অর্থনৈতিক প্রতারণার বিচার হচ্ছে না। শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক ঘটছে প্রতারণা। নিত্য-নতুন আইন হ’লেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিত্য-নতুন ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। তাদের অভিনব কৌশলের কাছে হার মানছে সাধারণ মানুষ। সচেতনতার অভাবেও বার বার প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে তারা। অর্থনৈতিকভাবে বিপুল ক্ষতির শিকার হয়ে যাওয়ার অনেক পরে টনক নড়ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। আইনী দুর্বলতা, আইন প্রয়োগে সদিচ্ছার অভাবসহ নানা কারণে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না অর্থ আত্মসাৎকারীদের। আর্থিকভাবে প্রতারিত হয়ে ক্রমাগত নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সংঘটিত আর্থিক কেলেঙ্কারির পরবর্তী অবস্থা পর্যালোচনায় উন্মোচিত হয়েছে এ বাস্তবতা।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বশেষ ই-ভ্যালি থেকে শুরু করে পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারী পর্যন্ত কোন ঘটনাই দায়ী ব্যক্তিদের কার্যকর কোন শাস্তি হয়নি। যেমন : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-ভ্যালি’-এর মাধ্যমে গ্রাহক তথা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে অন্তত ৫৪৩ কোটি টাকা। একই ধরনের প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’-এর বিরুদ্ধেও প্রায় ১,১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ‘ধামাকা’ নামক আরেকটি প্রতিষ্ঠান হাতিয়েছে প্রায় ৫৮৩ কোটি টাকা। দক্ষিণবঙ্গ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এহসান গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে ১৭ হাযার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এর আগে বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলে যুব কর্মসংস্থান সোসাইটি ‘যুবক’ হাতিয়ে নেয় ২ হাযার ৬০০ কোটি টাকা। বহুস্তর বিপণন পদ্ধতি (এমএলএম)-এর নামে ‘ডেসটিনি-২০০০ লি.’ হাতিয়ে নেয় প্রায় ৫ হাযার কোটি টাকা। এমএলএম কোম্পানী ‘ইউনি পে টু ইউ’ হাতিয়ে নেয় ৪২০ কোটি টাকা। ‘নিউওয়ে মাল্টিপারপাস কোম্পানী’ হাতিয়ে নেয় ১ হাযার কোটি টাকা। ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট কোম্পানী’ হাতিয়ে নেয় ১১০ কোটি টাকা। ‘আইডিয়াল কো-অপারেটিভ কোম্পানী লি.’ সমিতির নামে হাতিয়ে নেয় প্রায় ৭ হাযার কোটি টাকা।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বেসিক ব্যাংক থেকে লুট করা হয়েছে অন্তত ৪ হাযার কোটি টাকা। হলমার্ক গ্রুপ থেকে লুট করা হয় ৪ হাযার কোটি টাকা। নন-ব্যাংকিং তিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার গং লুট করে ৪ হাযার ৬০০ কোটি টাকা। ‘এনন টেক্স’ নেয় সাড়ে ৫ হাযার কোটি টাকা। ‘বিসমিল্লাহ গ্রুপ’ জালিয়াতির মাধ্যমে লুট করে ৩৩৩ কোটি টাকা। ‘ক্রিসেন্ট গ্রুপ’ হাতিয়ে নেয় ১ হাযার ৭৪৫ কোটি টাকা। ম্যানুপুলেশনের মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে দুই দফায় হাতিয়ে নেয়া হয় ৫২ হাযার কোটি টাকা। কিন্তু এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়েরকৃত মামলায় হাতিয়ে নেয়া অর্থ পুনরুদ্ধার হয়েছে কিংবা আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে কেউ শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন-এমন দৃষ্টান্ত বিরল।

আদালত সূত্র জানায়, প্রকাশ্য বিজ্ঞাপনে ব্যাপকভিত্তিক জানান দিয়েই কথিত ‘ই-কমার্স’ শুরু করেছিল ‘ই-ভ্যালি’। প্রতিষ্ঠানটির চটকদার প্রচারণা ও লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে বহু মানুষ ‘ই-ভ্যালি’-এর পণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা এই অস্বাভাবিক কথিত ব্যবসা সম্পর্কে সতর্কতাসহ উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় কথিত এ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রসার লাভ করে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ কথিত এই ব্যবসাকে ‘টেকসই’ এবং ‘বৈধ’ মনে করে বিপুল উৎসাহে পণ্যের ক্রয়াদেশ দিতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রভাবে বেচা-কেনায় ধস নেমে আসায় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও বাকিতে পণ্য সরবরাহ করে ই-ভ্যালিকে। কিন্তু ক্রয়াদেশ দিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য বুঝে না পাওয়া এবং একই সঙ্গে পণ্য বিক্রির অর্থও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বুঝে না পাওয়ায় সাধারণ গ্রাহক এবং পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ আসতে থাকে।

এরপরই ই-ভ্যালির আইনগত এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু ই-ভ্যালি বৈধ কি অবৈধ এ সিদ্ধান্ত দিতেই সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলির বিলম্ব হয়। ইতিমধ্যে গ্রাহকের কাছ থেকে ই-ভ্যালি হাতিয়ে নেয় ৫৪৩ কোটি টাকা। সর্বশেষ অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতারণার মামলায় অনলাইন মার্কেট প্লেস ই-ভ্যালি ডটকমের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মাদ রাসেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর এ মামলায় তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত চলছে। কিন্তু এ মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেছেন আইনজ্ঞরা। ইতিপূর্বে সংঘটিত অর্থনৈতিক প্রতারণা মামলার পরিণতি দিয়েই তারা আন্দাজ করছেন ‘ই-ভ্যালি মামলা’র ভবিষ্যৎ নিয়ে।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রলোভনে ২ হাযার ৬০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় ‘যুবক’-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বিচারে ওঠেনি দীর্ঘ ৭ বছরেও। যুবকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতে ২০১৪ সালে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে সরকার। তাদের প্রতিবেদনে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে যুবকের সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের সুফারিশ করা হয়। সেই সুফারিশ বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। প্রতারকদের পাকড়াওয়ে ২০১৪ সালে একটি মামলা হয়। সাত বছরেও সিআইডি মামলাটির প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এর আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. ফরাস উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের কমিশনের কাছে ২ হাযার ২০০ একর জমি, ১৮টি প্রকল্প ও ১৮টি বাড়ির হিসাব দেয় ‘যুবক’। সে সময় এর বাজারমূল্য ছিল ৬ হাযার কোটি টাকার বেশি। বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের পাওনা আড়াই হাযার কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই অতি গোপনে বিক্রি হয়ে গেছে ‘যুবক’-এর বহু সম্পত্তি। গ্রাহকের টাকায় কেনা প্রতিষ্ঠানটির ৪০টি সম্পত্তির কোন হদিস নেই। জড়িতদেরকেও এখন পর্যন্ত শাস্তির মুখোমুখি করা যায়নি।

বহুস্তর বিপণন (এমএলএম) ব্যবস্থার নামে প্রায় ৫ হাযার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ‘ডেসটিনি-২০০০ লি.’। গ্রুপভুক্ত ‘ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ এবং ‘ডেসটিনি ট্রি-প্ল্যান্টেশন লি.’-এর প্রতিষ্ঠান দু’টির অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ২০১২ সালে পৃথক ২টি মামলা হয়। মামলা দু’টিতে মূল উদ্যোক্তা মুহাম্মাদ রফীকুল আমীনসহ ৫৩ জনকে আসামী করে মামলা হয়। দুই বছর তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে দু’টি মামলার চার্জশীট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশীটে ৫১ জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে রফীকুল আমীনসহ মাত্র ৩ জন আসামী এখন কারাগারে রয়েছেন। বাকী আসামীরা এখনো কারাগারের বাইরে। ৭ বছরেও মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।

অধিক মুনাফার প্রলোভনে কল্পিত স্বর্ণ ব্যবসায়ে অর্থলগ্নির নামে ৪২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ‘ইউনি পে টু ইউ বাংলাদেশ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। রাতারাতি ধনী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তরুণ-তরুণী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি গৃহবধূরা এতে অর্থলগ্নি করেন। এক সময় প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে ক্ষতিগ্রস্তরা দেশের বিভিন্ন যেলায় শতাধিক মামলা করেন। এসব মামলার মধ্যে একটির রায় ঘোষিত হয় ২০১৯ সালের ২৩শে জানুয়ারী। এটি ছিল সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক প্রতারণা সংক্রান্ত মামলার প্রথম রায়। ঢাকার তৎকালীন বিশেষ জজ-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ মুহাম্মাদ দিলজার হোসাইন তার রায়ে ‘ইউনি পে টু ইউ’র শীর্ষ ৬ কর্মকর্তাকে ১৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেন। এছাড়া প্রত্যেক আসামীকে ২৭০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক একাউন্টে থাকা ২৭০ কোটি টাকা এবং গ্রাহকের টাকায় কেনা সকল সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাযেয়াফ্ত করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন ‘ইউনি পে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মাদ মুনতাছির হোসাইন ইমন, চেয়ারম্যান শহীদুয্যামান শাহীন, নির্বাহী পরিচালক মাসঊদুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক এম জামশেদুর রহমান, উপদেষ্টা মানযূর এহসান চৌধুরী ও পরিচালক এইচ এম আরশাদুল্লাহ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামীরা আপিল করেন। বর্তমানে সবাই কারামুক্ত বলে জানা গেছে। আইনের ফাঁক গলে ‘ইউনি পে টু’র জব্দকৃত অনেক টাকাই সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাযেয়াফ্তকৃত অনেক সম্পত্তি বিক্রিসহ বিভিন্ন উপায়ে হস্তান্তরও হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রাহকরা এখনও তাদের লগ্নিকৃত অর্থ ফেরৎ পাননি।

প্রাতিষ্ঠানিক অর্থ কেলেঙ্কারির মধ্যে ঋণের নামে বেসিক ব্যাংক থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় অন্ততঃ ৪ হাযার কোটি টাকা। এ ঘটনায় ব্যাংকটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ৫৬টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৬ বছর হ’তে চললেও এর একটি মামলারও বিচার শুরু হয়নি। দুদক জানিয়েছে, এর মধ্যে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থের ১ হাযার ৩২২ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যাংকে ফেরত এসেছে। ৪ হাযার ৫৫৯ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে। তবে কোন মামলারই চার্জশীট দাখিল হয়নি এখনও।

সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাযার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বহুল আলোচিত ‘হলমার্ক গ্রুপ’। এর মধ্যে ২ হাযার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা (ফান্ডেড) ঋণ জালিয়াতির দায়ে ২০১২ সালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর গত বছরের আগস্টে মামলাগুলির চার্জশীট দাখিল করা হয়। চার্জশীটে ২৫ জনকে আসামী করা হয়। তবে অবশিষ্ট ‘নন-ফান্ডেড’ অর্থের বিষয়ে দুদক অনুসন্ধানই শুরু করতে পারেনি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চার্জশীটভুক্ত আসামীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমূদ, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ব্যতীত বাকিরা এখন যামিনে মুক্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এসব আর্থিক কেলেঙ্কারি, আত্মসাৎ এবং প্রতারণার পরিণতি বলতে গেলে এরকমই। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থ ফেরত পায়নি। অতি সম্প্রতি উদঘাটিত ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, এহসান গ্রুপ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়টিও অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আইনী দুর্বলতা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদিচ্ছার অভাবে আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে সংশয় তাদের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক নাজমা বেগম বলেন, এসব অনিয়ম ও প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রথম থেকে ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরত পাওয়া রীতিমতো অসম্ভব হয়ে ওঠে। তার মতে, হাতিয়ে নেয়া টাকা শতভাগ ফিরিয়ে দেয়া কোনক্রমেই সম্ভব নয়। যখন ঘটনাটা ঘটে যায় তখন আর কিছু করার থাকে না। কারণ কোম্পানীগুলির সম্পদের চেয়ে দেনার পরিমাণ অনেক বেশি। সেজন্য তাদের ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও নেই। অধ্যাপক নাজমা বলেন, আপনি তাদের ধরলেন, শাস্তি দিলেন, কিন্তু যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়া কি সম্ভব?

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ মঈদুল ইসলামের মতে, আইনী ফাঁক-ফোকরের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- যারা আইনটি প্রয়োগ করবেন তাদের সদিচ্ছা। অনেক সময় প্রয়োগকারী সংস্থার সদিচ্ছার অভাবেও অর্থ আত্মসাৎকারীরা পার পেয়ে যান।

সাঈদ আহমাদ

[সংকলিত]






বিষয়সমূহ: পাপ
কোথায় মিলবে চিকিৎসা? - মুহাম্মাদ আবু নোমান
বিশ্বময় ভাইরাস আতঙ্ক : প্রয়োজন সতর্কতা - মুহাম্মাদ আব্দুছ ছবূর মিয়া, ঝিনাইদহ
শরণার্থীরা এখন সবার মনোযোগের বাইরে - মুহাম্মাদ তৌহিদ হোসাইন
ইসরাঈলকে শত কোটি ডলারের অস্ত্র এবং আইএস’র পরাশক্তি হয়ে ওঠা
ট্রান্সজেন্ডারবাদ : এক জঘন্য মতবাদ - আব্দুল্লাহ আল-মুছাদ্দিক
হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ - জামালুদ্দীন বারী
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা - সুকান্ত পার্থিব
অ্যান্টি সিক্রেট ওয়েবসাইট : উইকিলিকস - শরীফা বিনতে আব্দুল মতীন
ইসলামিক স্টেটের আকর্ষণ কি? - মশিউল আলম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক - অজয় কান্তি মন্ডল
করোনা ও মানবতার জয়-পরাজয় - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
এনজিওর ক্ষুদ্র ঋণে মরণদশা
আরও
আরও
.