উত্তর : যেভাবে সম্ভব হবে সেভাবে আঙ্গুলে গণনার মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ করবে। কারণ হাদীছে আঙ্গুলে গণনার মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ করতে বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, অবশ্যই তোমরা তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহ) ও তাক্বদীস (সুববুহুন কু
মানুষের পাপ যত বৃদ্ধি পাবে, ততই নতুন নতুন গযব নাযিল হবে। পাপের প্রকৃতির যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, গযবের প্রকৃতিও তেমনি পরিবর্তিত হচ্ছে। এক সময় ম্যালেরিয়া জ্বর, কালাজ্বর এদেশের আতংক ছিল। ওলাউঠা, গুটি বসন্ত, টিবি ইত্যাদির পরে আসলো ‘ক্যান্সার’। তারপর বর্তমান
উত্তর : অন্যমনস্ক না হ’লে যিকর-আযকারে বাধা নেই। কেননা মুমিনের জিহবা সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকরে সিক্ত থাকবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ কর (আহযাব ৩৩/৪১)। এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলামী বিধান তো আমার ক্
উত্তর : ধৈর্য ধারণ করতে হবে, দো‘আ করা অব্যাহত রাখবে এবং দো‘আ কবূল না হওয়ার কারণগুলো বর্জন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কোন দো‘আ করলে তার দো‘আ কবুল হয়। হয়তোবা সে দুনিয়াতেই তার ফল পেয়ে যায় অথবা তা তার আখিরাতের জমা
উত্তর : অমুসলিমদের নিকট দো‘আ চাওয়া যাবে না। আর তাদের দো‘আ কবুলও হবে না। আল্লাহ বলেন, বস্ত্তত (আল্লাহকে ছেড়ে) কাফেরদের প্রার্থনা কেবলই নিষ্ফল (রা‘দ ১৩/১৪)। তবে তারা নিজেদের হেদায়াতের জন্য বা দুনিয়াবী সাহায্যের জন্য দো‘আ করলে তাদের দো‘আয় আমীন
উত্তর : উক্ত দো‘আটি নিয়মিত পাঠ করা যায়। এর পাশাপাশি নিম্নের দো‘আসমূহ পাঠ করবে। ১. ‘রাবিবগ্ফির্লী ওয়ালি ওয়া-লি দাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বায়তিয়া মুমিনাও ওয়া লিল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনাত’। (হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে বিশ
উত্তর : সন্তান লাভের জন্য নবী ইব্রাহীম ও যাকারিয়া (আঃ) কর্তৃক পঠিত দো‘আ পাঠ করবে এবং যথাযথ চিকিৎসা করবে। (১) যাকারিয়া (আঃ) দো‘আয় বলেন, রবেব লা-তাযারনী ফারদাঁও ওয়া আনতা খায়রুল ওয়ারিছীন। অর্থ : হে আমার রব, আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম উত্
উত্তর : কাফির-মুশরিকেরা নির্যাতিত হ’লে এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তাদের দো‘আ কবুল হ’তে পারে। আল্লাহ বলেন, যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন, যখন সে তাকে ডাকে এবং তার কষ্ট দূর করে দেন (নমল ২৭/৬২)। উক্ত আয়াতে মুসলিম ও অমুসলিমকে আলাদা করা হয়নি।
উত্তর : মক্কায় প্রবেশের জন্য বিশেষ কোন দো‘আ কুরআনে বা ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। বিভিন্ন বই-পুস্তকে এ বিষয়ে যে সকল দো‘আ পাওয়া যায় সেগুলো সনদবিহীন। অতএব মাসনূন বা রাসূল (ছাঃ) বর্ণিত দো‘আ হিসাবে কিছু পাঠ করা যাবে না (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/২৫৯; মাওয়
উত্তর :‘ইয়া ছাবরা আইউবা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আইউব (আঃ)-এর মত ধৈর্য ধারণের তাওফীক দাও’। এরূপ বাক্য দো‘আ অর্থে ব্যবহার করায় দোষ নেই। কারণ শারঈ বিধান ব্যতীত নবী-রাসূলগণের আদর্শ ও আচরণ অনুসরণীয়। আল্লাহ বলেন, এরাই হ’ল ঐসব মান
উত্তর : অমুসলিমদের হেদায়াত এবং সুস্থতার জন্য দো‘আ করা জায়েয (হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ২/৮৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/১০৩)। ওক্ববা বিন ‘আমের আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বলেন, তিনি মুসলিমদের বেশভূষাধারী এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে গমনকালে সে তাকে সালাম দিল
উত্তর : একাকী দো‘আ করার সময় হাতের পেট আকাশের দিকে মুখ বরাবর রেখে প্রার্থনা করবে। এ সময় এক হাত আরেক হাতের সাথে মিলে থাকবে (নববী, শরহ মুসলিম ৬/১৯০; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/১৮)। শায়খ ওছায়মীন বলেন, দুই হাত ফাঁকা করে বা আলাদা করে হাত তুলে প্
উত্তর : পবিত্র কুরআন মুমিনদের জন্য রোগ নিরাময়কারী এবং রহমত। সুতরাং উক্ত দো‘আ হতাশা দূর করার জন্য পাঠ করা যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/২৪৪-৪৬; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/৩৩৭)। দো‘আটি হ’ল- রবেব ইন্নী বিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খায়রিন ফ
উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।(১) সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবর ৩৩ বার ও লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আল
উত্তর : অন্তরকে আল্লাহমুখী করার জন্য ছালাত হ’ল সর্বোত্তম যিকর’ (ত্বোয়াহা ১৪)। এছাড়া অন্য যেকোন যিকর নীরবে করা উত্তম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাক বিনীতভাবে ও চুপে চুপে। নিশ্চয়ই তিনি সীমালংঘন কারীদের ভালবাসেন না’ (আ‘রাফ ৭
উত্তর : কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত দো‘আসমূহ দো‘আ হিসাবে বলার সময় সর্বনাম, বচন বা লিঙ্গ পরিবর্তন করে পাঠ করা যাবে। এ ব্যাপারে ইবনু তায়মিয়াহ, শায়খ বিন বাযসহ বিদ্বানগণ আলোকপাত করেছেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২২/৪৮৮; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫
পার্থিব জীবনে বান্দা কখনো কখনো বিভিন্ন প্রকার কষ্টে ভোগে। আবার কখনো কখনো অন্তরে খুব ব্যথা অনুভব করে যা তার ঘুম কেড়ে নেয়, তাকে কষ্ট দেয় এবং তার জন্য অসহ্য দুঃখ বয়ে আনে। সুতরাং অন্তরে প্রাপ্ত এ ব্যথা যদি অতীতের কোন বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয় তবে তাকে ‘হুয
উত্তর : আত্মহত্যাকারী মুসলমান হ’লে তার জন্য দো‘আ ও ছাদাক্বা করা যায়। কেননা আত্মহত্যার ফলে সে কবীরা গুনাহগার হয়। কিন্তু কাফের হয়ে যায় না (নববী, শরহ মুসলিম ২/১৩২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৩৫১)। জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন মদীনায় হিজরত কর
উত্তর : দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। ১. প্রত্যেক সূরা ধারাবাহিক একবার করে মোট তিন বার পাঠ করবে। ২. প্রত্যেক সূরা তিন তিন বার করে পাঠ করবে (ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৭/৪১৪-১৬)। যার নিকট যেটি সহজ হয় সে পদ্ধতিতে আমল করবে।প্রশ্নকারী : আমজাদ আলী, মণীপুর
উত্তর : আল্লাহর সকল সৃষ্টি তথা জীব ও জড় সব কিছুই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে। আল্লাহ বলেন, ‘সাত আসমান ও যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যেকার সবকিছু তাঁরই পবিত্রতা ঘোষণা করে। আর এমন কিছু নেই যা তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা বর্ণনা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদ ছহীহ (ছহীহাহ হা/১৮০৫)। হাদীছের ব্যাখ্যাও স্পষ্ট। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তিন শ্রেণীর লোক দো‘আ করবে, কিন্তু দো‘আ কবুল হবে না। কারণ তারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা অমান্য করেছে। উক্ত তিন শ্রেণী
উত্তর : যে কোন প্রাণীর ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করতে হবে। আ‘ঊযু বি কালিমা-তিল্লাহিত তা-ম্মা-তি মিন শার্রি মা খালাক্বা’ ‘আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাসমূহের মাধ্যমে সেই সবের ক্ষতি থেকে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেগুলি তিনি সৃষ্
উত্তর : কুরআন বা ছহীহ হাদীছে যে সকল দো‘আ পাঠের নির্দিষ্ট সময়, কাল বা পাত্র উল্লেখ করা হয়নি সে দো‘আগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিতভাবে পাঠ করা যাবে না। কেউ যদি কোন দো‘আ বা যিকিরকে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ করাকে নিয়ম বানিয়ে নেয়, তাহ’লে তা বিদ‘আত হবে। বরং য
আল্লাহর কাছে বান্দার হৃদয়ের আকুতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দো‘আ। অন্যান্য ইবাদতের ন্যায় দো‘আও একটি ইবাদত। আল্লাহর নিকট বান্দার দো‘আর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রাসূল (ছাঃ) দো‘আকে শ্রেষ্ঠ ইবাদত বলে আখ্যায়িত করেছেন।[1] দো‘আর বদৌলতে আগত বিপদ থেকে পরিত্রাণ
উত্তর : উক্ত মর্মে হাদীছটি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ সনদে বর্ণিত হয়নি (যঈফাহ হা/৫২৮৬)। তবে সূরা তওবার শেষ আয়াত ও গুরুত্বপূর্ণ দো‘আ হওয়ায় তা সংখ্যা নির্দিষ্ট না করে পাঠ করা যেতে পারে (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ২/৩৭,৩৪২; বিন বায, মাজমূ‘ ফা
উত্তর : নৌযানে আরোহণের নির্দিষ্ট কোন দো‘আ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়নি। এজন্য সাধারণ বাহনে আরোহণের সময় পঠিতব্য দো‘আটি পাঠ করা যায় (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৫/৫৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/১২৪)। আর সেটি হ’ল- সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লান
উত্তর : শরী‘আতের প্রতিটি বিধান পুরুষের পাশাপাশি নারীর জন্যও প্রযোজ্য। সুতরাং উক্ত ফযীলত মসজিদের ইক্বামতের সাথে খাছ নয়, বরং বাড়িতেও নারীরা উক্ত সময়ে দো‘আ করলে দো‘আ কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন ছালাতের জন্য আযান দেওয়া হয়, তখন আসমানের
উত্তর : দো‘আ করার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত (আর-রাহীক্ব পৃঃ ১২৬; ইবনু হিশাম ১/৪২০)। তবে এর সনদ যঈফ (ত্বাবারাণী, সিলসিলা যঈফাহ হা/২৯৩৩; দ্রঃ সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘তায়েফ সফর’ অধ্যায়)।প্রশ্নকারী : মা‘রূফ, আশাশুনি, সাতক্ষীরা।
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। যেখানে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ৫০ বার বায়তুল্লাহ ত্বাওয়াফ করবে সে পাপ থেকে ঐ দিনের মত মুক্ত হয়ে যায় যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছেন (তিরমিযী হা/৮৬৬; সিলাসিলা যঈফাহ হা/৫১০২)।প্রশ্নকারী : ফারহান ছাদীক, চা
উত্তর : অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া বা তার সেবা করা যেমন মুসলমানের উপর ওয়াজিব, তেমনি এর বিশেষ ফযীলত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ ছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসনি। সে বলবে, হে প্রভু! কিভাবে আমি আপনা
উত্তর : প্রথমে খাওয়ার দো‘আ পড়বে। অতঃপর মেযবানের জন্য দো‘আ পড়বে। খাবার পরে একাধিক দো‘আ রয়েছে। যেমন- আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন্ গাইরি হাওলিম্ মিন্নী ওয়া লা কুউওয়াহ। অর্থাৎ ‘সেই আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, যিনি আমাক
উত্তর : লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করার অনেক ফযীলত আছে। যেমন (১) একে জান্নাতের ধনভান্ডার বলা হয়েছে (বুখারী হা/৪২০৫; মিশকাত হা/২৩০৩)। (২) জান্নাতের দরজা বলা হয়েছে (তিরমিযী হা/৩৫৮১; ছহীহাহ হা/১৭৪৬)। (৩) এটি পাঠ করে দো‘আ করলে দো‘আ কবুল হয়
উত্তর : দো‘আ করার সময় নিয়তই মূল। মুখের ভুল উচ্চারণ বা ভাষা ধর্তব্য নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা কোন ভুল করলে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই (আহযাব ৩৩/৫)। আর আল্লাহ তা‘আলা মানুষের নিয়ত ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভালো জানেন। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছানা হিসাবে তাকবীরে তাহরীমার পর পড়া যাবে (মুসলিম হা/৭৭১; মিশকাত হা/৮১৩)। এটাকে এদেশে ‘জায়নামাযের দো‘আ’ বলা হয়, যা তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে পাঠ করা হয়। যা ভুল।প্রশ্নকারী : আল-আমীন, পোতাহাটী, ঝিনাইদহ।
উত্তর : একথা সঠিক। মুমিনের রোগ-ব্যাধি হ’লে সেটি তার গুনাহের কাফফারা হয়। যেমন (১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলমানের কোন বিপদাপদ, রোগ-ব্যাধি, দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা, দুঃখ-কষ্ট হয় না, এমনকি তার দেহে কোন কাঁটাও বিদ্ধ হয় না, যার দ্বারা আল্লাহ ত
উত্তর : দো‘আ ও ছাদাক্বার মাধ্যমে জটিল রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়। নবী-রাসূল ও সালাফে ছালেহীন দো‘আর মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা নিতেন। যেমন হযরত আইয়ূব (আঃ) দীর্ঘ দিন রোগাক্রান্ত থাকার পর আল্লাহর নিকট দো‘আ করে বলেন, (রাবিব ইন্নী মাস্সান
উত্তর : আল্লাহর নিকট থেকে কল্যাণ ইঙ্গিত প্রার্থনার জন্য যে নফল ছালাত আদায় করা হয়, তাকে ‘ছালাতুল ইস্তেখারাহ’ বলা হয়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় কোন্ শুভ কাজটি করা মঙ্গলজনক হবে, সে বিষয়ে আল্লাহর নিকট থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় বিশেষভাবে এই ছালাত আদায়
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত দো‘আ পাঠের পর আরবীতে অতিরিক্ত দো‘আ পাঠ করা যায় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৩/৪৯৭; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ক্রমিক ৭৭৮, ১৪/১৩৭ পৃ.)। ছাহাবীগণ বিতরের কুনূতে অতিরিক্ত দো‘আ পাঠ করেছেন (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৬৯৯; ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১১
উত্তর : উক্ত দো‘আগুলি অনুচ্চস্বরে পাঠ করা সুন্নাত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রভুকে ডাক, বিনীতভাবে ও চুপে চুপে’ (আ‘রাফ ৭/৫৫; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/২৮৪-৮৫)। তবে পার্শ্ববর্তী ব্যক্তি কেবল শুনতে পায় এমন শব্দে সিজদা ও রুকূ পরবর্তী দো‘আ পা
উত্তর : ডান হাত দ্বারা তাসবীহ গণনা করা মুস্তাহাব। কারণ রাসূল (ছাঃ) প্রতিটি ভালো কাজ ডান দিক দিয়ে শুরু করা পসন্দ করতেন (বুখারী হা/১৬৮, ৫৯২৬; মিশকাত হা/৪০০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তাসবীহ সমূহ আঙ্গুলে গণনা কর। কেননা আঙ্গুল সমূহ ক্বিয়ামতের দিন জ
উত্তর: দো‘আ ছালাতের ভিতর হ’লে তাশাহহুদই আল্লাহ্র প্রশংসা ও দরূদের জন্য যথেষ্ট হবে। আর ছালাতের বাইরে হ’লে প্রথমে ‘আলহামদুলিল্লাহি রাবিবল আলামীন’ বলবে ও রাসূলের প্রতি দরূদের জন্য ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি‘আলা ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদ’ বলে দো‘আ করবে বা অনুরূপ
উত্তর : শিশুদের কথা বলানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল বা দো‘আ নেই। তবে কুরআনে যেহেতু সকল প্রকার রোগের শিফা রয়েছে সেজন্য ঝাঁড়ফুক সংক্রান্ত সূরা বা আয়াতগুলো এবং হাদীছে বর্ণিত দো‘আগুলো পাঠ করে ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যায়। যেমন মূসা (আঃ) তোত্লা ছিলেন
উত্তর : ওযূ শেষে দো‘আ পাঠকালে আকাশের দিকে তাকাতে হবে মর্মে বর্ণিত অতিরিক্ত অংশটুকু ‘মুনকার’। উক্ত মর্মে বহু ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হ’লেও আকাশের দিকে তাকানোর বিষয়টি নেই (আহমাদ হা/১৭৪০১; ইরওয়া হা/৯৬, সনদ যঈফ)। অতএব ওযূ শেষে যে কোন দিকে ফিরে দো‘আ পাঠ ক
উত্তর : দো‘আ ইউনুস দ্বারা ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। কারণ দো‘আ দুই প্রকার-প্রশংসা মূলক ও প্রার্থনা মূলক। আর দো‘আ ইউনুসের মধ্যে দু’টোই রয়েছে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/২৪৪)। যেমন আল্লাহ বলেন, অতঃপর সে (মাছের পেটে) ঘন অন্ধকা
উত্তর : সফরকালে কেউ দো‘আ চাইলে ‘ফী আমানিল্লাহ’ বলার স্পষ্ট দলীল নেই। তবে সাধারণভাবে এক্ষেত্রে ফী আমানিল্লাহ, ফী হিফযিল্লাহ, ফী কানাফিল্লাহ, আলা বারাকাতিল্লাহ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারে দোষ নেই। যেমন জনৈক ছাহাবী সফরকালে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে বিদায় চা
উত্তর : উল্লেখিত মর্মে সরাসরি কোন বর্ণনা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায় না। তবে তারীখু বাগদাদে ইসহাক বিন রাহওয়াইহ-এর সাথে ইমাম আহমাদের অনুরূপ একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে রুটি বিক্রেতার কথা উল্লেখ নেই। উপরন্তু সেটির সনদও গ্রহণযোগ্য নয় (তারীখু
উত্তর : কারোর জন্য দো‘আ করার সময় তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার কোন বিধান নেই। এমন আমল রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের সময়ে প্রচলিত ছিল না। অতএব বিশেষতঃ নেকী বা বরকত মনে করে এরূপ করা কিংবা কারো থেকে হাত বুলিয়ে নেওয়া থেকে বিরত থাকা যরূরী। তবে কারো
উত্তর : বিদ‘আত হবে না। তবে প্রথমে হাদীছে বর্ণিত মাসনূন দো‘আসমূহ পাঠ করবে অতঃপর আম দো‘আসমূহ পাঠ করবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ দো‘আ করবে, তখন সে যেন প্রথমে তার প্রতিপালকের প্রশংসা বর্ণনা ও আমার প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করে দো‘আ শুরু কর
উত্তর : সদগুণাবলী সম্পন্ন স্বামী বা স্ত্রী পাওয়ার জন্য বিশেষ কোন দো‘আ কুরআন বা হাদীছে বর্ণিত হয়নি। তবে সারগর্ভ দো‘আ হিসাবে বেশী বেশী ‘রববানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র’ দো‘আটি পাঠ করা যায়। এই দো‘আ
প্রশ্নকারী : ইশরাত জাহান, কোরপাই, বুড়িচং, কুমিল্লা।উত্তর : ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময় পঠিতব্য দো‘আ যেকোন সময় ঘুমানোর ক্ষেত্রে পড়া যাবে। কারণ হাদীছে ঘুমের কথা বলা হয়েছে। রাত বা দিনের কথা উল্লেখ নেই। রাসূল (ছাঃ) যখন বিছানায় যেতেন, তখন তিনি এ দো‘আ
উত্তর : তাসবীহ, তাহলীল, তাকবীর ও এ জাতীয় দো‘আগুলি অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। এগুলি পাঠে প্রভূত নেকী অর্জিত হয়। তাই মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য এগুলি টাঙানো যায়। তবে নিরাপদ জায়গায় টাঙাতে হবে, যেখানে আল্লাহর নামের অবমাননা না হয় (বিন বায, ফাতাওয়া ন
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সনদের বিশুদ্ধতা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইবনু হাজার আসক্বালানী এবং আলবানী হাদীছটিকে ‘যঈফ’ বলেছেন। তবে আলবানী ‘মওকূফ হিসাবে ছহীহ’ বলেছেন (ইবনু হাজার, নাতাইজুল আফকার ১/২৬৩; আলবানী, তিরমিযী হা/৩৫০০; তামামুল মিন্নাহ ৯৫-৯
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত (তিরমিযী হা/২৮৪; মিশকাত হা/৯০০)। দুই সিজদার মাঝে প্রচলিত দো‘আটি ভিন্ন ভিন্ন শব্দে বর্ণিত হয়েছে। যেমন কোন কোন হাদীছে কেবল ‘রবিবগ ফিরলী, রবিবগ ফিরলী’ (আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর) অং
উত্তরঃ উক্ত দো‘আটি ৪ প্রকার সংকট থেকে মুক্তি চেয়ে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় ভিক্ষার জন্য বলা হয়েছে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৫৭)। তন্মধ্যে একটি হ’ল ‘সূইল ক্বাযায়ে’ যার অর্থ ‘মন্দভাগ্য’। ভাগ্য বিধাতা আল্লাহ ইচ্ছা করলে ভাগ্যে যেকোন পরিবর্তন আনতে পা
উত্তরঃ উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (সিলসিলা যঈফাহ হা/১০০৪; ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৫৮৮)।
উত্তরঃ খাওয়ার পর পঠিতব্য বেশ কয়েকটি দো‘আ ছহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি হ’ল, اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَأَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা ফীহি ওয়া আত্বইমনা খয়রাম মিনহু (তিরমিযী হা/৩৪৫৫)।
উত্তরঃ জেহরী ছালাতে ‘আমীন’ ব্যতীত ছালাতের ক্বিরাআত, তাসবীহ-তাহলীল, যিকর-আযকার সবকিছুই নীরবে বলতে হবে। সুন্নাত হ’ল মুছল্লী ছালাতের মধ্যে তার প্রতিপালকের সাথে চুপে চুপে কথা বলবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭৪৬; আহমাদ, মিশকাত হা/৮৫৬)। উল্লেখ্য, জ
উত্তরঃ শুধু রোগ মুক্তির জন্য নয়, যে কোন উদ্দেশ্যে তাবীয ব্যবহার করা হারাম। তা কুরআনের আয়াত ©র্লখে হোক আর অন্য কিছু দিয়ে তৈরি করা হোক। এর বিনিময়ে হাদিয়া গ্রহণ করাও হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তাবীয লটকাল সে শিরক করল (আহমাদ হা/
উত্তরঃ সুবহা-না রবিবয়াল ‘আযীম ও সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা কম পক্ষে তিনবার বলবে (ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮)। অন্য দো‘আও পাঠ করা যাবে। বেশী বলার নির্ধারিত সংখ্যা নেই। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো কখনো দীর্ঘ সময় রুকূ ও সিজদাতে থাকতেন এবং দো‘আ সমূহ পাঠ করতেন (আ
উত্তরঃ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিভিন্নভাবে দো‘আ করা যায়। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর খাদেম আনাসের জন্য নিম্নোক্ত ভাবে দো‘আ করেছিলেন, اَللَّهُمَّ أَكْثِرْ مَالَهُ وَوَلَدَهُ وَبَارِكْ لَهُ فِيْمَا أَعْطَيْتَهُ ‘হে আল্লাহ! আপনি তার মাল ও সন্তান বৃদ
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমা চাওয়ার উদ্দেশ্যে কবরস্থানে যাওয়া যরূরী নয়। বরং যেকোন স্থান হ’তে একাকী হাত তুলে (বা না তুলে) দো‘আ করা যায় (আহমাদ হা/২৪৯৭০ হাদীছ ছহীহ)।
উত্তরঃ এধরনের ত্রুটি হ’লে কিছু করণীয় নেই। কোন কোন সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একই দো‘আ রুকূ‘ এবং সিজদাতে পড়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৮১৭)। তবে এ ধরনের ভুল যেন না হয় সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে এবং যে দো‘আ যে স্থানে পড়ার নির্দেশ রয়েছে তা সেখানে
উত্তর : নির্দিষ্ট একটি দিনকে দলবদ্ধভাবে ছিয়াম পালনের জন্য নির্ধারণ করা মুসলিম সমাজে অনুপ্রবিষ্ট নতুন একটি বিদ‘আত। এরূপ কোন উদাহরণ রাসূল (ছাঃ) ও সালাফে ছালেহীনের যুগে খুঁজে পাওয়া যায় না। রাসূল (ছাঃ) দ্বীনের মধ্যে যে কোন নতুন প্রথা উদ্ভাবনের বি
উত্তরঃ উক্ত শব্দগুলো আল্লাহর নামের সাথে যোগ করে বলা যাবে। কারণ এগুলো হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমন ‘আল্লাহ্ তা‘আলা’ (বুখারী হা/৩৯৪; ছহীহ আবুদাঊদ হা/১০১)। ‘আল্লাহ সুবহানাহু’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২৫৮)। ‘আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’ (ছহীহ আবুদাঊদ হা/২১৬৩)। আর
উত্তর : আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) সকল শুভ কাজ ডাক দিক দিয়ে করা পসন্দ করতেন (মুসলিম হা/৬১৭; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪৮)। আর ডান হাতের ডান পাশ কড়ে আঙ্গুল দিয়েই শুরু হয়। তাছাড়া এই আঙ্গুল দিয়ে গণনা শুরু করাই সহজ ও স্বভাবজাত।
উত্তরঃ নির্দিষ্ট দো‘আর প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে নিম্নের দো‘আ পড়া যায় اَللَّهُمَّ اغْفِرْلَهُ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِى الْمَهْدِيِّيْنَ وَاخْلُفْهُ فِيْ عَقَبِهِ فِي الْغَابِرِيْنَ وَاغْفِرْلَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ وَافْسَحْ لَ
উত্তর : উক্ত দো‘আ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রহঃ) বলেন, এটি মানুষের মুখের প্রচলিত কথা মাত্র। এর কোন ভিত্তি নেই (মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৬/৩০৪ পৃঃ)। এছাড়া কোন কোন স্থানে নিম্নোক্ত দো‘আটিও চালু আছে- باسم الله والحمد لله اللهم ل
উত্তর : কেউ দো‘আ চাইলে তার উদ্দেশ্য পূরণ ও বিপদমুক্ত হওয়ার জন্য দো‘আ করতে হবে (বুখারী হা/১৯৮২ ও ৬৩৩৪)। যাদের দো‘আ কবুল হয় তাদের নিকট দো‘আ চাওয়া উচিত। যেমন পিতা-মাতা, ছিয়ামকারী ও মুসাফির প্রমুখ (ছহীহ মুসলিম হা/২৫৪২)।
উত্তর : মৃত পিতা-মাতার জন্য দো‘আ করতে হবে (ইসরা ২৪) এবং তাদের নামে ছাদাক্বা করতে হবে (বুখারী হা/২৭৭০, ‘অছিয়ত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৭)।
উত্তর : তাদের অসীলায় নয়, বরং তাদের দিয়ে দো‘আ করানো যাবে। নবী করীম (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর ছাহাবায়ে কেরাম তাঁর চাচা আববাস (রাঃ)-কে দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করেছিলেন (বুখারী, মিশকাত হা/১৫০৯ ‘ইস্তিসক্বা’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, কোন মৃত ব্যক্তিকে
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছের সনদ ছহীহ (আহমাদ, বায়হাক্বী, মিশকাত হা/৫০৯৯; ইরওয়াউল গালীল হা/৭৪)। উল্লেখ্য, উক্ত দো‘আর শেষে ‘ওয়া হার্রিম ওয়াজহী আলান না-র’ বলে যে অতিরিক্ত অংশ প্রচলিত আছে সেই অংশটুকু যঈফ (দ্রঃ ইরওয়া হা/৭৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৩)।
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ইবনু মাজাহতে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদীছটি যঈফ। এর সনদে হাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান নামে একজন রাবী আছেন, যিনি সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ (ইবনে মাজাহ হা/১৫৫৩)।
উপক্রমণিকা :ফেরেশতাগণ আল্লাহর অন্যতম সৃষ্টি। তারা সব সময় আল্লাহর নির্দেশ প্রতিপালন করে থাকেন। তারা নিজের পক্ষ থেকে কোন কিছুই বলেন না। মহান আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آَمَنُوْا قُوْا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيْكُمْ نَارًا وَقُوْدُهَا النَّاسُ وَ
উত্তর : দো‘আ শেষে মুখে হাত বুলানোর বা মুখমন্ডল মাসাহ করার কোন ছহীহ হাদীছ নেই (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭ পৃঃ; যঈফ আবূদাঊদ হা/১৪৮৫; বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২২৫৫-এর টীকা; ইরওয়াউল গালীল হা/৪৩৩-৩৪, ২/১৮১ পৃঃ)।
মানব জাতির প্রতি ফেরেশতাদের অভিশাপ :ফেরেশতামন্ডলী মানুষের উত্তম গুণাবলীর কারণে যেমন তাদের জন্য দো‘আ করেন, তেমনি মানুষের ঘৃণ্য দোষ, অসৎ কাজ ও অপকর্মের কারণে তাদের জন্য বদদো‘আ করেন বা অভিসম্পাত করেন। যাদের জন্য ফিরিশতাগণ বদদো‘আ করেন, তাদের সংক্ষিপ্ত বি
উত্তর : শয্যা গ্রহণকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে শয়তানের কবল থেকে নিরাপদ থাকা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিছানায় শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হয়। ফলে সকাল পর্যন্ত শয়তান ঐ ব্যক্তির নিকটবর্তী হ’তে পারে না’ (ব
উত্তর : যমযম কূপের পানি পানের সময় উক্ত দো‘আ পাঠের হাদীছটি যঈফ (ইরওয়াউল গালীল, ৪/৩৩পৃঃ, হা/১১২৬-এর আলোচনা দ্রঃ; যঈফ আত-তারগীব হা/৭৫০)। তাই সাধারণ দো‘আ হিসাবে ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে।
ভূমিকা :মানুষের দো‘আ পাওয়া একটি কাঙ্খিত বিষয়। আমরা সবাই অন্যের কাছে দো‘আ প্রত্যাশা করি। সেই জন্য সুযোগ পেলেই দ্বীনদার মানুষের কাছে নিজের জন্য এবং নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য দো‘আ চেয়ে থাকি। কিন্তু ইসলামী শরী‘আত আমাদের জন্য এমন কিছু উপায় করে দিয়েছে, যা
উত্তর : পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষের পরীক্ষা নিতে চান যে কে তাদের মাঝে সর্বোত্তম আমল করে (সূরা মুলক ২)। তাই প্রতিটি মানুষই প্রতিনিয়ত পরীক্ষার সম্মুখীন। এ পরীক্ষার ধরন বিভিন্ন হ’তে পারে (বাক্বারাহ ১৫৫)। যেমন কাউকে মন্দ ও কাউকে ভাল দ্বারা (আম্বিয়া ৩৫)। আল্ল
উত্তর : যার ক্ষতি করা হয়, সে ক্ষতিকারীর অনুরূপ ক্ষতি করতে পারে (বাক্বারাহ ১৯৪)। তবে ক্ষতি না করে ক্ষমা করে দিয়ে ভাল আচরণ করাই উত্তম (হামীম সাজদাহ ৩৪)। এমনি এক প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তুমি ফিৎনা কালে আদমের উত্তম পুত্রের ন্যায় (হাবী
ভূমিকা :পৃথিবীতে আগত সকল নবী-রাসূলের মাঝে আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মর্যাদা হ’ল তারাভরা রাতের আকাশে একটি রূপালী চাঁদে মত। তিনি সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসূল। তিনি জগৎবাসীর জন্য রহমত হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার আগমনে পাপ-বিদগ্ধ ভুবনে শান্তির নির্মল
উত্তর : মসজিদে প্রবেশের দো‘আ নিম্নস্বরে পড়বে। তবে মসজিদে প্রবেশকালে মুছল্লী থাকলে সালাম দেওয়া সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম মতভেদ করেছেন। জমহূর বিদ্বানগণ ছালাতরত মুছল্লীদের উপর সালাম দেওয়াকে মাকরূহ বলেছেন। তবে হাম্বলীরা জায়েয বলেছেন। কেননা ইবনু ওমর
উত্তর : কবরের পাশে মসজিদ নির্মাণ করা কোন সৌভাগ্যের বিষয় নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে প্রসিদ্ধ ব্যক্তি হ’লে এটি শিরকের কেন্দ্র হয়ে যেতে পারে, যা থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের নবীগণ ও নেক ব্
উত্তর : উক্ত দো‘আটি ছানা হিসাবে তাকবীরে তাহরীমার পর পড়া যাবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৮১৩)।[‘নূর হুসাইন’ অর্থ ‘হুসাইনের জ্যোতি’। এরূপ নাম রাখা ঠিক নয়। অতএব নাম পাল্টিয়ে ‘আব্দুন নূর’ রাখা উচিত (স.স.)]
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (তিরমিযী হা/৩৩৭১, মিশকাত হা/২২৩১)। তবে অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, দো‘আই হ’ল ইবাদত (আবুদাউদ হা/১৪৮১, তিরমিযী হা/৩৩৭২, মিশকাত হা/২২৩০, সনদ ছহীহ)। অর্থাৎ দো‘আ হ’ল শ্রেষ্ঠ ইবাদত।
উত্তর : পাবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করেছেন (বুখারী হা/৬৫৩; মুসলিম হা/১৯১৫; মিশকাত হা/১৫৪৬)। তবে নিঃসন্দেহে এই মর্যাদা পেতে গেলে তাঁকে শিরক-বিদ‘আতমুক্ত ও বিশুদ্ধ আক্বীদা সম্পন্ন মুসলিম হ’তে হবে (মিরক্বাত
উত্তর : লিখিত আকারে একে অপরের জন্য দো‘আ করা যায়। তবে লেখার সময় দো‘আ করার নিয়ত থাকতে হবে। আর অনুপস্থিত কারো জন্য দো‘আ করা নেকীর কাজ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘একজন মুসলিম তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দো‘আ করলে তা কবুল হয়। তার মাথার নিকটে একজন ফের
উত্তর : আয়না দেখার বিশেষ দো‘আ সম্পর্কিত বর্ণনাগুলির কোনটি জাল এবং কোনটি খুবই দুর্বল (ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াউম ওয়াল লাইল হা/১৬৩-১৬৪; ইরওয়া ১/১১৫)। তবে (আয়না দেখা সহ) সাধারণভাবে যেকোন সময় নিজের সুন্দর অবয়বের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
উত্তর : ছালাত বা ছালাতের বাইরে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে তাঁর গুণবাচক নাম সমূহ দ্বারা আহবান করা যাবে। যেমন হে রূযীর মালিক! আমাকে রূযী দাও! হে আরোগ্য দানকারী! আমাকে আরোগ্য দান কর। হে অন্তর সমূহের পরিবর্তনকারী! তুমি আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর দৃ