আলোচনাটা শুরু হয়েছিল মোশতাক আহমদের মন্ত্রীসভায়। তবে ঘোষণাটি আসে জিয়াউর রহমানের সময়ে। ১৯৭৫ সালের ৭ই ডিসেম্বর ১৯৭৪ সালের শিল্পনীতি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত সেই শিল্পনীতিতে অব্যবহৃত ও নিষ্ক্রিয় তহবিল উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করলে কোন প্রশ্ন করা হবে না বলে জানানো হয়েছিল। তবে সরাসরিভাবে কালোটাকা সাদা করার ঘোষণাটি ছিল ১৯৭৫ সালে জারী করা সামরিক আইনের ৬ নম্বর আদেশে। সেখানে ২৫ শতাংশ কর দিয়ে ‘কর-অনারোপিত আয়’ সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। সরকারী পর্যায়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া সেই শুরু। শুরুতে কিছুটা রাগঢাক থাকলেও গত দুই দশকে তা দেওয়া হয়েছে অবাধে, ঢালাওভাবে।
বছরের পর বছর কালোটাকার মালিকদের সুযোগ দিলেও অর্থ সাদা হয়েছে কমই। আবাসন ও শেয়ারবাজারের ব্যবসায়ীরা ছাড়া আর সব ব্যবসায়ী সংগঠনই প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করে আসছে। অর্থনীতিবিদেরা একে অনৈতিক বলে মনে করেন। সৎ করদাতারা ক্ষুব্ধ হন।
এমনকি সংবিধানের ২০ (২) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোন ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না’। তারপরও কোন মহলের চাপে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়, সে এক রহস্য।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অবশ্য একবার এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ২০০৯ সালের জুনে বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া অনৈতিক।... কিন্তু পলিটিকস ইজ হাইয়েস্ট আর্ট অব কম্প্রোমাইজ। রাজনীতিতে সব ধরনের মানুষ ও সব ধরনের স্বার্থকে সমন্বয় করে চলতে হয়। ফলে দুঃসাহসিক অভিযানে না নেমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই শ্রেয় হয়ে পড়ে’।
একই সুযোগ শেয়ারবাজারের জন্যও রাখা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অবশ্য অর্থমন্ত্রী কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন এক অধ্যায়ে নিয়ে গেছেন। এবার টাকা পাচারকারীরা প্রথমবারের মতো বিশেষ সুযোগটি পেয়েছে।
শুরুটা ছিল অন্য রকম :
বাংলাদেশ কিন্তু যাত্রা শুরু করেছিল কালোটাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই। ১৯৭৫ সালের ৬ই এপ্রিল সরকার এক ঘোষণায় ১০০ টাকার নোট অচল করে দিয়েছিল। তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন এ আর মল্লিক। ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির চাপ প্রশমিত করা এবং অর্থনীতিতে কালো ও বাড়তি টাকার অশুভ প্রভাব দূর করা’। ঘোষণার পরের তিন দিন ১০০ টাকার নোট জমা নেওয়া হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত বেশী দিন ধরে রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার পরে আসা মোশতাক সরকার অনেকেরই টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।
সামরিক শাসনের সময়ে যেভাবে শুরু :
বাজেট বক্তৃতায় কালোটাকা সাদা করার কথা প্রথম স্থান পায় ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে। ১৯৭৭ সালের ২৫শে জুন ঐ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন যে, সরকার ৬ নম্বর সামরিক আইনের অধীনে করদাতাদের তাঁদের কর-অনারোপিত প্রকৃত আয়ের ঘোষণার জন্য ১৯৭৬ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা কারণে অনেকে এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেননি বলে আবেদন-নিবেদন বিবেচনা করে সরকার তাঁদের কর-অনারোপিত প্রকৃত আয়ের ঘোষণার জন্য এ বছর ৩০শে জুন পর্যন্ত আর একবার সুযোগ দিয়েছেন। আশা করা যায় যে, করদাতারা তাঁদের এখনো অপ্রকাশিত আয় ঘোষণার এই শেষ সুযোগ হারাবেন না। কেননা এর পরে কর ফাঁকির কেসসমূহের ব্যাপারে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদিও সেই আইনানুগ ব্যবস্থা আর কখনো নেওয়া হয়নি।
এরপর ১৯৮১-৮২ অর্থবছরের বাজেটে আবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেন তখনকার অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। নতুন করদাতারা পুঁজির এক-চতুর্থাংশ নিট আয় দেখালে বিনিয়োগের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না বলে ঘোষণা দেন তিনি।
আবারও সামরিক শাসন ও এরশাদ-পর্ব :
১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ সামরিক আইন জারী করেন লে. জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সেই সামরিক আইনের ৫ নম্বর ধারায় ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এ সুযোগ থাকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত।
এরপর ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরের বাজেটে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান যেকোন অঙ্কের আয় দেখিয়ে ২০ শতাংশ আয়কর দিলে কোন প্রশ্ন ছাড়াই গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন। এর পরের দুই অর্থবছরে করের হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল।
এরশাদ আমলে ১৯৮৩ সালে নতুন এক পদ্ধতিতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। সে সময়ে ‘দ্য বিয়ারার সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট’ নামে সঞ্চয়পত্র ধরনের একটি সার্টিফিকেট চালু করা হয়েছিল। এই সার্টিফিকেট কিনতে ক্রেতার নাম লিপিবদ্ধ রাখা হ’ত না, কেবল একটি কোড নম্বর থাকত। এই পদ্ধতি ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে চালু ছিল।
যে পাঁচ বছরে সুযোগ ছিল না :
১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদ সরকারের পতনের পর সরকার গঠন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আবারও অর্থমন্ত্রী হন এম সাইফুর রহমান। প্রথম বাজেটেই (১৯৯১-৯২ অর্থবছর) সাইফুর রহমান বলেছিলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে কালোটাকা বৈধ করার যে ধরনের বৈষম্যমূলক কর দায়মুক্তির সুবিধা দেওয়া হয়েছে, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করছি যে, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ও গোষ্ঠী স্বার্থপ্রসূত বৈষম্যমূলক করনীতি আমাদের এ গণতান্ত্রিক সরকার সম্পূর্ণ পরিহার করবে’। ঐ পাঁচ বছরে আনুষ্ঠানিকভাবে কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ আর দেওয়া হয়নি।
নতুন নতুন পথ :
২১ বছর পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে নতুন অর্থমন্ত্রী হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। তাঁর সময়ে কালোটাকা সাদা করার নতুন নতুন পথ বের করা হয়েছিল। যেমন ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরের বাজেটে তিনি বলেছিলেন, ‘১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেউ নতুন শিল্পে বিনিয়োগ করলে কোন প্রশ্ন করা হবে না। এছাড়া ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পুঁজি বিনিয়োগকারী নতুন করদাতারা যদি তাঁদের পুঁজির কমপক্ষে এক-চতুর্থাংশ আয় দেখান, তাহ’লেও এর উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা হবে না’।
১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের বাজেটে শাহ এ এম এস কিবরিয়া বলেছিলেন, ‘বিনিয়োগের ক্ষেত্র কেবল নতুন শিল্পতে সীমিত রাখার কারণে করদাতাদের নিকট হ’তে তেমন আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যায়নি’। তারপরও তিনি ১০ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৭ শতাংশ কর দেওয়া সাপেক্ষে একই সুযোগ রেখে দেন। তবে ব্যতিক্রমী ও অভিনব ঘোষণা ছিল ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরের বাজেটে। এ সময় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিলাসবহুল গাড়ি কিনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়া বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট কিনে প্রতি বর্গমিটার অনুযায়ী আয়কর দিলে তাও বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়ার কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এমনকি যাত্রীবাহী নৌযান, তাপানুকূল বিলাসবহুল বাসসহ সব ধরনের নতুন যানবাহনের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়। তারপরও তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই অর্থমন্ত্রী ২০০০-২০০১ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আরও সহজ করে দেন।
এবার সুযোগ দিলেন তিনিও :
২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে। তখনো অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান অবাধে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। যেমন, ২০০২-০৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে বিপুল অঙ্কের কর অনারোপিত আয় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের আয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমানে কোন বিশেষ সুবিধা না থাকায় করদাতারা যেমন একদিকে এ আয় ঘোষণায় উৎসাহিত হচ্ছেন না এবং অন্যদিকে তা উৎপাদনশীল খাতেও বিনিয়োগ হচ্ছে না। যার ফলে শিল্পায়নসহ উৎপাদনশীল কর্মকান্ডে প্রত্যাশিত গতিশীলতা আসছে না। এরপর তিনি ২০০৫ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত সময়ে যেকোন অঙ্কের বিনিয়োগকে বিনা প্রশ্নে এবং শর্তহীনভাবে গ্রহণের সুযোগ দেন।
২০০৩-০৪ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকেও বিনা প্রশ্নে গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়। আবার বাজেটে উল্লেখ না থাকলেও ২০০৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পরিপত্র জারী করে নতুন গাড়ি কিনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়।
আতঙ্কের সময় :
২০০৭ সালে জারী করা হয় যরূরী অবস্থা। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায়। তখন চলছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান। গ্রেপ্তার হচ্ছিলেন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। এ সময়েই বাজেটের আগে সরকারের ভাষায় অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সুযোগটি না নিলে সর্বোচ্চ ২৫০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানার কথাও বলা হয়েছিল।
এবার স্থায়ী পদ্ধতি ও মহোৎসব :
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নতুন সরকার গঠন করলে অর্থমন্ত্রী হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আর দেওয়া হবে না। কিন্তু ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে ঠিকই ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে ফ্ল্যাট, বাড়ি, পুঁজিবাজার, শিল্প ও ভৌত অবকাঠামো খাতে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়।
এরপর ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটেও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ অবকাঠামো বিনিয়োগ তহবিলে’ ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে বিনিয়োগ করলে এ সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। পরের অর্থবছরের বাজেটে ভাড়ায় চালিত যানবাহন কিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয়কর দিলেই তা তখন বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়ার সুযোগ খানিকটা কঠিন করা হয়।
কালোটাকার মালিকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অর্থবছর হচ্ছে ২০১২-১৩। এই অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় কোন কিছু উল্লেখ না করেই আয়কর আইনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ চিরদিনের জন্য স্থায়ীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এজন্য আয়কর অধ্যাদেশে ১৯ (ই) নামে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়। এ ধারা অনুযায়ী, অতীতের যেকোন বছরের আয় গোপন করা হয়ে থাকলে ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়েই তা বৈধ করা যাবে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আরেকটি স্থায়ী পদ্ধতি আয়কর অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর সেটি হচ্ছে 19 BBBBB। এর মাধ্যমে ফ্ল্যাট ও জমি কিনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়।
নতুন অধ্যায় :
২০১৯ সালে নতুন করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এবার অর্থমন্ত্রীর বদল হয়। তবে নীতি থাকে আগের মতোই। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আইটি পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আবাসন খাতে ১০ শতাংশ আয়কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখেন। তবে ব্যতিক্রমী সময় ছিল ২০২০-২১ অর্থবছর। সেটি ছিল ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বছর। বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ নিয়ে বলেছিলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইনে যা-ই থাকুক না কেন, ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা যেকোন সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কোন প্রশ্ন করতে পারবে না।
একই সুযোগ শেয়ারবাজারের জন্যও রাখা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন এক অধ্যায়ে নিয়ে গেছেন। এবার টাকা পাচারকারীরাও প্রথমবারের মতো বিশেষ এই সুযোগটি পেয়েছে।
শেষ কথা :
ভারতীয় বংশোদ্ভূত রোহিনতন মিস্ত্রি তাঁর ফ্যামিলি ম্যাটার্স উপন্যাসে লিখেছেন, ‘কালোটাকা সাদা অর্থনীতিরই একটা বড় অংশ, মস্তিষ্কের ঠিক কেন্দ্রে একটি টিউমারের মতো। এটাকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং রোগীকে মেরে ফেলুন’। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীরা রোহিনতন মিস্ত্রির এই কথাটাই সম্ভবত মনেপ্রাণে মানেন। তাই তাঁরা কখনোই অর্থনীতি থেকে কালোটাকা সরানোর কার্যকর চেষ্টা করেননি। বরং নানাভাবে কালোটাকা বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। ফলে কালোটাকা কমেনি, বরং বেড়ে গেছে।