আমি স্বাধীনতা চাই
আমি আমার কথাগুলি প্রাণ খুলে বলতে চাই
আমি আমার ভাষার স্বকীয়তা চাই
আমি আমার ধর্মীয় স্বাধীনতা চাই
আমি আমার বাঁচার অধিকার চাই
আমি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই
আমি মিথ্যা মামলাকারীর শাস্তি চাই
আমি আমার জান-মাল ও ইয্যতের নিরাপত্তা চাই
আমি আমার দেশের স্বাধীনতা চাই
আমি মুসলিম ছিলাম, তাই আমি আজ স্বাধীন বাংলাদেশী
আমি তাই প্রথমে মুসলিম, পরে বাঙ্গালী একথা স্পষ্ট বলতে চাই
আমি পদ্মা-তিস্তার মালিক ছিলাম, কেন তা আজ মরুভূমি?
আমি সুরমা-বরাকের মালিক ছিলাম, কেন আজ তার গলায় ফাঁস?
আমি কেন আজ মা-বোন নিয়ে নিজ ঘরেও অনিরাপদ?
আমি আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিচার চাই*
আমি কেন মরি প্রতিদিন সীমান্তে গুলি খেয়ে?
আমি কেন প্রতিদিন সূদী টাকার হারাম খাই?
আমি কেন পেটের দায়ে নিজের সন্তান বিক্রি করি?
আমি কেন বেকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরি?
আমি কুরআন-হাদীছ মেনে চলতে চাই, তাই আমি আহলেহাদীছ
আমি শিরক ও বিদ‘আতমুক্ত জীবন চাই, তাই আমি আহলেহাদীছ
আমি আমার দেশে আল্লাহ্র সার্বভৌমত্ব চাই, তাই আমি আহলেহাদীছ
এগিয়ে চলো আত-তাহরীক, আমরা তোমার স্বাধীন কণ্ঠ চাই\ [স.স.]
[২২তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা’১২ বিশেষ সংখ্যার জন্য ২২ লাইনের বক্তব্য]
*১৫তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমার ১ দিন পূর্বে ২০০৫ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় তৎকালীন সরকার আমাদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছিল। যার বোঝা এখনো টানতে হচ্ছে [সম্পাদক]।