হোসাইন বিন আলী (রাঃ)

ভূমিকা :

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর দৌহিত্র, চতুর্থ খলীফা আলী বিন আবু তালেব (রাঃ) ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রিয় কন্যা ফাতেমা (রাঃ)-এর পুত্র হোসাইন (রাঃ) ছিলেন ইসলামের অন্যতম সিপাহসালার। তিনি অত্যন্ত ইবাদতগুযার, ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। ছাহাবী ছিলেন বাতিলের সাথে আপোষহীন ও অধিকার আদায়ে তৎপর। জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত এই ছাহাবীর জীবনী নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।- 

নাম ও বংশ পরিচয় :

তাঁর নাম হোসাইন, উপনাম আবু আব্দুল্লাহ, উপাধি ‘সাইয়েদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ’ বা জান্নাতী যুবকদের সরদার (নেতা), নিসবতী নাম আল-হাশেমী আল-ক্বারাশী।[1] তাঁর পূর্ণ বংশ পরিচয় হচ্ছে, হোসাইন ইবনু আলী ইবনে আবী তালিব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব ইবনে হাশেম ইবনে আব্দে মানাফ।[2] তিনি ফাতেমা (রাঃ)-এর পুত্র এবং খাদীজা (রাঃ) ও মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর দৌহিত্র।[3]

জন্ম ও শৈশব :

প্রসিদ্ধ মতে হোসাইন (রাঃ) চতুর্থ হিজরীর ১৫ই শা‘বান মদীনা মুনাওয়ারায় জন্মগ্রহণ করেন।[4] ওয়াক্বেদী (রহঃ) বলেন, হাসানের জন্মের ৫০ দিন পরে হোসাইন ফাতেমা (রাঃ)-এর গর্ভে আসে। ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, হাসানের জন্মের ১ বছর দশ মাস পরে ৫ম হিজরীর জুমাদাল আখিরাহ মাসে হোসাইন (রাঃ)-এর জন্ম হয়।[5] তবে হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, হাসানের দশ মাস পরে হুসাইনের জন্ম হয়।[6]

নামকরণ ও আক্বীক্বা :

হোসাইন (রাঃ)-এর নামকরণ সম্পর্কে আলী (রাঃ) বলেন, যখন হোসাইনের জন্ম হ’ল তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এসে বললেন, আমার নাতিকে দেখাও। তোমরা ওর কি নাম রেখেছ? আমি বললাম, হারব। তিনি বললেন, না, বরং ওর নাম হোসাইন’।[7]

রাসূল (ছাঃ) হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-এর পক্ষ থেকে একটি করে দুম্বা আক্বীক্বা করেন। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন,أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنِ الْحَسَنِ، وَالْحُسَيْنِ كَبْشًا كَبْشًا ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-এর পক্ষ থেকে একটি করে দুম্বা আক্বীক্বা করেছেন।[8] অতঃপর তিনি ফাতেমা (রাঃ)-কে বলেন,يَا فَاطِمَةُ، احْلِقِي رَأْسَهُ، وَتَصَدَّقِي بِزِنَةِ شَعْرِهِ فِضَّةً، ‘হে ফাতেমা! তার মাথা মুন্ডন করে দাও এবং তার চুলের ওযনের সমপরিমাণ রূপা দান কর। তদনুযায়ী আমি তার চুল ওযন করলাম এবং তার ওযন এক দিরহাম বা তার কাছাকাছি হয়।[9] হোসাইন (রাঃ) জন্মগ্রহণ করলেও অনুরূপ করা হয়।[10]

দৈহিক গঠন :

দৈহিক গঠনে হোসাইন (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন।[11] আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন,كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ فَجِيءَ بِرَأْسِ الحُسَيْنِ فَجَعَلَ يَقُولُ بِقَضِيبٍ فِي أَنْفِهِ وَيَقُولُ: مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا حُسْنًا، لِمَ يُذْكَرُ؟ قَالَ: قُلْتُ: أَمَا إِنَّهُ كَانَ مِنْ أَشْبَهِهِمْ بِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ‘আমি ইবনু যিয়াদের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন হোসাইন (রাঃ)-এর (ছিন্ন) মস্তক হাযির করা হ’ল। সে তার নাকে ছড়ি দিয়ে গুতা মেরে বলতে লাগল, এর ন্যায় সুশ্রী আমি কাউকে তো দেখিনি! রাবী বলেন, তখন আমি বললাম, সতর্ক হও! (দৈহিক কাঠামোয়) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সঙ্গে হোসাইন ইবনু আলী অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন’।[12] অন্যত্র আনাস (রাঃ) বলেন, হোসাইন (রাঃ) গঠন ও আকৃতিতে নবী করীম (ছাঃ)-এর অবয়বের সাথে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। তাঁর চুল ও দাড়িতে ওয়াসমা দ্বারা খিযাব লাগানো ছিল।[13] আর তাঁর চুল ও দাড়ি অত্যন্ত কালো ছিল।[14]

পোষাক ও সৌন্দর্য :

হোসাইন (রাঃ) পশমের তৈরী কাপড় পরিধান করতেন। সুদ্দী (রহঃ) বলেন, আমি হোসাইন (রাঃ)-কে পশমের পাগড়ী পরিধান করতে দেখেছি। আর পাগড়ীর নীচ দিয়ে চুল বেরিয়েছিল। ইমাম শা‘বীও অনুরূপ বলেছেন। আর তিনি বাম হাতে আংটি পরিধান করতেন।[15] জা‘ফর ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) হ’তে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি (মুহাম্মাদ) বলেন, হাসান ও হোসাইন (রাঃ) তাদের বাম হাতে আংটি পরতেন।[16] ইমাম শা‘বী (রহঃ) বলেন, আমি হোসাইন (রাঃ)-কে রামাযানে আংটি ব্যবহার করতে দেখেছি।[17]

হোসাইন (রাঃ)-এর শিক্ষাদীক্ষা :

রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুকালে হোসাইন (রাঃ)-এর বয়স ছিল প্রায় ৬ বৎসর।[18] তিনি শৈশবে নবী করীম (ছাঃ)-এর সান্নিধ্য প্রাপ্ত ফাতেমা (রাঃ)-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও আলী (রাঃ)-এর নিবিড় পরিচর্যায় অহি-র জ্ঞানে পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি স্বীয় নানা নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নিকট থেকে কিছু হাদীছ শ্রবণ করেন। আর তাঁর পিতা আলী (রাঃ) ও মাতা ফাতেমা (রাঃ), হিন্দ ইবনে আবী হালাহ, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) ও অন্যান্য ছাহাবীগণ থেকে হাদীছ বর্ণনা করেন। আর তার থেকে তার পিতা আলী, মাতা ফাতেমা (রাঃ), ভাই হাসান, পুত্র আলী ও যায়েদ এবং কন্যা সুকাইনাহ, উবাইদ ইবনু হুনাইন, হাম্মাম আল-ফারাযদাক্ব, ইকরিমা, আশ-শা‘বী, ত্বালহা আল-আক্বীলী, কুরয আত-তায়মী, সিনান ইবনু সিনান আদ-দুওয়ালী, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনে ওছমান, ভ্রাতুষ্পুত্র যায়েদ ইবনু হাসান, আবু জা‘ফর আল-বাকের প্রমুখ হাদীছ বর্ণনা করেন।[19] হাদীছ গ্রন্থগুলোতে তার বর্ণিত কিছু হাদীছ পাওয়া যায়।

পারিবারিক জীবন :

হোসাইন (রাঃ) একাধিক বিবাহ করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন হ’লেন, লায়লা বিনতু আবী মুররাহ, আর-রিবাব বিনতু ইমরাউল ক্বায়েস বিন আদী আল-কালবিয়াহ, উম্মু ইসহাক বিনতু ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহ আত-তায়মী ও কুযা‘আহ প্রমুখ। আর তার সাল্লামাহ বিনতু ইয়াযদাজির (পারস্যের বাদশাহ) নামে একজন দাসী ছিল। যার গর্ভে হোসাইন (রাঃ)-এর একজন পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।[20]

হোসাইন বিন আলী (রাঃ)-এর ৫ জন পুত্র এবং ২ জন কন্যা সন্তান ছিল। তারা হচ্ছেন- আলী আল-আকবার, আলী আল-আছগার, জা‘ফর, আব্দুল্লাহ ও ওমর এবং কন্যা সুকাইনাহ ও ফাতেমা।[21]

হোসাইন (রাঃ)-এর মর্যাদা :

নবী করীম (ছাঃ) তাঁর প্রিয় দৌহিত্র হোসাইনকে অত্যধিক মহববত করতেন। তার জন্য আল্লাহর কাছে দো‘আ করতেন। কখনও তিনি হোসাইনকে নিজের কাঁধে উঠাতেন। তাকে কোলে নিয়ে কখনও ছালাত আদায় করেছেন। নিম্নে হোসাইন (রাঃ)-এর অনন্য মর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল।-

(ক) হোসাইন (রাঃ)-এর প্রতি রাসূল (ছাঃ)-এর মহববত ও অনুগ্রহ : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হোসাইন (রাঃ)-কে অত্যন্ত ভালবাসতেন। মহববতের কারণে তাকে পিঠে চড়িয়েছেন, তাকে কোলে নিয়ে ছালাত আদায় করেছেন। যেমন হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَحَبَّ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ فَقَدْ أَحَبَّنِي، وَمَنْ أَبْغَضَهُمَا فَقَدْ أَبْغَضَنِي،

১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হাসান ও হোসাইনকে ভালোবাসে, সে আমাকেই ভালোবাসে এবং যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে সে আমার প্রতিই বিদ্বেষ পোষণ করে’।[22]

২. ইয়াস ইবনু সালামাহ (রহঃ) হ’তে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন একদিন আমি নবী করীম (ছাঃ)-এর আশ-শাহবাহ নামক খচ্চরটি টেনে নিয়ে যাচ্ছিলাম। হাসান ও হোসাইন (রাঃ) তার সামনে-পিছনে বসা ছিলেন। আমি সেটা টেনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর হুজুরার মধ্যে নিয়ে গেলাম।[23]

৩. শাদ্দাদ (রাঃ) বলেন, একদা যোহর অথবা আছরের ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের মাঝে বের হ’লেন। তাঁর কোলে ছিল হাসান অথবা হোসাইন। তিনি সামনে গিয়ে তাকে নিজের ডান পায়ের কাছে রাখলেন। অতঃপর তিনি তাকবীর দিয়ে ছালাত শুরু করলেন। ছালাত পড়তে পড়তে তিনি একটি সিজদা (অস্বাভাবিক) লম্বা করলেন। (ব্যাপার না বুঝে) আমি লোকের মাঝে মাথা তুলে ফেললাম। দেখলাম, তিনি সিজদা অবস্থায় আছেন, আর তাঁর পিঠে শিশুটি চড়ে বসে আছে! অতঃপর পুনরায় আমি সিজদায় ফিরে গেলাম। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ছালাত শেষ করলে লোকেরা তাঁকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনি ছালাত পড়তে পড়তে একটি সিজদা (অধিক) লম্বা করলেন। এর ফলে আমরা ধারণা করলাম যে, কিছু হয়তো ঘটল অথবা আপনার উপর অহী অবতীর্ণ হচ্ছে’। তিনি বললেন, এ সবের কোনটাই নয়। আসলে (ব্যাপার হ’ল), আমার বেটা (নাতি) আমাকে সওয়ারী বানিয়ে নিয়েছিল। তাই তার মন ভরে না দেওয়া পর্যন্ত (উঠার জন্য) তাড়াতাড়ি করাটাকে আমি অপসন্দ করলাম’।[24]

৪. আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) বলেন, তিনি ছালাত পড়তেন, আর সিজদা অবস্থায় হাসান ও হোসাইন তার পিঠে চড়ে বসত। লোকেরা তাদেরকে এমন করতে নিষেধ করলে তিনি ইশারায় বলতেন, ওদেরকে (নিজের অবস্থায়) ছেড়ে দাও। অতঃপর ছালাত শেষ করলে তাদের উভয়কে কোলে বসিয়ে বলতেন, যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে, সে যেন এদেরকে ভালোবাসে’।[25]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، أَبْصَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُقَبِّلُ حُسَيْنًا فَقَالَ: إِنَّ لِي عَشَرَةً مِنَ الْوَلَدِ مَا فَعَلْتُ هَذَا بِوَاحِدٍ مِنْهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لَا يَرْحَمُ لَا يُرْحَمُ

৫. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আক্বরা‘ ইবনু হাবিস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে দেখলেন যে, তিনি হোসাইনকে চুমু খাচ্ছেন। (ইবনু আবী ওমর তার বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যে, তিনি হাসান অথবা হোসাইনকে চুমু খেয়েছেন)। আক্বরা‘ (রাঃ) বলেন, আমার দশটি সন্তান আছে। কিন্তু আমি তাদের কাউকে কখনো চুমু দেইনি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি দয়া করে না সে দয়াপ্রাপ্ত হয় না’।[26]

৬. উসামাহ বিন যায়েদ (রাঃ) বলেন, এক রাতে আমি কোন দরকারে নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে গেলাম। অতএব নবী করীম (ছাঃ) এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে, একটা কিছু তার পিঠে জড়ানো ছিল, যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার দরকার সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কি? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উন্মুক্ত করলে দেখা গেল তার দুই কোলে হাসান ও হোসাইন (রাঃ)। তিনি বললেন, এরা দু’জন আমার পুত্র এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দু’জনকে মহববত করি। সুতরাং তুমি তাদেরকে মহববত কর। আর যে ব্যক্তি এদেরকে মহববত করবে, তুমি তাদেরকেও মহববত কর’।[27] অন্যত্র তিনি বলেন, ‘হোসাইন আমার হ’তে এবং আমি হোসাইন হ’তে। যে লোক হোসাইনকে মহববত করে, আল্লাহ তাকে মহববত করেন। নাতিগণের মাঝে একজন হ’ল হোসাইন’।[28]

عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: بَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَخْطُبُ إِذْ أَقْبَلَ الْحَسَنُ، وَالْحُسَيْنُ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ عَلَيْهِمَا قَمِيصَانِ أَحْمَرَانِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ، فَنَزَلَ وَحَمَلَهُمَا، فَقَالَ: صَدَقَ اللهُ: {إِنَّمَا أَمْوَالُكُمْ وَأَوْلَادُكُمْ فِتْنَةٌ} [التغابن: 15] رَأَيْتُ هَذَيْنِ يَمْشِيَانِ وَيَعْثُرَانِ فِي قَمِيصَيْهِمَا فَلَمْ أَصْبِرْ حَتَّى نَزَلْتُ فَحَمَلْتُهُمَا-

৭. বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন, ইত্যবসরে হাসান ও হোসাইন (রাঃ) আসলেন, তাদের পরিধানে দু’টি লাল জামা ছিল। তাঁরা চলছিলেন ও জামায় আটকে আটকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন মিম্বর থেকে নীচে নেমে আসলেন এবং উভয়কে উঠিয়ে নিলেন আর বললেন, আল্লাহ তা‘আলা সত্যই বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সস্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি পরীক্ষা স্বরূপ’ (তাগাবুন ৬৪/১৫)। আমি এদের দেখলাম যে, এরা চলছিল এবং হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচিছল জামায় আটকে আটকে। তখন আমি ধৈর্যধারণ করতে পারলাম না। অবশেষে নীচে নেমে এসে এদের উঠিয়ে নিলাম’।[29]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُدْلِعُ لِسَانَهُ لِلْحُسَيْنِ، فَيَرَى الصَّبِيُّ حُمْرَةَ لِسَانِهِ، فَيَهَشُّ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ بَدْرٍ: أَلَا أَرَاهُ يَصْنَعُ هَذَا بِهَذَا، فَوَاللهِ إِنَّهُ لَيَكُونُ لِيَ الْوَلَدُ قَدْ خَرَجَ وَجْهُهُ وَمَا قَبَّلْتُهُ قَطُّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لَا يَرْحَمْ لا يرحم-

৮. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হোসাইন (রাঃ)-এর জন্য স্বীয় জিহবা বের করে দিলেন। শিশুটি (হোসাইন) তখন রাসূলের জিহবার লাল রঙ দেখে দ্রুত তার দিকে এগিয়ে গেল। তখন উয়াইনাহ ইবনু হিছন ইবনে বদর বলল, আমি কি তাকে দেখিনি যে, এর সাথে সে এরূপ করছে (জিহবা চুষছে)? আল্লাহর কসম! আমারও সন্তান আছে, তার মুখ থেকে জিহবা বের হয়। কিন্তু আমি কখনও তাকে চুমো দেইনি। তখন নবী করীম (ছাঃ) বললেন, ‘যে ব্যক্তি দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হয় না’।[30]

عَنْ أَبِى لَيْلَى قَالَ كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى صَدْرِهِ أَوْ بَطْنِهِ الْحَسَنُ أَوِ الْحُسَيْنُ. قَالَ فَرَأَيْتُ بَوْلَهُ أَسَارِيعَ فَقُمْنَا إِلَيْهِ فَقَالَ دَعُوا ابْنِى لاَ تُفْزِعُوهُ حَتَّى يَقْضِىَ بَوْلَهُ.

৯. আবু লায়লা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে ছিলাম, তাঁর বুকে বা পেটের উপরে হাসান অথবা হোসাইন (রাঃ) ছিলেন। রাবী বলেন, আমি দেখলাম তার (হাসান বা হুসাইনের) পেশাব দ্রুতগতিতে বের হচ্ছে। আমরা তাকে বাধা দেওয়ার জন্য তার দিকে এগিয়ে গেলাম। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘আমার ছেলেকে (নাতিকে) ছেড়ে দাও। তাকে বাধা দিওনা যতক্ষণ না সে পেশাব শেষ করে’।[31]

(খ) হাসান ও হোসাইন (রাঃ) জান্নাতী যুবকদের সরদার :

হাসান ও হোসাইন (রাঃ) উভয়ে জান্নাতী যুবকদের সরদার হবেন বলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, الحَسَنُ وَالحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الجَنَّةِ، ‘হাসান ও হোসাইন (রাঃ) জান্নাতী যুবকদের সরদার’।[32] অন্যত্র তিনি বলেন,إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ يَنْزِلِ الأَرْضَ قَطُّ قَبْلَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ وَيُبَشِّرَنِي بِأَنَّ فَاطِمَةَ سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الجَنَّةِ وَأَنَّ الحَسَنَ وَالحُسَيْنَ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الجَنَّةِ، ‘একজন ফেরেশতা যিনি আজকের এ রাতের আগে কখনও পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। তিনি আমাকে সালাম করার জন্য এবং আমার জন্য এ সুখবর বয়ে আনার জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে অনুমতি চেয়েছেন যে, ফাতেমা জান্নাতের নারীদের নেত্রী এবং হাসান ও হোসাইন জান্নাতের যুবকদের নেতা’।[33]

(গ)হাসান ও হোসাইন (রাঃ) দুনিয়ার দু’টি সুগন্ধি ফুল :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-কে অত্যধিক ভালবাসতেন। ফলে তাঁদেরকে দুনিয়ার দু’টি সুগন্ধি ফুল হিসাবে অভিহিত করেছেন। ইবনু আবূ নু‘আয়ম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,كُنْتُ شَاهِدًا لاِبْنِ عُمَرَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ. فَقَالَ مِمَّنْ أَنْتَ فَقَالَ مِنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ. قَالَ انْظُرُوا إِلَى هَذَا، يَسْأَلُنِى عَنْ دَمِ الْبَعُوضِ وَقَدْ قَتَلُوا ابْنَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم وَسَمِعْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ هُمَا رَيْحَانَتَاىَ مِنَ الدُّنْيَا. ‘আমি ইবনু ওমর (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে জনৈক ব্যক্তি মশার রক্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, কোন্ দেশের লোক তুমি? সে বলল, আমি ইরাকের বাসিন্দা। ইবনু ওমর (রাঃ) বললেন, তোমরা এর দিকে তাকাও, সে আমাকে মশার রক্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে, অথচ তারা নবী করীম (ছাঃ)-এর সন্তানকে (নাতিকে) হত্যা করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ওরা দু’জন (হাসান ও হোসাইন) দুনিয়াতে আমার দু’টি সুগন্ধি ফুল’।[34]

(ঘ) হোসাইন (রাঃ) আহলে বায়তের অন্তর্গত :

হোসাইন (রাঃ) আহলে বায়ত তথা নবীপরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةً وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ، مِنْ شَعْرٍ أَسْوَدَ، فَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَأَدْخَلَهُ، ثُمَّ جَاءَ الْحُسَيْنُ فَدَخَلَ مَعَهُ، ثُمَّ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَدْخَلَهَا، ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَدْخَلَهُ، ثُمَّ قَالَ: {إِنَّمَا يُرِيدُ اللهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا} [الأحزاب: 33] ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকালে বের হ’লেন। তাঁর পরনে ছিল কালো নকশী করা একটি পশমী চাদর। এ সময়ে হাসান ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনি তাকে চাদরের ভেতর ঢুকিয়ে নিলেন। অতঃপর হোসাইন ইবনু আলী (রাঃ) এলেন, তিনিও চাদরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। এরপর ফাতেমা (রাঃ) এলেন, তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললেন। তারপর আলী (রাঃ) এলেন তাকেও ভেতরে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপর বললেন, হে আহলে বায়ত আল্লাহ তোমাদের হ’তে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করে তোমাদের পবিত্র করতে চান’ (আহযাব ৩৩/৩০)[35]

(ঙ) হাসান-হোসাইন (রাঃ)-এর জন্য রাসূল (ছাঃ) দো‘আ করেন :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-এর জন্য শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী ও মানুষের কুদৃষ্টি থেকে আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-এর জন্য নিম্নোক্ত দো‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন এবং বলতেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আঃ) ইসমাঈল ও ইসহাক (আঃ)-এর জন্য দো‘আ পড়ে পানাহ চাইতেন। আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমার দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হ’তে পানাহ চাচ্ছি’।[36]

বিজয়াভিযানে অংশগ্রহণ :

হোসাইন (রাঃ) তাঁর জীবদ্দশায় অনেক বিজয় অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-

সাঈদ ইবনুল আছ-এর অধীনে জুরজান অভিযানে এবং আব্দুল্লাহ ইবনু আবী সারহ-এর সাথে আফ্রিকা অভিযানে হোসাইন (রাঃ) অংশগ্রহণ করেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আবী সারহ মিশরের গভর্ণর থাকাকালে ২৭ হিজরীতে দক্ষিণ আফ্রিকা অভিযানে, ৩০ হিজরীতে সাঈদ ইবনুল আছ-এর নেতৃত্বে ত্বাবারিস্তান অভিযানে হোসাইন (রাঃ) অংশগ্রহণ করেন। সে বাহিনীতে হাসান, হোসাইন ছাড়াও আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস, আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর, আমর ইবনুল আছ ও আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের প্রমুখ ছাহাবীগণ ছিলেন।[37] অনুরূপভাবে মু‘আবিয়া বিন আবু সুফিয়ান (রাঃ)-এর শাসনামলে ৫১ হিজরীতে ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়ার নেতৃত্বে কনস্টান্টিনোপল যুদ্ধেও তিনি অংশগ্রহণ করেন।[38]

[ক্রমশঃ]

[1]. ড. মুহাম্মাদ ইবনুল হাদী আশ-শায়বানী, আল-ক্বাওলুস সাদীদ ফী সীরাতিল হোসাইন আশ-শাহীদ, (কুয়েত : মাবাররাতুল আলি ওয়াল আছহাব, ১ম প্রকাশ, ১৪৩১ হি./২০১০ খৃ.), পৃ. ১৯।

[2]. হাফেয শামসুদ্দীন আয-যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/২৮০ পৃ.; হাফেয ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/১৪৯।

[3]. ইবনু সা‘দ, আত-ত্বাক্বাতুল কুবরা, ১/৩৬৯ পৃ. ১৭।

[4]. ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তি‘আব ফী মা‘রিফাতিল আছহাব (বৈরূত: দারুল জীল, ১ম প্রকাশ, ১৪১২হি./১৯৯২খৃ.), ১/৩৮৪; ইবনু হাজার আসক্বালানী, আল-ইছাবাহ ২/৫৪৭।

[5]. আল-ইস্তি‘আব, ১/১৮৪ পৃ.।

[6]. আল-ইছাবাহ ২/৫৪৭।

[7]. আহমাদ হা/৭৬৯; হাকেম হা/৪৭৭৩; ছহীহ ইবনে হিববান হা/৬৯৫৮, শু‘আইব আরনাউত্ব এর সনদ হাসান বলেছেন।

[8]. আবূদাউদ হা/২৮৪১; ইরওয়া হা/১১৬৭, সনদ ছহীহ।

[9]. তিরমিযী হা/১৫১৯, সনদ হাসান; ইরওয়া হা/১১৭৫।

[10]. ইরওয়া ৪/৪০৩, হা/১১৭৫-এর আলোচনা দ্রঃ।

[11]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/১৪৯।

[12]. তিরমিযী হা/৩৭৭৮; মিশকাত হা/৬১৭০; ছহীহ ইবনু হিববান হা/৬৯৭২, সনদ ছহীহ।

[13]. বুখারী হা/৩৭৪৮।

[14]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৮/১৫০।

[15]. আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ৩৬-৩৭।

[16]. তিরিমিযী হা/১৭৪৩; মাওকূফ ছহীহ, মুখতাছার শামাইল হা/৮২।

[17]. আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ৩৭।

[18]. আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ৪৪।

[19]. সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা, ৩/২৮০ পৃ.; আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ৪৪-৪৫।

[20]. আল-ক্বাওলুস সাদীদ, পৃঃ ৪৬-৫৬।

[21]. ঐ।

[22]. ইবনু মাজাহ হা/১৪৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৯৫৪।

[23]. মুসলিম হা/২৪২৩; তিরমিযী হা/২৭৭৫।

[24]. আহমাদ হা/১৬১২৯; নাসাঈ হা/১১৪১, সনদ হাসান।

[25]. ইবনে খুযাইমা ৮৮৭; বায়হাক্বী ৩২৩৭; ছহীহাহ হা/৩১২।

[26]. মুসলিম হা/২৩১৮; তিরমিযী হা/১৯১১।

[27]. তিরমিযী হা/৩৭৬৯; মিশকাত হা/৬১৬, তাহক্বীক্ব ছানী, সনদ হাসান।

[28]. তিরমিযী হা/৩৭৭৫; ইবনু মাজাহ হা/১৪৪; ছহীহাহ হ/১২২৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৩১৪৬।

[29]. নাসাঈ হা/১৫৮৫, সনদ ছহীহ।

[30]. ছহীহ ইবনে হিববান হা/৬৯৭৫, শু‘আইব আরনাউত্ব বলেন, এর সনদ হাসান।

[31]. মুসনাদ আহমাদ হা/১৯০৮২, সনদ ছহীহ।

[32]. তিরমিযী হা/৩৭৬৮; ছহীহাহ হা/৭৯৬; মিশকাত হা/৬১৬৩।

[33]. তিরমিযী হা/৩৭৮১; মিশকাত হা/৬১৭১; ছহীহাহ হা/২৭৮৫।

[34]. বুখারী হা/৩৭৫৩, ৫৯৯৪; তিরমিযী হা/৩৭৭০।

[35]. মুসলিম হা/২৪২৪; মিশকাত হা/৬১২৭।

[36]. বুখারী হা/৩৩৭১; আবুদাউদ হা/৪৭৩৭; মিশকাত হা/১৫৩৫।

[37]. জামালুদ্দীন আবুল ফারজ আব্দুর রহমান আল-জাওযী (৫৯৭ হিঃ), আল-মুন্তাযাম ফী তারীখিল উমাম ওয়াল মুলূক (বৈরূত : দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, ১ম প্রকাশ, ১৪১২ হিঃ/১৯৯২ খ্রিঃ), ৫/৭ পৃঃ।

[38]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ৮/১৫১পৃঃ।






উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারিছ (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
ইসলামের প্রথম দাঈ, ওহোদের ঝান্ডাবাহী শহীদ ছাহাবী মুছ‘আব বিন ওমায়ের (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
যয়নাব বিনতু খুযাইমা (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
হোসাইন বিন আলী (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
উম্মুল মুমিনীন ছাফিয়া (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
শেরে পাঞ্জাব, ফাতিহে কাদিয়ান মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী (রহঃ) (৪র্থ কিস্তি) - ড. নূরুল ইসলাম
হাসান বিন আলী (রাঃ)(শেষ কিস্তি) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
রায়হানা বিনতু শামঊন (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
খুবায়েব বিন আদী (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
উম্মু হাবীবা বিনতু আবী সুফিয়ান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
উক্কাশা বিন মিহছান (রাঃ) - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আরও
আরও
.