কম্পিউটারে বা ইন্টারনেটে যেভাবে আমরা তথ্য কপি পেস্ট করি, সেভাবে যদি মানুষের মস্তিষ্কেও কপি-পেস্ট করা যেত তাহ’লে কতই না ভালো হ’ত! এ চিন্তা বিজ্ঞানীদের ভাবাচ্ছে বহু দিন ধরেই। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেও এ রকম ধারণার প্রতিফলন দেখা যায় প্রায়শই। কিন্তু এবার বাস্তবেও এটি প্রয়োগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এ পদ্ধতিকে মানুষের জন্য উপযোগী রূপ দিতে পারবেন বলে আশাবাদী।

ক্যালিফোর্নিয়ার এইচআরএল ল্যাবরেটরিজের একদল বিজ্ঞানী কয়েকটি পরীক্ষা চালান, যাতে প্রশিক্ষিত পাইলটদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম (সংকেত) পর্যবেক্ষণ করা হয়। লক্ষ্য ছিল উড়োজাহাজ চালনা শিখতে আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের মস্তিষ্কে এসব সংকেত বিশেষ উপায়ে প্রতিস্থাপন করা। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩২ জন শিক্ষার্থী বিশেষ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কে এসব সংকেতের সাহায্যে উদ্দীপনা নেয়। এরপর বিমান চালনায় তারা পারদর্শিতা দেখানোর ব্যাপারে অন্যদের চেয়ে ৩৩ শতাংশ এগিয়ে ছিল। আর যারা ঐ উদ্দীপনা নেয়নি, তাঁরা পরীক্ষায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে ছিল।

ঐ গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানী ম্যাথু ফিলিপস বলেন, বিমান উড়ানো শিখতে মাসের পর মাস লেগে যায়। তবে ঐ শিক্ষার্থীরা মস্তিষ্কে উদ্দীপনা নেওয়ার পর তাঁদের শেখার প্রক্রিয়ায় বাড়তি গতি এসেছিল। তারা ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি প্রয়োগের আগে তার কার্যকারিতা অবশ্যই খুঁটিয়ে দেখবেন। তবে শুরুটা বেশ উত্তেজনাকর হয়েছে, এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।







বিষয়সমূহ: পাপ
আরও
আরও
.