নেকাবের বিরুদ্ধে মিসরের পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপিত হ’তে যাচ্ছে। নারীদের মুখ ঢেকে রাখে, এমন পোশাক পাবলিক প্লেসে পরা নিষিদ্ধ করতে আইনের খসড়া তৈরী করা হয়েছে। মিসরের পার্লামেন্টে নতুন এই আইনটি পাস হ’লে পাবলিক প্লেস ও সরকারী প্রতিষ্ঠানে নেকাব পরে যাওয়া নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। এ আইনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণকারী দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য ও আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক আইনের অধ্যাপক দাবী করেন, নেকাব পরতে ইসলামে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এই সংস্কৃতিটি অন্য ধর্ম থেকে ইসলামে এসেছে। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে আরবের ইহূদীদের ঐতিহ্য ছিল এটি। এছাড়াও নারীদের মুখ ঢেকে রাখার বিষয়টি কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি আরো বলেন, এর বদলে কুরআনে শালীন পোশাক পরতে ও চুল ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে, কোথাও মুখ ঢাকতে বলা হয়নি। গত কয়েক বছরে মিশরের বিভিন্ন স্থানে নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত মাসে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় তার চিকিৎসা অনুষদের ডাক্তার ও নার্সদের নেকাব পরা নিষিদ্ধ করে। বহু পশ্চিমা দেশ নেকাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও মুসলিম বিশ্বের খুব কম দেশেই এটি নিয়ে বিতর্ক আছে।


[আমরা ঐ অধ্যাপকটির হেদায়াত অথবা ধ্বংস কামনা করছি। যার কারণে আজ নেকাব নিষিদ্ধের বিল উঠেছে ও তা পাস হ’তে যাচ্ছে। যার ফলে হাযার হাযার পর্দানশীন নারী বিপদগ্রস্ত হবেন। আমরা মিসরীয় সরকারকে এই অন্যায় বিল পাস করা থেকে বিরত হবার আহবান জানাচ্ছি (স.স.)]



বিষয়সমূহ: বিধি-বিধান
আরও
আরও
.