১লা সেপ্টেম্বর রোববার। সময় রাত ৯-টা। ভারতের ত্রিপুরায় থাকা ভাইকে দেখতে মা সঞ্জিতা রাণী দাসের সঙ্গে রওয়ানা হয় ১৪ বছরের কিশোরী স্বর্ণা দাস। মৌলভীবাজার যেলার কুলাউড়া উপযেলার লালারচক সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। কাঁটাতারের বেড়ার নিকটবর্তী হ’তেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স’ (বিএসএফ) গুলি চালায় তাদের উপর। এতে কিশোরী স্বর্ণা দাস (১৪) মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়। নিহত স্বর্ণা মেŠলভীবাজার যেলার জুড়ী উপযেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

এর মাত্র সাত দিনের মাথায় ৮ই সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে দেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত যেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। যেলার বালিয়াডাঙ্গী উপযেলার ধনতলা সীমান্তএলাকার ৩৯৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকা দিয়ে স্থানীয় দালালের সহযোগিতায় কয়েকজন সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকালে বিএসএফের ডিঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে কিশোর জয়ন্ত (১৫) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ নিয়ে যান। গুলিতে জয়ন্তের বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও স্থানীয় অপর ব্যক্তি দরবার আলীও আহত হন। তাছাড়া আগষ্ট’২৪ মাসে নিহত হয় ৩ জন ও আহত হয় ৩ জন।

চলতি (সেপ্টেম্বর’২৪) মাসের শুরুর দিকে মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরীর এই নির্মম হত্যাকান্ড এক যুগ পূর্বে সংঘটিত আরেক নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের শিকার কিশোরী ফেলানীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারী ভোরে কুয়াশাঢাকা আলো-অাঁধারিতে মই দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ১৫ বছর বয়সী ফেলানী খাতুনকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। ফেলানী কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে তার পিতার সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছিল। পিতা নূরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম যেলার নাগেশ্বরী উপযেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের বাসিন্দা। থাকতেন আসামের বঙ্গাইগাঁও এলাকায়। সেখানে কাজ করতেন একটি ইট ভাটায়। ফেলানীও কাজ করত গৃহকর্মীর। বাংলাদেশে নিজ খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় ফেলানীর। সে উপলক্ষেই দেশে ফেরা। মইয়ের সামনে ছিল বাবা, পিছনে মেয়ে। এ সময় বিএসএফ টের পেয়ে গুলি ছুড়ে। এতে ফেলানীর বাবা বেঁচে গেলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে কাঁটাতারে আটকে যায় কিশোরী ফেলানী। সে ছটফট করে পানি পানি বলে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু কেউ পানি নিয়ে এগিয়ে যায়নি। অবশেষে কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ফেলানী। প্রায় ৫ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তার লাশ। ভেঙ্গে যায় ফেলানীর স্বপ্ন। এ ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা বিশ্বে। নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। আদালতে মামলাও হয়। কিন্তু এখনো বিচার পায়নি ফেলানীর পরিবার।

শুধু কিশোরী ফেলানী, স্বর্ণা বা কিশোর জয়ন্ত নয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের মানুষকে সীমান্তে গুলি বা নির্যাতন করে হত্যা করছে প্রতিনিয়ত। পরস্পর বন্ধুত্বের (?) দাবীদার দুই দেশের সীমান্তে একটি দেশ কর্তৃক নিয়মিতভাবে অন্য দেশের নাগরিককে পাখির মত গুলি করে হত্যা করার ঘটনা বিশ্বে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এতে বুঝা যায়, মুখে বন্ধুত্বের বুলি আওড়ালেও অন্তরে কেবলই স্বার্থপরতা ও কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা। নিম্নোক্ত পরিসংখ্যানই যার জাজ্বল্য উদাহরণ।-

বেসরকারী মানবাধিকার সংস্থা ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’ (আসক)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে ও নির্যাতনে অন্তত ৬০৭ জন বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। অপর মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর মতে এ সংখ্যা ৫৮২ এবং এ সময়ে আহত হয়েছেন ৭৬১ জন। ‘অধিকার’-এর দেয়া তথ্যানুযায়ী ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০৬৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩১২ বার হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১২৪ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন, ১৯৯৭ সালে ৩৯টি হামলায় ১১জন, ১৯৯৮ সালে ৫৬টি হামলায় ২৩ জন, ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩ জন ও ২০০০ সালে ৪২টি হামলায় ৩৯ জন নিহত হন। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী একুশ শতকের প্রথম দশকে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছে সহস্রাধিক বাংলাদেশী। ‘আসক’-এর তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালে নিহত হন ৩১ জন। ২০২১ ও ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৮ ও ২৩ জন। অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে সীমান্ত হত্যা। যা চরম উদ্বেগের কারণ।

পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম স্থলসীমান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। যা দৈর্ঘে ৪০৯৬ কিলোমিটার বা ২৫৪৬ মাইল। ভারতের পাঁচটি রাজ্যজুড়ে এ সীমারেখা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ। বলা হয় বাংলাদেশ-ভারত দু’টি বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। একে অপরের সহযোগী। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক উল্টো। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ভারত শুধু নিয়েছে। ২৫ বছরের মুজিব-ইন্দিরা গোলামী চুক্তির কাগজে মেয়াদ শেষ হ’লেও গোলামী কোন অংশেই হ্রাস পায়নি। বরং বিগত সাড়ে ১৫ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। ভারতের বশংবদ আওয়ামী সরকার মন উজাড় করে ভারতকে সবকিছুই দিয়েছে। ট্রানজিট দিয়েছে, বন্দর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসাসহ নানা ধরনের সুবিধা দিয়েছে, একচেটিয়া বাজার দিয়েছে, চাকুরী দিয়েছে, মৈত্রি বাস-ট্রেন চালু করে দাদাদের আসা-যাওয়া ব্যবসা-বাণিজ্য সব সহজ করে দিয়েছে। বিনিময়ে ভারত দিয়েছে পানি ও লাশ, বন্যা ও খরা। ৫৪টি নদীর উৎসমুখে বাঁধ দিয়ে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে ডুবিয়ে ও শুকিয়ে মারছে। আন্তসীমান্ত নদীর ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে নিত্যদিন। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে একের পর এক বাংলাদেশী নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করছে।

প্রশ্ন হচ্ছে- কেন বিএসএফ নির্বিচারে গুলি চালায়? এ বিষয়ে বিএসএফের খোঁড়া যুক্তি হচ্ছে, বেআইনী অনুপ্রবেশ ও আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস দমনে তারা কঠোর। তাদের দ্বিতীয় বক্তব্য হচ্ছে ‘আত্মরক্ষার জন্য’ বাধ্য হয়ে গুলি চালায়। অপর বক্তব্য হচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান হয়। চোরাচালানীদের দমনে তারা এই কঠোর ব্যবস্থা নেয়।

বিএসএফের যুক্তিগুলি যে নিতান্তই খোঁড়া তা বলাই বাহুল্য। প্রথমতঃ ভারতের পেনাল কোড কিংবা আন্তর্জাতিক কোন আইনেই নিরস্ত্র নাগরিককে গুলি করে বা নির্যাতন করে মেরে ফেলার বিধান নেই। কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিতে চাইলে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয়তঃ সীমান্তসন্ত্রাস দমনের কথা বলা হ’লেও বাস্তবে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমন করতে গিয়ে এনকাউন্টারে কেউ মারা গেছে বা কোন সন্ত্রাসীকে গুলি করে মারা হয়েছে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। বরং ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলির খোরাক হয়েছে এদেশের হতদরিদ্র, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ।

তাদের দ্বিতীয় অজুহাত হচ্ছে ‘আত্মরক্ষা’। কাদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা? নিরস্ত্র কিশোরী ফেলানী, স্বর্ণা দাস ও কিশোর জয়ন্তের কাছ থেকে আত্মরক্ষা? নাকি ৫০ কেজি ওযনের চিনির বস্তা মাথায় নিয়ে পালাতে থাকা রবীউলের কাছ থেকে আত্মরক্ষা? গত ২৮ জানুয়ারী লালমণিরহাট যেলার পাটগ্রাম উপযেলার দহগ্রাম-আঙ্গারপোতা সীমান্তে যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’ (মাসুম)-এর মার্চ ২০২৪-এর মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএফ যখন রবীউলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, তখন তার মাথায় ছিল একটি ৫০ কেজি ওযনের চিনির বস্তা। ৫০ কেজি ওযনের চিনির বস্তা মাথায় নিয়ে আর যা-ই হোক রবীউল যে বিএসএফের জন্য কোন হুমকি ছিল না, সেটা স্পষ্ট। কাঁটাতারে কাপড় আটকে যাওয়া নিরস্ত্র কিশোরী ফেলানী কিংবা মায়ের হাত ধরে সীমান্ত পাড়ি দিতে চাওয়া কিশোরী স্বর্ণা দাস এবং পিতার সাথে সীমান্ত পাড়ি দিতে চাওয়া কিশোর জয়ন্তও যে সশস্ত্র বিএসএফের জন্য হুমকি ছিল না তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।

গরু চোরাচালানীদের হত্যা প্রসঙ্গে ‘মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে’র সচিব কিরীটী বলেন, ‘এই সীমান্ত হত্যার পেছনে যে গল্প ফাঁদা হয়, তা-ও ঠিক না। তারা বলে, সীমান্ত দিয়ে গরু চোরাচালান হয়। চোরাচালানিদের হত্যা করা হয়। মনে হয় যেন সীমান্তে গরু জন্ম নেয় আর তা বাংলাদেশে পাচার করা হয়। বাস্তবে এই সব গরু আনা হয় ভারতের অভ্যন্তরে দুই-আড়াই হাযার কিলোমিটার দূরের হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে। গরুগুলো হাঁটিয়ে, ট্রাক-ট্রেনে করে আনা হয়। তখন কেউ দেখে না! তারা আটকায় না। কারণ, তারা ভাগ পায়। এখানে আসল কথা হলো দুর্নীতি, ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে সব করা হয়। যখন ভাগ-বাঁটোয়ারায় মেলে না, তখন বিএসএফ হত্যা করে’ (বাংলাদেশকে চাপে রাখতে সীমান্ত হত্যা?, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ডয়চে ভেলে)। তিনি আরো বলেন, ‘আগে বিএসএফ বলত আমাদের ওপর আক্রমণ করতে এলে আমরা আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছি। লাশ ফেরত দিত। এখন আর তাও বলে না। গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়।’

এসব ঘটনা প্রমাণ করে যে, যত বন্ধুত্বের কথাই বলা হোক না কেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ভারতের আচরণ আগ্রাসী। অথচ অদ্ভূত ব্যাপার হ’ল, ‘বন্ধু প্রতিবেশী’ (?) বাংলাদেশের সীমান্তে আধিপত্যবাদী আচরণ করা ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বৈরী প্রতিবেশী’ চীন বা পাকিস্তানের সীমান্তে সে দেশের নাগরিকদের এভাবে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে না। সেখানে যুদ্ধাবস্থা থাকতে পারে, বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলি ও হত্যাকান্ডের ঘটনাও ঘটতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের মতো একতরফা ধারাবাহিক সীমান্ত হত্যা নেই। এতে এ প্রবাদই সত্য হচ্ছে- ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম’।

প্রশ্ন হচ্ছে ভারত এতটা বাগাড়ম্বর করে কেন পার পেয়ে যাচ্ছে? এর জবাবে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, বাংলাদেশের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতিই এর জন্য দায়ী। হত্যাকান্ডের পর একটি দায়সারা গোছের পতাকা বৈঠক ও লাশ ফেরত আনা ব্যতীত কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না আমাদের সরকারকে। হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কড়া ও স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া, প্রতিটি ঘটনার বিচার ও তদন্ত দাবি করা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে জবাব চাওয়া এবং প্রয়োজনে বারবার হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিষয়টিকে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করার কোন চেষ্টাই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে করা হয় না। এভাবে জবাবদিহির বাইরে থাকার কারণেই মূলত সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না।

এক্ষণে সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য বিষয়টি অনতিবিলম্ব আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালোভাবে উত্থাপন করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনের মাধ্যমে সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ (বিজিবি) কে সৎ আমানতদার হ’তে হবে। দেশের সীমান্ত পাহারায় তাদেরকে হ’তে হবে নিষ্ঠাবান। চোরাচালান বন্ধে হ’তে হবে কঠোর। বেঁচে থাকতে হবে যাবতীয় হারাম থেকে। দুর্নীতি থেকে নিজেদেরকে রাখতে হবে বহু দূরে। সীমান্তের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে চুরি শিক্ষা না দিয়ে কর্মঠ হওয়ার পাঠ শিক্ষা দিতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতি এর বাস্তবায়নই কামনা করছে। আশার কথা ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ বিষয়ে কঠোর বক্তব্য দিয়েছেন। অতএব বর্তমান নির্দলীয় সরকারের আপোষহীনতাই পারে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে।






বাংলা ভাষা ও বাংলা একাডেমী নিয়ে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ​র অগ্রন্থিত বক্তৃতা
ঘূর্ণিঝড় ফণী - মুহাম্মাদ আব্দুছ ছবূর মিয়া, ঝিনাইদহ
মোদীর বিজয়ে ভারত কী হারাল? - উইলিয়াম ডালরিম্পল
রোহিঙ্গা ফেরৎ চুক্তি : তবে... - শামসুল আলম শিক্ষকআল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের করুণ চিত্র - আত-তাহরীক ডেস্ক
কুরআন ও বাইবেলের আলোকে যাবীহুল্লাহ কে? - রূহুল হোসাইন, জলঙ্গী, মুর্শিদাবাদ, ভারত
শরণার্থীরা এখন সবার মনোযোগের বাইরে - মুহাম্মাদ তৌহিদ হোসাইন
সীমান্তে হত্যা : বন্ধ হবে কবে? - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
সভ্যতার সঙ্কট ও ধর্মনিরপেক্ষ জঙ্গীবাদ
কাশ্মীরে বিপজ্জনক গুজব - আলতাফ পারভেজ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ক গবেষক
করোনার চিকিৎসা ও টিকা বিনামূল্যে সবার জন্য চাই
নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ : বিচার হয় না আর্থিক প্রতারণার - সাঈদ আহমাদ
আরও
আরও
.