ভাইরাস আতঙ্কে চীনসহ সমগ্র বিশ্বতটস্থ। মৃত্যুর সংখ্যা ইতিমধ্যে ১ হাযার ছাড়িয়েছে। সারা পৃথিবীতে রেড অ্যালার্ট জারী করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ভাইরাস মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার করোনা ভাইরাস কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ আমরা দেখছি। চলমান ভাইরাস আতঙ্কে মৃত্যুর মিছিল কত বড় দীর্ঘ হয় সেজন্য আমাদের অপেক্ষা ছাড়া তেমন কিছু করণীয় নেই বললেই চলে। পৃথিবীতে বিভিন্ন রকম ভাইরাস আক্রমণের একটি চিত্র উপস্থাপন করা হ’ল।-

১. এবোলা ভাইরাস :

এবোলা ভাইরাস মূলত ফিলোভিরিডি পরিবারের সদস্য এবং এটি খুব মারাত্মক। এবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত হ’লে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যু অবধারিত। এ অসুখের ওষুধ বা টিকা এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। সরাসরি শারীরিক সংযোগে এর সংক্রমণ ঘটে থাকে। অসুস্থ বা মৃত জন্তুর সংস্পর্শে এলেও সংক্রমণ হ’তে পারে। মাইক্রোস্কোপে এই ভাইরাসকে লম্বা ও পাতলা সুতার মতো মনে হয়। এগুলোর অনেক প্রজাতি রয়েছে। বিশেষ কয়েকটি মানুষকে অসুস্থ করতে পারে। আর এ রকম হ’লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়। প্রথম ১৯৭৬ সালে কঙ্গোর ইবোলা নদীর কাছে এটির প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ধারণা করা হয় এটিও প্রথম বাদুড় থেকেই এসেছে। আবার মানুষ থেকে মানুষেও এটি ছড়াতে পারে। ভয়াবহ এই রোগে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের মতো। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে মধ্য আফ্রিকায় বড় প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১১ হাযার মানুষ মারা গেছে। গিনি ও লাইবেরিয়া এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। ২০১২ সালে উগান্ডা ও কঙ্গো এবোলার শিকার হয়েছিল। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কঙ্গো, সুদান, গাবন ও আইভরিকোস্টে এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশী।

২. বার্ডফ্লু ভাইরাস :

এটি ভাইরাস ঘটিত সংক্রামক রোগ। ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে প্রথম মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ২০০৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি হাঁস-মুরগীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে লক্ষ্য করা যায় যে, অসুস্থ মুরগীর সংস্পর্শে আসা মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আশপাশে এই রোগের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায়। জীববিজ্ঞানীদের মতে, এটি  মিক্সো ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত অর্থোমিক্স উপ-পরিবারের সদস্য। প্রাথমিক বিভাজনে এদেরকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বলা হয়।

সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হ’ল, এই ভাইরাসটি প্রতি মুহূর্তেই নিজেকে বদলে নিতে পারে। ফলে কোন সুনির্দিষ্ট টিকা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকরী হয়ে উঠে না। বিজ্ঞানীদের মতে, মহামারী সৃষ্টি করার জন্য একটি ভাইরাসের তিনটি গুণ থাকা অতি যরূরী। প্রথমটি হ’ল কার্যকরভাবে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানো। দ্বিতীয়টি হ’ল মানবদেহে টিকে থাকার ক্ষমতা এবং তৃতীয়টি হ’ল মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হবার যোগ্যতা অর্জন।

৩. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস :

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিনণ সময়ে এটা লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেওয়া হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। এটি দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক নামেও পরিচিত। গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২৪০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। এরপর বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটিত নানা মহামারী ঘটার প্রমাণ রয়েছে। মাত্র এক বছরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক কেড়ে নেয় কোটির বেশী মানুষের প্রাণ! সে সময় দেশে দেশে সরকার সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানের জন্য আইন পাস করে, দীর্ঘদিনের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।

শীতকালে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এটি সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে আলাদা। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়। শরীরে জীবাণু ঢোকার এক থেকে চার দিনের মধ্যেই এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। অন্য ভাইরাসগুলোর তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা তুলনামূলক কম সময়ের মধ্যে অসংখ্য লোককে আঘাত করতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, খুসখুসে কাশি, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি, দুর্বলতা ইত্যাদি। সাধারণ সর্দি-কাশির চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলো গুরুতর। বয়স্ক ও শিশুদের  সংক্রমণের হার বেশী। এটি থেকে সাইনোসাইটিস, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদিও হ’তে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। হাঁচি-কাশির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন এবং জ্বর ও শরীর ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল দেওয়া হয়ে থাকে। সেকেন্ডারী ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি হ’লে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন পড়ে। সঙ্গে প্রচুর পানি বা তরল খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু রোগের একটি টিকার কার্যপ্রণালী আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবী, এই যুগান্তকারী সাফল্যের ফলে টিকাটি ব্যবহার করে যেকোন ধরনের ফ্লু বা নতুন কোন ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

৪. মাচুপো ভাইরাস :

বলিভিয়ার হেমোরহেজিক জ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত মাচুপো ভাইরাস। এটি ব্লাক টাইপুস হিসাবেও পরিচিত। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হ’লে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর হয়, সঙ্গে শুরু হয় মারাত্মক রক্তপাত। জুনিন ভাইরাসের মতো এটির বৃদ্ধি ঘটে। মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

৫. নিপাহ ভাইরাস :

নিপাহ রোগ বলতে মূলত নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট লক্ষণসমূহকে বুঝায়। লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, প্রলাপ বকা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এ রোগে মৃত্যু হার অনেক বেশী। নিপাহ ভাইরাস একটি Emerging Zoonotic ভাইরাস, যা পশু-পাখি থেকে মানুষে ছড়ায়। ভাইরাসটি মস্তিষ্ক বা শ্বসনতন্ত্রে প্রদাহ তৈরির মাধ্যমে মারাত্মক অসুস্থতার সৃষ্টি করে। এটি Henipavirus জেনাসের অন্তর্গত একটি ভাইরাস। নিপাহ ভাইরাসে এনসেফালাইটিস নামক মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ হয়।

১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় সর্বপ্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। ভাইরাসটি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে শূকরের খামারে কাজ করা চাষীদের মাধ্যমে প্রথম ছড়িয়েছিল। আক্রান্ত শূকরের স্পর্শ, তাদের লালা ও সংক্রমিত গোশতের মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটে। পরে রোগটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০১ সালে মেহেরপুর যেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায় মূলত বাদুড়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ সময়টাতে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। আর বাদুড় গাছে বাঁধা হাঁড়ি থেকে রস খাওয়ার চেষ্টা করে এবং রসের হাড়িতে প্রস্রাব করে বলে ঐ রসের সঙ্গে তাদের লালা ও মুত্র মিশে যায়। সেই বাদুড় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে এবং সেই কাঁচা রস খেলে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এ ভাইরাস। আক্রান্ত মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াতে পারে এ রোগ। সরাসরি নিপাহ ভাইরাস নিরাময়ে কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।

৬. এইচআইভি :

হিউম্যান ইমিউনো ডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) দ্বারা সংক্রমিত এইডস রোগের সূচনা ঘটে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রাইমেটদের মধ্যে। অবশ্য এই ভাইরাসের সহ-দলীয় অন্যান্য ভাইরাস বিভিন্ন সময় মানুষকে আক্রমণ করেছে। এটা থেকেই ১৯২০ সালে কঙ্গোর কিনশাসায় বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নেয়। এইচআইভি দুই ধরনের হয়ে থাকে। এইচআইভি-১ ও এইচআইভি-২। এর মধ্যে এইচআইভি-১ তুলনামূলক অধিক তীব্র এবং সহজেই সংক্রামিত হয়। এই ভাইরাসটিই বৈশ্বিকভাবে অধিকাংশ এইচআইভি সংক্রামণর কারণ। পৃথিবীব্যাপী ছড়ানো এইচআইভি-১ এর সাথে সম্পর্ক পাওয়া গেছে শিম্পাঞ্জির এক প্রজাতির মধ্যে। এই প্রজাতির শিম্পাঞ্জির বসতি মধ্য আফ্রিকার দেশগুলো ক্যামেরুন, বিষুবীয় গিনি, গ্যাবন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র এবং মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের দেশগুলোতে। এইচআইভি-২ অপেক্ষাকৃত কম সংক্রামক এবং পশ্চিম আফ্রিকায় বিস্তৃত। এই ভাইরাসটি আবার দক্ষিণ সেনেগাল, গিনি-বিসাউ, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া এবং আইভরি কোস্টের পশ্চিমে বসতি স্থাপন করা পুরনো বিশ্বের বানরের মাঝে প্রাপ্ত এক ভাইরাসের (Cercocebus atys atys) সাথে গভীর সম্পর্কযুক্ত।

৭. ডেঙগু ভাইরাস :

ডেঙগু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙগু ভাইরাসের মাধ্যমে এবং এই ভাইরাসবাহিত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙগু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙগু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙগু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙগু ছড়িয়ে থাকে।

৮. চিকুনগুনিয়া :

চিকনগুনিয়া ভাইরাস হচ্ছে টোগা ভাইরাস গোত্রের ভাইরাস। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলা হয়ে থাকে। ডেঙগু ও জিকা ভাইরাস একই মশার মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। প্রথম জ্বর দিয়ে শুরু হয়। ধীরে ধীরে জ্বরের তীব্রতা বাড়ে। অধিকাংশ সময় তিন থেকে চারদিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়। তবে হাড়ের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা নাছোড়বান্দায় রূপ নেয়। ব্যথার তীব্রতাও থাকে প্রচন্ড। ফলে রোগীর স্বাভাবিক হাঁটাচলা, হাত দিয়ে কিছু ধরা এমনকি হাত মুঠ করতেও বেশ কষ্ট হয়। আর শরীর প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক সময় হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়।

টানা ৩ থেকে ৪ দিন জ্বর থাকলে এবং শরীরে প্রচন্ড ব্যথা হ’লে চিকনগুনিয়া হিসাবে বিবেচিত হবে। এই রোগে বিশেষ কোন ওষুধ বা টিকা নেই। প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা পর কিংবা তিনবেলা প্যারাসিটামল খেতে হবে। তবে কোন ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোন উপকার নেই। বরং অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি ডাবের পানি, স্যালাইন, লেবুর সরবত ইত্যাদি পান করতে হবে। তবে একবার চিকুনগুনিয়া হ’লে দ্বিতীয়বার সেই রোগীর এই রোগ আর হয় না। অনেক চিকুনগুনিয়া রোগী এমনও পাওয়া যায় যাদের জ্বর তিন চার দিন সেরে গেলেও ব্যথা থেকে মুক্তি মেলে না আজীবনেও।

প্রাথমিকভাবে চিকনগুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত এডিস ইজিপ্টাই অথবা এডিস অ্যালবুপিক্টাস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ ধরনের মশা সাধারণত দিনের বেলা (ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যার সময়) কামড়ায়। এছাড়া চিকুনগুনিয়া ভাইরাস আক্রান্ত রক্তদাতার রক্ত গ্রহণ করলে এবং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার সময়ে অসাবধানতায় এ রোগ ছড়াতে পারে।

মশার জন্মস্থান ধ্বংস করা, আবাসস্থল ও এর আশপাশে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে হবে। বাসার আশপাশে ফেলে রাখা মাটির পাত্র, কলসী, বালতি, ড্রাম, ডাবের খোলা ইত্যাদি যেসব জায়গায় পানি জমতে পারে, সেখানে এডিস মশা প্রজনন করতে পারে। এসব স্থানে যেন পানি জমতে না পারে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা এবং নিয়মিত বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার করা।

৯. লাসা ভাইরাস :

নাইজেরিয়ার একজন সেবিকা প্রথম লাসা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। তবে ভাইরাসটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ছড়ায়। পশ্চিম আফ্রিকায় এই ভাইরাস ছড়ানোর প্রবণতা বেশী। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সেখানকার ১৫ শতাংশ ইঁদুর লাসা ভাইরাস বহন করছে।

১০. মারবুর্গ ভাইরাস :

পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাইরাসের নাম মারবুর্গ ভাইরাস। জার্মানীর লান নদীর পাশের শহর মারবুর্গের নামে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছে। তবে ভাইরাসটির সাথে এই শহরের কোন সম্পর্ক নেই। হেমোরেজিক জ্বর সৃষ্টিকারী এই ভাইরাসের লক্ষণ অনেকটা এবোলার মতোই। ভয়ানক এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ৯০ শতাংশ।

১১. সার্স :

সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে। তবে এটিও বাদুড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দু’বার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আট হাযারের বেশী আক্রান্তের মধ্যে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হ’লে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

১২. মার্স :

এটি সার্সের একই গোত্রীয় একটি ভাইরাস। ২০১২ সালে প্রথম সঊদী আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫ শতাংশ মারা যায়। এই রোগের নাম দেওয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। করোনা ভাইরাস গোত্রীয় বলে ভাইরাসটির নাম মার্স করোনা ভাইরাস। সঊদী আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ওমান, আরব আমিরাত, মিসর ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ ক’টি দেশে। ধারণা করা হচ্ছে, মানবদেহে এই ভাইরাস এসেছে উট থেকে। কাতার, ওমান, সঊদী আরব ও মিসরে উটের রক্তেও মার্স ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া সঊদী আরবে বাদুড়ের রক্তেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়িয়েছে হাঁচি, কাশি, নিকট অবস্থান ইত্যাদি মাধ্যমে।

১৩. জিকা ভাইরাস :

জিকা ভাইরাস হচ্ছে ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবারের ফ্ল্যাভি ভাইরাসের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবারের অন্যান্য ভাইরাসের মতো এটি আবরণযুক্ত ও আইকসাহেড্রাল আকৃতির একসূত্রক আরএনএ ভাইরাস। এটি প্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা ফরেস্ট এলাকায় রেসাস ম্যাকাক বানরের দেহে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে উগান্ডা ও তানজানিয়াতে মানবদেহে প্রথমবারের মতো শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাস যে রোগ সৃষ্টি করে তার সঙ্গে ডেঙগু জ্বরের কিছুটা মিল রয়েছে। বিশ্রাম নেওয়া হ’ল প্রধান চিকিৎসা। এখনো এর কোন ওষুধ বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। যেসব নারীরা জিকা জ্বরে আক্রান্ত তাদের গর্ভের সন্তান মাইক্রোসেফালি বা ছোট আকৃতির মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এছাড়া বড়দের ক্ষেত্রে গিলেন বারে সিনড্রোম করতে পারে। ১৯৫০ সাল থেকে এই ভাইরাস আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।

মশার মাধ্যমে দ্রুত এ ভাইরাসটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে এমন কোন রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ঐ মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে। এরপর ঐ ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে। তবে যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে। জিকা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকায় ভ্রমণের বিষয়ে গর্ভবতী মায়েদের সতর্ক করা হয়।

১৪. গুটিবসন্ত :  

গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স ভ্যারিওলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয় এবং এটি অত্যন্ত মারাত্মক এক ব্যাধি ছিল। মানবদেহে প্রথমে এক ধরনের গুটি বের হয় যা পরবর্তী সময়ে তিল বা দাগ, কুড়ি, ফোস্কা, পুঁজবটিকা এবং খোসা বা আবরণ ইত্যাদি পর্যায়ের মাধ্যমে দেহে লক্ষণ প্রকাশ করে। গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৭৯৬ সালে। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাযার হাযার মানুষ মৃত্যুবরণ করে ভারতে। ১৯৭০ সালে লক্ষাধিক মানুষ রাতারাতি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী কয়েক বছরে ভারত সরকার এবং জাতিসংঘের সহায়তায় গঠিত একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালেই ভারতকে গুটিবসন্ত মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হয়।

১৫. পোলিও :

পোলিওমাইলিটিজ এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। সচরাচর এটি পোলিও নামেই সর্বাধিক পরিচিত। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি এ ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় ও তার অঙ্গ অবশ বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ১৯১৬ সালে পোলিও রোগ প্রথম মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর নিউইয়র্কে ৯ হাযার মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৬ হাযার মানুষই মৃত্যুবরণ করে! নিউইয়র্ক শহর থেকে ক্রমে পোলিওর প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর বিশ্বে কত শত মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার কোন সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। অবশেষে ১৯৫০ সালে জোনাস সাল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন।

১৬. ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস সাধারণত কাকজাতীয় পাখির শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এই ভাইরাসে সংক্রমিত মশা কামড়ালে মানুষ এতে আক্রান্ত হয়। ভাইরাসের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের রোগে মানুষের মৃত্যু হ’তে পারে। আক্রান্ত মানুষের ৮০ শতাংশের রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায় না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১৯৩৭ সালে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার ওয়েস্ট নাইল অঞ্চলে একজন নারীর শরীরে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। ১৯৫৩ সালে নীল বা নাইল নদ উপত্যকার পাখির (কাকজাতীয়) শরীরে এই ভাইরাস চিহ্নিত হয়। গত ৫০ বছরে বিশ্বের অনেক দেশে এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় গ্রীস, ইসরাঈল, রুমানিয়া, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে। প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে এমন এলাকাগুলো পরিযায়ী পাখির বড় কোন চলাচলের পথ নয়। আফ্রিকা, ইউরোপের কিছু অংশ, মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়।

এ ভাইরাসে সংক্রমিত মশা কামড়ালে মানুষ আক্রান্ত হয়। আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায় না। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে এই ভাইরাস আসে ইসরাঈল ও তিউনিসিয়া থেকে এবং দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে এর প্রকোপ চলতে থাকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও রোগ প্রতিরোধ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে মশাবাহিত রোগের মধ্যে প্রধান হচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রতিরোধে কোন টিকা নেই এবং আক্রান্ত মানুষের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের একজনের জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্ত ১৫০ জনের মধ্যে একজনের পরিস্থিতি তীব্র হয়, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।

এর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, পরিশ্রান্তভাব, শরীরে ব্যথা, বমিভাব, মাঝে-মধ্যে শরীরে র‌্যাশ দেখা দেয়। ওয়েস্ট নাইল জ্বর মারাত্মক হ’লে মাথাব্যথা, তীব্র জ্বর, ঘাড় শক্ত হওয়া এসব উপসর্গ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়, পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও আছে।

১৭. অ্যাডিনো ভাইরাস :

অ্যাডিনো ভাইরাস কলকাতায় ছড়ায়। মূলত শিশু ও প্রবীণরাই এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। রোগের উপসর্গ সর্দি, কাশি, চোখ জ্বালা করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, জ্বর ও ডায়েরিয়া, ফুসফুস এবং কানে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট ও বমি। চিকিৎসকদের মতে, অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গগুলির সঙ্গে সোয়াইন ফ্লুর উপসর্গের মিল রয়েছে। সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ থাকলেও, অ্যাডিনো ভাইরাসের কোনও ওষুধ বা টিকা নেই। এখন অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক সময় জটিল আকার ধারণ  করে। কখনও কখনও মৃত্যুও হচ্ছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ, না ধুয়ে চোখ, নাক ও মুখে হাত দেওয়া ঠিক নয়। খাওয়ার সময় ভাল করে হাত ধুতে হবে। কারও শরীরে রোগের লক্ষণ দেখলে, তাঁর কাছকাছি না যাওয়াই ভাল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শৌচাগার ব্যবহারের পর ভাল করে হাত ধুতে হবে।

১৮. করোনা ভাইরাস আতঙ্ক :

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ঘিরে ক্রমেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। করোনা ভাইরাসের থাবায় লাফিয়ে লাফিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে চীনে। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স ও আমেরিকায় পাওয়া গেছে। যে গতিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে চীনে, তা সামাল দিতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে চীনা সরকারকে। ফলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে করোনা ভাইরাসে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে মার্কিন গবেষণা সংস্থা। ভাইরাসটিকে পরীক্ষা করে মনে করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের উৎস হ’তে পারে বাদুড় ও সাপ। বেইজিংয়ের চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স এমনই মনে করছে। আক্রান্তদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ফুলে যাওয়া কিংবা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে সার্স আক্রান্তদের মতোই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অসুখের প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা সব হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে।

লক্ষণ :

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হ’লে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হ’তে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হ’তে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে। সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনো অজানা। যে প্রাণীর শরীরে বাসা বাঁধার পর ভাইরাস ছড়াচ্ছে তা নির্ণয় করা গেলে সমস্যার সমাধান অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। নতুন করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এর উৎস হচ্ছে উহান শহরে সামুদ্রিক খাবারের পাইকারী বাযার। ধারণা করা হচ্ছে, বেলুগা তিমির মতো সমুদ্রগামী কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী এই ভাইরাস বয়ে এনেছে। তবে বাযারে অহরহ বিচরণ করা মুরগি, বাদুড়, খরগোশ ও সাপের মতো প্রাণীগুলোও সন্দেহের বাইরে নয়। চীনের জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যধিক এবং পশুপাখির সহজ সাহচর্যের কারণে দেশটিতে করোনা ভাইরাস সহজেই ছড়াচ্ছে।

ভাইরাসটির এখনও কোন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এ কারণে বিস্তৃতি থামানোর আপাতত একমাত্র উপায় হচ্ছে, আক্রান্তদের আবদ্ধ জায়গায় রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরীক্ষা করা। ভবিষ্যতে হয়তো মানুষ সহ বিভিন্ন পশু-পাখি ভাইরাসের মুখোমুখি হবে। এমনও হ’তে পারে একটি ছোট ভাইরাস ধ্বংস করে দিতে পারে একটি জাতি, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, এমনকি সমগ্র পৃথিবীকে।







ককেশীয় গ্রেট গেমে তুর্কি সুলতান
হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ - জামালুদ্দীন বারী
শরণার্থীরা এখন সবার মনোযোগের বাইরে - মুহাম্মাদ তৌহিদ হোসাইন
রহস্যাবৃত নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমান - শেখ আব্দুছ ছামাদ
প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা - অজয় কান্তি মন্ডল
উপকূলীয় এলাকা কি বিলীন হয়ে যাবে? - অনিমেষ গাইন, শিবলী সাদিক, মফিজুর রহমান
হাইকোর্টের রায় এবং পার্বত্যচুক্তির ভবিষ্যৎ
অ্যান্টি সিক্রেট ওয়েবসাইট : উইকিলিকস - শরীফা বিনতে আব্দুল মতীন
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা - সুকান্ত পার্থিব
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে - \ সংকলিত \
সীমান্তে হত্যা : বন্ধ হবে কবে? - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
ইতিহাসের ভয়াবহ সব মহামারীগুলো - -আত-তাহরীক ডেস্ক
আরও
আরও
.