শিক্ষা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মানুষের বিবেককে জাগ্রত ও প্রশস্ত করে দেয়। সমাজ থেকে দূর করে দেয় যাবতীয় কুসংস্কার। একটি সুখী-সমৃদ্ধ এবং সম্ভবনাময় জাতি গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এককথায় যেকোন জাতির উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে শিক্ষা। তাই সঠিক, মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা সবসময় একটি আদর্শ জাতি গঠনের প্রধান হাতিয়ার হিসাবে গণ্য হয়ে আসছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হ’লেও সত্য, আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। নানান ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মূল্যায়ন হচ্ছে না। বেশ কিছু কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন অবস্থা বিরাজ করছে।
বিগত ২০ বছরের চিত্র তুলে ধরলে দেখা যায়, আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০০১ সালের মাধ্যমিকে নতুনভাবে সংযোজিত হয় লেটার গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল মূল্যায়ন। সেবারে চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে চালু করা হয় বর্তমানে বহুল প্রচারিত লেটার গ্রেডিং পদ্ধতি। অধিকাংশ শিক্ষকেরই সেবার লেটার গ্রেডিং পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা ছিল না। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছিল। সারাদেশে সর্বমোট ৭২ জন জিপিএ ৫ পায়। চরম ফলাফল বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে সেবার মাধ্যমিকে অংশগ্রহণ- কারীরা হতাশার ভয়াবহ শিকারে পরিণত হয়। ঠিক দুই বছর পর থেকে আবার চতুর্থ বিষয়সহ ফলাফল হিসাব করা শুরু হয়। লেটার গ্রেডিং পদ্ধতি সংযোজন ছাড়াও ২০০১ সালের মাধ্যমিকের ইংরেজির সিলেবাসে সর্বপ্রথম ‘কমিউনিকেটিভ ইংলিশ’ চালু করে নতুন আঙ্গিকে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছিল। ২০০১ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণদের দুই বছর পরে অর্থাৎ ২০০৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিকে এসেও আবার একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হ’তে হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকেও নতুন লেটার গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই সাথে চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে ফলাফল হিসাব এবং নতুন কমিউনিকেটিভ ইংলিশ সিলেবাসভুক্ত করে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। ফলাফল হয়েছিল সেই মাধ্যমিকের মতই। সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বমোট ৮০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ঠিক পরের দুই বছর থেকে আবারো চতুর্থ বিষয় তাদের ফলাফলে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিপত্তি বাঁধে এর পরের স্তরগুলোতে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা এবং চাকরিতে প্রবেশের সময়। দেশের প্রচলিত নিয়মে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে প্রার্থীর মাধ্যমিকের এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রাপ্ত ফলাফলের একটা অংশ যোগ হয়। সেখানে বিগত বছরের প্রার্থীর সাথে সেবারে প্রার্থীদের সমমূল্যায়নের যে পদ্ধতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করেছিল তাতে একপক্ষ খুশি হ’লেও আরেক পক্ষের ভিতর ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। পরিস্থিত আরও ঘোলাটে হয়েছিল চাকরির পরীক্ষাগুলোতে আবেদনের সময়। কেননা ২০০৫ সাল বা তৎপরবর্তী বছরগুলোতে পাবলিক পরীক্ষায় মোটামুটি কয়েক হাযার করে জিপিএ ৫ বৃদ্ধি পেতে লাগল। এত জিপিএ ৫ বৃদ্ধি পেতে থাকল যে ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত যারা উচ্চ মাধ্যমিকে অংশ গ্রহণ করেছিল, তাদের প্রাপ্ত জিপিএ-এর সাথে সেগুলো আকাশ-পাতাল পার্থক্য সৃষ্টি করে। ফলে কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই ২০০৩-২০০৫ সালের প্রার্থীদের কথা ভুলে গিয়ে পরবর্তী ব্যাচের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চাকরিতে আবেদনের যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে। এর ফলে অনেক চাকরি প্রত্যাশী বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন পর্যন্ত করতে পারেনি। ২০০১ ও ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত উক্ত দুইটি পাবলিক পরীক্ষাতে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়গুলো এখানে সংক্ষেপে আলোকপাত করলাম।
আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে এধরনের পরিবর্তন কয়েক বছর পর পরই লক্ষ্য করা যায়। নীতিনির্ধারকরা একটি বিষয় চালু করে কিছুদিন শিক্ষার্থীদের উপর পরীক্ষামূলকভাবে সেটি চালু রেখে আবার বন্ধ করে দেয়। যেমন দেখা গেছে, ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চালু করা হয় সমাপনী পরীক্ষা পিইসি। প্রাথমিকের কোমলমতি শিশুদের জন্য এত অল্প বয়সে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটা চালু করার আগেই কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিৎ ছিল। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১০ সালে অষ্টম শ্রেণীতেও চালু করা হয় জেএসসি নামক পাবলিক পরীক্ষা। সম্প্রতি ২০২১ সালের প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে বলা হয়, এসএসসির আগে কোন পাবলিক পরীক্ষা থাকছে না। পিইসি ও জেএসসি নামক দুইটি পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই বাতিল করতে হচ্ছে। এসব কিছুর মানে এটাই গিয়ে দাঁড়ায় যে, পাবলিক পরীক্ষা দুইটি চালুর আগে যথেষ্ট গবেষণা করা হয়নি। শিক্ষাবিদ, শিক্ষা গবেষক ও অভিজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়নি। আর যদি অভিজ্ঞদের মতামত নেওয়া হ’ত, তাহ’লে এত দ্রুত সেগুলো কেন আবার বাতিল করতে হ’ল সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। এই পিইসি বা জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে বা চাকরির বাযারে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেবে তখনও তাদের মেধার অবমূল্যায়ন করা হবে। তাদের পিইসি বা জেএসসি’র মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণের হয়ত কোন মূল্যায়নই দেওয়া হবে না। অথচ শিশুকালে তারা উক্ত পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিয়েছিল চরম মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে।
আবার দেখা গেছে, ২০০৮ সালে মাধ্যমিক স্তরে এবং পরবর্তীতে উচ্চ মাধ্যমিকে চালু হয় সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি। শিক্ষকমন্ডলীদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ ছাড়াই এই সৃজনশীল পদ্ধতি চালু কতটা যুক্তিযুক্ত তার যথার্থ ফলাফল পাওয়া গেছে এক সমীক্ষায়। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ৮ হাযার ২১৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চালানো সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪২ শতাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারেন না। সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি চালুর ১০ বছর পরেও যদি শিক্ষকগণের অবস্থা এমন হয়, তাহ’লে ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলাই বাহুল্য। এজন্য সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর পূর্বে শিক্ষকদের এ বিষয়ে দক্ষ করেই তবে পাবলিক পরীক্ষার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ ছিল।
শিক্ষক শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। শিক্ষাকে যেমন একটি জাতির মেরুদন্ডের সাথে তুলনা করা হয়, ঠিক তেমন শিক্ষককে সেই মেরুদন্ডের ভিত মযবূত করার প্রধান কারিগর বলা যায়। তাই একটি জাতিকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশের মেধাবীদের অনেকেই এই পেশায় আসতে চায় না। তার পিছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ আছে। যেমন সমাজে তাদেরকে মূল্যায়ন করা হয় না। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য যেসকল সুবিধাদি বহাল আছে সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। আমাদের দেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ অপর্যাপ্ত। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদানগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ অন্যতম। কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে সামগ্রিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মাত্র ০.৯২% এবং উচ্চ শিক্ষা উপখাতে বরাদ্দ মাত্র ০.১২%, যা সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকাংশে কম। ফলে আমাদের দেশের শিক্ষকরা তাদের নায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়। সেই সাথে অধিকাংশ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়েছে নানান দুর্নীতি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের কথা প্রায়শই শোনা যায়। এসকল কারণে শিক্ষা তার প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ হচ্ছে। সেই সাথে বৈশ্বিক র্যাংকিং এ আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। এসব অনিয়মের লাগাম টেনে ধরে উপযুক্ত ব্যক্তিকে যোগ্য আসনে স্থান দিয়ে জাতির করুণ অবস্থা দূরীকরণে এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আমাদের দেশের জন্য অন্ধকার ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করে শিক্ষায় বৈষম্য দূর করতে না পারলে শিক্ষা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়ন বেশ কষ্টসাধ্য।
বছর বছর শুধু পাশের হার বাড়িয়ে, জিপিএ’র সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষাকে অনেক বেশী অপমানিত করা হচ্ছে। কেননা বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক স্তর পেরুনো শিশুদের প্রায় অর্ধেকেরই বেশী সংখ্যক ইংরেজিতে শুদ্ধ করে একটি সরল বাক্য লিখতে পারে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষা- গুলোতে সর্বোচ্চ জিপিএ-প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে পাশ করার মতো ন্যূনতম নম্বর পাচ্ছে না। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রায়শই বলে থাকেন, গত ১০-১৫ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মান নিম্নগামী। এসকল ফলাফল এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, পাশের হারও ভালো ফলাফলের হার বাড়িয়ে প্রকৃত পক্ষে শিক্ষাকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার উপর বিগত দেড় বছরের করোনাকালীন সময়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা একবারে ভেঙে পড়েছে। শিক্ষা খাতের পুনর্গঠনে দ্রুততম কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা বাতিল করে শিক্ষার নামে বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধির চর্চা করার সুযোগ দিতে হবে। করোনাকালে শিক্ষা খাতের ভয়াবহ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র ‘অটোপাশ’ দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দিয়ে বসে না থেকে পরবর্তী স্তরগুলোতে তাদের বিকল্প উপায়ে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। সর্বোপরি একটি মানসম্মত, গুণগত, যুগোপযোগী ও কল্যাণকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়ে করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের সার্বিক সুবিধাদি বিবেচনায় আনতে হবে। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, সামাজিক সুবিধা ও মর্যাদা যাতে বৃদ্ধি পায় সেদিকে কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। শিক্ষকরা যাতে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে উৎফুল্লের সাথে শিক্ষকতার পেশাকে বেছে নেয়, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই শিক্ষা পদ্ধতিতে উন্নতি সম্ভব হবে।
দিন দিন নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে তড়িৎ গতিতে। সবকিছুর সাথে তাল মেলাতে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে শিক্ষাক্রমে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনাটা আবশ্যক। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, সকল পরিবর্তন যেন অর্থবহ হয়। পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে চলার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না পড়ে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। একটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত গবেষণা। প্রয়োজন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষকদের মতামত নেওয়া। হুটহাট করে পরিতবর্তন কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। কারণ একটি সিদ্ধান্তের সাথে জড়িত লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত। আগে-পরে কোন কিছু না ভেবে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর উপর একটি বিষয় চাপিয়ে দিয়ে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে অবহেলা করার অধিকার কারো নেই।
অজয় কান্তি মন্ডল
গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।