(১) ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন,لاَ يُرضِي النَّاسَ قَوْلُ عَالِمٍ لاَ يَعْمَلُ، وَلاَ عَمَلُ عَامِلٍ لاَ يَعْلَمُ، ‘আমলহীন আলেমের কথায় মানুষ সন্তুষ্ট হয় না। আর না জেনে আমলকারীর আমল ধর্তব্য নয়’ (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, জীবনী নং ১৬০)

(২) ইমাম মালেক (রহঃ) বলেন,مَا فِيْ زَمَانِنَا شَيْءٌ أَقَلُّ مِنَ الْإِنْصَافِ، ‘আমাদের যুগে ইনছাফ (ন্যায়-নীতি)-এর বড়ই আকাল’ (জামে‘উ বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাযলিহী হা/৮৬৬)

(৩) হাসান বিন ছালেহ (রহঃ) বলেন,فَتَّشْتُ الوَرَعَ، فَلَمْ أَجِدْهُ فِي شَيْءٍ أَقَلَّ مِنَ اللِّسَانِ، ‘আমি ধার্মিকতা অনুসন্ধান করলাম, কিন্তু তা মানুষের যবানেই সবচেয়ে কম পেলাম’ (সিয়ার, জীবনী নং ১৩৪)

(৪) ইমাম যাহাবী (রহঃ) বলেন,إِذَا أَخْطَأَ إِمَامٌ فِي اجْتِهَادِهِ، لاَ يَنْبَغِي لَنَا أَنْ ننسَى مَحَاسِنَهُ، وَنُغَطِّيْ معَارِفَهُ، بَلْ نستغفرُ لَهُ، وَنَعْتَذِرُ عَنْهُ، ‘যখন ইমাম তার ইজতিহাদে ভুল করেন, তখন তার সৎ কর্মগুলিকে ভুলে যাওয়া এবং তার জ্ঞান ভান্ডারকে ধামাচাপা দেয়া উচিৎ নয়। বরং আমরা তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব এবং তার ওযর গ্রহণ করব’ (সিয়ার, জীবনী নং ৮৫)

(৫) বৈয়াকরণিক ইমাম মুওয়াফ্ফাক্ব (রহঃ) বলেন,يَنْبَغِي أَنْ تَكُوْنَ سِيْرتُكَ سِيْرَةَ الصَّدْرِ الأَوَّلِ، فَاقرَأِ السِّيرَةَ النَّبَوِيَّةَ، وَتَتَبَّعْ أَفعَالَهُ، وَاقتَفِ آثَارَهُ، وَتَشَبَّهْ بِهِ مَا أَمكنَكَ، ‘তোমার স্বভাব-চরিত্র হওয়া উচিত প্রথম যুগের মানুষের ন্যায়। সুতরাং তুমি নবীর সীরাত অধ্যয়ন কর, তাঁর কর্মগুলি অনুসরণ কর এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুকরণ কর এবং সাধ্যমত তাঁর চরিত্রে নিজেকে রাঙ্গাও’ (সিয়ার, জীবনী নং ১৯৫)

(৬) ইমাম আহমাদ (রহঃ) বলেন,إِنِّي لأَرَى الرَّجُلَ يُحيِيْ شَيْئاً مِنَ السُّنَّةِ، فَأَفْرَحُ بِه، ‘আমি যখন কোন ব্যক্তিকে মৃত সুন্নাত পুনর্জীবিত করতে দেখি, তখন আমি আনন্দিত হই’ (সিয়ার, জীবনী নং ৭৮)

(৭) ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন,فَإِذَا حَسُنَتِ السَّرَائِرُ أَصْلَحَ اللهُ الظَّوَاهِرَ، ‘যখন কারো ভেতরটা সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে যায়, তখন আল্লাহ তার বাহ্যিক দিকটাও সংশোধন করে দেন’ (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/২৭৭)

(৮) হুযায়ফা বিন ক্বাতাদা (রহঃ) বলেন,أَعْظَمُ المَصَائِبِ قَسَاوَةُ القَلْبِ، ‘সবচেয়ে বড় বিপদ হ’ল অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া’ (সিয়ার, জীবনী নং ১৩৯২)

(৯) ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন,فُضُوْلُ الدُّنْيَا عُقُوبَةٌ عَاقَبَ بِهَا اللهُ أَهْلَ التَّوْحِيْدِ، ‘দুনিয়ার অনর্থক বস্ত্তসমূহ অন্বেষণ করা শাস্তিস্বরূপ। যা দ্বারা আল্ল­াহ তাওহীদপন্থীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকেন’ (সিয়ার ১০/৯৭, ইমাম শাফেঈর জীবনী দ্র.)

(১০) খলীল (রহঃ) বলেন,لاَ يَعرِفُ الرَّجُلُ خَطَأَ مُعَلِّمِهِ حَتَّى يُجَالِسَ غَيْرَه، ‘অন্য কারো ইলমের মজলিসে না বসা পর্যন্ত একজন ব্যক্তি তার শিক্ষকের ভুল-ত্রুটিগুলি জানতে পারে না’ (সিয়ার, জীবনী নং ১৬২)

(১১) আবূ সুলায়মান (রহঃ) বলেন,أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ خِلاَفُ هَوَى النَّفْسِ، ‘অন্তরের কুপ্রবৃত্তির বিরোধিতা করাই সর্বোত্তম আমল’ (ইবনু আসাকির, তারীখু দিমাশক ৩৪/১২৭; সিয়ার, জীবনী নং ৩৪)

(১২) মুহাম্মাদ বিন হাসান (রহঃ) বলেন,رَأَيْتُ أَبَا عَبْدِ اللهِ إِذَا مَشَى فِي الطَّرِيْقِ، يَكْرَهُ أَنْ يَتَّبِعَهُ أَحَدٌ،  ‘আমি ইমাম আহমাদকে দেখেছি যে, রাস্তায় চলাকালীন কেউ তাঁর (সম্মানার্থে) পিছে পিছে তাকে অনুসরণ করুক তা তিনি অপসন্দ করতেন’ (সিয়ার, জীবনী নং ৭৮)

(১৩) ইবনু ওয়াহহাব (রহঃ) বলেন,مَا نَقَلْنَا مِنْ أَدَبِ مَالِكٍ، أَكْثَرُ مِمَّا تَعَلَّمْنَا مِنْ عِلْمِهِ، ‘আমরা ইমাম মালেকের আদব-আখলাক সম্পর্কে যা বর্ণনা করেছি তা তার নিকট থেকে যে ইলম শিখেছি তাঁর চাইতে অধিক হবে’ (সিয়ার ৮/১১৩, আনাস বিন মালেক আল-মাদানীর জীবনী দ্র.)

(১৪) বিশর আল-হাফী বলেন,مَا أَكْثَرَ الصَّالِحِيْنَ، وَمَا أَقَلَّ الصَّادِقِيْنَ، ‘নেককারদের সংখ্যা কতই না বেশী, কিন্তু সত্যবাদীদের সংখ্যা কতই না কম’ (সিয়ার, জীবনী নং ১১১)

(১৫) উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) ওমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, مَا لَكَ لا تَسْتَعْمِلُنِي؟ قَالَ : أَكْرَهُ أَنْ يُدَنَّسَ دِينُكَ، আপনি কেন আমাকে রাষ্ট্রের দায়িত্বে নিয়োগ করছেন না? তিনি (ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) বললেন, ‘আমি চাই না  তোমার দ্বীন কালিমালিপ্ত হোক’ (আত-ত্বাবাকাতুল কুবরা, জীবনী নং ১৭৪, উবাই বিন কাব (রাঃ)-এর জীবনী দ্র.)

(১৬) ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলেছেন,رُبَّ عَمَلٍ صَغِيْرٍ تُكَثِّرُهُ النِّيَّةُ، وَرُبَّ عَمَلٍ كَثِيْرٍ تُصَغِّرُهُ النِّيَّةُ، ‘নিয়ত গুণে অনেক ছোট আমলও বড় আমলে পরিণত হয়; আবার অনেক বড় আমলও ছোট আমলে পরিণত হয়’ (সিয়ার, জীবনী নং ১১২)







আরও
আরও
.