ভূমিকা : পৃথিবীর সকল কিছুর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা হচ্ছেন আল্লাহ। তিনি যেমন মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তেমনি সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপযুক্ত আবাসভূমি দুনিয়া। আর দুনিয়ার মধ্যে কতিপয় স্থানকে বিশেষ মর্যাদামন্ডিত করেছেন। তন্মধ্যে পবিত্র কা‘বা গৃহের অবস্থান সবার শীর্ষে। যাকে আল্লাহ মুক্বীম, মুসাফির, ত্বাওয়াফকারী ও ই‘তেকাফকারীদের জন্য সর্বদা পবিত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছেন (বাক্বারাহ ২/১২৭)। পবিত্র কা‘বা গৃহ সারা বিশ্বের সকল মুসলিমের মিলনকেন্দ্র। যেখানে প্রতিদিন হাযার হাযার মুসলিম জমায়েত হয়ে ওমরাহ, ছালাত, ত্বাওয়াফ সহ বিভিন্ন ইবাদত করে থাকেন। প্রত্যেক মুমিনের হৃদয় তার সাথে ঝুলন্ত থাকে। কখন সেখানে গিয়ে হজ্জ-ওমরাহ কিংবা ছালাত আদায় করতে পারবেন সেই ব্যাকুলতা নিয়েই তারা দিনাতিপাত করেন। কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষীরা মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় দুনিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা পবিত্র কা‘বা গৃহকে কলূষিত করার চেষ্টা করবে না তা কি হয়? আর তাইতো তারা পবিত্র কা‘বার নীচে ৯৯ জন নবীর কবর আছে মর্মে কিছু জাল বর্ণনা বানিয়ে মুসলিমদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। যাতে করে মুসলমানদের হৃদয়ে পবিত্র কা‘বা গৃহ সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আর কিছু সরল মুসলিম জাল হাদীছগুলোর কোন প্রকার তাহক্বীক্ব না করে জনসমাজে প্রচার করে চলেছে। কিছু আলেমের এহেন অজ্ঞতার ফলে সাধারণ মুসলমানদের অন্তরে খটকার সৃষ্টি হয় যে, আমরা কি তাহ’লে কবরস্থান তাওয়াফ করছি? বা কবরস্থানে ছালাত আদায় করছি? স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেখানে তাওয়াফ ও ছালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। নিম্নে এ সম্পর্কে দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা করা হ’ল।-
কবরের উপর মসজিদ নির্মাণের হুকুম :
কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা হারাম। এভাবে মসজিদ নির্মাণ করা ইহূদী-খৃষ্টানদের বৈশিষ্ট্য। কবরের উপর মসজিদ নির্মাণকারীদের উপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লা‘নত করেছেন। এমনকি তাদেরকে সমগ্র সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি বলে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে রোগে নবী করীম (ছাঃ)-এর মৃত্যু হয়েছিল, সে রোগাক্রান্ত অবস্থায় তিনি বলেছিলেন, لَعَنَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسْجِدًا ‘ইহূদী-খৃষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, সে আশঙ্কা না থাকলে নবী করীম (ছাঃ)-এর কবরকে উন্মুক্ত রাখা হ’ত। কিন্তু আমি আশঙ্কা করি যে, (উন্মুক্ত রাখা হ’লে) একে মসজিদে পরিণত করা হবে।[1]
অপর একটি হাদীছে এসেছে. আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উম্মু সালামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট তাঁর হাবশায় দেখা মারিয়া নামক একটা গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। তিনি সেখানে যেসব প্রতিচ্ছবি দেখেছিলেন, সেগুলোর বর্ণনা দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, أُولَئِكَ قَوْمٌ إِذَا مَاتَ فِيهِمُ الْعَبْدُ الصَّالِحُ أَوِ الرَّجُلُ الصَّالِحُ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، أُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللهِ- ‘এরা এমন সম্প্রদায় যে, এদের মধ্যে কোন সৎ বান্দা অথবা কোন সৎ লোক মারা গেলে তারা তাদের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করত। আর তাতে ঐসব ব্যক্তির প্রতিচ্ছবি স্থাপন করত। এরা আল্লাহর নিকট নিকৃষ্টতম সৃষ্ট’।[2]
অন্য একটি হাদীছে এসেছে, জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর মাত্র পাঁচদিন পূর্বে তাঁকে বলতে শুনেছি যে, أَلاَ وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوا يَتَّخِذُونَ قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيهِمْ مَسَاجِدَ أَلاَ فَلاَ تَتَّخِذُوا الْقُبُورَ مَسَاجِدَ إِنِّى أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ. ‘সাবধান! তোমাদের পূর্বের যূগের লোকেরা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবরসমূহকে মসজিদ হিসাবে গ্রহণ করত। সাবধান তোমরা কবরসমূহকে মসজিদ বা সিজদার স্থান বানাবে না। আমি এরূপ করতে তোমাদেরকে নিষেধ করে যাচ্ছি’।[3]
আরেকটি হাদীছে এসেছে, জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُجَصَّصَ الْقَبْرُ وَأَنْ يُقْعَدَ عَلَيْهِ وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهِ. ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে ও কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন’।[4]
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবূ মারসাদ আল-গানবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, لاَ تَجْلِسُوا عَلَى الْقُبُوْرِ وَلاَ تُصَلُّوا إِلَيْهَا، ‘তোমরা কখনো কবরের উপর বসবে না এবং কবরের দিকে মুখ করে ছালাতও আদায় করবে না’।[5]
সম্মানিত পাঠক! উপরোল্লিখিত হাদীছ সমূহ থেকে দিবালোকের ন্যয় স্পষ্ট হয় যে, কবরকে মসজিদ বানানো কিংবা কবরের দিকে মুখ করে ছালাত আদায় করা হারাম। যেখানে কবর কেন্দ্রিক মসজিদ তৈরীর উপর এত কঠোরতা, সেখানে পবিত্র কা‘বা গৃহের ন্যায় পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট মসজিদ কবরস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন কথা কি কোন সুস্থ বিবেক সম্পন্ন মানুষ বিশ্বাস করতে পারে?
সম্মানিত পাঠক! নদীতে জাল নিক্ষেপ করলে জালে আটকে পড়া সবকিছুই যেমন গ্রহণ করা যায় না, সাপ ব্যাঙ ফেলে দিয়ে শুধু মাছ গ্রহণ করতে হয়; তেমনি কোন কিতাবে কোন কিছু পেলেই তাকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করা যায় না। তার মান যাচাই করতে হয়। যঈফ, মুনকার, মাওযূ বা জাল হাদীছ ফেলে দিয়ে কেবল ছহীহ হাদীছ গ্রহণ করতে হয়। পবিত্র কা‘বা গৃহের নীচে ৯৯ জন নবীর কবর রয়েছে মর্মে একটি বর্ণনা উল্লেখ করা হয়। মূলতঃ তা হাদীছ নয়, বরং আছার। যা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তা ছহীহ সূত্রে প্রমাণিত নয়। আছারটি নিম্নরূপ-
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَابِطٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ إِذَا هَلَكَتْ أُمَّتُهُ لَحِقَ بِمَكَّةَ فَيَتَعَبَّدُ فِيهَا النَّبِيُّ، وَمَنْ مَعَهُ حَتَّى يَمُوتَ فِيهِ، فَمَاتَ بِهَا نُوحٌ، وَهُودٌ، وَصَالِحٌ، وَشُعَيْبٌ، وَقُبُورُهُمْ بَيْنَ زَمْزَمَ وَالْحَجَرِ-
‘মুহাম্মাদ ইবনে সাবেত নবী করীম (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, নবীগণের উম্মত যখন (নবীদের কথা না মানার কারণে) ধ্বংস হয়, তখন নবীগণ মক্কায় অবস্থান নেন। সেখানে মৃত্যু পর্যন্ত নবী ও তাঁর সাথীরা ইবাদত করতে থাকেন। এর সূত্র ধরে সেখানে মৃত্যুবরণ করেছেন নূহ (আঃ), হূদ (আঃ), ছালেহ (আঃ) এবং শু‘আইব (আঃ)। আর তাঁদের কবর সমূহ যমযম ও হাজারে আসওয়াদের মাঝখানে রয়েছে।[6]
প্রথমতঃ বাহ্যিক দৃষ্টিতে এটিকে হাদীছ মনে হ’লেও তা হাদীছ নয়, বরং এটি আছার। কেননা রাবী মুহাম্মাদ ইবনে সাবেত (রহঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবী ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একজন তাবেঈ। দ্বিতীয়তঃ আছারটি ছহীহ সূত্রে প্রমাণিত নয়। যার কারণে তা দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ সাঈদ দিমাশক্বী (রহঃ) বলেন, هذا الأثر لا يصح عن رسول الله صلى الله عليه وسلم لأنه مرسل ، فمحمد بن سابط ليس من الصحابة، وقد نظرت في الإصابة لابن حجر فلم أجده ذكره- ‘এই আছারটি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ সূত্রে বর্ণিত নয়। কেননা তা মুরসাল। মুহাম্মাদ ইবনে সাবেত ছাহাবায়ে কেরামের অন্তর্ভুক্ত নন। আমি ইবনে হাজার আসক্বালানী (রহঃ) প্রণীত আল-ইছাবাহ গ্রন্থ দেখেছি। কিন্তু সেখানে তার নাম পাইনি।[7] ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন (রহঃ) বলেন, لا يحتج به ‘আছারটি দলীলযোগ্য নয়’।[8] ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন,
روى ابن جرير والأزرقي عن عبدالرحمن بن سابط أو غيره من التابعين مرسلاً أن قبر نوح عليه السلام بالمسجد الحرام، والمرسل من أنواع الحديث الضعيف.
‘ইবনু জারীর এবং আযরাক্বী (রহঃ) আব্দুর রহমান ইবনু সাবেত (রহঃ) অথবা অন্যান্য তাবেঈদের থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নূহ (আঃ)-এর কবর মসজিদুল হারামে রয়েছে। এটি মুরসাল যঈফ হাদীছের অন্তর্ভুক্ত।[9] আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ সাঈদ দিমাশক্বী (রহঃ) বলেন,
هذا الأثر ليس مرفوعاً إلى النبي صلى الله عليه وسلم، فراويه تابعي، ومثل هذا الخبر لايقال بالرأي، بل لابد فيه من دليل صحيح من الكتاب والسنة، وإذا كان كذلك فلا يحتج به، فلا يحتج إلا بما ثبت عن رسول الله، وهذا ليس قولاً لرسول الله صلى الله عليه وسلم، بل هو قول تابعي، وديننا لانأخذه إلا مما ثبت عنه عليه الصلاة والسلام .
‘এই আছারটি নবী করীম (ছাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেনি। বরং এর বর্ণনাকারী একজন তাবেঈ। আর এমন সংবাদের ব্যাপারে মস্তিষ্ক প্রসূত কিছু বলা যায় না। বরং এর জন্য কুরআন ও সুন্নাতের ছহীহ দলীল আবশ্যক। যদি বর্ণনাটি এমন (কুরআন ও সুন্নাতের ছহীহ দলীল বিহীন) হয় তাহ’লে তা দলীল হিসাবে গৃহীত হবে না। সরাসরি রাসূল (ছাঃ) থেকে সাব্যস্ত না হ’লে দলীল হিসাবে গৃহীত হবে না। আর এটা রাসূল (ছাঃ)-এর কথা নয়; বরং একজন তাবেঈর কথা। আমরা আমাদের দ্বীন রাসূল (ছাঃ) থেকে সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত গ্রহণ করব না।[10] এছাড়াও এ মর্মে আরো কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়; যার সবগুলোই যঈফ কিংবা জাল। তাই এগুলোকে দলীল হিসাবে উপস্থাপন করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ، ‘যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত আমার উপর মিথ্যারোপ করল সে তার স্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল’।[11]
সম্মানিত পাঠক! পবিত্র কা‘বা গৃহ পৃথিবীর সর্বপ্রথম ইবাদতগৃহ। যার ভিত্তি স্থাপন করেন ফেরেশতামন্ডলী। এরপর আদম (আঃ) থেকে শুরু করে অনেক বার সংস্কার করা হয়। আল্লাহ বলেন,إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ ‘নিশ্চয়ই প্রথম ইবাদতগৃহ, যা মানবজাতির জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা অবশ্যই মক্কায়। যা বরকতমন্ডিত এবং বিশ্ববাসীর জন্য পথ নিদর্শক’ (আলে-ইমরান ৩/৯৬)। তাই বিষয়টি যদি এমনই হয় যে, পবিত্র কা‘বা সর্বপ্রথম ইবাদতগৃহ; যার অস্তিত্ব প্রথিবীর শুরু থেকেই। তাহ’লে কা‘বার নিচে কখন ও কিভাবে কবর আসল? এর জবাব কি দেওয়া সম্ভব? অতএব আসুন! কোন গ্রন্থে কিছু পেলে তা যথাযথভাবে তাহক্বীক্ব না করে গ্রহণ ও প্রচার করা থেকে বিরত থাকি। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন!!
মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব।
[1]. বুখারী হা/১৩৩০।
[2]. বুখারী হা/৪৩৪; মুসলিম হা/৫২৮।
[3]. মুসলিম হা/৫৩২; মিশকাত হা/৭১৩।
[4]. মুসলিম হা/৯৭০।
[5]. মুসলিম হা/৯৭২; তিরমিযী হা/১০৫০; মিশকাত হা/১৬৯৮।
[6]. আখবারে মক্কা, আযরাক্বী পৃঃ ২/১২৫; তাফসীরে কুরতুবী পৃঃ ২/১৩০।
[7]. আহাদীছ ইয়ুহতাজ্জু বিহাশ শী‘আ, আব্দুর রহমান মুহাম্মাদ সাঈদ দিমাশক্বী (রহঃ), ১/৪৩৩।
[8]. তদেব।
[9]. আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ পৃঃ ১/১৩৭; ক্বাছাছুল আম্বিয়া, ইবনু কাছীর ১/১১৯ পৃঃ।
[10]. আহাদীছ ইয়ুহতাজ্জু বিহাশ শীআ, ১/৪৩৩।
[11]. বুখারী হা/১২৯১; মুসলিম হা/৩।