আবু হুরায়রাহ
(রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, মূসা (আঃ) ছয়টি
বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে তাঁর রবকে (আল্লাহ) জিজ্ঞেস করলেন। আর তিনি মনে করতেন
যে, এগুলো কেবল তাঁর জন্যই নির্দিষ্ট ছিল। তবে সপ্তমটি তিনি পসন্দ করতেন
না। (১) তিনি (মূসা আঃ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! তোমার কোন বান্দা অধিক
মুত্তাক্বী? তিনি (আল্লাহ) বললেন, যে (আমাকে) স্মরণ করে, ভুলে যায় না। (২)
তিনি বললেন, তোমার কোন বান্দা সুপথ প্রাপ্ত? তিনি বললেন, যে হেদায়াতের
অনুসরণ করে (৩) তোমার কোন বান্দা সর্বোত্তম বিচারক? তিনি বললেন, যে অন্যের
জন্য এমন ফায়ছালা করে, যা নিজের জন্যও করে (৪) তোমার কোন বান্দা অধিক
জ্ঞানী? তিনি বললেন, যে (অল্প) জ্ঞান অর্জন করে তৃপ্ত হয় না, বরং মানুষের
জ্ঞানকে নিজের জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত করে, (জ্ঞান বৃদ্ধি করে) (৫) তোমার কোন
বান্দা অধিক মর্যাদাবান? তিনি বললেন, যে ক্ষমতাবান হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা
করে দেয় (৬) তোমার কোন বান্দা অধিক বিত্তশালী? তিনি বললেন, ঐ ব্যক্তি, তাকে
যা দেয়া হয়, তাতেই সে সন্তুষ্ট হয় (৭) তোমার কোন বান্দা অতি দরিদ্র? তিনি
বললেন, ত্রুটিপূর্ণ (কৃপণ) মনের অধিকারী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বাহ্যিক
ঐশ্বর্যে যে ধনী মূলতঃ সে ধনী নয়। কেবল মনের ধনীই বড় ধনী। আল্লাহ যখন তাঁর
কোন বান্দার কল্যাণ চান, তখন তিনি তার অন্তর অভাবমুক্ত করে দেন এবং তার
হৃদয়ে আল্লাহভীতি দান করেন। আর যখন আল্লাহ কোন বান্দার অকল্যাণ চান, তখন
তিনি তার দু’চোখের মাঝে দারিদ্রতা স্থাপন করেন’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৬২১৭, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩৩৫০)।