ্ধৃতি দিয়ে দুই দিকেই বলার কথা এসেছে। কিন্তু মূল আবুদাঊদে (হা/৯৯৭) এটা নেই। আরো উল্লে
উত্তর : উল্লেখিত বাক্যাংশ দু’টি যথাক্রমে সূরা আলে ইমরান ২ ও বাক্বারাহ ১৬৩নং আয়াতের অংশ। যা নির্দিষ্টভাবে ফজর ছালাতের পর ১০০ বার করে পাঠ করার ব্যাপারে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
উত্তর : সূরা বাক্বারাহ শেষে ‘আমীন’ বলার পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীন থেকে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে ছাহাবী মু’আয বিন জাবাল (রাঃ) থেকে মওকূফ সূত্রে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় (তাফসীর ইবনে কাছীর, ২৮৬ আয়াত)। এর বর্ণনাকারী আবু ইসহাক্ব ও ছ
উত্তর : সূর্যোদয়, মধ্যাহ্ন ও সূর্যাস্তকালে ছালাত শুরু করা সিদ্ধ নয়। অনুরূপভাবে আছরের ছালাতের পর হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং ফজরের ছালাতের পর হ’তে সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন ছালাত নেই। তবে এ সময় ক্বাযা ছালাত আদায় করা জায়েয আছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশ
উত্তর : কাতারে দাঁড়িয়ে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য অনুযায়ী পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে যতটুকু ফাঁক রাখার প্রয়োজন হয়, ততটুকু ফাঁক রাখবে (বুখারী হা/৭২৫; আবুদাঊদ হা/৬৬২)। তাছাড়া দুই পায়ের মাঝে জুতা জোড়া রাখা যায় এতটুকু ফাঁকা রাখার কথা হা
উত্তর : এ অবস্থায় সালাম ফিরিয়ে ছালাত সমাপ্ত করলে তার ছালাত হয়ে যাবে। কারণ ছালাত থেকে বের হওয়ার জন্য সালাম ফিরানো আবশ্যক। আর সালামও যদি না ফিরায় তাহলে তার ছালাত হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ছালাতের তাকবীর বললে সবকিছু হারাম হয়, আর সালাম ফিরা
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায় করা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য ওয়াজিব। কেউ যদি আযান শোনার পরেও ওযর ছাড়া বাড়িতে ছালাত আদায় করে, তাহ’লে সে গুনাহগার হবে। রাসূল (ছাঃ) অন্ধ ছাহাবী আব্দুল্লাহ বিন উম্মে মাকতূমকেও মসজিদে এসে জামা‘আতে ছালাত আদায় করার নির্দ
উত্তর : তিন বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম তাশাহহুদ ছুটে গেলে সালামের পূর্বে সহো সিজদা দিলেই যথেষ্ট হবে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৮/২; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/৩৭৪)। আব্দুল্লাহ বিন বুহায়না (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন র
উত্তর : ছালাতরত অবস্থায় কারো হাঁচি হ’লে সে নীরবে আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করবে। তবে এর জওয়াব কারো দিতে হবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৯/৩৪৮)। জনৈক ছাহাবী ছালাতে হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলেন। রাসূল (ছাঃ) তাকে কিছু না বলে যে জওয়াব দিয়েছিল তাকে জওয়াব দিতে
উত্তর : দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করা ছালাতের অন্যতম ফরয রুকন। কেউ তা পরিত্যাগ করলে ছালাত হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। ইমরান বিন হুছাইন (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ছালাত সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সালাম ফিরানোর পরে প্রথমে আস্তাগফিরুল্লাহ তিন বার বলতেন। ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের সালাম ফিরানোর পর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহু বলতেন, তারপর দো‘আ পড়তেন, আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবারাকতা ই
উত্তর : নারী-পুরুষ মাথায় মেহেদী দেওয়া অবস্থায় ছালাত আদায় করতে পারবে। কারণ মেহেদী অপবিত্র নয়। তবে ওযূ করার সময় মাথা মাসাহ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ চুল বা দাড়িতে মোটা অবস্থায় মেহেদী দেওয়া থাকলে মাসাহ সম্পন্ন হবে না। আর মাসাহ সম্পন্ন
উত্তর : উক্ত মসজিদ স্থানান্তর করা যাবে। কুফার মসজিদে রক্ষিত বায়তুল মাল চুরি হওয়ার কারণে আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকট একটি পত্র লিখেন। তখন ওমর (রাঃ) মসজিদ অন্যত্র স্থানান্তর করা
উত্তর : মাথায় হাত রেখে দো‘আ পড়ার যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তা নিতান্তই দুর্বল (ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত, পৃঃ ৪৫১) । শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, উক্ত বর্ণনার সনদে কাছীর নামে একজন রাবী রয়েছে, সে নিতান্ত দুর্বল। ইমাম বুখারী, আবু হাতিম, নাসা
উত্তর : গোল হয়ে বসে যিকর করাকে হালক্বায়ে যিকর বলা হয়। রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর কিছুদিন পর একশ্রেণীর বিদ‘আতী এই পদ্ধতি চালু করে। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে ইবাদতের যে সকল পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, হালক্বায়ে যিকর তার অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং দলবদ্ধভাবে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলতপবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মধ্যে ছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত অনেক বর্ণনা রয়
উত্তর : যে সকল প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল সেগুলোর পেশাব-পায়খানা নাপাক নয়। সুতরাং কাপড়ে এ সব প্রাণীর মলমূত্র লাগলেও তা পরিধান করে ছালাত আদায় করা বৈধ। আনাস (রাঃ) বলেন, উরায়না গোত্রের কিছু নওমুসলিম মদীনায় অবস্থানকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূল (ছাঃ) তা
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের সুন্নাতী তরীকা হল, ইমাম আগে ও মুক্তাদী পিছনে দাঁড়াবে। জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি একদিন রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ডান পার্শ্বে দাঁড়িয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করছিলাম। পরবর্তীতে জাবের বিন সাখার এসে বাম পার্শ্বে দা
উত্তর : মদ পানকারীর ৪০ দিনের ছালাত কবুল হয় না-এমনটি নয়। বরং তার ছালাত ত্রুটিযুক্ত হয় (بُخِسَتْ صَلاَتُهُ) (আবুদাঊদ হা/৩৬৮০)। প্রশ্নে উল্লেখিত সব বস্ত্তই মাদক দ্রব্য এবং তা অপবিত্র বস্ত্ত (الخَبَائِث) হিসাবে হারামের অন্তর্ভুক্ত
উত্তর : বিতর ছালাতের কুনূত হিসাবে ‘আল্লা-হুম্মাহ্দিনী ফীমা হাদায়তা...’ মর্মে বর্ণিত ছহীহ দো‘আটি পড়তে হবে (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৭৩)। ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা ওয়া নাস্তাগফিরুকা...’ দো‘আটি কুনূতে নাযেলায় পড়ার ব্যাপারে এসেছে (বায়হাক্বী ২/২
উত্তর : ছালাতের ওয়াক্ত সমূহ নিম্নরূপ : (১) ফজর : ‘ছুবহে ছাদিক হতে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সর্বদা গালাস বা ফজরের অন্ধকারে ফজরের ছালাত আদায় করতেন এবং জীবনে একবার মাত্র ইসফার বা চারদিক ফর্সা হওয়ার সময়ে ফজরের ছালাত আদায় করেছেন।
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে, ‘এমন মুসলমানরা কর্মগত কাফির হলেও বিশ্বাসগত কাফির নয়। বরং খাল
উত্তর : এ বিষয়ে কোন দলীল নেই (মির‘আত ৪/২৯৯ পৃঃ ‘কুনূত’ অনুচ্ছেদ; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১৪১ পৃঃ)।
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন ও বানাওয়াট।
উত্তর : ছালাতের শেষ বৈঠকে বসা নিয়ে মুহাদ্দিছগণের মধ্যে দুই ধরনের মত দেখা যায়। ছহীহ বুখারীতে উল্লেখিত جلس في الركعة الآخرة (হা/৮২৮) এবং ছহীহ ইবনু হিববানে উল্লেখিত التي تكون خاتمة الصلاة (হা/১৮৭৬, ৫/১৯৬ পৃঃ)- বাক্যদ্বয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ইমাম শাফেঈ
উত্তর : সুস্থিরভাবে বসে মাটিতে ভর দিয়ে উঠতে হবে। মালেক বিন হুওয়াইরিছ (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূলু্ল্লাহ (ছাঃ)-কে এভাবে ছালাত আদায় করতে দেখেছেন যে, তিনি ছালাতের মধ্যে যখন বেজোড় রাক‘আতে পৌঁছতেন, তখন সিজদা থেকে উঠে সুস্থিরভাবে না বসে দাঁড়াতেন না (বুখ
উত্তর : ওযরের কারণে বন্দী জীবনে জুম‘আর ছালাত ওয়াজিব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা শোনো ও আনুগত্য কর’ (তাগাবুন ৬৪/১৬)। তবে যদি লকআপে জুম‘আর ছালাত আদায় করা সম্ভব হয় এবং জেল কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা না থাকে, তবে খুৎবা প্রদানের
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। আর কোন আমল ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত না হ’লে তা বিদ‘আত হবে। যার পরিণাম জাহান্নাম (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১; নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
উত্তর : দো‘আ কুনূত পড়তে ভুলে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে না। কারণ সহো সিজদা কেবল ছালাতের কোন ওয়াজিব হুকুম ছাড়া পড়লে দিতে হয় (মির‘আত ৩/৩৯৩ পৃঃ; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ নং-১১০৭১ ৭/১২৬০ পৃঃ)। আর বিতর ছালাতে দো‘আ কুনূত পড়া মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয় (মির‘আত ৪/২৮৩ পৃ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলত(1) عَنْ أُمِّ رُوْمَانَ قَالَتْ رَآنِيْ أَبُوْ بَكْرٍ أَتَمَيَّلُ فِي ا
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।ছালাতের ফযীলতছালাতের ফযীলত সংক্রান্ত উদ্ভট ও মিথ্যা কাহিনী সমূহ :জনগণকে ছালাতের প্রতি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।মসজিদ সমূহ(১) মসজিদের ফযীলত সংক্রান্ত প্রসিদ্ধ যঈফ হাদীছ :عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব ৮ । পর্ব ৯ ।(৪) মসজিদের পাশে মৃত ব্যক্তির কবর দেওয়া :মৃত ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান ও ইমামের ক্বিরাআ
উত্তর : সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে তাকবীর শুরু করবে এবং দাঁড়ানোর পূর্বে শেষ করবে। অর্থাৎ রুকূ, সিজদা বা অন্য কোন অবস্থায় যাওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাকবীর পাঠ করবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, ...রাসূল (ছাঃ) রুকূতে যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন।
উত্তর : ছালাতসহ যেকোন ভালো কাজে উৎসাহিত করার জন্য পুরস্কার দেওয়া যায়। রাসূল (ছাঃ) যুদ্ধের ময়দানের শত্রু পক্ষের সৈন্যদের পরাস্ত করার লক্ষ্যে তিনি পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন শত্রুকে হত্যা করবে সে তার সাথে থাকা সম্পদ লাভ করবে’ (ব
উত্তর : দাড়ি মুন্ডনকারী ব্যক্তি ছালাত আদায় করলে তা কবুল হয়ে যাবে। কেননা ছালাত কবুলের শর্ত হ’ল, (১) আক্বীদা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ শিরক মুক্ত নির্ভেজাল তাওহীদে বিশ্বাসী হওয়া (কাহফ ১৮/১১০) (২) তরীকা ছহীহ হওয়া। অর্থাৎ রাসূল (ছাঃ)-এর ছহীহ সুন্ন
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘রাতের ছালাত দুই দুই। অতঃপর যখন তুমি ফজর হয়ে যাবার আশংকা করবে, তখন এক রাক‘আত পড়ে নাও, যা তোমার পিছনের সব ছালাতকে বিতরে পরিণত করবে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১২৫৪)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি চায় একটানা ৫ রাক‘আত বিতর পড়ুক, যে চ
উত্তর : এমতাবস্থায় জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ছওয়াব পেয়ে যাবে (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩; লিকাউল বাবিল মাফতুহ ১০/৪৪)। কারণ সে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে এসেছিল। আর রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করল তৎপর মসজিদের উদ্
উত্তর : এরূপ করা উচিত হবে না। কারণ এতে মুছল্লীদের খুশূ-খুযূ বিনষ্ট হয় এবং খুৎবা ও ছালাতের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই সফলকাম হবে মুমিনগণ, যারা তাদের ছালাতে তন্ময়-তদ্গত (মুমিনুন ২৩/১-২)। অতএব জুম‘আর খুৎবায় প্রজেক্টরের বদলে সাউন
উত্তর : ক্বাযা ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে সুন্নাতের ক্বাযা আদায় করাও সুন্নাত। রাসূল (ছাঃ) ক্বাযা সুন্নাত পরে আদায় করেছেন। একবার ব্যস্ততার কারণে রাসূল (ছাঃ) যোহরের পূর্বের সুন্নাত আছরের পরে আদায় করেছিলেন (বুখারী হা/১২৩৩; মিশকাত হা/১০৪৩)। আয়েশা (র
উত্তর : নারীরা জেহরী ছালাতে সরবে কুরআন তেলাওয়াত করবে। তবে যদি আশপাশে গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে এবং ফেৎনার আশংকা থাকলে অনুচ্চস্বরে তেলাওয়াত করবে (ইমাম শাফেঈ, কিতাবুল উম্ম ১/১৯১; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২৮)।প্রশ্নকারী : তাহেরা, গ
উত্তর : ইমামতি বা কুরআন শিক্ষাদান সহ যেকোন বৈধ কাজের জন্য কাউকে নিয়োগ করা হ’লে, তার কাজের বিনিময়ে সম্মানজনক হাদিয়ার ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যাকে আমরা কোন দায়িত্বে নিয়োগ করি আমরা তার রূযীর ব্যবস্থা করে থাকি’ (
উত্তর : সফরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাড়িতে প্রবেশ করার সময় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে। কারণ তা তোমাকে বাইরের অনিষ্ট থেকে হেফাযত করবে। আর বাড়িতে প্র
উত্তর : বিষয়টি একটি প্রসিদ্ধ ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে। কথিত আছে যে, মক্কায় ইমাম আওযাঈর সাথে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর সাক্ষাত হয়। তখন আওযাঈ (রহঃ) তাঁকে বলেন, আপনারা রুকুতে যাওয়ার সময় ও রুকূ থেকে ওঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করেন না কেন? জবাবে আবু হান
উত্তর : ফাসিক ও বিদ‘আতীর পিছনে ছালাত আদায় করা মাকরূহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ইমামগণ ছালাতে ভুল করলে তোমাদের রয়েছে নেকী ও তাদের জন্য রয়েছে গোনাহ’ (বুখারী, মিশকাত হা/১১৩৩)। এমতাবস্থায় মুক্তাদীর ছালাত কবুল হবে। যুহরী বলেন, বাধ্যগত অবস্থায় ব্যতীত আমরা এমন
উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা ধীরে ও শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত কর (মুযযাম্মিল ৪)। কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধ না হলে শব্দের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে গুনাহের সম্ভাবনা থাকে, তবে ছালাত হয়ে যাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৭ম খন্ড, পৃঃ ৩৪৮)।বিশুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত
উত্তর : কবর ও গোসলখানা ব্যতীত পৃথিবীর সর্বত্রই ছালাতের স্থান (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৭৩৭)। সুতরাং উক্ত অফিসের যে কোন স্থানে ছালাত আদায় করে নিতে হবে। এতেও যদি বাধা সৃষ্টি হয়, তাহলে উক্ত চাকুরী ছেড়ে দিবে এবং প্রয়োজনে অন্যত্র হালাল রূযী তালাশ
উত্তর : যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি ছালাত আদায় করতে ভুলে যায় তাহলে স্মরণ হওয়া মাত্রই যেন তা আদায় করে নেয়। কারণ ছালাত আদায় করাই তার কাফফারা (বুখারী হা/৫৯৭)। নিষিদ্ধ সময়ে ছালাত আদায় করা যাবে না এই নির্দেশের মধ্যে ক্বাযা ছালাত অন্তর্ভুক্ত
উত্তর : সুৎরাবিহীন অবস্থায় সিজদার স্থানের ভিতর দিয়ে বিড়াল, ছাগল বা কোন প্রাণী অতিক্রম করলে ছালাতের কোন ক্ষতি হয় না, কেবল কালো কুকুর ব্যতীত। কেননা হাদীছে এসেছে, কালো কুকুর সামনে দিয়ে গেলে ছালাত হবে না (মুসলিম হা/৫১১)। এর অর্থ হ’ল, ছালাতের নেকী ক
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দন্ডায়মান হও’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)। তিনি আরও বলেন, ‘আর তুমি আমার স্মরণে ছালাতে দাঁড়িয়ে যাও’ (ত্বোয়া-হা ২০/১৪)। অতএব ছালাতের মূল বিষয়টি হ’ল আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়ানো। এক্ষণে শক্তি থ
উত্তর : ১১ বা ১৩ রাক‘আত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসে বিতর সহ ১১ রাক‘আতের বেশী রাতের ছালাত (তারাবীহ) আদায় করেননি (বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ; মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ; আবুদাঊদ ১/১৮৯পৃঃ; নাসাঈ ১/১৯১ পঃ:; তিরমিযী ১-৯৯ পৃঃ; ইবনু মাজাহ ১/৯৬-৯৭ পৃঃ; মুওয়াত্ত্বা মালেক ১/৭
উত্তর : উক্ত ব্যক্তির বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা উক্ত চার-এর ব্যাখ্যা রাবী আয়েশা (রাঃ)-এর অপর বর্ণনায় এসেছে যে, রাসূল (ছাঃ) প্রতি দু’রাক‘আত পর পর সালাম ফিরাতেন... (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৮৮, ‘রাত্রিকালীন ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। ইবনু ওমর
উত্তর : অসুস্থতার কারণে বসে হৌক, শুয়ে হৌক, চেয়ারে বসে হৌক সাধ্যমতে ক্বেবলার দিকে চেহারা করে ছালাত আদায় করবে। ‘পা সামনে রেখে ছালাত আদায় করলে তাতে পাশের মুছল্লীদের ছালাত হয়না’ কথাটি ভিত্তিহীন।
উত্তর : পুরুষ ও মহিলার ছালাতের স্থানের মাঝে দূরত্ব বজায় রেখে ছালাত আদায় করা যাবে। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঘরের মধ্যে ছালাত আদায় করতেন এবং লোকেরা তাঁর ঘরের পিছন থেকে ছালাতের ইক্তেদা করত (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১১১৪ ‘ছালাতে দাঁড়ানো’ অনুচ্ছেদ
ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হ’ল ছালাত। সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণকে হৃদয়ে সঞ্চারিত রাখার প্রক্রিয়া হিসাবে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত ছালাত ফরয করেছেন। আল্লাহ বলেন, وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِىْ ‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর আমাকে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে চারটি স্থানে রাফউল ইয়াদাইন বা হাত উত্তোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাকবীরে তাহরীমা, রুকূতে যাওয়া, রুকু হ’তে ওঠা এবং দ্বিতীয় রাক‘আতের পর তৃতীয় রাক‘আতে ওঠার সময়। তিনি সিজদার আগে ও পরে হাত উত্তোলন করতেন না (ব
উত্তর : উক্ত কথার কোন ভিত্তি নেই। তবে ছালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলিম নর ও নারীর জন্য ফরয। এমনকি অসুস্থ ব্যক্তির জন্যও ছালাত আদায় ফরয যতক্ষণ ব্যক্তির হিতাহিত জ্ঞান থাকে (বুখারী হা/১১১৭; মিশকাত হা/১২৪৮; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/১২৬, ১৫/২২৯)। আল
উত্তর : অসুস্থতার মাত্রা অনুযায়ী মুছল্লী স্বীয় বিবেচনায় যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সহ্য ক্ষমতার বাইরে গেলে ছালাত ভঙ্গ করতে কোন বাধা নেই। অনুরূপভাবে বিপদের সংবাদের ক্ষেত্রেও অবস্থা অনুযায়ী ছালাত সংক্ষেপ করতে পারে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩০)
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘ইমাম নিযুক্ত করা হয় তাকে অনুসরণের জন্য (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১১৩৯)। সুতরাং এমন অবস্থাতেও ইমামের অনুসরণ করতে হবে। মূলতঃ ইমামের অনুসরণ হবে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় যাওয়ার জন্য। যেমন তাকবীর, রুকূ, ক্বিয়াম,
উত্তর : (ক) হাদীছের ব্যাপারে এরূপ বক্তব্য স্পষ্ট কুফরী। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের। যদি তারা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহ’লে (তারা জেনে রাখুক যে,) আল্লাহ কখনোই কাফেরদের ভালবাসেন না’ (আলে ইমরান ৩/৩২)। তিনি বলেন, ‘তোমার প্রতি
উত্তর : কর্মচারীকে ছালাত আদায় করার নির্দেশ প্রদান করা মালিকের উপর একান্ত যরূরী। তবে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার পরও যদি সে ছালাত আদায় না করে তবে মালিক এর জন্য দায়ী হবে না’ (বনী ইসরাঈল ১৫)। এরূপ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়াই কর্তব্য। তবে মালিক কর্মচারীকে
উত্তর : ঈদুল আযহায় সূর্য এক ‘নেযা’ পরিমাণ ও ঈদুল ফিৎরে দুই ‘নেযা’ পরিমাণ উঠার পরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদের ছালাত আদায় করতেন। এক ‘নেযা’ বা বর্শার দৈর্ঘ্য হ’ল তিন মিটার বা সাড়ে ছয় হাত (আওনুল মা‘বূদ শরহ সুনানে আবুদাঊদ ৩/৪৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখনই কোন ছালাত আরম্ভ করতেন, তখনই তাকবীরে তাহরীমের পর দো‘আয়ে ইস্তেফতাহ পড়তেন (মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩, ‘তাকবীরে তাহরীমার পরে পঠনীয়’ অনুচ্ছেদ)। ঈদের ছালাতেও অনুরূপভাবে প্রথম তাকবীরের পর ছানা পাঠ করতে হবে (ইবনু কুদামা, মুগনী মাসআ
উত্তর : ১৮৮০ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলীতে ব্রেলভী মতবাদের জন্ম হয়। হানাফী মাযহাবের অনুসারী এবং ছূফীবাদে বিশ্বাসী আহমাদ রেযা খান (১৮৫৬-১৯২১ খৃঃ) এই মতবাদের উদ্ভাবক। ব্রিটিশ আমলে ‘আশেকে রাসূল’ নামে এই মতবাদটি সমধিক পরিচিত ছিল। এদের বর
উত্তর : ছালাতের মধ্যে কোন ফরয রুকন যেমন রুকূ, সিজদা বা রাক‘আত কমে গেলে এবং ওয়াক্তের মধ্যে স্মরণ হ’লে বাকী অংশ আদায় করে সহো সিজদা দিতে হবে। পরে স্মরণ হ’লে পুরো ছালাত আদায় করতে হবে (নববী, আল মাজমূ‘ ৪/৭৭, ৪/১২৫; ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৩/১১৪, ১/৬৯
উত্তর : ছালাতে কাতার সোজা করা ওয়াজিব (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/৩, ৭/৩-১৩)। রাসূল (ছাঃ) একাধিক হাদীছে কাতার সোজা করার নির্দেশ দিয়েছেন (বুখারী হা/৭২৩; মুসলিম হা/৪৩৩; মিশকাত হা/১০৮৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার নিকটে তোমাদের সবচাইতে অপসন্দনীয় বিষয় হ’ল কা
উত্তর : ব্যাঙের পেশাব নাপাক। কারণ যেসব প্রাণীর গোশত হারাম তার পেশাবও হারাম। অতএব ব্যাঙের পেশাব কাপড়ে লাগলে তা ধুয়ে ছাফ করতে হবে (ইবনু হাজার হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ১/৩১৭)।প্রশ্নকারী : ডা. আলফায আলী, নওগাঁ।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর সবশেষ আমল ছিল তিনি চার তাকবীরে নাজাশীর জানাযার ছালাত আদায় করেছিলেন। আর এর উপরই প্রসিদ্ধ ইমামগণের অভিমত (আল-মাওসূআতুল ফিক্বহিয়া ১৩/২১১)। ইবনু কুদামা বলেন, জানাযার ছালাতের ক্ষেত্রে সুন্নাত হ’ল তা চার তাকবীরে আদায় করা, কম বা বেশী
উত্তর : এশার ছালাতের পরে দু’রাক‘আত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা আদায় করবে (বুখারী হা/১১৬৫; মুসলিম হা/৭২৮; মিশকাত হা/১১৫৯)। এরপরে বাড়িতে গিয়ে কেউ চাইলে চার রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতে পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৯৬)। উল্লেখ্য যে, এই চার রাক‘আত ছালাত বিশেষ কো
উত্তর : বিশেষ প্রয়োজনে একই ইমাম একাধিক স্থানে ঈদের ছালাতে ইমামতি করতে পারেন। ত্বালক বিন আলী (রাঃ) এক রাতে দুই জায়গায় তারাবীহর ছালাতে ইমামতি করেছিলেন (আবূদাঊদ হা/১৪৩৯; বায়হাক্বী সুনানুল কুবরা, হা/৪৬২২; আইনী, শরহ আবূদাঊদ ৫/৩৫০)।প্রশ্নকারী : মী
উত্তর : জায়গার সংকীর্ণতার কারণে ইমামের পার্শ্বে তার ডানে দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় করা যাবে। তবে এটা মুছল্লীর জন্য প্রথম কাতার হবে না। কেননা ইমামের পিছনের কাতার হ’ল ছালাতের প্রথম কাতার (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/৪৬)।প্রশ্নকারী : রবীঊল ইসলাম, নওদ
উত্তর : এতে কোন বাধা নেই। ইবনে ওমর (রাঃ) একদা রাসূল (ছাঃ)-কে নৌকাতে ছালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ডুবে যাওয়ার ভয় না থাকলে তুমি নৌকায় দাঁড়িয়ে ছালাত আদায় কর (হাকেম হা/১০১৯, দারাকুৎনী, ছহীহুল জামে‘ হা/৩৭৭৭)। আব্দুল্লাহ ই
উত্তর : না। বরং ছালাতরত অবস্থায় ইমামের ভুল হ’লে পুরুষ মুক্তাদী ‘সুবহা-নাল্লাহ’ বলবে, আর মহিলা মুক্তাদী হাত দ্বারা হাতের পিঠে হাত মেরে শব্দের মাধ্যমে লোকমা দিবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৯৮৮, ‘ছালাত অবস্থায় অসিদ্ধ ও সিদ্ধ আমলসমূহ’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তর : মুসাফির ব্যক্তি মুক্বীমের ইমামতি করতে পারেন। হযরত ওমর (রাঃ) মক্কায় আসলে তাদেরকে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করাতেন এবং বলতেন, ‘হে মক্কাবাসী! তোমরা তোমাদের ছালাত পূর্ণ কর, আমরা মুসাফির’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৫০৪, ১৫০৬, মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ
উত্তর : উচ্চৈঃস্বরে নয়, অনুচ্চ শব্দে অথবা মধ্যম স্বরে কাঁদবে (আ‘রাফ ৭/২০৫; ইসরা ১৭/১১০)। আর ছালাতে ক্রন্দন করা অধিক আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল লোকদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ বলেন, ‘আর তারা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয়চিত্ততা আরও বৃদ্ধি পা
উত্তর : একাকী হোক বা একাধিক ব্যক্তি হোক জুম‘আর ছালাত ছুটে গেলে তারা যোহরের চার রাক‘আত ছালাত আদায় করবে (তিরমিযী হা/৫২৪; নববী, আল-মাজমূ‘ ৪/৫৫৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুম‘আর এক রাক‘আত পেয়ে যাবে, সে জুম‘আ পেয়ে গেল। সে যেন আরেক রাক‘আত মিলিয়ে
উত্তর : ফজরসহ যেকোন ফরয ছালাত শেষে মুছল্লী যতক্ষণ স্বীয় স্থানে বসে তাসবীহ-তাহলীল করে, ততক্ষণ ফেরেশতামন্ডলী তার জন্য দো‘আ করতে থাকে এই মর্মে যে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর ও তার উপর রহম কর (বুখারী হা/৪৪৫, মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত হা/৭০২)।তবে ফ
উত্তর : মহিলাদের চেহারা ও দুই হস্ততালু ব্যতীত সর্বাঙ্গ সতর (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৭২ সনদ হাসান ‘পোশাক’ অধ্যায়)। অতএব ছালাত আদায়কালে মহিলাদের জন্য চুল ঢেকে রাখা আবশ্যক। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ওড়না ব্যতীত কোন বালেগা নারীর ছালাত কবূল
উত্তর : (১) ইচ্ছাকৃত বা ভুলবশতঃ ছালাতের কোন শর্ত বা রুকন ছুটে যাওয়া। যেমন ওযূ নষ্ট হওয়া (মায়েদাহ ৩/০৬), ক্বিয়াম, রুকূ বা সিজদা না করা (বাক্বারাহ ২/২৩৮, হজ্জ ২২/৭৭), প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা না পড়া (বুখারী হা/৭৫৬; মুসলিম হা/৩৯৪) ইত্যাদি। (২)
উত্তর : কোন মসজিদে ছহীহ তরীকায় ছালাত আদায়ে বাধাপ্রাপ্ত হ’লে পৃথক মসজিদ নির্মাণ করা যাবে। তবে সাধ্যপক্ষে একত্রে ছালাত আদায় করাই উত্তম হবে। কারণ ইমামের সুন্নাত বিরোধী আমলের জন্য তিনিই দায়ী হবেন, মুছল্লীরা নয়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব । মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত ইবাদতগুলোর মধ্যে ছালাত হচ্ছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যা ঈমানের পরে সবচেয়ে গুরুত্
উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায় এবং আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় দু’টিই সমান যরূরী (বাক্বারাহ ২/৪৩; নিসা ৪/১০২; ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩; মিশকাত হা/১০৭৭; বুখারী হা/৫২৭; মিশকাত হা/৫৬৮)। অতএব আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করে পরে পুনরায় জামা‘আতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তাতে
উত্তর : এটি কার্টুনের ধরনের উপর নির্ভর করবে। কার্টুনে কোন অশ্লীলতা এবং ইসলাম ও আক্বীদা বিরোধী কোন কথা ও কাজ না থাকলে তা দেখা যেতে পারে (উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২৮০, ১২/২৭৯)। তবে শিশুদেরকে টিভিতে কার্টূন দেখানোর মত অনর্থক কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। বর