ভূমিকা :
১৫ই
মার্চ ২০১৯ ইং শুক্রবার। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। নিউজিল্যান্ডের
ক্রাইস্টটার্চের আন-নূর ও লিনউড নামক ২টি মসজিদে হামলার খবর দেশী-বিদেশী
মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশের মিডিয়াতে বেশী গুরুত্ব
দেওয়া হয়েছে ক্রিকেট খেলোয়াড়রা কিভাবে আল্লাহর দয়ায় বেঁচে গেছেন তার ওপর।
লোমহর্ষক হামলার মাধ্যমে বর্ণবাদীদের ইসলাম বিদ্বেষী মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
অভিবাসী ধূয়া তুলে এরা মুসলিম নিধনে যারপর নাই মেতে উঠেছে। অথচ বিশ্ব
মোড়লরা আজ নীরব। আলোচ্য নিবন্ধে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হ’ল।-
সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা :
মিডিয়ার সর্বশেষ ভাষ্য অনুযায়ী ৫জন বাংলাদেশীসহ মোট ৫০জন খুন হয়েছেন এই হামলায় এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে এটা খুবই স্পষ্ট যে, এই হামলা কোন মস্তিষ্ক বিকৃত ব্যক্তির তাৎক্ষণিক উনমাদনা নয়। এটি ঠান্ডা মাথার হামলা। ব্রেন্টন ট্যারান্ট ও তার সহযোগীরা এই হত্যাকান্ডের ছক এঁকেছিল বহু পূর্বেই। কারণ হত্যাকান্ডের আগে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট ইন্টারনেটে ৭৩ পৃষ্ঠার একটি ইশতেহার প্রকাশ করেছিল। কিন্তু দুর্বোধ্য কারণে সেই ইশতেহারটি ইন্টারনেটে আপলোড করার কিছুক্ষণ পরই মুছে ফেলা হয়। প্রতিবেদন থেকে বোঝা যায়, এই হামলা একজন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত হয়নি। এর পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। বলাবাহুল্য, এই সংঘবদ্ধ চক্রটি হচ্ছে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী খ্রিষ্টান চক্র। তাদের পেছনে জায়নবাদ তথা ইহুদীদের সক্রিয় মদদও থাকতে পারে।
ব্রেন্টন ট্যারান্ট ২০১৭ সালে ইউরোপ ভ্রমণের পর থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করছিল। সে বিশে^র বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছে এবং নিউজিল্যান্ডে বিক্ষিপ্ত সময় অতিবাহিত করেছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ থেকে শরণার্থী আসায় নিউজিল্যান্ডে মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই বিষয়টিতে সে খুব বেশী ক্ষুব্ধ ছিল।
কে এই সন্ত্রাসী?
হামলাকারীদের প্রধান হ’ল ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। সে অস্ট্রেলীয় নাগরিক। সে বেশ কিছুদিন ধরেই ঘাঁটি গেড়েছিল নিউজিল্যান্ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে চরমপন্থী মতাদর্শের কথা প্রচার করলেও তাকে কোন নযরদারীর তালিকায় রাখা হয়নি বলে নিউজিল্যান্ডের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন এ ব্যাপারে বেশ সরব হয়ে উঠেছে। ব্রেন্টন ট্যারান্ট খ্রিষ্টান এবং হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট তথা সাদা চামড়ার লোকদের কথিত শ্রেষ্ঠত্বে বিশ^াসী। তার একটি লাইসেন্স ও পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন। সেই সাথে এটাও জানিয়েছেন যে, হামলাকারী ভয়াবহ হত্যাকান্ডের তথ্য মাত্র নয় (৯) মিনিট আগে তাঁর দফতরে পাঠিয়েছিল।
সেই ৭৩ পৃষ্ঠার ইশতেহারে কি আছে?
হামলাকারী যে ইশতেহারটি ইন্টারনেটে আপলোড করেছিল সেই ইশতেহারের লাইনে লাইনে ছিল মুসলিম বিদ্বেষ, ঘৃণা আর শে^তাঙ্গ আধিপত্যের কথা। ১৬,৫০০ শব্দের এই ইশতেহারটি সে প্রকাশ করেছিল ‘দ্যা গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামে। ইশতেহারটিতে অনুপ্রবেশকারী এবং শরণার্থীদেরকেই পৃথিবী জুড়ে সমস্ত সংকটের মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইশতেহারটির ১ ও ২ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে ইউরোপীয় ভূখন্ডে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ফলে হাযার হাযার মানুষের ক্ষতি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ইউরোপীয় কাজ হারিয়েছে। এই হামলা সেই ক্ষতিরই প্রতিশোধ। ১১ নম্বর পয়েন্টে বলা হয়েছে, তুরস্ক বাদে ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর মাধ্যমে সম্মিলিত ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠন করে তুরস্ককে আরো একবার বিদেশী শত্রু পক্ষ হিসাবে তার সত্যিকারের অবস্থান ফিরিয়ে দেওয়াও এই হামলার উদ্দেশ্য।
সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট ডোনাল ট্রাম্প সমর্থক :
ইশতেহারে খ্রিস্টান সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে, সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করে। সে ট্রাম্পকে শে^তাঙ্গ পুনরুত্থানের প্রতীক উল্লেখ করে জানায় যে, তাদের উদ্দেশ্য অভিন্ন।
অভিবাসন কমানোর নামে মুসলিম নিধন :
ব্রেন্টনের জন্ম অস্ট্রেলিয়াতে আর সে হত্যাকান্ড চালাল নিউজিল্যান্ডে। কোথায় অস্ট্রেলিয়া আর কোথায় নিউজিল্যান্ড? ইউরোপের সাথে তার কানেকশন থাকার কথা নয়। অথচ ইশতেহারে বলা হয়েছে যে, সে ইউরোপে ম্যাসিভ ইমিগ্রেশনের প্রতিশোধ নিচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, ব্রেন্টন ট্যারান্ট এমন একটি জঙ্গীগোষ্ঠীর সক্রিয় কর্মী, যারা ছড়িয়ে আছে ইউরোপেও। এমনকি বিশে^র আনাচে-কানাচে। তারা অভিবাসন কমানোর নামে মুসলিম নিধন শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ দু’টিতে ছালাতরত নিরীহ মুছল্লীদের ওপর অতর্কিত ও নারকীয় হত্যাকান্ড যেটাকে ‘জেনোসাইড’ নামে অভিহিত করা যায়, সেটিই এর বহিঃপ্রকাশ। এই রকম সন্ত্রাসী হামলার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে অন্যান্য রাষ্ট্রেও, যেখানে মুসলমানরা পদানত হয়ে আছে। কাশ্মীর, ফিলিস্তীন, মিয়ানমার, আফগানিস্তান প্রভৃতি তারই অংশ।
সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ব্লাকসান’ নিয়ে হৈচৈ :
খ্রিস্টান সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট ‘ব্লাকসান’ নামক কুখ্যাত ঘাতক গোষ্ঠীর সদস্য। কেননা তার প্রকাশিত ইশতেহারে ‘ব্লাকসানে’র লোগো দেখা গেছে। সে কারণে ‘ব্লাকসান’ নিয়ে বিশ^জুড়ে আবারও হৈচৈ শুরু হয়েছে। এই ব্লাকসান ইউরোপের ঘৃণ্য নাৎসি বাহিনীর অঙ্গ সংগঠন ছিল। কে না জানে যে, হিটলার ৬০ হাযার ইহুদীকে হত্যা করে তার হাতকে রক্তরঞ্জিত করেছিল। আর ‘ব্লাকসান’ সেই ঘাতক দলের এক কুখ্যাত সহযোগী। এদেরকে যেরূপ কঠোরভাবে দমন করা উচিত ছিল। এখন পর্যন্ত শুধু নিউজিল্যান্ড নয় পশ্চিমারাও অত কঠোরভাবে দমন করেনি। খ্রিস্টান ও পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর জঙ্গিদের প্রতি তাদের যে সহজাত টান রয়েছে, এটিই তার আসল প্রমাণ। উল্লেখ্য যে, আইরিশ রিপাবলিকান আর্মি স্বাধীনতা যুদ্ধের নামে আয়ারল্যান্ডের সর্বত্র জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু আইরিশ সন্ত্রাসীদেরকে তারা কোনদিন খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী বলেনি।
বিশ্ব মিডিয়ার গুমোর ফাঁস :
একজন অস্ট্রেলিয়ান খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী যখন ৫০ জন নিরীহ মুছল্লীকে খুন করল তখন বিশ^ মিডিয়া তাকে শুধুই বন্দুকধারী পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু কেন? তার কি অন্য পরিচয় নেই? অথচ এখন যদি পাল্টা প্রতিশোধ নিতে কোন মুসলিম অস্ট্রেলিয়ায় হামলা চালায় তখন এই বিশ^ মিডিয়া তাকে মুসলিম জঙ্গি, মৌলবাদী সন্ত্রাসী, মুসলিম টেররিস্টসহ কত কিছু বানিয়ে ছাড়বে, তার ইয়ত্তা নেই।
প্রিয় পাঠক! ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী প্রোপাগান্ডার বিষবাষ্প যারা ছড়াচ্ছে, তারা কারা? তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি? তা আশা করি, কারোরই অবিদিত নেই।
১৭ মিনিট ধরে হামলার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার :
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের সেই ভয়াবহ হামলার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৭ মিনিট ধরে লাইভ স্ট্রিম (সরাসরি সম্প্রচার) করেছে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারী স্বয়ংক্রিয় বন্দুক নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে মসজিদের দিকে যাচ্ছে। মসজিদে প্রবেশ করেই মুছল্লীদের উপর নির্বিচারে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়তে শুরু করে। মসজিদের ভেতর ছুটোছুটিরত মুছল্লীদের দিকে টানা গুলি করতে থাকে। এরপর মসজিদের এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ঢুকে ঘুরে ঘুরে গুলি করতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে যারা মসজিদের ভেতরের মেঝেতে পড়েছিলেন। তাদের দিকে ফিরে ফিরে গুলি করছিল সে। তার মাথায় ভিডিও ক্যামেরা বসানো ছিল।
আদালতে হাসছিল সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট :
অতঃপর ১৬ই মার্চ ২০১৯ ইং শনিবার নিউজিল্যান্ডের আদালত সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট-এর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে কয়েদীদের সাদা রঙের শার্ট এবং হাতকড়া পরিয়ে যখন আদালতে হাযির করেছিল তখন সে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসছিল। এমনকি ভয়াবহ হামলার সময়ও সে পুরোপুরি স্বাভাবিকই ছিল। যদিও পরবর্তীতে বিচারক কথিত ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তার স্বার্থে তার মুখচ্ছবি গণমাধ্যমে ঝাপসা করে দেখাবার নির্দেশ দেয়।
বিচারের নামে প্রহসন :
বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের বলেন, ২৮ বছর বয়সী ব্রেন্টন ট্যারান্ট বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য উপযুক্ত, না-কি মানসিকভাবে অসুস্থ, বিশেষজ্ঞরা এখন তা পরীক্ষা করে দেখবেন। ক্রাইস্টচার্চে হামলায় গ্রেপ্তার এ শ্বেতাঙ্গ উগ্রবাদী গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার অকল্যান্ডের প্যারেমোরেমো কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের শুনানিতে অংশ নেয়। নিউজিল্যান্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেয়া অভিযুক্ত ব্যক্তি ক্যামেরায় বিচারক ও তার আইনজীবীদের দেখার সুযোগ পায়। কিন্তু ট্যারান্টের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম করা হয়েছে। ব্রেন্টনের ক্যামেরা বিচারকক্ষে উপস্থিত দর্শণার্থীদের দিকেই ঘোরানো ছিল। উল্লেখ্য, আদালত কক্ষে হতাহতদের আত্মীয়-স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।
শুনানির সময় ব্রেন্টন ট্যারান্টকে হাতকড়া পরানো ছিল। স্বল্পকালীন এ শুনানিতে ট্যারান্ট কোন মন্তব্য করেনি। পুরো শুনানির সময় তাকে নির্লিপ্ত ও বিরক্ত বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু মানসিক পরীক্ষার নির্দেশের সময় সে সতর্ক হয়ে ওঠে বলে জানায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের ব্রেন্টনকে পুলিশি হেফাযতে রাখার নির্দেশ দিয়ে ১৪ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করেন। শ্বেতাঙ্গ এই উগ্র ডানপন্থী হামলাকারীর বিরুদ্ধে ৫০ জনকে খুন এবং আরো ৩৯ জনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হ’লে ব্রেন্টনকে প্যারোলবিহীন যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করতে হবে।
নিউজিল্যান্ড ও কানাডার হামলা একই সূত্রে গাঁথা :
সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্টের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তার বন্দুকে লেখা আছে আলেসান্দ্রো বিসনেত্তা ও লুকা ত্রাইনীর নাম। ২০১৭ সালে কানাডাতে একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ছয় (৬) নিরপরাধ মুছল্লীকে হত্যা করেছিল আলেসান্দ্রো বিসনেত্তা। ২০১৮ সালে ইতালিতে আসা শরণার্থী আফ্রিকানদের ওপর গুলি চালিয়েছিল লুকা ত্রাইনী। এ থেকেই স্পষ্ট যে, কৃষ্ণাঙ্গ ও মুসলিম বিদ্বেষই ছিল এই শে^তাঙ্গ বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর মূল প্রেরণা।
উপসংহার :
ইসলাম বিদ্বেষী এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়া পশ্চিমা বর্ণবাদী ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রোপাগান্ডায় একশ্রেণীর বিভ্রান্ত উগ্রপন্থী পরমতের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর বিশে^র প্রধান বহুজাতিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রটিতে সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদী উগ্রতা ও অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলছে। আর এসব হামলার দায় ঢালাওভাবে মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী ও অভিবাসন বিরোধী কঠোর আইন করতে যাচ্ছে নেপথ্যের অনুঘটকরা। তাই এ ধরনের ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে ইসলাম বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদী প্রোপাগান্ডা বন্ধে বহুত্ববাদী ও শান্তিকামী বিশ^ সম্প্রদায়কে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে হবে।