অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার মানুষ ক্ষুধায় মৃত্যুবরণ করছে। রাজধানী দামেস্ক থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের শহর মাদায়া। এই শহরের আবু আবদুর রহমান চারদিন ধরে কিছু খাননি। ক্ষুধা ও দুর্বলতায় আবদুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন ঘরের মধ্যে নড়াচড়া করাই কমিয়ে দিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যে শক্তি শরীরে অবশিষ্ট আছে নড়াচড়া করলে তাও শেষ হয়ে যাবে। তাদের মতে, শহরে জীবিত কোনও বিড়াল বা কুকুরও নেই। এমনকি যে ঘাস ও লতা-পাতা খেয়ে আমরা এতদিন ছিলাম তাও এখন আর সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের বাসিন্দারা কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাযীরাকে এভাবেই তাদের খাদ্যাভাবের কথা বলেছেন। শহরটির এক বাসিন্দার মতে, অবরোধ আরোপের পর থেকে এ পর্যন্ত ক্ষুধা ও ঠান্ডায় অন্তত ৬০ জন মারা গেছে। সরকারী বাহিনী ও হিযবুল্লাহ গত জুলাই থেকে শহরটিতে অবরোধ করে রেখেছে। ফলে সেখানে খাদ্য, জবালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ নেই বললেই চলে। শুধু মাদায়াই নয়, এমন নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন যাবাদানি, ইদলিবসহ আশপাশের প্রায় চার লাখ মানুষ। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, নিত্যপণ্য সামগ্রীর অভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন অবরুদ্ধ সিরিয়ার লাখ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের অধীনে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হ’লেও এসব অঞ্চলে মানবিক পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। ৫ বছর ধরে চলা সহিংসতায় দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে।




আরও
আরও
.