এক সময় হাবশায় হিজরতকারী ছাহাবীগণ জানতে পারেন যে, মক্কার লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মক্কা মুসলমানদের জন্য নিরাপদ। একথা শুনে ছাহাবীগণ মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু পথিমধ্যে জানতে পারেন যে, কুরাইশদের ইসলাম গ্রহণের খবর মিথ্যা। তখন তারা আত্মগোপন করেন বা কারো আশ্রয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। আবুবকর (রাঃ) হাবশায় হিজরতের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু বারকুল গিমাদে ইবনু দাগিনা তাকে আশ্রয় দিতে চাইলে তিনি ফিরে আসেন। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আমার মাতা-পিতাকে কখনো ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন পালন করতে দেখিনি এবং এমন কোন দিন কাটেনি যেদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় রাসূল (ছাঃ) আমাদের বাড়িতে আসেননি। যখন মুসলমানগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেন, তখন আবুবকর (রাঃ) হিজরত করে আবিসিনিয়ায় (বর্তমান ইথিওপিয়া) যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হ’লেন। অবশেষে বারকুল গিমাদ[1] নামক স্থানে পৌঁছলে ইবনু দাগিনার সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সে ছিল তার গোত্রের নেতা।[2] সে বলল, হে আবুবকর! কোথায় যাচ্ছেন? উত্তরে আবুবকর (রাঃ) বললেন, আমার স্ব-জাতি আমাকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি মনে করছি, পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াব এবং আমার প্রতিপালকের ইবাদত করব। ইবনু দাগিনা বলল, হে আবুবকর! আপনার মত ব্যক্তি চলে যেতে পারে না এবং বহিষ্কৃতও হ’তে পারে না। আপনি তো নিঃস্বদের জন্য উপার্জন করে দেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, অক্ষমদের বোঝা নিজে বহন করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং সত্য পথের পথিকদের বিপদাপদে সাহায্য করেন। সুতরাং আমি আপনাকে আশ্রয় দিচ্ছি, আপনাকে যাবতীয় সহযোগিতার অঙ্গীকার করছি। আপনি ফিরে যান এবং নিজ শহরে আপনার রবের ইবাদত করুন। আবুবকর (রাঃ) ফিরে আসলেন। তাঁর সঙ্গে ইবনু দাগিনাও আসল। ইবনু দাগিনা বিকেল বেলা কুরাইশের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে গেল এবং তাদেরকে বলল, আবুবকরের মত লোক দেশ থেকে বের হ’তে পারে না এবং তাকে বের করে দেয়া যায় না। আপনারা কি এমন ব্যক্তিকে বের করবেন, যে নিঃস্বদের জন্য উপার্জন করেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন, অক্ষমের বোঝা নিজে বহন করেন, মেহমানের আপ্যায়ন করেন এবং ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারণে বিপদ আসলে সাহায্য করেন।

ইবনু দাগিনার আশ্রয়দান কুরাইশগণ মেনে নিল এবং তারা ইবনু দাগিনাকে বলল, তুমি আবুবকরকে বলে দাও, তিনি যেন তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরে করেন। ছালাত সেখানেই আদায় করেন ও ইচ্ছা মাফিক কুরআন তিলাওয়াত করেন। এর দ্বারা যেন আমাদের কষ্ট না দেন। আর এসব ব্যাপার (ইবাদত) যেন প্রকাশ্যে না করেন। কেননা আমরা আমাদের মেয়েদের ও ছেলেদের (ইসলাম গ্রহণ করার) ফিৎনায় পড়ে যাওয়ার আশংকা করছি। ইবনু দাগিনা এসব কথা আবুবকর (রাঃ)-কে বলে দিলেন। সে মতে কিছুদিন আবুবকর (রাঃ) নিজের ঘরে তাঁর রবের ইবাদত করতে লাগলেন। ছাালাত প্রকাশ্যে আদায় করতেন না এবং ঘরেই কুরআন তেলওয়াত করতেন। এরপর আবুবকর (রাঃ) তাঁর ঘরের বারান্দায় একটি মসজিদ তৈরী করে নিলেন। এতে তিনি ছালাত আদায় ও কুরআন তিলাওয়াত করতে লাগলেন। এতে তাঁর কাছে মুশরিকা মহিলা ও যুবকরা ভীড় জমাতে লাগল। তারা আবুবকর (রাঃ)-এর এ কাজে বিস্ময়বোধ করত এবং তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকত। আবুবকর (রাঃ) ছিলেন একজন ক্রন্দনকারী ব্যক্তি, তিনি যখন কুরআন তেলাওয়াত করতেন তখন অশ্রু সংবরণ করতে পারতেন না। এ ব্যাপারটি মুশরিকদের নেতৃস্থানীয় কুরাইশদের ভীত করে তুলল এবং তারা ইবনু দাগিনাকে ডেকে পাঠাল। সে আসলে তারা তাকে বলল, তোমার আশ্রয় প্রদানের কারণে আমরাও আবুবকরকে আশ্রয় দিয়েছিলাম এই শর্তে যে, তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর ঘরের মধ্যে করবেন। কিন্তু সে শর্ত তিনি ভঙ্গ করেছেন এবং নিজ গৃহের পাশে একটি মসজিদ তৈরি করে প্রকাশ্যে ছালাত ও তিলাওয়াত শুরু করেছেন। আমাদের ভয় হচ্ছে, আমাদের নারী ও শিশুরা ফিৎনায় পড়ে যাবে। কাজেই তুমি তাঁকে নিষেধ করে দাও। তিনি তাঁর রবের ইবাদত তাঁর গৃহের ভিতর সীমাবদ্ধ রাখতে চাইলে তিনি তা করতে পারেন। আর যদি তিনি তা অমান্য করে প্রকাশ্যে তা করতে চান তবে তাঁকে তোমার আশ্রয় প্রদান ও দায়-দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে বল। আমরা তোমার আশ্রয় দানের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা করা অত্যন্ত অপসন্দ করি। আবার আবুবকরকেও এভাবে প্রকাশ্যে ইবাদত করতে দিতে পারি না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, ইবনু দাগিনা এসে আবুবকর (রাঃ)-কে বলল, আপনি অবশ্যই জানেন যে, কী শর্তে আমি আপনার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিলাম। আপনি হয়ত তাতে সীমিত থাকবেন অন্যথা আমার যিম্মাদারী আমাকে ফেরত দিবেন। আমি এ কথা মোটেই পসন্দ করি না যে, আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ এবং আমার আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তির প্রতি আমার বিশ্বাসঘাতকতার অপবাদ আরববাসীর নিকট প্রকাশিত হোক। আবুবকর (রাঃ) তাকে বললেন, আমি তোমার আশ্রয় তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। আমি আমার আল্লাহর আশ্রয়ের উপর সন্তুষ্ট আছি। এ সময় নবী করীম (ছাঃ) মক্কায় ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) মুসলমানদের বললেন, আমাকে তোমাদের হিজরতের স্থান (স্বপ্নে) দেখানো হয়েছে। সে স্থানে খেজুর বাগান রয়েছে এবং তা দু’টি পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এরপর যারা হিজরত করতে চাইলেন, তারা মদীনার দিকে হিজরত করলেন। আর যারা হিজরত করে আবিসিনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন, তাদেরও অধিকাংশ সেখান হ’তে ফিরে মদীনায় চলে আসলেন। আবুবকর (রাঃ)ও মদীনায় যাওয়ার প্রস্ত্ততি নিলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি অপেক্ষা কর। আশা করছি আমাকেও অনুমতি দেয়া হবে। আবুবকর (রাঃ) বললেন, আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হৌক! আপনিও কি হিজরতের আশা করছেন? তিনি বললেন, হ্যঁা। তখন আবুবকর (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গ পাওয়ার জন্য নিজেকে হিজরত হ’তে বিরত রাখলেন এবং তাঁর নিকট যে দু’টি উট ছিল এ দু’টি চার মাস পর্যন্ত বাবলা গাছের পাতা খাওয়াতে থাকলেন।

আয়েশা (রাঃ) বলেন, ইতিমধ্যে একদিন আমরা ঠিক দুপুর বেলায় আবুবকর (রাঃ)-এর ঘরে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে আবুবকরকে খবর দিল যে, রাসূল (ছাঃ) মস্তক আবৃত অবস্থায় আসছেন। সেটা এমন সময় ছিল যে সময় তিনি পূর্বে কখনো আমাদের এখানে আসেননি। আবুবকর (রাঃ) তাঁর আসার কথা শুনে বললেন, আমার মাতাপিতা তাঁর প্রতি কুরবান হৌক। আল্লাহর কসম, তিনি এ সময় নিশ্চয়ই কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণেই আসছেন। রাসূল (ছাঃ) পৌঁছে ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হ’ল। ঘরে প্রবেশ করে তিনি আবুবকরকে বললেন, এখানে অন্য যারা আছে তাদের বের করে দাও। আবুবকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা আপনার প্রতি কুরবান হোক! এখানে তো আপনারই পরিবার। তখন তিনি বললেন, আমাকেও হিজরতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আবুবকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! আমি আপনার সফর সঙ্গী হ’তে ইচ্ছুক। রাসূল (ছাঃ) বললেন, ঠিক আছে। আবুবকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতামাতা কুরবান হোক! আমার এ দু’টি উট হ’তে আপনি যে কোনটি নিন। রাসূল (ছাঃ) বললেন, তবে মূল্যের বিনিময়ে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমরা তাঁদের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা অতি দ্রুত সম্পন্ন করলাম এবং একটি থলের মধ্যে তাঁদের খাদ্যসামগ্রী গুছিয়ে দিলাম। আমার বোন আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) তার কোমর বন্ধের কিছু অংশ কেটে সে থলের মুখ বেঁধে দিলেন। এ কারণেই তাঁকে ‘জাতুন নেতাক’ (কোমর বন্ধ ওয়ালী) বলা হ’ত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল ও আবুবকর (রাঃ) ছাওর পর্বতের একটি গুহায় আশ্রয় নিলেন। তাঁরা সেখানে তিন রাত অবস্থান করলেন। আবদুল্লাহ ইবনু আবুবকর (রাঃ) তাঁদের পাশেই রাত্রি যাপন করতেন। তিনি ছিলেন একজন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন তরুণ। তিনি শেষ রাত্রে ওখান হ’তে বেরিয়ে মক্কায় রাত্রি যাপনকারী কুরাইশদের সঙ্গে মিলিত হ’তেন এবং তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র করা হ’ত তা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন ও স্মরণ রাখতেন। যখন অাঁধার ঘনিয়ে আসত তখন তিনি সংবাদ নিয়ে তাঁদের উভয়ের কাছে যেতেন। আবুবকর (রাঃ)-এর গোলাম আমির বিন ফুহায়রাহ তাঁদের কাছেই দুধালো ছাগলের পাল চরিয়ে বেড়াত। রাতের কিছু সময় চলে যাওয়ার পর সে ছাগলের পাল নিয়ে তাঁদের নিকটে যেত এবং তাঁরা দু’জন দুধ পান করে আরামে রাত্রি যাপন করতেন। তাঁরা বকরীর দুধ দোহন করে সাথে সাথেই পান করতেন। তারপর শেষ রাতে আমির বিন ফুহায়রাহ ছাগলগুলি হাঁকিয়ে নিয়ে যেত। এ তিন রাতের প্রতি রাতে সে এমনই করল। রাসূল (ছাঃ) ও আবুবকর (রাঃ) বানী আবদ ইবনু আদি গোত্রের এক ব্যক্তিকে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ‘খির্রীত’ (পথ প্রদর্শক) নিযুক্ত করেছিলেন। দক্ষ পথপ্রদর্শককে ‘খির্রীত’ বলা হয়। আদী গোত্রের সাথে তার বন্ধুত্ব ছিল। সে ছিল কাফের কুরাইশের ধর্মাবলম্বী। তাঁরা উভয়ে তাকে বিশ্বস্ত মনে করে তাঁদের উট দু’টি তার হাতে দিয়ে দিলেন এবং তৃতীয় রাত্রের পরে সকালে উট দু’টি ছাওর গুহার নিকট নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করলেন। আর সে যথাসময়ে তা পৌঁছিয়ে দিল। আর আমির বিন ফুহায়রাহ ও পথপ্রদর্শক তাঁদের উভয়ের সঙ্গে চলল। প্রদর্শক তাঁদের নিয়ে উপকূলের পথ ধরে চলতে লাগল। অবশেষে তাঁরা মদীনায় পৌঁছলেন।[3]

আসমা (রাঃ) বলেন, হিজরতের সময় আবুবকর (রাঃ)  তার সমুদয় সম্পদ সাথে নিলেন। যাতে পাঁচ থেকে ছয় হাযার দেরহাম ছিল। তিনি সেগুলো নিয়ে চলে গেলেন। এরপর আমার দাদা আবু কুহাফা আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করলেন। তিনি অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার মনে হয় সে সমস্ত সম্পদ সাথে নিয়ে চলে গেছে। আমি বললাম, কখনো না হে দাদা! তিনি আমাদের জন্য বহু সম্পদ রেখে গেছেন। এরপর আমি বাড়িতে থাকা একটি পাত্রে কিছু নুড়ি পাথর রেখে দিলাম। যাতে আমার আববা টাকা-পয়সা রাখতেন। আমি পাত্রের মুখে কাপড় বেঁধে দাদার সামনে নিয়ে বললাম, হে দাদা! এই সম্পদে হাত রাখুন। অতঃপর তিনি পাত্র স্পর্শ করে বললেন, যদি এগুলো রেখে গিয়ে থাকে তাহ’লে সমস্যা নেই। খুবই সুন্দর। এতে তোমাদের বহুদিন চলে যাবে। আসমা বলেন, আল্লাহর কসম! বাবা আমাদের জন্য কিছুই রেখে যাননি। কিন্তু বৃদ্ধ দাদাকে শান্ত করার জন্য একাজ করলাম।[4]


[1]. মক্কার পিছনে পাঁচ রাতের দূরত্বে সমুদ্র্ উপকূলে অবস্থিত। কারো মতে ইয়ামনের একটি শহর, যেখানে আব্দুল্লাহ বিন জুদ‘আন তায়মীকে দাফন করা হয়েছিল, মু‘জামুল বুলদান ১/৩৯৯।

[2]. তার প্রকৃত নাম হারেছ বিন ইয়াযীদ বিন বকর, দাগিনা তার মায়ের নাম। সে কারাহ গোত্রের লোক ও আহাবীশের সর্দার ছিল। তার ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে কিছু জানা যায় না, আল-বিদায়াহ ৩/৯৪

[3]. বুখারী হা/২২৯৭,৩৯০৫; আহমাদ হা/২৫৬৬৭; ইবনু হিববান হা/৬২৭৭

[4]. আহমাদ হা/২৭০০২; মু‘জামুল কাবীর হা/২৩৫; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৯৯১৩; মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আ‘যামী, আল-জামে‘উল কামিল ৮/১৩৯, সনদ হাসান





হাদীছের গল্প - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
ভালোর বিনিময়ে ভালো দেওয়া উচিত - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
ওযূবিহীন ছালাত আদায়ের শাস্তি - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
কবর আযাবের কতিপয় কারণ - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
মানুষের কতিপয় অনুপম বৈশিষ্ট্য - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
মদীনার পথে - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
রাসূল (ছাঃ)-এর ঈলার ঘটনা - আত-তাহরীক ডেস্ক
ইয়ামামাবাসীর নেতা ছুমামাহ বিন উছাল (রাঃ)-এর ইসলাম গ্রহণের কাহিনী - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
কুরআন তেলাওয়াতকারীর পিতা-মাতার মর্যাদা - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
দাজ্জালের আগমন - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
খুৎবাতুল হাজাতের গুরুত্ব ও ব্যক্তির উপরে তার প্রভাব - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে এক যুবকের অদ্ভুত আবেদন - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
আরও
আরও
.