ভূমিকা :

রায়হানা বিনতু শামঊন (রাঃ) বানু নাযীর বা বানু কুরাইযা গোত্রের মহিলা ছিলেন। যুদ্ধবন্দী হিসাবে তিনি রাসূলের নিকটে নীত হন। অতঃপর ইসলাম কবুল করার মাধ্যমে রাসূলের স্ত্রীদের মত মর্যাদা লাভের ঈর্ষণীয় সম্মানে ভূষিতা হন। এই মহিয়সী রমণীর সংক্ষিপ্ত জীবনী আমরা আলোচ্য নিবন্ধে উপস্থাপনের প্রয়াস পাব ইনশাআল্লাহ।-

নাম ও বংশপরিচয় :

তাঁর নাম রায়হানা। তাঁর পিতার নাম শামঊন মতান্তরে যায়েদ। তাঁর পিতার নাম ও বংশপরিচয় নিয়ে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) তাঁর বংশপরিচয় এভাবে উল্লেখ করেছেন- রায়হানা বিনতু শামঊন বিন যায়েদ। কেউ বলেছেন, রায়হানা বিনতু যায়েদ বিন আমর বিন ক্বানাফা মতান্তরে খানাফাহ।[1] ইবনু সা‘দ তাঁর বংশধারা এভাবে বলেছেন, রায়হানা বিনতু যায়েদ বিন আমর বিন খানাফাহ বিন শামঊন বিন যায়েদ।[2] ইবনু আব্দিল বার্র তাঁর বংশ পরম্পরা এভাবে উল্লেখ করেছেন, রায়হানা বিনতু শামঊন ইবনে যায়েদ ইবনে খানাফাহ।[3] ইবনু ইসহাক বলেছেন এভাবে, রায়হানা বিনতু আমর ইবনে খানাফাহ।[4] অন্যত্র আছে- রায়হানা ইবনাতু আমর ইবনে হুযাফাহ।[5] তাঁর বংশ-গোত্র নিয়েও মতভেদ রয়েছে। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) ও ইবনু সা‘দ তাকে বনু নাযীর গোত্রের বলে উল্লেখ করেছেন।[6] ইবনু ইসহাক, ইবনু আব্দিল বার্র ও হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) তাঁকে বনু কুরাইযা কবীলার বলে উল্লেখ করেছেন। ইবনু আব্দিল বার্র বলেন যে, অধিকাংশের মত হচ্ছে- তিনি বনু কুরাইযা গোত্রের ছিলেন।[7] কিন্তু ঐতিহাসিক ইবনু সা‘দ বলেন, তিনি বনু কুরাইযার হাকাম নামক জনৈক ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এজন্য কোন কোন বর্ণনাকারী তাঁকে বনু কুরাইযার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করেছেন।[8]

জন্ম ও শৈশব :

উম্মুল মুমিনীন রায়হানা (রাঃ)-এর জন্ম সাল সম্পর্কে যেমন কিছু জানা যায় না, তেমনি তাঁর শৈশব-কৈশোরের অবস্থাও অজ্ঞাত। কেননা এ বিষয়ে চরিত্রকার ও ঐতিহাসিকগণ কিছুই বর্ণনা করেননি।

প্রথম বিবাহ :

বনু কুরাইযার আল-হাকাম নামক জনৈক ব্যক্তির সাথে তাঁর প্রথম বিবাহ হয়। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, বনু কুরাইযার হাকীম নামক এক ব্যক্তির সাথে রায়হানা (রাঃ)-এর প্রথম বিবাহ সম্পন্ন হয়।[9]

ইসলাম গ্রহণ ও রাসূলের সাথে বিবাহ :

৫ম হিজরীর যুলকা‘দাহ ও যুলহিজ্জাহ মাসে বনু কুরাইযার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে তার স্বামী নিহত হয় এবং তিনি যুদ্ধবন্দী হিসাবে রাসূলের নিকটে নীত হন। গনীমত বণ্টনে তিনি রাসূলের অংশে পড়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গনীমত বণ্টন শেষ করে রায়হানা (রাঃ)-কে উম্মুল মুনযির সালমা বিনতু ক্বায়সের গৃহে পাঠান। সেখানে তিনি কয়েকদিন অবস্থান করেন। ইতিমধ্যে বনু কুরাইযার যুদ্ধ অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা এবং বন্দীদের বণ্টন সম্পন্ন হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উম্মুল মুনযিরের বাড়ীতে গিয়ে রায়হানাকে ডেকে বললেন, ان اخترت الله ورسوله واختارك رسول الله لنسفه ‘যদি তুমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে এখতিয়ার কর, তাহ’লে আল্লাহর রাসূল তোমাকে নিজের জন্য পসন্দ করবেন’। তখন তিনি বললেন, إنى اختار الله ورسوله ‘আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে পসন্দ করি’। অপর একটি বর্ণনায় আছে, রায়হানা যুদ্ধ বন্দীনী হিসাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে নীত হ’লে তিনি তাকে বললেন, তুমি ইচ্ছা করলে ইসলাম কবুল করতে পার, ইচ্ছা করলে স্বধর্মের (ইহুদী) উপর কায়েম থাকতে পার। তিনি বললেন, أنا على دين قومى ‘আমি আমার জাতির ধর্মের উপরে আছি’। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, إن اسلمت اختارك رسول الله لنفسه- ‘তুমি মুসলিম হ’লে আল্লাহর রাসূল নিজের জন্য তোমাকে এখতিয়ার করবেন’। তিনি প্রত্যাখ্যান করলেন ও নিজ কথার উপর অটল থাকলেন। এতে রাসূল (ছাঃ) মনে খুব কষ্ট পেলেন এবং রায়হানাকে নিজের অবস্থার উপর ছেড়ে দিলেন। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামের সাথে বসেছিলেন এমন সময় জনৈক ব্যক্তির পায়ের শব্দ পাওয়া গেল। তিনি বললেন, এই ব্যক্তি হচ্ছে ছা‘লাবা ইবনু সা‘ইয়াহ, সে রায়হানার ইসলাম গ্রহণের সুসংবাদ নিয়ে এসেছে। সে এসে রাসূলকে বললেন, রায়হানা ইসলাম কবুল করেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রায়হানাকে (দাসী হিসাবে) গ্রহণ করলেন। তার ইসলাম গ্রহণে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খুশী হন। তিনি আমৃত্যু রাসূলের নিকটে ছিলেন।[10] ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে আযাদ করে দেন এবং তাকে সাড়ে বার উকিয়া বা ৫০০ দেরহাম মহর প্রদান করে বিবাহ করেন।[11] এটা ছিল ৬ষ্ঠ হিজরীর মুহাররম মাসে।[12] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার উপর পর্দার বিধান আরোপ করেন এবং অন্যান্য স্ত্রীদের যেরূপ খাদ্যদ্রব্য দান করেছিলেন, তদ্রূপ রায়হানাকেও দিয়েছিলেন।[13] অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রায়হানাকে দাসী হিসাবে স্বীয় মালিকানায় রেখেছিলেন, তাকে আযাদ করেননি এবং তাকে বিবাহও করেননি। কিন্তু ইবনু সা‘দ বলেন, ما روى لنا فى عتقها وتزويجها وهو أثبت الأقاويل عندنا وهو الأمر عند أهل العلم، ‘তাঁর আযাদ হওয়া ও বিবাহের ব্যাপারে যা আমাদের নিকটে বর্ণিত হয়েছে, তা আমাদের নিকটে অধিক প্রতিষ্ঠিত কথা এবং বিদ্বানগণের নিকটে এটি অধিক শক্তিশালী’।[14] ইবনু ইসহাক বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রায়হানাকে নিজের জন্য মনোনীত করেন। মৃত্যু অবধি দাসী হিসাবে তিনি রাসূলের মালিকানায় ছিলেন। কালবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রায়হানাকে আযাদ করে বিবাহ করেন।[15]

অন্য বর্ণনায় আছে, রায়হানা (রাঃ) উম্মুল মুনযিরের গৃহে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তাঁর একটি ঋতু অতিবাহিত হয়। তিনি পবিত্র হ’লে উম্মুল মুনযির (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে এসে রায়হানার পবিত্রতার খবর দিলেন। তখন তিনি উম্মুল মুনযিরের বাড়ীতে গেলেন।[16] অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রায়হানকে ডেকে বললেন, যদি তুমি পসন্দ কর যে, আমি তোমাকে আযাদ করে দেই এবং বিবাহ করি তাহ’লে তাই করব। কিংবা যদি তুমি আমার মালিকানায় থাকা পসন্দ কর (তবে তাই হবে)। তিনি বললেন, يا رسول الله اكون فى ملكك أخف على وعليك، ‘হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমি আপনার মালিকানায় থাকব, যা আমার জন্য ও আপনার জন্য হালকা হবে’। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে (দাসী হিসাবে) নিজ মালিকানায় রাখলেন। আমৃত্যু তিনি রাসূলের মালিকানায় ছিলেন। উম্মুল মুনযিরের বাড়ীতেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রায়হানার সাথে বাসর যাপন করেন।[17] আয-যুহরী বলেন, كانت امة رسول الله فأعتقها وتزوجها، তিনি রাসূলের দাসী ছিলেন। অতঃপর রাসূল তাকে আযাদ করে বিবাহ করেন।[18]

চেহারা ও স্বভাব-চরিত্র :

রায়হানা অতি সুন্দরী মহিলা ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইবনু কা‘ব বলেন, فكانة امرأة جميلة وسيمة ‘আর তিনি ছিলেন রূপসী, কমনীয়া মহিলা’।[19] ওয়াক্বেদী বলেন, وكانت ذات جمال ‘তিনি সুন্দরী ছিলেন’।[20] তিনি অতীব লাজুক ছিলেন। তিনি নিজেই বলেন, উম্মুল মুনযিরের বাড়ীতে অবস্থানকালে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমার নিকটে আসলেন। আমাকে ডেকে তাঁর সামনে বসালেন। আমি তখন লজ্জায় জড়সড় হয়ে যাচ্ছিলাম।[21]

তালাক ও রাজা‘আত :

রায়হানা (রাঃ) অত্যন্ত আত্মসম্মানবোধ সম্পন্না মহিলা ছিলেন। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে এক তালাক প্রদান করেন। এটা তার জন্য এত কষ্টদায়ক ছিল যে, তিনি কষ্টে স্বীয় স্থান থেকে সরতে পারলেন না। সেখানে বসেই তিনি অত্যধিক কাঁদতে লাগলেন। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার নিকটে আসলেন এবং তাকে ফিরিয়ে নিলেন (রাজা‘আত করলেন)।[22] যুহরীর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে তালাক দেন, তখন তিনি তার পরিবারের সাথে ছিলেন। তিনি বলেন, এরপর আমাকে কেউ দেখতে পায়নি। ওয়াক্বেদী বলেন, এটা ঠিক নয়। কেননা তিনি রাসূলের নিকটে থাকতেই ইন্তিকাল করেন।[23]

ইন্তিকাল ও দাফন :

রায়হানা (রাঃ) রাসূলের ওফাতের ১৬ মাস পূর্বে মতান্তরে ১০ম হিজরীতে বিদায় হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ইন্তিকাল করেন। তাঁকে ‘বাক্বীউল গারক্বাদ’ নামক কবরস্থানে দাফন করা হয়।[24]

সমাপনী :

রায়হানা (রাঃ) রাসূলের সান্নিধ্যে আসার পর থেকে আমৃত্যু তাঁর অধীনে ছিলেন। মহানবী (ছাঃ)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও তাঁর একনিষ্ঠ আনুগত্য ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম দিক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)ও তাকে মুহাববত করতেন। রিসালাতে মুহাম্মাদীর সংস্পর্শে এসে রায়হানা (রাঃ) নিজের জীবনকে রাঙিয়ে ছিলেন ইসলামের কালজয়ী আদর্শের সমুজ্জ্বল আলোকমালায়। এরপর ইসলামের উপর আজীবন তিনি অটল ও অবিচল ছিলেন। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর মত ইসলামের আদর্শে জীবন গড়ার তাওফীক্ব দিন- আমীন!


[1]. হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী, আল-ইছাবাহ ফী তাময়িযিছ ছাহাবাহ,র্ ৮ম খন্ড, (বৈরুত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, তা.বি.), পৃঃ ৮৮; আনসাবুল আশরাফ, পৃঃ ১৯৫।

[2]. ইবনু সা‘দ, আত-তাবাকাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড (বৈরুত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, ১ম প্রকাশ, ১৯৯০/১৪১০ হিঃ), পৃঃ ১০২।

[3]. ইবনু আবদিল বার্র, আল-ইস্তি‘আব ২/৯৭।

[4]. ইবনু কাছীর, আস-সীরাহ আন-নবাবিয়্যাহ, ৩য় খন্ড, পৃঃ ২৪২।

[5]. ইবনু ইসহাক, আস-সীরাহ আন-নবাবিয়াহ, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৩।

[6]. ইছাবাহ, ৮ম খন্ড, পৃঃ ৮৮।

[7]. আল-ইস্তি‘আব ২/৯৭।

[8]. আত-তাবাক্বাত ৮/১০২।

[9]. আত-তাবাক্বাতুল কুবরা, ৮ম খন্ড, পৃঃ ১০২, ১০৩।

[10]. আল-ইছাবাহ ৮/৮৮; আত-তাবাক্বাত ৮/১০৪।

[11]. আত-তাবাক্বাত ৮/১০৩।

[12]. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ জরদানী, ফাতহুল আল্লাম বিশারহি মুবশিদিল আনাম, ১ম খন্ড (কায়রো : দারুস সালাম, ৪র্থ প্রকাশ, ১৯৯০/১৪১০ হিঃ), পৃঃ ২৩৯; আত-তাবাক্বাতুল কুবরা, ৮/১০৩।

[13]. আল-ইছাবাহ, ৮/৮৮ পৃঃ।

[14]. আত-তাবাক্বাত ৮/১০৩।

[15]. ছফিউর রহমান মুবারকপুরী, আর-রহীকুল মাখতূম (কুয়েত : আল-ইরফান, ২য় প্রকাশ, ১৯৯৬/১৪১৬ হিঃ), পৃঃ ৩১৭।

[16]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৫/৩২৭।

[17]. আল-ইছাবাহ, ৮/৮৮; আত-তাবাক্বাত ৮/১০৪; আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৪/১৪৫।

[18]. আল-বিদায়াহ ৫/৩২৭।

[19]. আত-তাবাক্বাত ৮/১০৩।

[20]. ইছাবাহ ৮/৮৮।

[21]. আত-তাবাক্বাত ৮/১০৩।

[22]. তদেব; ফাতহুল আল্লাম, ১/২৩৯; আল-ইছাবাহ ৮/৮৮।

[23]. ইছাবাহ ৮/৮৮।

[24]. আত-তাবাক্বাত ৮/১০৩; আল-ইছাবাহ, ৮/৮৮।






হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ইসলামের প্রথম দাঈ, ওহোদের ঝান্ডাবাহী শহীদ ছাহাবী মুছ‘আব বিন ওমায়ের (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
মায়মূনা বিনতুল হারেছ (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আস‘আদ বিন যুরারাহ (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
উম্মু হাবীবা বিনতু আবী সুফিয়ান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
উম্মুল মুমিনীন ছাফিয়া (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
উক্কাশা বিন মিহছান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
খুবায়েব বিন আদী (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
শেরে পাঞ্জাব, ফাতিহে কাদিয়ান মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি) - ড. নূরুল ইসলাম
ঈমানী তেজোদীপ্ত নির্যাতিত ছাহাবী খাববাব বিন আল-আরাত (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ (রাঃ) (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আরও
আরও
.