ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে চলছে ভয়াবহ নৃশংসতা, মানবাধিকার লংঘন ও হত্যাকান্ড। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে জম্মু-কাশ্মীরে অর্ধশতাধিক মুসলমানকে হত্যা এবং শত শত মুসলমানকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে যুবকদের চোখে বন্দুকের ছারা গুলি করে তাদের চিরতরে অন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি যার সাথে জড়িত। কিন্তু বহির্বিশ^ অন্যান্য দেশের সন্ত্রাস-সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হ’লেও জম্মু-কাশ্মীরের এই মানবতা-বিরোধী অপরাধ নিয়ে আদৌ মাথা ঘামাচ্ছে না। গণমাধ্যমের দৃষ্টি থেকে এসব ঘটনা কৌশলে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। ফলে কাশ্মীরী জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বেড়েই চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে গত ৮ই জুলাই হিযবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বোরহান ওয়ালী নিহত হওয়ার পর সমগ্র পশ্চিম ও উত্তর কাশ্মীর জুড়ে পুলিশ-জনতার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার গড়ে প্রতি ৭ জন কাশ্মীরীকে দমিয়ে রাখার জন্য একজন পাহারাদার নিযুক্ত করে এবং ভারতের সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় পুলিশবাহিনী গুপ্ত হত্যা, প্রকাশ্য হত্যা, দমন-পীড়ন, ধর্ষণ করেও কাশ্মীরীদের তাদের ন্যায্য দাবী থেকে আজও পর্যন্ত বিরত কিংবা দমিয়ে রাখতে পারেনি।