জনগণের
আশা-আকাংখার প্রতীক হয়ে আমেরিকার ক্ষমতায় এলেন বরাক হোসায়েন ওবামা। তাঁর
কথায় ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিটি তাঁকে অল্প দিনের মধ্যেই
শান্তিতে ‘নোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত করলেন। কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে তিনি যত
ভাল মানুষই হন না কেন, আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি ও তার শোষণবাদী পুঁজিবাদী
অর্থনৈতিক পলিসির কোন পরিবর্তন হয়নি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘সূদের
চূড়ান্ত পরিণতি হ’ল নিঃস্বতা’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৭)।
আমেরিকা এখন সেই পরিণতিতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের ৩৩১টি ব্যাংক
দেউলিয়া হয়ে গেছে। হাযার হাযার কর্মচারী-কর্মকর্তা চাকুরী হারিয়েছেন। এমনকি
এ মাসেই খোদ নিউইয়র্ক সিটিতে ছয় হাযার শিক্ষক চাকুরী হারাতে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই সেদেশে প্রতি ৭ জনের মধ্যে ১ জন হতদরিদ্র। আমেরিকার এখন
নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তাই চিরবৈরী গণচীনের কাছে তাকে হাত পাততে হয়েছে। তাদের
কাছে সে এখন তিন হাযার বিলিয়ন ডলারের বিশাল অংকের ঋণের জালে আবদ্ধ। ইরাক ও
আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার, গুয়ান্তানামো বে কারাগার বন্ধ, দেশের
অর্থনৈতিক মন্দা দূরীকরণ প্রভৃতি কোন নির্বাচনী ওয়াদাই ওবামা পূরণ করতে
পারেননি। এদিকে চার বছরের মেয়াদও শেষের পথে। ঐতিহ্য অনুযায়ী আগামী ২০১২
সালের নির্বাচনে তাঁকে দ্বিতীয় মেয়াদে জিততে হবে। নইলে বড়ই লজ্জার কারণ
হবে। কেননা এটাই সেদেশের ভাল প্রেসিডেন্টদের নিদর্শন। ওবামা তাই এখন বড়ই
মিসকীন।
একদিকে অর্থনীতি উদ্ধার অন্যদিকে ক্ষমতা উদ্ধার। দু’দিকেই সামাল দেবার জন্য তিনি তাঁর পূর্বের প্রেসিডেন্ট বুশের পথ ধরেছেন। তিনি তাঁর সময়ে অর্থনীতি ও রাজনীতি উদ্ধারের জন্য দু’টি নোংরা পলিসি গ্রহণ করেছিলেন। এক- মুসলিম বিশ্বের তৈল সম্পদ লুট করা এবং দুই- মুসলিম সংস্কারবাদী আন্দোলনগুলিকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদী আন্দোলন হিসাবে বদনাম করা ও তাদেরকে উৎখাত করা।
ইংরেজরা ইতিপূর্বে বিশ্ব শোষণ করেছে। ইংল্যান্ড ও আমেরিকা তাদেরই দেশ। ভারতবর্ষ ছিল তাদের এককালের শোষণভূমি। তাই সে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়াকে আফগানিস্তানে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ল এখানে। আফগানীদের ইসলামী জোশকে কাজে লাগালো অর্থ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে। সঊদী আরবের বিখ্যাত নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিন লাদেন কোম্পানী-র অন্যতম উত্তরসুরী প্রকৌশলী উসামাকে একাজে লাগানো হ’ল। প্রায় দশ বছরের (১৯৭৯-৮৯) রক্তক্ষয়ী লড়াই শেষে রাশিয়া বিতাড়িত হ’ল। তালেবান নেতাদের হোয়াইট হাউজে ডেকে নিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়া হ’ল। কিন্তু বাগে ফিরলো না তালেবানের ইসলামী সরকার। তারা আফগানিস্তানের সম্পদ অন্যকে দেবে না। নিজেদের সম্পদ নিজেদের বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে ব্যয় করবে। স্বার্থে আঘাত লাগলো। অতএব এবার তালেবান সরকার উৎখাতের পালা। গণতন্ত্রের সুড়সুড়ি দিয়ে বিরোধী দলগুলির মাধ্যমে সে কাজ সারা হ’ল। পুতুল সরকার ক্ষমতায় এলো। এবার রাতারাতি তালেবান হ’ল সন্ত্রাসী দল। ওসামা ও মোল্লা ওমর হ’লেন বিশ্বের সেরা জঙ্গী। অতঃপর সরাসরি হামলার অজুহাত সৃষ্টি করা হ’ল। ৯/১১-এর নাটক মঞ্চস্থ হ’ল। তিন হাযার লোক মারা গেল। কিন্তু ১৩০০ ইহুদী কর্মকর্তা-কর্মচারীর কেউ ঐদিন কাজে গেল না। এমনকি ইসরাঈলী প্রধানমন্ত্রীর আগের দিনের সফর বাতিল করা হ’ল। ঘটনার সাথে সাথে ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে প্রেসিডেন্ট বুশ বিবৃতি দিলেন। অথচ ওসামার ওয়েব সাইটে ১১-২৪ সেপ্টেম্বর ১৩ দিনের মধ্যে ৪ বার ঘোষণা এল যে, তিনি বা তার সংগঠন এতে জড়িত নয়। এই মর্মান্তিক ট্রাজেডীর তদন্ত রিপোর্ট আজও প্রকাশিত হয়নি। অথচ ঘটনার মাত্র ২৮ দিনের মাথায় ২০০১ সালের ৭ই অক্টোবর আফগানিস্তানে সরাসরি হামলা করল আমেরিকা ও ন্যাটো জোট। আফগানিস্তানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হ’ল। কিন্তু ওসামাকে পাওয়া গেল না। শোষণ-শাসন দু’টিই চলতে থাকল। ৩ বছর ৯ মাস পর ২০০৫ সালের ১৯ জুন বুশ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি বললেন, ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কোন অকাট্ট প্রমাণ মার্কিন প্রশাসনের কাছে নেই। সে জন্যই তিনি কোন এলাকায় আছেন, সে সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা থাকা সত্ত্বেও তারা তাকে গ্রেফতার করতে পারছেন না। কারণ গ্রেফতার করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। সেই মামলায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে তাকে মুক্তি দিতে হবে’। প্রশ্ন হ’ল, সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত থাকার কোন প্রমাণ না থাকলে কিসের ভিত্তিতে তারা আফগানিস্তানের মত একটা স্বাধীন দেশের উপর হামলা চালালো? জবাব রয়েছে তাদের কাছেই। ২০০৫ সালের ২৮শে অক্টোবর ভার্জিনিয়ার সেনা সদরে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বুশ বলেছিলেন, বিগত শতাব্দীর পতিত সমাজতন্ত্রের মতোই বর্তমান শতকে ইসলামী মৌলবাদ বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ... একে অবশ্যই নিশ্চিহ্ন করতে হবে’।
একই কথা প্রযোজ্য ইরাকের ক্ষেত্রেও। গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র মওজুদ রাখার অভিযোগে তারা ২০০৩ সালের ২০শে মার্চ ইরাকে হামলা চালিয়ে তা দখল করে নিল। কিন্তু সেদিন বা আজও তারা সেখানে কিছুই পায়নি। তাহ’লে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে ও টন কে টন বোমা মেরে লাখ লাখ বনু আদমকে হত্যা ও পঙ্গু করার এবং সবশেষে একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসায়েনকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? হাঁ তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। ভূপৃষ্ঠের মানুষ তাদের লক্ষ্য ছিল না, ভূগর্ভের তৈল ছিল তাদের লক্ষ্য। সেটা তারা ষোলআনা পেয়েছে। এখন তারা ইরাকের পুতুল সরকারের কাছ থেকে তাদের ইরাক যুদ্ধের পুরো খরচ আদায় করছে। বর্তমানে উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলির দিকে তারা থাবা বিস্তার করেছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার তাদের ফাঁকা বুলি মাত্র।
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হবার জন্য বুশ তার দেশবাসীকে বিন লাদেন জুজুর ভয় দেখিয়ে ভোটে পাস করেছিলেন। এবারেও দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হবার জন্য ওবামা তুরুপের তাস হিসাবে ওসামাকেই ব্যবহার করেছেন। অথচ রোগাক্রান্ত ওসামা দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে গেছেন হয়তবা বহু বছর পূর্বে। দুনিয়াবাসীকে যা জানতে দেওয়া হয়নি। আমেরিকা তাই ওসামাকে মারেনি। বরং তাকে ভিকটিম বানিয়ে ‘ওসামা হত্যা’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে মাত্র। ঘুমন্ত নিরস্ত্র ওসামা হত্যাকারী বীর (?) হিসাবে ওবামা মার্কিন ভোটারদের সামনে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে ভোট চাইবেন। কিন্তু কে না জানে যে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। তাই বিশ্ব নিন্দার মুখে ওবামা এখন বড়ই বিব্রত।
গত ২রা মে গভীর রাতে রাডার ফাঁকি দেওয়া চোরা (স্টিল্থ) হেলিকপ্টারে করে এসে পাকিস্তানের এবোটাবাদের সামরিক কেন্দ্রের নাকের ডগায় ওসামা হত্যার মহড়া চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ইতিমধ্যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিস্তারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী শক্তি হিসাবে নামানো হয়েছে ইউরোপকে। দৃশ্যপটের পাদ প্রদীপে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী থাকলেও পর্দার অন্তরালে কলকাঠি নাড়ছে ইহুদী-খৃষ্টান নিয়ন্ত্রিত বৃহৎ করপোরেট হাউজগুলি। আফ্রিকা ও আরব দেশগুলি সহ মুসলিম বিশ্বের অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ লুট ও বিশাল বাজার দখলের অভিন্ন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সর্বত্র গণতন্ত্রের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। একাজে তারা ধর্মকেও ব্যবহার করছে। পূর্ব তিমুরে ধর্ম প্রচারের নামে তাদের খৃষ্টান বানিয়ে তাদেরকে ইন্দোনেশিয়া থেকে পৃথক করে কথিত স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে পুতুল সরকারের মাধ্যমে সেখানকার সাগর তীরে বসে জাহাযের পর জাহায ভরে তেল লুটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। মুখোশ খুলে যাওয়ায় পূর্ব তিমুরের বুভুক্ষ মানুষ এখন আবার ইন্দোনেশিয়ার দিকে ঝুঁকছে। অতি সম্প্রতি দক্ষিণ সূদানকে পৃথক করা হয়েছে, খৃষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ এলাকার তেল লুট করার জন্য। লিবিয়ায় একদল গাদ্দাফী বিরোধীকে দিয়ে অস্থায়ী সরকার কায়েম করে তাদের কথিত অনুমতি নিয়ে তেল লুট করা শুরু হয়েছে। ইরাক ও আফগানিস্তানের পর ওরা এবার পাকিস্তানকে পুরোপুরি কব্জায় নেবে। তালেবান দমন ও পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেদেশে মার্কিন সামরিক আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব কায়েমের পথ খোলাছা করা হচ্ছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের তাই এখন বাঁচা-মরা সমস্যা।
ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সূদান, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়ামেন, বাহরায়েন-এর ন্যায় বাংলাদেশও মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। এদেশের শতকরা ৯০ জন নাগরিক মুসলমান। এদেশটির উদ্ভাবিত ও নিরুপিত প্রাকৃতিক সম্পদের চাইতে অনুদ্ভাবিত প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার বেশী সমৃদ্ধ। বলা হয়ে থাকে যে, পুরো বাংলাদেশ তেলের উপর ভাসছে। যা উত্তোলন করা গেলে এদেশের মাথাপিছু আয় আমেরিকার বর্তমান মাথাপিছু আয়ের চাইতে একশ’ গুণেরও বেশী দাঁড়িয়ে যাবে। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সম্পদ। উপরন্তু দেশটির রয়েছে নিজস্ব দু’টি সামুদ্রিক বন্দর। রয়েছে ১৬ কোটি মানুষের বিশাল আভ্যন্তরীণ বাজার। এর ভৌগলিক অবস্থান সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু বিবেচনায় নিলে এদেশটি পার্শ্ববর্তী আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী হামলার এবং বিদেশী করপোরেট শক্তির আগ্রাসী থাবায় আক্রান্ত হওয়ার শতভাগ আশংকা রয়েছে। ইতিমধ্যে উজানে সব নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশটিকে মরুভূমি বানানোর চক্রান্ত সফল হয়েছে। আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষ এখন বিদেশে শ্রম বিক্রি করছে। অথচ নিজ দেশের সম্পদের ভান্ডার অন্যেরা শুষে নিচ্ছে। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি প্রভৃতি আন্তর্জাতিক করপোরেট হাউজ তথা শোষক সংস্থাগুলি কখনোই চায় না বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদের সদ্ব্যবহার করে নিজের পায়ে দাঁড়াক। তারা চায় এদেশটি সর্বদা তাদের কাছ থেকে চক্রবৃদ্ধি হারের সূদে নেওয়া ঋণের জালে আবদ্ধ থাকুক। আর তাই তাদের ইঙ্গিতে ইঙ্গ-মার্কিন পরাশক্তি একদিকে যেমন এদেশের নেতৃত্বকে পরস্পরে বিভক্ত ও মারমুখী করে রেখেছে, অন্যদিকে তেমনি দেশটিকে জঙ্গীরাষ্ট্র বানানোর সকল চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। এক্ষণে তারা কথিত জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে এদেশে ঘাঁটি গাড়বে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মতই দুরবস্থার সৃষ্টি করবে।
পরিশেষে বলব, দেশ, জাতি ও মানবতার স্বার্থে ওসামারা চিরকাল জীবন দেয়। আর তাদের অমলিন ত্যাগ ও তেজোদ্দীপ্ত ঈমানকে ওবামারা চিরদিন ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থে। অতঃপর ছেঁড়া ন্যাকড়ার মত তাদের ফেলে দেয় ডাষ্টবিনে। ওসামারা তাই মযলূম মানবতার প্রেরণার উৎস। আর ওবামারা হ’লেন যুলুমের প্রেতাত্মা। ওসামারা মরেও অমর। কিন্তু ওবামারা বেঁচে থেকেও মৃত। বাংলাদেশী নেতারা তাই সাবধান হও। আধিপত্যবাদী, পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের তোষণনীতি ছাড়। এক বন্ধু গেলেও শত বন্ধু তোমার পাশে এসে দাঁড়াবে। অতএব আল্লাহর উপরে ভরসা করে দৃঢ় ঈমান নিয়ে দাঁড়িয়ে যাও। মনে রেখ আল্লাহর শক্তির সামনে মানুষের শক্তি কিছুই নয়। আল্লাহ আমাদের সহায় হৌন- আমীন!! (স.স.)।