সিরিয়ায় সরকার বিরোধী আন-নুছরাহ ইসলামী যোদ্ধারা ও ইসরাঈলীরা সিরীয়দের লক্ষ্য করে বোমা মারে। আর সিরীয়রা বোমা মারে মূলতঃ আন-নুছরাহকে লক্ষ্য করে। কিন্তু নুছরাহ-র আহত যোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া হয় ইসরাঈলের হাইফা হাসপাতালে। তাহ’লে ইসরাঈল কার পক্ষে? ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট -এ গত ৪ঠা নভেম্বর প্রকাশিত প্রবন্ধে এ মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক রবার্ট ফিস্ক। তিনি লিখেছেন, নুছরাহ যোদ্ধারা নিজেদের রেডিওতে সিরীয়দের ‘কাফের’ বলে গালি-গালাজ করে। অথচ নুছরাহর অধিকাংশ যোদ্ধা সিরীয় সরকারী সেনাবাহিনী থেকে বেরিয়ে আসা। তারা যখন সিরিয়ার দিকে তাক করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, তখন তাদের নল থেকে রকেট বেরিয়ে যাওয়ার ছবি তুলে রাখতে হয়। সম্ভবতঃ অস্ত্র সরবরাহকারীদের কাছে তাদের জওয়াবদিহি করতে হয় এ মর্মে যে, গোলাটা তারা অন্য কারও কাছে বিক্রি করেনি।
[মধ্যপ্রাচ্যে হঠাৎ সৃষ্ট আইএস নামধারী ইসলামী যোদ্ধাদের অন্যতম জিহাদী গোষ্ঠী হ’ল আন-নুছরাহ ফ্রন্ট। যারা গত বছর অন্য একটি জিহাদী গোষ্ঠীর সদস্যের বুক ফেড়ে কলিজা চিবিয়ে ইন্টারনেটে ছেড়েছিল। তারা সিরিয়ায় বোমা মারে। কিন্তু সামান্য দূরে ইসলামের চিরশত্রু ইসরাঈলে বোমা মারে না। সিরিয়ার গোলান মালভূমি থেকে যুদ্ধ প্রত্যক্ষকারী প্রখ্যাত সাংবাদিকের উপরোক্ত রিপোর্ট জিহাদ পাগল মুসলিম তরুণদের চোখ খুলে দিবে কি? (স.স.)]