ইউরোপ মহাদেশের ছোট্ট একটি দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস। এটি ভূমধ্যসাগরের দ্বীপগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। সাইপ্রাসের পশ্চিমে গ্রিস, পূর্বে লেবানন, সিরিয়া, ফিলিস্তীন, উত্তরে তুরস্ক এবং দক্ষিণে মিসর অবস্থিত। ক্ষুদ্র আয়তনের এই দেশটি মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত। যার চতুর্দিকে সমুদ্রের নীলাভ স্বচ্ছ পানিরাশি, বিস্তৃত সৈকত, পাহাড়-পর্বত আচ্ছাদিত মনোহর চিরহরিৎ বৃক্ষরাজি দেশটিকে অনন্য মহিমায় শোভিত করেছে।

মুসলমানদের স্বর্ণযুগেই সাইপ্রাসে বিজয় কেতন উড্ডীন হয়। কেননা এ সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন, ‘আমার উম্মতের প্রথম সেনাবাহিনী যারা সমুদ্র অভিযানে অংশগ্রহণ করবে, তারা জান্নাতকে ওয়াজিব করে নিবে’।[1] সমুদ্র অভিযান বিষয়ে ছাহাবীদের মধ্যে সিরীয় গভর্নর হযরত মু‘আবিয়া (রাঃ) প্রবল আকর্ষণ অনুভব করতেন। তিনি দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর কাছে সমুদ্র অভিযানের অনুমতি চেয়ে চিঠি লিখে পীড়াপীড়ি করতে থাকেন। কিন্তু ওমর (রাঃ) তাতে সম্মত ছিলেন না। একবার চিঠিতে মু‘আবিয়া (রাঃ) সাইপ্রাস অভিযান সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সিরিয়ার হোমসের একটি গ্রাম থেকে সাইপ্রাসের কুকুরের হাঁক আর মোরগের ডাক শোনা যায়। এতে ওমর (রাঃ) প্রভাবিত হয়ে যান’।[2] তিনি মিসরের গভর্নর আমর ইবনুল আছ (রাঃ)-এর কাছে সমুদ্র অভিযান বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চেয়ে চিঠি লেখেন। তাঁর বিবরণের ভিত্তিতে ওমর (রাঃ) মুসলিম সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার আশঙ্কায় অনুমতি না দিয়ে মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে কড়াভাবে নিষেধ করে দেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! রোম সাগরের বিশাল তিমির চেয়ে একজন মুসলিমের জীবন আমার কাছে অধিক প্রিয়। সুতরাং আমাকে বিরক্ত করবেন না...’।[3] হযরত ওমরের শাহাদাতের পর তৃতীয় খলীফা ওছমান (রাঃ)-এর যামানায় মু‘আবিয়া (রাঃ) বারবার অভিযানের অনুমতি প্রার্থনা করতে থাকায় পরিশেষে তিনি আবেদন গ্রহণ করেন এবং শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করেন।

২৭-২৮ হিজরীতে মু‘আবিয়া (রাঃ) নৌবাহিনী গঠন করে তৎকালীন ‘কুবরুছ’ (قبرص) দ্বীপ তথা বর্তমান সাইপ্রাসে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ), আবু যর গিফারী (রাঃ), উবাদাহ বিন ছামিত (রাঃ) এবং তাঁর স্ত্রী উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাঃ), মিক্বদাদ (রাঃ) এবং শাদ্দাদ বিন আউস (রাঃ)-এর ন্যায় বিশিষ্ট ছাহাবীগণ অংশগ্রহণ করেন। এই যুদ্ধে একমাত্র মহিলা ছাহাবী উম্মে হারাম শাহাদাত বরণ করেন। তাঁর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করাটাও রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ছিল। এ সম্পর্কে উম্মে হারাম নিজেই বলেন, ‘একদা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) আমার ঘরে ঘুমিয়েছিলেন (ইনি রাসূলের মাহরাম ছিলেন)। অতঃপর জেগে উঠে মুচকি হাসতে লাগলনে। আমি বললাম, আপনি হাসলেন কেন? তিনি বললেন, আমার উম্মতের এমন কিছু লোককে আমার সামনে উপস্থিত করা হ’ল যারা এই নীল সমুদ্রে আরোহণ করছে, যেমন বাদশাহ সিংহাসনে আরোহণ করে। উম্মে হারাম (রাঃ) বললেন, আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন, তিনি যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি তাঁর জন্য দো‘আ করলেন। অতঃপর তিনি দ্বিতীয়বার ঘুমিয়ে গেলেন এবং আগের মতই করলেন। উম্মে হারাম (রাঃ) আগের মতই বললেন এবং রাসূল (ছাঃ) আগের মতই জবাব দিলেন। উম্মে হারাম (রাঃ) বললেন, আল্লাহর নিকট দো‘আ করুন তিনি যেন আমাকে তাদের অর্ন্তভুক্ত করেন। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি প্রথম দলের অর্ন্তভুক্ত থাকবে’। এই প্রথম দলটিই মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর সাইপ্রাস বিজয়ী নৌবাহিনী ছিল। যাদের সাথে যুদ্ধ করে ফেরার পথে সিরিয়ার কোন একটি স্থানে উম্মে হারাম (রাঃ) খচ্চরের পিঠ থেকে পড়ে ঘাড় মটকে শাহাদাত বরণ করেন।[4] তাঁকে সেখানেই দাফন করা হয়। হাদীছে উম্মে হারামের মৃত্যুবরণের স্থান ও সময়ের ব্যাপারে স্পষ্ট বর্ণনা থাকলেও ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, উম্মে হারাম সাইপ্রাসে পৌঁছে যুদ্ধ শেষে ফেরার সময় মারা যান এবং সেখানেই সমাহিত হন। আবার কেউ লিখেছেন, সাইপ্রাসে পৌঁছে জাহায থেকে নেমে বাহনে চড়ার সময় বাহন হোঁচট খেয়ে তাঁকে ফেলে দিলে তিনি মারা যান। তাঁকে সেখানে দাফন করা হয় এবং তাঁর কবরটি ‘পুণ্যাত্মা নারীর কবর’ হিসাবে সাইপ্রাসে প্রসিদ্ধ।[5] ১৮ শতকে অটোম্যানরা এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করে ‘হালা সুলতান টেক্কে’ নামকরণ করে। এ স্থানের কবরের প্রকৃত সত্য আল্লাহ্ই সর্বাধিক অবগত।

সাইপ্রাস তখন বাইজেন্টাইন রোমকদের অধীনস্ত ছিল। তারা সাইপ্রাসকে তাদের সেনাঘাটি হিসাবে ব্যবহার করত। মু‘আবিয়া (রাঃ) আক্রমণ করলে দ্বীপবাসী বাইজেন্টাইনদের সাহায্য না পেয়ে মুসলমানদের সাথে সন্ধি চুক্তি করে। ফলে ইসলামী সাম্রাজ্য সর্বপ্রথম ভূমধ্যসাগরে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ লাভ করে। উল্লেখ্য যে, রোমক নেতা ‘দ্যা গ্রেট কন্সট্যান্টাইন’ (মৃ. ৩৩৭ খৃ.) পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর রোমান সাম্রাজ্যকে পূর্ব দিকে বিস্তৃত করেন। তিনি রোম থেকে রাজধানীকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপলে (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক) স্থাপন করেন। মূলত তার নামানুসারে একে কনস্টান্টিনোপল বলা হ’ত। খোলাফায়ে রাশেদীনের আমলে ইসলামী সাম্রাজ্য বৃদ্ধি পেতে থাকলে রোমানদের পতন ঘটতে থাকে।

জেরুযালেম, সিরিয়া, ইস্কান্দারিয়া (মিসর) মুসলমানদের হস্তগত হয়। রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় রোমান সম্রাট ছিলেন হিরাক্লিয়াস (মৃ. ৬৪১ খৃ.)। তিনি মিসরকে নিজ সাম্রাজ্যের প্রদেশ মনে করে খুবই গুরুত্ব দিতেন। হযরত ওমর (রাঃ)-এর সময়ে ছাহাবী আমর ইবনুল আছ (রাঃ) ইস্কান্দারিয়া জয় করেন। তার কিছুকাল পরেই হিরাক্লিয়াস মারা যান। তার ছেলে হিরাক্লিয়াস কন্সট্যান্টাইন (মৃ. ৬৪১ খৃ.) মুসলমানদের হটিয়ে আবার ইস্কান্দারিয়া পুনরুদ্ধারের ব্যর্থ চেষ্টা করে পরাজিত হন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় খলীফার যামানা মিলিয়ে আমর ইবনুল আছ (রাঃ) রোমানদের কাছ থেকে ৩ বার ইস্কান্দারিয়া অধিকার করেন। সর্বশেষ হযরত ওছমান (রাঃ)-এর যামানায় হিরাক্লিয়াস কন্সট্যান্টাইনের ছেলে দ্বিতীয় কনস্টান্স (মৃ. ৬৬৮ খৃ) কনস্টান্টিনোপল থেকে সমুদ্র পথে ইস্কান্দারিয়া আক্রমণ করলে আব্দুল্লাহ বিন নাফি‘ (রাঃ) প্রতিহত করেন। সে তখন পালিয়ে সাইপ্রাসে আশ্রয় গ্রহণ করে। তাকে অনুসরণ করে মুসলিম বাহিনী সাইপ্রাসে পৌঁছায়। ঠিক সেই সময় বাইজেন্টাইনদের কাছ থেকে সাইপ্রাস অধিকারের জন্য মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর সিরীয় নৌবাহিনী উপস্থিত হয়। উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুসলমানগণ সাইপ্রাস অধিকার করেন। এখানেও কনস্টান্স মুসলমানগণের মুকাবিলায় দাঁড়াতে পারেননি। তাই অনেক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে কনস্টান্টিনোপলে গিয়ে পৌঁছান এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অপর বর্ণনা মতে, সাইপ্রাসবাসীরা মুসলমানদের কাছে বার বার পরাজিত হ’তে দেখে কনস্টান্সকে গোসলরত অবস্থায় হত্যা করে।[6]

অপর একটি বর্ণনা মতে, চুক্তির কয়েক বছর যেতে না যেতেই সাইপ্রাসবাসী সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ করে। এতে মু‘আবিয়া (রাঃ) রাগান্বিত হয়ে পুনরায় ৩৩ অথবা ৩৫ হিজরীতে ৫০০ যুদ্ধ জাহায নিয়ে আক্রমণ করেন। এ যুদ্ধে সেনাধ্যক্ষ হিসাবে নেতৃত্ব দেন আব্দুল্লাহ বিন কায়স আল-জাসী (রাঃ)। অপরদিকে মিসরের তৎকালীন গভর্ণর আব্দুল্লাহ বিন সা‘দ বিন আবু সারাহ (রাঃ) মিসর থেকে আরেকটি সেনাবাহিনী নিয়ে তাদের সাথে মিলিত হন। উভয়ের আক্রমণে পরাজিত দ্বীপবাসী এবারেও বাইজেন্টাইনদের সাহায্য না পেয়ে বার্ষিক ৭ হাযার দীনার কর মুসলমানদের এবং রোমানদের দেওয়ার বিনিময়ে সন্ধি চুক্তি করে। মু‘আবিয়া (রাঃ) দ্বীপের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সেখানে ১২ হাযার সৈন্য রেখে আসেন। তাদেরকে সরকারীভাবে খাদ্যসামগ্রী ও ভাতা প্রদান করেন। পার্শ্ববর্তী দেশ লেবাননের বা‘লাবাক শহর থেকে বাসিন্দাদের সাইপ্রাসে এনে আবাসনের ব্যবস্থা করেন। সেখানে একটি নতুন শহর গড়ে উঠে এবং একটি মসজিদও নির্মাণ করা হয়।[7]

বর্ণিত সমুদয় ঘটনাবলীতে ঐতিহাসিকগণ মতভেদ করে ২৮ অথবা ৩৩ হিজরীর সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। যাইহোক, পরবর্তীতে উমাইয়া ও আববাসীয় শাসকগণ সাইপ্রাসকে তাদের খেলাফতের অন্তর্ভুক্ত করে শাসন করেন। আববাসীয় খলীফা হারূনূর রশীদ (মৃ. ৮০৯ হি.)-এর সময়ে সাইপ্রাসবাসীরা বিদ্রোহ করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয় এবং অনেককে বন্দী করা হয়। পরে তারা মুসলিমদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়।[8]

সাইপ্রাস শুধুমাত্র করের বিনিময়ে মুসলমানদের দখলে থাকে বিধায় সেখানে পূর্ণ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফলে ১৩শ শতাব্দীর শেষ দিকে ইউরোপীয়রা নৌশক্তি অর্জন করলে মুসলমানরা ভূমধ্যসাগরের নিয়ন্ত্রণ হারায়। ১৪শ থেকে ১৬শ শতাব্দীর মধ্যে নৌশক্তি বলে ধীরে ধীরে সাইপ্রাসসহ ভূমধ্যসাগর খ্রিষ্টানদের দখলে চলে যায়। ভেনিসীয় ক্যাথলিকরা সাইপ্রাস শাসন করে। কিন্তু তারা স্থানীয় অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের অত্যাচার করতে থাকে। সে সময় তুরস্কের ওছমানীয় খেলাফতের সুলতান দ্বিতীয় সেলিম (মৃ. ১৫৭৪ খৃ.) তাদের এ নিপীড়নের হাত থেকে উদ্ধার করেন। মূলত ভেনিসীয়রা ভূমধ্যসাগরে হজ্জযাত্রী ও বণিকদের জাহায লুণ্ঠন করতে থাকায় সুলতান সেলিমের নির্দেশে লালা মোস্তফা পাশা (মৃ. ১৫৮০ খৃ.) ১৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে সাইপ্রাস দখল করেন। ফলে সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা বাড়তে থাকে, আনাতোলিয়ার বিরাট সংখ্যক অধিবাসীকে এখানে স্থানান্তর করা হয় এবং ওছমানীয়রা ৩০০ বছর সাইপ্রাস শাসন করে।

১৮৭৭-৭৮ সালে সুলতান আব্দুল হামীদ (মৃ. ১৯১৮ খৃ.)-এর শাসনকালে রাশিয়া-তুর্ক যুদ্ধে ওছমানীয়রা হেরে যাওয়ায় বার্লিন চুক্তির ভিত্তিতে দ্বীপটি ১৮৮২ সালে ব্রিটেন দখল করে নেয়। ১৯৬০ সালে ব্রিটিশরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় গ্রিস ও তুরস্ক ভবিষ্যতে সামরিক উদ্যোগ নিতে পারবে এমন এক বিধান রেখে সাইপ্রাসকে স্বাধীনতা প্রদান করে। এই সুযোগে ১৯৭৪ সালে গ্রিক সেনাবাহিনী সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সাইপ্রাসের দক্ষিণাংশ দখল করে এবং তুরস্কও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে উত্তরাঞ্চলের ৩৫ শতাংশ দখল করে নেয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বাফার জোনের মাধ্যমে সাইপ্রাসকে তুরস্ক ও গ্রীসের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। বর্তমানে সাইপ্রাসের তুরস্ক অধিকৃত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট অংশকে টার্কিশ এবং গ্রীক অধিকৃত খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট ৬৫ শতাংশকেই মূলত সাইপ্রাস বলা হয়। এভাবেই সাইপ্রাসে মুসলমানদের উত্থান ও পতন ঘটে।

 

 মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ

শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।


[1]. বুখারী হা/২৯২৪; হাকেম হা/৮৬৬৮; সিলসিলা ছহীহহা হা/২৬৮।

[2]. তারিখুত ত্বাবারী, ৪/২৫৭।

[3]. ইবনুল আছীর, আল-কামিল ফিত-তারীখ, ২/৪৬৯।

[4]. বুখারী হা/২৭৯৯; মুসলিম হা/১৯১২; নাসাঈ হা/৩১৭২।

[5]. আল-বালাযুরী, ফুতুহুল বুলদান, ১/১৫৪; আল-কামিল ফিত-তারীখ, ২/৪৭০।

[6]. মাওলানা আকবর শাহ খান নজিবাবাদী, ইসলামের ইতিহাস ১ম খন্ড (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দ্বিতীয় সংস্করণ, জুন ২০০৮) পৃ. ৩৭৬-৭৭।

[7]. ফুতুহুল বুলদান, ১/১৫৪; আল-কামিল ফিত-তারীখ, ২/৪৬৯; আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া,৭/১৫৩।

[8]. ফুতুহুল বুলদান, ১/১৫৫।






আরও
আরও
.