১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। সুপ্রীমকোর্টের চূড়ান্ত রায় মোতাবেক গত ১০ই মে বুধবার দিবাগত রাত ১২-টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় এবং পরদিন সকাল পৌনে আটটায় স্বীয় জন্মস্থান পাবনার সাঁথিয়ার মন্মথপুরে তাঁকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ১৯৪৩ সালের ৩১ শে মার্চ পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার মন্মথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি ১ম বিভাগে দাখিল, ১৯৫৯ সালে ১ম বিভাগে (১৬তম স্থান) আলিম, ১৯৬৩ সালে ১ম বিভাগে কামিল (ফিকহ- ২য় স্থান) এবং ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করেন। মাদ্রাসার ছাত্র থাকাকালীন ১৯৬১ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্র সংঘে’র সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৬ সাল থেকে তিন বছর তিনি পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ৩০ শে সেপ্টেম্বর তিনি ‘জামায়াতে ইসলামী’তে যোগদান করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৩ সালে দলের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল হন। অতঃপর ১৯৮৮ সালে তিনি সেক্রেটারী জেনারেলের দায়িত্ব পান। তারপর ২০০০ সালে অধ্যাপক গোলাম আযম আমীরের দায়িত্ব থেকে অবসরে গেলে তিনি পরবর্তী আমীর নির্বাচিত হন।

[আমরা মাইয়েতের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি ও সকলকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দিচ্ছি। সেই সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের প্রতি সঠিক ইসলামী পথে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগের আহবান জানাচ্ছি (স.স.)]






বিষয়সমূহ: শিষ্টাচার
আরও
আরও
.