উত্তর : পিতা নিজ সম্পত্তি খরচ করা বা দান করার ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন। সন্তানদের অজ্ঞাতে স্ত্রীকে নিজ সম্পদ দান করা অপরাধ নয়। আর এ ব্যাপারে সন্তানদের অবহিত করতেও তিনি বাধ্য নন। কেবলমাত্র একাধিক স্ত্রী বা একাধিক সন্তানদের দান করতে চাইলে সমতা রক
উত্তর : শরীফ কুরআনের কোন গুণবাচক নাম নয়। তবে শরীফ অর্থ সম্মানিত, উঁচু, উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ইত্যাদি। সে হিসাবে কুরআনের সাথে সম্মানার্থে শরীফ শব্দ যুক্ত করলে দোষ নেই। তবে সর্বদা কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত ছিফাতগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। যেমন আল-কু
উত্তর :প্রথমত নিজ অপরাধের কথা গোপন রেখে খালেছ নিয়তে তওবা করবে এবং অধিকহারে সৎকর্ম সম্পাদন করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তে ও রাত্রির কিছু অংশে। নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে’ (হূদ ১১/১১৪)। তিনি
উত্তর : উক্ত মর্মে একটি প্রসিদ্ধ হাদীছ পাওয়া যায়। যাতে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারীর সাথে এ উদ্দেশ্যে চলে যে, সে তার শক্তি বৃদ্ধি করবে; আর সে এটা জানে যে, সে যুলুমকারী, তবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৬১৯; মিশকাত হা/
উত্তর : এভাবে পর্দার বিধান লংঘন করে ক্লাবের কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। কেননা এতে শয়তান পরস্পরকে পাপ কাজে প্ররোচিত করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাযত করে।
উত্তর : যেকোন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ত সঠিক রেখে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে সমর্থন দিবে। এরপর যদি সে কোন পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তবে সে নিজেই গুনাহগার হবে। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)। আল্লাহ বলেন, কাফেররা মুমিনদের
ভূমিকা :মানুষ নেক আমল করতে সক্ষম হ’লেও পাপাচার বর্জনে অনেক ক্ষেত্রে অক্ষম হয়ে যায়। অথচ এমন অনেক পাপ আছে, যা মানুষের আমল বিনষ্ট ও নিষ্ফল করে দেয়। এতে সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নেকী অর্জনের পাশাপাশি পাপ বর্জনের সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। কেননা এটা
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ঔষধ পরিহার করা এবং নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া আত্মহত্যার শামিল। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল’ (নিসা ৪/২৯)। তিনি বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় কর এবং নিজেদেরকে ধ্বংস
ভূমিকা :রিয়া বা লৌকিকতা সৎআমল বিধ্বংসী নীরব ঘাতক। মনের অজান্তেই মানুষের অন্তরে এই রোগ বাসা বাঁধে। এটি মুখোশধারী প্রতারক। যে অবগুণ্ঠনের আড়ালে তার বীভৎস চেহারা আড়াল করে রাখে। মানুষকে দেখানো বা শুনানোর জন্য যখন কোন সৎকর্ম বা ইবাদত সম্পাদিত হয়, তখন সেটি
গ. ব্যক্তির দ্বীনের উপরে প্রভাব :ব্যক্তির দ্বীনদারীর উপরেও পাপের প্রভাব পড়ে। ফলে ইহকাল ও পরকালে সে যারপরনাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাপাচারের কারণে পাপের প্রতি আসক্তি তৈরী হয়, হেদায়াত ও রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। ঈমান বিনষ্ট হয়। এতে আল্লাহর কাছে লাঞ্ছিত হয় এবং মান
সঊদী আরবের ত্বায়েফ প্রবাসী আত-তাহরীক-এর জনৈক পাঠক আমাদের বিগত সম্পাদকীয় ‘ভালো আছি’ পড়ে প্রভাবিত হয়ে ‘ভালোবাসি’ নামে আরেকটি সম্পাদকীয় উপহার দেওয়ার দাবী জানিয়ে পত্র লিখেছেন। হজ্জ ও কুরবানী তথা বিশ্ব মুসলিম মহাসম্মেলন ও আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্র
মানুষের পাপ যত বৃদ্ধি পাবে, ততই নতুন নতুন গযব নাযিল হবে। পাপের প্রকৃতির যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, গযবের প্রকৃতিও তেমনি পরিবর্তিত হচ্ছে। এক সময় ম্যালেরিয়া জ্বর, কালাজ্বর এদেশের আতংক ছিল। ওলাউঠা, গুটি বসন্ত, টিবি ইত্যাদির পরে আসলো ‘ক্যান্সার’। তারপর বর্তমান
নির্যাতিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত নারী সমাজের অধিকার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে মেরে ফেলার মত জাহেলী প্রথার মূলোৎপাটন করেছে ইসলাম। ইসলামই দিয়েছে তাদের উত্তরাধিকারের সুমহান মর্যাদা। দিয়েছে মাতৃত্বের চির গৌরব। অথচ সে নারী আজ প্রতিনিয়ত
উত্তর : ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাধ্যমত দৃষ্টিপাত এড়িয়ে কথা বলবে। আর দৃষ্টিপাত সম্পূর্ণ কামনামুক্ত রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে’ (নূর ২৪/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর
উত্তর : পাপাচারী ব্যক্তিরাও সুন্দর ও সত্য স্বপ্ন দেখতে পারে। যেমন ইউসুফ (আঃ)-এর দুই সাথীর সত্য স্বপ্ন এবং মিসরের বাদশার সত্য ও সতর্কতামূলক স্বপ্ন। তবে ফাসিক ব্যক্তির সুন্দর স্বপ্ন তার হেদায়াতের কারণ হ’তে পারে বা তার জন্য সতর্ক বার্তা হ’তে পারে।
ভূমিকা : আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারাই, যারা ঈমানদার। আর প্রকৃত ঈমানদার তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অন্য সবকিছু থেকে বেশী ভালবাসে। ধন-সম্পদ, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্তুতি, এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও রাসূল (ছাঃ)-কে অধিক ভালবাসে। তবে তাঁকে ভালবাসার অর্থ ত
৬. দীর্ঘ আশা-আকাঙ্ক্ষা :মানব জীবনে আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকবে। কিন্তু তা যদি মানুষকে ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে অনুপ্রাণিত করে এবং আখেরাত থেকে ভুলিয়ে না রাখে তবে তা নিন্দনীয় নয়। যেমন জমি কর্ষণ করে ফল-ফসল উৎপাদন ও তা ভোগ করা; বিবাহ-শাদী করা, সন্তান জ
উত্তর : মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন বাড়তি সুযোগ গ্রহণ করা যাবে না। কারণ মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া উভয়টি কবীরা গুনাহ। আল্লাহ বলেন, অতএব তোমরা মূর্তিপূজার কলুষ এবং মিথ্যা কথা হ’তে দূরে থাক (হজ্জ ২২/৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদের
উত্তর : নির্বাচন কমিশন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সরকারের একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। প্রচলিত গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা ইসলাম সমর্থন করে না। তবে নেতৃত্ব নির্বাচন বৈধ বিষয়। অতএব বাধ্যগত অবস্থায় নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করলে
গোনাহে জড়িয়ে পড়ার কারণ সমূহ :শয়তানের কুমন্ত্রণা, প্রবৃত্তি পরায়ণতা ও নফসে আম্মারার ধোঁকা ইত্যাদি কারণে মানুষ গোনাহে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও নানা কারণে মানুষ পাপাচারে লিপ্ত হয়ে থাকে। নিম্নে পাপে জড়িয়ে পড়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হ’ল।-১. প্রবৃত্তির অনুসরণ :মান
উত্তর : অন্যের জমি অবৈধভাবে দখল করা নিঃসন্দেহে মহাপাপ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, কেউ যদি অন্যায়ভাবে কারু এক বিঘত জমি দখল করে, ক্বিয়ামতের দিন সাত তবক যমীন তার গলায় বেড়ী পরানো হবে (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২৯৩৮)। সমস্ত অবৈধ সম্পদ ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি
ভূমিকা :বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে পহেলা বৈশাখের অবস্থান বেশ মযবুত। কিন্তু আমাদের ইতিহাসে নববর্ষ উদযাপন যতটা সাংস্কৃতিক ব্যাপার, ততোধিক রাজনীতি আকারে বিদ্যমান। দেশে জনগণের মধ্যে প্রতিবছরই নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে প্রবল মেরুকরণ তৈরি হয়। অত্র প্র
ভূমিকা :আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। পার্থিব জীবনে আল্লাহর নির্দেশ পালনের মাধ্যমে বান্দা তাঁর অনুগত থাকবে, এটাই তার কর্তব্য। কিন্তু মানুষ যখন আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে, তাঁর অবাধ্য হয় তখন সে হয় পাপী, গোনাহগার। আর তার পাপের কারণ
উত্তর : যেনা-ব্যভিচার জঘন্য হারাম কাজ। এগুলো থেকে বিরত থাকা এমনকি নিকটবর্তী হওয়া থেকে দূরে থাকাও আবশ্যক (ইসরা ১৭/৩২)। এক্ষণে যেনার মাধ্যমে যেহেতু নারীর পেটে সন্তান চলে এসেছে সেজন্য উভয়ের তওবা করা আবশ্যক এবং ছেলের জন্য আবশ্যক হচ্ছে তাকে বিবা
উত্তর : পাপী হ’তে থাকবে (ইবনু আলান, দলীলুল ফালেহীন ২/১৩৬; ওছায়মীন, শরহ রিয়াযুছ ছালেহীন ২/৩৪৫)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতির প্রচলন করবে, তার উপর তার নিজের এবং ঐ লোকদের গোনাহ বর্তাবে, যারা তার (মৃত্যুর) পর তার উপর
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা দু’টি কারণে বিপদ-আপদ দেন। প্রথমতঃ পাপীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। যেমন আল্লাহ বলেন, তোমাদের যেসব বিপদাপদ হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মের ফল (শূরা ৪২/৩০)। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, স্থলে ও সমুদ্রে সর্বত্র বিপর্যয় ছড়িয়ে
উত্তর : কোন প্রকারের সম্পর্ক রাখা যাবে না। এতে শয়তান অবৈধ সুযোগ নিবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার কর্ণ, চক্ষু ও হৃদয় প্রতিটিই জিজ্ঞাসিত হবে’ (বনু ইস্রাঈল ৩৬)। তিনি বলেন, বস্ত্তত যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন’।
উত্তর : গীবত করা হয়েছে এমন ব্যক্তির জন্য অধিকহারে ইস্তিগফার পাঠ করাই তার কাফফারা। আর তার জন্য দান-ছাদাকা, ইস্তিগফার ও দো‘আ করবে (নববী, আল আযকার ৫৫০ পৃ.)। আর দো‘আয় বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগফির লানা ওয়া লাহু’ অর্থাৎ আল্লাহ তুমি আমাদের ও তাকে ক্ষমা
উত্তর : তাকদীরে বিশ্বাস করা ফরয। তাকদীরে লেখা থাকে বলে মানুষ আত্মহত্যা করে এমন কথা সঠিক নয়। বরং আল্লাহ তা‘আলা অদৃশ্যের খবর রাখেন। বান্দা সমগ্র জীবনে কি করবে বা করবে না তাঁর সবই জানা। এজন্য তিনি লিখে রাখেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৮/
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
উত্তর : বান্দার হক বা অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলোই হাক্কুল ইবাদ। যেমন কারো অর্থ বা জমি আত্মসাৎ করা ইত্যাদি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়া থেকে ছালাত-ছিয়াম-যাকাত ইত্যাদি আদায় করে আসবে। সাথে ঐসব লোকেরাও আসবে, যা
উত্তর : আল্লাহর ভয়ে অনুতপ্ত না হয়ে এমনিতেই গুনাহ ছাড়লে সে পাপ মুক্ত হবে না। তাছাড়া ছওয়াবের উদ্দেশ্য না থাকলে সে এতে কোন ছওয়াব পাবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১০/৭৩৮; ইবনুল ক্বাইয়িম, শিফাউল আলীল ১/১৭০)। আর সাধারণভাবে লোকলজ্জায় কোন প
উত্তর : এজন্য সবচেয়ে বড় উপায় হ’ল পরনারী থেকে দৃষ্টিকে অবনত রাখা। যে বিষয়ে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন (নূর ২৪/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বেগানা নারীর দিকে তাকাতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, একবার দৃষ্টি পড়ার পর পুনরায় নয়। কেননা প্রথমবারের জন্য তোমার অনুমতি র
উত্তর : কোন যেনাকার নারী-পুরুষ খালেছ তওবা করলে তাকে বিবাহে বাধা নেই (ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর; তাফসীরে সা‘দী ৫৬১ পৃ.)। তবে পিতা-মাতার সম্মান ও সামাজিক মর্যাদার প্রতি খেয়াল করে সন্তানের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মহিলাকে চ
১. মালেক বিন দীনার (রহঃ) বলেন,كفى بالمرء خيانة أن يكون أميناً للخونة، وكفى بالمرء شراً أن لا يكون صالحاً ويقع بالصالحين، ‘কোন ব্যক্তির খেয়ানতকারী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে খেয়ানতকারীর রক্ষক হবে। আর কোন মানুষের নিকৃষ্ট হওয়ার জন্য এতটুকুই
উত্তর : নিজের একাউন্ট থেকে ছবি ও ভিডিও মুছে করে ফেলুন এবং যার কাছে আছে, সেও যেন মুছে ফেলে। নইলে অশ্লীলতা প্রচারের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে (নূর ২৪/১৯)। মনে রাখতে হবে যে, অনুতপ্ত হওয়ার সাথে আন্তরিক তওবা আল্লাহ কবুল
উত্তর : হাদীছে বর্ণিত মনের যেনা বলতে যেনার পরিকল্পনাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি নির্দিষ্টভাবে কারো সাথে যেনা করার সংকল্প করে এবং বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে তাহ’লে সে রূপক অর্থে যেনাকার হিসাবে গুনাহগার হবে (নববী, শরহ মুসলিম ১৬/২০৬)।
উত্তর : যাবে না। কারণ এতে অন্যায় কাজে সহায়তা করা হবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তি দানকারী (মায়েদাহ ৫/২)।প্র
উত্তর : পাপ থেকে বিরত থাকবে এবং কাফফারা দিবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানত দু’প্রকার। অতএব যে ব্যক্তি নেক কাজের জন্য মানত করবে, তা কেবল আল্লাহর জন্য হবে। আর যে ব্যক্তি গুনাহের কাজের জন্য মানত করে, তা কেবল শয়তানের জন্য হবে। এই জাতীয় মানত পূরণ করতে নেই
উত্তর : এভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েয নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, যখন কোন পুরুষ কোন পরনারীর সাথে নির্জনে কথা বলে, তখন সেখানে তৃতীয়জন থাকে শয়তান’ (তিরমিযী হা/১১৭১; মিশকাত হা/৩১১৮)। আর মোবাইলে কোন পরনারীর সাথে নিয়মিতভাবে অপ্রয়োজনীয় কথা বলা শ
উত্তর : আত্মহত্যা মহাপাপ এবং তার জাহান্নামী হওয়ার অন্যতম কারণ। তবে পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে সে পরকালীন শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে (১) পাগল, যতক
উত্তর : এটা ঠিক হবে না। কারণ মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। এই মানত ভঙ্গের জন্য আল্লাহ তার অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে দিবেন এবং পরকালে তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন (তওবাহ ৯/৭৫-৭৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য নযর মানে, সে যেন (তা
উত্তর : প্রচলিত অনশন ধর্মঘট আত্মহত্যার শামিল। এতে মারা গেলে নিঃসন্দেহে সে আত্মহত্যাকারী হিসাবে গণ্য হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না’ (নিসা ৪/২৯)। তিনি বলেন, ‘যে কেউ সীমালংঘন ও যুলুমের বশবর্তী হয়ে এরূপ করবে, তাকে শীঘ্রই আমরা
উত্তর : কোলাকুলি বা মুআ‘নাকা অর্থ কাঁধে কাঁধ মিলানো এবং মহববতে জড়িয়ে ধরা। মাহরাম পুরুষ বা নারীর সাথে সাধারণভাবে কোলাকুলি করা যায়। তবে বিরত থাকাই উত্তম। আর কোলাকুলির বিষয়টি সফর থেকে ফিরে আসা ব্যক্তির সাথে খাছ বলে বিদ্বানগণ আলোকপাত করেছেন (বি
উত্তর : আত্মহত্যা কবীরা গুনাহ। এই মহাপাপের ভাবনা থেকে মুমিনকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। যে ব্যক্তি যেভাবে আত্মহত্যা করবে জাহান্নামে সে সেই পদ্ধতিতেই শাস্তি ভোগ করবে। তবে তাওহীদে বিশ্বাসী আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি স্থায়ী জাহান্নামী হবে না। বরং শাস্তি ভো
উত্তর : খালেছ নিয়তে তওবা করতে হবে। বান্দা তার পাপ থেকে ফিরে আসতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে বিশুদ্ধ তওবা করলে আল্লাহ তাঁর তওবা কবুল করবেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর বান্দার তওবা কবুল করেন তার মৃত্যুর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত’ (তিরমিযী,
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।গীবতের পরিণাম ও ভয়াবহতাগীবত বা পরনিন্দা একটি সর্বনাশা মহাপাপ। এই পাপের মাধ্যমে হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার অধিকার নষ্ট হয়। কারণ পরনিন্দার মাধ্যমে অন্যের সম্মান হানি করা হয় এবং তার মর্যাদার ওপর চরমভাবে আঘাত করা হয়, যা আল্লাহ প্রত্যেক মুসল
উত্তর : স্ত্রীর প্রকাশ্য অপকর্ম ও স্ত্রীর যেকোন অপকর্মে স্বামী বাধা না দিলে বা নীরব থাকলে ঐ স্বামী পাপী হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। অতএব সে তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে’ (বুখারী হা/২৭৫১; মিশকাত হা/৩৬৮৫)।
উত্তর : অশ্লীলতা বা গুনাহে পতিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেসব পর্যটন স্থলে যাওয়া হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা প্রকাশ্য বা গোপন কোন অশ্লীলতার নিকটবর্তী হয়ো না’ (আন‘আম ৬/১৫১)। বরং আল্লাহ তা‘আলা সফর করতে বলেছেন যেখানে গেলে তাঁর সৃষ্টির রহস্য
গীবত অতীব ভয়ংকর গুনাহ। কিন্তু দুই ধরনের গীবত আরো বেশী ভয়াবহ। তন্মধ্যে একটি হ’ল আলেম-ওলামার গীবত এবং অপরটি হ’ল মৃত মানুষের গীবত। ১. আলেমদের গীবত করা : আলেমদের গীবত দুই রকমের। (১) সাধারণ মানুষ কর্তৃক আলেমদের নিন্দা বা গীবত করা এবং (২) আলেম কর্তৃক অপর
ভূমিকা :গীবত একটি ভয়াবহ পাপ। সমাজে যেসব পাপের প্রচলন সবচেয়ে বেশী তন্মধ্যে গীবত অন্যতম। এই পাপটি নীরব ঘাতকের মতো। বান্দার অজান্তেই এটা তার নেকীর ভান্ডার নিঃশেষ করে দেয় এবং তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে ছাড়ে। এটি চুরি-ডাকাতি, সূদ-ঘুষ, যিনা-ব্যভিচা
সম্প্রতি হঠাৎ কিছু বক্তাদের মাধ্যমে গুজব রটল এ বছরের ১৫ই রামাযান শুক্রবার ক্বিয়ামত হবে। সেদিন আকাশে বিকট আওয়ায হবে। তাতে বহু লোক মারা যাবে, অন্ধ হবে, বধির হবে’ ইত্যাদি। তারা প্রমাণ উপস্থাপনের সময় বললেন, ‘হয়তো হাদীছ হিসাবে সনদটি ছহীহ নাও হ’তে পারে, কি
উত্তর : কবীরা গুনাহ হ’ল যে সকল গুনাহের ব্যাপারে অভিসম্পাত করা হয়েছে এবং পরকালীন শাস্তি কিংবা দুনিয়ায় হদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর জেনে-শুনে বার বার ছগীরা গুনাহে লিপ্ত হ’লে তাও কবীরা গুনাহে পরিণত হয়। যেমন ওমর ও ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,لاَ ك
উত্তর : স্ত্রীর একনিষ্ঠ তওবা সাপেক্ষে স্বামী তাকে স্ত্রী হিসাবে রাখতে পারে (ছহীহাহ হা/৬৬৩)। আর তার থেকে আবারও একই কর্মে জড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকলে, তাকে তালাক দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। কারণ স্ত্রীর ব্যভিচার চলমান থাকার বিষয়টি জানার পরেও তাক
উত্তর: কোন তওবাকারীকে তার পূর্বের গোনাহ নিয়ে খোটা দেওয়া যাবেনা। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি গোনাহ থেকে তওবা করে, সে নির্দোষ ব্যক্তির ন্যায়’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৫০; মিশকাত হা/২৩৬৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন শ্রেণীর ল
উত্তর : গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করা বা হত্যা করা নিষিদ্ধ। বিশেষ করে শিশুর গঠন শুরু হয়ে গেলে গর্ভপাত করা যাবে না। আর ৪০ দিনেই শিশুর গঠন শুরু হয়ে যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৪/১৬০)। উল্লেখ্য, গর্ভপাত ঘটানোর অর্থই হ’ল সন্তান হত্যা করা, য
উত্তর : নিজের ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করা কন্যাকে বিবাহ করা যাবে না। কেননা জারজ হ’লেও সে তারই অংশবিশেষ। পিতৃপরিচয় গোপন থাকলেও সে জিনগতভাবে তারই সন্তান। অতএব তাকে বিয়ে করা হারাম। এ ব্যাপারে জমহুর বিদ্বানগণ একমত (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/১১
উত্তর : হ্যাঁ, যেনা-ব্যভিচারের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী জারজ সন্তানকে অপমানসূচক কথা বলা বা সমালোচনা করা গুনাহের কাজ। কেননা তার জন্মদাতা যেনাকার নারী-পুরুষের অপরাধের কারণে সে পাপী নয়। আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪;
উত্তর :প্রথমতঃ দৃষ্টি অবনমিত রাখবে এবং কোন গায়ের মাহরাম নারীর দিকে কামনার দৃষ্টিতে তাকাবেনা। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে’ (নূর ২৪/৩০)। অনুরূপভাবে নারীরাও এমন পোষাক পরে চলাফেরা করবে না, যাতে পুর
আল্লাহ তা‘আলার আদেশ-নিষেধ পরিপন্থী কোন কাজ করাই মূলত গোনাহ। গোনাহের মধ্যে ছোট ও বড় দু’রকমের গোনাহ রয়েছে। ছোট গোনাহসমূহ বিভিন্ন সৎআমলের মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়া যায়। কিন্তু বড় গোনাহসমূহ তওবা ব্যতীত ক্ষমা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। অথচ আমরা প্রতিনিয়ত ছোট-বড় নানা
পর্ব ১। পর্ব ২। পর্ব ৩।স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে বাঁচানোর উপায়স্বামী-স্ত্রী যে কেউ পরকীয়ায় জড়িত হ’তে পারে। পরিবারের কর্তা হিসাবে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যথাযথ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে রক্ষা করা যায়। এক্ষেত্রে স্বামী ন
উত্তর : প্রথমতঃ স্ত্রী স্বামীর অগোচরে কোন পাপ করলে স্বামী পাপী হবেন না। কেননা আল্লাহ বলেন, ‘কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না’ (আন‘আম ৬/১৬৪ প্রভৃতি)। আর যদি স্ত্রীর পাপের কথা স্বামী জ্ঞাত থাকে এবং সে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহ’লে স্বামী গু
পর্ব ১। পর্ব ২।পরকীয়া থেকে বাচাঁর উপায় :ইসলাম মানব জাতির পরিপূর্ণ জীবন বিধান। সকল সমস্যার সুন্দর সমাধান রয়েছে ইসলামে। তাই পরিবার বিধ্বংসী পরকীয়া থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ইসলামে রয়েছে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা। নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার
ভূমিকা :পরিবার হ’ল সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথম ধাপ। মানব জীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম। সমাজের অস্তিত্বের জন্য সুষ্ঠু-সুন্দর ও অপরাধমুক্ত পারিবারিক জীবন অপরিহার্য। আজকাল পারিবারিক অপরাধ সংঘটিত হয় না এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্ক
পর্ব ১।যেনা-ব্যভিচারের পরকালীন শাস্তি : ব্যভিচারী নারী-পুরুষ কবরে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদীছে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,... ‘আমরা সম্মুখের দিকে অগ্রসর হ’লাম। সেখানে একটি গর্তের নিকটে এসে পৌঁছলাম, যা তন্
উত্তর : ছবি সরিয়ে ফেলবে বা ঢেকে রাখবে। কেননা প্রাণীর ছবি-মূর্তি হারাম। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) স্বীয় গৃহে (প্রাণীর) ছবিযুক্ত কোন বস্ত্তই রাখতেন না; বরং তা নষ্ট করে ফেলতেন (বুখারী হা/৫৯৫২; মিশকাত হা/৪৪৯১)। একইভাবে প্লাস্টিকের ম্যান
উত্তর : ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সূদ ছাড়াই মূল ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। কোনভাবেই তারা মেনে না নিলে বাধ্যগত অবস্থায় সূদ সহ ঋণ পরিশোধ করবে। আর এতে সন্তানের কোন গুনাহ হবে না। কেননা একের পাপের বোঝা অন্যে বহন ক
উত্তর : খালা এবং ফুফু উভয়ে মাহরাম। আর মাহরামের সামনে নারীরা নিজেদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারে (নিসা ৪/২৪)। তবে খালাতো ও ফুফাতো বোনদের থেকে পর্দা করে চলতে হবে (নূর ২৪/৩১; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৯৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৭/২৯০, ৯৭)। এক্ষণে
ভূমিকা : ক্বিয়ামত পর্যন্ত মানব বংশের ধারাবাহিক সংরক্ষণ, মানববংশ বৃদ্ধি, ইসলামের পরিপূর্ণ অনুশীলন ও বৈধভাবে জৈবিক চাহিদা পূরণ ও লজ্জাস্থান হেফাযতের জন্য মহান আল্লাহ পরিবার প্রথা প্রচলন করেছেন। আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহ নিজেই মানব জাতির প
অন্যায় পন্থায় অর্থ উপার্জনের ও স্বার্থ উদ্ধারের অন্যতম মাধ্যম হ’ল ‘ঘুষ’। যা সমাজের জন্য দূর নিয়ন্ত্রিত বোমার মত কাজ করে। কেননা ঘুষ দেখা যায় না এবং এর কোন রেকর্ড থাকে না। অথচ কার্যোদ্ধার হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্
উত্তর : নিজ বাসার জানালা দিয়ে বা ছাদ থেকে কিছু দেখার সময় কারো প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টি পড়লে গুনাহ হবে না। তবে সাধ্যমত দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে (সূরা নূর ৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ যদি অনুমতি প্রদানের পূর্বেই পর্দা সরিয়ে ঘরের ভেতর দৃষ্টি নিক্ষেপ
অর্থনৈতিক প্রতারণার বিচার হচ্ছে না। শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক ঘটছে প্রতারণা। নিত্য-নতুন আইন হ’লেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্য-নতুন ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। তাদের অভিনব কৌশলের কাছে হার মানছে সাধারণ মানুষ। সচেতনতার অভাবেও বার বার প্রতারণার ফাঁদে প
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এমএলএম নামক বহুস্তর বিপণন কোম্পানী ও সমবায় সমিতি সমূহ মিলিয়ে গত ১৫ বছরে ২৮০টি প্রতিষ্ঠান দেশবাসীর অন্ততঃ ২১ হাযার ১৭ কোটি টাকা লোপাট করেছে। সবক্ষেত্রেই মূল উৎস ছিল লোভ। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য কিনলে তার চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ ফে
উত্তর : পরকীয়া একটি জঘন্য কর্ম। এতে কেবল ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না; বরং পুরো সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য সংশোধনের স্বার্থে বিষয়টি তাকে জিজ্ঞেস করা বা তার স্বামীর কানে আভাস দেওয়ায় কোন দোষ হবে না। সাক্ষী না থাকলে বিচার করা যাবে না বা হদ কায়েম ক
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (যঈফাহ হা/৪৫৪৯)। মিউজিক যুক্ত সঙ্গীত ইসলামী হৌক বা অনৈসলামিক হৌক তা শ্রবণ করা হারাম। অনুরূপভাবে অশালীন গান-বাজনা শ্রবণ করা এবং গাওয়াও হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতা বশে বাজে কথা
উত্তরঃ যিনা বিভিন্ন প্রকার হ’তে পারে। নিজের স্ত্রী বা দাসী ব্যতীত অন্য মহিলার সাথে জৈবিক চাহিদা পূরণ করাকে যৌনাঙ্গের যিনা বলে। এছাড়া চোখের যেনা হচ্ছে মাহরাম ব্যতীত অন্য মহিলার দিকে কামনার দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। মুখের বা জিহবার যেনা হচ্ছে কামভাবে
তওবার পদ্ধতি :কোন গুনাহগার ব্যক্তি তওবা করতে চাইলে, প্রথমে যে পাপে লিপ্ত ছিল সেটা ছাড়তে হবে এবং আল্লাহর আযাবের ভয়ে ও পরকালে জান্নাত পাওয়ার আশায় তওবার নিয়ত করতে হবে। আর মনে মনে ঐ পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে তাতে আর ফিরে না আসার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। সেই সাথে
ধূমপান একটি মারাত্মক ক্ষতিকর ও বিপদজনক অভ্যাস। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এ সম্পর্কে জানে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই লেখা থাকে ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতকর’। তারপরও অনেকেই দেদার
গোনাহ ক্ষমা করানোর পদ্ধতি ও আমল :আল্লাহ মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাঁর ইবাদত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষ আল্লাহর নির্দেশ ভুলে পার্থিব চাকচিক্য দেখে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে প্রতিটি মুহূর্তেই গোনাহের মধ্যে পতিত হচ্ছে। আল্লাহ অসীম দয়ালু হিসাবে মানুষের গোনাহ ক্ষ
উত্তরঃ শুধু পাপের কারণে মানুষের অসুখ-বিসুখ হয় না, বরং পরীক্ষা স্বরূপও হ’তে পারে (বাক্বারাহ ১৫৫)। শিশুদের অসুখের বিষয়টি পিতা-মাতার পাপ মোচনের জন্যও হ’তে পারে কিংবা তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্যও হ’তে পারে। আর এই পরীক্ষা ও উপদেশ পিতা-মাতা, সমাজনেতা,
উত্তরঃ পিতার পাপ ছেলের উপর বর্তাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মানুষ যা কর্ম করে তার ফল তার উপর বর্তায়। একজনের পাপের বোঝা অন্য জনের উপর বর্তাবে না’ (আন‘আম ১৬৪)। আল্লাহ অন্যত্র বলেন, প্রত্যেক মানুষ তার কর্মের সাথে আবদ্ধ (মুদ্দাছছির ৩৮)। তবে ছেলের উচিত
উত্তরঃ এ সময় সে পূর্ণ মুমিন থাকে না। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন কোন মানুষ যেনা করে তখন ঈমান তার থেকে বের হয়ে যায় এবং তার মাথার উপর ছায়ার মত হয়ে থাকে। যখন সে এ কাজ থেকে বিরত হয় তখন ঈমান তার কাছে ফিরে আসে’ (আবুদাঊদ,
উত্তরঃ উক্ত পাপগুলো আযাব নাযিল হওয়ার কারণ হতে পারে। কিন্তু এলাহী গযব নাযিলের বিধি এটা নয় যে, কেউ অন্যায় করার সাথে সাথে আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেন। বরং তিনি তাকে তওবা করার অবকাশ দেন। তওবা না করলে প্রথমে ছোট ছোট আযাব দিয়ে তাকে হুঁশিয়ার করেন। এরপরে
উত্তরঃ গোনাহ্ হ’তে মুক্তি লাভের আশায় পাপগুলো স্মরণ করে আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠচিত্তে ক্ষমা প্রার্থনা করবে (তাহরীম ৮)। তবে তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে (১) একমাত্র আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যেই তওবা হ’তে হবে। (২) কৃত গোনা
উত্তরঃ কোনরূপ হীন স্বার্থে মিথ্যা বলা যাবে না। কারণ মিথ্যা বলা মহাপাপ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মিথ্যা কথা থেকে বেঁচে থাক’ (হজ্জ ৩০)।
উত্তরঃ ঘুষ দেয়া, নেয়া উভয়ই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষ দাতা ও গ্রহীতার প্রতি অভিসম্পাত করেছেন (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৩৫৮০; মিশকাত হা/৩৭৫৩)। হকদারকে তার প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত করে ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিলে তার উপার্জিত অর্থ বৈধ হবে না। তবে হকদার তার হক রক্ষ
উত্তরঃ কুরআন মজীদে হাত দিয়ে শপথ করা শারঈ তরীকা নয় এবং পাপ মুক্ত হওয়ারও পদ্ধতি নয়। বরং ক্ষমা পেতে হ’লে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে। পাপ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হ’তে হবে, পুনরায় না করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে এবং
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে ইভটিজিং বা নারী উত্ত্যক্তের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আশংকাজনকহারে বেড়ে চলেছে ইভটিজিং ও ছাত্রী লাঞ্ছিত করার ঘটনা। Eve শব্দটির অর্থ নারী এবং Tea
উত্তরঃ গান শোনা হারাম। গান শুনলে কাবীরা গুনাহ হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা গান-বাজনা খেল-তামাশা ক্রয় করে... তদের জন্য অপমানজনক শাস্তি রয়েছে’ (লুক্বমান ৬)। নবী করীম (ছাঃ) গান-বাজনা নিষিদ্ধ করেছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৬৫২)। নবী করীম (ছাঃ) গান-বা
উত্তরঃ পাপের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে পাপ না করার দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইলে ক্ষমা হবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৩৩)। ক্ষমা চাওয়ার পদ্ধতি হ’ল, রাতে বা যেকোন সময়ে সুন্দর ভাবে ওযূ করে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করে ক্ষমা চাইলে তার পাপ ক্ষমা হবে (তি
উত্তর : এজন্য সর্বাগ্রে শিরক মুক্ত হ’তে হবে এবং শরী‘আত অনুমোদিত নেক আমল করতে হবে (কাহফ ১১০)। কবরের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল নেই। নবী করীম (ছাঃ) কবরের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দো‘আ পড়তেন। আয়েশা (রাঃ
উত্তর : সে কবীরা গোনাহ করেছে। তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে (যুমার ৫৩)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা দারিদ্রে্যর ভয়ে সন্তান হত্যা কর না, আমি তোমাদের ও তাদের রূযী দিয়ে থাকি’ (ইসরা ৩০)।
উত্তর : বারবার তওবা করেও যদি কেউ একই গুনাহে জড়িত হয় তাহলে মনে করতে হবে যে, তার তওবা শর্ত মাফিক হচ্ছে না। এরপরেও তওবার দরজা আল্লাহ খুলে রেখেছেন। বান্দা যতই গোনাহ করুক অনুতপ্ত হয়ে পুনরায় সেই পাপ করবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তা
উত্তর : পরপুরুষকে দেখানোর জন্য সাবালিকা মেয়ের যেকোন অঙ্গভঙ্গি ইসলামে নিষিদ্ধ (নূর ৩১)। যারা এটা করেন ও যারা এটা সমর্থন করেন উভয়ে আল্লাহর বিধান লংঘনকারী। আর আল্লাহ কোন সীমালংঘনকারীকে ভালবাসেন না (আলে ইমরান ৫৭)। প্রকৃত অর্থে ছালাত-ছিয়াম আদায়কারী ব্যক্ত
উত্তর : অবুঝ বয়সে কোন অন্যায় করে থাকলে তা গোনাহের খাতায় লিপিবদ্ধ হবে না। কারণ তিন শ্রেণীর লোক থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে ... যার মধ্যে একজন হ’ল অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু (ছহীহ আবুদাঊদ হা/৪৪০১, ৪৪০২; ছহীহ তিরমিযী হা/১৪২৩)। তবে যুবকের আলামত পাওয়া না গেল
উত্তর : কবীরা গোনাহ অর্থ মহা পাপ। (১) যার শীর্ষে রয়েছে আল্লাহর সাথে শিরক করা (২) এরপরে ঐসব গোনাহ যার শাস্তি কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা নির্ধারিত। যেমন হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, জুয়া, লটারী, মদ্যপান, মিথ্যা সাক্ষ্য দান ইত্যাদি (৩) যেসব পাপের জন্য আল্
উত্তর : অবৈধ প্রেমে লিপ্ত হওয়া নিঃসন্দেহে কবীরা গোনাহ, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ’ (ইসরা ১৭/৩২)। এজন্য তাকে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা
উত্তর : শিরকের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না (নিসা ৪৮)। তবে মৃত্যুর পূর্বে শর্ত মাফিক তওবা করে মরার সুযোগ পেলে আল্লাহ্ শিরকের গুনাহ্ও ক্ষমা করে দিবেন (তওবা ৫; যুমার ৫৩)।জাহান্নামের একটি উপত্যকাকে জুববুল হুযন (جب الخرن) বলা হয়েছে। যা থেকে বাঁচার জন্য
উত্তর : হস্তমৈথুন বা যেকোন উপায়ে বীর্য স্খলন করা নিষিদ্ধ। এটি কবীরা গোনাহ। আল্লাহ বলেন, যারা নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত অন্যকে কামনা করে, তারা সীমালংঘনকারী (মুমিনূন ২৩/৬-৭; মা‘আরিজ ৭০/৩০-৩১)। এটি হ’ল আত্মঘাতি পাপ। যা মানুষের জীবন-যৌবন ধ্বংস করে।
উত্তর : এটি সুস্পষ্ট প্রতারণা ও মিথ্যার শামিল, যা থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে প্রতারণার আশ্রয় নেয়, সে আমার দলভুক্ত নয়’ (মুসলিম হা/১০২; মিশকাত হা/২৮৬০)। এক্ষণে করণীয় হ’ল, যে কয় বছরে অতিরিক্ত টাকা ন
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا- وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا- (الشمس 9-10)‘সফল হয় সেই ব্যক্তি যে তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে’। ‘এবং ব্যর্থ হয় সেই ব্যক্তি যে তার আত্মাকে কলুষিত করে’ (শাম্স ৯১/৯-১০)।ইতিপূর্বে বর্ণিত সূর্য, চন্দ্র, দিবস, রাত্রি, আকাশ, পৃথিবী
উত্তর : এ মর্মে কুরআন বা হাদীছে কোনরূপ বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে সূরা আহযাব ৩৩ আয়াত ‘প্রাচীন জাহেলী যুগের ন্যায় সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না’-এর ব্যাখ্যায় মুফাসি্সরগণ বলেন, এটি আদম ও নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ের। কেউ বলেন, নূহ ও ইদরীস (আঃ)-এ
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, সেখানকার অধিবাসীরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও জনপদ সমূহকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দিবেন’ (হূদ ১১/১১৭)। পৃথিবীর প্রাচীন ছয়টি জাতি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের যুলুমের কারণে। উক্ত ৬টি জাতি হ’
উত্তর : সমকামিতা জিনগত বা মানসিক কোন সমস্যা নয়। বরং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলো সর্বশেষ গবেষণায় সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, সমকামিতার পিছনে জিনগত কোন প্রভাব নেই (দ্র. উইকলি ন্যাচার সাইন্টিফিক জার্নাল, লন্ডন, ২৯শে আগস্ট ২০১৯)। বরং এটি চা
জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করা এবং সম্পদ ভোগ করার অনুমতি ও নির্দেশ প্রত্যেক ধর্ম ও সভ্যতায় রয়েছে। কিন্তু অন্য কোন ধর্ম বা সভ্যতায় ইসলামের মত আয়-ব্যয়কে নিয়ম-নীতির ফ্রেমে আবদ্ধ করা হয়নি। ইসলাম একদিকে যেমন হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জনের নির্দেশ
বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ও শব্দ দূষণের চাইতে ভয়াবহ দূষণ হ’ল মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন দূষণ। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টেলিভিশন ও বিদ্যুতের লাইনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। যা আধুনিক প্রযুক্তি
দেখতে দেখতে করোনাকালের ছয় মাস চলে গেল। মৃত্যুর মিছিলে ইতিমধ্যে যোগদান করেছে পাঁচ লক্ষাধিক বনু আদম। আক্রান্ত হয়েছে এক কোটিরও বেশী। আক্রান্তের হার এক দেশে কমছে তো অন্য দেশে বাড়ছে। প্রথমে কিছুটা কম প্রাদুর্ভাব থাকা দক্ষিণ এশিয়ায় হঠাৎ করেই পরিস্থ
মানুষ আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় এবং সেরা সৃষ্টি (ইসরা ১৭/৭০)। মানুষকে আল্লাহ ‘নিজের দু’হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন’ (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। অতএব জীবন দানের মালিক যিনি, তিনিই কেবল জীবন নিতে পারেন। কেউ তাতে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করলে সে মহাপাপী হবে এবং জাহান্নামী
গত ১৬ই ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে ‘তাহরীকে তালেবান পাকিস্তান’ (টিটিপি) হামলায় বার্ষিক পরীক্ষারত ১৩২ জন শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-অভিভাবক ও কর্মকর্তা মিলে ১৪৫ জনের নৃশংস হত্যাকান্ডে আমরা গভীর ভাবে
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ৬০-এর অধিক অথবা ৭০-এর অধিক শাখা-প্রশাখা নির্ধারণ করেছেন। بِضْعٌ বলতে ৩ থেকে ৯ পর্যন্ত বুঝায়। সে হিসাবে সর্বোচ্চ ৬৯ বা ৭৯ টি হয়। তবে এর দ্বারা মূলতঃ অসংখ্য বুঝানো হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঈমানের সর্বোচ্চ শাখা হ’ল লা ইলা
কম্পিউটারে বা ইন্টারনেটে যেভাবে আমরা তথ্য কপি পেস্ট করি, সেভাবে যদি মানুষের মস্তিষ্কেও কপি-পেস্ট করা যেত তাহ’লে কতই না ভালো হ’ত! এ চিন্তা বিজ্ঞানীদের ভাবাচ্ছে বহু দিন ধরেই। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেও এ রকম ধারণার প্রতিফলন দেখা যায় প্রায়শই। কিন্তু
ঢাকা শহরে মাটির নিচ দিয়ে চারটি সড়ক (সাবওয়ে) নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণের বিষয়ে সেতু বিভাগকে নির্দেশনা দেন। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে
১. মুরারা বিন রাবী‘আ, কা‘ব বিন মালেক, হিলাল বিন উমাইয়্যা (রাঃ)।২. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।৩. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।৪. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।৫. হাসসান বিন ছাবেত (রাঃ) ।৬. মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)।৭. উক্কাশা বিন মি
নিউইয়র্কে ৬ থেকে ১০ লাখ মুসলিমের বাস হ’লেও তাদের জন্য কোন কবরস্থান নেই। নিউজার্সির স্টেট মেমোরিয়াল পার্ক সেমিট্রিসহ দু’একটি সমাধিক্ষেত্রে মুসলমানদের জন্য অল্পস্বল্প যে জায়গা আছে, সেখানে লাশ দাফনে ৬ থেকে ১৪ হাযার ডলার গুনতে হয়। তাই বেশিরভাগ মুসলিমকেই
ব্রিটেনে ৯০ শতাংশ নারীই রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। দেশটির প্রতি দশ জন নারীর মধ্যে নয় জনই ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে রাস্তায় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সংগঠন ‘হলাব্যাক’ পরিচালিত এক জরিপ
(৩য় কিস্তি) প্রশ্ন : ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’-এর ব্যাখ্যা কি? উত্তর : أهل السنة শব্দটি مركب বা যৌগিক শব্দ। যার একটি أهل (আহল), অপরটি السنة (আস-সুন্নাহ)।أهل শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল صاحب বা মালিক, অধিকারী, ওয়ালা ইত্যাদি। আর السنة শব্দটি একব
উত্তর: বিবাহের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তান পিতা-মাতা উভয়ের সম্পত্তির অংশীদার হবে (নিসা ৪/১১)। কার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত হয়েছে সম্পদের অংশ পাওয়ার ক্ষেত্রে সেটি ধর্তব্য নয়।
উত্তর : স্বামী স্ত্রীকে রাজঈ তালাক দিলে ইদ্দতকাল পর্যন্ত খোরপোষ দিবে (নাসাঈ হা/৩৪০৩; ছহীহাহ হা/১৭১১; আল-ইসতিযকার ১৮/৬৯)। আর তালাকপ্রাপ্তা তিন তালাক বায়েন হয়ে গেলে তাকে কোন খোরপোষ দিতে হবে না (মুসলিম হা/১৪৮০; মিশকাত হা/৩৩২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৫৫১)। তবে
২০১৫ সালের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র মুসলিম প্রধান ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়ামন এবং সোমালিয়ায় ২৩ হাযার ১৪৪টি বোমা ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী গবেষণা সংস্থা কাউন্সিল অব রিলেশনাস রেসিডেন্ট-এর গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছ
আমীরে জামা‘আতের সুভাগমনে ধন্য মোরা আজখুশিতে বিভোর যেন ছিটবাসীরা সাজছে নতুন সাজ।দীর্ঘদিনের বেহাল দশা হ’তে আজ সোরা মুক্তদু’দেশের সদ্বিচ্ছা ফলে মোরা বাংলাদেশে ভুক্ত।তাইতো মুহতারাম আমীরে জামা‘আত মোদের খবর নিতেসুদূর পথ পাড়ি দিয়ে এলেন এই যে কঠিন শীতে।ওগো ক
আজ ইসলামের জয়গান চারিদিকেহে যুবক! তুমি ঘুরছ কেন এদিকে ওদিকে?তুমি কি শুননি ইসলামের জয়গান আকাশে-বাতাসেতুমি কি দেখনি ইসলামের পতাকা?হে যুবক! ইসলামের পতাকা তলে এসোনিজেকে পরিশুদ্ধ করে নাও।হয়ে যাও ইসলামের বীর সৈনিকএই ইসলামের পতাকা তলে আছেযত সুখ যত শান্তি।দূ
উত্তর : মাদরাসার ফান্ডের ব্যাপারে কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোন ব্যক্তিকে কর্যে হাসানাহ দিলে তাতে শরী‘আতে কোন বাধা নেই। এক্ষেত্রে তারা কোন অন্যায়ের আশ্রয় নিলে তারাই গোনাহগার হবে। এজন্য দাতাদের নেকীতে ঘাটতি হবে না।