গত ৮ই মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এর পূর্বনাম ছিল আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস। ১৮৫৭ সালে মজুরী বৈষম্য, অনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, কাজের অমানবিক পরিবেশ ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমেরিকার রাস্তায় নেমে এসেছিল সেদেশের সূতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলের উপর চলে পুলিশের অমানুষিক নির্যাতন। অতঃপর ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে স্যোশাল ডেমোক্রাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেন হেগেনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব নারী সম্মেলনে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। যা ১৯১১ সাল থেকে নিয়মিতভাবে পালিত হয়ে আসছে। বরাবরের মত এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয়েছে এবং দেশের প্রায় সব মিডিয়া দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেছে নানা আঙ্গিকে। অর্ধশতাধিক নারী সংগঠনের নেত্রীদের ভাষণে উঠে এসেছে একই ক্ষোভ ও হতাশার সূর। আর তা হ’ল বিগত ১০০ বছরের বেশী সময় ধরে সারা পৃথিবীতে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে গেলেও তাদের উপর রকমারি নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে অকল্পনীয় হারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো নারী নির্যাতন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে চালানো জরিপ অনুযায়ী দেশের ৮৭ শতাংশ নারী ৩৪ ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। যাদের ৯০ শতাংশের কোন বিচার হয় না। দু’একটি ক্ষেত্রে নারী নির্যাতন হ্রাস পাচ্ছে তো আত্মপ্রকাশ করছে নির্যাতনের নতুন নতুন ধরণ। তারা যদি এই সাথে সুখী নারীদের জরিপটাও করতেন এবং নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের হিসাবটা দিতেন, তাহ’লে জরিপটা নিরপেক্ষ হ’ত। যদিও এসব জরিপের ভিত্তি খুবই দুর্বল।
নারীদের প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য বিশ্বব্যাপী সরকারী ও বেসরকারী বহু সংস্থা ও সংগঠন গড়ে উঠেছে। অতঃপর ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে আন্তর্জাতিক দলীল ‘সিডো’ (CEDAW- Convention on elemination of all forms of discrimination against women)। যাতে ২০১১ সালে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। যা ‘নারী উন্নয়ন নীতিমালা’ বলে পরিচিত (দ্র. সম্পাদকীয়, এপ্রিল ২০১১)। এটির উদ্দেশ্য হ’ল সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করা। এর মূল ধারণা হ’ল, লিঙ্গ বৈষম্য নারী নির্যাতনের মূল কারণ। এটি নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষে পরিণত করেছে। পুরুষ শাসিত সমাজে নারী নিগৃহীত হচ্ছে। অতএব নির্যাতন দূরীকরণের একমাত্র উপায় হ’ল সর্বত্র লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করা। নিম্নে আমরা নারী নির্যাতনের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব।-
১. ‘নারী নির্যাতন’ কথাটিই আপত্তিকর। যা নারীর জন্য অসম্মানজনক। কেননা নির্যাতন বিষয়টি আপেক্ষিক। যা নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের উপর যেকোন মানুষ যেকোন সময় করতে পারে। নির্দিষ্টভাবে ‘নারী নির্যাতন’ পরিভাষাটি দূরভিসন্ধিমূলক। যা পুরুষকে নারীর শত্রু হিসাবে দাঁড় করায়। এতে পরস্পরের মধ্যে সহানুভূতির বদলে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়। যা নারী নির্যাতনের অন্যতম কারণ হিসাবে দেখা দেয়।
২. ‘পুরুষ শাসিত সমাজ’ কথাটির মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষের বীজ নিহিত রয়েছে। এর মাধ্যমে নারীকে পুরুষের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়। আর এজন্য অন্য সব কারণ বাদ দিয়ে নারীবাদীরা দায়ী করেছে সূরা নিসা ৩৪ আয়াতকে। যেখানে বলা হয়েছে যে, ‘পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল’...। অথচ সমাজের প্রতি স্তরে প্রত্যেকের উপর কর্তৃত্বশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নেতৃত্ব ও আনুগত্য ছাড়া সমাজে কেউ এক পা এগোতে পারে না। নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবীকারী বড় বড় নেতারাও আদালতের নির্দেশে কারাগারে যাচ্ছেন কিংবা ফাঁসির দড়ি গলায় পরছেন। সংসার জীবনে এ নীতি সবচেয়ে দৃঢ়ভাবে কার্যকর রয়েছে। যা সৃষ্টিগতভাবেই পুরুষের উপর বর্তিত হয়েছে তার স্বভাবজাত গুণ-ক্ষমতার কারণে। আর আদি মাতা ‘হাওয়া’ তো আদম থেকেই সৃষ্টি (নিসা ১)। ফলে নারীরা জন্মগতভাবেই পুরুষের অনুগামী। তাছাড়া নারী ও পুরুষ দু’জনেই যদি একসাথে গাড়ীর ড্রাইভার হয়, তাহ’লে তো গাড়ী চলবে না। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মানব সংসারে নারী ও পুরুষের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন এবং তার কারণও বর্ণনা করেছেন নিসা ৩৪ আয়াতে। নারীবাদীরাও এটা মানেন। কিন্তু ক্ষোভ ঝাড়েন কুরআনের উপর। উদ্দেশ্য ইসলামকে ঠেকানো।
৩. ‘লিঙ্গ সমতা নীতি’। বর্তমান বিশ্বে এটি একটি গৃহীত নীতি হ’লেও এটিই নারী নির্যাতনের অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে দেখা দিয়েছে। ফলে এযাবত কোন ক্ষেত্রেই এ নীতি বাস্তবায়িত হয়নি। এর উল্টা বরং সারা বিশ্বে নারী নির্যাতন আশংকাজনক হারে বেড়েছে এবং ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি ইরাকে অবস্থানরত আমেরিকার নারী সৈনিকেরা টয়লেটে যেতে গেলেও হাতে করে পিস্তল নিয়ে যাচ্ছেন পুরুষ-সৈনিকদের হামলা থেকে ইযযত বাঁচানোর জন্য। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের হাতেও নারী কর্মকর্তারা ধর্ষিতা হচ্ছে। আর এখন তো রাস্তা-ঘাটে-বাসে-ট্রেনে সর্বত্র নারী নির্যাতিত হচ্ছে বাধাহীন ভাবে। কারণ লিঙ্গ সমতা কথাটাই বাস্তবতা বিরোধী। মানুষের স্বভাবধর্মের বাইরে গিয়ে কোন তত্ত্ব বাস্তবায়ন করা যায় না। যদি লিঙ্গ বৈষম্যই নারী নির্যাতনের প্রধান কারণ হ’ত, তাহ’লে নারী কর্তৃক নারী নির্যাতন বা পুরুষ কর্তৃক পুরুষ নির্যাতন, এমনকি সমকামী কর্তৃক সমকামী নির্যাতন হয় কেন? সেখানে তো লিঙ্গ বৈষম্য নেই। বর্তমানে নারী নির্যাতন রোধের নামে বাংলাদেশে এমন কিছু আইন তৈরী হয়েছে, যাতে দুষ্টু স্ত্রী কর্তৃক নির্দোষ স্বামী কারাগারে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। এছাড়াও স্ত্রী কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্যাতিত বহু স্বামী লোক লজ্জার ভয়ে তাদের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে না। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলিতে এখন ‘পুরুষের অধিকার রক্ষা’র জন্য বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও একজন সংসদ সদস্য নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে আইন প্রণয়নের দাবী করেছিলেন। অতএব লিঙ্গ সমতা নীতি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর নয়। কারণ এতে নারী ও পুরুষের মাঝে স্বভাবজাত পার্থক্যকে অস্বীকার করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে অবাধ মেলামেশাকে উৎসাহিত করা হয়। সেই সাথে ধর্মহীন ও ভোগবাদী দর্শন উভয়কে পরস্পরের ভোগ্যবস্ত্ততে পরিণত করে। ফলে নারী ও মদ এখন সস্তা পণ্যে পরিণত হয়েছে। ঘটনাক্রমে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ হ’লে তখন সেটি পত্রিকায় শিরোনাম হয়। নইলে পারস্পরিক সম্মতিতে উপভোগকে এখন আর দোষনীয় ভাবা হচ্ছে না। এমনকি সহকর্মী কর্তৃক যৌন নিপীড়নকে অভিযোগ হিসাবে উত্থাপনকে ‘রক্ষণশীলতা’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এভাবে যৌন নির্যাতনের নতুন নতুন ক্ষেত্র কেবল তৈরীই করা হচ্ছে না, যৌন নিপীড়নকে সামাজিক ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করারও চেষ্টা চলছে। আর কথিত
প্রগতিবাদীরাই এসব অপকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফলে যে পুরুষ আগে কোন নারীকে দেখলে তার সম্মানে গাড়ীতে সীট ছেড়ে দিত, এখন তা দেয় না। কারণ সে ভাবে নারী-পুরুষ উভয়ে সমান। একজন পরপুরুষ একজন পরনারীর পাশে দ্বিধাহীন চিত্তে বসে যাচ্ছে বা খোশগল্পে মেতে উঠছে। উভয়ের মধ্যে হয়তো বাইরে কোন প্রতিক্রিয়া বুঝা যায় না। কারণ সেটা প্রকাশ পেলে লোকেরা ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে কটাক্ষ করবে। যদিও উভয়ের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই হয়ে থাকে। কিন্তু উদারতার ভড়ং দেখিয়ে সেটা চাপা দিয়ে রাখে। এইসব কপট নারী-পুরুষরাই হ’ল সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। কিন্তু মুখে বলে আমরা সংশোধনবাদী (বাক্বারাহ ১২)। এক্ষণে যদি উক্ত নারী বা পুরুষ ভদ্র ও দ্বীনদার হন, তাহলে তিনি পাশে বসা ঐ পরনারী বা পুরুষটির দ্বারা মানসিকভাবে নির্যাতিত হন। এ সময় অন্য পুরুষদের উচিৎ ঐ পরনারী বা পুরুষটিকে হটিয়ে দিয়ে ঐ নারী বা পুরুষকে নির্যাতন মুক্ত করা। কিন্তু পাশ্চাত্য নীতির অনুসারীরা এটা করবেন কি?
পক্ষান্তরে ইসলামী সমাজ ও পরিবারে যৌন নির্যাতনের কোন সুযোগ নেই। কারণ এখানে রয়েছে নারী ও পুরুষের পারস্পরিক অবস্থান ও অধিকারের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা (নিসা ১)। রয়েছে পারস্পরিক পর্দা এবং মাহরাম ও গায়ের মাহরামের সুরক্ষাপ্রাচীর (নূর ৩০-৩১)। এখানে যেনা-ব্যভিচারকে সবচেয়ে ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট পাপ হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এর শাস্তি হ’ল সর্বসমক্ষে একশ’ বেত্রাঘাত (নূর ২)। আর বিবাহিত হ’লে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা (বুখারী হা/৬৮৩০; মুসলিম হা/১৬৯১, ১৬৯৫)। মিথ্যা অপবাদ দিলে ৮০ বেত্রাঘাত (নূর ৪)। ফলে এ সমাজেই নারী সবচেয়ে নিরাপদ। সেকারণ পাশ্চাত্যের নারীরা এখন দলে দলে ইসলাম কবুল করছে। এরপরেও মুসলিম সমাজে যে নারী নির্যাতন হয়, তার প্রধান কারণ হ’ল পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে ইসলামী অনুশাসন ও শাসনের অনুপস্থিতি। সেই সাথে ধর্মনিরপেক্ষ ও ভোগবাদী দর্শনের অনাচার। বর্তমানে পাশ্চাত্যের নগ্নতাবাদী দর্শনের বশংবদ মুসলিম সরকারগুলি লেজুড়বৃত্তির চরমে উঠে নারীদের পর্দাহীন করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এমনকি উচ্চ আদালত থেকে ড্রেস কোড-এর নামে নারীদের বোরকা পরিধানে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ বোরকা হ’ল নারীর ইযযত রক্ষার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ভূষণ। এর মাধ্যমে সে তার শিক্ষা ও কর্মস্থলে স্বাভাবিক থাকতে পারে। কিন্তু এখন পুরুষের সর্বাঙ্গে পোষাক থাকলেও নারীকে ক্রমেই পোষাকহীন করার প্রতিযোগিতা চলছে। কেউ কেউ বোরকা ও পর্দার মধ্যে জঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এসবের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের কেবল নির্যাতনই করা হচ্ছে না। বরং নারী নির্যাতনের নিত্য নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। অথচ নারী দিবস পালনকারীরা এসবের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেন না। আমরা বলব, লিঙ্গ সমতা মডেল একটি রাজনৈতিক শ্লোগানও বটে। কারণ মুসলিম বিশ্বের উপর পাশ্চাত্যের আধিপত্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হ’লে তাদের মৌলিক সমাজ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন আবশ্যক। এর মাধ্যমে তারা সেটিই করতে চায়। যার ফলে অদূর ভবিষ্যতে ইসলামী নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পুরো সমাজ ভোগবাদী পশুর সমাজে পরিণত হবে। আর তখন পাশ্চাত্যের সাথে মুসলমানদের আর কোন পার্থক্যই থাকবে না। যা ইসলামের শত্রুদের একান্ত কাম্য।
জানা আবশ্যক যে, ইসলামী পরিবারে নারী কেবল নারী নন, বরং তারা হলেন মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা। আর পুরুষ হলেন পিতা, ভাই, স্বামী ও পুত্র। প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য পবিত্র আমানত ও জীবনপণ সহযোগী। প্রত্যেকের অবস্থান ও অধিকার পৃথক ও সুরক্ষিত। এখানে মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত। পিতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি। এখানে রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না। এখানে স্বামী বাড়ীর কর্তা এবং স্ত্রী হলেন গৃহকত্রী। পরিবারের ভরণপোষণ ও সামাজিক ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর দায়িত্ব পুরুষের। ফলে নারী সর্বদা নিরাপদ ও আপন ভুবনের একান্ত মালিক। যার কোন তুলনা নেই। এই শান্তিনীড়ে জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি শিশু তাই নারীর স্নেহ পরশে পরিবার ও সমাজের রত্ন হয়ে বেড়ে ওঠে। যাদের মাধ্যমে সমাজ উন্নতির পথে এগিয়ে চলে। দেশ ও জাতির সুনাম হয়। নারী ও পুরুষের স্রষ্টা প্রদত্ত এই স্বাভাবিক কর্মস্থল থেকে বঞ্চিত করে যখন লিঙ্গ সমতার নামে উভয়কে এক স্থলে আনা হচ্ছে, তখনই ঘটছে যত বিপত্তি। আর তা ঘটবেই। যেমন ইতিপূর্বে একই কারণে বিগত বহু সভ্যতা ধ্বংস হয়ে গেছে। অতএব ইসলামী বিধানের যথার্থ অনুসরণই নারী নির্যাতন প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। সমাজ ও রাষ্ট্র যত দ্রুত সেটা মেনে নিবে, ততই মঙ্গল। অতএব নারী দিবস পালনের বিলাসিতা ছেড়ে নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যকার পারস্পরিক সম্প্রীতি ও শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধির চেষ্টা করা আবশ্যক। আর এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতির চাবিকাঠি। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন! (স.স.)।