গণতন্ত্রকে যথাযথ মনে করে না পাকিস্তানের ৫৭% তরুণ
পাকিস্তানের অর্ধেকের বেশী তরুণ তাদের দেশের জন্য গণতন্ত্রকে যথাযথ রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলে মনে করে না। একইসাথে ৩৮% তরুণ ইসলামী শরী‘আ আইনের পক্ষে মত দিয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পাকিস্তানের ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯৬ শতাংশই মনে করে, দেশ ভুল পথে এগোচ্ছে। এছাড়া ৩৩% সামরিক শাসনের পক্ষে মত দিয়েছে। পাকিস্তানের জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা হিসেবে কেবল ২৯% গণতন্ত্রের পক্ষে মত দিয়েছে। ৩৮% শরী‘আ আইনের পক্ষে মত দিয়ে বলেছে, মানবাধিকার রক্ষা ও মানবতার মুক্তির জন্য এবং পরমত সহিষ্ণুতা সম্প্রসারণে এটা সর্বোত্তম ব্যবস্থা। জরিপে অংশ নেয়া মোহাম্মদ ওসামা নামের জনৈক তরুণ বলেছে, ‘মুসলমান হিসেবে আমি খেলাফতে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্র মানে আপনার দেশ ও বিশ্বাসকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করা’।
[ধন্যবাদ পাকিস্তানী তরুণদের। বাংলাদেশেও আমরা ইসলামী খেলাফত চাই। গণতন্ত্র নামক দলীয় স্বৈরতন্ত্র এখুনি বাতিল চাই (স.স.)]
গাজায় সহশিক্ষার স্কুল বন্ধ করবে হামাস
গাজায় যে সব স্কুলে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়ানো হয় সে সব স্কুল বন্ধে আইন করতে যাচ্ছে হামাস। তবে শুধুমাত্র নয় বছরের বেশী ছেলেমেয়েরা যে সব স্কুলে পড়ে তারাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত হবে। গাজায় অধিকাংশ স্কুল জাতিসংঘ বা হামাস দ্বারা পরিচালিত হয়। তাছাড়া অল্পকিছু বেসরকারী স্কুলও রয়েছে দেশটিতে। এই আইন পাস হলে এসব স্কুল কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আইনটি বাস্তবে কতটা কার্যকরী হয় সেটাই দেখার বিষয়। এর আগে ছেলেদের কাছে মেয়েদের চুল কাটা নিষিদ্ধ করে দেশটিতে আইন পাস করা হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। আবার মেয়েদের ধূমপান নিষিদ্ধে আইন করা হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।
[অবশ্যই বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। নইলে তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত উঠে যাবে (স.স.)]
অসভ্য লোকদের জন্য টুইটার
সউদী আরবের প্রধান মুফতী আবদুল আযীয আলে-শায়খ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘টুইটার অসভ্য লোকদের পরিষদ এবং অন্যায্য, ভুল ও মিথ্যা ছড়ানোর স্থান। চ্যাটিং ও ইন্টারনেট বিশেষ করে টুইটারে অধিকাংশ তরুণ তাদের সময় অপচয় করছে’। তিনি সউদী আরবের জ্যেষ্ঠ ওলামায়ে কেরামের এক সভায় দেয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। সঊদী আরবের ৩০ লাখ টুইটার ব্যবহারকারী রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সঊদী আরবে টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। এছাড়া সেদেশের ৩ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ।