দু’দিনেরই তরে মোরা সাজাই খেলা ঘর,
হাত বদলের মাঝে তাহার সময় হ’ল পার।
সখ ও সুখের নাইকো ইতি মনের মত করে,
ভিতর-বাহির সাজাই যে তার সারা জীবন ধরে।
টাইলস, বার্নিস, লাইট, ফিটিং, এয়ারকন্ডিশন,
কোটি টাকা ব্যয়ে শেষে হয়নি সমাধান।
সাধ-সাধনার বাড়ীটি মোর হোক না গগনজোড়া,
ভুবন মাঝে এর আবরণ যেন নয়ন কাড়া।
বিহার করুক মোর এ ভবন জ্ঞানী-গুণী জনে,
দেখুক তারা এ কোন প্রাসাদ ভাবুক মনে মনে।
শশী যেমন নিশির মাঝে আলোর সমাধান,
বিশ্বসেরা মোর এ ভবন হোক না উদাহরণ।
ঘর হ’ল তার জীবন ভরে মনের ভালবাসা,
এরই মাঝে আছর হ’ল জীবনেরই ঊষা।
জন্মিলে মরিতে হবে এ ধারণা মিছে,
ভেবেছিল এটাই আসল পরকালটা পিছে।
হঠাৎ করে মরণ ব্যাধি ডাকে আপন করে,
সাদা কাপড় মাটির মেঝে নাম যে ‘কবর ঘর’।