ভূমিকা : চলমান পৃথিবীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যে যুগে যুগে একটি অবহেলিত জাতির নাম নারী। যারা সমাজের অনিয়মে নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কুধর্মের জাঁতাকলেও পিষ্ট হয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী। অবশেষে আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে নারী জাতিকে সম্মানিত করেছেন। তাঁরা আমাদের মায়ের জাতি। যে জান্নাত আমাদের অস্তিত্বের একমাত্র সফলতা, সেই জান্নাতকে ইসলাম এনেছে মায়ের পায়ের নীচে। এর চেয়ে সম্মান ও শ্রদ্ধা আর কি হ’তে পারে! ইসলাম পুরুষদের দিয়েছে দুনিয়ার যত কাজের বোঝা। নারীকে দিয়েছে সংসার পরিচালনার দায়িত্ব। নিজ স্থানে তাদেরকে দেয়া হয়েছে অগ্রাধিকার। যুগে যুগে নারীদের ওপর যুলুম করে আসা ইহুদী-নাছারাদের এটা সহ্য হয়নি। সর্বদা তারা নারীদের এই সুশোভিত সংসার থেকে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করেছে। তাদেরকে ইসলামী বিধানের বিপক্ষে উস্কে দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। যারা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে এখন তারা ইসলাম-মনষ্কদের কুরআন-হাদীছের অপব্যাখ্যা দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
আজ এমনই একটি রোগ নিয়ে বলব, যে রোগে নিজেদেরকে দ্বীনদার মনে করা নারীরাই সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত। আমি আজ বলব, সাংসারিক জীবনে অতিরিক্ত রোমান্টিকতার চাহিদা নিয়ে। রোমান্টিকতা জীবনের বাইরে নয়। আবার সেটাই জীবন নয়। জীবনের অংশ। জীবনের অংশকেই যখন জীবন মনে করা হয় তখন কি কি সমস্যা হ’তে পারে সেটা নিয়েই আজ বলব। আমি জানি, আমি এমন এক বিষয়ে কলম ধরেছি, যা আমার উদ্দিষ্ট পাঠকের মোটেও মনঃপূত হবে না। কারণ পতঙ্গকে আগুনের ভয়াবহতা বুঝানো যায় না। আবার যারা এই মহামারীকে প্রমোট করছে তাদের ভাষায় যে রসকষ আছে তার ধারেপাশেও আমরা নেই। হ্যা, কষ আছে। তবে সেটা তেতো। এই তেতো কষ পাঠক গ্রহণ করবে কি-না জানি না। তবে গ্রহণ করলে কল্যাণ হবে-এ টুকু প্রত্যাশা আছে ইনশাআল্লাহ।
এই মহামারীর শুরু যেখান থেকে : শয়তানকে শয়তানের রূপে মানুষ গ্রহণ করে না। তাই সব শয়তানই সাধুর বেশে প্রকাশিত হয়। সাধু ভেবে সবাই তাকে গ্রহণ করে। কথিত সাধু যখন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে তখনই প্রকাশ হয় তার আসল চেহারা। উম্মাহর মাঝেও এই রোমান্টিকতার মহামারী কুরআন-সুন্নাহকে পুঁজি করেই এসেছে। এসেছে নয়, বরং নিয়ে আসা হয়েছে। হাদীছে বর্ণিত অল্পসংখ্যক ঘটনাকে আলোচনার কেন্দ্র বানিয়ে কিছু অপরিণামদর্শী সেলিব্রিটি কথিত আলেম সমাজ সামাজিক গণমাধ্যমে ফলোয়ার কুড়াচ্ছেন। অবিবাহিত তরুণ এবং যুবসমাজ সহজেই তাদের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। ফলোয়ার কুড়ানোর এই নোংরা পদ্ধতি কতটা ক্ষতি করেছে সেটা হয়ত খতিয়ে দেখার সময় তাদের হয়নি।
আয়েশা (রাঃ) বলছেন, আমি ও রাসূল (ছাঃ) এক পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করেছি। এটি একটি হাদীছ। উল্লেখিত হাদীছের উদ্দেশ্য, স্বামী-স্ত্রী একই গোসলখানায় গোসল করতে পারে-এই বিধান উম্মাহর মাঝে পৌঁছে দেয়া। রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে উম্মাহাতুল মুমিনীন সম্পর্কিত যত ঘটনা হাদীছে এসছে, সবগুলোতেই শারঈ বিধান রয়েছে। সুতরাং সেসকল হাদীছ থেকে আমরা শুধুমাত্র বিধান গ্রহণ করেই ক্ষান্ত থাকব এটাই শরী‘আতের উদ্দেশ্য। এটা সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তা করলেই বোঝা যায় যে, তাঁর মত মহান চরিত্রের মহামানব উম্মাহর সামনে নিজের ঘরের বিষয় এমনিই প্রকাশ করবেন না। কিন্তু আমরা এই হাদীছ থেকে আজ যে রোমান্টিকতার শিক্ষা গ্রহণ করছি, যা হাদীছের মূল উদ্দেশ্য নয়।
আয়েশা (রাঃ) বলছেন, আমি একটি গোশতের টুকরা খেয়েছি। অতঃপর তা রাসূল (ছাঃ)-কে দিয়েছি। তিনি আমার কামড়ানো স্থানেই মুখ লাগিয়ে খেয়েছেন। এই হাদীছ থেকে বিধান সাব্যস্ত হয়, মুমিনের ঝুটা নাপাক নয়। অথচ মাওলানা ছাহেব এই হাদীছটিকে এমনভাবে রং মাখিয়ে উপস্থাপন করলেন যা যুবসমাজের মন ছুঁয়ে গেল। শুধু শাব্দিক অর্থের দিকে লক্ষ্য করে কুরআন-হাদীছ থেকে ইচ্ছামত মাসআলা গ্রহণ করা যায় না। আমাদের তাবলীগ জামা‘আতের ভাইয়েরা যেমন জিহাদ বিষয়ক সকল হাদীছকে দাওয়াতের ফযীলত বর্ণনায় ব্যবহার করছেন; তেমনই এই সেলিব্রিটিরাও রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে উম্মাহাতুল মুমিনীন সম্পর্কিত সকল হাদীছকে কিভাবে রোমান্টিকতার মোড়কে উপস্থাপন করা যায় তার ফন্দি খোঁজেন।
দেখুন! যে সমাজে হারাম সম্পর্কের সয়লাব চলছে, প্রাথমিক লেভেল থেকে প্রেম-ভালোবাসা নিবেদন চলছে সেখানে যুবসমাজকে আরো বেশী রোমান্টিক করে তোলার মাঝে কি কল্যাণ আছে? যে সমাজের যুবকেরা কর্ম ছেড়ে সারাদিন ফেসবুক রিলস আর ভিডিও গেমসে মত্ত হয়ে আছে তাদেরকে বিয়ের পরের রঙ্গিন জীবনের স্বপ্ন দেখানোর কি আছে? এই অবস্থায় তারা বিয়ে করলে কি বৈবাহিক জীবন রঙ্গিন হবে? আপনারা তাদের চোখে রঙ্গিন স্বপ্নের পসরা না সাজিয়ে তাদেরকে বাস্তবতা চিনতে সাহায্য করুন। তাদেরকে পরিশ্রমী এবং কর্মঠ করে তোলার চেষ্টা করুন। তরুণদের মুহাম্মাদ বিন ক্বাসিম, ছালাহুদ্দীন আইয়ূবীর বীরগাঁথা দাস্তান শোনান। মেয়েদেরকে ইমাম বুখারীর মায়ের গল্প শোনান। ইমাম মালেক (রহঃ)-এর মায়ের গল্প শোনান।
এই মহামারীর ক্ষতিকর ফলাফল : অনেক ভাই বলেন, দ্বীনদার মেয়ে বিয়ে করেছিলাম জীবনে একটু শান্তিতে থাকতে। কিন্তু বিয়ে করে জীবনই যেন অতিষ্ট হয়ে গেছে। কারণ জিজ্ঞেস করলে বলেন, অতিরিক্ত রোমান্টিকতার চাহিদা যেন একটা অসহ্য বোঝা হয়ে ঘাড়ে চেপে আছে। পরিবারের চাহিদা পূরণের জন্য দিন-রাত হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে যদি বাসায় ফেরার পথে ফুল না নিয়ে আসার জন্য মন কষাকষি হয় তবে সেটা সত্যই খুব কষ্টকর। হ্যা, আসলেই বিষয়টি দুঃখজনক। এই ছোট ছোট বিষয়কে কেন্দ্র করে নিয়মিত যে কলহ সৃষ্টি হয় তা একসময় বৃহৎ আকার ধারণ করে সংসারকে অসম্পূর্ণ সমাপ্তির দিকে ঠেলে দেয়।
চুলে বেনি করে দেয়া, রান্নায় সহযোগিতা করার মত ছোট ছোট বিষয়কে ঘিরেই ভেঙ্গে যাচ্ছে অজস্র সংসার। স্বামী ভাবছে, এভাবে আর কত! জীবনে একটু প্রশান্তি দরকার। স্ত্রী ভাবছে, এভাবে আর কত! জীবনে একজন যত্নশীল পুরুষের প্রয়োজন। কিন্তু যথাযথ দায়িত্ব পালনের চেয়ে যে বড় যত্ন আর হয় না, এটা তাদেরকে কে বোঝাবে! রোমান্সে উস্কে দেয়া শায়েখগণ তো সংসার রক্ষার্থে কোন ভূমিকা পালন করেন না। যে সকল শায়েখ গণমাধ্যমে প্রচার করেন, স্ত্রী চায়ে চুমুক দিলে চা মিষ্টি হয়ে যায়, উম্মাহর বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে তাদের কর্মকান্ডে খুবই আশাহত হই। আমি জানি না, তাদের এসব অনর্থক গবেষণা ছাড়া আর কোন কাজ আছে কি-না। দেখুন! শত্রুর দ্বারা আহত হ’লে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায়। তবে মেডিকেলের বিছানায় শুয়ে ডাক্তার কর্তৃক ঔষধের ওভার ডোজে মৃত্যু হ’লে সেখান থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই।
যখন কোন ভাল বস্ত্তও তার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে তখন সেটা ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এর হাযারো উদাহরণ দেয়া যাবে। আমি শুধু একটি উদাহরণ দেব। পানি উপকারী, মধুও উপকারী। একজন মানুষ প্রতিদিন সাত লিটার পানি পান করতে পারে, তবে সাত লিটার মধু পান করতে পারে না। কারণ মধুর সর্বোচ্চ সীমা আছে। যা পানির সমান নয়। ঠিক তেমনই রোমান্টিকতা জীবনের অংশ। তবে জীবন দিয়ে রোমান্সকে প্রাধান্য দিয়ে হবে বিষয়টা এমন নয়। প্রত্যেকটি বস্ত্তকে তার নিজ সীমায় সীমাবদ্ধ রাখাই শ্রেয়। মনে রাখতে হবে, সংসারের জন্য রোমান্স, রোমান্সের জন্য সংসার নয়। রোমান্স যদি কখনো সংসারকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় তবে আশু সেই রোমান্সের লাগাম টেনে ধরাই যুক্তিযুক্ত।
একজন মুসলিমা হিসাবে নারীদের আদর্শ যাঁরা : মনে রাখবেন, সামাজিক গণমাধ্যমে যে মেয়েরা বোরক্বা পরে স্বামীর সাথে হালাল ভালোবাসার ছবি/ভিডিও প্রকাশ করে, এমনকি একসাথে ছালাত আদায়ের ভিডিও প্রকাশ করে তারা কখনোই সঠিক অর্থে দ্বীনদার হ’তে পারে না। তারা আপনার আদর্শ হ’তে পারে না। বরং তারা আপনার ইহকাল ও পরকাল বরবাদ করতেই নেমেছে। তারা জানে, একটি জাতিকে পঙ্গু করার জন্য মাতৃসমাজ নষ্ট করা দরকার। তারা সেটাই করছে। ফলশ্রুতিতে যে মুসলিম যুবকেরা মূতার যুদ্ধে মাত্র তিন হাযার হয়ে দুই লক্ষের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছেন তাদেরই উত্তরসূরীরা আজ বলছে, ছেলে হ’লে কী হবে! আমাদেরও তো আবেগ আছে! আমাদের চোখ থেকেও তো অশ্রু ঝরে!
বোন! মুসলমানদের চিন্তাধারায় এই বিরাট পরিবর্তন রাতারাতি আসেনি। কোন একজনের প্রচেষ্টায় সব হয়ে যায়নি। এর পেছনে দীর্ঘদিনের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা আছে। তারা যেমন নারী সমাজকে বিগড়ে দেয়ার মাধ্যমে মুসলিম বীর তৈরি প্রতিরোধ করেছে, যুবসমাজের চেতনায় ঘুণ লাগিয়ে দিয়েছে, তেমনই আমরাও আমাদের মা-বোনদেরকে মহীয়সী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে আবারো মুসলিম বীর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। সমাজ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। বোন! আপনি যদি সত্যিই প্রকৃত মুসলিমা হন তবে উম্মাহর এই দুঃসময়ে আপনারও কিছু দায়িত্ব আছে। যেখানে বায়তুল মাক্বদিস মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, পশ্চিমা সংস্কৃতিতে আমাদের তাহযীব ও তামাদ্দুন ভেসে গেছে, সেখানে খোপায় বেলি ফুলের গাজরা পরে জুঁই চামেলির মন মাতানো সুবাস উপভোগ করা মানায় না।
আজ আপনাকে হ’তে হবে কনস্টান্টিনোপল বিজেতা মুহাম্মাদ বিন ফাতিহ-এর মায়ের মত। যিনি তার ছেলেকে শৈশবে ফজরের সময় ঘুম থেকে জাগিয়ে কনস্টান্টিনোপলের দেয়াল দেখিয়ে বলতেন, হে মুহাম্মাদ! একদিন তুমি এই অঞ্চল বিজয় করবে! রাসূল (ছাঃ) তোমার বিষয়ে সুসংবাদ দিয়েছেন। তুমিই হবে তাঁর সেই সুসংবাদপ্রাপ্ত আমীর! আপনি হবেন সেই মায়ের মত যার দো‘আয় আল্লাহ তার অন্ধ ছেলের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন। যাঁর ছেলের নাম আমরা আজ ইমাম বুখারী বলে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। বোন! আপনি স্মরণীয় বরণীয়দের জীবনী খুলে দেখুন! কেমন ছিলেন তাঁদের মায়েরা। কেমন ছিলেন তাঁদের বড় বোন। যে বড় বোনের নিবিড় তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছেন ইবনে হাজার আসক্বালানীর মত জগদ্বিখ্যাত আলেম! তাঁরাই আপনাদের আদর্শ।
বাস্তবতার সামনে দাঁড়াতে শিখুন : বোন! আপনার স্বামী সারাদিন পরিশ্রম করে আপনার খাবার-পোষাকের ব্যবস্থা করেন। আপনার শখ পূরণ করার চেষ্টা করেন। অনেক সময় নিজের প্রয়োজনের ওপরে আপনার প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেন। সত্যি বলতে মধ্যবিত্ত পরিবারে এর চেয়ে বড় ভালোবাসা আর হয় না। এই কথা হয়ত আমার ভাষায় আপনি বুঝবেন না। তবে যদি কখনো স্বামীর সংসার ছেড়ে বাইরের দুনিয়ায় পা রাখেন তবে দুনিয়ার ভাষা আপনাকে এটা বুঝিয়ে দেবে। খুবই জঘন্যভাবে বুঝাবে।
আমরা জানি, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ঠিক তেমনই বিয়ে করার চেয়ে সংসার টিকিয়ে রাখা কঠিন। বোন! স্বামীর ওপরে অভিমান করার আগে অবশ্যই নিজেকে তার স্থানে রেখে একবার পরিস্থিতি কল্পনা করে নেবেন। এতে আপনি নিজের ধৈর্যশক্তি, সহনশীলতা বাড়ানোর শক্তি পাবেন। রাগ, অভিমান, ঝগড়া অনেক অংশেই কমে আসবে। মনে রাখবেন, আপনাকে আল্লাহ অন্য অনেকের চেয়ে সুখ ও সমৃদ্ধির মাঝে রেখেছেন। আপনার মত অনেক বোন আছে যাদের জীবনে ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই। সে সময়, সুযোগ তাদের নেই। যারা একবেলা শ্রম না দিলে পেটে ভাত পড়ে না। যাদের স্বামী নেই। তাদের জীবনের চিত্র কল্পনা করে শোকরগুযার হওয়ার চেষ্টা করুন। অল্পে তুষ্ট থাকার নীতি অনুশীলন করুন। আল্লাহ আপনার জীবনকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবেন ইনশাআল্লাহ।
উপসংহার : বক্ষ্যমাণ আলোচনায় অনেক জ্ঞানগর্ভ কথা উপস্থাপন করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে যারা কাঠগোলাপের স্নিগ্ধতার মাঝেই শুধু হালাল ভালোবাসা খোঁজে, তারা জেনে রাখুক, এই জীবনধারা মুসলিম নারীদের কখনো ছিল না, নেই এবং থাকবেও না। বোন! এই ধরনের দ্বীনদার নামের ধোঁকাবাজদের থেকে নিজেকে দূরে রাখুন! নিজেকে সর্বদা শোকর ও ইস্তেগফারে রাখুন! স্বামীকে সম্মান করুন! তার আমানত রক্ষা করুন! নিজের সন্তানকে উম্মাহর খেদমতের জন্য প্রস্ত্তত করুন! ইমাম মাহদীর ঝান্ডার নীচে লড়ার জন্য তৈরি করুন! জান্নাত আপনার পায়ের নীচে। হাশরের ময়দানে যখন আল্লাহ আপনার মাথায় নূরের তাজ পরাবেন তখন হয়ত আপনি বুঝতে পারবেন, কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম লালিমা, গোলাপ-পাপড়ির কোমলতা, রক্ত জবার সৌন্দর্যের গৌরব সব আপনার তাজে বিলীন হয়ে গেছে। হোক না আর কিছুটা অপেক্ষা, সেই দিনের জন্য।