ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ)-এর খেলাফতকাল ছিল ইসলামের ইতিহাসের এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় খলীফা ও জনসাধারণের মাঝে ছিল গভীর সম্পর্ক। খলীফা তাদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি খুব বেশী দৃষ্টি রাখতেন। জনসাধারণও তাদের অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশার কথা খলীফাকে বলার সুযোগ পেত। এমনকি সাধারণ মানুষ খলীফার নিকটে তাদের স্থানীয় আমীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও কোন ভয় পেত না। ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে বিভিন্ন স্থান জয় লাভের ফলে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিধি ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল।  বিজয়ী অঞ্চল সমূহে গভর্ণর নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেন। আল­াহভীরু ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোকদেরকেই গভর্ণর হিসাবে পাঠানো হ’ত। ১৫ হিজরীতে শাম (সিরিয়া অঞ্চল) বিজয়ের পর খলীফা ওমর (রাঃ) তার দরবারে সাঈদ ইবনু ‘আমের (রাঃ)-কে ডেকে পাঠালেন এবং তাকে সিরিয়ার ‘হিমছ’ শহরের গভর্ণরের দায়িত্ব প্রদানের প্রস্তাব করলেন। তখন সাঈদ বিন আমের (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু‘মিনীন! আপনি এ দায়িত্ব দিয়ে আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না, আমি আপনাকে এ সুযোগ দিতে চাই না যে, আপনি আমার কাঁধে দায়িত্ব চাপিয়ে দিবেন, অতঃপর আমাকে পরিত্যাগ করবেন। ওমর (রাঃ) বললেন, আমরা তো আপনার জন্য সম্মানী নির্ধারণ করে দিব না? তিনি বললেন, আল­াহ তা‘আলা আমার জন্য যে পর্যাপ্ত রিযিক নির্ধারণ করেছেন, তাই তো আমার প্রয়োজনের অতিরিক্ত। তিনি যখন বাজারে যেতেন অর্ধেক টাকা দিয়ে পরিবারের জন্য বাজার করতেন আর বাকী অর্ধেকটা দান করে দিতেন। তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন ঋণ পরিশোধ করেছি (অর্থাৎ দান করার মাধ্যমে জান্নাতের পথ প্রশস্ত করেছি)। লোকেরা এসে তাকে বলত, আপনার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের আপনার প্রতি কিছু অধিকার রয়েছে। তখন তিনি বলতেন, আমি তো জান্নাতের হুরদের উপর তাদের প্রাধান্য দিতে পারি না।

যাইহোক অবশেষে খলীফা ওমর ফারূক (রাঃ) সাঈদ ইবনু ‘আমের (রাঃ)-কে ‘হিমছে’র গভর্ণর নিয়োগ করে পাঠালেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বায়তুল মালে ‘হিমছ’ থেকে আগত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকল। এসময় কেন্দ্র থেকে জনগণের সমস্যার প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টি রাখা হ’ত। বিভিন্ন এলাকা থেকে গরীব-মিসকীন ও অসহায়-দু’স্থদের তালিকা সংগ্রহ করে বায়তুল মাল থেকে তাদেরকে সাহায্য করা হ’ত। এ তালিকা ওমর ফারূক (রাঃ) নিজেই তদারকি করতেন এবং উপযুক্ততার বিচারে সাহায্যের পরিমাণ তিনিই নির্ধারণ করতেন।

একবার হিমছবাসীদের একটি দল মদীনায় আসল। ওমর ফারূক (রাঃ) তাদের মধ্যে কিছু বিশ্বস্ত লোকদেরকে বললেন, তোমাদের অঞ্চলের অভাবী-দরিদ্র লোকদের একটি তালিকা আমাকে দাও, যাতে তাদেরকে বায়তুল মাল থেকে সাহায্য করা যায়। ঐ অঞ্চলের অভাবী লোকদের তালিকা ওমর ফারূক (রাঃ)-এর সামনে পেশ করা হ’লে তিনি গভীরভাবে নামগুলো দেখলেন। হঠাৎ তাঁর সামনে সাঈদ বিন ‘আমের (রাঃ)-এর নাম ভেসে উঠল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সাঈদ বিন ‘আমের কে? তারা বলল, আমাদের গভর্ণর। তিনি বললেন, তোমাদের গভর্ণর অভাবী? তারা বলল, আল­াহর কসম! দিনের পর দিন অতিবাহিত হয়ে যায় অথচ তার চুলায় আগুন জ্বলে না।

খলীফাতুল মুসলিমীন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। কাঁদতে কাঁদতে তাঁর দাড়ি ভিজে গেল। তিনি ঐ দলকে এক হাযার দীনার দিয়ে বললেন, তোমরা এটা সাঈদ ইবনু ‘আমেরকে দিয়ে বলবে, আমীরুল মুমিনীন এ উপহার প্রেরণ করেছেন, যাতে আপনি আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন। ‘হিমছ’ পৌঁছে তারা গভর্ণরের সাথে সাক্ষাৎ করে খলীফার পয়গাম ও আমানত হস্তান্তর করল।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ওমর (রাঃ) একবার সাঈদ ইবনু ‘আমেরকে বললেন, সিরিয়াবাসী আপনাকে খুব ভালবাসে। তখন তিনি বললেন, তারা তো ভালবাসবেই। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি আবার তাদের বিপদাপদে সাহায্যও করি। খলীফা ওমর (রাঃ) বললেন, আপনি এই দশ হাযার দীনার গ্রহণ করুন এবং পরিবারের জন্য খরচ করুন। সাঈদ ইবনু ‘আমের বললেন, আমীরুল মুমিনীন! আপনি এগুলি আমার চেয়ে অনেক দরিদ্র মানুষ সমাজে রয়েছে তাদেরকে দান করুন। এ কথা শুনে ওমর (রাঃ) বললেন, রাসূল (ছাঃ) আমাকে এরূপ কিছু দান করেছিলেন, আমি তোমার মতই জওয়াব প্রদান করলে তিনি আমাকে বলেছিলেন, যখন আল­াহ তা‘আলা তোমাকে অন্তরের আসক্তি ও প্রার্থনা ব্যতীতই কোন সম্পদ দান করবেন তখন তুমি তা গ্রহণ করবে। কেননা সেটা এমন খাদ্য, যা আল­াহ তোমাকে দান করেছেন (ছহীহুল জামে‘ হা/২৫৬; কানযুল ঊম্মাল হা/১৬৮১৭)

তিনি বললেন, আপনি কি এ হাদীছ রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণনা করছেন? ওমর (রাঃ) বললেন, হ্যা। তখন তিনি তা নিয়ে বাসায় ফিরলেন এবং বার বার বলতে থাকলেন, ‘ইন্না লিল­াহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন’। তাঁর অবস্থা দেখে স্ত্রী হয়রান হয়ে জিজ্ঞেস করল, আপনার কি বিপদ হ’ল? এমন হয়নি তো যে, আমীরুল মুমিনীন ইন্তেকাল করেছেন? তিনি বললেন, না। বরং এর চেয়েও বড় বিপদ। স্ত্রী বলল, মুসলমানরা কি কোথাও পরাজিত হয়েছে? তিনি বললেন, না। বরং এর চেয়েও বড় বিপদ হয়ে গেছে। সম্পদ আমার পরকাল বিনষ্ট করতে চায়। ঘরে ফেতনা সৃষ্টিকারী প্রবেশ করেছে। স্ত্রী বলল, তাহ’লে তা থেকে মুক্ত হয়ে যান। ঘরের লোকরা জানতো না যে, এ সমস্যার সম্পর্ক সম্পদের সাথে। তিনি বললেন, ওহে স্ত্রী! তুমি কি এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করবে?। সে বলল, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, এ সম্পদ গুলো আমীরুল মুমিনীন দিয়েছেন, তুমি চাইলে এগুলো আমরা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতঃ তার লভ্যাংশ পরিবারের জন্য ব্যয় করতে পারি এবং মূলধন জমা রাখতে পারি। আবার তুমি চাইলে এগুলো জমা রেখে ধীরে ধীরে পরিবারের প্রয়োজন মিটাতে পারি। স্ত্রী বলল, না বরং এগুলো ব্যবসায় বিনিয়োগ করে তার লভ্যাংশ দিয়ে পরিবার পরিচালনা করুন এবং মূলধন অবশিষ্ট থাক। অতঃপর সেগুলো একটা বস্তায় রাখা হ’ল। সাঈদ ইবনু ‘আমের প্রতি রাতে একটি  করে ব্যাগ বের করতে থাকলেন এবং গরীব-দুঃখী ও অভাবীদের মাঝে দান করতে থাকলেন। এভাবে অল্প কিছু বাকী রেখে তিনি মারা গেলেন।

এদিকে ওমর ফারূক (রাঃ) তার দেওয়া দশ হাযার দীনার সাঈদ (রাঃ) কোন পথে ব্যয় করেছেন। তা জানার জন্য লোক পাঠালেন। তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হ’লে সে তার দানশীলতার সব ঘটনা খুলে বলল। ফলে তারা সাঈদকে পেল এমন ব্যক্তি হিসাবে, যে পরকালের জন্য সবকিছু দান করে দিয়েছেন। ওমর (রাঃ) এ সংবাদ শুনে খুশী হয়ে বললেন, আল­াহ তার প্রতি দয়া করুন। কতই না সুন্দর তার ধ্যান-ধারণা।

একবার ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ‘হিমছে’ গমন করলেন। ঐ সময়ে তাকে ছোট কুফা বলা হ’ত। কারণ হিমছবাসীরা গভর্ণরের বিরুদ্ধে বেশী বেশী অভিযোগ করত। আর কুফাবাসীদেরকে তো এ ব্যাপারে দৃষ্টান্ত হিসাবে পেশ করা হয়। তিনি এলাকাবাসীকে জিজ্ঞেস করলেন, গভর্ণর সম্পর্কে তোমাদের অভিমত ও অভিযোগ কি? তার উপস্থিতিতে তারা তার বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগ পেশ করল।-

১. রৌদ্র প্রখর হওয়ার পর তিনি মানুষের সাথে সাক্ষাত করেন, এর পূর্বে তার সাথে সাক্ষাত করা বড় কষ্টকর। খলীফা ওমর (রাঃ) সাঈদ বিন ‘আমের (রাঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, আমীরুল মুমিনীন! আমি আপনাদেরকে বলতে চাচ্ছিলাম না; কিন্তু বাস্তবতা হ’ল, আমার কোন খাদেম নেই, আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকে। তাই আমি নিজে আটা তৈরী করি। এরপর তা খামীর করে রুটি তৈরী করি। ইতিমধ্যে এশরাকের ছালাতের সময় হয়ে যায়। তখন আমি ছালাত আদায় করি। অতঃপর রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড শুরু করি।

ওমর ফারূক (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন তোমাদের দ্বিতীয় অভিযোগ কী? তারা বলল, তিনি রাতে কারো সাথে সাক্ষাত করেন না। ওমর ফারূক (রাঃ) বললেন, সাঈদ এর কারণ কি? তিনি বললেন, আমি তা বলতে চাচ্ছিলাম না। মূলতঃ আমি দিবসের পুরোটাই মানুষের খেদমতের জন্য ওয়াক্ফ করে দিয়েছি। আর রাত্রিকালীন সময় আমার প্রভুর জন্য ওয়াক্ফ করেছি।

খলীফা জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের তৃতীয় অভিযোগ কি?  তারা বলল, মাসে একদিন তিনি ঘর থেকে বেরই হন না। উত্তরে সাঈদ বিন ‘আমের (রাঃ) বললেন, আমীরুল মুমিনীন! আমার কোন খাদেম নেই। আমার পরিধানের মত যে এক জোড়া কাপড় আছে, মাসে একদিন নিজেই তা ধৌত করি এবং তা শুকানোর জন্য বিকাল পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হয়। তাই বের হ’তে আমার সন্ধ্যা হয়ে যায়।

খলীফা ওমর (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের চতুর্থ অভিযোগ কি? তারা বলল, তিনি মাঝে মধ্যেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। সাঈদ (রাঃ) বললেন, আমি মুশরিক কুরায়েশদের মাঝে ছিলাম। যারা মক্কায় খুবায়েব ইবনু আদী আনছারী (রাঃ)-কে শূলে চড়িয়ে হত্যা করার সময় তার শরীর বর্শার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করছিল আর বলছিল, ‘তুমি কি চাও তোমার স্থানে মুহাম্মাদ (ছাঃ) হোক, আর তুমি স্বীয় কওমের মাঝে নিরাপদে অবস্থান কর?’। খুবায়েব (রাঃ) বললেন, ‘আল­াহর কসম! আমি চাই না যে, তাঁর শরীরে সামান্য কাঁটাও বিদ্ধ হোক, আর আমি আমার পরিবার বর্গের মাঝে আনন্দে থাকি’।

যখনই ঐ দৃশ্য আমার মানসপটে ভেসে ওঠে যে, এ অন্যায় কাজে আমি তাদেরকে সহযোগিতা করেছিলাম এবং খুবায়েবকে সাহায্য করা থেকে বিরত ছিলাম, তখনই লজ্জা-শরমে ও ভয়ে আমি সংজ্ঞাহীন হয়ে যাই। আমার মনে হয় এ জন্য আল­াহ আমাকে ক্ষমা করবেন না এবং কিয়ামতের ঘোরতর বিপদের দিনে এর জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন। আফসোস! আমি যদি ঐ সময় মুসলমান হ’তাম আর খুবায়েব (রাঃ)-কে সাহায্য করতাম! কাফেরদেরকে বাধা দিতাম! অথবা খুবায়েব (রাঃ)-এর সাথে শহীদ হয়ে যেতাম!!

ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) যখন এ সমস্ত উত্তর শুনলেন তখন বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল­াহর জন্য। আমি যাকে নেতৃত্বের জন্য বাছাই করেছি, সে দুর্বল নয়। অতঃপর তিনি তাকে এক হাযার দিনার হাদিয়া দিলেন। যাতে তিনি তার সংসারের প্রয়োজন মিটাতে পারেন। সাঈদ (রাঃ)-এর স্ত্রী তা দেখে বলল, এ দিয়ে আমরা আমাদের চলাচলের জন্য কোন যানবাহন এবং খাদেমের ব্যবস্থা করতে পারব। তখন সাঈদ (রাঃ) স্ত্রীকে বললেন, এর চেয়ে উত্তম জিনিস কেন গ্রহণ করব না। সে বলল, তা কি? তিনি বললেন, এগুলো আল­াহর পথে ব্যয় করে তাঁর কাছ থেকে এর প্রতিদান নিব। নেককার স্ত্রী মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে বলল, ভাল কথা। আল­াহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। অতঃপর তিনি নিজের পরিবারের কোন একজনকে ডেকে বললেন, এ দীনারগুলি নিয়ে গিয়ে অমুক ইয়াতীমকে এত দিবে, অমুক মিসকীনকে এত দিবে, অমুক বিধবাকে এত দিবে, অমুক অভাবীকে এত দিবে। এভাবে পুরো অর্থই ঐ বৈঠকে বিলি করার নির্দেশ দিলেন। আল­াহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হউন (ইবনু  আসাকের, তারীখু দিমাশক ২১/১৬০-১৭০; ইবনুল জাওযী, ছিফাতুছ ছাফওয়া ১/৬৬৫; আবু নাঈম ইস্পাহানী, হিলয়াতুল আওলিয়া ১/২৪৫-২৪৭)

আব্দুর রহীম

শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী






ইবনুল মুবারক (রহঃ)-এর জীবনী থেকে কতিপয় শিক্ষণীয় ঘটনা - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
খলীফা হারূনুর রশীদের নিকটে প্রেরিত ইমাম মালেক (রহঃ)-এর ঐতিহাসিক চিঠি (২য় কিস্তি) - ইহসান ইলাহী যহীর
তাতারদের আদ্যোপান্ত (শেষ কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
ইসলামী শাসনের একটি নমুনা - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
মহামারী থেকে আত্মরক্ষায় বিদ‘আতী আমলের পরিণতি - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
কাযী শুরাইহ-এর ন্যায়বিচার - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
ধৈর্যের অনন্য দৃষ্টান্ত - আবু রাযিয়া, নিয়ামতপুর, নওগাঁ
আবু দাহদাহ (রাঃ)-এর দানশীলতা - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক-এর গোপন আমল - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব
অভাবী গভর্ণরের অনুপম দানশীলতা - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
খলীফা হারূনুর রশীদের নিকটে প্রেরিত ইমাম মালেক (রহঃ)-এর ঐতিহাসিক চিঠি - ইহসান ইলাহী যহীর
খলীফা ওমর (রাঃ)-এর অনুশোচনা
আরও
আরও
.