পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।শহীদ জননী খানসা (রাঃ)শহীদ জননী খানসা (রাঃ)-এর আসল নাম তামাযুর। খানসা ছিল তার উপাধি। তার পিতার নাম আমর বিন শুরাইদ। নজদ বা বর্তমান আরবের মধ্য অঞ্চলে বনু সুলাইম গোত্রে ৫৭৫ খৃষ্টাব্দে তিনি জন্ম
আল-কুদস, মাসজিদুল আক্বছা বা বায়তুল মাক্বদিস মুসলমানদের নিকট অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র স্থান। বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়স্পন্দন। এ পবিত্র ভূমি সকল মুসলমানের নিজস্ব সম্পদ। রাষ্ট্রীয় নিদারুণ অর্থকষ্টে ভোগা তুর্কী সালতানাতের শেষ দিকে খলীফা দ্বিতীয় আব্দুল হা
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ধৈর্যশীলা মুজাহিদ উম্মু আম্মারা (রাঃ)ধৈর্যশীলা মুজাহিদ উম্মু আম্মারা (রাঃ) একজন নামকরা মহিলা ছাহাবী। তার নাম নুসাইবা আনছারিয়া। পিতার নাম কা‘ব বিন আমর। স্বামীর নাম যায়েদ বিন আছেম আনছারী।ইমাম যাহাবী সিয়ারু আ‘লামিননুবালা
ভূমিকা :যুগে যুগে পৃথিবীতে বহু মহা মনীষীর আগমন ঘটেছে, যারা দুনিয়াতে অমরকীর্তি রেখে গেছেন। তাদের জীবনগঠন ও শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে তাদের মায়েদের ভূমিকা ছিল অনন্য। আমরা জানি যে, পিতা-মাতার আদর-যত্ন, লালন-পালন ছাড়া কোন সন্তান বড় হ’তে পারে না। প্রতিপালনে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ ।আলবানী (রহঃ) কর্তৃক ছহীহ মুসলিমে সংকলিত হাদীছের সমালোচনা :(১) قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : لاَ يَشْرَبَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ قَائِمًا فَمَنْ نَسِىَ فَلْيَسْتَقِئْ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের
পর্ব ১ । পর্ব ২ । ৪. আলবানী (রহঃ) ছহীহুল বুখারী ও মুসলিমে সংকলিত কিছু হাদীছের সমালোচনা করেছেন :আলবানী (রহঃ)-এর বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগসমূহের মধ্যে অন্যতম মৌলিক অভিযোগ হ’ল, তিনি ছহীহ বুখারী ও মুসলিমের আপাদমস্তক বিশুদ্ধতার ব্যাপারে বিদ্বানদের ঐক্যমতকে অ
সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণসমূহ(ক) ভুল হওয়া মানুষের স্বভাবজাত :মানব জাতিকে ভুল এবং বিস্মৃতির উপরে সৃষ্টি করা হয়েছে। সুতরাং ভুল হওয়া মানুষের স্বভাবজাত। পবিত্র কুরআনে সত্য প্রকাশিত হওয়ার পর মিথ্যার উপর যিদ করতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যে
আবু ইবরাহীম আল-মাযানী বলেন, আমাকে ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেছেন, আমি ইমাম মালেক (রহঃ)-এর নিকট হাদীছ শুনতাম তখন আমার বয়স ছিল ১৪ বছর। একবার ইমাম মালেক (রহঃ)-এর মজলিসে সুফিয়ান ইবনু উয়ায়না, মুসলিম ইবনু খালিদ আয-যানজী (রহঃ) প্রমুখ ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন। ইত্যবসরে
ভূমিকা :মানবীয় কর্ম যতই উন্নত হৌক না কেন, রচয়িতা যতই সতর্ক হৌন না কেন সেখানে ভুলভ্রান্তি কিছু থাকবে এটাই মানবীয় ফিতরাতের অন্তর্ভুক্ত। মানুষের এই সৃষ্টিগত অক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেছেন, أبى الله ان يصح إلا كتابه ‘আল্লাহ তা‘আলা স্বীয়
ভূমিকা :আইনে জালূত ছিল মুসলমানদের হারানো চেতনা নতুন করে জাগানোর যুদ্ধ। চেঙ্গীস খানের নেতৃত্বে কয়েক দশক ধরে যে তাতারঝড় লন্ডভন্ড করেছিল মধ্য এশিয়া ও ইসলামী খিলাফতের রাজধানী বাগদাদকে, মাত্র অর্ধশত বছরে রাজত্ব বিস্তার করেছিল অর্ধ পৃথিবীতে, আইনে জালুতে তা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব 8 । পর্ব ৯ ।১৫. হাদীছের অন্তর্নিহিত ফিক্বহ সম্পর্কে আলোকপাত :শায়খ আলবানী স্বীয় গবেষণাকর্ম কেবল হাদীছ তাখরীজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি বরং হাদী
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭ । পর্ব 8 ।৯. ব্যাপক ভিত্তিক গবেষণা :তাখরীজের ক্ষেত্রে আলবানীর অনন্য কৃতিত্ব হ’ল বিপুল পরিমাণ হাদীছের উপর বিস্তারিত তথ্যভিত্তিক গবেষণা। যুগে যুগে যেসব মুহা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ ।বিধি-বিধান সংশ্লিষ্ট রচনাবলী১. ছিফাতু ছালাতিন্নবী (ছাঃ) : এটি ছালাতের উপর বিশুদ্ধ হাদীছ ভিত্তিক রচিত বহুল প্রচারিত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি তিনটি সংস্করণে প্রকাশিত হয়। প্রথমটি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ ।তাহক্বীক্ব ও তাখরীজ বিষয়ক রচনাবলী৪. ছহীহ ও যঈফ আদাবুল মুফরাদ : ইমাম বুখারী (রহঃ) সংকলিত আল-আদাবুল মুফরাদ থেকে যঈফ হাদীছগুলো[1] বাদ দিয়ে কেবল ছহীহগুলো নিয়ে তিনি উক্ত সংকলনটি রচনা করেন। অত
পর্ব ২। পর্ব ৩।
মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (১৮৬৮-১৯৪৮) ছিলেন উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন, অপ্রতিদ্বন্দ্বী মুনাযির ও ধর্মতাত্ত্বিক। তাঁর সংগ্রামী জীবনের পরতে পরতে আমাদের জন্য শিক্ষার বার্তা রয়েছে। তিনি ছিলেন উত্তম আচরণের অধিকারী এবং অত্যন্ত বিনয়ী। নিম্নে তা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬। পর্ব ৭।শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহঃ)-এর উপর আরোপিত কিছু মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগ পর্যালোচনা[নিম্নের নিবন্ধটি লাহোর থেকে প্রকাশিত ‘বাদবান’ পত্রিকায় মুদ্রিত একটি সাক্ষাৎকারের জওয়াব। যে
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।আম্মানে হিজরত :নানাবিধ নির্যাতন-নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার পর ১৪০০ হিজরীর ১লা রামাযানে তিনি সপরিবারে দামেশক হ’তে জর্দানের রাজধানী আম্মানে হিজরত করেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য একখন্ড জমি ক্রয় করে গৃহ নির্মাণ শুরু করেন। নির্
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫। পর্ব ৬।হযরত মাওলানা মাহমূদ হাসান ছাহেবের নযরবন্দিত্ব এবং তার মুক্তির জন্য প্রচেষ্টা‘ওলামায়ে দেওবন্দের যে প্রতিনিধি দল ৬ই নভেম্বর ১৯১৭ সালে মীরাটে যুক্তপ্রদেশের লাট বাহাদুরের খেদমতে হাযি
পর্ব ১ ।কর্মজীবন :শায়খ আলবানীর পিতা নূহ নাজাতী সিরিয়ার বিশিষ্ট আলেম হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকতা ও গবেষণার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য ঘড়ি মেরামত করতেন। তাই স্বীয় রীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষাকালেই তিনি দ্বীন শিক্ষার সাথে সাথে জীবিকা অর্জনের জন্য আলবানীক
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪। পর্ব ৫।রেশমী রুমাল আন্দোলনকিছুক্ষণের জন্য যদি মেনে নেওয়া হয় যে, শামেলীর প্রকৃত ঘটনা তাই যা বর্তমান কালের দেওবন্দী লেখকরা প্রমাণের চেষ্টা করছেন, তাহলেও এ প্রশ্ন থেকে যায় যে, শামেলীর সীমিত পরিসরের ঘটন
ভূমিকা :বিংশ শতাব্দীতে যে সকল মুহাদ্দিছ ইলমে হাদীছের ময়দানে অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ)। যাঁর অনন্য সাধারণ অবদানের ফলে সারা বিশ্বে ছহীহ হাদীছ অনুসরণের গুরুত্ব এবং হাদীছ যাচাই-বাছাইয়ের প্র
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ওহাবী মুজাহিদদের অবদান১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ কি বিদ্রোহজনিত সংগ্রাম ছিল? নাকি কোন সঠিক উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য জিহাদের একটি অংশ ছিল? নাকি জাতিগত যুদ্ধ ছিল? এ নিয়ে মতপার্থক্যে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব 8। পর্ব ৯।রচনাবলী :মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী লেখাপড়া শেষ করার পর দ্রুতই লেখনী জগতে পদার্পণ করেন এবং ১৮৯৫ সালে ‘ত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । রাজনীতি ও অমৃতসরী :মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী যখন তাঁর দ্বীনী দায়িত্বসমূহ পা
স্বদেশ ছাড়াও অন্য আরেকটি দেশের মুক্তির জন্য সরাসরি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের গৌরবের অধিকারী হিসাবে বাংলাদেশীদের একটা আলাদা ও অনন্য অবস্থান রয়েছে। কোন ভাড়াটে সেনা হিসাবে নয়, কিংবা কোন রাষ্ট্রীয় অনুরোধেও নয়। দখলদারী থেকে একটি জাতির মুক্তি
ইহূদী ও খৃষ্টান জাতি উভয়ে বনু ইস্রাঈলের অন্তর্ভুক্ত। ইস্রাঈল হ’ল হযরত ইয়াকূব (আঃ)-এর দ্বিতীয় নাম। যার অর্থ আল্লাহর দাস। তাঁর অধস্তন পুরুষ হযরত মূসা (আঃ)-এর অনুসারীদেরকে ‘ইহূদী’ বলা হয়। যিনি ছিলেন বনু ইস্রাঈলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। অতঃপর সর্বশেষ রাস
ভূমিকা :ড. মুক্তাদা হাসান আযহারী ভারতের একজন খ্যাতিমান আহলেহাদীছ আলেম, লেখক, গবেষক এবং জামে‘আ সালাফিয়ার সাবেক রেক্টর। ইমাম মুহাম্মাদ বিন সঊদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান ফিরিওয়াঈ বলেন,أحد العلماء المبرزين فى الأوساط العلمية بنشاطه ال
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :নির্লোভ, নিরহংকার ও অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপনে অভ্যস্ত ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) ভারতীয় উপমহাদেশের জ্ঞানাকাশের এক দেদীপ্যমান নক্ষত্র। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বড় মাপের আহলেহাদীছ
মে‘রাজ বলে পরিচিত ঐতিহাসিক ঘটনাটি দু’টি অংশে বিভক্ত। প্রথমে ইসরা হরবং পরে মে‘রাজ। ‘ইসরা’ অর্থ নৈশভ্রমণ হরবং মি‘রাজ অর্থ সিঁড়ি। শারঈ পরিভাষায় মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে ফিলিস্তীনের বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত বোরাকের সাহায্যে শেষরাতের স্বল্পকালী
আমীরুল মুমিনীন ওমর বিন খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর যুগ খোলাফায়ে রাশেদার সোনালী যুগ ছিল। মুসলমানরা একের পর এক বিজয় অর্জন করছিল। সেই সময় খেলাফতের রাজধানী ছিল মদীনা। আমীরুল মুমিনীন মদীনাতে থাকতেন। তিনি যখন কোন সেনাবাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন তাদের নির্দেশ দিতেন- যে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । আহলেহাদীছ আন্দোলনে অবদান :মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী উপমহাদেশে ইসলামের খিদমত
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩। পর্ব ৪।ভূমিকা :দারুল উলূম দেওবন্দ ও তথাকার শিক্ষাপ্রাপ্ত মনীষীদের ইলমী ও দ্বীনী খিদমত পাকভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকে নিজেদের ফিক্বহী দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে উপরোক্ত
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । ছানাউল্লাহ অমৃতসরীর উপস্থিত জওয়াব প্রদানে দক্ষতা : ৩টি মজার ঘটনামাওলানা ছানা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।সঊদী আরব গমন :গীবত থেকে বেঁচে থাকা : মুবারকপুরী (রহঃ) সর্বদা গীবত থেকে বেঁচে থাকতেন। তাঁর যবান কখনও কোন ব্যক্তির গীবতের দ্বারা কলুষিত হয়নি। তাঁর যবান দ্বা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । হানাফীদের সাথে বাহাছ-মুনাযারা :মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী কাদিয়ানী, হিন্দু ও
ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের মুসলমানদের আক্বীদা-আমল, আচার-আচরণে আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল। বিজাতীয় সংস্কৃতির অনেক কিছুই মুসলমানদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছিল। ফলে তারা নিজেদের ধর্মীয় কর্মকান্ড থেকেও অনেক ক্ষেত্রে দূরে সরে গিয়েছিল। এহেন প্রেক্ষাপটে হাজী শরীয়তুল্লাহ
ভূমিকা :‘শায়খুল কুল ফিল কুল’ মিয়াঁ নাযীর হুসাইন দেহলভীর (১৮০৫-১৯০২ খৃঃ) প্রায় সোয়া লক্ষ ছাত্রের মাঝে যারা নিজেদের ইলমী আভা বিকিরণে সদা তৎপর ছিলেন এবং গ্রন্থ রচনা ও হাদীছ শাস্ত্রের প্রচার-প্রসারে নিশিদিন অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করেছেন মাওলানা অহীদুয্যামান
ভূমিকা :ছফিউর রহমান মুবারকপুরী (১৯৪২-২০০৬ খ্রি.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ইলমী জগতের এক অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন ‘মারকাযী জমঈয়তে আহলেহাদীছ হিন্দ’-এর সাবেক আমীর, বিশিষ্ট গবেষক, বিদগ্ধ আলেম, আধুনিক মুসলিম বিশ্বে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক
ভূমিকা :মাওলানা আব্দুস সালাম মুবারকপুরী (১২৮৯-১৩৪২ হিঃ) ছিলেন হিজরী চতুর্দশ শতকের একজন খ্যাতিমান আহলেহাদীছ আলেম। মুবারকপুরের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের এই কৃতী সন্তান শিক্ষকতা ও লেখালেখিতে নিজের সারাজীবন ব্যয় করেছেন। তাহকীকী মেযাজ তাঁর লেখনীর অন্যতম বৈশিষ্ট
কর্নেল মুআম্মার আল-গাদ্দাফীকে নিয়ে এক সময় তৃতীয় বিশ্বসহ আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ ও আবেগ লক্ষ্য করেছি। গাদ্দাফী তাঁবুতে রাত কাটান, দেশের সব মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা না করে তিনি তার জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী বাসায় উঠবেন না
কোন জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য না থাকা যেমন দুঃখজনক, তেমনি ইতিহাস থাকার পরও যে জাতি আপন ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অজ্ঞ সে জাতি নিঃসন্দেহে হতভাগ্য। কেননা ইতিহাস শুধু অতীতের ফেলে আসা হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার ঘটনাই প্রকাশ করে না; সাথে সাথে অতীত থেকে শি
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । শেষ পর্ব ।[মে ২০১১ সংখ্যার পর]রাজনীতির ময়দানে যহীর :১৯৬৮ সালে লাহোরে ঈদের মাঠে আইয়ূব খানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর যে জ্বালাময়ী বক্তব্য প্রদান ক
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ ।দিরঈইয়া : ১১৫৭ হিঃ/১৭৪৬ খৃষ্টাব্দে তিনি উয়ায়না[1] থেকে বের হয়ে এক স্বাধীনচেতা আমীর মুহাম্মাদ বিন সঊদের শাসনাধীন ছোট্ট নগরী ‘দিরঈইয়া’-তে উপস্থিত হ’লেন[2] এবং স্বীয় ছাত্র আহমাদ ইবনু
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হি.) খোরাসান তথা বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের মার্ভ শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই শহরেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তিনি ছিলেন একাধারে মুহাদ্দিছ, ফক্বীহ, আলেম, মুজতাহিদ, কবি, সাহিত্যিক, দানশীল এবং একজন সাহসী বীর মুজাহিদ। তিনি ‘আমীরুল মু
পর্ব ১ । পর্ব ২ । শেষ পর্ব ।২৩. আহলেহাদীছ প্রসঙ্গে :(ক) একবার পাকিস্তানের আহলেহাদীছগণ একটি দাওয়াতী সম্মেলনে শায়খ আলবানীকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তিনি তাতে অংশগ্রহণে আগ্রহী হ’লেন না। তখন তারা তাঁর ছাত্র শায়খ হাশেমীকে অনুর
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । ব্রেলভীদের সাথে মুনাযারা :উপমহাদেশে কবর-মাযারপূজারী বিদ‘আতী গোষ্ঠী ব্রেলভীরা
পর্ব ১। শেষ পর্ব। চতুর্থ অভিযান :কন্সটান্টিনোপল বিজয়ের তৃতীয় অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাতশ’ বছর মুসলমানরা এ প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে। যদিও ওছমানীয় সুলতান বায়েজীদ এ ব্যাপারে কিছু প্রচেষ্টা চালান। তবে তা ব্যর্থ হয়।অতঃপর ১৬ই মুহ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । ২. লুধিয়ানার মুনাযারা (এপ্রিল ১৯১২) :কাদিয়ানী মুনাযির মুনশী কাসেম আলী দেহলভী
পর্ব ১। শেষ পর্ব। ভূমিকা : মধ্যযুগ অবধি রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কন্সটান্টিনোপলকে বলা হ’ত পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত নগরী। শত শত বছর ধরে একের পর এক আক্রমণের পরেও এই নগরী টিকে ছিল সগৌরবে। রাসূল (ছাঃ) এই নগরীর ব্যাপারে খুব কৌতুহলী ছিলেন। এই শহর বিজয়
যারা হজ্জ বা ওমরা করতে গেছেন তারা নিশ্চয়ই একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন যে, চামড়া পোড়ানো সেই তীব্র গরমে ও খোলা আকাশে কড়া রোদের নীচে কা‘বা ঘরের চারপাশে তাওয়াফ স্থলের মেঝেতে কিন্তু পা পুড়ে যায় না। বরং বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এর পেছনে রহস্য কি?যিনি এই ম
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । কাদিয়ানী মতবাদের বিরুদ্ধে মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ)-এর ঐতিহাসিক সংগ্র
ভূমিকা :জাহেলী আরব যখন পাপের মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিল, মানবতার লেশমাত্রও যখন আর অবশিষ্ট ছিল না, শিশু ও নারীর অধিকার বলতে যখন কিছুই ছিল না, এমনকি যে সমাজে সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে শুধুমাত্র কন্যা হওয়ার অপরাধে পিতা নিজ হাতে মাটিতে জীবন্ত পুঁতে দিত, মদ
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । পর্ব ৭। পর্ব ৮। পর্ব ৯। শেষ পর্ব । বাহাছ-মুনাযারায় মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী :বিংশ শতকের প্রথমার্ধ বাহাছ-মুনায
ইসলামের নামে প্রচলিত অনৈসলামী পর্ব সমূহের মধ্যে একটি হ’ল ১০ই মুহাররম তারিখে প্রচলিত আশূরা পর্ব। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এ পর্বের কোন অস্তিত্ব ছিল না। আল্লাহর নিকটে বছরের চারটি মাস হ’ল ‘হারাম’ বা মহা সম্মানিত (তওবা ৯/৩৬)। যুল-ক্বা‘দ
[মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক ভাট্টি (জন্ম : ১৫ই মার্চ ১৯২৫) পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আহলেহাদীছ আলেম, লেখক ও আহলেহাদীছ ঐতিহ্যের শেকড়সন্ধানী গবেষক। এই কলমসৈনিক আহলেহাদীছ মনীষীদের জীবনী ও আহলেহাদীছ ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অবিরাম লিখে চলেছেন। সমকালীন ভারতীয়
মাওলানা শামসুল হক আযীমাবাদী :ভারতের বিহার প্রদেশে অসংখ্য আলেম জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা পাঠদান ও গ্রন্থ রচনায় অপরিসীম খিদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক বিশাল ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাওলানা শামসুল হক আযীমাবাদী।[1] তিনি ১২৭৩ হিজরীর ২৭শে যিলকদ (১৮৫
শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর :এখন সিন্ধু প্রদেশের দিকে আসুন! শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী- যাকে শায়খ আবুল হাসান সিন্ধী কাবীর বলা হয়- যিনি কুরআন, হাদীছ ও ফিকহে গভীর পান্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন। এই মৌলিক জ্ঞান সমূহের অসংখ্য প্রাচীন গ্রন্থের তিনি হাশিয়া ব
মিথ্যা অজুহাতে গত ৮ই জুলাই থেকে গাযায় ইস্রাঈলের একতরফা গণহত্যা চলছে। সারা বিশ্ব চেয়ে চেয়ে দেখছে। যাদের ক্ষমতা নেই, তারা চোখের পানি ফেলছে, প্রতিবাদ করছে, মিছিল-মিটিং করছে ও আল্লাহর কাছে প্রাণভরে দো‘আ করছে। পক্ষান্তরে যাদের ক্ষমতা আছে, তারা নিজ
(১) মীরজাফর : ৮০ বছর বয়সে তাকে নবাব করা হয়। তাকে ‘ক্লাইভের গাধা’ বলা হ’ত। দুর্নীতির দায়ে ২ বছর পর বহিষ্কার করা হয় এবং তার জামাতা মীর কাশিমকে নবাব করা হয়। ২ বছর পর মীর কাশিমকে সরিয়ে মীরজাফরকে পুনরায় নবাব করা হয়। ২ বছর পর আবার হটানো হয় এবং ইংরে
রবার্ট ক্লাইভ (১৭২৫-১৭৭৪ খ্রি.) ১৭৫৭ সালে ২৩শে জুন বাংলার নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মধ্যে সংঘটিত পলাশী যুদ্ধে বিজয়ী ইংরেজ সেনাপতি। উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম স্থপতি। আয়ারল্যান্ডের একটি মাঝারি জমিদার পরিবারের সন্তান
পলাশী বাংলার ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ বিষাদময় ঘটনার সাক্ষী। ১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন পলাশীতে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে, তার মধ্য দিয়ে বাংলার সাড়ে পাঁচশ’ বছরের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। বিপন্ন হয় রাষ্ট্রীয় সত্তা। কিছু সংখ্যক নিকৃষ্ট বিশ্বাসঘাতক, সুযো
এখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উপমহাদেশে আহলেহাদীছগণের অগ্রগণ্য কৃতিত্বের দিকে আসুন!হিজরী ত্রয়োদশ ও ঈসায়ী ঊনবিংশ শতক উপমহাদেশে মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টের যুগ ছিল। যে সমস্ত ব্যক্তি মুসলমানদের এই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা দর্শনে চরমভাবে মর্মাহত ও উদ্ব
গত ১০ই অক্টোবর সুইডেনের নোবেল কমিটি পাকিস্তানের ১৭ বছরের তরুণী মালালা ইউসুফযাইকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। মালালা হ’ল এযাবৎকালের সর্বকনিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের দ্বিতীয় নোবেল জয়ী। মালালা শান্তির জন্য কি কাজ করেছে যে, তাকে নোবেল শা
ভূমিকা :বর্তমান ইরাক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। এখানে মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। পশ্চিমা হায়েনারা বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে চলেছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে। ধ্বংস করে যাচ্ছে হাযার হাযার বাড়ি-ঘর ও স্থাপনা। কেউ বলছে না মানবতার কথা। সাম্রাজ্যবাদীদের স
ভূমিকা :পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া যে সকল ঘটনা ইতিহাসের মোড় পরিবর্তন করেছে, মুসলমানদের মাদায়েন বিজয় তন্মধ্যে অন্যতম। এ বিজয়ের মাধ্যমে সমগ্র ইরাক অঞ্চলের উপর মুসলমানদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পারস্য ও রোম বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়
যুগশ্রেষ্ঠ মুহাক্কিক আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) স্বীয় গবেষণাকর্মের মূল বিদ্যাপীঠ দামিশকের ‘মাকতাবাতুয যাহিরিয়া’য় সংরক্ষিত ‘ইলমে হাদীছ সংক্রান্ত গ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে পরবর্তীদের জ্ঞাতার্থে বহুদিনের পরিশ্রমে একটি সূচী তৈরী করেন। পরবর্তীতে