ফিলিস্তীনের গাযা উপত্যকায় অব্যাহত ইস্রাঈলী হামলার বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলির কেউ কেউ সোচ্চার হ’লেও দেশটির বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান গ্রহণ এবং সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি তারা।
গাযা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সঊদী আরব, আরব লীগ, ওআইসির যৌথ উদ্যোগে শনিবার রিয়াদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আরব লীগ ও ওআইসির মহাসচিবদ্বয় সহ সঊদী ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান, তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ইরানী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাঈসী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট মানছূর বিন যায়েদ আন-নাহিয়ান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকা উইদোদো প্রমুখ অংশ নেন।
সম্মেলনে হামাসের বিরুদ্ধে ইস্রাঈলের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করা হয়, ফিলিস্তীনী জনগণের বিরুদ্ধে ইস্রাঈল অপরাধ ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়। কিন্তু সম্মেলনের ফলাফলে এই যুদ্ধ কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়।
ফলে ইস্রাঈলে তেল সরবরাহ বন্ধ করা, ইস্রাঈলের সাথে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। মূলত মিসর, জর্ডান, সঊদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান, মরক্কো, মৌরিতানিয়া ও জিবুতির বিরোধিতার কারণে ইস্রাঈলের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ, ইস্রাঈলকে বয়কট করা, কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করা যায়নি। সম্মেলনে সঊদী ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান ফিলিস্তীনী জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইস্রাঈলকে দায়ী করে বলেন, ‘এটি এমন এক মানবিক বিপর্যয়, যা ইস্রাঈলের আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্বৈতনীতির প্রমাণকে স্পষ্ট করেছে’। তিনি বলেন, ‘এখন শান্তির একমাত্র উপায় হ’ল- ইস্রাঈলী দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপনের অবসান এবং ১৯৬৭ সালের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
[মুসলমান নেতারা ইহূদীদের ব্যাপারে কুরআনের নীতি লংঘন করায় এর তিক্ত ফল ভোগ করছে তারা। আমরা তাদেরকে দ্রুত কুরআনের পক্ষে ফিরে আসার আহবান জানাই (স.স.)]