আমার আববা ব্যাংকার ছিলেন। প্রথমে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরী করতেন। পরবর্তীতে জনতা ব্যাংকে যোগ দেন। সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকায় তিনি বৃহস্পতিবার বাড়িতে আসতেন। অন্যান্য ছালাত না পড়লেও পিতার সাথে জুম‘আ পড়াটাই ছিল আমার অভ্যাস। আমাদের বংশের প্রায় সকলেই ছিলেন ‘মাইজভান্ডারী’ তরীকার চরম অনুগত। পীর ছাহেব যা বলতেন, সে মোতাবেক কাজ করাটাই ছিল দাদা, পিতা, চাচা ও অন্যান্য স্বজনদের ব্রত। নতুন ভক্ত সংগ্রহ, দরবারে গমন, ওরস, হালকায়ে যিকর উপলক্ষে চাঁদা আদায় ও প্রদান সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমাদের বংশ ও পরিবার ছিল অগ্রগামী। গ্রামে পীর ছাহেবের আগমন হ’লে আমাদের বাড়িতেই অবস্থান করতেন। বার্ষিক ওরসে আববা, দাদা পুরো পরিবার নিয়ে যেতেন। এছাড়াও দো‘আ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মাঝে-মধ্যেই দেখা করতেন। আমাদের জন্য তাবাররুক নিয়ে আসতেন। তাবাররুক পেয়ে ছোট্টবেলার এই আমি তখন বেজায় খুশি। খেতেও অনেক মজা।

আমার বয়স তখন ৭/৮ বৎসর। ওরসে আববার সাথে গেলাম। বড় বড় ডেকচিতে রান্না চড়ানো হয়েছে। অনেক লোকজন। আমরা এক সময় পীরের কাছে পৌঁছলাম। আববা পীরকে সিজদা করলেন (নাঊযুবিল্লাহ)! অন্যরাও এমন করছেন। পীর ছাহেব আববার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। আববার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। তারপর পীরের পূর্বসূরী এক পীরের কবরের কাছে গেলাম। সেখানে ভক্তকূলকে পানি পান করতে দেয়া হচ্ছে। কবর ধোয়া পানি কি-না মনে নেই। তবে সকলেই খুব আগ্রহের সাথে বরকতের জন্য বিভিন্ন নিয়ত করে পান করছেন। আববাও পান করলেন।

আমাদের পরিবারে গান-বাজনার দিকে অত্যধিক ঝোঁক ছিল। আমার বোনেরা পড়ালেখার পাশাপাশি গান ও খেলাধূলায় পারদর্শী ছিলেন। আমিও এসব ব্যাপারে কম নই। পরিবারও উৎসাহ দিত সবসময়। প্রথম শ্রেণী থেকেই আমি গান করি। একবার ওরসে গিয়ে দেখি সেখানে ঢোল-তবলা, হারমেনিয়াম। এগুলো দেখে আমি বেজায় খুশি। আববা যেহেতু পীরের কাছের ভক্ত, তাই বায়না ধরলাম গান গাওয়ার। অনুমতি পেলাম। আগ্রহ নিয়ে হারমেনিয়াম বাজাতে থাকি। সারেগামা পা.. যতটুকু পারতাম ততটুক গাইলাম। আশপাশ থেকে অনেকেই বাহবা দিলেন। খানিক পর মূল শিল্পীদের গান ও বাজনা শুরু হ’ল। দেখলাম গানের সাথে সাথে পুরুষ-মহিলা উপস্থিত সকলেই নাচছেন। এটাই নাকি ইবাদত (নাঊযুবিল্লাহ)

যখন ৫ম শ্রেণীতে পড়ি ক্লাসের একজন শিক্ষক বললেন, পীর বা কবরকে সিজদাহ করা হারাম। জীবনের প্রথম এই কথা শুনলাম। আববাকে বললাম, স্যার তো এই কথা বলেছেন। আববা বললেন, না, একথা ঠিক নয়। নেক মানুষের ছোহবত ছাড়া জান্নাতে যাওয়া যাবে না। পীর ধরতে হবে। পীর-মুরীদী না হ’লে কে সুপারিশ করবে? স্যারের কথার বিপরীতে আববাকেই অগ্রাধিকার দিলাম। কারণ পরিবার, প্রতিবেশীসহ সবাই এমনভাবে জীবনযাপন করছেন, সবাই কোন না কোনভাবে পীর-মুরীদীর সাথে সম্পৃক্ত। কেউ মাইজভান্ডারী, কেউ রাজাপুরী, কেউ কালিয়াপুরী, কেউ চরমোনাই, কেউ ছারছিনা ইত্যাদি নামে-বেনামের পীরদের সাথে গভীর সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। ৫ম শ্রেণীতে পড়াবস্থায়ই আববা ২য় বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তখন আমার বোনেরা অনার্স ১ম ও ২য় বর্ষে পড়েন। ছোটকাল থেকেই দূরন্তপনা করতাম। আববার মৃত্যুর পর সেটা আরো বেড়ে যায়। আম্মু গ্রাম থেকে কুমিল্লা শহরে নিয়ে আসেন। স্কুলে ভর্তি করে দেন। সন্তানের সাহচর্যে থাকতে এখানেই বাসা ভাড়া নেন। স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদের ইমামের নিকট কুরআন ও ছালাত শেখার ব্যবস্থা করেন। আমিও মনোযোগ সহকারে শিখতে থাকি। প্রায়ই চার ওয়াক্ত ছালাত আদায় করতাম। অবশ্য হানাফী মাযহাব অনুসারেই।

আসলে মাযহাব কি? ইসলাম কি? এতটা জানাশোনা ছিল না। সবাই ছালাত পড়ে, সিজদা করে, আমিও করি, এরকমই ছিল মনোভাব। এভাবে একে একে বছর শেষে এসএসসি পাশ করি। এরই মাঝে আমার বড় বোনদেরও বিবাহ সম্পন্ন হয়। বড় আপু ঢাকা, মিরপুর-২ এ থাকেন। সে সুবাদে ঢাকা সিটি কলেজে ভর্তি হই। বড় আপুর বাসায় থেকে কলেজে যাতায়াত করি। নতুন জীবনে নতুন পরিবেশে এসে পিছনের সব ভুলে যাই। নিয়মিত ছালাত আদায় না করতে করতে একদম ছেড়েই দেই। জুম‘আতে সীমাবদ্ধ থাকে জীবন। সিওসি গেমে আসক্ত হয়ে পড়ি। সময়ের ব্যবধানে এই গেম খেলাটাই জীবনের সব হয়ে পড়ে। ছালাত, পড়ালেখা সব কেমন যেন এলোমেলো হয়ে পড়ে। প্রথম সেমিস্টারে যাও রেজাল্ট ভালো ছিল কিন্তু পরবর্তী সেমিস্টারগুলো খারাপ হ’তে থাকে। মনও খারাপ হয়ে যায়। মিরপুর থেকে সিটি কলেজে যাওয়াটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে যানজটের কারণে। কলেজে ক্লাস ও প্রাইভেট পড়ে বাসায় যেতে যেতে রাত হয়ে যায়। দূরত্বের কারণে আপুকে বললাম, আমি না হয় কলেজের কাছে মেস এ গিয়ে থাকি। অবস্থা বিবেচনা করে তিনিও সায় দিলেন।

আরও দু’জন সহপাঠীর সাথে একত্রে মেস ভাড়া নিয়ে সেখানে উঠলাম। এক সময়ে গেমস খেলার পাশাপাশি পড়ালেখায়ও মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করি। তবে ইবাদতের তেমন ধার ধারতাম না। সহপাঠী একজনকে দেখতাম, বাসায় ছালাত আদায় করার সময় বুকে হাত বাধে, রাফঊল ইয়াদায়েন করে। অবাক হয়ে ভাবতাম এটা আবার কোন ছালাত! আমি ও অপর সহপাঠী হাসতাম আর তাকে তাচ্ছিল্য করতাম। কিরে ব্যাটা এভাবে কি ছালাত পড়িস! তোর মত ছালাত পড়া তো জীবনে কোথাও দেখিনি। মেয়েরাই না এভাবে ছালাত পড়ে। সে উত্তরে বলত, ছহীহ হাদীছে এভাবে আছে। (হেসে) কি বলিস, ছহীহ হাদীছ! দেশে এত এত আলেম তারা বুঝে না আর তুই ছহীহ হাদীছ বুঝিস? বাটপারি করার আর জায়গা পাস না। আরে ভাই শোন, আমরা তো সাধারণ পাবলিক আমাদের এত বুঝায় কাজ নেই। আর আমাদের বিষয়ও এটা না। আলেমরা যেটা বলে বুঝে শুনেই বলে। তাই তারা যেভাবে ইবাদত করতে বলে সেভাবেই কর। ভেজাল করার দরকার কি? আসলে ছোটবেলায় মৌলভীরা আমাদের মানসিকতাকে যেভাবে গড়ে তুলেছে, সেভাবেই সহপাঠীকে বললাম। কুরআন ও হাদীছের বঙ্গানুবাদ আমাদের মতো সাধারণ লোকদের পড়ার দরকার নেই। আমরা এগুলো বুঝব না। তা মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক/ছাত্ররা পড়বে। আমরা শুধু তাদের কথামতো চলব।

বিবিধ রং-ঢং এর কথামালার ভিড়ে সময় বয়ে যায়। এরই মাঝে এক সময়ে ইউটিউবে ড. যাকির নায়েক-এর ছালাত আদায়ের ভিডিও দেখে বিস্মিত হ’লাম। আরে উনিও দেখি বুকে হাত বেধে ছালাত আদায় করছেন। ড. যাকির নায়েকের প্রতি পূর্ব থেকে মনের গহীনে শ্রদ্ধাবোধ ছিল। কিন্তু তিনিও এভাবে ছালাত আদায়ের কথা বলছেন। না! ভাবনাগুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।

ভাবনার দুয়ারগুলো অমলিন রেখেই সহপাঠীকে বললাম, আচ্ছা তুমি যেভাবে ছালাত আদায় করো তার সত্যতা উদ্ঘাটনের সহজ পন্থা কি? সে আমাকে বিভিন্ন হাদীছ গ্রন্থের ছালাত অধ্যায়ের হাদীছ সমূহের উদ্ধৃতি দিল। আমিও কুতুবুস সিত্তার হাদীছ গ্রন্থের এ্যাপ ডাউনলোড করে প্রতিটি গ্রন্থের ছালাত অধ্যায়ে চোখ বুলালাম। টানা এক সপ্তাহব্যাপী যাচাইয়ের পর বিস্ময় ও আতংকে হতবাক হয়ে গেলাম। দেশের লক্ষ-কোটি মানুষ, হাযার হাযার উপাধিধারী আলেমরা কোন পথে আছে আর ছহীহ হাদীছের দেখানো পথ কোন দিকে! ছোটবেলা থেকে যা দেখছি ও শিখছি অধিকাংশই ভুল-ভ্রান্ত। ভয় ও আতংকে জ্বরে আক্রান্ত হ’লাম।

সুস্থ হয়ে ছালাত সংশোধন করে ছহীহ হাদীছ অনুসরণ করার চেষ্টা করলাম। তাও বাহ্যিক সুন্নাতগুলো। রাফঊল ইয়াদায়েন, বুকে হাত বাঁধা, ছালাত শেষে সম্মিলিত মুনাজাতে অংশগ্রহণ না করা। প্রথমদিকে আরিফ আযাদ ও ঐ ঘরাণার কিছু লেখকের লেখা পড়তাম।

বিশ্বে ও দেশে মহামারী কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের কারণে কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামে ফিরলাম। গ্রামের মসজিদে ছালাত আদায় করি যতটুকু শিখেছি সেভাবে। মুছল্লীরা, স্বজন, প্রতিবেশী বিব্রত, কেউবা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। এটা কেমন ছালাত? বাড়িতে মায়ের কাছে নালিশ। ছেলেতো জঙ্গী হয়ে গেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। বোনেরাও বিরক্ত ও শংকিত।

তাদের একমাত্র ভাই বখে গিয়েছে। অবস্থা এমন যে ঘরে বাইরে বিরোধীদের মাঝে আমি একা। বাইরে বিরোধীপক্ষ থাকলে ঘরে সমর্থন তো কেউ না কেউ থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সবাই একপক্ষ আর আমি একা একপক্ষ। দাড়ি ছেড়ে দেয়া সুন্নাত জানার পর দাড়ি বড় হ’তেই আরেক বিপত্তি। হঠাৎ এই বয়সে কেন দাড়ি রাখছি। দাড়ি কেটে ফেলতে হবে। এই বিষয়েও প্রতিনিয়ত পক্ষে-বিপক্ষে ক্রমাগত মানসিক চাপ প্রয়োগ।

পারিবারিক ও গ্রাম্য ফৎওয়া শুরু হ’ল। গ্রামের মুরববী মুছল্লীরা বলতে থাকলেন, মুফতী মুস্তাকুন্নবী কাসেমী কওমী আলেম। তিনি কুমিল্লা অঞ্চলে বুযুর্গ হিসাবে পরিচিত। মাদ্রাসা শিক্ষক ও বক্তা। তিনি বলেছেন, এভাবে যারা ছালাত আদায় করে তাদের কোন ছালাত হয় না। যাক, গ্রামের অজ্ঞ মানুষেরা বলে সহ্য করা যায়। কিন্তু ঘরে বোনের স্বামীও বলা শুরু করলেন যে, কুমিল্লা শহরে এক বড় আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, রাফঊল ইয়াদায়েন সহ অন্যান্য আমলগুলো যারা করে তারা আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাদের ছালাত ও অন্যান্য আমল বাতিল!

ঘরে বাইরে বিবিধ আলোচনা, সমালোচনায় চুপ থাকাটাই উত্তম। আমিও চুপ থাকি আর ইউটিউব ফেসবুকে ঘাটাঘাটি করি। একদিন একটা বক্তব্য শুনলাম ‘রব ও ইলাহর পার্থক্য’। তখন মনে একটু নাড়া দিল। এভাবে তো ভাবা হয়নি। সাধ্যের মধ্যে অনেক বই কিনে পড়তাম। অনলাইন থেকেও ডাউনলোড করতাম। অনলাইনে বই খুজঁতে গিয়ে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর ওয়েবসাইট হঠাৎ চোখে পড়ে। আরে এরা আবার কারা? ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনেকগুলো বই দেখলাম। প্রথমেই পড়লাম অধ্যাপক নূরুল ইসলামের লেখা ‘সাড়ে ষোল মাসের কারা স্মৃতি’। পড়তে পড়তে চোখের অশ্রু আর বাধ মানেনি। অনেক কেঁদেছি। সেই থেকে আহলেহাদীছদের সাথে পরিচয়। পূর্বে জানতামই না কারা আহলেহাদীছ। তাদের মানহাজ কি? ধীরে ধীরে আরো কিছু বই পড়লাম। আলহামদুলিল্লাহ! সেই থেকে ‘আহলেহাদীছ’ হওয়ার বাসনায় পথচলা। মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও আহলেহাদীছ আন্দোলন সম্পর্কেও জানলাম।

যে ব্যাপারটা উল্লেখ না করলেই নয়। প্রাথমিকভাবে আমরা যখন ছহীহ হাদীছের আলোকে সংশোধন হওয়ার চেষ্টারত থাকি, তখন বাহ্যিক সুন্নাতগুলো নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। আসলে নিজ জীবনের বাস্তবতায় যা বুঝলাম, আমাদের প্রত্যেকের উচিত আক্বীদার বিষয়ে মনোযোগী হওয়া। অনেক ভাইকে দেখি রাফঊল ইয়াদায়েন, জোরে আমীন, সম্মিলিত মুনাজাত নিয়ে খুবই উৎসাহী, কিন্তু আক্বীদা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও রাখেন না। মোটিভেশনাল বই পড়ে আপ্লুত হওয়া যায়, কিন্তু আক্বীদার শিক্ষা কোথায়? এক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোনেরা যে যেখানেই অবস্থান করুন না কেন আহলেহাদীছ মানহাজের আলেমদের লেখা আক্বীদার বইগুলো পড়া ও বক্তব্য শ্রবণটা বিশেষভাবে যরূরী। মুহতারাম আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর ঐতিহাসিক রচনা ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ; দক্ষিণ এশিয়া প্রেক্ষিতসহ’ এবং ‘তাওহীদের শিক্ষা ও আজকের সমাজ’, মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব (রহ.)-এর ‘কিতাবুত তাওহীদ’, শাহ ইসমাঈল শহীদ (রহ.)-এর ‘তাকবিয়াতুল ঈমান’ বইগুলো প্রত্যেকের মনোযোগ সহকারে পড়া যরূরী। আক্বীদা সঠিক না হ’লে সবই শূন্য।

আম্মাকে বারবার বুঝিয়েছি। মহান আল্লাহর রহমতে আম্মাও বুঝেছেন। এখন তিনিও সাধ্যমতো অন্যদের এই মানহাজ সম্পর্কে অবহিত করার চেষ্টা করছেন। আপুরাও স্বামীসহ পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে আহলেহাদীছ মানহাজকে গ্রহণ করেছেন। পূর্বে গ্রামের যে মসজিদ থেকে বের করার জন্য বলা হ’ত, সেখানেই রাফ‘উল ইয়াদায়েন সহ ছালাত আদায় করছি। এখন আর অতীতের মতো ততটা কট্টর নয়। মূলতঃ হকের পথে চলতে গিয়ে আপনি যদি আপোষ করেন তাহ’লে হক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ধৈর্য ও বিনয়ের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। নিজে হকের জ্ঞান অর্জন করে তার উপর দৃঢ় থাকতে হবে এবং নম্রভাবে দাওয়াত দিতে হবে। নয়তো পরিস্থিতি অনুকূলে না এসে প্রতিকূলে যাওয়াটা স্বাভাবিক।

নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েকজন সমমনা তরুণ ইমরান, ইসমাঈল, জামশেদ, ডা. সারোয়ার জাহান, ছাকিব, ইকবাল, রায়হান ভাইদের সাথে পরিচয় হয়েছে। যারা শিরক-বিদ‘আতের ঘুণেধরা সমাজে আহলেহাদীছ মানহাজ প্রচার ও প্রসারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাশের গ্রামের শ্রদ্ধেয় নয়ন মোল্লা, মোশাররফ ভাই ও তাদের বন্ধুরা মিলে তো ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর নামে একখন্ড জমি দান করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছেন। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশে’র তত্ত্বাবধানে যেখানে পরিচালিত হবে মারকায। যাতে করে এই অঞ্চলে তাওহীদের আলোয় আলোকিত হবে বর্তমান ও পরবর্তী বংশধর ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ কাজগুলো সহজ করে দিন- আমীন!

আকীকুল হাসান

পরিচালক, হিকমাহ শপ, লালমাই, কুমিল্লা।






বিষয়সমূহ: ছালাত
কোন মুফতী লাগবে না... তুই কাফের হয়ে গেছিস - ডা. মুহাম্মাদ মাহবূবুর রহমান
হকের পথে যত বাধা - মুহাম্মাদ ইসমাঈল হোসাইন - মাইজদী, নোয়াখালী
হক-এর পথে যত বাধা
অবশেষে হক-এর সন্ধান পেলাম - কামাল আহমাদ, লাকসাম, কুমিল্লা
থাপড়িয়ে দাঁত ফেলে দেব - -আব্দুল্লাহ, গাযীপুর।
তোমাকে দাওয়াতী কাজের জন্য ঘর ভাড়া দেইনি - ডা. মুহাম্মাদ ফযলুল হক, সফিপুর, গাযীপুর।
আহলেহাদীছ আক্বীদায় বিশ্বাসী, এটাই কি আমার অপরাধ!
হকের পথে যত বাধা - .
হক-এর পথে টিকে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ - .
স্রেফ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হোক আমাদের পথচলা
ইমাম ছাহেব ছহীহ মুসলিমকে কাদিয়ানীদের হাদীছ বললেন! - আত-তাহরীক ডেস্ক
আক্বীদার কারণে শত্রুতে পরিণত হওয়া আপন ভাইও শেষ পর্যন্ত হকের দিশা পেলেন - আত-তাহরীক ডেস্ক
আরও
আরও
.