‘আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং সবকিছুকে আল্লাহ পরিবেষ্টন করে রয়েছেন’ (নিসা ৪/১২৬)।
সমুদ্রগর্ভের বিশাল পানিরাশি কিংবা ভূগর্ভের কঠিন পর্বত শিলার অভ্যন্তরে অমাবস্যার নিকষকৃষ্ণ অাঁধার রাতে যখন কোন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো পিপীলিকাও বিচরণ করে, সেটিও সর্বদ্রষ্টা সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহর অগোচরে নয়। আসমান ও যমীনে বিচরণকারী এমন কোন বস্তু, পদার্থ ও প্রাণী নেই যার প্রবেশ-প্রস্থান, স্থিতি ও গতি সম্পর্কে সদাসর্বক্ষণ মহান আল্লাহ পরিজ্ঞাত নন। রহস্য নামক কোন শব্দ তাঁর অভিধানে নেই। মহান আল্লাহর শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এভাবেই বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহর জ্ঞানের কাছে মানুষের জ্ঞান যে কিছুই নয় তার সুস্পষ্ট প্রমাণ বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়।
১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান বংশোদ্ভুত ‘রাইট ব্রাদার’ দ্বয়ের আকাশপথের সবচেয়ে আধুনিকতম যোগাযোগের বাহন উড়োজাহাজ আবিষ্কারের পর থেকে বহুবার যাত্রীসহ বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমান অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে অতিসম্প্রতি মালয়েশিয়ান যাত্রীবাহী বিমান এম.এইচ-৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববাসী বিস্ময়ে হতবাক ও বিমূঢ় হয়ে গেছে। এতগুলো যাত্রীসহ বিশাল আকারের একটি বিমান স্যাটেলাইটসহ সকল প্রকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চোখ ফাঁকি দিয়ে বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারে, এমন রহস্য যেন রূপকথাকেও হার মানায়।
উড়োজাহাজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। আকাশে ডানা মেলার পর থেকে এ যাবত যত বিমান নিখোঁজ হয়েছে ইতিহাসে তার কোনটির সন্ধান মিলেছে, আবার কোনটি যে কোথায় হারিয়ে গেছে তা আজো মানুষের কাছে অজানা রহস্য হিসাবেই রয়ে গেছে।
১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দের ২ জুলাই অ্যামেলিয়া আরহার্ট আস্ত একটি উড়োজাহাজ নিয়ে গায়েব হয়ে যান। অ্যামেলিয়া আরহার্ট প্রথম নারী যিনি বিশ্ব পরিভ্রমণের উদ্দেশ্যে আটলান্টিকের উপর দিয়ে একাই উড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আটলান্টিক পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রশান্ত মহাসাগরের উপর এসেই সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়। হল্যান্ড দ্বীপের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ই পথ হারিয়ে বিমানটি উড়ে যায় এক অজানা গন্তব্যে। ইতিহাস আজও যার সন্ধান দিতে পারেনি।
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের গ্রীষ্মকালের কোন একদিন লিজেন্ডারি ব্যান্ড তারকা ও গিটারিস্ট গ্লেন মিলার বিমান নিয়ে আকাশপথে ছুটে চলেন ইউএস আর্মি এয়ার ফোর্সের সদস্যদের আনন্দদানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সৈন্যবাহিনীর কাছে পৌঁছানোর আগেই তিনি খবরে পরিণত হয়ে যান। আকাশে বিমান সমেত হারিয়ে যান তিনি। আরএএফ টিনউড থেকে আকাশে উড্ডয়নের পর ইংলিশ চ্যানেলের উপর থাকা অবস্থায় সর্বশেষ যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন মিলার ও বিমানের নেভিগেটর। মিলার ও তার বিমানের সন্ধান আজো আমাদের নিকট অজানাই রয়ে গেছে।
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর দুপুরে বারমুডা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট-১৯ নামক আমেরিকার বিমানবাহিনীর পাঁচটি টর্পেডো নিক্ষেপকারী ‘টিবিএম অ্যাভেঞ্জার’ বিমান ফ্লোরিডা বিমানবন্দর হ’তে উড্ডয়ন করে। মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টিপাতের কারণে সেদিন দূরের জিনিস ভালভাবে দেখা যাচ্ছিল না। বিকাল ৪-টার দিকে দু’জন পাইলটের বেতার বার্তা থেকে প্রথম বোঝা যায় যে, ফ্লাইট-১৯ পথ হারিয়েছে। হারিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে বৈমানিকদের একজন বেতার বার্তায় একটি কথাই বারবার বলছিলেন যে, ‘সামনে প্রচন্ড কুয়াশা। আমরা কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় যে যাচ্ছি তাও বুঝতে পারছি না। আমাদের উদ্ধার কর’। শেষ পর্যন্ত পাঁচ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান কোন রকম আভাস ছাড়াই যেন গায়েব হয়ে গেল এক অজানা রহস্যাহত স্থানে।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের কোন একদিন শুভ্র তুষারে ঢাকা আন্দিজ পর্বতমালার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজ। ১১ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি সেই যে উড়ে গেল আর ফিরে এলো না। অবশ্য প্রায় ৫০ বছর পরে একদল সেনাবাহিনীর এক অভিযানে আন্দিজ পর্বতমালায় মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। যা প্রমাণ করে হয়তো নিখোঁজ বিমানেরই যাত্রী ছিলেন তারা।
১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারী বিএসএএ টাইপের একটি বিমান বারমুডা থেকে জ্যামাইকা যাওয়ার পথে হারিয়ে যায়। বাতাসে ভাসার পর থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় ত্রুটি ধরা পড়ে। তারপর হঠাৎ করেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিমানটি। দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগের চেষ্টা ও অনুসন্ধান করে একপর্যায়ে ২৫ জানুয়ারী ২০ জন যাত্রী ও পাইলট স্টার অ্যারিয়েলসহ বিমান ক্রুদের খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়া হয়। সে দুর্ঘটনার কারণ আজো অজ্ঞাত।
১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা। প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম থেকে ৯০ জন সামরিক কর্মকর্তাকে নিয়ে ফিলিপাইনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ফ্লাইং টাইগার লাইন ফ্লাইট-৭৩৯। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিমানটি আর ফিলিপাইনে পৌঁছায়নি। ১৩০০ জনের সামরিক তল্লাশি অভিযানে বিমানটির কোন নাম-নিশানাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিমানটির ভাগ্যে কী ঘটেছিল তা আজও রহস্যাবৃত।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে উরুগুয়ান এয়ার ফোর্স ফ্লাইট ৫৭১ চিলির সান্টিয়াগোর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে। আবহাওয়া যথেষ্ট খারাপ হওয়ার কারণে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পাইলট বারবার রেডিও বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আচমকা এক ঝাটকায় বিমানটি আছড়ে পড়ে আন্দিজ পর্বতমালার কাছাকাছি স্থানে। হারিয়ে যাওয়ার ৭২ দিন পরে উদ্ধারকারীরা বিমানটি খুঁজে পান।
২০০৯ সালে বিমান ক্রুসহ ২২৮ জন যাত্রী নিয়ে ব্রাজিলের রিও-ডি জেনেরিও থেকে ফ্রান্সের প্যারিসে যাচ্ছিল ৩৩০ নামক একটি এয়ারবাস। আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই বিমানটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বারবার রেডিও বার্তা প্রেরণ করা হচ্ছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিমান থেকে আর কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। এতেই অনুমান করা যায় যে, কী ঘটেছিল বিমানটির ভাগ্যে। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সময় লাগে পাঁচ দিন। অনুসন্ধানকারী দল বিমানটির শেষ রহস্য আজো উদঘাটন করতে সক্ষম হননি।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৮ মার্চ মালেশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর সিরিজের এম এইচ-৩৭০ বিমানটি ১২ জন ক্রুসহ ১৫টি দেশের মোট ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ১২-টা ৪১ মিনিটে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর হ’তে চীনের উদ্দেশ্যে বেইজিং যাওয়ার পথে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। যাত্রার দু’ঘন্টা পর ফ্লাইটটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬-টায় বিমানটি অবতরণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সেখানে না পৌঁছানোর ফলে ডানা মেলে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জন। কেউ বলছে, এটি সন্ত্রাসী ঘটনার ফল। কেউ বলছে, আবহাওয়া বা যান্ত্রিক গোলযোগ। কেউ বলছে, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আবার কেউ বলছে, এটি জঙ্গিবাদীরা পাকিস্তানে নিয়ে গেছে। এমনকি পশ্চিমা একজন কূটনীতিক বিমানটি ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করতেও কসুর করেননি। তবে সবচেয়ে ফলাও করে প্রচার করা হয় যাত্রীদের মধ্যকার তিনজন যাত্রীর পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনাটি।
তবে যে কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকুক না কেন হারিয়ে যাওয়া বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান জানার জন্য এবং তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য আধুনিক সর্বপ্রকার চেষ্টা চালনো হয়। কিন্তু ফলাফল শূন্য। বিশ্বের তাবৎ উন্নত পরাশক্তি দেশের সম্মিলিত শক্তি সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে নিখোঁজ বিমানটির। দেশ থেকে দেশান্তর, সাগর মহাসাগর, আকাশ-মাটি, পাতাল, পাহাড়-পর্বত সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছে বিমানটির সন্ধানে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না যে, বিমানটির ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে। জানা যাচ্ছে যে, বিশ্বের পরাশক্তি, উঠতি বৃহৎ শক্তি এবং প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ৩৫টি দেশের বিশেষ সামরিক ব্যবস্থা বিমানটির সন্ধানের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উপগ্রহ থেকে ধারণকৃত ছবির মাধ্যমে একটু শব্দ, কম্পন, চিহ্ন, নিদর্শন পাওয়া মাত্রই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সেই ছবির প্রতি। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন রহস্যের তলা খুঁজে পাচ্ছে না তারা।
প্রায় একমাস যাবৎ নিখোঁজ এমএইচ-৩৭০ বিমানের খোঁজে সর্বশেষ ‘ব্ল্যাক বক্স ডিটেক্টর’ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। গত ১লা এপ্রিল আমেরিকান এই বিশেষ যন্ত্র নিয়ে তল্লাশি শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশেষ জাহাজ ‘ওশান শিল্ড’। এয়ার চিফ মার্শাল অ্যাঙ্গাস হাউস্টন বলেছেন, অনেকগুলো সিগন্যালের সূত্র ধরে তারা ভারত মহাসাগরে একটি ছোট এলাকা শনাক্ত করেছেন। অনুসন্ধানকারী জাহাজ ওশান শিল্ড এপর্যন্ত দু’বার এমন সিগন্যাল শনাক্ত করেছে, যা নিখোঁজ বিমানের ব্ল্যাক বক্স থেকে নির্গত বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীগণ। যে সিগন্যালের একটির স্থায়িত্ব ছিল ৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ড এবং অন্যটির প্রায় ৭ মিনিট। উল্লেখ্য যে, কোন বিমানের ব্ল্যাক বক্স ৩০ দিন পর্যন্ত সিগন্যাল পাঠাতে পারে।
ওশান শিল্ডসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৩টি জাহাজ ভারত মহাসাগরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এতদসত্ত্বেও বহুল আলোচিত নিরুদ্দেশ বিমানটির কোন নাম গন্ধও আধুনিক মানববিশ্ব খুঁজে পাচ্ছে না। যদিও দাবী করা হয় যে, জল-স্থল-অন্তরীক্ষ বর্তমানে মানুষের নখদর্পণে। বলা হয়ে থাকে, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের ব্যাপক উন্নতির ফলে পায়ের তলার পৃথিবী এখন খুবই ছোট। গোটা বিশ্ব একটি ক্ষুদ্র পল্লীর সমান। কোন মহাদেশের কোন শহরের কোন সড়কের কত নম্বর বাড়ীতে আপনি ঘুমিয়ে আছেন তা বলে দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে আপনি যদি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বা গ্যাজেটের নিবন্ধিত গ্রাহক হয়ে থাকেন, তাহ’লে তো কোন ব্যাপারই নয়।
এত কিছুর পরেও প্রশ্ন জাগে, এত সক্ষম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ধারক পৃথিবীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সের বিমানটি কোথায় হারিয়ে গেল? গমন পথের আশপাশের শত শত বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটির রাডারগুলো কি করল? সমুদ্র ও আকাশের কাঁপন, শব্দ এবং প্রতিটি ব্যতিক্রম ধরতে পারে এমন হাই সেনসেটিভ যন্ত্রপাতিগুলো কি ঘুমিয়ে ছিল? যাত্রীদের মোবাইল ফোনগুলোর সেল চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই কেন এগুলোর লোকেশন ডিটেক্ট করা গেল না? বিমানের ব্ল্যাক বক্স খুঁজে পাওয়ার প্রযুক্তি এখানে এতটা নিষ্ক্রিয় থাকল কেন? পূর্ব ও পশ্চিমের কথিত বাঘা বাঘা জ্যোতিষী, গণক ও জিনের সাধক এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এটে আছেন কেন?
পরিশেষে বলা যায়, মানুষ যখন তার ক্ষমতার উপর খুব বেশী ভরসা করতে শুরু করে, যখন তারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নিজেদের উদ্যোগে আয়োজনের উপর বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন আল্লাহ কোন কোন ঘটনার মাধ্যমে তাকে সতর্ক করে দেন। তিনি চান মানুষ যেন প্রকৃতির উপর তার নিয়ন্ত্রণ আছে ভেবে ভুল না করে বসে। তিনি চান মানুষ যেন সম্বিত ফিরে পায়। তারা যেন ধরাকে সরা জ্ঞান না করে। আসমান ও যমীনের অদৃশ্য বিষয়সমূহ আল্লাহ ছাড়া আর কারো জানা নেই এবং কিছু সক্ষমতা সত্ত্বেও আল্লাহর ইচ্ছার সামনে মানুষ সম্পূর্ণ অসহায়। পবিত্র কুরআনের এ ঘোষণার নবতর উপস্থাপনাই এসব অস্বাভাবিক ঘটনার অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু মানুষ কি এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে না? মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত দান করুন- আমীন!
শেখ আব্দুছ ছামাদ
শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।