উত্তর : পুরো স্বর্ণের উপরে যাকাত দিতে হবে। কারণ যাকাত ফরয হওয়ার নেছাব হচ্ছে সাড়ে সাত ভরি। এর কম হ’লে কোন যাকাত দিতে হবে না। কিন্তু এ পরিমাণ বা এর বেশী হ’লে পুরো সোনার মূল্য হিসাব করে শতকরা আড়াই ভাগ হারে যাকাত দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ
ভূমিকা :ইসলাম যে পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত তার অন্যতম হ’ল যাকাত। ওশর হ’ল ফসলের যাকাত। ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ প্রভৃতি ইবাদতের মতই ওশর ফরয ইবাদত। আমাদের দেশের মুসলমানগণ যাকাতের সাথে কিছুটা পরিচিত হ’লেও ওশরের সাথে তেমন পরিচিত নয়। তাছাড়া ওশর যে ফরয ইবাদ
উত্তর : যাকাত ফরয হওয়ার জন্য সাবালক হওয়া শর্ত নয়। নাবালিকা সন্তানকে এককালীন কোন কিছু দান করে দিলে এবং তা নিছাব পরিমাণ হ’লে সে স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্বর্ণের মালিক নাবালিকা হওয়ায় তার সম্পদ থেকে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে পিতা যাকাত আদায় করে
ভূমিকা :ছাদাক্বা একটি অতুলনীয় ইবাদত। আল্লাহর নৈকট্য হাছিলে এবং তাঁর ক্রোধ প্রশমনে ছাদাক্বার ভূমিকা অনন্য। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বারবার দান-খয়রাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর যারা ফরয যাকাত আদায় করে না, তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়
উত্তর : যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত দু’টি (১) নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ বা সমপরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হওয়া বা স্বর্ণ ও নগদ অর্থের সমন্বয়ে নিছাব পরিমাণ সম্পদ মালিকানায় থাকা। (২) নিছাব পরিমাণ সম্পদ বা অর্থ পূর্ণ এক বছর মালিকানায় থাকা। এক্ষণে কারো মালিকানায়
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। নিজের চেয়ে তিনি অন্যের কথা বেশী ভাবতেন। নিজের কাছে না থাকলে কখনো কখনো ঋণ করেও তিনি অভাবী-দরিদ্রদের দান করতেন। অনেক সময় ঋণ পরিশোধ করতে তাকে বেগ পেতে হ’ত। কিন্তু তিনি সদা আল্লাহর উপরে ভরসা করতেন। এমনই একটি ঘট
উত্তর : পবিত্র কুরআনে ফরয ছাদাক্বা সমূহ ব্যয়ের আটটি খাত বর্ণিত হয়েছে (তওবা ৯/৬০)। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৮৬)। ইমাম শাফেঈসহ একদল বিদ্বান সূরা তাওবার ৬০ নং আয়াতে বর্ণিত যাকাতের ৮টি খাতেই ফিৎরা বণ্টন করাকে জায়েয বলেছেন। কেননা ফিৎরাও একটি ফর
উত্তর : আপন ভাই-বোন অসহায় হ’লে তাদের যাকাতের অর্থ দেওয়া জায়েয। কারণ তাদের উপর খরচ করা ভাইয়ের জন্য অপরিহার্য নয়। বরং আত্মীয়কে যাকাত দিলে দ্বিগুণ ছওয়াব পাওয়া যাবে। একগুণ দানের জন্য ও আরেকগুণ আত্মীয়কে দান করার মাধ্যমে সম্পর্ক রক্ষার জন্য (ওছায়
উত্তর : ফরয ছাদাক্বা যাকাত, ওশর, ছাদাক্বাতুল ফিতর কেবল মুসলিম হকদারদের জন্য নির্দিষ্ট, অমুসলিমদের জন্য নয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/১৪২, ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ২/৪৮৭)। তবে যদি তাদের অন্তরকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্য থাকে কিংবা তাদের কোন বি
উত্তর : স্বামী ও স্ত্রী প্রত্যেকে নিজ নিজ সম্পদের যাকাত দিবে। কারণ যাকাত ফরয হয় মালিকানার উপর। এক্ষণে যেহেতু স্বামী এবং স্ত্রীর কারো সম্পত্তি আলাদাভাবে নিছাব পরিমাণ হয়নি তাতে যাকাত দিতে হবে না।প্রশ্নকারী :শাহারুল ইসলাম, শাহবাগ ,ঢাকা।
উত্তর : পুরোটা আদায় করতে হবে। কারণ বছর অতিক্রান্ত হওয়া যাকাত মওকূফের কারণ নয়। এক্ষণে প্রত্যেক বছরের মূল সম্পদ আনুমানিক হিসাব করে যাকাতের পরিমাণ বের করবে এবং যাকাত আদায় করবে। আর যাকাত আদায়ে বিলম্ব করার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইবে (বিন বায,
উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা হাদীছটি পর্যালোচনা সাপেক্ষ। প্রথমত উক্ত হাদীছ দ্বারা স্বর্ণ ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক এর বিপরীত আমল বর্ণিত হওয়ায় তা মানসূখ বলে কতিপয় বিদ্বান অভিমত ব্যক্ত করেছেন (বায়হাক্বী
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে যাকাতের খাত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ছাদাক্বাসমূহ কেবল (আট শ্রেণীর) লোকের জন্য। ‘ফক্বীর, অভাবগ্রস্ত, যাকাত আদায়ের কর্মচারী, ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট ব্যক্তি, দাসমুক্তি, ঋণগ্রস্ত, আল্লাহর রাস্তায় এবং (দুস
প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। এই অমোঘ সত্যকে লঙ্ঘন করার ক্ষমতা মানুষের নেই। ধনী-গরীব, রাজা-বাদশাহ, ছোট-বড় সবার জীবনেই মৃত্যু যেকোন মুহূর্তে চলে আসতে পারে। তার ভয়ংকর থাবায় মিটে যাবে জীবনের স্বাদ। দপ করে নিভে যাবে মানুষের প্রাণ প্রদীপ। নশ্
আল্লাহর নিকট ছওয়াব লাভের দৃঢ় আশায় আল্লাহর পথে মুমিনের সকল প্রকার ঐচ্ছিক দানকে ‘ছাদাক্বা’ বলে এবং নিজের সঞ্চিত ধন ও অন্যান্য সম্পদের ‘নেছাব’ পরিমাণ অংশের বাধ্যতামূলক দানকে ‘যাকাত’ বলে। দু’টিই মুমিনের মালকে পরিশুদ্ধ করে এবং দু’টিরই লক্ষ্য আল্লাহর সন্তু
উত্তর : মোট ফসলের উপর বর্গাদার ওশর দিবে। কারণ ওশর হয় ফসলের উপর, জমির উপরে নয়। এর উপরেই জমহূর বিদ্বানগণের ঐক্যমত রয়েছে। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন, জমির মালিককে ওশর দিতে হবে বর্গদারকে নয় (ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৪/৪৭; ইবনু কুদামা,
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ এ
উত্তর : সার্ভিস চার্জসহ দিতে হবে। কেননা যাকাতদাতার দায়িত্ব হ’ল যাকাতের অর্থ হকদারদের নিকট পৌঁছানো। সেজন্য সার্ভিস চার্জ যাকাতদাতার পক্ষ থেকেই দেওয়া কর্তব্য (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ২/২৬৯; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/৪৭৯-৮০)।প্রশ্নকারী :
উত্তর: ছাদাক্বা দুই প্রকারের। (১) ঐ যাকাত, যা হকদার ব্যতীত অন্যদের জন্য হারাম। চাই সে শিক্ষক হৌক বা ছাত্র হৌক। তবে যাকাতের হকদার তার যাকাতের সম্পদ থেকে কোন ধনীকে দাওয়াত করে খাওয়ালে তাতে দোষ নেই। যেমন বারীরা (রাঃ)-এর যাকাতের অংশ থেকে রাসূল (ছাঃ)
উত্তর : আটটি খাতের সবক’টি খাতে বণ্টন করা যরূরী নয়; বরং যেকোন একটি খাতে প্রদান করলেও যথেষ্ট হবে। (কাসানী, বাদায়েঊছ ছানায়ে‘ ২/৪৬ ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/২৪৭; দ্র. ‘যাকাত ও ছাদাক্বা’ বই)।প্রশ্নকারী : ফরীদুল ইসলাম, রাণীনগর, নওগাঁ।
উত্তর : চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার মত সম্পদ মামার না থাকলে তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে। কারণ কুরআনে যে সকল ব্যক্তিদের যাকাত দিতে বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ‘মিসকীন’ বা ‘অভাবগ্রস্ত’ অন্যতম। সুতরাং চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে সত্যিকার অর্থে অক্ষম হ’লে তিনি ‘অভ
উত্তর : দিতে হবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘শাক-সবজিতে কোন যাকাত (ওশর) নেই’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, ছহীহুল জামে‘ হা/৫৪১১; মিশকাত হা/১৮১৩)। তবে এসবের ব্যবসার অর্থ যদি নিছাব পরিমাণ হয় এবং এক বছর সঞ্চিত থাকে, তাহ’লে উক্ত অর্থের ১/৪০ ভাগ যাকাত
উত্তর : স্ত্রীর ঋণ শোধ করার মত কোন সম্পদ না থাকলে সে যাকাতের হকদার। আর যাকাতের হকদার হিসাবে স্বামী ঋণগ্রস্ত স্ত্রীকে ঋণ পরিশোধের জন্য যাকাত দিতে পারবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১০/৫৬, ৬২)।প্রশ্নকারী : এমদাদুল হক, টিকরামপূর, চাঁপাই নবাবগঞ্
উত্তর : যাকাত আদায় করা একটি ফরয ইবাদত। আর এই ইবাদত পালনের জন্য নিয়ত শর্ত। সুতরাং দাতাকে না জানিয়ে তার পক্ষ থেকে তার সম্পদের যাকাত আদায় করা যাবে না। বরং সম্পদের মালিকের অনুমতি বা অবগতি সাপেক্ষে অন্য যে কেউ যাকাত আদায় করতে পারে (নববী, আল-মাজম
উত্তর : অমুসলিমদের সকল প্রকার হালাল বস্ত্তর দান গ্রহণ করা যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, ইক্বতিযাউ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ২/৫২)। রাসূল (ছাঃ) অমুসলিমদের হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/২৬১৭)।প্রশ্নকারী : মোশাররফ আলী, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
উত্তর : কেউ যদি বসবাসের জন্য বা ভাড়া দেওয়ার জন্য বাড়ি বানাতে ঋণ করে তাহ’লে উক্ত ঋণকৃত অর্থের যাকাত দিতে হবে না। তবে ভাড়া বাসা থেকে প্রাপ্ত ভাড়ার টাকা নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং তা এক বছর মালিকানায় থাকলে তাতে যাকাত দিতে হবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাও
উত্তর : প্রকৃত অভাবী হ’লে এবং জায়গা-জমি বিক্রয়ে সক্ষম না হ’লে, তাকে যাকাতের অর্থ প্রদান করা যাবে। নদী পারাপারের নৌকার মালিককে আল্লাহ ‘মিসকীন’ বলেছেন (কাহফ ১৮/৭৯)। অতএব অভাবী প্রতিবেশীকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/১৭৪-৭৬
উত্তর : নির্ভরযোগ্য যে কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে যাকাত বিতরণের জন্য জমা দেওয়া যেতে পারে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৬/১৬৫; মারদাভী, আল ইনছাফ ৩/১৯৮; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/২৫৪)।প্রশ্নকারী : সাজিদ, মেঘনা, কুমিল্লা।
উত্তর : মসজিদ নির্মাণে অমুসলিমদের অনুদান গ্রহণ করা যাবে। যদিও এই অনুদানে তাদের কোন ছওয়াব নেই (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/২৫৫-২৫৬)। রাসূল (ছাঃ) মুশরিকদের বহু হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/১৪৮১, ৩১৬১,২৬১৭; মুসলিম হা/২১৯০)। আসমা (রাঃ) তার ম
উত্তর : যামানত হিসাবে দেওয়া টাকার মালিকানা এখন যামানত গ্রহীতার। সুতরাং যাকাত তিনিই প্রদান করবেন। পরবর্তীতে যামানতকারী উক্ত টাকা ফেরৎ পাওয়ার পর তাকে নির্ধারিত নেছাব অনুযায়ী যাকাত প্রদান করতে হবে (ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/২৪)।প্রশ্নকারী :&n
উত্তর : বসবাসের জন্য বা ভাড়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্মিত বাড়ির জন্য ব্যয়কৃত অর্থের যাকাত দিতে হবে না। তবে অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ ও বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থ নিছাব পরিমাণ হ’লে এবং এক বছর থাকলে তাতে যাকাত দিতে হবে (বুখারী হা/১৪৬৪; মুসলিম
উত্তরঃ উক্ত টাকা নেছাব পরিমাণ হ’লে তার যাকাত দিতে হবে। কারণ এ টাকার উপর তার পূর্ণ মালিকানা রয়েছে (ছহীহ আবূদাঊদ হা/১৫৭৩, সনদ ছহীহ)। তিনি ইচ্ছা করলে যখন-তখন টাকা উঠিয়ে খরচ করতে পারেন।প্রশ্নকারী : আব্দুল মতীন, চন্ডিপুর, নওগাঁ।
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ এ
আল্লাহ বলেন,لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ، وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّ اللهَ بِهِ عَلِيمٌ- ‘তোমরা কখনোই কল্যাণ লাভ করবে না, যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের প্রিয় বস্ত্ত থেকে দান করবে। আর তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, আল্লাহ তা
উত্তর : যাকাত না দেওয়ার নিয়তে এমন ছলচাতুরি করা যাবে না। তবে সাধারণভাবে সন্তানকে নিজের স্বর্ণালকার থেকে দান করা যায়। এমতাবস্থায় প্রত্যেকের স্বর্ণ যদি আলাদাভাবে নিছাব পরিমাণ না হয়, তাহ’লে যাকাত দিতে হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ
উত্তর : অন্যকে রক্তদান করা প্রভূত নেকীর কাজ। বিশেষত কারো জীবন বাঁচানোর স্বার্থে রক্তদান করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ইহসান কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইহসানকারীদের ভালবাসেন’ (বাক্বারাহ ২/১৯৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া
উত্তর : যাকাত ফরয হওয়ার জন্য শর্ত হ’ল নিছাব পরিমাণ সম্পদ এক বছর কারো নিজ মালিকানায় থাকা। একান্নবর্তী পরিবার হ’লেও মা, স্ত্রী, সন্তান এবং পরিবারের কর্তা নিজ নিজ সম্পদের মালিক। তারা ব্যক্তিগতভাবে নিছাব পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারী হ’লে যাকাত দিবে,
উত্তর : ঘুমানোর পূর্বে ওযূ করে শোয়া মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে মুসলিম রাতে পবিত্র অবস্থায় যিকর করতে করতে ঘুমায়, এরপর ঘুম ভেঙে গেলে সে আল্লাহর কাছে দো‘আ করে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য, তখন আল্লাহ্ তাকে তা দান করেন’ (আবুদাঊদ হ
উত্তর : জামাই অভাবী হ’লে যাকাতের টাকা দিয়ে সহায়তা করা যাবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে যে আটটি খাতের কথা বলেছেন তার মধ্যে মিসকীন বা অভাবী অন্যতম (তাওবাহ ৯/৬০)।প্রশ্নকারী : তানিয়া আখতার, রাজশাহী।
উত্তর : ছেলের অসুস্থতা কিংবা দরিদ্রতাহেতু প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে অক্ষম হয়ে পড়লে বা ঋণগ্রস্ত হ’লে সামর্থ্যবান পিতা তার ছেলে বা ছেলের স্ত্রীকে যাকাতের অর্থ প্রদান করতে পারে (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব ১০/০২; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/৩২৬
উত্তর : কেউ যদি তার অধিকৃত জায়গায় মূল্যবান পাথর বা অন্য কিছু লাভ করে এবং তা উত্তোলন করে নিজের জন্য ব্যবহার করে, তাহ’লে তাতে যাকাত দিতে হবে না। আর যদি উত্তোলন করে বিক্রি করে এবং এর মূল্য নিছাব পরিমাণ হয় ও এক বছর অতিক্রান্ত হয়, তাহ’লে তাতে যাকা
উত্তর : মসজিদের কোন কাজে যাকাতের সম্পদ ব্যয় করা যাবে না। কেননা যাকাতের নির্দিষ্ট আটটি খাত রয়েছে। যাকাত উক্ত খাতগুলোতেই প্রদান করতে হবে (তওবা ৯/৬০)। সুতরাং মসজিদ বা মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ ও লাইব্রেরী অথবা ইমাম ও মুওয়াযযিনের ব
উত্তর : সৎ দাদী যদি যাকাতের হকদার হয় এবং তার নিজ সন্তানরা তার প্রয়োজনীয় খোরপোষ দানে অক্ষম হয়, তবে তাকে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে। কেননা সৎ পিতা-মাতা ও সৎ দাদা-দাদী আপন পিতা-মাতা ও আপন দাদা-দাদীর মত অপরিহার্য হক রাখেন না (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ
উত্তর : ইসলাম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহের শিক্ষা প্রদান করে। তাই অসহায় অমুসলিমদের দান করলেও ছওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, তারা আল্লাহর মহববতে অভাবগ্রস্ত, ইয়াতীম ও বন্দীদের আহার্য প্রদান করে (দাহর ৭৬/০৯)। ইবনু কুদামা
উত্তরঃ ৬ ভরি স্বর্ণের যাকাত দিতে হবে না। কারণ স্বর্ণের নিছাব হচ্ছে বিশ মিছক্বাল বা সাড়ে সাত ভরি (দারাকুৎনী, ইরওয়াউল গালীল হা/৮১৫)।
উত্তরঃ উক্ত অর্থের যাকাত দিতে হবে না। কারণ এগুলি কারো ব্যক্তিগত মালিকানায় নেই। আর ব্যক্তিগত মালিকানা ছাড়া যাকাত ফরয হয় না।
উত্তরঃ যত বছর থেকে আপনি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, তার হিসাব সহ বর্তমান সম্পদের হিসাব করে যাকাত প্রদান করতে হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৭৭৩)। কারণ হকদারদের হক পরিশোধ করা যরূরী (মা‘আরিজ ২৪-২৫)। যদি সঠিক হিসাব করা সম্ভব না হয়, তাহ’লে সাধ্যমত হিসা
উত্তরঃ মালিককে না জানিয়ে নেওয়ার কারণে গোনাহগার হ’তে হবে। এটা খেয়ানত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তোমাদের যাকে কোন দায়িত্ব দিয়েছি সে যদি সুঁচ পরিমাণ বা তার চেয়ে কম কিছু গোপন করে তাহ’লে তা খেয়ানত হবে। সে তা নিয়ে ক্বিয়ামতের মাঠে উপস্থিত হবে’ (ম
উত্তরঃ উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। বরং বেসরকারী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এসব সম্পদের বেশী হকদার। ফী সাবীলিল্লাহ খাত থেকে এসব স্থানে এ সম্পদ দেওয়া যাবে (তওবাহ ৬০)।
ভূমিকা :‘যাকাত’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আরবী ‘যাকাত’ (زكوة) শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে- পবিত্রতা, প্রবৃদ্ধি, কোন বস্ত্তর উত্তম অংশ, বরকত ইত্যাদি। সম্পদশালী ব্যক্তিগণের উপরই কেবল যাকাত ফরয। যারা নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালি
উত্তর : আল্লাহ রাববুল ‘আলামীন যাকাত বন্টনের যেসব খাত উল্লেখ করেছেন, মসজিদ তার অন্তর্ভুক্ত নয় (তওবা ৬০)। সুতরাং মসজিদ নির্মাণের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না (ফিক্বহুস সুন্নাহ ‘যাকাত বন্টন’ অধ্যায়, ১/৪৭০ পৃঃ)।
উত্তর : সূদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির খালেছ নিয়তে তওবা করার শর্তে যাকাতের মাল থেকে সূদী ঋণ পরিশোধে সহযোগিতা করা যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৬/৪৮০; উছায়মীন, আশ-শারহুম মুমতে‘ ৬/২৩৫; লিকাউল বাবিল মাফতূহ, লিকা ১৫১; ড. ওমর সুলায়মান আশকার, আবহাছুন নাদও
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা মূলতঃ
ভূমিকা : যাকাতুল ফিৎর একটি অন্যতম ফরয ইবাদত। যা ধনী-গরীব, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সকলের উপরে ফরয করা হয়েছে। ছায়েমের ভুল-ত্রুটি সংশোধন ও দরিদ্রদের খাদ্য খাওয়ানোর লক্ষ্যে যাকাতুল ফিৎর ফরয করা হয়েছে। যথাসময়ে ও সঠিক পদ্ধতিতে ফিৎরা প্রদান করা না হ’লে তা যেমন আ
উত্তর : সংসার পরিচালনার জন্য কর্য হয়ে থাকলে প্রথমে কর্য পরিশোধ করতে হবে। কারণ কর্য রেখে সম্পদ সঞ্চিত হয় না। তবে ব্যবসা বা নির্মাণ কাজের জন্য কর্য নিলে প্রথমে যাকাত দিতে হবে তারপর কর্য পরিশোধ করতে হবে।
উত্তর : প্রভিডেন্ড ফান্ডে জমাকৃত টাকা নিজের পূর্ণ অধিকারে থাকলে অর্থাৎ যেকোন সময়ে উঠানো সম্ভব হ’লে সূদের টাকা ব্যতীত বাকী টাকার যাকাত দিতে হবে। কারণ যাকাত দেয়ার জন্য নিছাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণ মালিক হওয়া যরূরী।
উত্তর : খোসা সহ বা খোসা বিহীন সর্বাবস্থায় গমকে গম এবং যবকে যব বলা হয় এবং তা ছিল সে সময় আরবদের সরাসরি খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত। আর সেজন্য তা দিয়ে ফিৎরা দেওয়া হ’ত। পক্ষান্তরে খোসা বিহীন ধানকে চাউল বলা হয়, যা সরাসরি খাদ্য। সেকারণ চাউল দিয়েই ফিৎর
উত্তর : রাস্তা নির্মাণের জন্য যাকাতের অর্থ ব্যয় করা বৈধ নয়। কেননা এটা এলাকার দুস্থ-মিসকীনদের হক। এ অর্থ ঐ সকল খাতেই ব্যয় করতে হবে, যা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন (ফাতাওয়া লাজনা আদ-দায়িমাহ ১০/৪৩-৪৪, ফৎওয়া নং ২৩০৬)। যাকাত বণ্টনের খা
উত্তর : ফরয ছাদাক্বা বা যাকাতের মাল প্রকাশ্যে দান করা উত্তম। কেননা এতে মানুষের মধ্যে যাকাতদাতার প্রতি সন্দেহ বা কুধারণা দূর হবে। যেমনটি ফরয ছালাত জামাআ‘তে বা প্রকাশ্যে পড়া হয় (নববী, আল-মাজমু‘ ৬/২২৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৬/১১৭)। তবে নফল ছাদ
উত্তর : শরী‘আতে নির্ধারিত যাকাত রয়েছে কেবল সাএমা বা চারণভূমিতে বিচরণশীল পশুর জন্য। গৃহপালিত পশুর কোন যাকাত নেই (বুখারী হা/১৪৫৪; তিরমিযী হা/৬২২; ইবনু মাজাহ হা/১৮০৪; নাসাঈ হা/২৪৪৪; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/৩২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/২০৫)। ত
উত্তর : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত আদায়ের পূর্বে তার ঋণ পরিশোধ করবে। যেমন ওছমান (রাঃ) বলেন, এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে তাহ’লে সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে সে তার যাকাত আদায় করবে (মুওয়
উত্তর : ইয়াতীমের জন্য আদায়কৃত সম্পদ থেকে নির্দিষ্ট দায়িত্বশীলগণ প্রাপ্য বেতন গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণ করতে পারবেন। যদিও সে সম্পদ যাকাতের হয়। কেননা যাকাতের একটি খাত রয়েছে, যা আমেল তথা দায়িত্বশীলগণের জন্য নির্দিষ্ট (তওবা ৯/৬০)। তবে কর
বর্তমান বিশ্বে পুঁজিবাদী বা ধনতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক বা নির্দেশমূলক এবং মিশ্রঅর্থনীতি দেশের উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করেছে। প্রচলিত অর্থব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হ’ল- দারিদ্র্য বিমোচনপূর্বক সর্বাধিক আর্থ-সামাজিক কল্যাণ
যাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। ঈমান ও ছালাতের পরেই যাকাতের স্থান। মহান আল্লাহ পৃথিবীর মানুষের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধির জন্য যাকাত ফরয করেছেন। পবিত্র কুরআনে ৩২ জায়গায় যাকাত আদায় করার ব্যাপারে আলোচনা এসেছে। যাকাত না দিলে সম্পদ শুধু ধনীদের কাছে জমা
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।ভূমিকা :আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর তাদের সার্বিক জীবন পরিচালনার জন্য ইসলামকে একমাত্র দ্বীন হিসাবে মন
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।গৃহপালিত পশুর যাকাতবিভিন্ন প্রকার পশুর মধ্যে আল্লাহ তা‘আলা কেবলমাত্র بهيمة الأنعام তথা উট, গরু ও ছাগলের যাকাত ফরয করেছেন। মহিষ গরুর অন্
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।জমিতে উৎপাদিত ফল ও ফসলের যাকাতআল্লাহ তা‘আলা মানুষকে আশরাফুল মাখলূকাত তথা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। আর পৃথিবীকে
পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । শেষ পর্ব ।যাকাতুল ফিতরআল্লাহ তা‘আলা সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য আনন্দ ও খুশির দিন হিসাবে ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা নামক দু’টি দিন নির্ধারণ করেছেন। ঈদুল ফ
মানুষের প্রতি আল্লাহর সর্বশেষ আহবান ‘তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিন তোমরা সকলে ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রত্যেকে পাবে তার স্ব স্ব কর্মফল। আর তারা কেউ সেদিন অত্যাচারিত হবে না (বাক্বারাহ ২৮১)। বস্ত্ততঃ এটাই ছিল কুরআনের সর্বশেষ আয়াত, যা রাসূ
উত্তর : যাকাতের অর্থ যাকাতের নির্দিষ্ট খাতেই বণ্টন করতে হবে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য নির্দিষ্ট খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন (তওবাহ ৯/৬০)। আল্লাহ তা‘আলা যাকাতকে গরীবের হক বা অধিকার হিসাবে উল্লেখ করেছেন। এটি ঋণ হিসাবে উল্লেখ করেননি (যারিয়াত ৫১/১৯; মুজাদ
‘যাকাত’ অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে ঐ দান, যা আল্লাহর নিকটে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং যাকাত দাতার মালকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। ‘ছাদাক্বা’ অর্থ ঐ দান যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। পারিভাষিক অর্থে যাকাত ও ছাদাক্বা
উত্তর : যেহেতু চেক প্রদান করা হয়ে গেছে সেহেতু দাতাকে যাকাত দিতে হবে না। বরং যে হাদিয়াপ্রাপ্ত হয়েছে যদি তার সম্পদ নেছাব পরিমাণ হয় এবং তার উপর এক বছর অতিক্রান্ত হয়, তাহ’লে সে-ই যাকাত প্রদান করবে (তিরমিযী হা/৬৩১; মিশকাত হা/১৭৮৭; ইরওয়া হা/৭৮৭; বিন