মহান আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করে জিবরীল (আঃ)-কে তা পরিদর্শন করতে পাঠান। তিনি দেখে এসে জান্নাত ও জাহান্নামের অবস্থা বর্ণনা করেন। সে সম্পর্কে একটি হাদীছ এবং জাহান্নামের কতিপয় শাস্তি সম্পর্কে একটি হাদীছ নিম্নে উল্লেখ করা হ’ল।-আবু হুরায়রা
Read Moreশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ (ছাঃ) এসেছিলেন মানবতার দিশারী হিসাবে। জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ ও জান্নাত লাভের পথ তিনি উম্মতকে সুস্পষ্টরূপে প্রদর্শন করে গেছেন। সাথে সাথে কোন কাজে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ রয়েছে, তাও তিনি জানিয়ে দিয়ে গেছেন। তেমনি একটি বিষয় হচ
Read Moreপ্লেগ, বসন্ত প্রভৃতি মহামারী আক্রান্ত অঞ্চলে গমন করা এবং দুর্গত এলাকায় অবস্থান করলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা নিষেধ। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ-ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) সিরিয়ার দিকে যাত্রা করলেন। অতঃপর যখন তিনি ‘সার্
Read Moreমহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষকে সম্পদ দিয়েছেন। আর সেই সম্পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সম্পদ ব্যয়ের মাধ্যমে আল্লাহর রেযামন্দী ও নৈকট্য লাভ করা যায়, হাছিল করা যায় অশেষ ছওয়াব। ছাদাকার অধিক হকদার কারা, এ সম্পর্কেই নিম্নোক
Read Moreমহানবী (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরে প্রথম খলীফা আবূবকর (রাঃ)-এর আপোসহীন ভূমিকার জন্য তিনি ইসলামের ত্রাণকর্তা হিসাবে খ্যাত। অত্যন্ত নরম দিলের অধিকারী এই মানুষটি দায়িত্বের ব্যাপারে যেমন সজাগ-সচেতন ও কঠোর ছিলেন তেমনি হাদীছ তথা রাসূলের নির্দেশ পালনে অত্য
Read Moreহাদীছের গল্প রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিভিন্ন সফরে ও বাড়ীতে থাকাবস্থায় ছাহাবায়ে কেরামের মাঝে খাদ্য-পানীয় বণ্টন করতেন। সেসময় তিনি সবার পরেই খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করতেন। এখান থেকে উম্মতের জন্য শিক্ষা যে, বণ্টনকারী পরেই গ্রহণ করবে। এ সম্পর্
Read Moreমানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ হয়ে তারা বসবাস করে। আবার তারা একে অপরের উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্ভরশীল ব্যক্তিকে উপকারীর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা উচিত। কোন মানুষ উপকার করলে তাকে প্রতিদান দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আদর্শ ছিল। এ সম্পর্কেই
Read Moreরাসূল (ছাঃ) ও মুজাহিদদের সম্পদে তাদের জীবনে ও মৃত্যুর পরে আল্লাহ বরকত দান করেন। এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ :আব্দুল্লাহ বিন যুবায়র (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, উষ্ট্র যুদ্ধের দিন যুবায়র (রাঃ) যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান গ্রহণ করে আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর
Read Moreছাহাবায়ে কেরামের আমলে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা পরবর্তীতে বিধান হিসাবে গণ্য হয়েছে। তন্মধ্যে নি‘আন অন্যতম। এখানে লি‘আন প্রবর্তনের ঘটনা সম্পর্কিত হাদীছ উল্লেখ করা হ’ল।- সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, উয়াইমির (রাঃ) আছিম ইবনু আদির নিকট আসলেন। তি
Read Moreজিবরীল (আঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে অহী নিয়ে আসতেন। তিনি সরাসরি রাসূল (ছাঃ)-কে ছালাতের পদ্ধতি ও সময় সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তেমনি দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়ও ছাহাবায়ে কেরামকে তিনি সরাসরি শিক্ষা দিয়েছেন। একদা দ্বীন শিক্ষা দিতে রাসূল (ছাঃ)-এর দরবারে তি
Read Moreমন্দের প্রতিকার মন্দ দিয়ে করা ইসলামের আদর্শ ও বিধান নয়। বরং সুন্দর ও উত্তম পন্থায় মন্দের প্রতিকার করাই ইসলামের নির্দেশ (মুমিনূন ২৩/৯৬; ফুচ্ছিলাত ৪১/৩৪)। তেমনি কোন ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে কষ্ট দিলে তার প্রতিকার উত্তমরূপে ও সুকৌশলে করা উচিত। এ সম্প
Read Moreছিফফীনের যুদ্ধে শালিস নিয়োগকে কেন্দ্র করে ৮ হাযার লোক আলী (রাঃ)-এর দল ত্যাগ করে চলে যায়। তারা হারূরা নামক স্থানে সমবেত হয়। তাদেরকে হারূরী বা খারেজী বলা হয়। তাদের দল ত্যাগ সম্পর্কে নিম্নের হাদীছ।-ওবায়দুল্লাহ বিন ইয়ায বিন আমর আল-ক্বারী বলেছেন,
Read Moreমহানবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমনের পর থেকে আসমানী খবর শুনতে শয়তানরা বাধাপ্রাপ্ত হয়। এ সম্পর্কেই নীচের হাদীছ।-ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ছাঃ) ছাহাবীগণের একটি দলের সাথে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ’লেন। তখন আসমানী খবর ও শয়তানদের মাঝে আড়
Read Moreনবী করীম (ছাঃ)-এর সাহচর্য ও শিক্ষা লাভের মাধ্যমে ছাহাবীগণ হয়ে উঠেছিলেন নির্ভীক বীর সেনানীরূপে। লক্ষ্য ছিল তাদের জান্নাত, ব্রত ছিল ইসলামের বিজয় লাভ। ফলে অদম্য ঈমানী চেতনা নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে শত্রুদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ছিনিয়ে আনতেন ইসলামে
Read Moreআল্লাহ স্বীয় বান্দাদের উপরে ইবাদত ফরয করেছেন। ইবাদতের মধ্যে ছালাত-ছিয়াম ও দান-ছাদাক্বা গুরুত্বপূর্ণ। হাদীছে এ ইবাদতগুলির গুরুত্ব সম্পর্কে অসাধারণ দৃষ্টান্ত বর্ণিত হয়েছে। সে বিষয়ে নিম্নের হাদীছ-হারেছ আল-আশ‘আরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী
Read Moreমুসলমানকে সালাম দেওয়া ইসলামের নির্দেশ। কিন্তু অমুসলিমকে আগে সালাম দেওয়া নিষেধ। একই বৈঠকে মুসলিম ও অমুসলিম সম্মিলিতভাবে থাকলে সালাম কিভাবে দিবে সে বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীছ।-উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত আছে, একবার নবী করীম (ছাঃ) এমন একটি গাধা
Read Moreরাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেসব সম্পদ রেখে গেছেন, সেগুলি ছাদাক্বা হিসাবে বায়তুল মালে জমা হয়েছিল। সে সম্পদের দাবী নিয়ে আলী ও আববাস (রাঃ) দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর নিকটে আসেন। তখন তিনি এ বিষয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে দেন। এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছটি-মালেক বিন
Read Moreযুলুম-অত্যাচার কোন মানুষের কাম্য নয়। এর ফলাফল দুনিয়াতে যেমন ভাল হয় না, তেমনি পরকালে এর জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। যুলুম পরিহার করার জন্য কুরআন-হাদীছে বিভিন্ন নির্দেশ এসেছে। একে অপরের প্রতি যুলুম না করার নির্দেশ এসেছে নিম্নোক্ত হাদীছে।-আবূ যার গি
Read Moreপ্রতিটি মানুষের দুনিয়াবী জীবনের নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। এ সময় শেষ হয়ে গেলে তার রূহ কবয করার জন্য ফেরেশতাগণ ও মালাকুল মউত আসেন। তারা মুমিন ও কাফের ব্যক্তির রূহ কিভাবে কবয করেন তার সবিস্তার বিবরণ এসেছে হাদীছে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ-বারা
Read Moreছাহাবায়ে কেরাম ছিলেন হকের উপরে দৃঢ়চিত্ত। কখনো তাঁরা বাতিলের সাথে আপোষ করতেন না। জীবন দিয়ে হ’লেও তাঁরা বাতিল প্রতিরোধে সদা সোচ্চার থাকতেন। শক্তিধর ও প্রতাপশালী শাসকদের সামনে হক কথা বলতে তাঁরা কখনো ভীত হ’তেন না। ১ম খলীফা হযরত আবূবকর (রাঃ)-এর কন
Read Moreকুরআন ও হাদীছ মানবতার মুক্তির দিশারী। এর মাধ্যমে মানুষ হকের দিশা পায়। মানুষের জীবনের করণীয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে। প্রার্থনাকারীর ও মেহমানের আপ্যায়ন করা কখন আবশ্যক হয় এ বিষয়টি জানতে তাই নিম্নোক্ত হাদীছের অবতারণা।হাসান বাছরী (রহঃ)
Read Moreমানুষ পৃথিবীতে আসে পিতা-মাতার মাধ্যমে। ফলে সন্তানের কাছে পিতামাতা অতি শ্রদ্ধার পাত্র এবং সদাচরণ পাওয়ার হকদার। আবার উভয়ের মধ্যে মায়ের সদাচরণ পাওয়ার অধিকার বেশী। পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। উওয়াইস আল-কারানী মায়ে
Read Moreইসলামের দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারূক (রাঃ) জীবনের শেষ হজ্জ সমাপনের পর মসজিদে নববীতে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ।-ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুহাজিরদের কতক লোককে পড়াতাম। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান ইবনু আ
Read Moreইসলামের দ্বিতীয় খলীফা ওমর (রাঃ) চরমপন্থীদের হাতে ছালাতরত অবস্থায় ছুরিকাহত হন। অতঃপর তিনি পরবর্তী খলীফা মনোনয়নের জন্য ৭ সদস্যের পরিষদ গঠন করে দিয়ে যান। ঐ পরিষদ ওছমান (রাঃ)-কে খলীফা মনোনীত করেন। এরপর ওছমান (রাঃ) খিলাফতের বায়‘আত গ্রহণ করেন। এ সম
Read Moreরাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কার কুরাইশদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে সেখান থেকে অন্যত্র হিজরতের জন্য আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষায় থাকেন। অবশেষে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশ আসলে তিনি আবূবকর (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে মদীনার পথে রওয়ানা হন। পিছনে শত্রু, সামনে বন্ধুর পথ
Read Moreঈমানের মৌলিক বিষয়াবলীর অন্যতম হচ্ছে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। সৃষ্টির পঞ্চাশ হাযার বছর পূর্বে মহান আল্লাহ মানুষের তাক্বদীর লিখে রেখেছেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ হিসাবে তিনি ভাগ্যলিপি লিখে রেখেছেন। মুমিনের কর্তব্য হচ্ছে তাক্বদীরের উপরে দৃঢ় ব
Read Moreমেহমানের সম্মান করা ইসলামে অশেষ ছওয়াবের বিষয়। আর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মেহমান নেওয়াযী করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী মদদ মেলে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছ।আবু মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (ছাঃ) হ’তে বর্ণিত, ‘আছহাবে ছুফফাহ’ (মসজিদ
Read Moreমৃত্যুর পরে মানুষকে কবরে রাখা হয়। বিভিন্ন কারণে মানুষকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়। তন্মধ্যে মিথ্যা বলা, কুরআন তেলাওয়াত পরিহার করা, সূদ খাওয়া ও যেনা-ব্যাভিচার করা অন্যতম। এ প্রসঙ্গেই নিম্নোক্ত হাদীছ।-সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন,
Read Moreমুমিন তার পাপের কারণে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হবে। কিন্তু তার ঈমানের কারণে এক সময় সে জান্নাতে যাবে। জান্নাতে যাওয়ার পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা ও বান্দার মধ্যে যে কথোপকথন হবে, সে সম্পর্কে নিম্নোক্ত হাদীছ- আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, লোকেরা জি
Read Moreক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর বিচারের পরে যারা সৎকর্মশীল তারা জান্নাতে চলে যাবে। আর মুমিনরা অন্য মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে সুফারিশ করবে। ফলে বহুমানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছটি।আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা কতি
Read Moreএ নশ্বর পৃথিবীর যেদিন ধ্বংস হবে, সেদিনের নাম ক্বিয়ামত। ক্বিয়ামত সংঘটিত হওয়ার দিনক্ষণ আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। তবে এর কিছু পূর্বলক্ষণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে দাজ্জালের আগমন অন্যতম। এ বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীছ।-ফাতিমা বিনতে কায়ে
Read Moreমুমিনদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত’ (ইবরাহীম ১১)। ‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট’ (তালাক্ব ৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযথভাবে ভরস
Read Moreপ্রখ্যাত ছাহাবী আবু নাজীহ আমর ইবনু আবাসাহ আস-সুলামী ইসলামের প্রাথমিক যুগেই ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে ধন্য করে ছিলেন। মাক্কী জীবনেই রাসূলুলাহ (ছাঃ) যখন গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন, সে সময় তিনি মক্কায় এসে রাসূলুলাহ (ছাঃ)-কে ক
Read Moreএ পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে প্রেরণ করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। কিন্তু মানুষ তাদের কর্তব্য ভুলে গিয়ে বিভিন্ন অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়। এরূপ মানুষ আল্লাহর নিকট ঘৃনিত এবং জনসমাজেও ধিকৃত। তবে যারা আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলে, তাঁর অনুগত থেকে ইবাদত-বন্
Read More(১) এ পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। কাউকে রোগ-শোক, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন দিয়ে। আবার কাউকে সম্পদের প্রাচুর্য, বিলাস বহুল জীবন ও সুখ-সমৃদ্ধি দান করে। সেকারণ মানুষের উচিত বিপদাপদে আল্লাহর নিকটেই পরিত্রাণ প্রার্থনা করা এবং
Read Moreআমর ইবনু আবাসা (রাঃ) মদীনায় রাসূল (ছাঃ)-এর হিজরত পরবর্তীকালে ইসলাম গ্রহণ করেন। যিনি প্রথমে মক্কায় গিয়ে রাসূল (ছাঃ)-কে তাঁর আগমন সম্পর্কে এবং তিনি কি বিধান নিয়ে এসেছেন সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করেন। রাসূল (ছাঃ) ঐ ছাহাবীর প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেন। এ স
Read Moreরাসূল (ছাঃ)-এর কথা বিভিন্ন মানুষের উপরে প্রভাব বিস্তার করতো। ফলে তারা ইসলাম কবুল করে জীবন পরিচালনা করতেন রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী। বিগত জীবনের যাবতীয় রসম-রেওয়াজ থেকে সর্বতোভাবে ফিরে আসতেন। ফেলে আসা জীবনের ভুল-ত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে
Read Moreরাসূল (ছাঃ)-এর সীমাহীন মহানুভবতা ও অনুপম আদর্শে মুগ্ধ হয়ে অনেক ছাহাবী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। ইয়ামামার বনু হানীফ গোত্রের নেতা ছুমামাহ ইবনু উছাল (রাঃ) ছিলেন তাদের অন্যতম। তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে নিম্নোক্ত হাদ
Read Moreমুহাম্মাদ (ছাঃ) আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল ছিলেন। মক্কার কুরাইশরা তাঁকে নবী হিসাবে স্বীকার না করলেও তারা জনতো যে মুহাম্মাদ আল্লাহর নবী (বাক্বারাহ ২/১৪৬; আন‘আম ৬/২০)। কিন্তু বংশ গৌরব ও বিদ্বেষ বশতঃ তারা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে নবী হিস
Read Moreদ্বীন প্রতিষ্ঠায় রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের ত্যাগ ছিল অনন্য। বিভিন্ন জিহাদে যার নিদর্শন ফুটে উঠেছে। তেমনি বিভিন্ন সময়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নানা মু‘জেযা প্রকাশ পেয়েছে। হোদায়বিয়ার সন্ধিকালে যেমনটি প্রকাশ পেয়েছিল। হোদায়বিয়ায় ও মদীনা প্রত্যাবর্তনক
Read Moreহোদায়বিয়া থেকে ফেরার পথেই যু-ক্বারাদের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তনের পরপরই সংঘটিত হয় খায়বার যুদ্ধ। এই খায়বার যুদ্ধেও রাসূল (ছাঃ)-এর মু‘জেযা বা অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিল। এই উভয় স্থানে ছাহাবীগণ অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শন করে
Read Moreইসলামের প্রাথমিক যুগে নবী করীম (ছাঃ) ও তাঁর সাথীদের আর্থিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। তিন বেলা পেট পুরে আহার করার মত সংগতি অনেকেরই ছিল না। তবুও তাঁরা ছিলেন দুনিয়া বিমুখ। বরং তাদের প্রচেষ্টা ও সাধনা ছিল পরকালে মুক্তি ও জান্নাত লাভের জন্য কাজ করা। সম্পদ
Read Moreছাহাবায়ে কেরাম ছিলেন জান্নাত পিয়াসী মানুষ। জান্নাত লাভের জন্য জীবন বিলিয়ে দিতেও তাঁরা কুণ্ঠিত হ’তেন না। এজন্য জীবন দিয়ে হ’লেও রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশ প্রতিপালন করতেন। আর ইসলামের খেদমতে জীবন বাজি রেখে তাঁরা জিহাদে অংশগ্রহণ করতেন। অভিযানে গমনাগমনের পথে
Read Moreপ্রখ্যাত ছাহাবী জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ)-এর দুর্বল উটকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে মহানবী (ছাঃ)-এর মু‘জেযা এবং জাবের (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক সহযোগিতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছে নিম্নোক্ত হাদীছে।জাবের বিন আব্দুল্লাহ হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
Read Moreরাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। নিজের চেয়ে তিনি অন্যের কথা বেশী ভাবতেন। নিজের কাছে না থাকলে কখনো কখনো ঋণ করেও তিনি অভাবী-দরিদ্রদের দান করতেন। অনেক সময় ঋণ পরিশোধ করতে তাকে বেগ পেতে হ’ত। কিন্তু তিনি সদা আল্লাহর উপরে ভরসা করতেন। এমনই একটি ঘট
Read Moreরাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর ছাহাবীগণ অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। এমনকি অনেক সময় তাদের বাড়ীতে খাবারও থাকতো না। কারণ তাদের সার্বক্ষণিক চিন্তা ছিল আখেরাত নিয়ে। যাতে পরকালে মুক্তি মেলে এবং জান্নাত লাভ করা যায়। কিন্তু যখন ক্ষুধার তাড়না অসহনীয় হয়ে যেত তখন তার
Read More