ভূমিকা :
উম্মুল মুমিনীন যয়নাব বিনতু খুযাইমা (রাঃ) ছিলেন অতীব দানশীলা মহিলা। তিনি গরীব-দুঃখী ও দুস্থদের উদার হস্তে দান করতেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণকারী উম্মুল মুমিনীনদের অন্যতম ছিলেন। তাঁর সৌভাগ্য যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বয়ং তার জানাযার ছালাত পড়িয়েছিলেন। দানশীলতার পাশাপাশি ইবাদত-বন্দেগীতেও তিনি ছিলেন অন্যান্য নবী পত্নীগণের ন্যায় অগ্রবর্তী সারিতে। উত্তম চরিত্র মাধুর্যের অধিকারিণী মহিলা ছাহাবী যয়নাব (রাঃ)-এর সংক্ষিপ্ত জীবনী এ নিবন্ধে আলোচনার প্রয়াস পাব।
নাম ও বংশ পরিচয় :
তাঁর নাম যয়নাব, উপাধি ‘উম্মুল মাসাকীন’ বা দীন-দুঃখীদের জননী। জাহেলী যুগেও তাঁকে এ নামে ডাকা হ’ত। কারণ তিনি দরিদ্রদের বেশী বেশী খাদ্য দান করতেন।[1] তাঁর পিতার নাম খুযাইমা। তাঁর পূর্ণ বংশ পরিচয় হচ্ছে- যয়নাব বিনতু খুযাইমা ইবনিল হারেছ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আবদে মানাফ ইবনে হেলাল ইবনে আমের ইবনে ছা‘ছা‘আহ।[2] তাঁর মায়ের নাম হিন্দ বিনতু আওফ ইবনিল হারেছ ইবনে হিমাতাহ আল-হুমায়রিয়া।[3] তিনি ছিলেন উম্মুল মুমিনীন মায়মূনা (রাঃ)-এর বৈপিত্রীয় বোন।[4]
জন্ম ও শৈশব :
যয়নাব (রাঃ)-এর জন্মকাল সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। তবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে বিবাহের সময় তার বয়স হয়েছিল ৩০ বছর।[5] সে হিসাবে তাঁর জন্ম ৫৯৫ খৃষ্টাব্দে হয়েছিল বলে ধরে নেওয়া যায়। তাঁর শৈশব-কৈশোর সম্পর্কেও কিছুই জানা যায় না।
প্রথম বিবাহ :
প্রথমে কার সাথে যয়নাব (রাঃ)-এর বিবাহ হয়েছিল এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। এ ব্যাপারে যে মতগুলি পাওয়া যায় তা হচ্ছে- (১) তুফায়েল ইবনুল হারেছ ইবনিল মুত্তালিব ইবনে আবদে মানাফের সাথে যয়নাব (রাঃ)-এর প্রথম বিবাহ হয়।[6] অতঃপর তুফায়েলের ভাই ওবায়দাহ ইবনুল হারেছ যয়নাবকে বিবাহ করেন। ওবায়দাহ বদর যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।[7] (২) তাঁর প্রথম স্বামী ছিলেন আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ। তিনি ওহোদ যুদ্ধে নিহত হন।[8] (৩) তিনি তুফায়েল ইবনিল হারেছের অধীনে ছিলেন। তুফায়েল যয়নাব (রাঃ)-কে তালাক দিলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বিবাহ করেন। (৪) সীরাতে ইবনে হিশামে আছে, তিনি প্রথমে জাহম ইবনু আমর ইবনিল হারেছ আল-হিলালীর নিকটে ছিলেন। তারপরে ওবায়দা ইবনিল হারেছ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব তাঁকে বিবাহ করেন।[9] (৫) ছালাহুদ্দীন মকবূল আহমাদ বলেন, রাসূলুল্লাহর পূর্বে তাঁর চাচাদের বংশের দু’জনের সাথে যয়নাব (রাঃ)-এর বিবাহ হয়েছিল। প্রথমতঃ তুফায়েল ইবনুল হারেছ তাঁকে বিবাহ করেন এবং পরে তিনি তাঁকে তালাক দেন। অতঃপর তার ভাই ওবায়দাহ ইবনুল হারেছ তাঁকে বিবাহ করেন। তিনি বদর যুদ্ধে নিহত হন।[10]
মোদ্দাকথা তুফায়েল যয়নাব (রাঃ)-কে প্রথম বিবাহ করেন। তার সাথে বিচ্ছেদ ঘটলে তার ভাই ওবায়দার সাথে যয়নাব (রাঃ)-এর দ্বিতীয় বিবাহ সম্পন্ন হয়। তিনি বদর যুদ্ধে শহীদ হ’লে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে যয়নাব (রাঃ)-এর বিবাহ হয়। এটাই প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত।[11]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে বিবাহ :
যয়নাব (রাঃ)-এর পূর্বের স্বামীর মৃত্যুর পরে হিজরতের ৩১ মাসের মাথায় তথা ৩য় হিজরীর রামাযান মাসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বিবাহ করেন। রাসূলে কারীম (ছাঃ) তাকে ১২ উকিয়া[12] ও ১ নশ[13] মোহর দিয়েছিলেন।[14] অন্য বর্ণনায় আছে, যয়নাব (রাঃ)-এর চাচা কাবীছাহ ইবনু আমর আল-হিলালী তাঁকে রাসূলের সাথে বিবাহ দেন। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে ৪০০ দেরহাম মোহর দিয়েছিলেন।[15] মাহমূদ শাকের বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন যয়নাব (রাঃ)-কে বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল ৬০ বছর। আর এই অধিক বয়সের কারণেই তাকে কেউ বিবাহ করতে চাচ্ছিল না।[16] একথা ঠিক নয়। কেননা সর্বাধিক বিশুদ্ধ মতে, তিনি ৩০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।[17] সুতরাং ৬০ বছর বয়সে বিবাহ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
যয়নাব (রাঃ)-কে বিবাহের কারণ :
যয়নাব (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বিবাহের পিছনে কতিপয় সামাজিক ও ধর্মীয় কারণ বিদ্যমান ছিল। স্রেফ উপভোগের জন্য হ’লে রাসূল (ছাঃ) তাকে বিবাহ করতেন না। কেননা তিনি একদিকে ছিলেন বিধবা এবং অপরদিকে মধ্যম বয়সী।[18] এছাড়া তিনি অতীব সুন্দরী বা অধিক জ্ঞানবতী বিদুষী মহিলাও ছিলেন না।[19] তাকে বিবাহ করার অন্য কারণ ছিল। তন্মধ্যে কতিপয় কারণ নিম্নে উদ্ধৃত হ’ল।- (১) যয়নাব (রাঃ)-এর স্বামীর ইন্তিকালের পরে তিনি আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। তাঁকে বিবাহ করতে তেমন কেউ রাযী ছিল না। তেমনি তাঁর পরিবারের কেউ তাঁর দায়িত্বভার গ্রহণ করেনি। কারণ তখনও তাঁর পরিবারের কেউ ইসলাম গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায় যয়নাব (রাঃ) নিদারুণ আর্থিক সংকটে নিপতিত হন। তাঁর ভরণ-পোষণে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে অসহায় যয়নাব (রাঃ)-কে আশ্রয় দিতে এবং তাঁর অসহায়ত্ব দূর করতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বিবাহ করেন।[20] (২) যয়নাব (রাঃ)-এর প্রতি দয়াপরবশ হয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে বিবাহ করেছিলেন। কেননা তার পূর্ব স্বামী ছিল রাসূলের চাচাত ভাই।[21] (৩) বদর যুদ্ধে তার নির্ভীক বীর স্বামী শহীদ হওয়ায় তার অন্তরে যে ব্যথা সৃষ্টি হয়, তা দূরীভূত করে তার হৃদয়কে প্রশান্ত করা ও তার প্রতি সহানুভূতি স্বরূপ রাসূল (ছাঃ) তাকে বিবাহ করেন।[22] (৪) যয়নাব (রাঃ)-এর পিতৃবংশ হাওয়াযেন-এর বনু আমির শাখার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মানসে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে স্ত্রীত্বে বরণ করেন।[23]
রাসূলের নিকটে অবস্থান :
রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে তিনি কতদিন অবস্থান করেছিলেন এ ব্যাপারে কয়েকটি মতামত পাওয়া যায়। (১) মাহমূদ শাকের বলেন, وعاشت عنده عامين ثم توفيت فى حياته، ‘তিনি রাসূলের নিকটে দু’বছর জীবন যাপন করেন। অতঃপর রাসূলের জীবদ্দশায়ই তিনি ইন্তিকাল করেন’।[24] (২) হাকিম নাইসাপুরী বলেন, ولم تلبث عنده إلا يسيرًا، ‘তিনি রাসূলের নিকটে অল্প দিন অবস্থান করেন’।[25] (৩) হাফেয শামসুদ্দীন আয-যাহাবী বলেন, لم تمكث عنده إلا شهرين أو أكثر، ‘তিনি রাসূলের নিকট কেবল দু’মাস বা তার চেয়ে কিছু বেশী দিন অবস্থান করেন’।[26] (৪) সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ জরদানী বলেন, ولم تلبث عنده إلا شهرين أوثلاثة ثم مات، ‘তিনি রাসূলের নিকটে শুধু দু’মাস বা তিন মাস অবস্থান করেন। অতঃপর মৃত্যুবরণ করেন’।[27] (৫) ইবনু সা‘দ ও ইবনুল কালবী বলেন, فمكث عنده ثمانية أشهر، ‘অতঃপর তিনি রাসূলের নিকটে ৮ মাস অবস্থান করেন’।[28] (৬) হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী ও ইবনুল ইমাদ আল-হাম্বলী বলেছেন, যয়নাব (রাঃ) রাসূলের নিকটে তিন মাস অবস্থান করেন।[29] মোটকথা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে যয়নাব (রাঃ) অল্পকাল ছিলেন এবং রাসূলের জীবদ্দশাতেই ইন্তিকাল করেন।[30] তাঁর থেকে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি।[31]
দানশীলতা :
যয়নাব (রাঃ)-এর দানশীলতা ছিল সুপরিজ্ঞাত। ইসলাম গ্রহণের পূর্বেই তিনি স্বীয় কবীলার নিকট দানশীলা হিসাবে পরিচিতা ছিলেন। কোন দীন-দুঃখী তাঁর নিকটে এসে খালি হাতে ফিরে যেত না। তিনি গরীব-দুঃখীদের এমনভাবে সেবা-যত্ন করতেন যে, তাঁকে ‘উম্মুল মাসাকীন’ বা ‘গরীবদের জননী’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।[32] ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর মধ্যে দান-খয়রাত করার ঐ প্রবণতা অব্যাহত ছিল। দরিদ্র-অভাবী মানুষের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন। তাঁর এ অনুপম গুণাবলীর দ্বারা তিনি পৃথিবীতে অমর হয়ে আছেন। তাঁর দানশীলতা সম্পর্কে ড. আয়েশা আব্দুর রহমান বলেন, ঐতিহাসিক ও চরিতকারগণ যয়নাব বিনতু খুযাইমার বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য করলেও গরীব-দুঃখীদের প্রতি তাঁর দয়া-দাক্ষিণ্য, সহানুভূতি-সহমর্মিতার এই উত্তম বিশেষণের ব্যাপারে সকলেই ঐকমত্য হয়েছেন। যত গ্রন্থে যয়নাব বিনতু খুযাইমার নাম উল্লেখিত হয়েছে সেখানেই তাঁর উপাধি ‘উম্মুল মাসাকীন’ তথা ‘দরিদ্রদের জননী’ উল্লেখ করা হয়েছে।[33] রাসূলের স্ত্রী হিসাবে বরিত হওয়ার পরও রাসূলের সেবা ও অন্তঃপুরের ব্যস্ততা গরীব-দুঃখীদের সেবা-যত্ন থেকে তাঁকে দূরে সরাতে পারেনি। এ গুণ আমৃত্যু তাঁর মাঝে বিদ্যমান ছিল।[34]
রাসূলের আনুগত্য ও অল্পে তুষ্টি :
ইসলাম গ্রহণের পর থেকে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিল অকৃত্রিম ও অতুলনীয়। রাসূলের স্ত্রী হওয়ার মর্যাদা তিনি লাভ করেছিলেন, এজন্য তার মনে কোন অহংকার ছিল না। তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে যা পেতেন তার প্রতিই সন্তুষ্ট থাকতেন। অল্পে তুষ্টির এ উত্তম গুণ তাঁর মধ্য ছিল সদা অমলিন। কোন উচ্চাভিলাষ ও কোন আত্মঅহংকার তাঁর ঐ উত্তম বিশেষণ থেকে তাঁকে বিচ্যুত করতে পারেনি। বরং সরল-সহজ, অনাড়ম্বর ও নির্ঝঞ্ঝাট জীবন-যাপনে তিনি অভ্যস্ত ছিলেন।[35]
ইন্তিকাল ও দাফন :
যয়নাব (রাঃ)-এর মৃত্যু সন নিয়েও কিছুটা মতবিরোধ রয়েছে। ইবনুল কালবী বলেন, وماتت فى ربيع الآخر سنة أربع ‘তিনি ৪র্থ হিজরীর রবীউল আখির মাসে ইন্তিকাল করেন’।[36] ইবনু সা‘দ বলেন, وتوفيت فى آخر شهر ربيع الآخر على رأس تسعة وثلاثين شهرًا- ‘তিনি হিজরতের ৩৯ মাসের মাথায় রবীউল আখির মাসের শেষে মৃত্যুবরণ করেন’।[37] মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩০ বছর।[38] ড. আয়েশা আব্দুর রহমান বলেন, والراحج انها ماتت فى الثلاثين من عمرها- ‘অগ্রাধিকারযোগ্য কথা হচ্ছে যে, তিনি ৩০ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন’।[39]
উম্মুল মুমিনীনদের মধ্যে খাদীজা (রাঃ) প্রথম রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবদ্দশায় ইন্তিকাল করেন, যাকে মক্কার ‘জিহুন’ নামক স্থানে দাফন করা হয়। অতঃপর যয়নাব বিনতু খুযাইমা (রাঃ) রাসূলের জীবদ্দশায় মদীনায় ইন্তিকাল করেন।[40] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার জানাযা ছালাত পড়ান। তাঁকে ‘বাক্বীউল গারক্বাদে’ দাফন করা হয়।[41] যয়নাব (রাঃ)-এর তিন ভাই তাঁর কবরে নেমেছিলেন।[42] উম্মুল মুমিনীনের মধ্যে যয়নাব বিনতু খুযাইমাই (রাঃ) ছিলেন ভাগ্যবতী মহিলা, যাকে প্রথম ‘বাক্বীউল গারক্বাদে’ দাফন করা হয়।[43]
উপসংহার :
ইসলামপূর্ব জাহেলীযুগ থেকেই যয়নাব (রাঃ) দুস্থ মানবতার সেবায় ছিলেন নিবেদিতা প্রাণ। ইসলামে দাখিল হওয়ার পর নিবিষ্টমনে মহান আল্লাহর ইবাদত করার পাশাপাশি তিনি গরীব-দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। আর তাঁর এ সৎকাজের সুমহান পুরস্কার আল্লাহ তাকে পার্থিব জীবনে দান করেছেন। তাঁর অসহায়ত্বের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং তাকে স্ত্রী হিসাবে বরণ করেন। তিনি উম্মুল মুমিনীন হওয়ার বিরল সম্মানে ভূষিতা হন। যদিও রাসূলের সাথে তার দাম্পত্য জীবন ছিল অতি অল্প সময়ের; কিন্তু তাঁর সৌভাগ্য হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বয়ং তার জানাযা ছালাত পড়িয়েছেন। পরিশেষে বলব, যয়নাব (রাঃ) তাঁর সংগ্রামী জীবনে সদা দীন-দুঃখীদের পাশে ছিলেন। তাদের প্রয়োজন পূরণই ছিল তাঁর সতত সাধনা। এই অনুপম গুণই তাঁকে অমরত্ব দান করেছে। আল্লাহ আমাদেরকেও তাঁর মত গুণাবলী অর্জনের তাওফীক্ব দিন- আমীন!
[1]. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ জরদানী, ফাতহুল আল্লাম বিশারহি মুরশিদিল আনাম, ১ম খন্ড (কায়রো : দারুস সালাম, ৪র্থ প্রকাশ, ১৪১০ হিঃ/১৯৯০ খৃঃ), পৃঃ ২৩৭।
[2]. আবু আব্দুল্লাহ আল-হাকিম আন-নাইসাপুরী, আল-মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন, ৪র্থ খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১ম প্রকাশ, ১৯৯০খৃঃ/১৪১১ হিঃ), পৃঃ ৩৬।
[3]. ড. আয়েশা আব্দুর রহমান, তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত (বৈরুত : দারুর রাইয়্যান, তা.বি.), পৃঃ ৩১৪।
[4]. শামসুদ্দীন আয-যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড (বৈরুত : মুআসসাসাতুর রিসালাহ, ৩য় প্রকাশ, ১৪০৫ হিঃ/১৯৮৫ খৃঃ), পৃঃ ২১৮।
[5]. ফাতহুল আল্লাম, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৩৭।
[6]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২১৮; তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৫।
[7]. সাঈদ আইয়ূব, যাওজাতুন নবী (ছাঃ) (বৈরুত : দারুল হাদী, ১ম প্রকাশ, ১৯৯৭/১৪১৭-১৮ হিঃ), পৃঃ ৬০; মুহাম্মাদ ইবনু সা‘দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১ম প্রকাশ, ১৯৯০খৃঃ/১৪১০ হিঃ), পৃঃ ৯১।
[8]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২১৮; আল-মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৩৬।
[9]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৫।
[10]. ছালাহুদ্দীন মকবূল আহমাদ, আল-মারআতু বায়না হিদায়াতিল ইসলাম ওয়া গাওয়াতিল ই‘লাম (কুয়োত : দারু ইলাফ আদ-দাওলিয়া, ১ম প্রকাশ, ১৯৯৭খৃঃ/১৪১৮হিঃ), পৃঃ ২৬৫।
[11]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৫।
[12]. ৪০ দেরহামে এক উকিয়া। দ্রঃ মিশকাত হা/৩২০৩; এক দেরহাম সমান তিন মাসা 1 রতি। দ্রঃ নূর মুহাম্মাদ আজমী, বঙ্গানুবাদ মিশকাত ৬/১৯৭ পৃঃ।
[13]. এক নশ হচ্ছে অর্ধ উকিয়া বা ২০ দেরহাম। দ্রঃ মিশকাত হা/৩২০৩।
[14]. আত-তাবাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯১; যাওজাতুন নবী (ছাঃ), পৃঃ ৬০-৬১; ১২ উকিয়া ১ নশ-এর পরিমাণ হচ্ছে ৫০০ দেরহাম। দ্রঃ মিশকাত হা/৩২০৩।
[15]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৬।
[16]. মাহমূদ শাকের, আত-তারীখুল ইসলামী, ১ম-২য় খন্ড (বৈরুত : আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৪১১ হিঃ/১৯৯১ খৃঃ), পৃঃ ৩৫৮।
[17]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৮।
[18]. আল-মারআতু বায়না হিদায়াতিল ইসলাম ওয়া গাওয়াতিল ই‘লাম, পৃঃ ২৬৫।
[19]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৬।
[20]. আত-তারীখুল ইসলামী, ১ম-২য় খন্ড, পৃঃ ৩৫৮।
[21]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৭।
[22]. আল-মারআতু বায়না হিদায়াতিল ইসলাম ওয়া গাওয়াতিল ই‘লাম, পৃঃ ২৬৫।
[23]. তদেব।
[24]. আত-তারীখুল ইসলামী, ১ম-২য় খন্ড, পৃঃ ৩৫৮।
[25]. মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৩৬।
[26]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২১৮।
[27]. ফাতহুল আল্লাম, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৩৭; আবু ওমর আব্দুল বার্রও একই মত পোষণ করেন। দ্রঃ আল-ইস্তি‘আব, ৪/৪৫৪।
[28]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৬; আত-তাবাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯১।
[29]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৬।
[30]. আল-মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাইন, ৪র্থ খন্ড, পৃঃ ৩৬।
[31]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ২য় খন্ড, পৃঃ ২১৮।
[32]. তদেব; ফাতহুল আল্লাম, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৩৭।
[33]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৭।
[34]. ঐ, পৃঃ ৩১৮।
[35]. তদেব।
[36]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৬।
[37]. আত-তাবাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯১-৯২, যাওজাতুন নবী (ছাঃ), পৃঃ ৬১।
[38]. ফাতহুল আল্লাম, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৩৭; আত-তাবাক্বতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯২।
[39]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৮।
[40]. তদেব, পৃঃ ৩১৮।
[41]. আত-তাবাকাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯২; যাওজাতুন নবী (ছাঃ), পৃঃ ৬১; ফাতহুল আল্লাম, ১ম খন্ড, পৃঃ ২৩৭।
[42]. আত-তাবাকাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৯২।
[43]. তারাজিমু সায়্যিদাতি বায়তিন নবুওয়াত, পৃঃ ৩১৮।