পৃথিবীতে বর্তমানে
আনুমানিক ৬শো কোটি মানুষের মধ্যে ধর্মের সংখ্যা কত? এর সঠিক হিসাব কেউ দিতে
পারবে না। ছোট্ট এই বাংলাদেশে কত ধর্মের লোক বসবাস করে? একটি ধর্মের মধ্যে
কতগুলি ফের্কা ও তরীকা রয়েছে, তার হিসাব কেউ বলতে পারবে কি? তবুও মানুষ
ধর্মের কাছেই শেষ আশ্রয় খোঁজে। ফলে সব দেশেই ধর্মীয় স্বাধীনতা অনুমোদিত।
ধর্ম অর্থ যা ধারণ করা হয়। যা ধারণ করে মানুষ বেঁচে থাকে। এরপরেও ধর্মের
নামে সহিংসতা হয়। যুদ্ধ-বিগ্রহ হয়। শত শত মানুষ হতাহত হয়। আর তাই
মাঝে-মধ্যে আন্তঃধর্মীয় শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব আসে। যার মূল সূর হয় ‘সব
ধর্মই সঠিক’। কিন্তু এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে কে? শান্তি-অশান্তির বিষয়টি
হ’ল আপেক্ষিক। কেবল ধর্ম নয়, যেকোন কারণে কেউ হিংসাত্মক আচরণ করলে পাল্টা
অনুরূপ আচরণ হবেই। তাই শান্তির জন্য প্রয়োজন পরমত সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতা।
মূলতঃ ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত ভীতু ব্যক্তিরাই এরূপ প্রস্তাব দিয়ে থাকে।
তাছাড়া ক্রুসেড তথা ধর্মযুদ্ধের নামে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানরা দীর্ঘ প্রায় দু’শ
বছর (১০৯৫-১২৯১ খৃ.) ধরে মুসলমানদের জান-মাল লুট করেছে। তৎকালীন পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ দেশ বরং মহাদেশ তুরস্কের ওছমানী খেলাফত ধ্বংসকারী (১৯২৪),
ফিলিস্তীনের শতকরা ৯৩ ভাগ আরব মুসলিমকে হটিয়ে সেখানে ইহূদী পুনর্বাসনকারী,
১ম মহাযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮), ২য় মহাযুদ্ধ (১৯৪১-১৯৪৫), ভিয়েতনাম যুদ্ধ
(১৯৫৫-১৯৭৩), ইরাক-ইরান যুদ্ধ (১৯৮০-১৯৮৮) এবং ইরাক-আফগান যুদ্ধ সহ বিশ্বের
মুসলিম দেশগুলিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালনাকারী, সেই সাথে ইসলামকে
জঙ্গী ধর্ম ও মুসলমানকে জঙ্গী প্রমাণ করার জন্য যাদের মিডিয়াগুলি দিন-রাত
অপপ্রচার চালাচ্ছে, তাদের বা তাদের দোসরদের মুখে আন্তঃধর্ম শান্তি
সম্মেলনের কথা একেবারেই বেমানান।
মানুষ জন্মগতভাবে অজ্ঞ ও ভীরু। সে নিজের সম্পর্কে কিছুই জানেনা। সে খুশীতে আত্মহারা হয় ও বিপদে দিশাহারা হয়। এছাড়া প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব বিবেক ও ঝোঁক প্রবণতা রয়েছে। তার নিকটে চূড়ান্ত সত্যের মানদন্ড বলে কিছু নেই। সেকারণ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সৃষ্টির সূচনাতেই আদমকে বলে দিয়েছেন, ‘তোমরা সবাই জান্নাত থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার নিকট থেকে তোমাদের কাছে কোন হেদায়াত পৌঁছবে, তখন যারা আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তান্বিত হবে না’। ‘আর যারা অবিশ্বাস করবে ও আমাদের আয়াত সমূহে মিথ্যারোপ করবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী এবং তারা সেখানে চিরকাল থাকবে’ (বাক্বারাহ ২/৩৮-৩৯)। যুগে যুগে তিনি নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। আর তাদের রেখে যাওয়া শিক্ষার ছিঁটে-ফোটা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে যেখানে যতটুকু অবশিষ্ট আছে, অতটুকু ধারণ করেই মানুষ বেঁচে আছে। চাই তা অক্ষতভাবে থাকুক বা না থাকুক। কোন নবী মৃত্যুবরণ করার পর তার শিক্ষা কিছু দিন অক্ষুণ্ণ থাকলেও পরে তা নানাভাবে বিকৃত হ’তে থাকে। আবার নতুন নবী আসেন ও ধর্মের সংস্কার সাধন করেন। তিনি মারা গেলে আবার পূর্বের মত অবস্থা সৃষ্টি হয় (মারিয়াম ১৯/৫৯)।
আখেরী যামানায় ক্বিয়ামতের প্রাক্কালে পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত নিয়ে মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রেরিত হ’লেন শেষনবী রূপে (আহযাব ৩৩/৪০)। তিনি পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করলেন (শূরা ৪২/৭)। ধর্মীয় ও ব্যবসায়িক কারণে আরব ভূখন্ড তখন ছিল বিশ্বকেন্দ্র। ইতিপূর্বে সকল নবী ছিলেন গোত্রীয় নবী। কিন্তু মুহাম্মাদ (ছাঃ) প্রেরিত হ’লেন বিশ্বনবী হিসাবে (সাবা ৩৪/২৮; আ‘রাফ ৭/১৫৮)। অতি অল্প সময়ে তাঁর দাওয়াত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল। শিরক অধ্যুষিত পৃথিবী তাওহীদের আহবানে শিহরিত হ’ল। নিঃস্বার্থ জ্ঞানী সমাজ তাঁর দাওয়াত লুফে নিল। কিন্তু স্বার্থপররা বিরোধিতা করল। তারা তাদের মনগড়া বিধি-বিধানগুলিকেই বাপ-দাদার ধর্ম অভিহিত করে তাকেই অাঁকড়ে রইল এবং রাসূল (ছাঃ)-কে হত্যার ষড়যন্ত্র করল। তাঁর সাথী ছাহাবীগণের উপরে তারা অকথ্য নির্যাতন শুরু করল। ফলে সৃষ্টি হয় ঈমান ও কুফরের দ্বন্দ্ব। অবশেষে মক্কার ধর্মনেতা ও সমাজনেতারা একটি আপোষ প্রস্তাব নিয়ে এলেন। তারা বললেন, ‘হে ভাতিজা! তোমার এই নতুন দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্য যদি সম্পদ উপার্জন হয়, তাহ’লে তুমি বললে আমরা তোমাকে সেরা ধনী বানিয়ে দেব। আর যদি তোমার উদ্দেশ্য নেতৃত্ব লাভ হয়, তাহ’লে আমরা তোমাকে আমাদের নেতা বানিয়ে দেব। আর যদি আরবের বাদশাহ হ’তে চাও, তাহ’লে আমরা তোমাকে বাদশাহ বানিয়ে দেব’। তারা আরও বললেন, ‘এসো আমরা ইবাদত করি যার তুমি ইবাদত কর এবং তুমি ইবাদত কর যাকে আমরা ইবাদত করি। আমরা এবং তুমি পরস্পরে সকল কাজে শরীক হই’। তখন জিব্রীল সূরা কাফেরূন নিয়ে আগমন করেন এবং তারা নিরাশ হয়ে যায় (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ১৬৫-৬৬ পৃ.)। যেখানে আল্লাহ বলেন, (১) তুমি বল! হে অবিশ্বাসীগণ! (২) আমি ইবাদত করিনা তোমরা যাদের ইবাদত কর (৩) এবং তোমরা ইবাদতকারী নও আমি যার ইবাদত করি (৪) আমি ইবাদতকারী নই তোমরা যাদের ইবাদত কর (৫) এবং তোমরা ইবাদতকারী নও আমি যার ইবাদত করি (৬) তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন এবং আমার জন্য আমার দ্বীন’ (কাফেরূন ১০৯/১-৬)। এর অর্থ ‘তোমাদের কর্মফল তোমাদের এবং আমার কর্মফল আমার’ (কুরতুবী)। অথবা ‘তোমাদের জন্য তোমাদের শিরক এবং আমার জন্য আমার তাওহীদ’ (তানতাভী)। প্রথম ৫টি আয়াতে মুশরিক সম্প্রদায়কে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে যে, তোমরা যাদের ইবাদত কর, আমি তাদের ইবাদত করিনা। অতঃপর শেষ আয়াতে শিরকের সাথে পরিষ্কারভাবে বিচ্ছিন্নতা ঘোষণা করে বলা হয়েছে যে, তোমাদের দ্বীন তোমাদের, আমার দ্বীন আমার। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘কুরআনে এই সূরাটির চাইতে ইবলীসের জন্য অধিক ক্রোধ উদ্দীপক সূরা আর নেই। কেননা এটি শিরক মুক্তির সূরা’ (কুরতুবী)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সূরা কাফেরূন কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমান’ (ছহীহাহ হা/৫৮৬)।
বস্ত্ততঃ কুফর ও শিরক কোন দ্বীন নয়, বরং ধর্মের নামে প্রবৃত্তির উচ্ছ্বাস মাত্র। আল্লাহ বলেন, তারা কেবল ধারণার অনুসরণ করে এবং যা তাদের মনে আসে তাই করে। অথচ তাদের নিকট তাদের প্রতিপালকের হেদায়াত এসে গেছে (নজম ৫৩/২৩)। তিনি স্বীয় নবীকে বলেন, তুমি কি তাকে দেখেছ, যে তার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছে? তুমি কি তার যিম্মাদার হবে? (ফুরক্বান ২৫/৪৩)। তিনি জানিয়ে দিলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট মনোনীত একমাত্র দ্বীন হ’ল ইসলাম’ (আলে ইমরান ৩/১৯)। ‘আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তার নিকট থেকে তা কখনোই কবুল করা হবে না এবং ঐ ব্যক্তি আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে ইমরান ৩/৮৫)।
অতঃপর আল্লাহ তাঁর শেষনবীর মাধ্যমে আরব ভূখন্ডে ইসলামের বিধি-বিধান সমূহ বাস্তবায়ন করলেন। ইতিমধ্যে এগিয়ে এল বিদায় হজ্জ। আরাফাতের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় নাযিল হ’ল, ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার নে‘মতকে সম্পূর্ণ করলাম। আর ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম’ (মায়েদাহ ৫/৩)। এভাবে ইসলামই মানবজাতির জন্য একমাত্র ধর্ম হিসাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষিত হ’ল।
এখন বিশ্বের সকল মানুষ শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উম্মত এবং ‘ইসলাম’ই তাদের জন্য একমাত্র ধর্ম। এর বাইরে কোন ধর্ম নেই। এখন যারা ইসলাম কবুল করবেনা, তারা নিশ্চিতভাবে জাহান্নামী হবে (মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০)। তাই আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে ইহূদী-নাছারাদের প্রতি দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তুমি বল, হে আহলে কিতাবগণ! এসো! একটি কথায় আমরা একমত হই, যা আমাদের ও তোমাদের মাঝে সমান। আর তা এই যে, আমরা অন্য কারু ইবাদত করব না আল্লাহ ব্যতীত এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করব না। আর আল্লাহকে ছেড়ে আমরা কেউ কাউকে প্রতিপালক হিসাবে গ্রহণ করব না। এরপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তোমরা বল, তোমরা সাক্ষী থাক যে, আমরা ‘মুসলিম’ (আলে ইমরান ৩/৬৪)। ৯ম হিজরীতে নাজরানের খৃষ্টান নেতারা মদীনায় এলেন। তাদের ধারণা ছিল, মুহাম্মাদ (ছাঃ) ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে তাদের মতই ত্রিত্ববাদী ধারণার অনুসারী হবেন। তখন আল্লাহ আয়াত নাযিল করে জানিয়ে দিলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের অনুরূপ। তাকে তিনি মাটি থেকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর বলেন, হও! তখন হয়ে যায়’। ‘সত্য কেবল তোমার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আসে। অতএব তুমি সংশয়বাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’ (আলে ইমরান ৩/৫৯-৬০)। অর্থাৎ আদম যেমন ছিলেন পিতা-মাতা ছাড়াই কেবল মাটি থেকে সৃষ্ট। তেমনি ঈসা ছিলেন পিতা ছাড়াই কেবল মায়ের মাধ্যমে সৃষ্ট। সবকিছুই আল্লাহর হুকুমে হয়ে থাকে। এই সত্যতার পক্ষে আল্লাহ খৃষ্টান নেতাদের সাথে ‘মুবাহালা’ করার জন্য তাঁর রাসূলকে নির্দেশ দেন (আলে ইমরান ৩/৬১)। বলা বাহুল্য, নাজরানের খৃষ্টানরা পরে সবাই মুসলমান হয়ে যায়। ইতিপূর্বে খৃষ্টান বাদশাহ নাজাশী ও রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস রাসূল (ছাঃ)-এর সত্যনবী হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্বাসী হয়ে যান (বুখারী হা/৪৫৫৩; দ্র. সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ১৫৮-৬০ পৃ.)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ভূ-পৃষ্ঠে এমন কোন মাটির ঘর বা তাঁবু বাকী থাকবে না, যেখানে আল্লাহ ইসলামের বাণী প্রবেশ করাবেন না, সম্মানীর ঘরে সম্মানের সাথে এবং লাঞ্ছিতের ঘরে লাঞ্ছনার সাথে। এক্ষণে আল্লাহ যাদেরকে সম্মানিত করবেন, তাদেরকে ইসলামের অনুসারী করে দিবেন। পক্ষান্তরে যাদেরকে তিনি অসম্মানিত করবেন, তারা (কর দানের মাধ্যমে) ইসলামের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য হবে’। রাবী মিক্বদাদ বলেন, (একথা শুনে) আমি বললাম, তখন তো পুরা দ্বীনই আল্লাহর জন্য হয়ে যাবে’ (আহমাদ হা/২৩৮৬৫; ছহীহাহ হা/৩)। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তাঁর রাসূল-কে প্রেরণ করেছেন পথনির্দেশ ও সত্য দ্বীন সহকারে। যাতে তিনি একে সকল দ্বীনের উপরে বিজয়ী করতে পারেন। যদিও অংশীবাদীরা এটা পসন্দ করেনা’ (ছফ ৬১/৯)। অতএব আন্তঃধর্ম সমন্বয় বা শান্তি সম্মেলন নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব হ’ল অমুসলিম সম্প্রদায়কে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়া। যাতে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পায়। আর ইসলামের পূর্ণ অনুসরণের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বশান্তির গ্যারান্টি ও পরকালীন মুক্তি। বস্ত্ততঃ ইসলামকে বিজয়ী করার দায়িত্ব ওলামায়ে কেরাম, মুসলিম সমাজনেতা ও রাষ্ট্রনেতাদের। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন! (স.স.)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমার পূর্বে আল্লাহ এমন কোন নবীকে তার উম্মতের মধ্যে পাঠাননি, যাদের মধ্যে তার জন্য ‘হাওয়ারী’ বা আন্তরিক সহচরবৃন্দ ছিল না। এছাড়া তাদের আরও সাথীবৃন্দ ছিল, যারা তাদের নবীর সুন্নাতের উপরে আমল করত এবং তার আদেশ-নিষেধের অনুসরণ করত। অতঃপর এমন সব লোক তাদের স্থলাভিষিক্ত হ’ল যারা (অন্যদের নিকট) ঐসব কথা বলত, যা নিজেরা করত না। আর নিজেরা এমন কাজ করত, যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি’।... (মুসলিম হা/৫০; মিশকাত হা/১৫৭)।